নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ দেশের রাস্তায় বাসের রেষারেষিতে রাজিব হাত হারাচ্ছে, দিয়া-করিম প্রাণ হারাচ্ছে। কোটার খপ্পরে পড়ে তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ঢাকার রাস্তার বাসগুলোর মতই ঝরঝরে হয়ে যাচ্ছে আর আমরা আমজনতা, শেখ পরিবার ও জিয়া পরিবার এই দুই রেজিমের রেষারেষিতে পড়ে আম ছালা সবকিছুই হারাচ্ছি। বিপদেই আছি! কথায় আছে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে, উলুখাগড়ার বিপদ বাড়ে... স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর পর এসে আমরা সেই উলুখাগড়ারও অধম হয়ে গেছি বলে মনে হচ্ছে।
ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম- এক বৃদ্ধ মৃত্যুশয্যায় তাঁর সাত ছেলেকে ডেকে সবার হাতে একটা করে লাঠি ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ভাঙ্গো। ছেলেরা সব সুপুরুষ, সামর্থ্যবান। পটাপট লাঠিগুলো ভেঙে ফেললো। এরপর বৃদ্ধ সাতটা লাঠিকে একসাথে কষে বেঁধে ছেলেদের হাতে দিয়ে বললেন, এবার ভাঙ্গোতো দেখি বাছারা... ছেলেরা বহুত চেষ্টা করে হাটু টাটু ছিলে ফেললেও ওই লাঠির আঁটিকে ভাংতে পারলো না।
বৃদ্ধ বললেন, কি বুঝলে বাবারা? ছেলেরা সুন্দর করে বুঝে গেলো ঐক্যের সুফল আর বিভক্তির কুফল।
তো এই বৃদ্ধ আর তাঁর সাত ছেলে মূখ্যসূখ্য মানুষ ছিলো, লেখাপড়া জানতো না, তাই তারা খুব দ্রুত বুঝতে পেরেছিলো নিজেদের ভালোটা। কিন্তু আমরা তো সব অতি শিক্ষিত। একেকজনের ডিগ্রি আর পদকের কি বাহার! আমরা এ সব বুঝতে যাবো ক্যান?
আজ পর্যন্ত দেখলাম না কোনো একটা সিঙ্গেল সাবজেক্টে বিএনপি আর আওয়ামীলীগ এক হতে পেরেছে। আওয়ামীলীগ যদি বলে ডান, বিএনপি নির্ঘাৎ বলবে, বাম। বিএনপি যদি বলে রাত, আওয়ামীলীগ অতি অবশ্যই বলবে, দিন। কি, আপনি কি মনে করতে পারছেন একটা ইস্যুও, যেখানে এই দুই দল একমত হয়েছে? আমি কিন্তু একটা খুঁজে পেয়েছি। সেটা হইলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় ব্যক্তিগত দামী গাড়ি আমদানী।
এ ধরণের আরো কিছু ইস্যু নিশ্চয় আছে। কিন্তু যেই বিষয়গুলাতে এই দুই দল একমত হয়, সেইখানে বিলক্ষণ কোনা খারাপ কিছু থাকে। নিশ্চিত থাকেন যে সেইগুলা দিয়া এই দেশের ‘ইয়ে’ মারা ছাড়া কোনো উপকার হয় না।
আর এই দুই রেজিমের উত্তরাধিকার আমরাও মাশাল্লা, স্বাধীনতার পর থেকেই একদল আরেক দলকে সমানে পাঙ্গা দিয়ে যাচ্ছি। আরে ভাই, এরকম দ্বিধাবিভক্ত জাতিই যদি হবো, তাইলে স্বাধীন হয়ে কি ‘চ্যাটের বাল’টা ছিড়ছি আমরা? আর যাঁদের পিরিতে মুখর হয়ে এসব করছি, তাঁদের চৌদ্দগুষ্ঠির সবাই কিন্তু বহুত আগেই এই দেশের পাছায় লাত্থি দিয়ে বিদেশে দিব্বি সংসার পেতে বসেছে।
এর চেয়ে ভালো ছিলো যে স্বাধীনতার পর পরই পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে মহল্লায় মহল্লায় গণআদালত বসিয়ে আরো লাখ দুয়েককে কোরবানী দিয়ে দিতাম। তাহলে আমরা সবাই অন্তত একপক্ষীয় হতে পারতাম!
নিজেদের মুক্তি খুঁজতে একাত্তুরের প্রজন্ম বেছে নিয়েছিলো আওয়ামীলীগকে আর আশির প্রজন্ম বিএনপিকে। তারপর পদ্মা-মেঘনা-ধরলা-তিস্তায় বহু পানি গড়িয়ে গেছে। ‘ঘোড়ার ডাক’র যুগ থেকে দেশ এখন ফোরজিতে রুপান্তরিত। দুই ব্যান্ডের রেডিও ফেলে হাতে হাতে এখন এফএম। ম্যান! এটা ২০১৮। এই প্রজন্মকে এখন আর ‘চুদুরবুদুর’ বোঝানো যাচ্ছে না। ওদের কাছে দেশই আগে। দল নয়, কোনো ভন্ড ডাইন্যাস্টি নয়। এখন ওরা আর দুই ভাগে থাকতে চায় না। দুই পরিবারের মাইনক্যা চিপায় আটকে থাকতে চায় না। আটকে থেকেও যে কোনো লাভ নেই; এই প্রজন্ম সেটা বুঝতে পারছে কিন্তু পারছি না আমার মত বুইড়ারা। অগত্যা কি আর করা, নিজেই মোনাজাত ধরছি, হে আল্লাহ.... তো মা র কা ছে বি চা র দি লা ম...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: নতুন হলো এই, নতুন প্রজন্ম এখন এদের ****** ল মনে করে
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সব কিছুর বিচারই আল্লাহ করবেন।কিন্তু তা দেখার জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
দেশের মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছিল সেই স্বপ্ন অঙ্কুরেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
দেশ আর জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে এই দল দুটি কখনই এক হতে পারবে না মনে হয়।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা এক্সাক্টলি কি স্বপ্ন নিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছিলো, সেটাই তো এখন আর কেউ বলতে পারে না ঠিক মত; নিজের নিজের সুবিধামত বলে সবাই। আর এই কারণেই এই দুই পরিবারের ক্যাচালে পড়েছি আমরা।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আমরা সাধারণ জনগণ সো আমাদেরকে যাদের যেভাবে ইচ্ছে ব্যবহার করার অধিকার আছে!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেইটাই তো দেখছি। টিস্যু পেপারের মত হয়ে গেছি আমরা মনে হচ্ছে।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০১
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দলের আগে দেশ বড়। আমাদের লেখকরা এটা অনেক আগেই বুঝেছে।
জাশি, জাপা তো বোল্ড আউট। এখন আপা, ম্যাডামরা যদি এটা বুঝে তো ভালো, নয়তো তরুণ প্রজন্ম দেশের প্রয়োজনে নতুন দল তৈরী করবে।
@পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক,
সুস্থ রাজনীতি মুক্তি পাক।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি একটা দল গঠন করবো ভাবছি। নৈতিকতা, দেশপ্রেম আর মানবিকতা, এই হবে আমার দলের মূল শ্লোগান।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২১
রাকু হাসান বলেছেন:
ভাল একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন আপু । এ বিষয় টা নিয়ে আমাদের আলোচনা হওয়া দরকার বৃহৎ পরিসরে ,আমি মনে করি । দল দুটির কাজে আমরা জিম্মি । অতীত রের্কড বলে এরা কেউ আমাদের স্বপ্নের সবার বাংলাদেশের জন্য কাজ করতে পারি নি । অতীত এ ছাত্র রাজনীতির খেসারত হিসাবে বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো জিম্মি ছিল ,এখনও আছে । এ িদিক দিয়ে কি দল বা লীগ পিছিয়ে নেয় । এ থেকে মুক্তির পথ আমাদেরিই খুঁজে দিতে হবে । বিএনপি মানে আওয়ামী লীগের সব কিছু ভুল তারাই দু্ধে ধোয়া তুলসি পাতা । তেমনি আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও । রাজনীতির সংস্কৃতি আমাদের খুব বাজে । কোন দল ই গঠন মূলক রাজনীতির চর্চা করছে না । যা অনেক দরকার । যার ভোক্তভোগি আমরা আম জনতা ,কিন্তু কেন ? তাদের জন্য আমরা ভোক্তভুগি হব কেন !! আমাদের ভাবা উচিত । আওয়ামী লীগের কাজে বাংলাদেশ অনেক পেয়েছে । কিন্তু তারা আদর্শ থেকে অনেক পিছিয়ে ,বিএনপি ও কম করে নি ,আবার আসলে বরং আরও বেশি করবে রাজনীতির প্রতি হিংসা । তখন সেই আমরাই বলির পাঠা হব । এভাবে আর কত দিন !! আমাদের নতুন কেউ কে ভাবা দরকার সময়ে প্রয়োজনে ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪০
পদ্মপুকুর বলেছেন:
সর্বনাশ!!!
আমাকে 'আপু' বানায়ে ফেললেন ক্যান? আমি খাটি একজন পুরুষ মানুষ।
বাদ্দেন, এই বিষয়টা নিয়ে আসলেও বড় পরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার এবং এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসাও জরুরী। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে কিন্তু ইতোমধ্যেই পরিবারতন্ত্র মার খেয়ে গেছে।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: যারা ক্ষমতায় থাকে ওরা মনে করে এই দেশ টা শুধু ওদের।
তাই ওরা যা ইচ্ছা তাই করে। ওদের বিচার হওয়া দরকার।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪২
পদ্মপুকুর বলেছেন: একদিন সবারই বিচার হবে। এখন ইন্টারনেটে 'ইন্সট্যান্ট কর্মা' বলে কিছু ভিডিও ক্লিপিংস পাওয়া যায়, যেগুলোতে দেখা যায় যে একটা মিস ডিড এর তাৎক্ষণিক ফল পেয়ে যাচ্ছ্।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরনোর মধ্যে যারা দলত্যাগি তারাও যেন কেমন ম্যারম্যারে পুরানো ভাবনায় আচ্ছন্ন!
যদিবা কেউ কিছু করার চেস্টা করে অংকুরেই তা হত হয়! নি বা আ!!
আবার গ্রহণযোগ্যতার ব্যপারেও আবার সেই বিভেদ! ফলে ঘুরেফিরে একই বৃত্তে ঘুরপাক অবিরাম!
চলমান শক্তি চাইবেনা তাদের নতুন কোন শক্ত প্রতিপক্ষ! অংকুরেই নাশের সর্বাত্বক চেষ্টা চালাবে!
আশাবাদী নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব আবেগী! সোহেল তাজের মতো নেতৃত্ব পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশত্যাগী!
বাকী নতুনেরাও নতুন কেতন উড়াবার মতো সাহস, উদ্যোগ বা চেষ্টাবিহীন।
পূর্ন বিপ্লবী মন নিয়েই আগাতে হবে যদি কেউ চায় সত্যিকারের বদল।
আছে কি কেউ?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ম্যারমেরে হয়ে যায়, কারণ দুই ডাইন্যাস্টি থেকে বের হওয়ার পর দেখে যে এই দুই সম্রাজ্ঞী এমন জাল বিছিয়ে রেখেছে যে বের হয়ে এসে বিশেষ কোনো লাভ হলো না। বলা যায়, ওই প্রজন্ম যে ধ্যান ধারণা, যে মানসিক গঠন নিয়ে বড় হয়েছে, সেই মানস নিয়ে এর বাইরে বিশেষ কিছু করতেও পারবে না। দরকার ফ্রেশ ব্লাড।
যদিও চাঁদগাজী নিচে সোহেল তাজকে স্টুপিড বলেছেন, তবুও আমার মনে হয়, গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায়, এই নতুন প্রজন্মের কাছে গলা ফাটিয়ে মেঠো বক্তৃতাবাজদের চেয়ে সোহেল তাজ, আন্দালিব পার্থ, মাহি চৌধুরীদের মত মার্জিত ও যুক্তিবাদিদের মার্কস বেশি রয়েছে।
আপনি নিশ্চয় মনে করতে পারেন, সংসদে একদা অগ্নীকন্যার চোখ মুখ খিঁচিয়ে বলা বক্তব্য তরুণরা গ্রহণ করেনি। যে ইস্যুতে তিনি মাঠ গরমের চেষ্টা করেছিলেন, আরো দশ-পনেরো বছর আগে ওটা মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে গিলতো।
আর আবেগী বলছেন? ওটা বাঙালির অলংকার, অহংকার। কথা হবে না বস্ ।
সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওহ স্যরি, স্টুপিড না, চাঁদগাজী সোহেল তাজকে ইডিয়ট বলেছেন।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যদি বাংলাদেশ "পরিবারতন্ত্র " তে প্রবেশ করতো, তা'হলে "এক পরিবারতন্ত্র" হওয়ার কথা, ২য় পরিবার সেখানে কিভাবে ঢুকলো? ২য় পরিবার ঢুকেছে ১ম পরিবারের প্রধানকে হত্যা করে; হত্যাকারীকে যারা সমর্থন দিচ্ছে, তাদেরকে পরাজিত করার দরকার আছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পরিবারতন্ত্রই চলছে। গণতন্ত্রের উর্দি পরে দুই দলেই সালতানাতের মাখো মাখো অবস্থা!!!
আর দ্বিতীয় পরিবার কিভাবে ঢুকেছে, কোন পরিস্থিতিতে ঢুকেছে, আদৌও ঢুকেছে নাকি কেউ ঢুকিয়েছে সব কিছু বিবেচনার দাবি রাখে বৈকি!
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু ,
সোহেল তাজকে খুবই কাছের থেকে দেখেছি, সে সাধরণ ইডিয়ট
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার মনে হয় না আপনার এই পারসেপশন এই জাতির ভবিষ্যৎরা মানবে খুব একটা।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এদের বাইরে যারা থাকে তারাও নিজেদের ইগোর কারণে বড় দল বা জোট করতে পারে না। না হলে এই দুই দলের বাইরে তৃতীয় দলও কখনো ক্ষমতায় যেতে পারত...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩০
পদ্মপুকুর বলেছেন: 'আপনার দুই পরিবারমুক্ত দেশ' কনসেপ্ট এ উদ্বুদ্ধ হয়েই এই লেখা।
প্রজন্ম যেভাবে একের পর এক বিদ্রোহ করছে, আমার মনে হয় খুব বেশি দিন আর এই ডাইন্যাসিন্টজম চলবে না।
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: গোটা বিশ্ব বাংলাদেশকে জানে দুই বেগমের প্রতিহিংসার দেশ হিসেবে। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে জনগণ হাঁসফাঁস করছে।
এর বাইরে শয়তানের চেলা মোল্লারা ও জাতির চাচাও কম নয়। সবাই মিলে দেশটাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে দিনে দিনে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
পদ্মপুকুর বলেছেন:
বামেদের কথা বললেন না, ওরাও বিশেষ পদের কিছু না। দেখেন না এখন ক্ষমতার ভাগ পেয়ে চেহারাগুলোতে কেমন তেল চকচকে ভাব এসে গেছে। এ যাবতকালের যত আদর্শ সব ওলটকম্বল গাছের ডাটার আঠালো রসের সাথে গুলিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিয়েছে, বদহজম হচ্ছে না আর। বেশ ভালোই তো চলছে।
১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি একটা দল গঠন করবো ভাবছি। নৈতিকতা, দেশপ্রেম আর মানবিকতা, এই হবে আমার দলের মূল শ্লোগান।
বাহ! এইতো চাই!
এভাবেই বেরিয়ে আসবে নতুন আহবায়ক, উদ্যোক্ত! ব্যক্তিত্ব!
স্বাগতম। অভিনন্দন!
শুরু হোক তবে নতুন স্বপ্নের বাসা বোনা
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: গেল সপ্তাহে ক্যাম্পাসের এক ছোটোভাই, একটা টিভিতে আছে, খুব সিরিয়াসভাবেই বললো, ভাই আসেন একটা উদ্যোগ নিই। এভাবে থাকলে বিবেকের কাছে কি জবাব দেবেন?
কিন্তু ভাই, নিরাপদ বাসায় বা অফিসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কি বোর্ডে যত বিপ্লব করা যায়, বাস্তবে রাজপথে আজকাল প্রচুর রোদ। গরমে পুরো ঘামাচি উঠে যায়। বিশেষ করে বিয়ে করে ফেললে তো আর কোনো কথায় নেই। আজ থেকে আট বছর আগে পূর্বের চাকুরিটা ছেড়ে দিয়েছিলাম মতের সাথে মিলছিলো না তাই। এখন তো সেই সাহসটাও উবে গেছে। অগত্যা তাই ভাবনাগুলো ভাবনাই থেকে যায়, দানা বাঁধতে পারে না।
তবে, আশা করতে দোষ কি! আশা করতে পারাটাও হয়তো কিছুটা অগ্রগতি। তবে আজকের এই শিশু কিশোরদের দেখে বেশ আশাবাদী লাগছে নিজেকে। কি জানি, কিছু একটা করে ফেলতেও পারি।
আপনাকে সেই দলে অবশ্যই চাই। আগেই বলে রাখি, ওখানে কোনো সভাপতি সেক্রেটারি থাকবে না, ভিয়েনা সার্কেলের মত একটা পর্ষদ থাকবে।
ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: বামেদের কথা বললেন না, ওরাও বিশেষ পদের কিছু না। দেখেন না এখন ক্ষমতার ভাগ পেয়ে চেহারাগুলোতে কেমন তেল চকচকে ভাব এসে গেছে। -- এই চিজগুলোর কথা মুখে আনাও এখন লজ্জার বিষয়।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন:
আমরা আছি বিপদে। বহু আগে নজরুল লিখেছিলেন-
ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, কার আছে হিম্মত।
কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত,
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।
১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৩
তাওহিদ হিমু বলেছেন: হাহা,,, সুন্দর বলেছেন!
আসলে ইদানীংকালে মনে হয়, ওয়ান-ইলেভেনে সত্যি সত্যি মাইনাস টু হয়ে গেলে ভাল হতো।
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
অক্পটে বলেছেন: বিগত ১০ বছর ধরেতো বিএনপি নিয়ে কোন টেনশানে ছিলনা আ.লীগ। আর এখনতো বিএনপি নাই দলে পরিনত হয়েছে। তাই বিএনপিকে আবার টেনে আনছেন কেন। বর্তমানে বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে আ.লীগ নিজেই। সকল নেতারাই কোথাও নূন্যতম ৫ মিঃ বক্তৃতা করতে দিলেই ৪ মিঃ ৪০ সে. শুধু বিএনপি্ই ধোয়। এখন দুই পরিবার নেই এখন একরাজ। এক তন্ত্র।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: এইটা কোনো বিষয় না। আগামী ১০ বছর বিএনপি ক্ষমতায় থাকুক, তখন আওয়ামীলীগও নাই দলে পরিণত হবে। এটাই এই দেশের সংস্কৃতি। তারপর আবার আওয়ামীলীগ আসলে আবার একই নামতা শুরু হবে। এই ধারা থেকে বের হওয়াটা প্রয়োজন।
১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেশের জনগন এই দুই পরিবারকেই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে। অন্যেরা ভোটে দাঁড়ালে তাদের জামানত খোয়া যায়। এখন বলুন, কাদের জন্য জনগন মাইনকা চিপায় পড়েছে? সিগারেট খেয়ে ক্যান্সার বাধালে সিগারেট কোম্পানিকে দোষ দিয়ে কী লাভ?
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। এখন সিগারেটের প্যাকেটে যেমন লেখা থাকে, 'সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর'। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও এ দেশীয় রাজনীতির গায়ে ও রকম কিছু একটা লিখে দিতে চাচ্ছে...
১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯
পল্লব কুমার বলেছেন: চিপাতে তো পইড়াই আছি। বাহির হবার কোনো আশা দেখি না। এই নিয়ে ইদানীং আর ভাবতে চাই না। ভাবলে নিজেরে খুব অসহায় লাগে। করার তো কিছু পাই না। হতাশ হইয়া যাই।
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রখর রোদ্রের সময় যদি কখনও কোনো অন্ধকার টিনের ঘরের ভেতর যাওয়ার সুযোগ পান, দেখবেন যে টিনের ছিদ্র দিয়ে একটা প্রবল আলোকরশ্মি আসছে। আর ওই আলোকধারায় বাতাসে উড়াউড়ি করা ধুলিকণা টিন থেকে মেঝে অব্দি একটা আলোর রাস্তা তৈরী করেছে....
যদিও আপনি আমি সবই এখন চিপার মধ্যেই আছি, তবুও ওইরকম একটা আলোকধারা দেখার সম্ভবনা তৈরী হচ্ছে বলে ভাবতে ভালো লাগছে।
আপনাকে কখনো ব্লগে দেখিনি মনে হয়। নতুন হলে স্বাগতম।
১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
পল্লব কুমার বলেছেন: খুব সুন্দর একটা উদাহরণ দিয়েছন।
জ্বি, ব্লগে আমি প্রায় নতুন। মাঝে মাঝে আসা হয়। আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি একটা দল গঠন করবো ভাবছি। নৈতিকতা, দেশপ্রেম আর মানবিকতা, এই হবে আমার দলের মূল শ্লোগান (৪ নং প্রতিমন্তব্য) - আমরা পরশ্রীকাতর, প্রতিহিংসাপরায়ন জাতি। কারো মতের সাথে নিজের মত না মিললে তাকে ছলে, বলে বা কৌশলে শেষ করে দিতে চাই। এমতাবস্থায়, আপনার এ ভাবনাটিকে একটি বিপজ্জনক ভাবনা বলে মনে হচ্ছে। এটা সম্ভব ছিল বাহাত্তরে। সে সুযোগ আমরা হারিয়েছি।
মুক্তিযোদ্ধারা এক্সাক্টলি কি স্বপ্ন নিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছিলো, সেটাই তো এখন আর কেউ বলতে পারে না ঠিক মত; নিজের নিজের সুবিধামত বলে সবাই - মুক্তিযোদ্ধারা যখন এ দেশটাকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করছিল, তখন তাদের একটাই স্বপ্ন ছিল- পাকিস্তান দখলদার বাহিনীসমূহকে পরাজিত করে দেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। একটা বৈষম্য বিহীন স্বাধীন স্বদেশ গঠন, যেখানে দেশের নাগরিকগণ সুশাসন আর সুবিচার পাবেন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার মন্তব্যর জন্য। এ মাসটায় একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে। ব্লগে আসতে পারিনা।
আমি মাঝেমধ্যেই ভাবি আমরা কেন এবং কিভাবে এমন হিংসুক জাতি হয়ে গেলাম? এই একযুগ আগেও সমাজে একটা সম্প্রীতি ছিলো, এখন কেউ আর নিজের চেয়ে অন্যকে বড় ভাবতে রাজি নয়। অন্যকে একটু ছাড় দিতে রাজি নয়।
আপনি হয়তো স্নেহবশত আমার ভাবনাটাকে বিপজ্জনক মনে করছেন। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে। ক্ষুদিরাম, তিতুমীরতো কাউকে হতেই হবে।
মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য যেটা আপনি বলেছেন, সেটাতো জানিই। কিন্তু বলতে চাইছিলাম যে এই দুই পরিবারের অনুসারীরা এখন আর মুক্তিযুদ্ধের এই লক্ষ্যকে একপাশে সরিয়ে রেখে যেটুকুতে নিজের সুবিধা, অতটুকুই প্রচার করে।
ভালো থাকবেন।
২০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
শুপ্ত বলেছেন: পরিবার তন্ত্রের শাসন থেকে যে কবে রেহাই পারো তা আল্লাহই ভালো জানেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
বিজন রয় বলেছেন: এ আর নতুন কি?