নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-৫)
হাজারীবাগের 'মনোকামনা' হোটেলে পরপর দুই রাত কাটিয়ে তৃতীয় দিন সকাল ন'টায় আমরা বেরিয়ে পড়ি ট্যুরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রাজদেওড়ার জঙ্গলের উদ্দেশ্যে,যার পোশাকি নাম হাজারীবাগ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে প্রকৃতির সান্নিধ্য থেকে রাজদেওড়ার জঙ্গলে নিশি যাপনের সৌভাগ্য হবে কিনা সে বিষয়ে ট্যুরের শুরুতে আমরা যথেষ্ট সংশয়ে ছিলাম।(স্থানটির মহত্ব আমাদের কাছে অন্য একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ যেটি মূল পোষ্টের শেষে উল্লেখ করবো বলে ইচ্ছা আছে)। যাইহোক সরকারি বিধি-নিষেধের সমস্ত পর্ব অতিক্রম করে অবশেষে সুযোগ মিলতেই শুরু হলো এক অজানা আশঙ্কার প্রহর। একইসঙ্গে অদ্ভুত এক অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানিও মনের মধ্যে সমানে দোলায়িত হতে থাকে। যদিও পরক্ষণেই আশঙ্কাকে ঢেকে দিয়ে প্রতীক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবে প্রতিফলিত হাওয়াই এক পরিতৃপ্তি মনো রাজ্যকে আবিষ্ট করে ফেলে। ছোটনাগপুরের এক বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলের মধ্যে বিবদমান জঙ্গলের একটি অংশ রাজদেওড়ার জঙ্গল। এই অংশে জঙ্গলের পরিশীলতা180 কিমির অধিক হবে। অথচ আমরা যেখানে রাত্রি বাস করবো, সেই বনবাংলোটি জঙ্গলের মূল ফটক থেকে দশকিমি অভ্যন্তরে অবস্থিত। উল্লেখ্য বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত না করতে বা তাদের হাত থেকে টুরিস্টদের নিরাপদে রাখতে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে আরো গহীন জঙ্গলে প্রবেশ দণ্ডনীয় অপরাধ।
আগেও উল্লেখ করেছি, জঙ্গলে নিশিযাপন করার পদ্ধতিটি খুব সহজ নয়; যথেষ্ট কাঠ-খড় পুড়িয়ে তবেই অনুমতি পাওয়া সম্ভব। অনুমতি নিতে হয় শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত ঝাড়খন্ড বনদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস থেকে। অনেকেই শুনলে অবাক হবেন যে আজকের ডিজিটাল যুগেও অনলাইনে এমন অনুমতি পত্র সংগ্রহের সুযোগ নেই। যে কারণে আমাদেরও শহরে হাজিরা দিয়ে তবেই অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হয়েছিল। জঙ্গলে প্রবেশের আগে আমাদের যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করতে হয়।জঙ্গলের মধ্যে কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা নেটওয়ার্ক না থাকায় সভ্য সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত অসম্ভব। এ কারণে আমরা প্রবেশের আগে যতটা সম্ভব আপনজনদের সঙ্গে যোগাযোগ পর্ব সেরে নিয়েছিলাম। গোটা একটা দিন থাকার পরিকল্পনা থাকায় জঙ্গলে প্রবেশের আগে নিকটবর্তী ইসাক বাজার থেকে বাজার করে নিয়ে যেতে হয়েছিল। ভরসা ছিল বনবাংলোর কর্মীরাই নাকি আমাদের মত অতিথিদের রান্না পরিষেবা দিয়ে থাকে। সেই মতো হিসেব কষে আমরা আগের দিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিম চাল ডাল সবজি নিয়ে তৈরি হই। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিপত্তি হলো মূল ফটকের সামনে এসে, মস্তবড় একটি তালা ঝোলানো দেখে গাড়ির স্টার্ট গেল বন্ধ হয়ে।একই সঙ্গে উচ্চস্বরে কান্নার আওয়াজ আমাদের আসন্ন অ্যাডভেঞ্চারের কল্পনার দোলানিতে ছেদ ঘটালো। আমার শ্রীমান উচ্চস্বরে কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো,
-আমি জঙ্গলে ঢুকবো না পাপা, আমি জঙ্গলে ঢুকবো না।
ওর মনোজগতের হঠাৎ পরিবর্তনে আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। বিভিন্ন ভাবে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও একই কথা বারবার বলতে থাকে। গেটের পাশেই প্রহরীর কোয়ার্টার । সামান্য ডাকাডাকিতে, কিছুক্ষণের মধ্যেই এক লম্বা চাবি নিয়ে সে গেট খুলে দিল। বাবাই তখনও সমানে কেঁদে চলেছে।ইতিমধ্যে পিছনে দুটি গাড়ি চলে আসাতে আমাদের গাড়ি ওদেরকে রাস্তা ক্লিয়ার করে দিল। আমার সহকর্মীরাও ওকে বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে লাগলো। কিন্তু কোনভাবেই ওকে আশ্বস্ত করতে না পেরে এবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওকে গাড়ি থেকে নামতে বলি। বাধ্য ছেলের মত নেমে এলো আমার ডাকে। উপায়ন্তর না পেয়ে চালক গাড়িটিকে মূল ফটকের বাইরে এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখল। আমরা পিতা-পুত্র জঙ্গলের রাস্তা ধরে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলাম। চারিদিকে বিশুদ্ধ বাতাস সঙ্গে সবুজে সবুজারণ্য, মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকম পাখির কুজন আশপাশের পরিবেশকে অসম্ভব মায়াবী করে তুললো। হাতের কাছেই একটি বনফুলের উপর একটি প্রজাপতিকে দেখে ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই,ও আগ্রহভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। কিছুক্ষণ বাদে এক পা দুপা করে প্রজাপতির দিকে এগিয়ে গিয়ে ধরার চেষ্টা করতেই, প্রজাপতি দিল লম্বা ছুট। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও তাৎক্ষণিকভাবে হেসে ফেললো। এবার আমি ওর ভয় পাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই,
-মূল ফটকে ছবি দেওয়া, জঙ্গলের বসবাসরত বিভিন্ন প্রাণীর ছবি মূলত বাঘ ও সাপের ছবি দেখেই আমার ভয় করছে পাপা।
আমি সস্নেহে ওকে আবার দুবাহুতে জড়িয়ে ধরলাম। পিঠ চাপড়িয়ে আশ্বস্ত করলাম,
-তোমার কোন ভয় নেই বাবা। আমরা যেখানে থাকবো জায়গাটি একেবারেই নিরাপদ।
ও খুব জোরে ঘাড় কাত করে বলে উঠলো,
- আ্যা! ঠিক তো? কোন ভয় নেই তো?
আমি আবারও ওর পিঠে হাত দিয়ে আশ্বস্ত করি,
- না।তোমার কোন ভয় নেই বাবা। তুমি চোখ বুজিয়ে গাড়িতে উঠ, দেখো সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ওর হাত ধরে আমরা আবার গাড়ির দিকে এগিয়ে চললাম। আমাদের ফিরে আসতে দেখে, সবাই একসঙ্গে হেসে ওঠাতে ও লজ্জা পেয়ে গেলো। যাইহোক মেঘের বাঁধা কাটিয়ে উঠে আবার আমরা গাড়িতে উঠলাম। মূল ফটক অতিক্রম করে সাপের মতো আঁকাবাঁকা জায়গায় জায়গায় মোরাম বিছানো পাহাড়-জঙ্গলের রাস্তা ধরে গাড়িটি ক্রমশ এগিয়ে চললো।
বাবাইকে সাধ্যমত আশ্বাস দিয়ে গাড়িতে তুললেও অস্বীকার করব না যে একটা আশঙ্কা ইতিপূর্বে আমার মনোজগতে তৈরি হয়েছিল যেটা ইতিমধ্যে বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাহ্যিক পরিবেশ যথেষ্ট আরামদায়ক হলেও আমার শিরায় প্রবাহিত ঠান্ডা স্রোত অদ্ভুত শীতলতায় আমার সর্বাঙ্গ কাঁপিয়ে তুলেছে। এমতাবস্থায় জঙ্গলে থাকার সিদ্ধান্তটি কতটা সুবিবেচনাপ্রসূত সে প্রশ্ন নিজের অন্তরেই নিরন্তর খুঁজতে থাকি। আমাদের গাড়ির চালক স্থানীয় হওয়ায় ও সাধ্যমত আমাদেরকে আশ্বস্ত করতে থাকে। ওর আপ্তবাক্যে আমাদের বিশেষ ভাবান্তর ঘটেছে এ কথা বলবো না। পাহাড়ি ঝর্ণার চড়াই-উৎরাই রাস্তা ধরে গাড়ি ক্রমশ এগিয়ে চলল। পথিমধ্যে কয়েকটি স্থানে রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। বুঝতে পারলাম দুদিকে পাহাড়ি খাল মাঝে বোল্ডার দেওয়া উঁচু-নিচু বোল্ডারের মধ্যে নুড়ি পাথরের তৈরি রাস্তার উপর যাওয়া রীতিমতো পাল্কি সদৃশ্য বলে মনে হলো। সমান রাস্তায় আমরা আবার দুপাশে গাছগাছালিতে চোখ রেখে চললাম। যদিও মাঝে মাঝে কিছু পাখি ও বাঁদরের নানান অঙ্গভঙ্গি ও কিচিরমিচির ছাড়া তেমন কিছুই চোখে পড়লো না।
হঠাৎ একটি স্থানে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হলো। চালক এবার উচ্চস্বরে কথা না বলতে আমাদেরকে অনুরোধ করলো।আগেই উল্লেখ করেছি চারিদিকে শান্ত প্রকৃতির শাল-পিয়ালের জঙ্গলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো মন না থাকায় একপ্রকার নিষ্প্রভ ভাবে উপস্থিত সকল সদস্যের সঙ্গে নিশ্চুপ থাকলাম। এমন সময় আবার একটা পাহাড়ি ঝর্না চোখে পড়তেই চালক বলে উঠলো,
-এই স্থানগুলিতে হাতির পাল জল পান করতে আসে।
আমরা অপার কৌতূহলে স্থানটির দিকে তাকিয়ে রইলাম। নাহ! হাতি তো দূরের কথা একজোড়া পায়ের ছাপও পর্যন্ত চোখে পড়লো না। স্থানে স্থানে গাড়িটি অত্যন্ত ধীর গতিতে চলতে লাগলো। কখনো কখনো মনে হলো যেন আমরা চরকিতে দুলছি। এরই মাঝে কিছু পরিচিত পাখির ডাক কানে এলেও অপরিচিত কিছুটা ভারী শব্দ আমাদের মনের আতঙ্কের পরিবেশকে যেন কষাঘাত করতে লাগলো। মূল ফটকে দূরত্বটি দশকিমি লেখা থাকলেও বাস্তবে তথ্যটি সঠিক কিনা রীতিমতো সন্দেহ হতে লাগলো। রাস্তা যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না। মাঝে মাঝে কিছু নিম্ন স্থানে জলরাশিকে ইশারা করে ড্রাইভার জানালো,
-হাতির পাল সাধারণত ঝর্নার নিম্ন প্রবাহের স্থানগুলোতে জল খেতে আসে।
ওর বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নয়ন ভরে স্থান গুলোর দিকে দেখতে থাকি।ও নিজেও নাকি একবার আমাদের মতো এরকম একটি দলের জঙ্গল সাফারির সময় হাতির দলের একেবারে সামনা সামনি পড়ে গিয়েছিল। সেদিন স্টার্ট বন্ধ করে চোখ বুঁজে বারেবারে ঈশ্বরের নামে জপ করে। খানিকবাদে চোখ খুলে দেখে হাতিগুলো একটু দূরে সরে গেছে। যদিও পরে কখনো এরকম ঘটনার প্রত্যক্ষ করতে হয়নি। যাইহোক মানসপটে ভীতির আবহ নিয়ে অবশেষে সকাল সোয়া দশটা নাগাদ আমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়।
জঙ্গলের মধ্যে পৌঁছে আমাদের আতঙ্ক অনেকটা দূর হয়।আশপাশের চার-পাঁচটি অতিথি নিবাস সহ একটি অফিসকক্ষ ও একটি ভিআইপি অতিথি নিবাস দেখে জঙ্গলটিকে আর জঙ্গল বলেই মনে হলো না।ইতিমধ্যে পৌঁছে যাওয়া আরও কিছু গাড়ি ও টুরিস্ট দেখে স্থানটিকে ছোটখাটো একটি পিকনিক স্পট বলেই মনে হলো। তাদের পাশ কাটিয়ে চালক আমাদেরকে অফিস কক্ষের সামনে নামিয়ে দিলো। অফিস কক্ষটি চারদিকে পরিখা পরিবেষ্টিত। আমরা সঙ্গের লটবহরকে নিয়ে পরিখা পার হয়ে অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। আমাদেরকে বসিয়ে রেখে কেয়ারটেকার স্নান সেরে নিলেন। পরে আমাদের পরিচয় পত্র যাচাই করে চললেন সোজা রুমের উদ্দেশ্যে।
জঙ্গলে ঢোকার মূল ফটক:-
পরিখার উপর দিয়ে অফিস কক্ষে যাওয়ার রাস্তা:-
জঙ্গলের রাস্তা:-
ক্লান্ত পথিকবর:-
ঝর্ণার জলে সৃষ্ট জলাশয়ে বৈকালিক নৌকাবিহার:-
মানচিত্রে রাজদেওড়া জঙ্গল:-
তখন বিকেল বেলা হঠাৎ হাতির ডাক শুনতে পাই জঙ্গলের এই দিক থেকে।
রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-৩)
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার অন্তরের ভালোবাসা ও অভিনন্দন রইলো প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে প্রিয় ইসিয়াক ভাই আপনাকে। যদিও ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য পেয়ে গেছি। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: রাজদেওড়ার জঙ্গলে যেতে কি বন অধিদফতরের অনুমতি লাগে? যেমন সুন্দরবন যেতে বন অধিদফতরের অনুমতি লাগে।
রাজদেওড়া কি আসলে চিড়িয়াখানা?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
হ্যাঁ জঙ্গলে থাকার জন্য বনদপ্তরের অনুমতি আবশ্যিক। তবে শুধু ঘুরতে গেলে প্রহরীর কাছ থেকে গেট পাস হলেই চলে। সে ক্ষেত্রে সন্ধের আগেই ফিরে যেতে হয়।
হ্যাঁ সুন্দরবনের যেতে অবশ্যই বনদপ্তরের অনুমতির দরকার হয়। আমি নিজে সুন্দরবনের একসময় দোবাকি ক্যাম্প, সজনেখালি পাখিরালয় সহ বেশ কিছু স্থান পরিভ্রমণ করে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত গেছিলাম।সে ক্ষেত্রে আমাদের ট্রাভেলিং এজেন্সী বিট অফিস থেকে যাবতীয় অনুমতি আদায় করে নিয়েছিল।
না না চিড়িয়াখানা হতে যাবে কেন? রাজধানী একটা অভয়ারণ্য। এবার বুঝেছি ভাই কিন্তু পোস্টটি আজ পড়েনি।হাহা হা...
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পড়ে ফেললাম ! চমৎকার ++
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও ছোট্টু আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় সৌরভ ভাই আপনাকে।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো ।আমার নিকের কাছাকাছি নামে [ইসাক বাজার] একটি বাজার আছে জেনে আরো ভালো লাগলো্ ।
মেঘ বাবার ছবিটা সেই রকম হয়েছে। খুব দ্রুত বড় হয়ে উঠছে ও । শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,
আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট পেয়ে আনন্দিত হলাম। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ সেদিন বাজারের নামটি প্রথমে শুনেই আপনার কথা মনে পড়েছিল। হাহা হা....
হ্যাঁ ওর ওয়েটটা ক্রমশ বাড়ছে। কোনরকম রিক্রেয়েশনের সুযোগ নেই। ইতিমধ্যেই ওভারওয়েট হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
জুন বলেছেন: উটি থেকে মহীশুর ফেরার পথে সন্ধ্যায় এক বিশাল কুচকুচে কালো হাতির সামনে পরেছিলাম। ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে তাকে সরে যাবার সময় দিলো। এতই বিশাল বপু যে তাকে পাশ কাটিয়ে যাবার উপায় ছিল না। সেদিন আমরা ও সহপর্যটকরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম পদাতিক। আর থাইল্যান্ডের সুরাট থানির কোহ সামুইর পাহাড়েও এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
ইদানীং কেন জানি নিরিবিলি কোন রিসোর্টে লোকজন না থাকলে একটা অদ্ভুত ভয় আমাকে আকড়ে ধরে। কাউকে মনে হয় বিশ্বাস করতে পারি না। ভুটানের দো চুলা রিসোর্টে সারারাত আমি জেগে ছিলাম এক অজানা আতংকে।
সাথে আছি রাজদেওড়ার বনে আপনাদের সাথেই।। খুব ভালো লাগছে।
+
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপু,
আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতা ধর্মী মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। বড় কালো দাঁত ওয়ালা বন্যহাতিগুলোকে দাঁতাল বলা হয়। বর্ননা শুনে বোঝা যাচ্ছে রীতিমতো ভীতির ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। একইসঙ্গে যেভাবে থাইল্যান্ড ও ভুটানের ঘটনা উল্লেখ করলেন তা থেকে পরিষ্কার এডভেঞ্চার আপনাকে টানলেও অদ্ভুত একটা ভয় এসব ক্ষেত্রে আপনার নিত্য সঙ্গী। আমার ব্যক্তিগত অভিমত আপু এতটা চাপ নিয়ে একান্ত নিরিবিলি না থাকাই বোধহয় শ্রেয়।
সাথে থাকার জন্য ও পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন এবং বর্ণনায় মনে হচ্ছে আমি শুধু পড়ছিই না, যা পড়ছি তাই দেখছি রাজদেওড়ার বনে!
শুভ কামনা জানানোর আগে বলতে চাই - যেকোনো সিরিজ লেখায় বেশীদিনের গ্যাপ থাকলে অধৈর্য্য হয়ে থাকতে হয় সামনের পর্বের জন্য।
ভালো লেগেছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। দুর্বল লেখনীর সঙ্গে সঙ্গে যদি আপনাদেরকে একটু ঘুরিয়ে আনতে পারি তাহলে সেটা আমার উত্তম পাওয়া।
কমেন্টের দ্বিতীয় অংশ প্রসঙ্গে শ্রদ্ধাবনত ভাবে লজ্জায় মাথা পেতে নিলাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সবটাই যে আমার দুর্বলতার জন্য বিলম্ব হয়েছে এমন নয়। জেলা শহরে থাকার কুফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মোদিজির কল্যাণে উগ্রবাদীদের হিংসা বারে বারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে জেলাতেও আসছে পড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে সবার আগে জেলা সদরের উপরে। যে কারণে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারে বারে নেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হচ্ছে।কা আর করার।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরোই এডভেঞ্চারের স্বাদ পাচ্ছি পাঠেও
চলুক রোমাঞ্চকর অভিযান!
আমরা শিহরিত হবার অপেক্ষায়
++++
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হা..... ধন্যবাদ কবি ভাই আপনাকে। আপনি এডভেঞ্চারের গন্ধ পাচ্ছেন শুনে পুলকিত হলাম। সাথে থাকার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
পোস্টে লাইক করাতে ও এতগুলি প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাবিব বলেছেন: ওয়াও ........ কি দারুণ।।।।।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হা.... আপনার প্রাণখোলা অভিব্যক্তিতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা প্রিয় হাবিব ভাইকে।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মেঘের মত আমিও সাপ কে অপছন্দ করি , কেমন একটা শিরশিরে অনুভূতি; আর ও তো এইটুকুন ছেলে।তবে জঙ্গলে রাত কাটানো'র গল্প পড়ার জন্য এখন ই মন আঁকুপাঁকু করছে। সে এক আলাদা অনুভব নিশ্চয়ই।
চমৎকার ছবি আর লেখায় ++++
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন যে সাপের ভয় আমাদের সবার কমবেশি আছে। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। উল্লেখ্য মেঘ ও আপনার সঙ্গে আমিও ভীষণ সাপের ভয় পাই। পরের পর্বে জঙ্গলে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছা আছে। আপনাকে অগ্রিম নিমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
ছবি ও লেখা ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৮
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা! আগের পর্বগুলোও পড়েছি, যথারীতি ভালো লেগেছে; যদিও তখন বলা হয়নি।
ছবিগুলোও ভালো হয়েছে, কোন প্রাণীর দেখাই কি পাননি, প্রজাপতি ছাড়া? নৌবিহারের উপরের ছবিতে কি বাঁধ দেখা যাচ্ছে?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আগের পর্বগুলো পড়েছেন কিন্তু মন্তব্য করেননি, ব্যস্ততার কারণে হতেই পারে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও যে এসেছেন এটাই আমার পরম প্রাপ্তি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবিগুলো ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম তবে জঙ্গলে কি কি প্রাণী দেখা গেছে সে সম্পর্কে তেমন কোনো প্রাণী কথা উল্লেখ করতে পারছিনা। নৌবিহারের ছবিটি যে জলাশয়ের সেটি দূর থেকে আসা ঝর্ণার জলে পুষ্ট। তবে ওটা কোনো বাঁধ নয় আপু।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চমৎকার
ভালো লাগলো
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পোস্টটি ভালো লেগেছে ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।
১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর জায়গা। পানির ব্যকগ্রাউন্ডে হলুদ ফুলগুলোর ছবিটা দারুন লেগেছে
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
হলুদ ফুলটা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ ভালো লাগাতে খুশি হলাম আমরা ধন্যবাদ জানাই।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা প্রিয় ঢাবিয়ান ভাইকে।
১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৭
ইউসুফ হাওলাদার শাওন বলেছেন: ধন্যবাদ
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কিন্তু কেন?
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার মন্তব্যটা মুছে দিয়েছেন? আপনার ম্যাঁওপ্যাঁও কবিতা পড়লাম, তারপরও শান্তি নেই?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বুঝতে পারছি ক্রস কানেকশন হয়ে গেছে।
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, ১৪ নং মন্তব্যটা ভুল পোষ্টে এসে গেছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে। সমস্যা নাই।
১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৯
শের শায়রী বলেছেন: আপনার প্রানবন্ত লেখায় আমিও এক পাক ঘুরে আসলাম রাজদেওড়ার জঙ্গল। আচ্ছা ভাই জায়গাটার নাম রাজদেওড়া কেন? কোন ইতিহাস আছে কি? আমার কাছে সমুদ্রের থেকে জঙ্গল আর পাহাড় বেশী টানে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় শায়রীভাই,
লেখার সঙ্গে ঘুরে এলেন শুনে পুলকিত বোধ করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।না ভাই, রাজদেওড়া নামের তাৎপর্য আমার জানা নেই।
আপনার কাছে সমুদ্র থেকে পাহাড় বা জঙ্গল ভালো লাগারই কথা। সারা জীবন যেখানে দেশ-বিদেশের সমুদ্রে কাটালেন সেখানে সমুদ্রে একঘেয়েমি আসাটা স্বাভাবিক। আমার কাছে অবশ্য দুটি ভিন্ন স্বাদের অনুভূত হয়। সমুদ্রে পরপর এক/ দুদিন কাটালে কিছুটা একঘেয়েমি এলেও জঙ্গলের মধ্যে বৈচিত্র থাকায় সেটা অধিকতর আকর্ষণীয়। আগামী দিনে আপনার জঙ্গল সাফারির অভিজ্ঞতা আমরা ব্লগে শেয়ারের দাবি রাখি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৭
সোহানী বলেছেন: সাহসী বাবার ছেলেতো আরো এক ধাপ সাহসী হবে । মজা করলাম, বাচ্চাদের মনের খবর আমরা সহজে বুঝতে পারি না। সাপকেও ভয় পায় না আবার দড়ি দেখলে ভয় পায়।
অনুমতি সংগ্রহ শুনে আশ্চর্য্য হলাম। আমার ধারনা ছিল ভারত অনেক এগিয়ে ডিজিটাইলাজেশানের ক্ষেত্রে। আরো মজা পেলাম আপনাদরেকে বসিয়ে স্নান করতে গেছে শুনে......হাহাহাহা্ এতো দেখি মহা জমিদার ।
ছবিগুলো সত্যিই টানছে সেখানে যাবার জন্য।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন, এমন সাহসী বাবার এমন ছেলে হওয়াটার স্বাভাবিক। ছেলেকে সাহস যোগাতে গিয়ে বাবা যেখানে সাহস শূন্য হয়ে পড়েছে সেখানে বাবার সাহসিকতার পরিচয় আলাদাভাবে পাঠকমহলে দিলে তারা-ই না আবার ভয়ে ব্লগ ছেড়ে চলে যায়। হাহা হা...
হ্যাঁ অনুমতি ব্যাপারটি শতভাগ খাঁটি। তা সত্ত্বেও ভারত এগিয়ে গেছে বলে মোদীজি দাবি করতেই পারেন বা আপনার অনুমানও মিথ্যে নয়। তবে বিষয়টির ক্ষেত্র একটু আলাদা। গো প্রজাতির উন্নয়নে নিরিখে ভারত সমকালীন বিশ্ব থেকে এক আলোকবর্ষ এগিয়ে আছে।শুনছি নাকি নাসার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতীয় গো বিজ্ঞানীরা মহাকাশে গোমাতাদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছেন। কাজেই একজন ভারতীয় হিসেবে এই বিরল কৃতিত্বের দাবি করলে বোধহয় আপনারা বিরোধিতা করতে পারবেন না হা হা হা।
সম্ভব হলে দেশে ফিরে কোলকাতায় এলে হাজারিবাগ যাওয়াটা অসম্ভব কিছু নয় আপু।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০১
এমজেডএফ বলেছেন: রাজদেওড়ার জঙ্গলে আপনাদের রোমাঞ্চকর ভ্রমণের আনন্দ, ভয়, আতংক এবং মনোজগতের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জেনে আমরা পাঠককূল কখনো উত্তেজনায় শিহরিত আবার কখনো খুশিতে উদ্বেলিত হয়েছি। এ ধরনের ভ্রমণে সামান্য এডভেঞ্চার না থাকলে ভ্রমণ জমে না। তবে নিরাপত্তার অভাব ও ভয়ের মাত্রা যদি বেশি হয়ে যায় তখন আর এডভেঞ্চারের আনন্দ এবং প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো মন-মনসিকতা থাকে না। যাই হোক, সহি-সালামতে ভিআইপি অতিথি নিবাসে এসে পৌঁছেছেন জেনে পুলকিত হলাম। রাজদেওড়ার জঙ্গলে আপনাদের বাকী সময়টুকু ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা রেখে আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যে প্রীত হলাম প্রিয় এম জেড এফ আই। ধন্যবাদ আপনাকে। সহমত আপনার সঙ্গে যে ভ্রমণে আদ্ভেঞ্চার না থাকলে ভ্রমণ জমে না। এবারে আমাদের ভ্রমণটি ছিল আনন্দ দুঃখ-বেদনায় পরিপূর্ণ। বিষন্নতার দিকটি বাদ দিলে মোটের উপরে বাকি ভ্রমণ পর্ব অত্যন্ত উপভোগ্য হয়েছে। আশা করি পরের পর্বেও আপনাকে এভাবে পাশে পাব।
আপাতত এই সিরিজে আমরা রাজদেওড়াতে পৌঁছেছি। তবে ভিআইপি বাংলাতে নয়। আমরা ভাই নিতান্ত সাধারণ মানুষ। আমাদের মত সাধারন ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ছোট্ট কটেজগুলো বরাদ্দ। বাইরে থেকে দেখতে সেগুলির চেহারা অত্যন্ত সঙ্গিন। আমি আমাদের কটেজটার ফটো নিয়েছিলাম কিন্তু আপনাদের শেয়ার করার জন্য খুঁজে পেলাম না।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভকামনা।
১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ব্যস্ততার জন্য মনে হচ্ছে আমি একটা পর্ব মিস করে ফেলেছি। মারাত্মক ব্যস্ত ছিলাম একটা কাজ নিয়ে। ব্লগেও আসা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সব কাজ শেষ। যথারীতি আপনার পোস্টে.।.।.।
লেখাট পড়ে আমার কাছে কিছুটা রিসোর্ট টাইপের কিছু মনে হলো। জঙ্গলের ভিতরে করেছে। তবে ওয়াইল্ড লাইফ এ্যাডভেঞ্চার সব সময় মজাদার হয়। আর দলবল মিলে গেলে আরও মজা হয়। বাজার করে নিয়ে যেতে হয়েছে কেন? সামনা সামনি হাতি দেখেছেন কখনও?
ভালো থাকুন, আর আলাদা করে পরে নক করবো আজকে। কালকে যেই গানটা দিয়েছেন শুনার সময় হয় নি।
শুভ কামনা রইলো।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
হয়তো ব্যস্ততা ছিলেন যে কারণে মিস হতেই পারে। পাশাপাশি এটাও বলার যে একজন ভাষা শ্রমিক হিসেবে এই মুহূর্তে আপনি অত্যন্ত ব্যস্ত সে পূর্বাভাস আমি ইতিমধ্যেই পেয়েছি।আর রাজদেওড়ার বন বাংলো সম্পর্কে, একটু মান্ধাতার আমলের থাকার ব্যবস্থা কিন্তু পুরোপুরি রিসোর্ট বলা যাবে না। একটা রিসোর্ট তৈরির পিছনে আর্থিক বেনিফিট কাজ করে। এখানে সেই রকম সুযোগ-সুবিধা কিছুই নেই। কোনক্রমে থাকা গেলেও রাতের জন্য ক্যান্ডেল এবং খাওয়ার উপকরণ সব নিজেদের নিয়ে যেতে হয়। আসছি সে প্রসঙ্গে পরের পর্বে।
বাজার করে নিয়ে গেছে যেহেতু জঙ্গলের মধ্যে কিছু পাওয়া যায় না বলে। তবে কেয়ারটেকাররা আমাদের মত পর্যটকদের জন্য রান্না করে দেয়, এই সুবিধাটি মেলে।
আপনার নকের অপেক্ষায় রইলাম।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়েছি।
সুন্দরবন যেতে কিন্তু টিকিট লাগে না।
রাজদেওড়া প্রাকিতিক বন অথচ লোকজন এটা বড় কৃত্রিম করে ফেলেছে। এটাই আমার দুঃখ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের আবার কমেন্টে আসাতে আনন্দ পেলাম। আমি প্রথম প্রতিমন্তব্যে হয়তো বিষয়টি ঠিক বোঝাতে পারেনি।সুন্দরবন সহ যে কোন অভয়ারণ্যে যেতে গেলে বনদপ্তর থেকে পারমিশন করাতে হয় আমি তার কথাই বলতে চাইছে। অন্যথায় বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়লে চোরাশিকারি হিসেবে অভিযুক্ত করার সম্ভাবনা থাকে। এসব ক্ষেত্রে যিনি গাইড তিনিই সব ব্যবস্থা করে দেন। কাজের পর্যটকদের অহেতুক আশঙ্কার কারণ থাকে না।
ভায়ের মন্তব্যের পরবর্তী অংশ প্রসঙ্গে বলি, রাজদেওড়া প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য।মাঝে সামান্য কিছু সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থা করলেও মোটের উপরে বাকি সবকিছু একেবারেই ন্যাচারাল। যে রাস্তা দিয়ে আমরা গেলাম সেই রাস্তা পিচের নয়, মাটির।, জাগায় জাগায় মোরাম বিছানো, কোথাও আবার বিভিন্ন আকারের বোল্ডার আছে।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পথিক তো দেখলাম একেবারেই ক্লান্ত শ্রান্ত
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন পথিক বড় ক্লান্ত। উপায়ন্তর না পেয়ে রাস্তার উপর শুয়ে পড়েছে।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানবেন।
২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রচন্ড ব্যস্ততার জন্য ব্লগে কম আসা হয়, আপনার এই চমৎকার ধারাবাহিকটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। বাকীগুলি সময় করে পড়ে ফেলবো। অবশ্য আপনিও ব্যস্ত বুঝতে পারছি, আমার পোষ্টেও আজকাল দেখি না!!
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনাকে বহুদিন পর ব্লগে পেয়ে। ব্যস্ততা প্রসঙ্গে কি আর করা যাবে ওটা তো আমাদের জীবনেরই অংশ। তারই মধ্য দিয়েই ফাঁকফোকর পেলেই ব্লগিং করা আরকি।আমিও এই মুহূর্তে একটু পারিবারিক কাজে ব্যস্ত আছি।পাশাপাশি প্রশাসনিক বিধিনিষেধের কারণে এলাকার নেট পরিষেবা না থাকার জন্য ইচ্ছে করলেও ব্লগিং করা হয়ে ওঠে না। আমি আপনার সর্বশেষ পোস্টে কেবল মন্তব্য করেনি। তবে সেটাও একটা বিশেষ ভয়ের কারণে।আপনি বলার পরে অবশ্য নিজের উপস্থিতির জানান দিয়েছি।
অফটপিক, গতকাল আপনার ভূত সমাচার'টি কিন্তু দারুণ লেগেছে। মন্তব্যে সেকথা উল্লেখ করেছি।
শুভকামনা প্রিয় ভুয়া ভাইকে।
২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৯
আনমোনা বলেছেন: রাজদেওড়া নামটা খুব আকর্ষনীয়। জায়গাটাও খুব সুন্দর তা লেখা পড়ে বুঝা যাচ্ছে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদিন পর আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন রাজদেওড়া নামটি আমারও খুব ভাল লেগেছিল। ফটো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৩
আরোগ্য বলেছেন: অবশেষে এই পোস্টটি আজকে পড়তে পেড়েছি। বাকীগুলো ইনশাআল্লাহ পড়ে মন্তব্য করবো।
বেশ দুঃসাহসিক তো তোমরা দেখছি। লোকালয়ে কি জায়গা নেই যে জঙ্গলে থাকতে গিয়েছো?
বাবা তো ভয়ে কাঁদবেই এটাই তো স্বাভাবিক। ব্রীজটা সুন্দর কিন্তু রাস্তাটা কেমন ভুতুড়ে। ভাগ্যিস হাতির পালের কবলে পড়নি। জানিনা কিভাবে রাত কাটিয়েছো।
তবে আজকাল মনে হয় জঙ্গলের পশুপাখিও মানবজাতি থেকে কম হিংস্র।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
অনেকদিন পর তোমায় কোন কমেন্ট পেলাম। সাম্প্রতিককালে ব্লগে আমি অনিয়মিত হয়ে পড়েছি ঠিকই কিন্তু তুমি দেখছি আমার চেয়েও অনিয়মিত হয়ে পড়েছ। যদি সময় পাও তাহলে অপঠিত পোস্ট গুলিতে একবার চোখ ভোলানো অনুরোধ রইলো।
আর দুঃসাহসীক বলে যে শব্দটি ব্যবহার করলে তা আমার জন্য বড্ড বেমানান।হাহা হা... সেদিন মেঘের কান্নার পর বাস্তবে আমার সেটাই মনে হচ্ছিল, কেন যে দূর ছাই এমন অ্যাডভেঞ্চারের পরিচয় দিতে গেলাম।
আর তুমি যাকে ব্রিজ বলছ সেটি আসলে পরিখা করা যার উপর দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা। এখনো পর্যন্ত হাতির পালের সম্মুখীন হতে হয়নি তবে পর্বের বাকি অংশ গুলোতে চোখ রাখলে আশাকরি কিছু না কিছু পাবেই।
শুভকামনা জানবেন।
২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বাহ, কি এডভেঞ্চারাস
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় আক্তার ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
নতুন বছরের প্রথম মন্তব্য করছি আপনার পোস্টে হ্যাপি নিউ ইয়ার । আপনাদের ঘুরে বেড়ানোর বর্ণনা প্রকৃতির মতোই
কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি । খুব ভালো লাগছে সবকিছু মিলিয়ে
সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি এবারের পর্বে ক্লান্তি পথিকবর কে দেখে । মাশাআল্লাহ ।
ছবিগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে । আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম । ভালো থাকুন দাদা সবাইকে নিয়ে ।
সবশেষে মজার একটা কথা বলি , মরীচিকা কে কিন্তু আমি দারুন মিস করি চুপি চুপি এসে পুরনো পর্বগুলো পড়ি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানবেন ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
বছরের প্রথম মন্তব্য; হাপি নিউ ইয়ার। এবারের ভ্রমণটি প্রচন্ড উঠাল পাথালের মধ্যেই কেটেছে। তবে শেষের দিকে অবশ্য বেশ ভালই লেগেছিল। আগামী পর্বগুলোতে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করব। ক্লান্ত পথিকের জন্য সেদিন আমারও খুব দুঃখ হয়েছিল। ও আর কিছুতেই যেন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না।বাইরে ঘুরতে ঘুরতে এমন একটা সময় আসে যেখানে বসার জায়গা থাকে না সেটা স্থানগুলি একটু যন্ত্রণার কারণ হয় আরকি।
মরীচিকার কথা শুনে আপ্লুত হলাম ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে।
পোস্টে লাইক করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
বোনের শুভকামনা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। দাদার পক্ষ থেকে রইলো অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৫
নজসু বলেছেন:
লাইক দিয়ে দেখে নিলাম। সাথে পঠন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নজসু ভাইকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: জীবন্ত ডাইনোসর দেখি!!!
+++
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হাহা... ঠিকই বলেছেন রকিভাই। জীবন্ত ডাইনোসর আর কি! পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: জঙ্গলের মূল ফটক থেকে অভ্যন্তরের অফিসকক্ষ ও অতিথিনিবাসে পৌঁছা পর্যন্ত রাস্তার বর্ণনা বেশ রোমাঞ্চকর, এবং কখনো কখনো ভীতিকর মনে হচ্ছিল।
জঙ্গলের রাস্তা এবং জোড়া ফুল দুটোর ছবি ভাল লেগেছে।
পোস্টের ৪০০তম পাঠক হিসেবে ২৪তম প্লাস দিয়ে গেলাম। + +
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল স্যার। আশাকরি কুশলে আছেন।
"জঙ্গলের মূল ফটক থেকে অভ্যন্তরের অফিসকক্ষ ও অতিথিনিবাস পৌঁছা পর্যন্ত রাস্তার বর্ণনা রোমাঞ্চকর, এবং কখনো কখনো ভীতিকর মনে হচ্ছিল।" পোস্টটি পাঠ করে আপনার সুন্দর অনুভূতির পরিচয় পেয়ে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
জঙ্গলের রাস্তা ফুলের ছবিগুলি আমারও খুব ভাল লেগেছিল। এখন আপনারও ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম যে শেয়ার করা তাহলে সার্থক হয়েছে। আবারো ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টের 400 পাঠক ও 24 তম প্লাস এবং ডাবল লাইকে নিজেকে ধন্য মনে করছি। কৃতজ্ঞতা স্যার আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: আমি প্রথম