নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেই করুন ভারতের মেডিকেল ভিসা

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯



প্রথমেই বলে রাখি, রাষ্ট্র হিসেবে ভারত আমার পছন্দের না হলেও ভারতীয়দের অনেক কিছুই অনুকরণীয়। আরো অনেক কিছুর মত প্রফেশনাল এটিকেট ও প্রফেশনাল অনেস্টির দিক দিয়ে ভারতীয়রা আমাদের চেয়ে যোজন যোজন দুরে এগিয়ে রয়েছে, বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। অন্যদিকে আমাদের দেশের ডাক্তারদের রেপুটেশন এতটাই ভালো, এতটাই ভালো যে (!) দেশের মানুষ প্রয়োজনে জায়গা জমি বিক্রি করে হলেও চিকিৎসা নিতে ভারতে যায়। সে কলকাতা, চেন্নাই, ভেলোর, মুম্বাই বা দিল্লী হোক না কেন। আর, আমরা তো আমজনতা-গোবেচারা, এ দেশের সরকারি বেসরকারি হোমরা চোমরারাও দলে দলে দৌড়াচ্ছে ভারতে চিকিৎসা নিতে। কে জানে, হয়তো আমাদের মহামহিম ডাক্তারবৃন্দও যাচ্ছেন চেন্নাই বা দিল্লীর হাসপাতালগুলোয়।

আমাদের ডাক্তারদের কীর্তিকাহিনী আবার বেশি বলা যাবে না, বললে চাকরি থাকবে না :-P । তাই ডাক্তারদের কাহিনী না শুনিয়ে বরং কিভাবে ভারতে চিকিৎসা নিতে নিজে নিজেই ভিসার জন্য প্রক্রিয়া করে সহজেই ভিসা পাওয়া সম্ভব, সে বিষয়ে কিছু বলি।

আমরা বাঙালিরা যেহেতু নবাবের বংশধর, সব কাজে আমরা প্রথমেই দালাল খুঁজি! ভাই কিছু টাকা খরচ হলে হোক, তবু নিজে কিছুই করতে পারবো না!! অথচ আপনি যদি ভিসার জন্য আবেদনের সঠিক প্রক্রিয়াটা জানেন এবং যদি সত্যিকারার্থেই রোগী হন সেক্ষেত্রে শতভাগ সম্ভাবনা আছে যে আপনি মেডিকেল ভিসা পেয়ে যাবেন।

এ ক্ষেত্রে আমি কাজগুলোকে তিনটি পর্বে ভাগ করতে পারি: প্রথমত- দেশীয় ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন ও কাগজপত্রের ডকুমেন্টেশন এবং ইন্ডিয়ান কোন হাসপাতালের পক্ষ থেকে ইনভাইটেশন লেটার, দ্বিতীয়ত- আবেদনপত্র পূরণ এবং তৃতীয়ত- আবেদনপত্র জমা দেওয়া।

এখন আসুন দেখি কিভাবে এগুলো করা যাবে। এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, মেডিকেল ভিসার জন্য রোগীর সাথে সর্বোচ্চ তিনজন অ্যাটেন্ডেন্ট থাকা যায়। না থাকলেও হয়, তবে অ্যাটেন্ডেন্ট ছাড়া মেডিকেল ভিসার আবেদন গ্রহণ করতে চায় না। ঝামেলা করে।

দেশীয় ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন ও কাগজপত্রের ডকুমেন্টেশন এবং ইন্ডিয়ান কোন হাসপাতালের পক্ষ থেকে ইনভাইটেশন লেটার
আবেদনপত্রের সাথে রোগির গত ছয় মাসের চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্রের ফটোকপি (প্রেসক্রিপশন, টেস্ট ও তার রিপোর্ট) জমা দিতে হবে। তাই এই কাগজগুলো নতুন থেকে পুরোনো ক্রমানুসারে সুন্দর করে গুছিয়ে নিন। এবার ভারতের যে কোন ভালোমানের হাসপাতালের অ্যাড্রেসে রোগের বর্ণণা এবং রোগি ও অ্যাটেনডেন্ট এর পার্সপোর্টের ডিটেইল মেইল করে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট চেয়ে মেইল করে দিন। (আমার পরিচিত একজন দালালের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে এই ইনভাইটেশন লেটার এনেছিল; অথচ এটা একটা মেইল করেই পাওয়া সম্ভব)। নিচে এখানে একটা স্যাম্পল দিয়ে দিলাম।

এই মেইলের সাথে অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে আপনাকে রোগির স্থানীয় ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন, টেস্ট এবং রোগি ও অ্যাটেনডেন্ট এর পাসপোর্টের ইনফরমেশন পেইজ দুটির স্ক্যান করা কপি সংযুক্ত করতে হবে। ও হ্যা, যে মেইলটা আপনি লিখবেন, ওইটাও এমএস ওয়ার্ডে লিখে অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে দিয়ে দিবেন।

এবার মেইল দিয়ে তিন চারদিন অপেক্ষা করুন। ওদের ওখানে রবিবার ছুটির দিন, তাই মাঝখানে রবিবার বা অন্য কোন ছুটির দিন পড়লে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। এরপরও যদি কোন উত্তর না পান, তাহলে আরো একবার একই বিষয়ে মেইল করুন। ইনভাইটেশন পেয়ে যাবেন আশা করি।

ইনভাইটেশন লেটার পাওয়ার পর আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ সেরে রাখুন, যেমন চাকুরিজীবি হলে অফিশিয়াল নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট, ডলার এনডোর্সমেন্ট সার্টিফিকেট বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ছবি প্রস্তুত করা।

যদি ডলার এনডোর্সমেন্ট সার্টিফিকেট হয়, তাহলে ব্যাংক থেকেই লাগবে, মানি এক্সচেঞ্জারের সার্টিফিকেট গৃহীত হবে না। সাধারণত পাসপোর্ট প্রতি ১৫০ ডলার এনডোর্স করাতে হয়, তবে মেডিকেল ভিসার জন্য এর চেয়ে বেশি হওয়াটাই ভালো। ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ক্ষেত্রেও একই অনুপাতে স্থিতি থাকা প্রয়োজন।

এক কপি ২ ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাইজের ফটো আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হয়। ছবি হতে হবে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের এবং ফ্রন্ট ফেসিং। হিজাব করা মেয়েদের ক্ষেত্রেও কানসহ মুখ পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হতে হবে। ছবির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ছবি হওয়াটাই ভালো। আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে একই ছবি দিতে হবে এবং তার মাপ হবে ৩৫০ পিক্সেল বাই ৩৫০ পিক্সেল এবং ১০০ কিলোবাইটের নিচে।

এখানে তিনটা নোটস রয়েছে-
এক: রোগীর সর্বশেষ প্রেসক্রিপশনের উপরে ডাক্তারের অ্যাডভাইস লেখা থাকতে হবে। মানে “অ্যাডভাইসড টু গো অ্যাব্রোড ফর বেটার ট্রিটমেন্ট” বা এই ধরণের বিষয়ে মেডিকেল ল্যাঙ্গুয়েজ যেটা হয়, সে রকম কিছু একটা। তো আমাদের ডাক্তার মহাশয়রা কোনদিনই এ রকম লিখে দেবেন না। জগতে তাদের চেয়ে ভালো ডাক্তার থাকতে পারে- এই অসম্ভব অনন্ত জলিলও সম্ভব করতে পারে না! তাই কিভাবে আপনি এটা ম্যানেজ করবেন, তা আপনার বিষয়, কিন্তু এটা থাকতেই হবে। আমার যতবার প্রয়োজন হয়েছে, আমি নিজেই লিখে নিয়েছি ওই ডাক্তারের হাতের লেখার মত করে।

দুই: রোগীর অ্যাটেনডেন্ট অবশ্যই নিকট আত্মীয় হতে হবে। যেমন স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, মা-বাবা, ইত্যাদি। তারপরও কথা থেকে যায়, যেমন আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড/পাসপোর্টে বাবার নাম লেখা আছে মোঃ আসির উদ্দিন কিন্তু অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আপনার ভাইয়ের ন্যাশনাল আইডি কার্ড/পাসপোর্টে বাবার নাম লেখা আছে শেখ আছিরুদ্দিন, সে ক্ষেত্রে ঝামেলা হবে। অথবা আপনার বাবা/মায়ের ন্যাশনাল আইডি কার্ড/পাসপোর্টে তাঁদের নাম যেভাবে আছে, আপনি অ্যাটেনডেন্ট হলে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড/পাসপোর্টে মা/বাবার নাম ওভাবেই থাকতে হবে। মোটকথা, সম্পর্কের প্রমাণটা নিরেট হতে হবে।

তিন: ইনভাইটেশন চাওয়ার সময়ে ইন্ডিয়ায় যাওয়ার সম্ভাব্য তারিখ চৌদ্দ পনেরদিন পরে দিন। তাতে করে প্রথমবার কোন কারণে রিফিউজ হলেও দ্বিতীয়বার একই ইনভাইটেশন লেটার কাজে লাগাতে পারবেন। ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে ওই তারিখেই যেতে হবে বা যে হাসপাতালের পক্ষ থেকে ইনভাইটেশন লেটার সাবমিট করবেন, সে হাসপাতালেই আপনাকে যেতে হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

আবেদনপত্র পূরণ
এবার আপনি ইন্টারনেট সংযোগওয়ালা একটা কম্পিউটারের সামনে বসে যান।ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদনের সাইট এটা। ভিসা আবেদনপত্রটা একটু লম্বা প্লাস এই সাইটে প্রচুর ভিজিটরের কারণে আপনার ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ যদি কম হয়, তাহলে ফর্ম পূরণে সমস্যা হতে পারে, সেদিকটা খেয়াল রাখবেন। সাইটে ঢোকার পর নিচের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করতে হবে।








দেখা গেছে আবেদনপত্র ঠিকমত পূরন না হওয়ার কারণেই অধিকাংশ রিজেক্টেড হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিটা সিঙ্গেল ডিটেইল খুবই যত্নের সাথে সঠিক তথ্য দিয়ে পুরণ করতে হবে। মৌলিক যে তথ্যগুলো যেমন, নিজের নাম, পিতা-মাতা ও স্পাউসের নাম, পাসপোর্টের ডিটেইল সবকিছু একদম পাসপোর্ট ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী হতে হবে।

রোগীর ভিসা টাইপ হবে মেডিকেল ভিসা এবং পারপাস হবে ট্রিটমেন্ট অব সেলফ আর অ্যাটেনডেন্ট এর ভিসা হবে মেডিকেল অ্যাটেনডেন্ট আর পারপারস হবে অ্যাকমপেইনিং পেশেন্ট।

পাসপোর্ট প্রদানকারী অথরিটি ডিআইপি ঢাকা এবং প্রদানের স্থান সবসময় ঢাকা হবে, সে আপনি পঞ্চগড় বা সাতক্ষিরা, যেখানে থেকেই গ্রহণ করেন না কেন।

বর্তমান ঠিকানার যায়গায় আপনার ইউটিলিটি বিলে যেভাবে আছে ওভাবেই দিতে হবে। ধরুন, আপনার বর্তমান ঠিকানা আপনি লিখলেন- বাসা নং ২৫ (২য় তলা), রোড নং- ২৩, ব্লক জি, দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা। কিন্তু আপনার ইউটিলিটি বিলে (বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাসবিল) লেখা রয়েছে- সখিনা ভিলা, ২৫ দক্ষিণ বনশ্রী, রোড নং- ২৩, ব্লক জি, খিলগাঁও, ঢাকা, তাহলে আপনাকেও এভাবেই লিখতে হবে।

ফ্যামিলি ডিটেইল অংশে একটা কলাম আছে ‘প্রিভিয়াস ন্যাশনালিটি’, এখানে বাংলাদেশ লিখতেই হবে।

পোর্ট অব অ্যারাইভাল: এ ক্ষেত্রে আপনি যেটাই পছন্দ করেন না কেন, বেনাপোল/হরিদাসপুর, দর্শনা/গেদে এবং এয়ারপোর্ট অতিরিক্ত হিসেবে পাবেন। নাম্বার অব এন্ট্রি মাল্টিপল চাইলেও দেয় সাধারণত ট্রিপল এন্ট্রি এবং পিরিয়ড অব ভিসা ১২ মাস চাইলেও সাধারণত ৬ মাসের বেশি দেয় না।

মেডিকেল ডিটেইল এর ক্ষেত্রে রেফারেন্স হিসেবে যে ডাক্তার এর অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন, তাঁর নাম ও ডিটেইল দিতে হবে, ইনভাইটেশন লেটারেই সেগুলো পাবেন আর দেশের ডাক্তারের রেফারেন্স হিসেবে সর্বশেষ ডাক্তারের ডিটেইল দিয়ে দিবেন।

প্রফেশনাল/অকুপেশন ডিটেইলের ক্ষেত্রে পেশেন্ট বা অ্যাটেনডেন্ট যদি অচাকুরিজীবি হন, সেক্ষেত্রে অপরজনের জব ডিটেইল দিতে হবে।

ইন্ডিয়ান রেফারেন্সের যায়গায় আপনার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নেওয়া ডাক্তারের ডিটেইল এবং দেশের রেফারেন্সের ক্ষেত্রে যে কাউকে দিতে পারেন, ডাক্তারকে দিতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সবশেষে ‘প্লেস অব স্টে/হোটেল’ অপশনে বিনা দ্বিধায় ইনভাইটেশন আনা হাসপাতালের নম্বর দিয়ে দেবেন, যদি কোন হোটেল বা লজ ঠিক না করে থাকেন।

কোন এক যায়গায় একটা অপশন আসে- ভিজিটেড সার্ক কাউন্ট্রি একসেপ্ট ওন কাউন্ট্রি.. এখানে ভারত বাদে অন্য কোন দেশে গেলে সেটার উল্লেখ করতে হবে।

এরপর ফটো আপলোড করলে আবেদনপত্র পূরণ হয়ে গেল। এরপর আপনাকে একবার চেক করার জন্য প্রিভিউ দেখাবে। ওই সময় আপনি একটা প্রিন্ট নিয়ে চেক করতে পারেন। ভূলভাল থাকলে এডিট অপশনে গিয়ে ঠিক করে আসতে পারবেন। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে কনফার্ম করে সাবমিশন নিয়ে দেন। সাবমিশন দিলেই ওটা সাবমিট হয়ে গেল, একই সাথে আপনার কম্পিউটারে একটা পিডিএফ ফাইল সেইভ হয়ে যাবে, যেটা আপনাকে প্রিন্ট নিতে হবে।

একবার আপনি সাবমিশন দিয়ে ফেললে আর এডিট করা যাবে না। ভূল থাকলে আবার নতুন করে করতে হবে। তবে একটা সুবিধা হলো, একই কম্পিউটার থেকে পূরণ করতে গেলে পুরোনো তথ্য অটো আসে, নতুন করে লেখা লাগে না।

আবেদনপত্র জমা প্রদান
ঢাকার বাইরের সব সেন্টার এবং ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কে নতুন হওয়া ভিসা সেন্টারে মেডিকেল ভিসার আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে এখন কোনো সিরিয়াল লাগে না। সাধারণ দিনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। জমা দেওয়ার আগে আপনাকে ২ ইঞ্চি বাই ২ ইঞ্চি সাইজের এক কপি ছবি (যে ছবিটা আপনি আবেদনপত্র পূরণের সময় আপলোড করেছিলেন, ওটা হওয়ায় শ্রেয়) নির্দিষ্ট স্থানে আঠা দিয়ে লাগিয়ে (স্ট্যাপল করা যাবে না) নিচে স্বাক্ষর করে রাখুন।

এরপর ইউক্যাশের মাধ্যমে আবেদনপত্র প্রতি ৮০০ (বাইরের ইউক্যাশ আউটলেটগুলো ৯০০ টাকা নেয়) টাকা প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্রে থাকা বারকোড রিডিং মেশিন লাগে এই টাকা পাঠাতে, তাই সব ইউক্যাশ আউটলেট এটা করতে পারে না। আপনি আবেদনপত্র জমা দেয়ার দিন সকালে ভিসা সেন্টারে আসুন, এর আশেপাশেই এ ধরণের আউটলেট পেয়ে যাবেন। ওরা সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫০ টাকা করে বেশি নেবে। ইউক্যাশ করার সময়ে আবেদনপত্র এবং পাসপোর্ট দুটোই সঙ্গে রাখুন।

আবেদনপত্রের জমাদানের সময় যে সব কাগজপত্র লাগবে-
ছবিসহ পূরণকৃত আবেদনপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ডলার এনডোর্সমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূল কপি
চাকুরিজীবি হলে অফিসের পক্ষ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এর মূল কপি
অফিশিয়াল পরিচয়পত্রের ফটোকপি
পাসপোর্টের ইনফরমেশন পেইজ এবং সর্বশেষ ইন্ডিয়ান ভিসার পেইজের ফটোকপি
ইন্ডিয়ান ডাক্তারের ইনভাইটেশন লেটার। এটা আসবেই মেইলে, তাই অরিজিনাল বা ফটোকপির কিছু নেই, প্রিন্ট করে দিলেই হবে। কালার প্রিন্ট হলে ভালো
স্থানীয় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনগুলোর ফটোকপি, যার সর্বশেষটাতে আগে উল্লেখিত কথাটা লেখা থাকবে


এগুলো রোগির আবেদনপত্রের সাথে দিতে হবে। অ্যাটেনডেন্টের ক্ষেত্রেও এগুলোই লাগবে, শুধুমাত্র স্থানীয় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগবে না, তার বদলে রোগির পার্সপোর্টের ইনফর্মেশন পেইজের ফটোকপি দিতে হবে। যে কোন অ্যাটেন্ডেন্ট রোগির বা রোগি নিজে অ্যাটেনডেন্ট এর আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

যে সব কাগজপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করবেন, সেগুলোর মূলকপিও সাথে রাখতে হবে। মেডিকেল ভিসার আবেদনপত্র জমা নেওয়ার আগে আবেদনপত্র এবং তাবৎ কাগজপত্র পরিক্ষা করা হয়। পরিক্ষা করে যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে আপনার আবেদনপত্রের সাথে মুল কাগজপত্রও জমা নেওয়া হবে, না হলে ওখান থেকেই ফেরত। জমা নিলে সাধারণত রিফিউজড হয় না।

এবার সোজা গিয়ে জমা দিয়ে দিন। জমা হলে ডেলিভারি ডেট দেওয়া একটা টোকেন দেবে, ওইদিন নির্দিষ্ট সময়ে চলে আসলেই হবে। এর মধ্যে আপনার মোবাইলে এ সংক্রান্ত মেসেজ চলে আসবে।


কিছু টিপস
ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টার শুক্র, শনিবারসহ বাংলাদেশ ও ভারতীয় সরকারী ছুটির দিন বন্ধ থাকে
আবেদনপত্র একবার সাবমিট দেওয়ার পর ৫দিন পর্যন্ত ওই আবেদনপত্র জমা দেওয়া যায়। এরপর আবার নতুন করে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে
সংযুক্ত কাগজপত্র স্ট্যাপল করবেন না, হার্ড ক্লিপ বা জেমস ক্লিপ দিয়ে আটকে নিয়ে যাবেন
ভিসা ডেলিভারির দিন তাড়াহুড়া করে আগে ঢুকে বিশেষ কোন লাভ নেই, আস্তে ধীরে গেলেই হবে


এরপরও যে সব কিছু করতে হবে, সেটা আপনি নিজেই বঝতে পারবেন। এবার ভিসা পেলে সোজা চলে যান চিকিৎসা নিতে। আর আসার সময়ে আমার জন্য একটা গিফট নিয়া আইসেন :-B


(বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের সৌজন্যে জেনে নিন অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম)

অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের নিচের ‘ভিসা প্রসেসিং ফি পেমেন্ট’ বাটনে ক্লিক করুন। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি পেইজ ওপেন হবে। এতে চারটা অপশন রয়েছে- ১. অ্যাপ্লিকেশন ইনফো ২. পার্সোনাল ইনফো ৩. ওভারভিউ এবং ৪. পেমেন্ট। চারটা অপশনই পূরণ করতে হবে।
১. অ্যাপ্লিকেশন ইনফোতে হাইকমিশন ঢাকা, চিটাগাং, রাজশাহী যার যার এলাকা সিলেক্ট করবেন।
২. ‘এন্টার ইউর ওয়েব ফাইল নাম্বার’ এ আপনার প্রিন্ট করা আবেদনের ওয়েব ফাইল নম্বরটি লিখুন।
৩. ওয়েব ফাইল নম্বরটি আবার লিখুন।
৪. যে আই ভি এ সি সেন্টারে আবেদনপত্র জমা দিতে চান তার উল্লেখ করুন।

এরপর পরের রো-তে ভিসা টাইপ এবং আপনার পাসপোর্ট নম্বর লিখুন। ভিসা প্রসেসিং ফির পরিমাণ দেখাবে। তারপর সেইভ এন্ড নেক্সট করে পরের অপশনে চলে যান।

পার্সোনাল ইনফোতে আপনার পূর্ণ নাম ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য দিন। নেক্সট করুন। ওভার ভিউ পেইজে আপনার তথ্যগুলো সঠিক কিনা যাচাই করার জন্য সব কিছুই আবার দেখাবে। ভাল করে দেখুন। সঠিক হলে নেক্সট চাপুন।

পেমেন্টের অনেকগুলো অপশন হাতের বাম পাশের বক্সে দেখাবে। ভিসা, মাস্টার কার্ড, বিকাশ, শিউরক্যাশসহ অনেক অপশন থেকে আপনার পছন্দেরটি বেছে নিন। এরপর পেমেন্ট করুন। পেমেন্ট কমপ্লিট হলে আপনাকে মোবাইলে কনফার্ম মেসেজ ও মানি রিসিপ্ট কপি দেবে প্রিন্ট করে নেয়ার জন্য।

সার্ভারের ত্রুটিতে প্রথমবারে না এলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই, চেক পেমেন্ট স্ট্যটাসে আবার আপনার তথ্যগুলো দিলেই মানি রিসিপ্ট এর প্রিন্ট ভার্সন পিডিএফ মুডে দেখাবে। সেখান থেকে প্রিন্ট করে নিন। প্রিন্ট কপি আবেদনের সাথে যুক্ত করে দিন।

আরো সংযোজন: আগস্ট ০৯, ২০১৮
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে থাকা ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারগুলোকে বন্ধ করে দিয়ে এখন যমুনা ফিউচার পার্কে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেন্টার চালু করা হয়েছে। এই সেন্টারটা বিশাল। অনেক গোছানো। ভেতরে মোট আটচল্লিশটা জমা নেওয়ার কাউন্টার আছে। যার মধ্যে দশটি কাউন্টার মেডিকেল ভিসা অ্যাপ্লিকেশন জমা নেওয়ার জন্য। এই সেন্টারটি খুবই গোছানো। দ্রুত সব কাজ হয়ে যায়।

যেহেতু বিশাল পরিসর, ভোরে গিয়ে লাইন দেওয়ার কোনো দরকার নেই। বরং সকালের ভীড় এড়াতে চাইলে এগারোটার দিকে ওখানে পৌঁছাতে পারলে একদম লাইন ছাড়াই ভেতরে ঢুকে যেতে পারবেন। এখানে লাগেজ রাখার কাউন্টার, ফটোকপির ব্যবস্থা, স্নাক্সবার এবং সুন্দর ওয়েটিং স্পেস রয়েছে।


কৃতজ্ঞতা: মোরশেদ আলম
ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

বিজন রয় বলেছেন: ডিটেলস এই পোস্টি অনেকের কাজে লাগবে।
কষ্টকরে শেয়ার করেছেন তাই আপনাকে ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিজন দা, আমি অন্যের লেখা শেয়ার করিনি। একদমই নিজে লিখেছি। আমার পাশের ডেস্কে অফিসের প্রটোকল অফিসার বসেন। 'সঙ্গদোষে লোহা ভাসে' হিসেবে এই বিষয়গুলো শিখে গিয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: খুব গুছিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনার উপস্থাপনার জন্য। আমি গত ডিসেম্বর এ হায়দ্রাবাদে গিয়েছিলাম। নিজে নিজে ফরম ফিলাপ করেছি। ইন্ডিয়া ঘুরে এসে ভাবছিলাম লিখব। কিন্তু আপনি খুব সুন্দর ভাবেই লিখলেন। আর একটা বিষয় আমি ক্লিয়ার না - এন্ট্রি পোর্ট আমি যদি ত্রিপুরা/এয়ারপোর্ট দেই তাহলে কয়টি পোর্ট ব্যবহার করে আসা/যাওয়া করতে পারব। এ বিষয়ে ভিসা সেন্টারেও কেউ ক্লিয়ার করতে পারে নি। জানা থাকলে জানাবেন -আবারও ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
এন্ট্রি পোর্ট ত্রিপুরা/এয়ারপোর্ট দিলেও আপনি বেনাপোল/হরিদাসপুর এবং গেদে/দর্শনা দিয়ে রেল ও পায়ে হেটে যেতে পারবেন।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অসাধারণ--পায়ে হেঁটে যেতে পারলেই ভালো হত! =p~

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: মানে বেনাপোল বা দর্শনা পর্যন্ত যে কোনভাবে গিয়ে হেটে হেটে বর্ডার পার হওয়ার কথা বলছি আর কি :-B

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: দুঃখ প্রকাশের পর সমাধান ও দিকনির্দেশনা মূলক খুব সুন্দর আলোচনা করলেন!

প্রিয়তে রাখলাম। হয়ত কোন একদিন কাজ দিবে।

ভালো লাগলো পোস্টটি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ। যদি একদিন আপনার কাজে লাগে, যদি একজনেরও কাজে লাগে, তাহলেই তো সার্থকতা।

ভালো থাকবেন।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ...... এমনভাবে বুঝলেন কেন? অন্যের লেখা শেয়ার করেছেন আমি তো এটা বলিনি।

আমি বলতে চেয়েছি, নিয়ম-কানুনগুলো শেয়ার করেছেন এটা। আর এটা যে আপনার আপনার লেখা সেটা তো বুঝতেই পেরেছিলাম।

আশাকরি এবার বোঝাতে পেরেছি।

হা হা হা......
শুভকামনা রইল।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: রোজা ধরে যাওয়াতে হয়তো বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল... :-0

গত কালকে হঠাৎ দেখি বিডি আইডল লগড ইন। মন্তব্য করলাম ব্লগে আসার জন্য, কিন্তু কোন খবর নেই। কিন্তু আপনাকে প্রায়ই দেখি, আপনাকে দেখতে ভালো লাগে।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

বিজন রয় বলেছেন: মাঝে খুব ব্যস্ততা গেল, তাই ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম, এখন একটু সময় পাচ্ছি, ব্লগে থাকার চেষ্টা করছি।

বিডি আইডলরা ব্লগিংএর উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। আর উনি বেশ অলস ব্লগার।
তবে আগে জমাতে পারতেন ভাল।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! সুন্দর পোষ্ট। বহু জনের উপকারে আসবে আশাকরি ।

শুভ কামনা নিরন্তর ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: উপকারে আসলেই আমি খুশি। আপনাকেও শুভেচ্ছা অনেক।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

লাবণ্য ২ বলেছেন: উপকারী একটি পোস্ট।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: জ্বী আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার ভাল লাগার একটা পোস্ট। খুব ভাল লাগলো ভাই। লাইক দিলাম +++ B-)

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কাউসার ভাই। এখন আর কেউ প্লাস দেয় না। ব্লগের প্রথম দিকে প্লাস মাইনাসের খেলা খুব জমতো।

ভালো থাকবেন।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভিসা পেতে ঝামেলা হয়।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে ঝামেলা হয়। কিন্তু মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে যদি কাগজপত্র ভুয়া না হয় এবং আবেদনপত্রও নির্ভুলভাবে পুরণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। ভালো থাকবেন।

ইদানিং সব পোস্টে আপনার উপস্থিতির কারণে আপনি না আসলে পোস্ট অসম্পূর্ণ মনে হয়। ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট। পরে সময় করে পড়ব।
+।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়া এবং প্লাসের জন্য। পরে পড়ে নিবেন আশা করি।

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভারতের ভিসার জন্য কোন ফি লাগে না। কিন্তু দালাল মহোদয়গণ প্রচুর টাকা ফি বাবদ নেন।

০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, ভিসার জন্য একটা অফিসিয়াল 'ফি' আছে। এখন ৬০০ টাকা। বছর তিনেক আগেও মনে হয় এটা ছিল ৩৫০ টাকা। আগে টাকাটা হাই কমিশনের ভেতরে নগদ প্রদান করতে হতো। কিন্তু একন আবেদনপত্রে থাকা বারকোড রিডিং এর মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট হয়।

পেমেন্ট হওয়ার সাথে সাথে আপনার মোবাইল নাম্বারে নিশ্চিতকরণ মেসেজ আসবে।

ধন্যবাদ

১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল জিনিষ দিয়েছেন। অনেকেরই এসব নিয়ে অজ্ঞ প্রশ্ন শূনে হাসি আসে মাঝৈ মাঝে!
অথচ তারা সমাজের বেশ উচু দরেরই মানুষ!

বেশ সহজ করে ইন ডিউটেইলস এ লিখেছেন।
তবে অনলাইন পেমেন্ট অপশনে এখন মাল্টিপল সুবিধা আছে।
শুধু ইউক্যাশ নির্ভর বা বারকোডের টেনশনে না থেকে পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার দিয়েও পে করা যায়। ভিসা, মাষ্টার কার্ড সহ অন্যান্য আরো অপশনতো রয়েছেই।

++++

০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই, আপনি যাদের কথা বললেন, তদের কথাই আমি একেবারে প্রথমেই উল্লেখ করেছি। এ ছাড়াও অনেকে ভয় পায় যে নিজে করতে গেলে কি হয়, না হয়.... এ জন্যই ডিটেইলে লিখলাম। যদি কারো কাজে লাগে।

আর পেমেন্ট অপশনগুলোর কথা বলতে ভুলে গেছি। কিন্তু ওই অপশনগুলো ঠিক কিভাবে কাজ করে, আমি জানিনা। কখনো করিনি তো। তা ছাড়া আমি এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ নই। কেবলমাত্র অফিসে আমার পাশের ডেস্কে বসা প্রটোকল অফিসারের বদৌলতে এগুলো জেনেছি এবং নিজে এবং নিজের পরিচিতদেরকে করে দিয়েছি। দেখি, পরে ওর কাছ থেকে জেনে যোগ করে দিবো।

অথবা আপনি যদি ডিটেইলে একটু বলে দেন, তাহলে ওটাও অ্যাড করে দিতে পারি।

অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

পথিকের পাঁচালী বলেছেন: আমার হার্টের সমস্যার কারণে ভেলুরের ডাক্তার চিকিৎসা শেষে লিখিত যে মেডিকেল রিপোর্ট আমাকে দিয়েছেন তাতে উল্লেখ আছে ৬/১২ মাস পর চেক আপ।সে ক্ষেত্রে আমাকে বাংলাদেশের ডাক্তার তার রিকমেন্ডশন এবং বিভিন্ন চেক আপের কাগজ পত্র প্রয়োজন আছে কি?

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ইয়েস। পুরো প্রসেসটাই শুরু থেকে করতে হবে। মানে ইনভাইটেশন আনতে হবে এবং সব পেপার আগের মতই দিতে হবে।

তবে একটা বিষয়ে আপনি এগিয়ে থাকবেন, সেটা হলো- সিএমসির একটা আইডি নাম্বার আপনার আছে, ওটার রেফারেন্স দিয়ে নতুন ইনভাইটেশন চাইলে দ্রুতই পেয়ে যাবেন প্লাস এখন আপনার কাগজপত্রের সাথে ইন্ডিয়ান ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকায় ভিসার বিষয়টা ধরে নেন নিশ্চিত।

দোয়া করি, আপনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০০

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কি ঝামেলা রে বাবা। প্রকৃত রোগীদের সহজ ভাবে ভিসা দেয়া হোক।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: তাই-ই তো দেয়। কিন্তু আমাদের নিজে না চেষ্টা না করার বাতিক আর দালালচক্রের জন্য মনে হয় যেন বিষয়টা কত কঠিন..

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

ত্রিকোণমিতি বলেছেন:
"প্রথমেই বলে রাখি, ভারতীয়দের অনেক কিছুই অনুকরণীয় হলেও রাষ্ট্র হিসেবে ভারত আমার একদমই পছন্দের দেশ নয়। " - সেইম টু মি। :)


[অফ টপিক - সামুতে নতুন লেখালেখি করছি, সময় থাকলে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো। আমার ব্লগ

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার আমার মত আরো অনেকেই আছে এ দেশে।
ভারতীয়দের দেশপ্রেম, অনেক ক্ষেত্রে সততা ও নিয়মানুবর্তিতা, দায়িত্বের প্রতি কমিটমেন্ট লেভেল আমাদের চেয়ে অনেক উঁচুতে। যতবারই গিয়েছি, ওদের সাথে তুলনা করে কেবলই হতাশ হয়েছি। কিন্তু অ্যাজ এ হোল, রাষ্ট্র হিসেবে সাম্রাজ্যবাদি, অনুদার এবং স্বার্থপর। এই জন্যই দেশটা আমার অপছন্দের।

আপনি যে লিংক দিয়েছেন, সেটাতে ক্লিক করলে আমার নিজের ব্লগে ঢুকে যাচ্ছে!!!!

১৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পদ্মপুকুর ভায়া ধন্যবাদ।

হালকার উপর আইডিয়া দিলাম। কারন কিছূ ডিটইলসের জন্য এটা কমপ্লিট ফর্শ দরকার যা আমার কাছে এই মুহুর্তে নেই।
মোটামুটি আউটলাইন টুকু জানালাম।

অনলাইন এপ্লিকেশনের নীচেই "ভিসা প্রসেসিং ফি পেমেন্ট" বাটনে ক্লিক করুন।
ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন ফি পেইজ ওপেন হবে। এতে চারটা অপশন রয়েছে।
১. এপ্লিকেশন ইনফো, ২ পার্সোনাল ইনফো, ৩. ওভারভিউ, ৪ পেমেন্ট ৪ টা অপশনের একের পর এক পূর্রণ করতে হবে।
১. এপ্লিকেশন ইনফোতে হাইকমিশন ঢাকা, চিটাগাং, রাজশাহী যারযার এলাক সিলেক্ট করবেন।
২. এন্টার ইউর ওয়েব ফাইল রাম্বারে আপনার প্রির্ট করা আবেদনের ওয়েব ফাইল নম্বরটি লিখুন।
৩, ওয়েব ফাইল নাম্বারটি আবার লিখূন।
৪. যে আইভাক সেন্টারে আবেদন জমা দিতে চান তার উল্লেখ করুন।
পরের রোতে ভিসা টাইপ এবাং আপনার পাসপোর্ট নাম্বার লিখুন।
ভিসা ফির পরিমান দেখাবে। তারপর সেইভ এন্ড নেক্সট করে পরের অপশনে চলে যান

পার্সোনাল ইনফোতে আপনার পূর্ন নাম ফোন নং এবং অন্যান্য তথ্য দিন। নেক্সট করুন।
ওভার ভিউ পেইজে আপনার তথ্যগুলো সঠিক কিনা যাচাই করার জন্য সব দেখাবে। ভাল করে দেখূন। সঠিক হলে নক্সট চাপুন।
পেমেন্টের অনেক গুলো অপশন হাতের বাম পাশের বক্সে দেখাবে। ভিসা, মাষ্টার কার্ড, বিকাশ, শিউরক্যাশ সহ অনেক অপশন থেকে আপনার পছন্দের টি বেছৈ নিন।
প্রতিটিতে পেমেন্টের যার যার নিজস্ব ধারায় এগিয়ে যেতে হয়।
পেমেন্ট কমপ্লিট হলে আপনাকে মোবাইলে কনফার্ম ম্যাসেজ দেবে। এবং মানি রিসিপ্ট কপি দেবে প্রিন্ট করে নেয়ার জন্য।
সার্ভারের ত্রুটিতে প্রথমবারে না এলে ঘাবরানোর কিছূ নেই। চেক পেমেন্ট ষ্ট্যটাসে আবার আপনার তথ্য গুলো দিলেই মানি রিসিপ্ট এর প্রিন্ট ভার্সন পিডিএফ মুডে দেখাবে। সেখান থেকে প্রিন্ট করে নিন।
প্রিন্ট কপি আবেদনের সাথৈ যুক্ত করে দিন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: দিয়েছি অ্যাড করে। ধন্যবাদ স্যার।

১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপ‌নি সম্ভবতঃ জা‌নেন, ভার‌তের কেউ বাংলা‌দে‌শের ভিসা চাই‌লে ফি নেয়া হয় না। পারস্প‌রিক ভি‌ত্তি‌তে এটা করা হয় ব‌লে বাংলা‌দেশী নাগ‌রিক‌দেরও ফি লাগার কথা নয়। আপ‌নি যে ফির কথা ব‌লে‌ছেন সেটা ভিসা প্র‌সে‌সিং সেন্টার নেয়, ভারত সরকার পায় না।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই, বিষয়টা ক্লিয়ার করার জন্য। আমি আসলে ভারত সরকার এবং ভিসা সেন্টারের মধ্যে কোন পার্থক্য করিনি। অফিশিয়ালি ৬০০ টাকা লাগে, সে কথাটাই বলতে চেয়েছি।

ভালো থাকবেন।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৮

পথিকের পাঁচালী বলেছেন: আমার হার্টের সমস্যার কারণে ভেলুরের ডাক্তার চিকিৎসা শেষে লিখিত যে মেডিকেল রিপোর্ট আমাকে দিয়েছেন তাতে উল্লেখ আছে ৬/১২ মাস পর চেক আপ।সে ক্ষেত্রে আমাকে বাংলাদেশের ডাক্তার তার রিকমেন্ডশন এবং বিভিন্ন চেক আপের কাগজ পত্র প্রয়োজন আছে কি?

২০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৯

পথিকের পাঁচালী বলেছেন: আমার প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে বিভিন্ন টেস্ট এবং ডাক্তারের রিকমেন্ডশন প্রয়োজন আছে কি? যেহেতু আমাকে ৬/১২ মাস পর চেক আপের কথা বলা হয়েছে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি ইন্ডিয়ান ডাক্তার দেখিয়ে এসেছেন, ওই ডাক্তার আপনাকে যে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন তার নিচে লেখা আছে যে ৬ মাস বা এক বছর পর চেক আপরে জন্য আবার আসতে হবে। এই তো?

ওয়েল, আপনি ভাবছেন, যেহেতু ডাক্তার লিখেই দিয়েছে যে ছয় মাস বা একবছর পর চেকআপের জন্য যেতে হবে, সেহেতু ইনভাইটেশন লেটার বা অন্যান্য প্রেসক্রিপশন কেন লাগবে।

কিন্তু লাগবে। আপনি পুনরায় যখন ভিসার জন্য অাবেদন করতে যাবেন, তখন আপনার যা যা লাগবে:

১. ইন্ডিয়ান ডাক্তারের পক্ষ থেকে ইনভাইটেশন লেটার
২. ইন্ডিয়ান ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র
৩. শেষবার ইন্ডিয়া থেকে আসার পর যদি দেশের কোন ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র, টেস্ট/রিপোর্ট থাকে, সেগুলো (সর্বশেষ ৬ মাসের)
৪. ইন্ডিয়া যাওয়ার পর যদি ছয় মাসের বেশি পার হয়ে গেলেও প্রথমবার যে ডাক্তারের রিকমেন্ডেশন দিয়েছিলেন, সেই ডাক্তারের পুরানো প্রেসক্রিপশন ও টেস্ট/রিপোর্ট দিতে হবে।

এর সাথে বাকি যেসব কাগজপত্র আগে উল্লেখ করেছি, সেগুলোও দিতে হবে।

ছয় মাস আগেও দ্বিতীয়বার যেতে শুধু ইন্ডিয়ান ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র এবং ইন্ডিয়ান ডাক্তারের ইনভাইটেশন লেটার দিলেই হতো। কিন্তু গত সপ্তাহে একজনের আবেদনপত্র জমা দিতে গিয়ে জানা গেল যে এখন এগুলোও দিতে হবে।

ইন্ডিয়ান হাই কমিশন বা ভিসা সেন্টারের লোকগুলো খুবই আনপ্লেজেন্ট। ক্ষণে ক্ষণে নিয়ম বদলায় এবং আপনি কোন ব্যাখ্যা চাইতে পারবেন না।

ভালো থাকবেন।

২১| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি পরোপকারী এবং তথ্যবহুল (কিন্তু মোটেই তথ্যভারে ভারাক্রান্ত নয়) পোস্ট লিখার জন্য প্রথমেই আপনাকে সাধুবাদ এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
ভিসা সেন্টারের লোকজন কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো যেভাবে সাজানো গোছানো দেখতে চায়, আপনার এ লেখাটাও ঠিক সেরকমই সাজানো গোছানো, ছিমছাম, প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ এবং বাহুল্যবর্জিত। এ কারণেই পোস্টটাকে আমার খুব ভাল লেগেছে এবং সেজন্যেই পোস্টটিকে আমি প্লাস + + দিয়ে "প্রিয়"তে তুলে নিলাম।

আমি অতি সম্প্রতি একজন রোগীর এ্যাটেনড্যান্ট হিসেবে ভারত ঘুরে এলাম। রোগীর এবং আমার নিজের ভিসা দরখাস্ত ফর্ম আমি নিজেই, কিছুটা ছেলের সাহায্য নিয়ে পূরণ করেছিলাম। কোন অসুবিধে হয়নি। তবে ফর্ম জমা দেয়ার প্রথম পদক্ষেপটাতেই একটা বড় ভুল করেছিলাম। নিকটস্থ গুলশানের পরিবর্তে ফর্ম জমা দেয়ার জন্য শ্যামলী চলে গিয়েছিলাম, যেখানে পর্যটক ভিসার আবেদনপত্র জমা নেয়া হয়ে থাকে। ব্যাপারটা আরো জটিল করে ফেলেছিল সেখানকার লোকজন ফর্ম না পড়েই আমাদের দু'জনের মধ্যে একজনের ৬০০ টাকা গ্রহণ করে ফেলেছিল। তখনো আপনি এ পোস্টটা লিখেন নি, নাহলে এত বড় ভুলটা করতাম না। :)

যাহোক, ফিরে এসে গুলশানের সেন্টারে ঠিকঠাক মতই আবেদনপত্র জমা করতে পেরেছিলাম। উপরোক্ত জটিলতার কারণেই হয়তো বা ৩ কার্যদিবস এর পরিবর্তে ছুটিছাটার দিন মিলিয়ে আমার ভিসা পেতে মোট ১৭ দিন সময় লেগেছিল। নিজের অভিজ্ঞতার কথাটা এখানে শেয়ার করলাম এ কারণে যেন অন্য কেউ ভুল করে এরকম ভুল না করে বসেন।

ভিসা ফী বাবদ ভারত কোন ফী নেয় না, তবে পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকমত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিসা প্রসেস করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট (এ ক্ষেত্রে ভিসা সেন্টার) ভিসা প্রসেসিং ফী হিসেবে ছয়শত টাকা নিয়ে থাকে। বিষয়টি ১৮ নম্বর মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যে স্পষ্টিকরণের জন্য আপনাদের উভয়কে ধন্যবাদ।

পাঠকের মন্তব্যগুলোকে আপনি গুরুত্বের সাথে পড়েছেন এবং পাঠককে বেশ সমীহ করে উত্তর করেছেন, এ বিষয়টি ব্লগের অন্যান্য পোস্টগুলোর সাধারণ মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের চেয়ে একটু স্বতন্ত্রভাবেই উজ্জ্বল হয়ে চোখে পড়লো, তাই এজন্যেও আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমি নিশ্চিত, আপনার এ পোস্ট অনেকেরই কাজে আসবে। তা যদি আসে, তবে তার জন্য নিশ্চয়ই আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামিন আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। দীর্ঘদিন পরও আমার পোস্টে লম্বা এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য। এমনিতেও আপনি সবসময়েই বড় মন্তব্যই করেন।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি নিজের কাজ নিজে না করা আমাদের জাতীগত একটা অভ্যাস। তবুও কিছু মানুষ নিশ্চয় আছেন যারা নিজেরাই নিজেদের কাজগুলো করতে চান, কিন্ত পর্যাপ্ত এবং সঠিক তথ্য ও প্রক্রিয়া জানা না থাকাতে কাজটা করতে পারেন না। আটকে যান। তাঁদের জন্যেই আমি এই টুকিটাকি বিস্তারিত লিখে রেখেছি। ইনফ্যাক্ট, এই লেখা আমার নিজেরও কাজে লাগবে যদি পরবর্তীতে আবার ভারত যাওয়া লাগে। সবকিছুতো আর মুখস্ত থাকে না। বয়স হচ্ছে।

এই লেখাটা অনেকেই প্রিয়তে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। কিছু কবিতা, কিছু গল্প, কিছু হাসি-গান, কিছু ফ্যান্টাসি-আনন্দ আর কিছু সিরিয়াস কথার মাঝে দরকারি কিছু তথ্যও এই ব্লগেরই অনুসঙ্গ নিশ্চয়। আর সবশেষে যেটা বলেছেন, আমিও মনে করি যদি এই পোস্ট কারো কাজে লাগে, তবেই আমার ভালোলাগাটা পূর্ণতা পাবে।

ব্লগে শেষ লেখা দিয়েছি ঈদের আগে, একমাস পূর্ণ হলো বোধ হয় আজ। ব্যক্তিগত কিছু অস্থিরতায় লেখা হয়নি নতুন কিছু। আপনার মন্তব্য পেয়ে মনে হচ্ছে আবারও দ্রুত লেখা শুরু করা উচিৎ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

্েজাহা বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: তিনবছর পর কে তুমি পাঠক বর, এখানে দাঁড়ালে তিষ্টক্ষণ...!!


ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু এ পোস্টের বেশ কিছু বিষয় এখন অবসোলেট হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.