নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসের কাজে নওগাঁ যাচ্ছি। শরতের এক উজ্জল রোদের দুপুরে আমাদের গাড়ি উত্তরবঙ্গের প্রশস্ত রাস্তা ধরে শাঁ শাঁ করে ছুটে চলেছে। গাড়িতে আমাদের বিভাগীয় কর্মকর্তা ছাড়াও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী রয়েছেন। আমি বাদে সবাই মোটামুটি ফেসবুকে ব্যস্ত। এখনকার দিনে এটাই দুরস্ত। কাছের জনের খোঁজ না নিয়ে দূরের জনের খোঁজ নাও।
হঠাৎ একজনের ফেসবুক টাইমলাইনে একটা আপডেট আসলো। উনি উচ্চস্বরে পড়তে শুরু করলেন- A good boss in a bad institution is better than a bad boss in a good institution!!!
কথাটা আপেক্ষিকভাবে সত্য। কিন্তু তারচেয়েও বড় সত্য হলো- A leader is better than all kinds of bosses. কিন্তু দুঃখজনক হলো, আমাদের দেশের প্রশাসনিক, ব্যবসায়িক বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সবাই কেবলই ‘বস’ হতে চায়, লিডার নয়। এর মধ্যে যদি কেউ লিডার হতে চায়ও, কর্মপরিবেশের চক্রে পড়ে একদা সেও সেই বসই হয়ে পড়ে। এই বসিং যে শুধুমাত্র মালিকপক্ষের বিষয় তা নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রিক্রুটরাও এক পর্যায়ে বস হয়ে বসে আর এই বসিংয়ের ফাঁদে পড়ে অধস্তন কর্মীরা চরমভাবে নিরুৎসাহিত হতে থাকে।
একজন বস ও লিডারের মধ্যকার পার্থক্য ইন্টানেটে পাওয়া এই ছবি সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করে
আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ হচ্ছি। তো মধ্যম আয়ের দেশতো শুধু কাগজে কলমে হলে হবে না, বাস্তবে তার প্রয়োগ থাকতে হবে, চিন্তা ভাবনা, ব্যবহার, পরিবেশেও সে পরিবর্তন শুরু করতে হবে। এই শুরুটা হতে হবে যাঁরা এই মধ্যম আয়ের প্রবক্তা, তাঁদের মাধ্যমেই। ওই মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের দরিদ্র কৃষক রজব আলীর কাছে মধ্যম আয়ের কোন তাৎপর্য নেই।
কিন্তু যাঁদের কাছে এর তাৎপর্য ব্যাপক, তাঁদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিন্তাভাবনা, কর্মপরিবেশ খুবই অরুচিকর, নিম্নমানের। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে এই মুহুর্তে বিশ্বের সেরা এমপ্লয়ার হলো গুগল। সেখানকার কর্মপরিবেশ অসাধারণ। কর্মীরা যেনো কোনভাবেই বোরড ফিল না করেন, তার জন্য রয়েছে নানা আয়োজন। তো সদ্যই মধ্যম আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়ামক অর্জন করা একটা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এক সুন্দর সকালে গুগল এর সমপর্যায়ের হয়ে যাবে, তা চিন্তা করাটা অবান্তর কিন্তু নিদেন পক্ষে আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে তুলনার অবকাশ থেকে যায়।
এখানে যেমন ভারতের টাটা স্টিলেরউদাহরণ দেয়া যেতে পারে। টাটা স্টিল ১৯ শতকের শুরুতে নিজস্ব প্লান্ট নির্মাণ ও কর্মীদের আবাসনের জন্য যাবতীয় নাগরিক সুবিধাসহ একটা সিটি প্রতিষ্ঠা করে, যেটা জামসেদনগর/টাটানগর বা স্টিল সিটি নামে পরিচিত। এই টাটানগর সম্পূর্ণভাবে টাটা স্টিলের নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। ভারত সরকার ১৯৮০ এবং ২০০৫ সালে এই সিটিতে টাটার প্রশাসনের অবসান ঘটিয়ে মিউনিসিপালিটির অধীনে আনার প্রচেষ্টা চালায় এবং দুইবারই টাটা স্টিলের কর্মীদের তুমুল প্রতিবাদের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি ছিল মিউনিসিপালিটির অধীনে গেলে তাদের বর্তমান সুবিধাদি কমে যাবে।
একটা প্রোগ্রামে শিল্পপতি সুফী মিজানুর রহমান এর বক্তব্য শুনেছিলাম, তিনি জাপানে তাঁর টয়োটা প্লান্ট ভিজিটের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বললেন- কারখানার যতজন কর্মীর সাথে তিনি কথা বলেছেন, সবাই নিজের নাম ‘টয়োটা’ বলে উল্লেখ করেছে।
টাটা এবং টয়োটার এই দু’টি ঘটনায় বোঝা যায় যে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতি কি পরিমাণ আন্তরিক এবং বিশ্বস্ত। এর কারণটাও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। নিশ্চিতভাবেই প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব কর্মীদের জন্যে এমন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করেছে যে তাঁরা প্রতিষ্ঠানকে কখনই নিজের থেকে আলাদা ভাবতে পারেনি।
প্রায় দু’শ বছরের ব্রিটিশ দাসত্ব আমাদের মনোজগতে যে স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব রেখে গেছে, তা অভ্যন্তরীণ মতামতকে উপেক্ষা করার প্রবণতা উস্কে দেয়। অথচ সাংবাদিকতায় একটা অতি পুরোনো আপ্তবাক্য হচ্ছে 'Vox Populi, Vox Dei.' ল্যাটিন এই প্রবাদের অর্থ দাড়ায় 'The Voice of the people is the voice of God.
আজকের আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি যে গণতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত, সে গণতন্ত্রও দাড়িয়ে আছে মূলত এই ল্যাটিন প্রবাদের উপরেই। ১৮৬৩ তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বিখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষণে যে গণতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করেছিলেন 'Government of the people, by the people, for the people' বলে। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন তাঁর এই বক্তব্যে জনগণ বলতে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ জনগণকেই বুঝিয়েছিলেন।
মোটাদাগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একেকটি প্রতিষ্ঠানও রাষ্ট্রের মতই। রাষ্ট্রকে কল্যাণকামী-আধুনিক হতে গেলে যেমন নিজের জনগণকে কমফোর্ট জোন দিতে হবে, ঠিক তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কর্মীদের জন্য একই ধরণের কমফোর্ট জোন দিতে পারে, তবেই প্রতিষ্ঠানগুলো কল্যাণমুখী হবে, মধ্যম আয়ের দেশের সুফল সবার কাছে তখনই পৌঁছুতে পারবে।
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টগুলোতে আপনাকে প্রায় নিয়মিতভাবেই দেখি। পুরোনো একজন কমরেডকে দেখতে ভালোই লাগে।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর যেসব ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন দেশও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া ঋণে সুদের হার অনেক বেড়ে যাবে। গ্রেসপিরিয়ড কমে আসবে অথবা থাকবে না। আবার ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার সময়ও কম ধরা হবে। এতে বৈদেশিক ঋণ সংক্রান্ত ব্যয় বেড়ে যাবে, রফতানি বাজার কিছুটা সংকুচিত হয়ে যাবে। বিশেষ করে নতুন পণ্য নিয়ে ঝুঁকিতে পরতে হতে পারে। পুরানো পণ্যও রফতানি বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাবে। সব ধরনের শুল্ক সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রফতানি বাজারে নতুন নতুন শর্ত যুক্ত হতে পারে। এনজিও গুলোর জন্য বিদেশি ফান্ড কমে যাবে, ফান্ড আসা বন্ধও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
যেকোনো দেশের সচেতন নাগরিকরা উন্মুখ থাকে কখন নিজের দেশের নাম সম্মান জনক দেশের তালিকায় দেখতে পাবেন। যখন কোনো দেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয় তখন জনগণের এপ্রত্যাশা আরও বাড়ে। যখন দেশটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয় তখন জনগণ ধরেই নেয়, উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হতে আর বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার কাজটি যত কঠিন; উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ-আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার কাজটি তার চেয়ে আরও বেশি কঠিন।কারণ, কেবল মাথাপিছু আয় দ্রুত বাড়লেই কোনো দেশ উচ্চ-মধ্যম বা উচ্চ আয়ের দেশের স্বীকৃতি পায়না।উচ্চ আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য সূচকে যথাযথ ও স্থায়িত্বশীল অগ্রগতি আসল কথা। মনে রাখা দরকার বিশ্বে এখন উচ্চ আয়ের দেশ ৮০টি হলেও রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও উচ্চ আয়ের দেশের স্বীকৃতি পায়নি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও এভাবে মধ্যম আয়ের দেশের স্তরে আটকে থাকাকে বলা হয় মধ্যম আয়ের ফাঁদ। বাংলাদেশ যেন আগামীতে এমন ফাঁদে আটকে না থাকে, তার জন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। মালদ্বীপ এখন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ।কিন্তু দেশটির অর্থনীতি কতটা ঝুঁকির মুখে তা বহুল আলোচিত। আমাদের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সূচকে অগ্রগতির পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে সবকিছুর আগে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, জন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সুশাসন, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং উন্নয়ন প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলা। তা না হলে মধ্যম থেকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দিকে এগুনোর যে স্বপ্নময় লক্ষ্য মাত্রা তা অধরাই থেকে যেতে পারে!
আপনার পোস্টটি সময়ের প্রেক্ষাপটে খুব গুরুত্বপূর্ণ; লেখায় ভাল লাগা রইলো।
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: কাওসার ভাই,
এত লম্বা মন্তব্য করেছেন যে এখন একটু লজ্জাই পাচ্ছি। এই বিষয়ে আরো পড়াশুনা করে লেখা দরকার ছিল বলে মনে হচ্ছে। আমি নিতান্তই ভাসা ভাসা জ্ঞানে একটা বিষয়ে লিখেছি। কিন্তু আপনি একেবারে থিয়োরিটিক্যাল আলোচনা করেছেন।
আসলে যখন কোন প্যারাডাইম শিফট হয়, তখন সামানুপাতিক হারে বিভিন্ন আসপেক্টে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন কাম্য হয়ে পড়ে। আমি সামান্য একটা বলেছি। আর আপনি অল্প কথায় বেশি বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
২০০ বছরের কলোনিয়েল শাসনের সময় কি ধরণের নেতিবাচক প্রভাব রেখে গেছেন ব্রিটিশ?
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫২
পদ্মপুকুর বলেছেন: একটা তো আমি এখানে বলেছিই। আমরা নিজেদেরকে লিডার নয়, বস ভাবতে পছন্দ করি। অন্যের মতামতকে উপেক্ষা করি। আরো অসংখ্য নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে এটা অন্যতম।
এ ছাড়া আমরা সব কিছুতেই হীনমন্যতায় ভূগি, সেটাও একটা নেতিবাচক প্রভাব।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নগন্যভাবে ২/১ টা প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য ভালো সুবিধা দিচ্ছে। কিছুদিন আগেই পত্রিকাতে পড়লাম একটা কোম্পানীর সবার খাওয়ার ব্যবস্থা হয় ঐ প্রতিষ্ঠানেই। তাই কাউকে আর খাবার নিয়ে যেতে হয় না। কোরিয়ান ইপিজেড-এ শুনলাম কর্মীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা থাকবে। দেখা যাক...
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওই নিউজটা আমিও পড়েছি। তবে, নগণ্য হলেও বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে কর্মীদের জন্য অনেক বেশি কমফোর্ট জোন রয়েছে। কিন্তু অন্যদের চাপে পড়ে সেগুলোর অবস্থাও চিড়ে চ্যাপ্টা।
আপনার নিশ্চয় মনে আছে, কিছু বছর আগে বাংলাদেশে গার্মেন্ট সেক্টরে আনরেস্ট শুরু হয়েছিল। ওই সময় এসকিউ নামের একটা গার্মেন্টসে ব্যাপক হাঙামা হয়েছিল, সম্ভবত পুড়িয়ে দিয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীসুবিধা আন্তর্জাতিকমানের। তবুও ওই প্রতিষ্ঠানকে ওই হাঙামার মুখে পড়তে হয়েছিল। এর পেছনে নিশ্চিতভাবেই তারাই ছিলো, যারা গুড গভর্নেন্স করতে চায় না।
কোরিয়ানদের উদাহরণ দিয়েছেন। ওরা এটা করতে পারছে বলেই তো উন্নত হতে পেরেছে। অন্যকে মূল্য না দিয়ে আর যাই হোক উন্নয়ন হয় না।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: মধ্যম আয়ের দেশ কথাটাতো স্রেফ ধাপ্পাবাজি। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের নিম্ন আয়ের লোকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ওপড়ে। আমাদের দেশ আসলে উন্নয়নশীল নয়, অনুন্নত একটি দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিত।
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: মধ্যম আয়ের দেশতো আমি বলছি না, বলছে জাতিসংঘ। এখন এর মধ্যে যদি ধাপ্পাবাজি থাকে, আমি কি করতে পারি?
তবে হ্যাঁ, সারা বিশ্ব আমাদেরকে কিভাবে দেখে, সেটা তো আমরা সবাই জানি, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হলে শুধু এই সার্টিফিকেটে হবে না। নিজেদের মধ্য থেকে পরিবর্তন লাগবে। চিন্তা, ব্যবহার, কর্ম এবং পরিবেশে। সেটাই বলতে চেয়েছি।
ভালো থাকবেন।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২১
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: মধ্যম আয়ের দেশ বললেই কি মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে যায় ? তার চেয়ে বলেন ,স্বেরাচারি কায়ফায় দেশ চলছে
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: অবশ্যই তা হয় না এবং দেশ এখনও মধ্যম আয়ের তালিকায় যায়নি। তবে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার জন্য যে সব অনুঘটক প্রয়োজন, সেগুলো আমরা অর্জন করেছি। এখন এই অবস্থা যদি আরো সম্ভবত ছয় বছর বজায় থাকে, তাহলে ২০২৪ এ আমরা মধ্যম আয়ের দেশের তালিকাভুক্ত হব।
এখন দেশ স্বৈরাচারি কায়দায় চলছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি জাতিসংঘ থেকে আমরা একটা স্বীকৃতি পেয়েছি, সেটাও ঠিক।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
এখওয়ানআখী বলেছেন: আশাহত ভাবনা ভাল নয়। নিশ্চিতভাবেই আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি। এটাকে কাজে লাগাতে হবে আমাদেরই। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে। ভোগবাদী পলিটিকাল লিডার থেকে উন্নয়নকামী একনায়ক ভাল।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভোগবাদী পলিটিকাল লিডার থেকে উন্নয়নকামী একনায়ক ভাল।[/sb
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই স্টেটমেন্ট খাটবে না এখওয়ান আখী। কারণ এখানকার উন্নয়নকামী একনায়ক যারা, তারা সবাই চরমভাবে দুর্নীতিবাজ ও পরশ্রীকাতর
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই ফেসবুক আসক্তি তলে তলে সর্বনাশ করছে।
অবশ্যই ভাল লিডারের প্রয়োজন দেশ ও জাতীর প্রতিটি ক্ষেত্রে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন মাইদুল ভাই
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই কি আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি?
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: না হইনি, তবে হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এই যোগ্যতা বজায় থাকা সাপেক্ষে সম্ভবত ২০২৪ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষিত হব
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: যাহারা সরকার কে স্বৈরাচার বলিয়া গালমন্দ করিতেছেন তাহাদের বলিতেছি, এই সরকার স্বৈরাচার সন্দেহ নাই ! তবে সবাই মিলে জনগণের ইয়ে মারার চাইতে একজনে জনগনের ইয়ে মারা ভালো নয় কি ? বাকিদের ভাগ দিতে হইলে জনগনের ইয়ে ফাটিয়া যাইবে !
দেশের কর্ম পরিবেশের উন্নতির শুরুতেই ইয়ে মারা গিয়াছে যখন দেশে এইচ আর ডিপার্টমেন্ট প্রসব হইয়াছে এবং উহাতে সব পোল্ট্রি ব্যাবসায়ীরা প্রবেশ করিয়াছে ! ইহাদের কাজ হইল যেকোন উপায়ে কর্মীদের চিপিয়া ডিম্ বাহির করিয়া মালিকের কাছে নিজের ইনক্রিমেন্টের ফাইলটা সই করিয়া লওয়া ! কর্মী ব্যাবস্থাপনা নহে , ইহাদের কাজ হইল খরচ কমানো ! ইহারা মালিকের চাইতেও কৃপণ ! ইহারা প্রতিষ্ঠানের যক্ষ !
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: দ্বিতীয় প্যারাটা অসাধারণ হয়েছে। খেয়াল করলে দেখবেন, এইচ আর-এর লোকেরা গড়পড়তা সব এমপ্লয়িকেই হেয় করে কথা বলে, ভাবটা এমন যেন তারা বাদে প্রতিষ্ঠানের অন্যরা চাকর বিশেষ
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ছবিটার জন্য আপ্নেরে উত্তম জাঝা!!
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর ,
উলুবনে মুক্তো ছড়ালেন । যে প্রত্যাশা আপনি করেছেন , সেটা কোন দেশের কাছ থেকে আশা করছেন আপনি ? যে দেশের ছোট বড় সবাই বস , লীডার নেই একজনও ? আপনার দেয়া ছবি , যেখানে একজন লীডার টেনে তুলছেন সবাইকে , এরকমটা আশা করেন আপনি এদেশে ? যে দেশে কে কাকে ল্যাং মেরে ফেলবে তারই কসরতে মধ্যম মান নয় একেবারে শীর্ষ মানের ?
অনেকগুলো "?" আছে এই মন্তব্যে । জবাব দিতে হবেনা, শুধু হতাশা থেকে যে "?" এর উৎপত্তি তার কোনও জবাব হয়না ।
আপনার এই লেখাটি যেমন সময়োপযোগী তেমনি ব্লগার কাওসার চৌধুরীর বিশ্লেষন এবং দিক নির্দেশনা ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কি করব জিএস ভাই, দুর্বল লেখক হলেও আমি তো লেখকই। আর লেখকের কাজইতো স্বপ্ন দেখা, প্রত্যাশা তৈরী করা।
অনেকদিন পরে দেখলাম, ব্যস্ত নাকি ইদানিং?
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। একজন ভালো বসের চাইতেও ভালো একজন লিডার।
তবে দেশকে মধ্যম আয়ের তালিকায় নিয়ে যেতে হলে সু-শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা ব্যাপক প্রসার প্রয়োজন। আমাদের(জাতির) ভিতর তো পাশের জনকে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়ার বদভ্যাস খুব সক্রিয়।-এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
সিনথিয়া আফরিন বলেছেন: আজো আমরা প্রতীক্ষায় আছি কেউ এসে আমাদের উদ্ধার করবে.....
১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায়, খুব সুন্দর করে গোছানো আলোচনা, যুক্তিপূর্ণ ভাষায়। ভাল লেগেছে। + +
কাওসার চৌধুরী এর মন্তব্য এবং আপনার প্রতিমন্তব্য, দুটোই ভাল লেগেছে। আর ভাল লেগেছে আপনার ৬ ও ১০ নং প্রতিমন্তব্যও।
২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: কার যেন পোস্টে আপনার একটা মন্তব্য দেখলাম- দয়া করে নিজের ব্লগে এসে উত্তর দিলে সবাই উপকৃত হতে পারে এই টাইপের। এই হালকা ঝাড়ি দেখে দ্রুতই উত্তর লিখছি।
না হলে সচারচর আমি পুরোনো পোস্টে প্রতিমন্তব্য এড়িয়ে যাই। কারণ প্রতিমন্তব্য দিলেই ওই পোস্টটা আবার 'সাম্প্রতিক মন্তব্য' তালিকায় চলে আসে। অনেকে পুরোনো পোস্ট দেখলে বিরক্ত হন বলেই আমার ধারণা।
যদিও আপনার-আমার বয়সের ব্যবধান বিস্তর, আমার এক পরিচিত ভদ্রলোকের চেহারার সাথে আপনার ছবির চেহারার কিঞ্চিত সাদৃশ্য ছাড়া আপনার সাথে আমার কোনো বাস্তবজগতে পরিচয় নেই, তবুও আরো কয়েকজনের মত আপনার মন্তব্য দেখলেই ভালো লাগে। অনেকদিন পরে পড়লেন এই পোস্টটা। ধন্যবাদ স্যার।
১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাহলে আপনি কি চান, আপনার কোন পুরনো পোস্ট আমি পড়বোনা? আর পড়লেও, মন্তব্য করবো না??
অবশ্য এটা তো মাত্র এক মাসের পুরনো পোস্ট!
২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: না না, আমি তা বলতে চাইনি একদমই। অবশ্যই পড়বেন। মন্তব্যও করবেন। আমি নিজেই তো অন্যের পুরোনো পোস্ট পড়ি। আমার শুধু মনে হয়েছে যে 'সাম্প্রতিক মন্তব্য' কলামে যখন পুরোনো একটা পোস্ট চলে আসে, তখন হয়তো অনেকে বিরক্ত হয়। এই আর কি।
ভালো থাকবেন, ঈদ মোবারক।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল লাগল পোষ্ট
+++