নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটার নাকের নিচে সদ্যই গোফের রেখা দৃশ্যমান হয়েছে হয়তো, কিন্তু হাত তাঁর দৃঢ় এবং মুষ্টিবদ্ধ। মেয়েটাও এখনও হয়তো ধরতে শেখেনি শারীরিক পার্থক্যগুলো, তবু কন্ঠে তাঁর বঙ্গবন্ধুর গভীরতা।
আমরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রই! চোখ কঁচলে দ্বিতীয়বার তাকাই। আরে! এ আমরা কাদেরকে দেখছি? এ কি সেই প্রজন্ম, যাদেরকে আমরা ফেসবুকে আসক্ত অসৃষ্টিশীল প্রজন্ম বলে বাতিল করে দিয়েছিলাম? যাদের রক্তে নেই বাঙালির চিরায়ত বিদ্রোহ? এ কি সেই ছেলেমেয়েরা, চরম স্বার্থপর ও দেশের চিন্তায় উদাসীন বলে আমরা যাদের পিঠে সিল মেরে দিয়েছিলাম? অথচ আজ তাঁরাই দেখিয়ে দিল কিভাবে বৃত্ত ভাংতে হয়।
এ দেশে ধরে নেওয়া হতো যে কিছু বিষয়ে কখনোই কথা বলা যাবে না।
ধরে নেওয়া হতো যে মন্ত্রী-আমলারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে। যখন যে দিকে ইচ্ছে যেতে পারবে;
উল্টো-সিধা, ডানে বাঁয়ে... ইচ্ছে মতো।
এ দেশের বিচারপতিরা চলতে পারেন ফিটনেসবিহীন বাহনে, বিনা দ্বিধায়; আর
আইন প্রয়োগকারীরা করতে পারে যত বেআইনি কাজ, প্রকাশ্যে বা গোপনে;
কিন্তু আজ?
বিচারপতি, তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।।
আজ কোন সরকার নেই, বেসরকার নেই,
আওয়ামীলীগ নেই, বিএনপি নেই। ছেলে-বুড়ো নেই।
বেকার-সকার, শহর-গাঁও, সবই লীন এখানে। এই রুখে দাড়ানো বাংলাদেশে।
সাতচল্লিশ বছর ধরে আমি পারিনি, আমরা পারিনি। এরা পেরেছে। এই জাগরণের কাছে আমরা তাই আজ পরাজিত। কিন্তু এই পরাজয়ে গ্লানী নেই, আছে গর্ব। হার নেই, রয়েছে শুধুই হাসি। কষ্ট নেই, আছে মুক্তির আনন্দ । এরকমভাবে আমরা পরাজিত হতে চাই প্রতিদিন; প্রতিবার।
আজ মনটা খুব আদ্র। একজন মা খিচুড়ি রান্না করে এনে সব বাচ্চাদের ভীষণ মমতায় নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছিলেন, দেখে চোখটা ভিজে আসছিলো। টুপি খোলা কুর্ণিশ তাঁকে। যে মা পাথুরে মুখ করে ক্যামেরার সামনে বলছিলেন ‘কেন পাঠাবো না ছেলেকে?’ তাঁকেও অভিনন্দন। যে মেয়েটা নির্ভিক মুখে চিৎকার করে বলেছে- ‘লাইসেন্স দেখান’, তাঁকে আমার শ্রদ্ধা।
হয়তো স্ট্যাবলিশমেন্টের চাপাকলে পড়ে এই কিশোররা ঘরে ফিরে যাবে। কিন্তু তাঁরা যে আগুন ছড়িয়ে দিলো সবখানে, যে সাহস জাগিয়ে দিলো প্রাণে প্রাণে, তার রেশ থেকেই যাবে বহুদিন বহুদিন। এই সাহস থেকেই এ দেশের কৈশোর ঘুণে ধরা সমাজকে অনবরত প্রশ্ন করেই যাবে।
হয়তো দেখা যাবে, রাস্তার পাশে রাজনৈতিক মহাসমাবেশে কোনো বকাবাজ লম্পট নেতার বক্তব্যর বিরোধিতায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে উঠে দাঁড়াবে কোনো ক্ষুদে হাত;
হয়তো ঘুষখোর কোন আমলা বা পুলিশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্রকে রুদ্ধ করে দেবে একটি কিশোরী;
হয়তো নতজানু কোন সাংবাদিকের মিথ্যা তথ্যের বিপরীতে তার মুখোশ সহসায় উম্মোচিত করবে চৌদ্দ বছরের কোন সরল মুখ...
এই আগুনটাই হয়তো বৃত্ত ভাঙার শুরু করলো। যে আগুন গড়বে নতুন বাংলাদেশ।
ছবিসূত্র: প্রথম আলো অনলাইন
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: বিজন দা, শাসকযন্ত্রের কথা যদি বলেন, আমি বলবো- অন্যায়ভাবেন এই আন্দোলন প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে গেলো। ভেবে দেখুন, এই বাচ্চারা, যাদের অধিকাংশেরই শিক্ষাজীবন ১০ বছর পার হয়নি। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ শাসক হিসেবে আছে প্রায় দশ বছর হতে চললো। এখন এই শিশু কিশোরদের কাছে আজকের এই মুক্ত যোগাযোগমাধ্যমের যুগে, আপনি যতই জামায়াত বিএনপির দুঃশাসন দুঃশাসন বলে চিৎকার করেন না কেনো, তারা দেখছে এই সরকারের দ্বিমুখীতা, স্বৈরাচারিতা আর ন্যায্য দাবিতে সমর্থনের বদলে অন্যায় অত্যাচার।
আপনার কি মনে হয়, শিশু মানসের এই প্রভাব আওয়ামীলীগের জন্য ভালো হবে? আমার তো মনে হয় না।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: অথচ এই প্রজন্মকেই আমরা ভেবেছিলাম দেশপ্রেমে বিমুখ আর অসৃষ্টিশীল!!!
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আসেন সৈয়দ হকের একটা কবিতা পড়ি, এই ছবিটা দেখে প্রথমেই আমার ওই কবিতাটা মনে এসেছে-
নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা ঐ নীলে অগণিত আর
নিচে গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় আছে ঊনসত্তর হাজার।
ধবলদুধের মতো জ্যোৎস্না তার ঢালিতেছে চাঁদ-পূর্ণিমার।
নষ্ট খেত, নষ্ট মাঠ, নদী নষ্ট, বীজ নষ্ট, বড় নষ্ট যখন সংসার
তখন হঠাৎ কেন দেখা দেয় নিলক্ষার নীলে তীব্র শিস
দিয়ে এত বড় চাঁদ?
অতি অকস্মাৎ
স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি? কোন শব্দ? কিসের প্রপাত?
গোল হয়ে আসুন সকলে,
ঘন হয়ে আসুন সকলে,
আমার মিনতি আজ স্থির হয়ে বসুন সকলে।
অতীত হঠাৎ হাতে হানা দেয় মরা আঙিনায়।
নূরলদীনের বাড়ি রংপুরে যে ছিল,
রংপুরে নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল
১১৮৯ সনে।
আবার বাংলার বুঝি পড়ে যায় মনে,
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় দালালেরই আলখাল্লায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার স্বপ্ন লুট হয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমারই দেশে এ আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায়
ইতিহাসে, প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
আসুন, আসুন তবে, আজ এই প্রশস্ত প্রান্তরে;
যখন স্মৃতির দুধ জ্যোৎস্নার সাথে ঝরে পড়ে,
তখন কে থাকে ঘুমে? কে থাকে ভেতরে?
কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে?
সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে ব্রহ্মপুত্রে মেশে।
নূরলদীনের কথা যেন সারা দেশে
পাহাড়ী ঢলের মতো নেমে এসে সমস্ত ভাসায়,
অভাগা মানুষ যেন জেগে ওঠে আবার এ আশায়
যে, আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায়,
আবার নূরলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায়
দিবে ডাক, “জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?”
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
পদ্মপুকুর বলেছেন: শীর্ষসন্ত্রাসী যোসেফ ধরা পড়েছে!!!
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: জিগাতলার খবর কেনো প্রচার করতে দেয়নি
কেনো থ্রি জি ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হলো ""
আসল সত্যতা লুকানোর কারন জানা গেলো!!!!!!!!!
সুত্র: Click This Link
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
রক বেনন বলেছেন: একদিন এরাই ১৮ পার করবে। প্রাপ্তবয়স্ক হবে, ভোটার ও হবে। হয়ত সেদিন তারা পুরো সিস্টেমকেও শুভ পরিবর্তন করবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিও সেটাই মনে করি। এরা একটা বৃত্ত ভেঙেছে। এই বৃত্তটা ভাঙা দরকার ছিলো।
এখন হয়তো যে কেউ যেকোনো যায়গায় অন্যায় করতে গিয়ে একবার হলেও ভাববে যে কে আবার প্রতিবাদ করে বসে!
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওরা দেখিয়ে দিয়েছে
জাগো বাংলাদেশ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
পদ্মপুকুর বলেছেন:
আমরা শুধু মুখেই বলি- ইয়েস, উই ক্যান
আর ওরা করে দেখিয়েছে।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আবারো রক্তাক্ত বাংলা এতা অল্প বয়সে ওরা রক্ত দিয়েছে, দেশের জন্য রক্ত দিতে শিখেছে ।বিস্ময়কর । ওরাই একদিন পারবে দেশকে আলোকিত করতে ।রাহুমুক্ত করতে । আপাতত যা করেছে ইতিহাস হয়ে থাকলো ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: সবচে অবাক বিষয় যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই প্রজন্মকে নিয়ে একটা নেতিবাচক ধারণা বড়দের মধ্যে রয়েছে। অথচ খেয়াল করলে দেখবেন, ওরাই কিন্তু বেশ কয়েকটি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে, ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, আর এই বাচ্চারা তো লাজওয়াব!
এরা অবশ্যই দেশকে নতুন সূর্য এনে দিতে পারবে।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ক্স বলেছেন: এই চেংকু প্যাকের বিরুদ্ধে সরকার এখনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যেটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন, সে সেটাকে সত্য বলে প্রমাণের অপচেষ্টা করছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: সে মনে হয় বিচ্ছুবাহিনীর সদস্য
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সবার আগে দরকার একজন ভালোমানুষ হওয়া। একজন ভালমানুষ কখনো কারো গায়ে হাত তুলতে পারে না।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন: জ্বী, ঠিকই বলেছেন। তবে অনেক সময় পিঠে দু' ঘা পড়লেই চোর ছ্যাচ্ছড়ও বাপ বাপ বলে সোজা হয়ে যায়। দেশে যখন ভালো মানুষের অভাব, বিশেষ করে যাদের ভালো হওয়ার উপর দেশের সবকিছুর ভালো হওয়া নির্ভর করে, তখন তাঁদেরকে দু' ঘা বসিয়ে সোজা করাটা দরকার হয়ে পড়ে।
১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এই কিশোর-কিশোরীরা এখনো শিখছে; এরা জাতির "রো ম্যাটেরিয়াল"। ওদের প্রতিবাদের ভাষায়, আচরণে এখনো পরিপক্বতা আসেনি এজন্য এরা জানে না কঠিন সত্য কথাটি বলতে হয় বড়দের মত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে, সুন্দর ভাষায়। এজন্য বড়রা ভদ্র পোষাক পরে মনে মনে যে খারাপ গালিগুলো দেয় তাই তারা অনভিজ্ঞতার কারণে প্লেকার্ডে লেখছে।
তাদের এমন নোংরামি প্লেকার্ড প্রদর্শনী বড়দের জন্য লজ্জা ও ঘৃণার হতে পারে; তবে তাদেরকে রাস্তায় নামানোর দায়ভার বড়দের, এটি অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই। এরা ডিজিটাল জামানার কিশোর-কিশোরী।
এর দায়ভার ১৯৭১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত যারা এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন বা আছেন। যারা দেশের গণ পরিবহন ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলাবিধির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ আন্দোলন কোন দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি দেশের ঘুমিয়ে পড়া আইন ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে; এদেশে একজন পরিবহন চাঁদাবাজ, পরিবহন মাফিয়াও মিনিস্টার হয়!!
দেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিআরটিসি, বিআরটিএ হলো সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ ডিপার্টমেন্ট। এজন্য লাইসেন্স ছাড়া চালক হয়, ফিটনেস ছাড়া বাস হয়, টাকা দিলেই লাইসেন্স মেলে। ভিআইপি ও সরকারে উচ্চ পর্যায়ের লোকদের লাইসেন্স লাগে না। এরা উল্টো পথে গাড়ি চালাতে পারে।
আমাদের দেশে আইনের কোন অভাব নেই; হাতির আকৃতির পরিবহণ আইনও আছে; তবে এগুলো কাগজ সর্বস্ব। এ আইন শুধু নিরীহ পাবলিককে ঘায়েল করতে ব্যবহার করা হয়, তবে যাদের ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা, টাকার কুমির আইন তাদের বেলায় ভোঁতা।
আর এসবের ফলাফল হলো কিশোর-কিশোরীদের এ আন্দোলন। এদের অশ্লীল গালি ও প্লেকার্ড লেখার দায়ভারও বড়দের। বড়রা নিজেদের দায়িত্বটি ঠিকমত পালন করলে এদেরকে রাস্তায় নামতে হতো না; এ আন্দোলন দেশকে সঠিক পথে আনার একটি শুরু মাত্র।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: পদ্ম পুকুর বলেছেন: এই ভাষাগুলো নিয়ে খুব কথা হচ্ছে। কিন্তু আমি আপনার কথার সাথে পুরো একমত। ওদের প্রতিবাদের ভাষায়, আচরণে এখনো পরিপক্বতা আসেনি এজন্য এরা জানে না কঠিন সত্য কথাটি বলতে হয় বড়দের মত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে, সুন্দর ভাষায়। এজন্য বড়রা ভদ্র পোষাক পরে মনে মনে যে খারাপ গালিগুলো দেয় তাই তারা অনভিজ্ঞতার কারণে প্লেকার্ডে লেখছে।
তদুপরি, কিছুদিন আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক ভিডিও অনলাইনে এসেছে, যেখানে একজন পুলিশ সদস্য এক নারী শিক্ষার্থীকে বলছে- 'পড়াশুনা মারাও, পড়াশুনা একেবারে ভইরা দিব'। তারপর এই আন্দোলনের সময়েই সালমান মুক্তাদিরকে পুলিশ বলছে 'ইউটিউব *ুদাও' এরম একটা ভিডিও দেখলাম। এছাড়া আমাদের পুলিশ যে এ ধরণের ভাষা ব্যবহার করে, সে ব্যাপারেতো কোন সন্দেহ নাই। আমার ধারণা এ সবের পতিক্রিয়াতেই শিক্ষার্থীরা এই সব লিখে এনেছে, যেহেতু প্রথমদিনে প্রতিবাদ জানাতে আসার পর পুলিশ যখন অহেতুক, অন্যায্যভাবে এবং অন্যায়ভাবে বাচ্চাদেরকে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে।
তবে এই আন্দোলনের একটা সামাজিক দীর্ঘমেয়াদি এবং ইতিবাচক প্রভাব থাকবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এরা আরো আগুন জ্বালাবে, এদের লেজের আগুনে বাংলা পুড়বে একদিন
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না, প্রধানমন্ত্রীর কোটা-বক্তব্যর মত রাগ করে বললেন কি না
১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: তবে শুরু থেকেই তাদের এই চমৎকার আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য একটা চক্র খুবই সক্রিয় ছিল।
সেটা তাদের বিভিন্ন পোস্টার এ আক্রমনাত্মক ও আপত্তিকর ভাষা দেখেই বুঝা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উস্কে দিতেই এমন প্রচেষ্টা। সবখানেই নোংরা রাজনীতি। তবে বাচ্চাদের এত কিছু বুঝার বয়স হয়নি। তাইতো এত চমৎকার আন্দোলন শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা গেল।
যাহোক এতে অর্জনও কম নয়.........
১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই আগুনটাই হয়তো বৃত্ত ভাঙার শুরু করলো। যে আগুন গড়বে নতুন বাংলাদেশ।
আশা করি কখনো কোনোদিন এই চাওয়াটা পূর্ণ হবে I দেশে সত্যিকারের সুশাসন আসবে I
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৫
বিজন রয় বলেছেন: আশা দেখতে পাচ্ছি কিন্ত শাসকযন্ত্র বড়ই বেহিসাবী।