নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে প্রায়শই ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে পোস্ট আসে। আমাদের দেশে মূলধারার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনায় ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে বিশদ পড়াশুনার সুযোগ নেই। পাশাপাশি, বাংলাদেশে কার্যরত ইসলামী ব্যাংকগুলোর পুরোমাত্রায় শরীয়াহ পরিপালনের চেয়ে ‘ধর্মীয় আবেগ’ কাজে লাগাতে বেশি উৎসাহী হওয়ার কারণে আখেরে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কেই সাধারণ জনমানসে ভুল ধারণা তৈরী হচ্ছে। এ কারণে ব্লগে আসা পোস্টগুলোও সচরাচর ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে নেতিবাচক হয়।
শুরুতেই একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। ইসলামী ব্যাংকিংব্যবস্থা এবং বাংলাদেশে এই ব্যবস্থায় পরিচালিত ব্যাংক, এই দু’টি ভিন্ন আলোচনার বিষয়। কোন ব্যাংক যদি পুরোপুরিভাবে শরীয়াহ পরিপালন না করে বা করতে না চায়, সেটা তো আর ইসলামী ব্যাংকিংব্যবস্থার ভুল বা দুর্বলতা হতে পারে না। যেমনভাবে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে চলা দেশ মানেই পুরোপুরি গণতন্ত্র মানা দেশ নয়। আমাদের দেশও গণতান্ত্রিক দেশ এবং বর্তমানে এই দেশ কিভাবে চলছে সেটাও সবাই জানে। তার মানেতো আর এই না যে ‘গণতন্ত্র’ বিষয়টাই ভুল।
আমার বক্তব্যটা এখানেই। আমাদের দেশে পরিচালিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভুল, দুর্বলতা, ব্যর্থতাগুলোকেই অধিকাংশ মানুষ ইসলামী ব্যাংকিংব্যবস্থার দুর্বলতা বা ভুল বলে চালিয়ে দিতে চায়। আর বারাকাতীয় প্রপাগাণ্ডার ফলে সেই ভুল ধারণাগুলো ক্রমেই স্থায়ী বিশ্বাসে পরিণত হতে থাকে। একইসাথে আমাদের ঈর্ষাকাতর হুজুর সমাজও ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন। তাঁদের অনেকের মন্তব্যে মনে হয়, ন্যূনতম ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা যেখানে রয়েছে, তার চেয়ে পুরোমাত্রায় সুদভিত্তিক ব্যাংকিংই ভালো।
প্রচলিত ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুরুর প্রায় সাড়ে ছয়শত বছর পর শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক ধারা শুরু হয়। ধারণা করা হয় যে ১৬ শতকে ইতালিতে প্রথম সনাতনী পদ্ধতির ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেটি প্রধানত সুদভিত্তিক, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার উম্মেষ ঘটে। অন্যদিকে শরীয়াহ মূলনীতির ভিত্তিতে গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। যার প্রথম দৃষ্টান্ত দেখা যায় ১৯৫০ এর শেষের দিকে পাকিস্থানের গ্রাম অঞ্চলে (রডনি উইলসন, ব্যাংকিং এন্ড ফিন্যান্স ইন দ্য এরাব মিডল ইস্ট- সেন্ট মার্টিনস প্রেস, নিউ ইয়র্ক- ১৯৮৩ এবং সেনজিজ ইরল ও রাদি আল বিদৌর, এটিচিউডস, বিহেভিয়র এন্ড প্যাট্রোনেজ ফ্যাকটরস অব ব্যাংক কাস্টমারস টুয়ার্ডস ইসলামিক ব্যাংকস- ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ব্যাংক মার্কেটিং, ভলিউম ৭, ১৯৮৯)।
এর পর এই ধারার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয় মিশরে অর্থনীতিবিদ আহমেদ আল নাজ্জার এর হাত ধরে। ১৯৬৩ সালে তিনি মিটগামার শহরে ‘মিটগামার সেভিংস প্রজেক্ট’ চালু করেন, যা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ইসলামি ব্যাংকিংয়ের শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়। ১৯৬৮ সালে সরকারকর্তৃক এই প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলেও ততদিনে মিশরে আরো ৭টি একই ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে আধুনিক ইসলামি ব্যাংক হিসেবে দুবাই ইসলামিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মূল কথাটাই হলো আর্থিক লেনদেনে সুদ বর্জন করা। ইসলামী ব্যাংকগুলোও প্রচলিত ব্যাংকের মতই গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে কিন্তু প্রচলিত ব্যাংকগুলোর মত লোন দেয় না। তারা বিনিয়োগ করে এবং এই বিনিয়োগ থেকে পাওয়া মুনাফার একটা অংশ চুক্তি অনুযায়ী গ্রাহককে ফেরত দেয়। এই লোন দেওয়া এবং বিনিয়োগের পার্থক্য কি, সেটা অন্য আলোচনায় বিস্তারিত বলবো।
প্রথমত আমাদেরকে জানতে হবে সুদ কি এবং কিভাবে কাজ করে। মূলত, নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার উপরে পূর্বনির্ধারিত হারে যে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়, সেটিই সুদ। যে কোনো পরিস্থিতিতে এই সুদের হার নির্দিষ্ট থাকে। এই নীতি মেনে প্রচলিত ব্যাংকগুলো আপনার আমানতের বিপরীতে পূর্বনির্ধারিত হার, ধরুন সেটা ১০ শতাংশ, সে হিসেবে ১০ শতাংশ সুদ মূল টাকার উপরে অতিরিক্ত টাকা দেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক তার ব্যবসায় লাভ করুক বা লোকসান দিক, গ্রাহক তার মূল টাকার উপরে ১০ শতাংশ বেশি টাকা পাবেই।
অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকগুলো বলছে, না, আমি তোমার টাকার উপরে ১০ শতাংশ বেশি দিবই, এটা আমি নিশ্চিত করতে পারবো না। তবে হ্যাঁ, আমি তোমার টাকা দিয়ে ব্যবসা করবো, আমার ব্যাংকের এক্সপার্ট টিম গবেষণা করে দেখেছে যে, বাজারে এ মুহূর্তে আমার ব্যাংকের যে পরিমাণ টাকার বিনিয়োগ আছে, তাতে করে বছরর শেষে ১০ শতাংশের মত মুনাফা করা সম্ভব। সে হিসেবে আমরা বছর শেষে তোমাকে ১০ শতাংশ মুনাফা দিব। কিন্তু যদি আমরা ৯ শতাংশ মুনাফা করি, তবে তুমিও ৯ শতাংশ মুনাফা পাবে, আর যদি ১১ শতাংশ মুনাফা করি, তবে তুমিও ১১ শতাংশ মুনাফা পাবে। অথবা, আমি যদি কোন মুনাফা করতে না-ই পারি, তবে তুমিও কোন মুনাফা পাবে না।
আপনাদের যাদের ইসলামী ব্যাংকগুলোতে অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা যদি অ্যাকাউন্টের দীর্ঘমেয়াদী স্টেটমেন্ট ফলো করেন, তাহলে দেখবেন সেখানে বছর শেষে একবার প্রভিশনাল মুনাফা হিসেবে ১০ শতাংশ মুনাফা যোগ হয় এবং কিছুদিন বাদে ব্যাংকের মোট মুনাফা হিসেব নিকেশ হওয়ার পর আবারো মুনাফা যোগ হয়।
এখন প্রশ্ন হলো, আমানতকারী হিসেবে আমি কি কোনসময় লোকসানের ভাগীদার আমি হয়েছি? উত্তর হলো, না। কারণ, ব্যাংকের মুনাফাটা হিসেব হয় মোট বিনিয়োগের বিপরীতে। যেখানে হয়তো ১০টা বিনিয়োগে ব্যাংক লস করেছে, কিন্তু ৯০টা বিনিয়োগে লাভ করেছে। তাই দিন শেষে ক্ষুদ্র আমানতকারী হিসেবে আমাকে কখনোই লোকসানের ভাগীদার হতে হয়নি।
ইসলামী ব্যাংকিংব্যবস্থায় আমানতকারীর আমানতের বিপরীতে মুনাফা দেওয়ার পদ্ধতি সরল বাংলায় এটাই। এখন কোন ইসলামী ব্যাংক এই মূলনীতি কতটুকু অনুসরণ করছে, আদৌও অনুসরণ করছে নাকি নির্দিষ্ট একটি উচ্চহার বলে বড় কোন কর্পোরেট ক্লায়েন্টকে আকৃষ্ট করছে, সেটা একান্তই ওই ব্যাংকের ব্যর্থতা। ইসলামী ব্যাংকিংব্যবস্থার কোন ভুল নয়।
আপাতত এটুকুই। পরের পর্বে বিনিয়োগ নিয়ে বলবো।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর বিষয়।
বাকিটার জন্য অপেক্ষা..................।
ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: সাধারণ ব্যাঙ্কিং হচ্ছে সামনাসামনি নাক দেখানো।ইসলামিক ব্যাঙ্কিং হচ্ছে ঘুরিয়ে নাক দেখানো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
মাত্র ৫০ বছর বয়সের একটা আর্থিক ব্যবস্থা যখন প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো একটা ব্যবস্থার সাথে পাল্লা দিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকে, সফল হয়, তখন সেটাকে আপনার বক্তব্যের মত সহজ সমীকরণ দিয়ে আটকে রাখলে শুধু নাকটাই দেখা যাবে, মুখ-চোখ-কপাল ঠোট কিছুই দেখা যাবে না। তাতে করে মুখমণ্ডলের অধিকারীর কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না।
ইসলামী ব্যাংকিংব্যবস্থা অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং অবশ্যই অংশীদারীত্বমূলক। যার কারণেই সাম্প্রতিককালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সুদভিত্তিক ব্যাংক হুমকির মুখে পড়লেও শরীয়াহ ব্যাংকগুলোতে এর কোন প্রভাব পড়েনি।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩
বরুন মালাকার বলেছেন: জনাব সাপুড়ে সরলিকরণ নয়, জানা দরকার।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যদি দয়া করে নীচের লিংকটা পড়ে মন্তব্য করেন , তাহোলে অনেক কিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে ----
ইসলামি ব্যাংক যে কায়দায় ইসলামি হয়েছে যৌনপল্লীকেও সে কায়দায় ইসলামি করা যায়।
ইসলামি ব্যাংক যে কায়দায় ইসলামি হয়েছে যৌনপল্লীকেও সে কায়দায় ইসলামি করা যায়।
কোরান সরল সুদকে হারাম করেনি করেছে চ্ক্রবৃদ্ধি সুদ কে , সুরা আল ইমরান আয়াত ১৩০ --- হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমত: এ বিষয়ে আমার ধারণা 'ক্লিয়ার'ই আছে। কোনো সমস্যা নেই। বরং আপনার যদি কিছুটা 'অক্লিয়ার' থাকে, তাহলে মেহেদী পরাগের পোস্টে ১৬ নম্বর মন্তব্যে ব্লগার মদন যা বলেছেন সেটা আবার দেখুন।
দ্বিতীয়ত: কোরান সরল সুদকে হারাম করেনি, কথাটা ঠিক নয়, আপনার জানায় খামতি রয়েছে। সুরা বাকারা'র ২৭৫ আয়াতে বলা হচ্ছে: তারা বলে, ব্যবসা আর সুদ একই, অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম।
এই আয়াতে শুধু যে এন্টায়ার সুদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাই নয়, বরং মেহেদী পরাগের মত আরো অনেকে যে সুদ আর ব্যবসাকে গুলিয়ে ফেলবে, সে কথাও বলা হয়েছে।
তৃতীয়ত: বর্তমান সময়ে একটা পিয়নের পোস্টে চাকুরির জন্যেও ন্যূনতম এসএসসি বা এইচএসসি পাশ করা লাগে, একটা ভালো চাকুরির জন্য নির্দিষ্ট কিছু সাব্জেকটিভ পড়াশুনা লাগে, যেমন ব্যাংকে চাকুরি করতে গেলে বিজনেস গ্রাজুয়েট, অর্থনীতি ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্য বা ইতিহাস, ইসলামিক স্ট্যাডিজ থেকে পাশ করাদেরকে এখানে ওয়েলকাম করা হয় না।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় এই যে, ইসলাম সম্পর্কে কোনরকম পড়াশুনা ছাড়াই, পরিপূর্ণ পড়াশুনা ছাড়াই লোকে ইসলাম নিয়ে বিজ্ঞ মতামত দিয়ে ধন্য হয়ে যাচ্ছে, ইসলামকে আঘাত দিয়ে বলতে পারাটাই এখন ফ্যাশান হয়ে দাড়িয়েছে।
ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১০
এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা বাকারা'র ২৭৫ আয়াতে বলা হচ্ছে: তারা বলে, ব্যবসা আর সুদ একই, অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম।
জী সুরা বাকারার আয়াত গুলোতে সুদকে হারাম করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেই সুদের ধরন সম্পর্কে কিছু বলেনি কিন্তু সুরা আল ইমরানের ১৩০ তম আয়াতে সুদের রুপরেখা চিহ্নিত করা হয়েছে -- -- হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
ইসলামী ব্যাংক টেকনিকাল্লি সুদকে লাভাংশের চেহারা দিয়ে হারামকে হালাল করেছে , সেই একই পদ্ধতিতে যৌনপল্লীকে হালাল করে ফেলা যায় । আপনার মনের মত ১৬ নং কমেন্টের উত্তর মেহেদি পরাগ যথাযথ ভাবে দিয়েছেন ।
সবচেয়ে বড় বিষয় সুদ সক্রান্ত সুরা আল বাকারা এবং সুরা আল ইমরানের আয়াত গুলোকে পাশাপশি বসিয়ে চিন্তা করলে এটা স্পষ্ঠ যে চক্রবৃদ্ধি সুদকেই হারাম করা হয়েছে । আল সুরা আল ইমরানের ১৩০ তম আয়াতে সুদের রুপরেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । ইসলামি ব্যাংক তাদের ধর্ম ব্যবসার কৌশল হিসাবে শুধু সুরা আল বাকারাকে ব্যবহার করেছে এবং সুরা আল ইমরানের ১৩০ আয়াতকে অগ্রাহ্য করেছে ।
ইসলামী ব্যাংক যে কৌশলে সুদকে লাভাংশের মোরক দিয়ে হালাল করে ফেলেছে , সেই কৌশলে যৌনপল্লীকেও হালাল করা যায় । এই ধরনের অপকৌশল ইসলামিক হতে পারে না, কারন এটা ইসলামের সেবা নহে ধর্ম ব্যবসা ।
১৪০০ বৎসর আগে সুদের ধরন ছিল কেউ যদি ১০০ টাকা সুদ নিত তাহোলে বৎসর শেষে তাকে ৩০০০ টাকা বা তারো বেশি দিতে হোত সেই সুদের সাথে বর্তমান সুদকে তুলনা করা যায় না । এখন ১০০ টাকা ধার নিলে বৎসর শেষে দিতে হয় ১১০ কিন্তু ১৪০০ বৎসর আগে দিতে হোত ৩০০০ । এই দুইকে এক করা যায় না , তাই ৩-১৩০ আয়াতে চক্রবৃদ্ধি সুদকে হারাম করা হয়েছে ।
লাভাংশ যে সব ক্ষেত্রে হালাল সেটা কিন্তু ঠিক নহে । ধরুন একজন ব্যবসায়ি ১০০ টাকা দিয়ে জিনিস কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করলো এবং ১০ টাকা লাভ করলো এবং আরেক জন ব্যবসায়ি কারসাজি করে ১০০ টাকার জিনিস ২০০০ টাকায় বিক্রি করলো এবং ১৯০০ টাকা লাভ করলো তাহলে কি ঐ ১৯০০ টাকা লাভ করাকে কি হালাল বলবেন ? এই ১৯০০ টাকা লাভ করা কখনো হালাল হতে পারে না, যদি ওটা ধরন অনুযায়ি লাভ ।
ঠিক তেমনি ভাবে ১০০ টাকা ধার দিয়ে বৎসর শেষে ৩০০০ টাকা ফেরত নিয়ে ২৯০০ সুদ খাওয়ার সাথে , বর্তমানের ১০০ ধারের বিনিময়ে ১০ টাকা সুদ খাওয়ার তুলনা করতে পারেন না । ২৯০০ টাকা সুদ হারাম কারন ওটা চক্রবৃদ্ধি সুদ সেটার সাথে ১০ টাকা সুদের কোন তুলনা চলে না । ধন্যবাদ
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০০
Trifan বলেছেন: ইসলামী ইকোনমিকস ব্যাপারটা জটিল! আমাদের দেশের প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করে যে ইসলামি ব্যাংকগুলো উদিত হয়েছে সেই ব্যাপারটাকে Marketing এর ভাষায় বলে Emotional Marketing! ইসলামি ব্যাংক সুদ দেয় না, মুনাফা দেয়! তর্কের খাতিরে নাহয় মেনেই নিলাম!
.
আমি একটা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত! ইসলামি ব্যাংকিং ধারার কোন ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ চাইলাম, তারাও পর্যালোচনা করে আমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করলো! এখন আমার ব্যবসায়ে ক্ষতি হলে তারা সেই ক্ষতির ব্যাপারটা বহন কি করে?
.
মুদারাবা- যেখানে এক পক্ষ মূলধনের যোগান দেয় এবং অন্যপক্ষ মেধা, শ্রম ইত্যাদি দিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে! সেখানে লাভ-ক্ষতি বন্টন করা হয়.... যার উত্তম উদাহরণ Share Bazar হতে পারে! যদিও আমাদের দেশের শেয়ারবাজার ইনভেস্টমেন্ট কেন্দ্রিক নয়, ট্রেড কেন্দ্রিক!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।