নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
মরীচিকা (পর্ব-২৫)
(গত পর্বের শেষে ছিল, লিনাপিসি আমার ক্ষতস্থানে ও মাথায় হাত বোলাতে থাকেন। বাবা বাড়িতে না থাকায় মা চলে আসেন আমার পাশে। এবার মাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, )
-তুমি ও তোমার ছেলে কি না মরা পর্যন্ত এ বাড়ি ছেড়ে যাবে না? খাচ্ছো দাচ্ছো এখানে আর চড়ে বেড়াচ্ছ ওই বখাটে অতনুর সঙ্গে? তুমি কি ভেবেছো তোমার কেচ্ছা আমরা কিছুই জানি না? দেখো বাপু যদি বাঁচতে চাও তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছেলেকে নিয়ে এ বাড়ি থেকে বিদেয় হও।
মাকে এই প্রথম সামনাসামনি কাঁদতে দেখেছিলাম। প্রথমে মা পিসির হাত ধরলে, জোরে ঝাঁকিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিলেন। মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। ছেলের সামনে এত বড় মিথ্যা অপবাদ না দিতে বারবার অনুরোধ করলেন। কিন্তু পিসি তো মায়ের কথা শুনলেন না, উল্টে মিথ্যা অপবাদের কথা বলতেই এই মারে সেই মারে করে বিরাট হম্বিতম্বি করতে লাগলেন। মা পিসিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে পা ধরতে গেলে পিসি মারলেন সজোরে এক লাথি। টাল সামলাতে না পেরে মা হুমড়ি খেয়ে পড়লেন দরজার চৌকাঠের উপর। হঠাৎ মাথায় হাত দিয়ে মা চুপ হয়ে গেলেন। আমি এতক্ষণে দুহাতে চোখ ঢেকে আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে দেখছিলাম। মায়ের মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এবার আমিও হাউ মাউ করে কেঁদে ঝাপিয়ে পড়লাম মায়ের কোলে। মা আমাকে বুকে আগলে ধরলেন। কোনোক্রমে মায়ের হাত থেকে ছাড়িয়ে আমার ছোট ছোট হাত দিয়ে মার ক্ষতস্থান চিপে ধরলাম। মা আমার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে প্রলাপের মতো বকতে লাগলেন,
-ও কিছু হবে না বাবা। দুই এক ফোঁটা রক্ত বার হলেও আমরা মরবো না। উপরওয়ালা আমাদের নেবেন না, এভাবে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারবেন।
আমি আমার সাধ্যমত মায়ের ক্ষতস্থান শক্ত করে টিপে ধরলাম। মুখের অঙ্গভঙ্গিতে বুঝতে পারলাম মায়ের যন্ত্রণাটা ক্রমশ বেড়ে গেছে। আমি কেঁদে যাচ্ছি ভয়ে আর মা কাঁদছেন যন্ত্রণায়। আর তার মধ্যে পিসি চিৎকার করে বড় বড় চোখ করে বলতে লাগলেন,
-সেবার বুড়োটার চাপের কাছে হার মেনে ছিলাম। এবার আর বুড়োটা নেই। তবে মাঝে কোন কাঁটা রাখতে চাই না। ভিখারির বাচ্চা! রূপ দিয়ে কি মনে করেছিস তুই ওকে ভুলিয়ে রাখবি?
যাওয়ার আগে পিসি আবার শাসিয়ে গেলেন দ্রুত বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার।
লিনাপিসির শাসানির পর সত্যিই খুব আতঙ্কে ছিলাম এবার বুঝি আমাদের বাড়িটা ছেড়েই দিতে হবে ভেবে। কিন্তু খুব অবাক হলাম বাবার আচরণ সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া দেখে। বাবা আর আমাকে আগের মত মারধোর করেন না। যদিও একেকটা দিন খুব ভয়ে ভয়ে থাকতাম এইবুঝি বাবার ডাক আসবে, আর পিঠে উত্তম-মধ্যম পড়বে। আমার মতো মাও বাবার অত্যাচার থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। বাবা সন্ধ্যার পরে আগের মতই ড্রিঙ্ক করে ফিরলেও মায়ের চিৎকারে শুনতাম না। মায়ের চোখেমুখে এ সময় অদ্ভুত একটা প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছিলাম। একদিন আমি হ্যাংলার মতো তাকিয়ে থাকায় অমন করে তাকিয়ে কি দেখছি মা প্রশ্ন করাতে,কিছু না! বলে লজ্জা পেয়ে পাশের ঘরে বিছানায় মুখ লুকিয়েছিলাম।
বাবার এই পরিবর্তনে এতই খুশি হয়েছিলাম যে একটু একটু করে সাহস সঞ্চয় করেছিলাম লিনাপিসির ঘটনাটা বাবাকে একদিন বলবো বলে। যদিও শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। ঘটনাটা মনে অবরুদ্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি তখন সবে ক্লাস ফাইভে উঠেছি। এই প্রথম পড়াশোনা, স্কুলে যাওয়ার মধ্যে আমি একটি আনন্দ খুঁজে পেয়েছিলাম। মাকে দেখতাম কখনো কখনো আমার আগে বেরিয়ে যেতেন। বাড়িতে কাজের মাসিই আমাকে খাবার দিত। স্কুল ছিল বাড়ির পাশেই। কাজেই স্কুলে যাওয়া-আসার জন্য মায়ের সহচর্যের দরকার হতো না। কিন্তু প্রায়ই সাজগোজ করে মায়ের বার হওয়া দেখে শুধু অতনু আঙ্কেলের কথা মনে পড়তো। মা যেন উনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে সাত সকালে বেরিয়ে যান। একদিকে মনে মনে মা ও অতনুআঙ্কেলের উপর একটা ঘৃণা বোধ তৈরি হলেও আঙ্কেলকে দেখার জন্য সেই সময়ে যে একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছিল সে কথা অস্বীকার করবো না।
হাই স্কুলে নিচু ক্লাসে পড়াই আমার ছুটি একটু আগেই হত। কোন কোন দিন বাড়ি ফিরে দেখতাম মা আগেই বাড়ি চলে এসেছেন। আবার কখনোবা আমার ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই মা ফিরে আসতেন। মা প্রত্যহ কোথায় যান? ছোট মানুষ অত জানার দরকার কি- আগেও এমন প্রশ্নে মায়ের বেশ কালো মুখ দেখেছি। কাজেই মুখ বুজে কেবল মায়ের আসা যাওয়া লক্ষ্য করতাম। একদিন স্কুল থেকে ফিরে দেখি মা বাড়িতে নেই। জানতাম অন্যান্য দিনের মতোই একটু পরেই এসে পড়বেন। ক্রমশ সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল তবুও মা ফিরলেন না। মাকে ফিরতে না দেখে ভিতরে ভিতরে বেশ অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। সন্ধ্যার বেশ পরে বাবা বাড়ি ফিরলেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন মা ফিরেছেন কিনা। আমি না বলতেই বাবা আবার বেরিয়ে গেলেন। সেদিন রাতে মা আর ফেরেন নি। পরদিন সকালে বাড়িতে একগাদা পুলিশ এলেন। পুলিশ কাকুরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন মা কোথায় গেছেন বা আমাকে কিছু বলে গেছেন কিনা। লিনাপিসিকে দেখছিলাম পুলিশের কানে কানে ফিসফিস করে কি সব বলতে। পুলিশকাকুরা লিনাপিসির সঙ্গে খুব হেসে হেসে কথা বলছিলেন। ওনারা চলে যেতেই পিসি এগিয়ে এসে আমাকে বললেন,
-শান্তনু আমি তোমার জন্য দুঃখিত বাবা। তোমার সঙ্গে একটা কথা বলতে আমার ঘেন্না লাগছে, কিন্তু না বলেও যে উপায় নেই। তোমার মা সেই লোফারটার সঙ্গে ঘর বাঁধবে বলে পালিয়েছে। কারণ লোফারটাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তোমার বাবা সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন মায়ের সন্ধানে। যাওয়ার সময় তোমার মা বিয়েতে বাবার দেওয়া গয়না গাটি সব নিয়ে গেছেন। তবে যেভাবে পুলিশ খুঁজছে তাতে বেশি দিন লুকিয়ে থাকতে পারবে না। ধরা একদিন পড়বেই।
মায়ের নিরুদ্দেশের পর বাড়িতে এত পুলিশের আগমন হলেও বাবাকে একবারও সামনে আসতে দেখি নি। লিনাপিসিই সব সময় পুলিশকে সামলাতেন। বাবাকে থানায় দেখা করার কথা বলে পুলিশকে চলে যেতে দেখতাম। পিসি হাত নেড়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করতেন যে সন্ধ্যেবেলা বাবা ফিরলে থানায় পাঠিয়ে দেবেন। ঘটনার ঠিক দুদিন পরে সন্ধ্যেবেলা বাবা বাড়ি ফিরে আবার সেই আগের মূর্তি ধারণ করলেন।
-জারোজ সন্তান! দুশ্চরিত্রা, কুলাঙ্গার মহিলা আমার জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছে। নিজে থেকে ভেগেছে যখন সেই পাপের কোন চিহ্নই আমি রাখবো না বলে, আমাকে সমানে ঘুষি ও চড় মারতে লাগলেন। বাবার আচমকা আক্রমণে আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি আমার অপরাধ কি বা আমার করনীয় কি? খাটের উপর দাঁড়িয়ে এবার সজোরে লাথি মারতে লাগলেন আমাকে। আমি প্রচন্ড দম ধরে মার খেতে লাগলাম। মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, মা যখন আমাকে ফেলে পালিয়েছেন তখন আমি আর বাঁচতে চাই না। এভাবে মার খেয়েই আমি মরতে চাই। আসলে আমি মরেই যেন বাঁচতে চাইছিলাম। বাবার লাথির ঘায়ে আমি খাটের এ মাথা থেকে ও মাথা গড়াতে থাকলাম। আমার তখন মার খাওয়ার অসম্ভব একটি শক্তি চলে এসেছিল। একসময় বাবা যেন হার মানলেন। বসে পড়ে কুকুরের মত হাঁপাতে হাঁপাতে আমার মাথা ধরে ঠুকে দিলেন ঘাটের গায়ে। না বাবারা কখনো হারতে পারেন না। মাথা ঠুকে দিতেই অসম্ভব যন্ত্রনা শুরু হল। মনে হল আমার প্রাণটা যেন বেরিয়ে গেল। আমিই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না । গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম। আমার হাত মুখ তখন রক্তে রক্তাক্ত। কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছিলাম, তুমি যা চাইবে আমি সেটাই করব। প্লিজ অন্তত আমাকে জাহানে মেরো না। লিনাপিসি আগেই আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি আজি বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার চিৎকারে আশপাশের পড়শীরা ছুটে এসে দরজায় ধাক্কা দিতেই বাবা দরজা খুলে অন্যত্র চলে গেলেন।
পড়শী আঙ্কেল, আন্টিরা আমাকে উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শুনেছিলাম সে সময় বাহাত্তর ঘন্টা আমি অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিলাম। ঘাড় ও মাথায় মারাত্মকভাবে লেগেছিল। কানের পর্দা ছিড়ে গেছিল। পরে একটা অপারেশন করতে হয়েছিল। ডান হাতের কব্জিতেও চোট লেগেছিল। কয়েকদিন পর হসপিটালে পুলিশ কাকুরা আমার জবানবন্দি নিতে আসেন। সে সময় শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত ও ব্যান্ডেজ বাঁধা থাকায় আমার কথা বলার মত শক্তি ছিলনা। ওনারা সেদিন চলে যান। কয়েকদিন পর আবার আসেন। ওনাদের সব প্রশ্নের উত্তর আজ আমার মনে নেই। তবে সুস্থ হলে যে আর কখনো বাবার কাছে ফিরবো না সে কথা পুলিশ কাকুদের বলেছিলাম। উল্লেখ্য এ সময় বাবা একদিনও হসপিটালে আসেন নি বা আমি নিজেও চাইনি বাবা আমাকে দেখতে আসুক। পুলিশ কাকুরা আমাকে জানিয়েছিলেন সুস্থ হলে আমাকে ওনারা কোন সরকারি হোমে পাঠাবেন। আমি তাদের কথায় সম্মতি দিয়েছিলাম। এর মধ্যে একদিন নলিনীমাসিকে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আমার মায়ের ছোট বোন নলিনীমাসি ছোটবেলায় বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এলেও বাবার আপত্তিতে পরে আসা বন্ধ হয়েছিল। সুস্থ হলে মাসি আমাকে ওনার বাড়ি নিয়ে যাবেন বলাতে খুব আনন্দ হয়েছিলো। আমার বয়সী মাসির দুটি ছেলে ছিল। খুব ছোটবেলায় ওদেরকে দেখেছি। হঠাৎ মাসির প্রস্তাবে ওদের সঙ্গে খেলতে পারার আনন্দে মনের মধ্যে বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠলাম।
হসপিটালে টানা দেড় মাস থাকার পর আমি কিছুটা সুস্থ হই। রিলিজ পাওয়ার পরও অনেকদিন আমাকে ওষুধ খেয়ে যেতে হয়েছিল। নলিনীমাসি এসময় আমাকে নিজের ছেলের মতোই দেখাশোনা করতেন। যদিও নলিনীমাসির বাড়িতে সুখ আমার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। আমার মত আপদকে বাড়িতে তোলার জন্য মেসো প্রকাশ্যে মাসিকে গালমন্দ করতেন। মাসির দুই ছেলেকে আমার সঙ্গে কথা বলতেও বারণ করে দিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার আগমনে মাসির সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছে। মাসি খুব চেষ্টা করছিলেন একে তাকে ধরে আমাকে কোন একটা আশ্রমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়ার। অবশেষে কোথা থেকে একটি সন্ধান নিয়ে একদিন ভোরবেলা আমাকে নিয়ে বার হলেন। দুপুরে আমরা পৌঁছালাম বর্ধমানের একটি আবাসিক বিদ্যালয়ে।
এই বিদ্যালয়ে আমি প্রথম শান্তি খুঁজে পেয়েছিলাম। আশ্রম থেকে আমরা জামাকাপড় পেতাম।তাছাড়া মাসিও পুজোর সময় আমাকে জামা কাপড় দিতেন। দু-তিন মাস বাদে বাদে মাসি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। এখানে থাকাকালীন দুটি পুজো পেয়েছিলাম। মাসি খুব করে চেয়েছিলেন আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতে। কিন্তু আমি আশ্রম ছেড়ে কোথাও যেতে চাইনি। এমনো হয়েছে পুজোর কটা দিন গোটা আশ্রম এক্কেবারে জনশূন্য। একদিকে মহারাজ ও সামান্য কিছু স্টাফ, অপরদিকে ছাত্র বলতে আমি একা। এত বড় বিল্ডিংয়ে আমার একাকী থাকাতে ভূতের ভয়ের প্রসঙ্গে আমি নির্লিপ্ত থাকতাম।মানুষের অত্যাচার ও আতঙ্ক আমাকে এতটাই পেয়ে বসেছিল যে কোনো ভূত-প্রেতের আতঙ্ক আমার কাছে ভাবনার বিষয় ছিল না।
নতুন জায়গায়, নতুন স্কুলে আমি বেশ মানিয়ে নিয়েছিলাম। মহারাজ আমাকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু সেখানেও সুখ আমার জীবনে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দু বছরের মতো আমি এই বিদ্যালয়ে ছিলাম। কোন এক বিকেলে এক গাড়ি পুলিশের সঙ্গে মাসিকে আসতে দেখে আবার ঘাবড়ে গেলাম। মাসি দুটি মার্কশিট এগিয়ে ধরতেই দেখি মায়ের নাম লেখা বি এ পার্ট ওয়ান ও পার্ট টুয়ের মার্কশিট। উপরে জ্বলজ্বল করছে ইউনিভার্সিটি অফ বার্ডওয়ান। মা নাকি গোপনে এম এ পার্ট ওয়ানের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজের পায়ে দাঁড়াতেই গোপনে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আর লিনাপিসি সেটাকে নোংরা ভাবে পরিবেশন করে মায়ের চরিত্র নিয়ে বাবার কান বিষিয়ে তুলেছিলেন। বাবা তাই প্রত্যেক দিন মদের আসরে ব্যবসায়ীক পার্টনার অতনুআঙ্কেলকে নিজের বৌকে দিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন। আর আঙ্কেলও নাকি বুঁদ হয়েছিলেন কোন না কোন দিন মাকে পাওয়ার অলীক স্বপ্নে।
নলিনীমাসির সঙ্গে পুলিশ আমাকে আসানসোলে নিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে একটি পরিত্যক্ত খনির ভিতর থেকে দুটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ হয় যাদের মধ্যে একটি কঙ্কাল মায়ের। বাবা ভাড়াটিয়া গুন্ডা লাগিয়ে মাকে খুন করিয়ে খনিগর্ভে ফেলে দিয়ে লিনাপিসির আগমনকে সুনিশ্চিত করেছেন। অতনুআঙ্কেলকেও বাবা বঞ্চিত করেন নি। প্রচুর মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে সেদিন তাকেও খুন করিয়ে মায়ের মরদেহের সঙ্গে খনির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের বউয়ের সঙ্গে অতনুআঙ্কেল পালিয়েছে প্রচার করে এলাকায় বাড়তি সহানুভূতি আদায় করে গোটা ব্যবসাটা হাতিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশের জেরায় বাবা স্বীকার করেন মায়ের নিরুদ্দেশের খবরটি ঘুরিয়ে দিতেই আমাকে অর্ধমৃত করার চেষ্টা করেন। উদ্দেশ্য ছিল কেসের মোটিভটাকে ঘুরিয়ে দেওয়া। প্রাথমিকভাবে বাবা সফলও হয়েছিলেন। আমাকে অর্ধমৃত করায় বাবার বিরুদ্ধে একটি পুলিশবাদী কেস হয়। কিন্তু আমি কোনো অবস্থায়ই বাবার শাস্তি না চাওয়াতে সাময়িক পুলিশি ঝামেলা কাটিয়ে বাবা ও লিনাপিসি আবার বিবাহ করেন। বাবা একজন সফল আইনজীবী। জীবনের অংক মেলাতে গুটিগুলো খুব ভালো করেই সাজিয়ে ছিলেন। কিন্তু লিনাপিসির সঙ্গে বাবার সম্পর্কটি না টেকাতেই বিপত্তি দেখা দিল । বছর দুয়েকের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙতেই লিনাপিসি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে রাজসাক্ষী হন। কিছুদিন পর লিনাপিসি ছাড়াও পান আর আমার বাবা এখনো জেলেই আছেন।
এদিকে আমার আবাসিক স্কুলে বারে বারে পুলিশ আসাতে স্কুলের ছোট বড় প্রায় সবাই জানতে পারে আমার আসল পরিচয়। ভুলটা আমারই হয়েছিল।একদিন ক্লাসে অকপটে আমার বাবা-মায়ের সম্পর্কের কথা বলে ফেলি। কিন্তু সমস্যা হল এর পরে। সহপাঠীরা আমাকে সময়ে অসময়ে খুনির ছেলে বলে খেপাতে লাগলো। প্রথমে ক্লাস টিচারকে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু কোনো সুরাহা হলো না। সবার কাছ থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য হয়ে আমি নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখতাম। আমার মানসিক অবস্থা নিয়ে কর্তৃপক্ষ খুব চিন্তিত ছিলেন। ওনারা দ্রুত মাসিকে খবর দিলেন। সেইমতো মাসি আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে বর্তমান স্কুলের ঠিকানায় নিয়ে আসেন। মাসির পরামর্শে আর কখনো অন্যের কাছে মুখ না খোলার সিদ্ধান্ত নিই। আমি জানি আজ আপনি আমাকে যেভাবে মুখ খোলালেন তাতে শীঘ্রই আমাকে এই বিদ্যালয় থেকেও চলে যেতে হবে।
-না না শান্তনু, একদম না। তুমি নিশ্চিত হও তোমার ঘটনা আর কেউ জানতে পারবে না।
এতক্ষণে শান্তনুর গল্প শুনতে শুনতে বিষন্নতায় কাঠ হয়ে গেছিলাম। পাশে দেখলাম রোহিত দাঁড়িয়ে, চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছে। আমারো ঠোট কেঁপে উঠলো। পকেট থেকে রুমাল বার করে কোনোমতে নিজেকে সংযত করলাম। ফেরার পথে আর একটি কথাও বলতে পারলাম না। অটোর ঝাঁকুনিতে বেশ কয়েকবার শান্তনু আমার গায়ের উপর ঝুঁকে পড়েছিল। মনে মনে স্যালুট জানাচ্ছিলাম, সাবাস! বেটা সাবাস! ছোট্ট জীবনে পাহাড়প্রমাণ বাঁধা তুমি অতিক্রম করেছে। আগামী দিনে এমন ছোট্ট ছোট্ট বাঁধা গুলি পাশ কাটিয়ে যাক। তুমি এগিয়ে চলো সাফল্যের চূড়ায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
আনুষ্ঠানিকভাবে মরীচিকা শেষ হলো। তবে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।
মরীচিকা (পর্ব-২৩)
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় শাহিন ভাই,
প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালো লাগা। ধন্যবাদ জানবেন। আশা করি সময় মত সেহরি খেয়ে ঠিকঠাক রোজা পালন করছেন। পোস্টটি পড়ে আপনি বিশাল..... মন্তব্যে আসবেন। আমি অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা জানবেন।
২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪১
ল বলেছেন: সুপ্রিয় দাদা
এমন বিষাদময় গল্প পড়তে পড়তে আমিও যখন বিষন্নতায় কাঠ হয়ে গিয়েছিলাম
টিক তার পরপরই সাবাশ বেটা শব্দটা টাস করে হৃদয়ে লাগলো। এটাকেই বুঝি বলে গল্পের যাদুকরী বিন্যাস।
নতুন কোন উপন্যাসের অপেক্ষায় রইলুম।
মরিচীকা পাঠকের মনে জিইয়ে রাখার জন্য শুভ কামনা নিরন্তর।।।
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফ ভাই,
পোস্টটি মন দিয়ে পড়েছেন দেখে আনন্দ পেলাম। তবে গল্পের জাদুকরী বিন্যাস টিন্যাস কিনা জানিনা, আপনাদের অনুপ্রেরণায় একটু লেখার চেষ্টা করি।
নতুন উপন্যাসের প্রতীক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম;ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম লাইক দাতা হিসেবে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় কবিভাইকে।
৩| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোটামুটি
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু,
যাক আপনার মোটামুটি লাগাতে দুটি প্রশ্ন করার সাহস পেলাম।
১-শান্তনুকে বর্ধমানের আবাসিক বিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছিল কেন?
২-বাবার কাছে মার খেয়ে শান্তনুর কোথায় অপারেশন করতে হয়েছিল?
শুভকামনা সতত।
৪| ১১ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দাদা গল্পটি শান্তনুুর এমন জীবনের করুণ কাহিনী দিয়ে শেষ হবে আগে অনুমান করতে পারিনি। এই সিরিজটিতে বেশ কয়েকটি হৃদয় স্পর্শী গল্প করেছেন তার মধ্যে শান্তনুর গল্পটি চোখের পানি বয়ে দিতে পেরেছে। লেখক সফল যেখানে আপনি তাদের আসনে নিজেকে বসাতে পেরেছেন। অতি প্রশংসা করছি না। আপনি সত্যি একজন সফল লেখক যে কিনা একটি গল্পের শুরু থেকে শেষ অনেক যত্ন করে লিখেছেন। এই সিরিজটি যদি আরো কয়েকটি পর্ব করার মতো চিন্তা থাকে, করলে। পড়ার প্রত্যাশা জিয়ে রইল।
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় সুজন ভাই,
আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। পাঠকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য যেকোনো লেখকের বাড়তি প্রেরণা দিতে বাধ্য। মরীচিকা পাঠে আপনি অতৃপ্ত। বিষয়টি শুনে বেশ খুশী হলাম। আপনাদের এমন হৃদয়স্পর্শী আবেদনে মরীচিকাকে আবার ফিরিয়ে আনার কথা ভাববো। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৫| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:০১
নজসু বলেছেন:
শুভ সকাল প্রিয় পদাতিক।
আমি নিজেই ব্লগে এখন মরীচিকা হয়ে গেছি।
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নজসুভাই,
হা হা হা কোথায় আপনি মরীচিকা হলেন? এই তো আপনাকে সরাসরি পেলাম। আগামীতেও এভাবে আপনাকে কাছে পাবো আশা করি। তবে একটু হতাশ হলাম পোস্ট সংক্রান্ত কোন মন্তব্য না পেয়ে। যাক অন্য একদিন হবে আশা করি।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
৬| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:১২
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: মোটামোটি ভালো ছিলো গল্পটা,আমি প্রথম অংশ পড়ি নাই,দ্বিতীয় অংশ পড়লাম। কাল ইনশাআল্লাহ প্রথম অংশটা পড়বো। আপনার শুভেচ্ছা রেখে গেলাম লেখক ।
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ব্লগার,
আমার কোন পোস্টে এটি আপনার প্রথম মন্তব্য; সু- স্বাগতম আপনাকে। গল্পটি মোটামুটি লাগাতে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ জানবেন।
আগামীকাল যদি সময় পান তাহলে প্রথম পর্ব পড়ে মন্তব্য করবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
৭| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:১৬
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: দুঃখিত লেখক,মন্তব্য ভুল ছিলো। বাকী গুলোও পড়তে হবে।
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে! এটা কোন সমস্যাই নয়। সময়-সুযোগমতো পড়ার অনুরোধ রইল।
শুভকামনা জানবেন।
৮| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:১২
নীলপরি বলেছেন: একটানা পড়লাম । গল্প এতোটাই সবল যে পড়ার সময় ছোটোখাটো কিছু ভুল-ভ্রান্তি যদি থেকেও থাকে তা চোখে পড়েনি ।
অসাধারণ লিখেছেন ।
+++++++
শুভকামনা
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় পরি আপু,
আপনার সুন্দর মন্তব্যে পুলকিত হলাম। ইতিমধ্যে আমি তিনটি টাইপো ঠিক করেছি। আবার দেখছি আরো আছে কিনা। আপনাদের ঐকান্তিক সহযোগিতাই আমার অনুপ্রেরণা।
গল্পটা অসাধারণ লাগাতে, পোস্টটির দ্বিতীয় লাইক দাতা হিসেবে এবং এতগুলো প্লাসে ব্যাপক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও রইল অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
৯| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
শেষ করেছেন বটে তবে বারবারই মনে হচ্ছে- শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ........................
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ছোট্ট কমেন্টটি আমাদের প্রেরনা শক্তি; লেখার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
১০| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
নজসু বলেছেন:
মরীচিকা শেষ হলো।
আপনি জানেন মীচিকার একনিষ্ঠ পাঠক আমি।
নিজের এবং ব্লগের সমস্যার কারণে ৩ থেকে ৪ টি এপিসোড আমি পাঠ করতে পারিনি।
তাই, অপঠিত পর্বগুলো পাঠ করতে হবে আগে।
পাঠ করবো ইনশায়াল্লাহ।
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,
সামুর ক্রান্তি জনিত কারণে আপনার মত আমাদের অনেকেই সমস্যা হয়েছে বা এখনো হয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে আমরা মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে লগ ইন করতে পারছি। কাজেই অসুবিধা সত্ত্বেও আমরা যে ব্লগে অংশ নিতে পারছি এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। মরীচিকার কয়েকটি এপিসোড আপনার মিস হয়েছে, যদি সময় পান তাহলে পড়ার অনুরোধ রইল। আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১১| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:০২
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সত্যি কষ্ট পেলাম।
তবে এটাই যেন শেষ পর্ব না হয় চলুক না হয় আরো কিছু
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্র ভাই,
আপনার ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। মরীচিকা চললে আপনারা যদি আনন্দ পান, তাহলে আমি অবশ্যই ভাববো।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১২| ১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১২
মা.হাসান বলেছেন: গত নভেম্বর থেকে মরীচিকার সাথে একটা বাঁধনে জড়িয়ে পড়েছিলাম (এর আগে ব্লগে আমি নিয়মিত ছিলাম না)। বেশীরভাগ পর্বই মনে হয় বৃহস্পতি-শুক্র-শনিবারে পোস্ট করেছেন। আমারো একটা অভ্যাস দাড়িয়েগিয়েছিল এই দিন গুলোতে বিশেষ ভাবে আপনার পোস্টের খোঁজ করা।
শান্তনুর ফিরে আসা বুড়ো সান্তিয়াগোর কথা মনে করিয়ে দেয়। শান্তনুর বাবার বিষয়ে বলবো, সংসারের ভিত ভালোবাসার উপর গড়ে না উঠলে সেখান থেকে কল্যান আসার কথা না।
দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে আগরবাতি ব্যবহার করতে পারেন।
১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মা. হাসান ভাই,
অনেকদিন পর আপনাকে কমেন্টে পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। আশা করি মাঝের দিনগুলো যেখানেই থাকুন খুব আনন্দের সঙ্গেই কেটেছে। আমরা এখন গ্রীষ্মবকাশে ভোটের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত। আগামীকাল শেষ ট্রেনিং। 19 তারিখে ভোট গ্রহণ করার জন্য 18 তারিখে বাড়ি থেকে বার হতে হবে।এই প্রচন্ড গরমে মাথার উপর কাঠফাটা রোদ্দুরে আসন্ন ভোটের ডিউটি শরীরের পেশার কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সাধারণত উইকেন্ডে মরীচিকা পোস্টগুলো করে থাকি। পোস্ট দেওয়ার সময় আমার লক্ষ্য থাকতে যেন সাপ্তাহে একটি করে পোস্ট দিতে পারি।কারণ শনি /রবিবারে পোস্ট দিলে প্রতিমন্তব্য করতে বেশ সময় পাওয়া যায়। যেটা সপ্তাহের মধ্যে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বহু ক্ষেত্রে রবিবারে আমার সাংসারিক বা দেশের বাড়ি যাওয়া থাকলে প্রতিমন্তব্য দিতে দেরি হতো বৈকি। আর এ কারণেই বোধহয় আপনি শনি /রবিবারে আমার ব্লগে এসে পোস্টের সন্ধান করতে পারেন। আগামীতেও এই প্রবণতা বজায় থাকবে।আপনার মত গুণী পাঠক বৃন্দকে পেতে আমাকে যে এটাকেই ধরে রাখতে হবে। হা হা হা হা....
মন্তব্যের শেষে যথার্থই বলেছেন, সংসারের ভিত যদি ভালোবাসার উপর প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে সেখানে কল্যাণ আসার কথা নয়। সহমত আপনার সঙ্গে।
সুন্দর আগরবাতির গন্ধে ঘর আলোকিত হয়ে গেল। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। দুর্গন্ধ নির্মূল করতে এটাই শ্রেষ্ঠ উপায়, হা হা হা হা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
১৩| ১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মরীচিকা আপাতত শেষ করলাম। এই দুঃখের পর্ব পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। এই পৃথিবীতে খারাপ মানুষরা কিভাবে কিভাবে যেন যা চায় তাই পেয়ে যায়!
ধন্যবাদ।
১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
আপাতত মরীচিকা শেষ করলেন। পড়ে কিছুটা দুঃখ পেয়েছেন। দুঃখিত আমিও। কিন্তু বাস্তবটা যে বড় নির্মম। যাকে মেনে নেওয়া ছাড়া আমাদের যে কোন উপায় থাকেনা। দুষ্টু লোকেরা এক ভাবে জীবনকে গড়ে তুলতে চাই। করেও নেয় নিজেদের মতো করে। যদিও পরে কেউ সামলাতে পারে, কেউ বা পারে না। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
১৪| ১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরুজি,
আমি মরিচিকার কয়েকটি পর্বে কমেন্ট করতে পারিনি এজন্য দুঃখিত। সময় করে পড়ে মন্তব্য করবো। মরীচিকা নামটির সাথে শেষ পর্বটির দারুণ মিল। যদিও লেখক এভাবে শেষ করবেন বুঝতে পারিনি। এটাই লেখার মুন্সিয়ানা। আশা করি, নতুন কোন সিরিজে হাত দেবেন। অগ্রীম শুভ কামনা রইলো গুরুজি।
১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেবের আগমনে ধন্য হলাম। আপনার ব্যস্ততার জন্য কয়েকটি পর্ব মিস করেছেন, কোন ব্যাপারই নয়। যদি সময় পান তাহলে অপঠিত পর্বগুলি পড়ার অনুরোধ রইল। মরীচিকা নামের সঙ্গে এই পর্বের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন- এটাই লেখক হিসেবে আমার পরম প্রাপ্তি। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
হ্যাঁ! আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন, নতুন সিরিজে খুব শিগগিরই হাত দেব। আশা করি বরাবরের ন্যায় পাশে পাব।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
১৫| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা
দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত ।খুব আনন্দিত হয়েছি মরীচিকা পেয়ে, সেই সাথে কিছুটা বিষাদ লাগছে। মরীচিকা আরো বাড়ালে মন্দ হত না আমার এই গল্প পড়ে আফসোস মিটে না। আরো পড়তে ইচ্ছে করে।
এই লীনা পিসি ও শান্তনুর বাবা' র মতো শয়তান মানুষ গুলো চারপাশে ঘুরঘুর করে । এই দুই জনের এমন পরিণতি দেখিয়েছেন সেজন্য স্পেশাল থ্যাংকস।
দাদা, আপনার মরীচিকার এবার বেশ কয়েকটি দিক দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো শান্তনুর বাবার প্রতি মহানুভবতা ,পরকীয়ার পরিণতি ও শান্তনুর জীবন সংগ্রাম।
শান্তনুর হাসপাতালে ও মাসির বাড়িতে থাকাকালীন সময়েই চিত্র যেন চোখে ভাসছে। শান্তনুর গল্প শুনতে আর মায়ের অমন করুণ মৃত্যু ভীষণ বেদনাদায়ক।
গল্পের ফিনিশিং প্রতিটি স্টেপ বাই স্টেপ সুন্দর করে দিয়েছেন।
দাদা আপনার জন্য শুভকামনা ও শ্রদ্ধা জানবেন।
মরীচিকা আরও পেলে মন্দ হত না।
১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
হা হা হা, আমি একেবারেই দুঃখ পাইনি। এখন রমজান মাস চলছে।জানি যে বোনের সারাদিনে অনেক কাজ থাকাটা স্বাভাবিক। কাজেই সময় সুযোগ মত কমেন্টে পাবো এটাই আশা করি। মরীচিকা পড়ে বোনের অতৃপ্ত মনের পরিচয় পেয়ে আনন্দ পেলাম। গত পর্বে পাঠকদের সদর্থক প্রতিক্রিয়া থেকে বিষয়টা নিয়ে আমি বেশ ভেবেছি। আরো কিছু পর্ব দেওয়া যায় কিনা বিষয়টি চিন্তায় আছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন লিনাপিসি ও শান্তনুর বাবার মতো লোক গুলো আমাদের চারপাশে ঘোরাঘুরি করে। ছদ্মবেশে থাকে। আমরা তাদেরকে সময়ে বুঝতে পারি না। হোস্টের সুন্দর সাইটগুলি বোনের সূক্ষ্ম নজরে পড়াতে চমৎকৃত হলাম। অস্বীকার করবো না পাঠকের এমন সূক্ষ্ম নজরই একজন গল্পকার হিসেবে আমাদের লেখার সার্থকতা।
বোনের কমেন্টের আরেকটি দিক আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছে যে শান্তনুর হসপিটাল থাকাকালীন ও মাসির বাড়ির চিত্রগুলি চোখের সামনে ভেসে উঠছে মনে হওয়াতে ভীষণ পুলকিত হলাম। স্পেশাল থ্যাংকস জানাই বোনকে।
শান্তনুর মায়ের মৃত্যু ও গল্পের স্টেপ গুলো ভালো লাগাতে আবার আনন্দ পেলাম । আবারও ধন্যবাদ জানাই বোনকে।
সবশেষে বোনের শুভকামনা অন্তর থেকে গ্রহন করলাম।
দাদার পক্ষ থেকেও বোনের জন্য রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।
১৬| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শান্তনুদের জন্য এই সমাজ অনেক প্রতিকুল।
১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রান্ত,
ছোট্ট মন্তব্যে অনেক কিছুই বলে গেছো। ধন্যবাদ তোমাকে।
পোস্টটিতে like' করাটা প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
১৭| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আপনার এই সিরিজটা আমি হারিয়ে ফেলেছি
১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই,
অনেক গুলি পর্ব মিস করাতে আপনার এমন মনে হতে পারে। যদি সময় পান তাহলে আগের দুটি পর্ব পড়লে আশা করি কিছুটা ধরতে পারবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৮| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "যাক আপনার মোটামুটি লাগাতে দুটি প্রশ্ন করার সাহস পেলাম।
১-শান্তনুকে বর্ধমানের আবাসিক বিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছিল কেন?
২-বাবার কাছে মার খেয়ে শান্তনুর কোথায় অপারেশন করতে হয়েছিল?
শুভকামনা সতত। "
-আপনার লেখায় শান্তনু নামের কেহ আছে নাকি? আমি তো ভেবেছিলাম, আপনি আত্মকথা লিখেছেন! বিপদেই ফেললেন! শান্তনুর বাবা ওকে মেরেছে, বলে কি? ওর বাবার রক্ত চাই!
১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতি মন্তব্যে আপনার আবার আসার জন্য আনন্দ পেলাম। "সাত খন্ড রামায়ণ পড়ে সীতা রামের মা।" কি আর করা যাবে অনেক কিছুই যে মেনে নিতে হয়। আগে একটা সময় আপনার কাছ থেকে পোস্ট পড়ে মন্তব্যের আশা করতাম। যাক সে আশা আর না করাই ভালো। আপনার উপস্থিতিই আমাদের বিনোদন।
চোখের যত্ন নিন।
১৯| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সহজ সরল ভাষায় লিখেছেন। যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আরো লিখুন।
১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট ভাইয়ের কাছে পোষ্টটি খুব সহজ সরল মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। আশা করি ভাই এর ব্লগে ঢোকার সমস্যাটি কেটে গেছে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোটভাইকে।
২০| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: দুঃখ কষ্টের পরিমান একটু বেশি হয়ে গেছে
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই,
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানবেন।
২১| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা মত প্রকাশ করতে গিয়ে একটা কমেন্ট চোখে পড়ে আর অমনি ভুলে যাই।হা হা হা।
যাক আমার কাছে তো ভালোই লেগেছে।আমি ভাবছি এই সিরিজটা একটা পিডিএফ আকারে বের করে সেটা একটা বইতে রুপ দিবো আর উপহার দিবো কিছু প্রিয় মানুষকে।[আর হ্যা বইতে লেখকের নামটাই থাকবে]।
কমেন্টটা কিন্তু দুই নম্বরের ঠিক পরেরটা।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর ভাই,
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। গল্পটি আপনার কাছে ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। আপনার সুন্দর অভিব্যক্তিতে অত্যন্ত খুশি হলাম। তবে পিডিএফ বা বই আকারে বার করতে গেলে এর মধ্যে কিছু অ্যাডিশনাল অল্টোরেশনের দরকার আছে। সাধারণত ব্লগের পোস্ট আকারে দিতে গিয়ে সাসপেন্স রাখতে গিয়ে যেভাবে পর্ব কাটছাঁট করতে হয়েছে, বাস্তবে সে জায়গাগুলোতে যে কন্টিনুয়েশন দিতে হবে। কাজেই বেশ কাজ আছে এখনো এটাকে পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসের মর্যাদা দিতে হয়।
আর আপনার উল্লেখিত কমেন্ট প্রসঙ্গে হা হা হা হা।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২২| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:২৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: তবে পিডিএফ বা বই আকারে বার করতে গেলে এর মধ্যে কিছু অ্যাডিশনাল অল্টোরেশনের দরকার আছে। সাধারণত ব্লগের পোস্ট আকারে দিতে গিয়ে সাসপেন্স রাখতে গিয়ে যেভাবে পর্ব কাটছাঁট করতে হয়েছে, বাস্তবে সে জায়গাগুলোতে যে কন্টিনুয়েশন দিতে হবে। কাজেই বেশ কাজ আছে এখনো এটাকে পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসের মর্যাদা দিতে হয়।
ঠিক আছে।অজানা এই বিষয় সম্পর্কে জানলাম। আমি তাহলে মেলা থেকেই সংগ্রহ করবো এই উপন্যাসটি। আশা করি পরবর্তী মেলাতে প্রকাশ করবেন।
ব্লগে সুন্দর কথামালার জন্য ভালোবাসা ও বিনম্র শদ্ধা।
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর ভাই,
আপনার আবার কমেন্টে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমি যেটা বলতে চেয়েছি, ব্লগে পোস্টটি এক ভাবে দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে উপন্যাসের পর্বগুলি ঠিক এই রকম ফিগারে আসবে না। ব্লগে বহু পোস্টে সাসপেন্স রেখে শেষ করতে হয়। উদ্দেশ্য থাকে পাঠক ধরে রাখা ও অহেতুক বড় না করা। কিন্তু বাস্তবে উপন্যাসের পর্বগুলিতে সেই ভয় থাকে না। কাজেই এক্ষেত্রে পর্ব সংখ্যাও অনেকটাই কমে আসতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন করে ঝাড়াই বাছাই করতে হবে।
আর মলাট বন্ধ করাটা আমার স্বপ্ন। জানিনা সে স্বপ্ন বাস্তবে সফল হবে কিনা। আপনি আগামী বই মেলায় পাবেন এতটা আশা করতে পারেন না। তবে অদূর ভবিষ্যতে কোনদিন মিলতেও পারে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
২৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: মরীচিকা শেষ হলো সাথে শেষ হলো এক অধ্যায়ের । শান্তনুর কাহিনী গল্প হলেও পড়ে চোখটি সজল হয়ে উঠলো । এত কষ্টও মানুষের ভাগ্যে থাকে ! অনেক ভালোলাগা রইলো আপনার লেখায় পদাতিক ।
শুভকামনা সবসময়ের জন্য ।
১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
অবশেষে আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। এমন আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধতা। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ! ব্লগে এক হিসেবে মরীচিকা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে মরীচিকা আরো কিছু অংশ আছে, যেটা মূল উপন্যাসের জন্য তোলা রইলো। সান্তনু কাহিনী করুন লাগাতে ও আপনার চোখ সজল হওয়াতে দুঃখ পেলাম আনন্দিতও হলাম। বাস্তবে যে কিছু কিছু মানুষের জীবন এতটাই করুণ , দুর্দশায় পরিপূর্ণ। মোটের উপর পোস্টটি ভালো লাগাতে আবারও ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপনার শুভ কামনা কখন করলাম।
আপনার জন্যও রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
২৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
করুণাধারা বলেছেন: রমজান মাসে এত কাজ থাকে যে ব্লগের জন্য সময় করে উঠতে পারিনি, আজই প্রথম এলাম।
মরীচিকার প্রথম থেকেই সাথে ছিলাম, প্রতিটি চরিত্র আপনি নিপুন ভাবে বর্ণনা করেছেন, যার জন্য এরা আমাদের চেনা জানা মানুষ হয়ে উঠেছেন। আপনার বর্ণনা এবং পরিমিতিবোধ প্রশংসনীয়। এ পর্যন্ত যত টুকু লিখেছেন, তাতে কত পৃষ্ঠা হবে বলে মনে হয়? একটা উপন্যাস যদি অন্তত দেড়শ পৃষ্ঠার না হয়, তাহলে পড়ে আরাম পাওয়া যায় না। আশা করি আপনি সেই দিকটা লক্ষ্য রেখে পরবর্তীতে কাহিনীটা বাড়াবেন।
শুভকামনা রইল।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
আশা করি কুশলে আছেন। রমজান মাসে ব্যস্ততা অত্যন্ত বেশি। তার মধ্যেও সময় করে এসে পোস্টটি পড়া ও সুন্দর মন্তব্য রেখে দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আমিও গত কয়েকদিন আপনাকে না পেয়ে ঠিক এটাই ভাবছিলাম, আপুদের এখন রমজান মাসের জন্য ব্লগে আসাটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি যে মরীচিকাকে প্রথম থেকে আপনাদের পেয়েছি। আপনাদের অনুপ্রেরণায় সিরিজটাকে এতদূর টানতে পেরেছি। কাজেই যা কিছু ভালোর কৃতিত্ব সব আপনাদেরই। আপনাদের সঠিক ইন্সপিরেশনের হয়তো আমি চরিত্রগুলোকে এমনভাবে স্কেচ করতে পেরেছি। আগামীতেও আপনাদের এভাবে পাশে পাবো আশা রাখি।
এবার আপনার আনুমানিক পৃষ্ঠা সংখ্যা সম্পর্কে বলি। সাধারনত বইয়ের পেজ যেভাবে লেখা হয় তাতে যদি সব ঠিকঠাক চলে তাহলে মরিচিকার পৃষ্ঠা সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়ে যাবে। কাজেই আশা করি আপনি যে সমস্যার কথাটি বললেন হয়তো সেটি ওভারকাম করতে পারব।
পরিশেষে আবার জানাই যে আপনার সুচিন্তিত গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য চমৎকৃত হলাম। পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম ।কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
২৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়রে জীবন!
কেবলই মরিচিকা
সূখের স্বপ্ন
একটু ঘর, একটু আশ্রয়
একটু স্নেহ, একটু মমতা
মরিচিকা আশায় মরিচিকা বিভ্রমে
মরিচিকায় জীবন নাশ
আলো ভেবে যারে আমি জীবনে জড়াতে চাই
সেতো আলো নয় যেন আলেয়া - - এ বুঝি চিরন্তনী আক্ষেপ!!!
যার অন্ত নেই শেষ নেই . .
কিছু পর্ব গিলে ফেলার পরো দারুন সমাপনি!
মলাটে সেই না বলা গল্প গুলো জানার আশায় রইলাম।
অনেক অনেক ভাললাগা আর ধন্যবাদ
দারুন একটা সিরিজে সকলকে মাতিয়ে রাখার জন্যে
++++++
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
আপনার আজকের মন্তব্যটির উত্তর আমার জানা নাই। অসাধারণ সুন্দর মন্তব্যে কেবল, মুগ্ধতা। হা হা হা হা হা.....
মরীচিকাকে নিয়ে স্বপ্ন একটা আছে। জানিনা স্বপ্ন কতদূর সফল হবে। আপনারা দোয়া করবেন।
বরাবরের মতো পোস্টে লাইক করাতে ও এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে ।
২৬| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুপ্রভাত !
এমন ভাবে মনে গেঁথে যাওয়া একটা লেখা, অনেকক্ষণ থেকে ভেবে পাচ্ছি না কি লিখবো? মন ছোঁয়া পরিবেশনা, কষ্ট জীবনের আনন্দ, জীবন উঠে এসছে লেখায়।
ভালোলাগা।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
অবশেষে আপনার দেখা পেয়ে শান্তি পেলাম। নইলে ভাবছিলাম পাণ্ডুলিপি নিয়ে সুদূর দুবাইতে হাজির হব। আপুর সময় হচ্ছে না। নিজে যাই গিয়ে দেখিয়ে নিয়ে আসি। হা হা হা হা হা.....
পোস্ট প্রসঙ্গে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের পুলকিত হলাম। হাসি-কান্না নিয়েই তো আমাদের সমাজ সভ্যতা। আমাদের চারপাশে এমনও অনেক শান্তনু আছে যাদেরকে আমরা কখন জানি না বা চিনি না। তবে যদি একটু খোঁজ নিই,বাড়িয়ে দিই ভালোবাসার হাত
। তাহলে দেখতে পাব যে আমাদের জানাশোনার বাইরেও তাদের আরেকটি পরিচয় আছে। যে পরিচয় পেয়ে আমাদের অন্তর আদ্র হয় আর চোখ হয়ে ওঠে অশ্রুসিক্ত। আমরা বাস্তবে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপু।
বরাবরের মতই পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৭| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: মাঝের অনেক পর্বই পড়া হয় নি সেজন্য দুঃখিত পদাতিক দা।
শান্তনুর জীবন সংগ্রামের ইতিহাস বড়ই করুণ। এত প্রতিকূলতার মাঝেও...টিকে থাকতে পারাটাই সফলতা। অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে এটি।
তবে শেফালী ম্যাডামকে কাহিনির এভাবে সাইড লাইনে পাঠিয়ে দেওয়াটা ভালো লাগল না। ম্যাডাম কিন্তু পাঠকের মনে যতদূর মনে পড়ে দাগ কেটেছিল।
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা জাঁহাপনা আপনার আগমনে ধন্য হলাম। ব্যস্ততার জন্য অনেক পর্ব পড়তে পারেন নি ঠিকই তো, সাধারণত ধারাবাহিকগুলোর সব পর্ব সব সময় পাঠ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাঝে কিছু ব্রেক দিয়েও যে আপনি এসেছেন এটাই আমার পরম প্রাপ্তি।
শান্তনুর জীবন সংগ্রামে করুন ইতিহাস বা শান্তনু সম্পর্কে আপনার অবজারভেশনে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সঙ্গে সহমত রেখেই বলবো যে প্রতিকূলতা বহুজনের সাফল্যের চাবিকাঠি হয়।
তবে সব শেষে শেফালীম্যাডামের পরিণতিটি গল্পের নিউক্লিয়াস। মলাট বদ্ধ করার আশায় কিছু অংশ অব্যক্ত রয়ে গেল। অপরাধটুকু প্লিজ মার্জনা করিবেন। এখানে কিন্তু কোন ঢপের চপ নেই হা হা হা হা হা।
পোস্টে লাইক করাতে পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৮| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা ,
আমি মরীচিকার কিছু পর্ব বেছে বেছে পড়ছিলাম। এই পর্ব টা যখন পড়া শেষ করলাম তখন দেখি আপনি অনলাইনে এলেন। এটা কিভাবে সম্ভব আমি খুবই অবাক হলাম। আমার কাছে যা ভালো লাগে আমি তা একবারের জায়গায় দুই তিন বার পড়ি।
তবে বলতেই হয় আমি ব্লগে যে কয়দিন যাবত এসেছি মরীচিকার মত এমন সিরিজ পড়ি নাই।হয়তো এর আগে কেউ লিখে রাখলে সেটা অন্য ব্যাপার কিন্তু আমি আসার পর মরীচিকা মরীচিকাই জাস্ট গ্রেট।
১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট বোন,
@সাহিনুরের পোস্টে কমেন্ট দেখতে এসেছিলাম। যে কারণে এই মুহূর্তে আমার অনলাইনে থাকা। তবে আপনার কমেন্ট পেয়ে চমৎকৃত হলাম। মরীচিকাকে নিয়ে একটি প্লান আছে। জানিনা কতটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। আপনার কাছে মরীচিকা খুব ভালো লেগেছে জেনে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম। আপনি একজন অত্যন্ত গুণী পাঠক। তবে ব্লগে আমার চেয়েও অনেক ভালো ভালো লেখা আছে। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি ব্লগ চাঁদের হাট। সেখানে আপনি এমন করে বললে আমি যে প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়তে বাধ্য।
অস্বীকার করবো না যে আপনাদের এমন সুচিন্তিত মতামত আমাদের মত হাতুড়ে লেখকদের কাছে আগামীর পাথেয়।
শুভ রাত্রি।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ছোট্ট বোনকে।
২৯| ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪
মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার মরিচীকার কয়েকটি পর্ব একত্রে পড়ে ফেললাম।
ভালো লেগেছে - এমন কথা বলার চেয়ে আরো বেশি কিছু বলতে চেয়েও খুঁজে পাচ্ছি না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর এবং সাবলীল গল্পগুলোর জন্য।
শুধু শান্তনুর জীবন কাহিনী নিয়েই তো একটা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারতেন, কিংবা শেফালি ম্যাডামকে নিয়ে।
আমারতো মনে হচ্ছে, আপনি এই মরীচিকা এখানেই শেষ করতে পারবেন না। কারণ, আমাদের অনেক জিজ্ঞাসা রয়ে যাবে।
বরং, চালিয়ে যান, আরো কিছু পর্ব না হয় আমরা পড়তে পারবো।
শুভ কামনা রইল।
১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই,
অবশেষে আপনার দেখা পাওয়াতে ভীষণ আনন্দ পেলাম। সঙ্গে এমন মন্তব্য যে মাথায় করে রাখার মত। আপনার অত্যন্ত সুচিন্তিত মতামত পুলকিত হলাম। তবে বিষয়টি যেহেতু একটা স্কুল হোস্টেল কে কেন্দ্র করে যেখানে শেফালী ম্যাডামের মতো মানুষ যেমন থাকবেন তেমনি একটু ব্যতিক্রম স্টুডেন্ট শান্তনুর উপস্থিতিও অস্বাভাবিক কিছু নয়। মলাট বন্ধ হওয়ার আশায় মরীচিকা শেষ কিছু পর্ব পোস্ট আকারে ব্লগে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আপনারা যদি বলেন সে ক্ষেত্রে আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসবো। আপনাদের জন্য না হয় আগামীদিনে মরীচিকা আরো কিছু পর্ব থাকবে।
আপনার বইটির ইংলিশ ভার্শন আজকে দেখলাম। প্রচ্ছদটি ভীষণ ভালো লেগেছে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩০| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
সামাজিক একটা উপন্যাস শেষে এসে থ্রিলার হয়ে গিয়েছে মনে হল । শেষ হয়েও হলো না শেষ । তবে আমরা মনে হয়ে আরও কিছু যুক্ত করা দরকার ছিল ।
কি সেটা এখন মাথায় আসছে না । তবে এটা যদি বই আকারে আসে তবে আরও পরিবর্তন দরকার হবে ।
২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপুভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আপনি হয়তো বিষয়টি লক্ষ্য করেননি যে মরীচিকার এখনো কিছু পর্ব মলাটবদ্ধ করার আশায় প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে কারণে এই পর্বে এসে মোটের উপর বিষয়টিকে অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তবে নীল আকাশ ভাই সহ আরও কয়েকজন মন্তব্য মরীচিকার আরো কিছু পর্বের প্রস্তাব দেওয়াতে বিষয়টি ভাবনায় আছে।
পাশাপাশি আপনাকে আরো জানাই যে বই আকারে বার করতে গেলে এটাকে আরো বেশি সংশোধন এবং সংযোজনের প্রয়োজন আছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরুও করেছি। আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩১| ০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি ,
কেমন আছো? সবাই কেমন আছে? সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
ভোটের ব্যস্ততায় তুমিও কিন্তু ব্লগ থেকে কিছুটা দুরে ছিলে। তবে মরীচিকা পড়তে আমি মোটেও দেরি করিনি। এবার আমি দ্বিতীয় মন্তব্যকারী হতে পারতাম কিন্তু প্রতিশ্রুতি মোতাবেক লগআউট ছিলাম।
শান্তনুর জন্য সমবেদনা রইলো। শেফালি ম্যাডাম ও মাস্টারদার কাহিনি জানার জন্য উৎসুক হয়ে আছি । জানিনা কবে বইটি হাতে পাবো। মরীচিকার জন্য শুভকামনা।
০৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের আরোগ্য,
তোমার আগমনে আনন্দ পেলাম। আশা করি এক মাসের সিয়াম সাধনা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করতে পেরেছ। উপরওয়ালার কৃপায় আমরা সকলে ভালো আছি। তোমার ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ তোমাকে। তুমি ঠিকই বলেছ ভোটে ব্যস্ত তাই আমি কিছুদিন ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম তবে সেটা সর্বাধিক 4/5 দিন। কিন্তু তুমি তোমার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় এবং দ্বিতীয় মন্তব্যকারী না হাওয়াতে তোমার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। এ যাতনা হৃদয়ে ধারণ করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই। এটা কি আমি প্রতিশ্রুতি বলতে রাজি নই বরং এক প্রকার ধনুক ভাঙা পণ আরকি।
আর বাসি পোস্টে শান্তনু ও শেফালীম্যাডাম সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে চাই না হা হা হা... তোমার সুন্দর অনুভূতির জন্য আবারো ধন্যবাদ।
পোস্টে দ্বাদশ লাইক করার জন্য অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।
৩২| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পর্বটা পড়তে পড়তে বারবারই মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল। পশুটার প্রতি মনটা ঘৃণায় ভরে উঠছিল। শেষে এসে তার কারাবাসের কথা জানতে পেরে স্বস্তি পেলাম।
সংসারের ভিত ভালোবাসার উপর গড়ে না উঠলে সেখান থেকে কল্যান আসার কথা না - মা. হাসান এর মন্তব্যের এ অংশটুকু খুব ভাল লেগেছে।
অধুনা আপনি আমার কয়েকটি পোস্টে অনুপস্থিত, যা আগে কখনো হয় নি। আশাকরি, ভাল আছেন।
১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
গতকাল একটা প্রতিমন্তব্য দিয়েছিলাম কিন্তু একটু টাইপো থাকাতে মন্তব্যটা ডিলিট করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তারপর থেকে যতবার লগইন-লগআউট করি না কেন নিজের পোষ্টের সবুজ বাটনটি না আসাতে কিছুতেই প্রতিমন্তব্য করতে পারেনি। গল্পটি বিষাদময় লেগেছে বা আপনি অনুভূতির পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। ঠিকই তো আমাদের সমাজে ভদ্রবেশী এমন বহু পশু আছে যারা বিভিন্ন ভাবে নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখে সভ্য সমাজের অন্তরালে।
ব্লগার মা হাসান ভাই একজন বিচক্ষণ ব্লগার। বিভিন্ন পোস্টে ও মন্তব্যে উনি ওনার নিজের বিচক্ষণতার পরিচয় রাখেন।
আপনার পোস্টে অনুপস্থিতির কারণটা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি। আশা রাখছি এখন থেকে আবার নিয়মিত হব।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনর্বার প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমিও টাইপোর ব্যাপারে বেশ খুঁতখুতে। নিজের প্রতিমন্তব্যে কোন ভুল ধরা পড়লে ওটা শুদ্ধ না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না।
এর আগে লিখেছিলেন, সুনির্দিষ্ট কারণের জন্য পোস্টে আসেননি। সেটা কি আম্ফানজনিত বিদ্যুৎ সমস্যা এবং ইন্টার্নেট সংযোগ না থাকারই শুধু সমস্যাটুকু, নাকি এর বাইরেও কোন কারণ ছিল? অবশ্য কারণটা আপনি জানাতে না চাইলে সেটাই হোক। মানুষের কত রকমই তো কারণ থাকতে পারে, কারো পোস্টে মন্তব্য না করার। আগে আপনার মত নিয়মিতভাবে আমার পোস্টে মন্তব্য করতেন, এমন দুয়েকজন এখন প্রায় মাসাধিক কাল থেকে করছেন না, তাই ভাবছিলাম, কোন ত্রুটি হয়ে গেল কিনা অনিচ্ছাকৃতভাবে!
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার প্রতিমন্তব্যের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আবার কমেন্টে আসাতে দারুণ আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
অন্যের পোস্টে মন্তব্যের ক্ষেত্রে তো কিছু করার নেই। কিন্তু নিজের পোস্টে যদি এরকম ভুল হয়ে থাকে তাহলে চেষ্টা করি পরে সময় নিয়ে আবার নতুন করে প্রতিমন্তব্য দেওয়ার। আপনার সঙ্গে তাহলে এক্ষেত্রে আমার দারুন একটি মিল আছে।
এর আগে লিখেছিলাম সুনির্দিষ্ট কারণের জন্য পোস্টে আসেনি। আসলে স্যার আমার বলা উচিত ছিল ব্লগে আসতে পারেনি। তবে না আসার বিষয়ে আপনি ঠিকই ধরেছেন। এমনিতে সে সময় রমযান চলছিল। দুপুরের পর থেকে শরীর ও মনে অবসন্নতা চলে আসতো। প্রত্যেকদিন জোহরের নামাজ পড়ার পরে ঘুমাতাম। আর আম্ফানের পরে দীর্ঘ বিদ্যুৎ সমস্যা ও ইন্টারনেট না থাকায় এ সময় ব্লগে ঢোকা সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যাটা স্রেফ আমার নিজের। আপনার পোস্ট মানেই আমাদের কাছে পরম আনন্দের, শিক্ষনীয়। একেবারে শুরু থেকে আজও সেই অনুভূতির অন্যথা হয়নি।
আগের প্রতিমন্তব্যে যে বিষয়টি উল্লেখ করতে ভুলে গেছি, পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
প্রামানিক বলেছেন: শান্তানুর কষ্টের কাহিনী পড়ে সত্যিই চোখ ছল ছল করে উঠল। খুবই ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ পদাতিক দা
২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য প্রিয় প্রামানিক ভাই।
অনেক দিন ধরেই আপনার কবিতা থেকে আমরা বঞ্চিত। আশাকরি শীঘ্রই আবার পোস্ট দেবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০২
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
শুভ রাত্রি,
একটু পরেই আবার সেহেরি খেতে উঠতে হবে
পরে পড়ে বিশাল................
মন্তব্য করবো।