নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেতনার বড়ি গিলিয়ে বাজার দখলের প্রবণতা শিল্পখাতের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে...

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩


বিষণ্ন সুন্দরী টুম্পা খান খুবই আবেদনময়ী গলায় গেয়েছেন- ‘আমার অনুভূতির সাথে খেলার অধিকার দিলো কে?’... বাঙালির এই অনুভূতি বস্তুটা বেশ প্রবল। স্পর্শকাতরও। কোনোভাবেই অনুভূতির সঙ্গে ছিনিমিনি খেলতে দিতে রাজি নই আমরা। কিন্তু সেই অনুভূতিতেই যখন চেতনার ঘি ঢালা হয়, আমরা তখন পুরাই ফিদা! এই বিষয়ে উদাহরণ দেয়াটাই বাহুল্য।

স্বাধীনতার পর থেকেই চেতনার নামে চলে আসা আমাদের রাজনীতি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ার হওয়া ব্যতিরেকে সত্যিকারার্থে কতটুকু দেশের কল্যাণে এসেছে সেটা পুনর্বিবেচনার অবকাশ রাখে বলে আমি মনে করি। আমরা যেহেতু রাজনীতি সচেতন জনতা (এক মার্কিন কুটনীতিবিদ বলেছিলেন, তোমাদের সমস্যা হলো- তোমাদের রিকশাওয়ালা পর্যন্ত একেকজন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ!!), রাজনীতিতে বিভিন্নমূখী চেতনার ব্যবহার এর পক্ষে বা বিপক্ষে আমরা সোচ্চার। কিন্তু জীবনাচারণের আরো আরো দিকে যে এই চেতনার ঘি খাওয়ানোটা বেশ গভীরে পৌঁছে গেছে, তার খবর রাখছি কই?

আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে চেতনার রস ব্যবহার করাটা জাতীর জন্যে একটা পিছুটান। কারণ, চেতনা ব্যবহার করলেই যখন যেকোনো ধরণের পণ্য পাব্লিককে খাওয়ানো যায়, তখন পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে খামোখা খরচ বাড়ানোর কি মানে হয়। দুঃখজনকভাবে আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এভাবে বাজার দখলের একটা স্থুল প্রবণতা রয়ে গেছে। অব্যর্থ টোঁটকা হিসেবে উনারা এর প্রয়োগ করে থাকেন।

বিপণনে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব নতুন করে কিছু বলার কোনো মানে নেই। জনমনে বিজ্ঞাপনের প্রভাব আর গুরুত্ব সম্পর্কে ব্লগাররা নিশ্চয় ভালো জানেন। সেই উনিশশ তিপ্পান্ন সাল থেকে... বললেই অনেকে বুঝে ফেলবেন ‘রক্সি পেইন্ট’র কথা বলা হচ্ছে। তেমনি ‘ম দিয়ে মা ছাড়া কি হয় আর’ বললেই অনেকের মনে পড়বে এক সময়কার ম্যানোলা বেবি পাওডার এর কথা। এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখতাম আজ থেকে প্রায় পঁচিশ ত্রিশ বছর আগে। এখন হয়তো পণ্যগুলো মার্কেটে এক্সিস্টই করে না। তবুও বিজ্ঞাপনের গুণে মনের মধ্যে গেঁথে আছে। এ রকম আরো উদাহরণ দেওয়া যায়।

আবার বিপরীত পতিক্রিয়াও হয় বিজ্ঞাপনে। কিছু বছর আগে আড়ংয়ের এক দুধের বিজ্ঞাপনে নারী শরীরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপনের বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে আড়ংয়ের ওই বিজ্ঞাপন সব যায়গা থেকে উইথড্র করা হয়েছিলো। এ ধরণের উদাহরণও ভুরি ভুরি।

বলা হয়ে থাকে, বিজ্ঞাপনের ইতিহাসে সবচেয়ে ট্রিকি এবং শক্তিশালি ‘পে অব লাইন’ ছিলো, ‘নো স্মোকিং; নট ইভন্ আবদুল্লাহ’। ঘটনা হলো, গত শতকের প্রথম দিকে ‘আবদুল্লাহ’ নামে টার্কিশ একটা অভিজাত সিগারেট ছিলো, খুব দামীও। ওই এখনকার ডানহিলের মত আর কি। এই আবদুল্লাহ একটা বিমানবন্দরে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করবে, কিন্ত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা আছে যে এমন কিছুই করা যাবে না যাতে করে ধুমপানকে উৎসাহিত করা হয়। তো আবদুল্লাহ নিজেই একটা ধুমপান বিষয়ক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। কিভাবে তারা ধুমপানকে অনুৎসাহিত করে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করবে, তার কোন কূল কিনারা করতে পারছিলো না। তখন এই অমর পে অব লাইন’র আবির্ভাব হয়।

এ রকম অনেকভাবেই পণ্যের প্রসারে বিজ্ঞাপন করা যায়। যেগুলো সুদুরপ্রসারি প্রভাব সৃষ্টি করে। কিন্তু বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনমনে প্রভাব ফেলতে পারলেও যদি পণ্যের গুণগতমানে ক্রমোন্নতি না থাকে, তবে সে পণ্য ক্রমেই বাজার থেকে আউট হয়ে যায়।

আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্রুত এবং বেশি মাত্রায় লভ্যাংশ করার যে আত্মধ্বংসী প্রবণতা রয়েছে, সেই যায়গা থেকে পণ্যের উন্নয়নের বিষয়টা আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলো অগ্রাহ্য করে এবং তা চেতনা দিয়ে পূরণ করতে চায়। সম্প্রতি একটা রেফ্রিজারেটরের বিজ্ঞাপন দেখলাম (ব্র্যান্ড নেম মুছে উপরে স্ক্রিনশট দিয়ে দিয়েছি)। রেফ্রিজারেটরটা চেতনার রঙে রাঙিয়ে ভালোই চটকদার ভাষায় প্রচারিত হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন নিঃসন্দেহে। কিন্তু পণ্যের গুণগতমানের দিকে কতটা নজর দিয়েছে সেটা ভবিষ্যৎই বলতে পারবে।

একটা টেলিভিশন স্টেশন আছে যার শ্লোগান হলো- ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়’। খুবই ভালো কথা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের যে মুল চেতনা সুশাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বৈষম্যহীনতা, নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয়ে এই টিভি স্টেশন কতটা তৎপর, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।

যেকোনো ব্যবসায় “ইসলামী” শব্দের ব্যবহারও একই ধারা বহন করে। আমাদের দেশীয় ব্যবসা-শিল্পের ক্ষেত্রে এ ধরণের উদাহরণ ভুরিভুরি দেওয়া যাবে।

আমাদের এই চেতনায় হাবুডুবু খাওয়ার মজা নিয়ে এখন প্রতিবেশি দেশের কোম্পানিগুলোও খেলাচ্ছে আমাদেরকে। আপনারা মনে করতে পারবেন যে গত বছর বা তার আগের বছর বাজাজ একটা বাইক মার্কেটে ছেড়েছে, যার ব্র্যান্ড নেম “ভি”, ভি ফর ভিক্টরি, ভি ফর ভিক্রান্ত (বিক্রান্ত)। বিক্রান্ত হলো সেই যুদ্ধজাহাজ, যেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইন্ডিয়ান নেভি আমেরিকার সপ্তম নৌবহর ঠেকাতে ব্যবহার করেছিলো। এই জাহাজকে স্ক্র্যাপ করার পর সেই স্ক্র্যাপ দিয়ে এই “ভি” বাইকগুলো তৈরী হয়েছে.. .. .. আহা হা, কি চেতনা, কি চেতনা.. .. ..

আমার ধারণা, বাজাজ এই বাইকটা তৈরীই করেছে বাংলাদেশের মার্কেটের কথা মাথায় রেখে। কারণ এই বাইকের প্রমোশনে ওরা মুক্তিযুদ্ধ-বিক্রান্ত-বিজয় বিষয়টি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। ফলস্বরুপ, ভারতে কি অবস্থা জানি না, কিন্তু ঢাকার রাস্তায় অহরহই “ভি” ব্র্যান্ডের বাইক চলছে। মাঝখান দিয়ে কিছুটা আমাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট ওয়ালটনের লিও, স্ট্যাইলেক্স, ফিউশন, ক্রুজ, এক্সপ্লোর ইত্যাদি বাইকগুলো রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গেছে। যেগুলো বছর খানেক আগেও বেশ চোখে পড়তো।

এটা নেবুচাদনেজার এর যুগ না। পৃথিবী এখন আক্ষরিক অর্থেই মানুষের হাতের মুঠোয়। এখনকার মানুষ শুধু দেশের পার্সপেকটিভে চিন্তা করে না। সারা পৃথিবীর সাথে তুলনা করেই সে কিছু একটা কিনতে যায় যখন প্রয়োজন হয়। তাই এই চেতনা গিলিয়ে বাজার ধরার সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া দরকার। বরং সত্যিকার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জনে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মনোযোগ দেওয়াটাই শ্রেয় হবে। তাহলেই টিকে থাকা যাবে; অন্যথায় নয়।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

বিজন রয় বলেছেন: আবদুল্ল্যাহে টা ইন্টারেস্টিং!!

ভাল লেখা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। ইদানিং আমার সব পোস্টেই আপনাকে দেখতে পাই। ব্লগে সময় বেশি দিচ্ছেন বোধহয়।

এই যে ব্যবসা-বাণিজ্য-শিক্ষা-প্রেম ভালোবাস-সংগীত, সবখানেই এই চেতনার বাণিজ্যিকীকরণে যারপরনাই বিরক্ত। এতে করে সত্যিকার লাভটা তো হয়ই না, উল্টে চেতনা বিষয়টাই ল্যাবেনডিস হয়ে যায়।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বনিজ্যে বসতি লক্ষি!

তো চেতনা আর বাদ যাবে কেন? যখন তার ব্রান্ড ভ্যালু আনলিমিটেড!
যতটুকু সম্ভব ততটুকুই তার সীমা!

দেখূন না কি সুন্দর চেতনার বটিকায় বুদ হয়ে অনির্বচিত সরকার দিব্য ১০ বছর পার করে দিল!
যেখানে এই বাঙালীই এরশাদকে ছ্যাংদোলা করে নামিয়েছে!
সব বাবা চেতনার জয় জয়কার!
;)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্র্যান্ড ভ্যালু আনলিমিটেড। কিন্তু ওই যে, আখেরে আমাদেরই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। একটাও প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াচ্ছে না। গত বছরের আগস্টে ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় একজন বেঙ্গলের ন্যাপথলিন আনতে বলেছিলো। তো খুঁজে পেতে কিনে দেখি, প্যাকেটের গায়ে লেখা- প্রতিষ্ঠিত ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দ। দোকানদার খুব প্রশংসা করলো এই ন্যাপথলিন এর।

দেখুন, ১০০ বছর ধরে ছোট্ট একটা পণ্য উৎপাদন করে যাচ্ছে সুনামের সাথে। সেটা সম্ভব হয়েছে পণ্যর গুণগত মানের কারণে নিশ্চয়। দুলালের তাল মিছরির বিষয়টাও উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, হিরো হোন্ডার কথাও বলা যায়। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে বাইসাইকেল ছেড়ে যখন মোটর বাইক উৎপাদন শুরু করলো, তখন এগুলোর চেহারা দেখার মত ছিলো বটে! আজ দেখেন, সারা বাংলাদেশে হিরোর জয়জয়কার। কিন্তু কোথায় আমাদের একই টাইপের ভেঞ্চাারগুলো?

আর রাজনীতিতে চেতনার অতিব্যবহারের ফল তো এই এপ্রিলেই দেখেছে বাংলাদেশ।

ভালো থাকবেন।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: একটু সময় পাচ্ছি, আবার দেখা গেল হাওয়া।
হা হা হা ........ এই তো জীবন।

শুভকামনা রইল।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আসলেই, এই তো জীবন!! শীষেন্দু'র 'যাও পাখি'র শেষ কথাটা ছিলো সোমেন এর বাবার মৃত্যুর আগ মুহুর্তে বলা 'এই তো জীবন'

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নো স্মোকিং; নট ইভন্ আবদুল্লাহ’ ইন্টারেস্টিং, অদ্ভুত স্টাইল।

মুক্তিযুদ্ধ চেতনা নিয়ে "বিদ্রুপাত্তক" ভাল লাগলো না।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: এখানে বিদ্রুপটা বড় নয়, যত্রতত্র এবং অপব্যবহারে যেকোনো বিষয়েরই ওজন কমে, সেটাই বলতে চেয়েছি।

ভালো থাকবেন।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ! চেতনার ব্যাবসায়িক ব্যবহার নেতা-কর্মী , চামচা , বুদ্ধুজীবী, ছাম্বাদিক সবাই করিতেছে ! পণ্যে ব্যবহার করিলে ক্ষতি কি ?

অন্যান্য দেশেও কম-বেশি ব্যবহার হইয়া থাকে ! তবে পণ্যের মানের কথা যাহা বলিলেন, তাহা আমাদের দেশে এখনো প্রফেশনাল হয় নাই ! ইহা মেদ ইন বাংলাদেশ ব্রানডার জন্য খুবই জরুরি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: চেতনার ব্যবহার সবাই করলে কি আর ক্ষতি! কোনো ক্ষতি নেই তো!
অন্যান্য দেশেও চেতনার ব্যবহার হইয়া থাকে। অবশ্যই ব্যবহার করে, তবে সেখানে নিজেদের গুণগত উন্নয়নটাও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: চেতনার লাইসেন্স নিয়ে যেখানে সেখানে পসরা সাজিয়ে বসলে চেতনার অবধমন হয়। দায়িত্বশীলদের এবিষয়ে বুঝা উচি। পন্যের গুনগত মান ভালো না হলে মানুষের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: এক্সাক্টলি এটাই বলতে চেয়েছি স্যার। ধন্যবাদ আপনাকে।
একই সাথে চেতনার আড়ালে ক্রমাগত উন্নয়নের যে প্রয়োজনীয়তা, সেটাকে দুর্বল করা হয়।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "স্বাধীনতার পর থেকে চেতনার নামে চলে আসা আমাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ার ... রাখে বলে আমি মনে করি"

-ভুল ভাবনা নিয়ে শুরু করে, আপনি কতদুর যাবেন? স্বাধীনতার পর এসব "চেতনা ফেতনা" কিছুই ছিলো না; এই শব্দগুলো সম্প্রতি যোগ হয়েছে

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি অবশ্য ঠিকই বলেছেন, এই সব চেতনা ফেতনা সব সাম্প্রতিককালের সংযোজনা। তবে আমি তো আর আপনার প্রজন্মের না, আমি দেখছি আমার সময় থেকেই।

ভালো থাকবেন স্যার।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আসলে এখন কোনটা যে চেতনা আর কোনটা যে চে তনা সেইটাই বুঝা মুশকিল

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। চেতনার উপর বিভিন্নরকম দ্যোতনা আরোপ করায় কোনটা যে আসল ত্যানা বোঝা বড়ই মুশকিল হয়ে গেছে।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সব সময় যারা বই পড়ে আর থিয়োরি কপচায়, তারা দেশের কোনো কাজে লাগে না ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: দিলেন তো বাঁশ দিয়ে... কদিন ধরে একটু লিখছিলাম, সেটাও কি তবে বাদ দিয়ে দেব? :(

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




চেতনা (conciousness/sensibility) হলো মনের একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য যাকে আরো অনেকগুলো মানসিক বৈশিষ্টের সমষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন- আত্মমাত্রিকতা, আত্মচেতনা, অনুভূতিশীলতা, পৃথকীকরণ ক্ষমতা এবং নিজের সত্তা ও আশেপাশের পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনুধাবনের ক্ষমতা। এক কথায় বলতে গেলে চেতনা মানে চৈতন্য, সংজ্ঞা, হুস ও অনুভূতি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনকেগুলো গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল বৈষম্যের অবসান করা। চাকরির ক্ষেত্রে বাঙালিদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বাঙালিদের সব রকম যোগ্যতা থাকার পরও পদোন্নতি ও মর্যাদার ক্ষেত্রে সীমাহীন বৈষম্য করা হত। অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানীরা সহজে পদোন্নতি পেত এবং বাঙালিদের তুলনায় অধিক সুযোগ সুবিধা পেত। এটা ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম অপমানের ও কষ্টের।

পাকিস্তানীদের অন্যায় আচরণ, বৈষম্য, নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনার ফলে বাঙালিরা নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করতেন। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুরা সবচেয়ে বেশী বৈষম্যের স্বীকার হতেন। এজন্য পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের জন্য প্রথমত স্বায়ত্তশাসনের দাবী উত্থাপন করেছিল। যা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ ঝরে গেল। তাদের রক্তের বন্যায় সাতরিয়ে অর্জিত হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। আমরা কী পেরেছি তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে? একটি অন্যায় অত্যাচার ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে? তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রের। এটাই ছিল তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আমরা স্বাধীনতার এত বছর পরও কী পেরেছি ত্রিশ লক্ষ শহীদের তালিকা করতে? তাদের নাম ঠিকানা জাতির সামনে তুলে ধরতে? না, পারিনি। তাহলে এটা কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী নয়?

স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশটির নাম দেওয়া হয় ''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ''। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগনের নিজেদের শাসন করার অধিকার সহ একটি সার্বভৌম ভূমি, যেখানে বাঙালিরা নিজেদের বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা নিয়ে সব ধরনের বৈষম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ''চেতনা'' শব্দটির বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক্য আছে। কেননা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও চিন্তা-ধারার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভুমি জানাটা জরুরী। আমরা জানি, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিল নিজের মাতৃভাষায় কথা বলা, নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করা ও লেখার অধিকারের চেতনা নিয়ে। আর সেই চেতনাকে ভিত্তি করে সমগ্র জাতি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করে ভাষার অধিকার আদায় করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে হলে যুদ্ধের পূর্ববর্তী দেওয়া ঘোষণাগুলো এবং ৩রা মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেওয়া বিভিন্ন দফাগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। তাদের ঘোষিত ৬ দফা, ১১ দফা ও স্বাধীনতার ইশতেহার জানতে হবে। শুনতে হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনটি, বুঝতে হবে এর মর্মবাণী।

এক কথায় বলতে গেলে একটি মর্যাদাবান বাঙালি জাতি, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও সকল মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে গনতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে ''মুক্তিযুদ্ধের চেতনা''। এই চেতনা কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ নয় বা এর মালিকানার কৃতিত্ব কারো নেই। যারা মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখিত চেতনা পুরোপুরি অনুধাবন করে নিজেদের মধ্যে ধারণ করবেন তারাই এই চেতনার বাহক। এই চেতনা দেখা যায় না, ছোয়া যায় না। শুধু অনুভব করা যায় হৃদয়ের গভীর বদ্ধ কুটিরে। একে লালন করতে হয় গভীর ভালবাসা ও মমতা দিয়ে, একান্ত আপন মনে।

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মূল্য দেশ গঠনে অবদান রেখে পরিশোধ করাই হলো চেতনা; কয়েক লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের মর্মবাণী অনুধাবন করাই হলো চেতনা; মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষদের নির্ভুল তালিকা করাই হচ্ছে চেতনা; মুক্তিযুদ্ধে সকল মুক্তিযোদ্ধার অবদান স্বীকার করা হলো চেতনা; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করাই হলো চেতনা; মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যারা দেশ গঠনে ও জনমত তৈরীতে অবদান রেখেছেন তাদের কথা স্বরণ রাখাই হলো চেতনা। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। পাশাপাশি, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আানাও চেতনা; যারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের টাকার বিনিময়ে তালিকাভূক্ত করতে সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই হচ্ছে চেতনা। আর চেতনার নামে যারা দেশকে বিভক্ত করছে, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে তাদের পরিত্যাগ করাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

এছাড়া যারা দেশপ্রেমের নামে, চেতনার নামে ক্ষমতায় থেকে দেশ বিক্রি করে, ব্যাংকের টাকা মারে, শেয়ারবাজার হরিলুট করে, বিদেশে রেমিটেন্স পাচার করে, অবৈধভাবে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম/বেগম পাড়ার বাসিন্দা হয় এরাই হচ্ছে আসল স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী, মুখোশধারী নব্য রাজাকার ও দেশদ্রোহী।

চেতনার বিপরীত শব্দ হলো- অচৈতন্য বা অজ্ঞতা। আরেকটু খোলাসা করে বল্লে মূর্খতা। এজন্য যত্র-তত্র প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে চেতনা শব্দটির ব্যবহার দেশ ও জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। বিশেষ করে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে অথবা কোন বিশেষ দল বা শ্রেণীর মানুষকে উপযুক্ত কারণ ছাড়া জাতীয় চেতনা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করলে জাতির মধ্যে বিভক্তি ও ঘৃণা আগ্নেয়গিরির লাভার মতো ছড়িয়ে পড়ে। মানুষকে আক্রমন করে, অপমান করে চেতনার বাণী প্রচার করা যায় না। এজন্য আগে যিনি চেতনার কথা বলবেন তাকে জাতীয় চেতনার ধারক ও বাহক হতে হবে। আর তা প্রচার করতে হবে সুন্দর করে নিজের কর্ম ও চিন্তা-চেতনা দিয়ে। কাউকে চেতনার নামে অপমান করাকে বলে মূর্খতা, আর নিজে প্রথমে চেতনা ধারণ করে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হলো চৈতন্য।

লেখায় ভাল লাগা রইলো, ধন্যবাদ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: দিনে দিনে আরো বেশি কৃতজ্ঞ হয়ে যাচ্ছি আপনার প্রতি। ব্লগিং শুরুর পর একটা লম্বা সময় কিছু জাগতিক/মহাজাগতিক কারণে অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিলাম। বছর দেড়েক আগ থেকে যখন আবার নিয়মিত হতে শুরু করলাম, আধখ্যাচড়া অন্তসারশূন্য পোস্ট আর রাজনৈতিক ধারাবর্ণনা পোস্টের আধিক্যে বিরক্তই হয়ে গিয়েছি। প্রায় ভাবতাম, এখানে অহেতুক সময় দিয়ে কি লাভ! ব্লগ থেকে কিছু শেখারও তো দরকার আছে।

কিন্তু ব্লগে আরো একটু বেশি সময় দেয়াতে দেখলাম, না, এখানে এখনও অসংখ্য ভালো ভালো ব্লগার রয়েছে। সফল প্রফেশনালস, অ্যাকাডেমিশিয়ান, থিংকট্যাংক এবং অবশ্যই কবিরা। হ্যাঁ, তবে ব্লগারের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়াতে প্রচুর পরিমাণে আগাছাও রয়েছে।

এই যে বিভিন্ন পোস্টে আপনি যেভাবে একাডেমিক এবং বিশদ মন্তব্য করেছেন, এ ধরণের আলোচনাই যেকোনো ব্লগারকে তার পরবর্তী পোস্ট সম্পর্কে সচেতন হতে বার্তা দেয়। মান উন্নয়নে সাহায্য করে।

প্রসঙ্গে আসি। আমাদের দেশে 'চেতনা' বিষয়টা খুবই সংবেদনশীল কিন্তু কিছুটা বিচিত্র। আমেরিকানদের মত আন্ডারওয়্যারে ব্যবহার করতে পারি না কিন্তু টি শার্টে বা রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করতে পারি। আমরা তার বাণিজ্যিক ব্যবহার করতে পারি, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারি না। সবচে বেশি ব্যবহার করতে পারি আমাদের ভন্ডামীকে এনডোর্স করাতে। আর এই প্রবণতা একদিকে যেমন আমাদের ব্যবসায়িক স্থায়িত্ব কমাচ্ছে, অন্যদিকে আমাদেরকে একটা উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দিচ্ছে না।

লম্বা মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ স্যার।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: চেতনাবাজরা নতুন নতুন চেতনা সৃষ্টি করে মার্কেট সচল রাখে এখন

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: তাতো করবেই। সেটারইতো আধুনিক নাম বিপণন কৌশল। যে যত ভালো কৌশল করতে পারবে, তার মূল্য তত বেশি। দেখছেন না দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর মৌলিক সাবজেক্টগুলোর কোনো কদর নেই। সবাই খালি বিবিএ এমবিএ'র পেছনে ছুটছে।

কিন্তু কথা হলো, চেতনা প্রয়োগ করেন, কিন্তু তার সাথে সাথে পণ্যর গুণগত মানটার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির বিষয়টাও দেখতে তো হবে না কি? আমাদের এখানে সেটা হয় না। শুধুমাত্র চেতনা দিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলে।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নো স্মকিং, নট ইভেন আবদুল্লাহ!
মজার ছিল।
আমাদের দেশে ভারি শিল্পই তো নেই, সেসবের আর বিজ্ঞাপন দেবে কী!
বিজ্ঞাপনের ভাষাও সংযত হওয়া উচিত। আধা ইংরেজি, আধা বাংলা ভাষায় দেয়া বিজ্ঞাপনগুলো দেখলে রাগে গা চিড়িচিড় করে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভারী শিল্প হবে কি করে? সবাইতো যেটাই শুরু করে, সেটা দিয়েই পাঁচ বছরের মধ্যেই বড়লোক হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তারপর উধাও। কারণ ওই যে পণ্যর গুণগত মান উন্নয়নের দিকে নজর থাকে না।

আপনার মনে থাকবে, বছর দশেক আগে অ্যারোমেটিক নামে আমাদের একটা সাবান খুব দ্রুততার সাথে জনপ্রিয় হয়েছিল। সেখানে ব্র্যান্ডিংটা কি চিলো? 'হালাল' সাবান। সাবান আবার হালাল হতে হয়, হতে পারে, এই সব ধারণায় যখন আমাদের ছিলো না, তখন এই সাবান এই ইসলামী চেতনা ব্যবহার করে রাতারাতি বাজার দখল করে ফেললো। আজ কোথায় সে সাবান? সহজেই বাজার দখল হওয়াতে তারা পণ্য মান উন্নয়নে অথবা ব্যবসা ধরে রাখতে মনোযোগ দেয়নি। ফলাফল- তারা নেই। অথচ এমনও তো হওয়া সম্ভব ছিলো যে শুরুর এই বিপুল জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তারা আরো আরো উন্নত মানসম্পন্ন পণ্য বাজারে ছেড়ে মার্কেট জায়ান্ট হবে, টয়লেট্রিজ থেকে ইলেকট্রনিকস, সেখান থেকে মেগা ইন্ডাস্ট্রি....

কিন্তু হয়নি। ইন্ডিয়ান মেরিকো'র কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে এখন হয়তো ম্যারিকায় গিয়ে সুখ পাচ্ছে।

ভালো থাকবেন।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হ্যা এভাবেই ক্যাপিটালিজম কাজ করে ! যখন যেই দশে যেটা বলতে হবে সেটাই বলে I দেশের সহজলভ্য জনশক্তি ব্যবহার করে
মুফার টাকা বিদেশে পাঠিয়ে স্বদেশী পণ্য কিনে হও ধন্য ধরণের বিজ্ঞাপনে I "ভি” বাইকের বিজ্ঞাপনেও সেই একই স্টাইল I আমরা চেতনা চেতনা বলে মরে যাচ্ছি কিন্তু নিজেদের যে চেতনাগুলো দেশের উন্নতির জন্য দরকার সেগুলোর ধার ধরছি না I কবে যে এই অর্থনৈতিক আর শিল্পোন্নয়নের ব্যর্থতার জন্য গ্রিসের মতো দেশ দেউলিয়া হয়ে যায় সেই ভয়টাই লাগে I আব্দুলাহর মতো একটা সিগারেটের বিজ্ঞাপন মনে হয় ষাট দশকে হয়েছিল বলে শুনেছিলাম যেখানে পেলে মডেল ছিল I যেহেতু পেলে স্মোক করতো না তাই " আমি সিগারেট খাই না এমন কি "অমুক সিগারেটও না " এরকম একটা কথা ছিল বিজ্ঞাপনে I লেখা ভালো লেগেছে I

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আরে ! আপনি আছেন তাহলে। আপনার বাড়িতে একটা চিঠি দিয়ে এসেছিলাম, তারপর বেশ কয়েকদিন সেটার উত্তর পেতে হেটে হেটে গেছিও আপনার বাড়িতে। কোনো উত্তর নেই। আজ হঠাৎ আমার বাড়িতেই!!! স্বাগতম এবং আবারো সেই একই আমন্ত্রণ।

আর লেখায় আমিও এটাই বলতে চেয়েছি যে আমরা চেতনা চেতনা বলে মরে যাচ্ছি কিন্তু নিজেদের যে চেতনাগুলো দেশের উন্নতির জন্য দরকার সেগুলোর ধার ধরছি না I

আপনি বলার পর পেলের ওই বিজ্ঞাপনের কথাটাও এখন মনে পড়লো।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চেতনা এখন একটি ব্যাবসায়ীক পন্য।। যারা পছন্দ করবে তারা দেশপ্রেমিক আর যারা বিরোধী তা.......।।।
পুরো লেখাটিতেই প্লাস।।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: একজন সচেতন মানুষ লেখায় প্লাস দিলে আনন্দ আনন্দ লাগে।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: কাওসার চৌধুরী বলেছেন "একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ ঝরে গেল।"....

১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

গরল বলেছেন: চেতনা ছাড়াও ধর্মকেও কাজে লাগাচ্ছে যেমন ১০০% হালাল শাবান। হালাল মদও যে কবে বের হয় কে জানে।

১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৬

ব্লগার হাবীব বলেছেন: দেখে শুনে কেনাকাটা করুন
https://www.youtube.com/channel/UCyqeeJx1_llE7BX9hkyjwgQ

১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের ব্যবসায়ীর' রাজনীতিবিদ। আর রাজনীতির অবস্থা তো ভয়াবহ!

তাই তারা গুণগত মান ঠিক না রেখে টেম্পোরারি পণ্য উৎপাদন করে মালদার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। টেকসই পণ্য উৎপাদন সম্ভবত তারা রিস্কি মনে করেন।

১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.