নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙাল মডার্ন হবে। বাঙালের দরকার প্রচুর ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট। বাঙালকে তাই 'প্রচুর' এস্ট্যাবলিশড হতে হবে। তাই, বাঙাল ছেলের কোনভাবেই এস্ট্যাব্লিশড হওয়ার আগে বিবাহ করা যাবে না। হরমোন উথলে উঠলে প্রেম করা যাবে কিন্তু কোনভাবেই বিয়ে করা যাবে না।
কলোনীর বড় আব্বুরা বলে, দ্রুত বিয়ে করলে ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়। বড় আব্বুরা আরও বলেছে, তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট হয় না। পরিবারের কাজ করলে 'মুক্ত' হওয়া যায় না, 'মুক্ত' হতে হয় করপোরেট বসের অধীনে কাজ করলে। কপাল যদি খারাপ হয় তো মাঝে মাঝে বস এটা ওটা করতে চাইলে প্রথমে মেনে নিতে হয়। ক্যারিয়ার বলে তো কিছু আছে, তাই না? তারপর সুযোগ বুঝে me too ক্যাম্পেইন করে নিতে হয়। এতে অনেক প্রগতি হয়।
বাঙাল বাবা মায়েরা মনে করে, ছেলে মেয়েকে বিবাহ দিলে ছেলেভমেয়ে তাদের ভুলে যাবে। কারণ তারা ছেলে মেয়েকে ভুলে না যাওয়ার জন্য যেভাবে শিক্ষিত করতে হয় সেভাবে শিক্ষিত করে না। তারপর জীবনভর টেনশনে ভোগে, ছেলেটা বিয়ে করলে তাদের ইনভেস্টমেন্ট ফেইল করবে! সারা জীবনের ইনভেস্টমেন্ট!!
ছেলে হরমোনের জ্বালায় ছটফট করে। কখনো রোম্যান্টিক ছটফট, কখনো ইরোটিক ছটফট। "গগনে গরজে মেঘ আসে বরষা, খেচে খেচে দিন যায় নাহি ভরসা" আবৃত্তি করে কেটে যায় বাঙাল ছেলের যৌবনকালের অর্ধেক।
ওদিকে বাঙাল মেয়ের অবস্থা আর করুণ। তার একলা একলা লাগে, সেই একলা লাগার ভেতর হরমোনের বায়োকেমিক্যাল চিপা দিয়ে ঢুকে পড়ে কোন ব্যাচমেট বা বড় ভাই। মেয়েরা ছেলেদের মত ডিরেক্ট খেলে না। তারা আগে ক্রিজে সেট হয়, তারপর খেলে। অনেকে আবার সেট হওয়ার জন্য আগেভাগেই খেলে।
এই দেশের ছেলেমেয়েরা রোম্যান্টিক্যালি অ্যান্ড সেক্সুয়ালি পৃথিবীর সবচাইতে ডেপ্রাইভড ইয়ং জেনারেশান। তারা না পারে পুরো মডার্ন
হয়ে ফ্রি লাভের কনসেপ্টে যেতে আর না পারে বিয়ে করে শারিরিক-মানসিক ভাবে থিতু হতে। বাঙাল গার্ডিয়ান তাদের কোনটাই হতে দেয় না। একদিকে বাঙাল কালচার আর ইসলাম, অন্যদিকে মডার্নিটি আর নফসের শাখের করাতে পড়ে বাঙাল তরুন তরুণীর জীবন তামা তামা হয়ে যায়।
তারা বিয়ে করতে পারে না, বাপ মা আর আত্মীয় স্বজন মিলে তাদের বিরুদ্ধে ঘরের ভেতর ইভেন্ট খোলে।
তারা ভ্যালেন্টাইন করতে পারে না শান্তিতে, ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা তাদের বিরুদ্ধে ইভেন্ট খোলে।
সেক্স আর রোম্যান্টিসিজম বেসিক হিউম্যান নিড। এটা পাহাড়ী ঢলের মত। এটাকে হালাল পথ না করে দিলে এটা নিজেই হারাম পথ করে নেয়।
সারা বছর "বিয়া কইরা বউরে খাওয়াবি কি?" অথবা "ও তোকে বিয়ে করে খাওয়াবে কি?" বলে ধমকাবেন, প্রচুর এস্ট্যাবলিশমেন্ট আর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট করে দেবেন, আবার সময়মত আদর্শ মোসলেম হয়ে ভ্যালেন্টাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন, এইসব করে লাভ কী কাকু?
[link|https://www.facebook.com/DUWriters/?hc_ref=ARTzxEoE1xXSjEAcFvphWCp08AaEGfpl_NKOoxkkHvD6S2OqJ66xesDA7eq7DTJtzzE&fref=nf|[ঢাবি শিক্ষার্থীদের লেখালেখি পেজ থেকে নেয়া]]
কোন কোন সময় কিছু লেখা দেখলে মনে হয়, যদি এমন লিখতে পারতাম! ফেসবুকের টাইমলাইনে আসা সময়পোযোগী এমনই একটা লেখা দেখে কপি পেস্ট করার অনভ্যাস সত্ত্বেও দিয়ে দিলাম। লেখার পুরো কৃতিত্বই মুহাম্মদ সজল নামের একজনের।
ছবি: আজকের গুগল ডুডল
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন:
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রম্য করে আমাদের সমাজের কঠিন বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছেন সজল ভাই।
লেখাটি শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সজল সাহেব আসলেই খুব ভালো লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব বলেছেন ভাই।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজীব ভাই, আমি এইটার লেখক নই, কপিকল মাত্র
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফেসবুকে গার্বেজ থাকে বেশীরভাগ
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: অতি বাস্তব কথা। এইজন্যই মনে হয় মুসলিম দেশগুলোতে পর্ণ দেখার হার অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি।