নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে সাজেকের মেঘ এরকম সাগর হয়ে যায়
মেঘকাব্যের সংলাপে পাবেন সাজেক ভ্রমণ গাইডিংয়ের প্রথমপর্ব। ফেইসবুকে থাকার প্রধানতম কুফল হিসেবে একসময় দেখলাম কিছু লিখতে গেলেই পাঁচ লাইনের বেশি লিখতে পারি না। আমি লেখাকে যতই চিউইংগাম ভাবি, সে ততই সিগারেট হয়ে যায়। অগত্যা বছর দুই আগে ফেইসবুক ডিঅ্যাক্টিভেটেড করে দিলাম পার্মানেন্টলি। তারপর থেকেই লেখা বড় করার চেষ্টা করছি। হচ্ছেও। ভালো খবর, কিন্তু সাজেকের এই লেখাটা আবার বেশি বড় হয়ে সামুর স্ট্যান্ডার্ড পার হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তাই দু’বারে দিচ্ছি।
যাই হোক, সাজেকে খাওয়াদাওয়া নিয়ে একটু সমস্যা আছে। এই ২০০০ ফিট উপরে তো চাইলেই আর আলু-টমেটোর বাগান করা যায় না, খাবারের অতিরিক্ত যোগান নেই তাই। খাবারের জন্য রেস্টুরেন্টগুলোতে আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে। রেস্টুরেন্টগুলো অর্ডার না পেলে কোনো ধরনের খাবার বা নাশতা প্রস্তুত করবে না। বাঁশের মধ্যে ঢুকিয়ে রান্না করা এক ধরনের মেন্যু এখানে পাওয়া যায়, ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ব্যবহার্য পানিরও খামতি রয়েছে সাজেকে। অনেক নিচের একটা ঝরনা (এরা বলে ছড়া) থেকে গাজী ট্যাংকে করে পানি আনা হয়। রিসোর্টগুলো এই পানি প্রতি ট্যাংকি ১০০০ টাকা করে কেনে। তাই পানির ব্যবহারে সতর্ক থাকা ভালো। তবে খাবার পানির কোন সমস্যা নেই। দোকান থেকে ইচ্ছেমত কিনতে পারবেন।
স্থানীয় পরিশ্রমী কিশোরীরা অনেক নিচের ঝরণা থেকে পানি আনতে যাচ্ছে
আরেকটা ব্যাপার। এখানে ইলেক্ট্রিসিটি নেই। স্থানীয় সেনাপ্রসাশন ও রিসোর্টগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেনারেটর এবং সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে এলাকাটা আলোকিত করার ব্যবস্থা করেছে। এ সব কারণে এখানে থাকার কস্টিংটা তুলনামূলকভাবে বেশি পড়ে। আর ভুলেও এখানে এসির জন্য আবদার করবেন না। সরকারী দুই রিসোর্ট ছাড়া কোথাও পাবেন না। কিন্তু সুখের কথা হলো, সাজেকে দিনের বেলা রোদ্রের প্রখরতা থাকলেও সূর্য ডোবার সাথে সাথেই আবহাওয়া শীতল হয়ে যায়, তাই রাতে এসির কোন প্রয়োজনই হয় না। আর দিনের তাপ কমাতেই এখানকার রিসোর্টগুলো অধিকাংশই কাঠের তৈরী। রিসোর্টগুলোয় আড়াই হাজার থেকে আকার ভেদে ছয় হাজার টাকায় ঘর ভাড়া পাবেন।
এখানে আসার সবচেয়ে ভালো সময় হলো বর্ষার পরপর। সেপ্টেম্বর অক্টোবর। এ সময় ঢল নামার সম্ভাবনা কম থাকে কিন্তু পাহাড় থাকে মেঘের চাদরে মোড়ানো, গাছপালা থাকে খুবই সবুজ। এক অদ্ভুত সুন্দর। ভয়ংকর সুন্দর। হুমায়ুন আহমেদ এর ছোট ছেলে নিনিত এর ভাষায় ভয়মকর সুন্দর।
সাজেক সরাসরি সেনানিয়ন্ত্রণে থাকায় এখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই ভালো। চাঁদনি রাতে আপনি তাই সারারাত রাস্তায় বসে দল বেঁধে গান গাইতে পারেন-তুমি চাইলে জ্যোছনা, স্বপ্নীল কোনো এক রাতে, আকাশটা ঘিরে প্রার্থনা.... কেউ আপনাকে আটকাবে না, আপনি কোনো বিপদেও পড়বেন না। রাতে এখানে রাস্তার ওপরই গাড়িগুলো পড়ে থাকে। কেউ হাত দেয় না। আসলে এখানে ঢোকার মুখেই আপনাকে টিকেট করে নিজের এন্ট্রি করাতে হবে, আবার ফিরতি পথে ওই টিকেট ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে আপনার নির্গমন নিশ্চিত করতে হবে, তাই আল্লার কোন বান্দারই এখান থেকে কিছু নিয়ে ভাগার সুযোগ নেই।
অনেকের ধারণা সাজেকে সেনাবাহিনীর রিসোর্টটাই সবচেয়ে সুন্দর বা নিরাপত্তা এখানেই সবচেয়ে বেশি। এ কারণে সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনার মুখে সবাই খালি এই রিসোর্টের বুকিং পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে। সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তার লিংক খুঁজতে থাকে। আর না পেলে মনে করে, ধুর! যামুই না! আমার এক ট্যুরমেট যেমন প্রস্তুতিপর্বে বলেছিল- রুনময় হলো একেবারে পাহাড়ের ভেতরে, রাতে রুনময়ের উঠানে বসে না থাকতে পারলে সাজেক যাওয়া বৃথা! কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখন সাজেকে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর রিসোর্ট তৈরী হয়েছে। আর সবগুলোই রুইলুইপাড়া থেকে কংলাকপাড়া পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে। রাস্তা ছেড়ে ডানে বায়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। নিরাপত্তার কথাতো আগেই বলেছি।
সাজেকে সবকিছুই এমন রঙিণ
সাজেক যাওয়া আসার সময়টাতে স্থানীয় শিশুরা রাস্তার পাশে এসে পর্যটকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাত নাড়তে থাকে। সারা পথজুড়েই আপনি এ রকম দেখতে পাবেন। ওদের এই সৌজন্যতাবোধ দেখে যাওয়ার সময় আমাদের খুবই ভালো লেগেছিল। কিন্তু সাজেক গিয়ে অন্য গল্প শুনলাম। প্রথম দিকে যখন এ এলাকায় সমতলের মানুষরা আসতো, বিশেষ করে সেনাসদস্যরা, তখন স্থানীয় আদীবাসীদের বিরুপ মনোভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে তাঁরা ক্যান্ডি, শুকনা খাবার ইত্যাদি আনতো, যেগুলো গাড়ি দেখতে আসা শিশুদের দিকে ছুড়ে দিত এবং যাবার সময় এই শিশুদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়তো। এই হাত নাড়া দেখে দেখে আদিবাসী শিশুদের মনে ধারণা জন্মেছে যে হাত নাড়লেই কিছু একটা পাওয়া যায়! তাই এখন রাস্তায় গাড়িবহর আসলেই ওরা রাস্তার ধারে চলে আসে এবং হাত নাড়তে থাকে।
আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। কিভাবে কিভাবে আমরা সমতলের মানুষরা নিজেদের অজান্তেই ওদেরকে ভিক্ষায় নামিয়ে দিলাম। অথচ পাহাড়ীরা সাধারণত খুবই আত্মমর্যাদাবান এবং পরিশ্রমী হয়ে থাকে। বছর দশেক আগে বান্দরবান ট্যুরে চিম্বুক থেকে ফিরছি, হঠাৎ দেখি বৃদ্ধা এক মহিলা এক কাঁদি কলা নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছে। বিষণœ ওই ছবিটা আমাকে এতটাই আঘাত করেছিল যে আমার চোখে এখনও জীবন্তই রয়ে গেছে। পড়তি বিকেলের কমে আসা আলোয় দুর্গম, জনশুন্য পাহাড়ী এই রাস্তায় কে ওনার কলা কিনবে ভেবে পেলাম না। ওই বৃদ্ধার শরীরী ভাষা ছিল পরাজিত মানুষের কিন্তু আত্মসন্মানের কোন খামতি ছিল না। কিন্তু সাজেকের এই শিশুরা বড়ই হচ্ছে আমাদের মেকি ঠাঁটবাটের কাছে হার মেনে হাত পাততে শিখে। আমাদের চাকচিক্যময় জীবন দেখে স্বকীয়তা ভুলে আমাদের মতই মেকি হয়ে উঠছে এরা।
ছুড়ে দেওয়া বস্তু নিতে রাস্তার মধ্যিখানে চলে এসে শিুশু আহত হওয়ার মত ঘটনা ঘটার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সেনা প্রশাসন গাড়ি থেকে কিছু ছুড়ে না দিতে ট্যুরিস্টদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে। আপনারাও এ রকম কিছু ছুড়ে দেবেন না।
এরকম আঁকাবাঁকা আর উঁচুনিচু পথ বেয়েই যেতে হবে সাজেকে
আগের পর্বে মন্তব্যের ঘরে পাগলা জগাই বলেই ফেলেছেন যে ক’বছর আগে সাজেককে যেমন দেখে এসেছিলেন, তার সাথে মেলে না এখনকার সাজেক। মেলার কথাও না। যে কোন সুন্দরকে খুব দ্রæত ধ্বংস করতে আমাদের আগ্রহ ও ক্ষমতা অসীম। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে যে কোন দর্শনীয় স্থানের কথাই ভাবুন না কেন, তার সাথে বিশ বছর আগের ওই একই যায়গার তুলনা করলেই দেখবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করতে আমরা কতবড় ওস্তাদ মানুষ। মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকার সাজেকে যেভাবে দ্রæত স্থাপনা গড়ে উঠছে, আর যে হারে ট্যুরিস্ট এসে এলাকাকে নোংড়া করছে, ট্যুরিস্ট নিয়ন্ত্রণ বা পরিবেশ রক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে সাজেকও গুলিস্তান হতে সময় নেবে না।
প্রসঙ্গ থেকে সরে গেছি। আবার ভ্রমণে ফিরে আসি। সাজেক থেকে ফিরতি পথে আপনাকে আবার খাগড়াছড়ি হয়েই ফিরতে হবে। খাগড়াছড়িতে কিছু সময় কাটাতে চাইলে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারেন, ওখানে এক্কেবারে প্রাকৃতিক একটা গুহা আছে। জেলা পরিষদ পার্কে গিয়ে ঝুলন্ত ব্রিজে দোল খেতে পারেন, জলপাহাড় পার্ক যেতে পারেন এবং অতি অবশ্যই রিছাং ঝরণায় মন ভেজাতে পারেন। এই ঝর্ণাতেই মনে হয় সবচেয়ে প্রশস্ত পাটাতন রয়েছে। তবে আপনি চাইলে রাঙামাটি হয়েও সাজেক যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে রাঙামাটি, তারপর কপ্তাই লেক-শুভলং-মারিশ্যা-দীঘিনালা রুটে বোট জার্নি। আরো এক্সাইটিং আর ওয়াইল্ড রুট এটা। তবে আমি যেহেতু ওই রুটে আসিনি, বেশি কিছু বলতে পারবো না।
আমার গল্প এখানেই শেষ। সবাই সাজেক ঘুরে আসুন। শুভ ঘুরান্টি। পুরোনো এক ব্লগার নুশেরাএই শব্দটা আবিষ্কার করেছিল। (এইসব চমৎকার ব্লগাররা কেন যে হারিয়ে যায় কে জানে, পরে এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে)
সংযোজন:
//সাজেক ভ্যালিতে শুধু রবি আর এয়ারটেল এর নেটওয়ার্ক আছে
//সঙ্গে অডোমস এবং ফাস্ট এইড রাখা ভালো
// স্থানীয় লোকদের সাথে বিতর্কিত কোন বিষয়ে কথা না বলাই ভালো
ক্যামেরার পেছনে: হান্নান ও মার্গুবুল্লাহ
২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনিতো দেখছি আমার নিয়মিত পাঠক। বাহ, ভালো লাগলো। দ্রুত চলে যান সাজেকে। এই সেপ্টেম্বরে আবার যাবো, চলেন একসাথে যাই।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সাজেক ভ্রমন পর্ব ২ ভাল লাগলো।তবে আরো কিছু ছবি দেখতে ইচ্ছা করছে।
শুভেচ্ছা রইল।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আরো ছবি দিতে গেলে আবার ফটোব্লগ হয়ে যাবে, আমি ফটোব্লগ পছন্দ করি কম। আপনার বেবিকে নিয়ে ওখানে ঘুরে আসুন না, আসলেই সুন্দর।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভালো লাগল। আরো কিছু ছবি দেখতে মন চাচ্ছিল?
ওখানকার চান্দের গাড়িটা খুব মজার, রোমাঞ্চকর।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: সাজেক গেলে অবশ্যই চাঁন্দের গাড়ির ছাদে করে যাবেন, সত্যিই রোমাঞ্চকর। যখন নিচের দিকে নামতে থাকে, এতটাই উলম্ব যে মাঝে মাঝে মনে হয় উল্টে যাবে।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভাই ইচ্ছা করছে এখনই চলে যাই।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিও তো চাই, সবাই ওখানে যাক। এত সুন্দর একটা প্লেস। সুন্দর কোনকিছুই একা উপভোগ করা যায় না। ওখানে আপনি একা গেলে যত ভালো লাগবে, দলবল নিয়ে গেলে দেখবেন আরো ভালো লাগছে। তবে, দলবল নিয়ে গেলে আপনার ফটোগ্রাফীতে অসুবিধা হবে নিশ্চয়!!!
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮
রোদ্দূর মিছিল বলেছেন: ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন।
২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপ্নে আছেন তাইলে। আর্মি ভাব্লাম, আবার হাইবারনেশনে গেছেনগা... ভালো থাকেন।
দাপ্তরিক ব্যস্ততায় আসলে ব্লগর ব্লগর করাটা খুবই কঠিন
৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
তবে পরিবেশ বেশি মানুষের যাতায়াতে খারাপের দিকে মোড় নিচ্ছে। আর জায়গা অল্প হওয়াতে ভীড়ভাট্টাও ইদানিং বেশি হচ্ছে।
তবে ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশটা অসাধারণ লেগেছে।
আজকে আমার পোস্টেও সাজেকের রাস্তায় একটি ছোট বাচ্চার দৌড়ের ছবি ব্যবহার করেছি।
ভালোলাগা পোস্টে।
২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়েছি, ওই ছবিটা খুবই সিন্ধ ও সতেজ। ওটা বোধহয় আগের ছবি, আমি গিয়ে খুব নোংড়া পেয়েছি।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
সুমন কর বলেছেন: পরিপাটি এবং গোছানো পোস্ট। ভালো লাগা রইলো।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: থ্যাঙ্কু স্যার, কিন্তু আপনি কই? দেখি না কেন?
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক আগে আমি যখন খাগড়াছড়ি বেড়াতে গিয়েছি তখন এতো গোছানো ছিল না ওখানে | জয়পুরের আদলে বাড়িগুলোর পিঙ্ক কালার দেখে ভালোই লাগলো | ট্যুরিজমের জন্য এই ধরণের যান অর্থডক্স চিন্তাভাবনার দরকার আছে | আপনার ঘুরান্টির জন্য পুরোনো জায়গা নিয়ে অনেক নতুন জিনিস জানা হলো | আপনার আরো শুভ ঘুরান্টির (শিওরতো যে টাইপো ছিল না ওটা? জাস্ট কিডিং) অপেক্ষায় রইলাম |
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান পড়ার জন্য। আর আপনাকে নতুন কিছু জানাতে পেরেছি দেখে ভালো লাগছে। নেক্সটবার দেশে আসলে আবার না হয় ঘুরে আসবেন। ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম আবার, তাই আপনার মন্তব্য দেখতে দেরি হয়ে গেল।
শুভ ঘুরান্টি কোনো টাইপো ছিলনা। শব্দই ছিল। তবে ওটা নুশেরা'র না বাফড়া'র উদ্ভাবিত। নুশেরা আমার একটা পোস্টে এই শব্দটা বলেছিল।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
মিরোরডডল বলেছেন: সুন্দর
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: বেসম্ভব সুন্দর।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
আল আমিন সেতু বলেছেন: আমার ফ্রেন্ড গেছে আমাকে রেখে, কবে যাওয়া হবে মেঘের সাগরে! ভাবতেই হারিয়ে যায়। শুধু ছবিই দেখে যাচ্ছি। শেলের মতো বিধে ছবিগুলো।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকদিন তো হলো, গিয়েছিলেন কি মেঘের সাগরে?
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:২৩
রাকু হাসান বলেছেন: ছবির সাথে সুন্দর লেখা ,ভাল লাগলো
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালো আছেন বিদ্রোহী কবি?
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মাঝে মাঝে সাজেকের মেঘ সাগরের মত মনে হয়- ঠিক এই কথাটা আমার মনে হয়েছে অনেকবার, এমনকি একবার সাজেক থেকে ফিরবার সময় হুট করে সমুদ্রে চলে গিয়েছিলাম অফিস ফাঁকি দিয়ে। কাপ্তাই লেক হয়ে ফিরে আসাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। নেক্সটবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
সাজেকে খাবারের বিষয়ে শুরুতে বেশ ঝামেলা ছিল, এখন সেইটার কিছু সমাধান হইসে, আপনি কোথায় খেলেন এবং খাবার কেমন ছিল জানতে ইছে হল।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার প্রচুর ঘুরতে মন চায়, কিন্তু কি করবো বলেন- ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর.... এই আগামী পর্শু যাওয়ার কথা ছিলো ওদিকে, গতকালকেই ক্যানসেল হয়ে গেলো।
আর সাজেকে এখন খাওয়া দাওয়া সমস্যা নয়, একটু আগেভাগে জানিয়ে রাখলেই সব পাওয়া যায়। বছর দুই আগের পোস্ট এটা, আমরা খেতাম যে হোটেলে তার নাম তাই ভুলে গেছি। তবে খাবার ভালো ছিলো। ওই হোটেলে টেবিলে পানি সার্ভ করতো মাটির সুরাহিতে.... পানিতে একটা প্রাকৃতিক ঠাণ্ডাভাব থাকতো.. খুবই সুন্দর।
দুটো পোস্টই পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বাই দ্য ওয়ে, আমি কিন্তু যশোরের।
১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনি কি যশোরে থাকেন? আবার সাজেকের দিকে গেলে জানাবেন। যে হোটেলে মাটির সুরাহিতে পানি দেয়া হত সেখানে আপনার জন্য ডিনারের আমন্ত্রণ রইলো।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১
পদ্মপুকুর বলেছেন:
যশোরে নাড়ির টান, ঢাকায় আমার কান.... কান টানলে মাথা আসে, আমিও যশোর গেলে ঢাকা ফিরে আসি....
গত ২০ বছর ধরেই এসব নিয়েই ঢাকা আছি। আবার সাজেক গেলে অবশ্যই আপনাকে স্মরণ করবো স্যার।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ২য় পর্ব বেশ ভাল লাগল।
হয়তো কোন একদিন যাব সেদিন পর্যন্ত সাজেক তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখুক।