নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুস্থ্যভাবে দেশ চালাতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে, কথাটি আগেই বলেছিলাম । তার কিছুটা নমুনা শুরু হয়ে গেছে। এখন কিছু লোকের মাঝে শুরু হয়েছে “আগেই তো ভালো ছিলাম”।
এতোদিন যারা স্বৈরাচারী রাজত্ব করে এসেছে তাদের আয় ইনকামের কোন হিসাব ছিল না। কিন্তু বর্তমানে তারা কোনঠাসা হওয়ায় অনেকের অবৈধ ইনকাম বন্ধ। এই কোনঠাসা হওয়াটা কোনভাবেই তারা মেনে নিতে পারছে না। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে আর্থ আত্মসাত করা লোকজনের ঘি ভাতে ছাই পড়েছে। এমন অবস্থায় এই সরকাররের কোন ভালো কাজকেই তারা ভালোভাবে করতে দিবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করাসহ চুরি ডাকাতি ছিনতাই করে দেশকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে এবং শুরু করেছে।
বর্তমানে যে অবস্থা শুরু হয়েছে ফখরুদ্দিন সরকারে সময়ও একই অবস্থা হয়েছিল। বাজার সিন্ডিকেটের সাথে কুলোতে না পেরে ফখরুদ্দিন সরকারের সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ বলতে বাধ্য হয়েছিলেন ”ভাতের বদলে আলু খান”। এবারো সেই অবস্থাই দেখতে পাচ্ছি। একটি কথা আছে “সুবক্তা সুশাসক নাও হতে পারে”। তেমনি অতি ভদ্রলোকের পক্ষেও কথাটি অনেকটা প্রযোজ্য। যারা সিন্ডিকেট করে দুর্নীতিবাজী করে এতদিন টাকা পয়সা কামিয়ে আসছে তাদের ঢিলেঢালা শাসন ব্যবস্থা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। সাধারণ জনগণ অবৈধ ইনকাম নয় বৈধ ইনকামের মাধ্যমে সৃশৃঙ্খলভাবে শান্তিতে থাকতে চায়। তাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়া মানেই বুঝতে হবে সরকারের শাসন ব্যবস্থায় কোন দুর্বলতা দেখা দিয়েছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৬
পবন সরকার বলেছেন: অনেক সুন্দর মতামত দিয়েছেন। এভাবে দেশের কথা সবাই চিন্তা করলে অশান্তি থাকবে না।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
কোমলমতিরা ড: ইউনুসক্ব পছন্দ করে না, তরা উনাকে পঁচানোর চেষ্টা করছে; তাদের বাবাদের অন্য প্ল্যান থাকতে পারে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৮
পবন সরকার বলেছেন: আওয়ামীলীগ বর্তমানে সব চেয়ে বেশি পঁচে গেছে এরজন্য আওয়ামীলীগ নিজেরাই দায়ী। আগামীতে যদি ড: ইউনুছ একই পথ অবলম্বন করে তাহলে সেও পঁচবে।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
নতুন বলেছেন: যারা রাজনিতি করে খেতো তাদের পকেটে টাকা আসছে না। তাই তারা বলছে - “আগেই তো ভালো ছিলাম”
সরকারী আমলা, কামলা রা আগের মতন ঘুষ খেতে পারছেনা, যেটা করছে খুব সাবধানে । তাই তারা বলছে - “আগেই তো ভালো ছিলাম”
ঠিকাদারের টাকা আটকে আছে । তাই তারা বলছে - “আগেই তো ভালো ছিলাম”
চান্দাবাজ, ধান্দাবাজেরা ভালো নাই। তাই তারা বলছে - “আগেই তো ভালো ছিলাম”
সরকারের নিয়ন্ত্রন কম তাই ব্যবসায়ীরা চেস্টা করছে মুল্য বাড়াতে ।
সরকারের এটা কঠিন একটা পরিক্ষা। এটাতে সফল হতে হলে জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে।
এবং যদি জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে থাকে তবে জনগন সুর পাল্টাবে এবং সরকারকে সাহাজ্য করতে শুরু করতে থাকবে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২০
পবন সরকার বলেছেন: অনেকের আয়রোজগারের পথই ছিল রাজনীতি করা। ঘরে বসে থেকে চান্দার টাকা গুণতো, এখন তাদের সেই রোজগার বন্ধ, কাজেই তাদের কাছে আগের সরকারই ভালো ছিল।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সিন্ডিকেট মনে হয় না আর এই জন্মে ভাঙবে!
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২১
পবন সরকার বলেছেন: পুরোপুরি হয়তো ভাঙবে না তবে কমতে পারে।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ব্যবসায়ের প্রতিটি সেক্টরে গত ১৫ বছরে আঃলীগ যেভাবে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে, সেটা ভেংগে পুরা সাপ্লাইচেইন নতুন করে তৈরী করা বহুত কষ্টের। আঃলীগ তার সব চ্যালাচামুন্ডার পকেট ভারী করবার ব্যবস্থা করেছিলো, তারা দলের সাপোর্টে একটু আধটু দাম বাড়াবে এটা মোটামুটি সহজেই বোঝা যায়।
দাম বাড়ছে, মানুষের কষ্ট বাড়ছে, কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন যে কেউ এখনও এই সরকারকে দুষছে না; বরং আঃলীগকেই দুষছে!
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২৩
পবন সরকার বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন। ৭৫ সালেও এইরকম একটা প্রভাব ছিল। দেশ স্বাধীনের পর হঠাৎ করেই সিন্ডিকেট করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছিল তারা আজও আওয়ামীলীগে আছে।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৪৫
আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, দেশে ইসলামী বিপ্লব বয়েছে। আফগানিস্তানে ৮১% মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে(below poverty level) আল্লার রিজিক খেয়ে বেঁচে আছে। চিন্তার কারণ নেই, বাংলাদেশও ইনশাআল্লা বেঁচে থাকবে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫
পবন সরকার বলেছেন: বহির্বিশ্বের সাহায্য সহযোগীতা ছাড়াই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ হিসাবে আফগানিস্তান আস্তে আস্তে অনেকটা আর্থিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে এবং দেশটা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ডলার রেট আফগানিস্তানের এখনো আমাদের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে যদি দুর্নীতি বন্ধ হয় তাহলে দেশটা অনেক এগিয়ে যাবে কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সেটা হচ্ছে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
রিফাত হোসেন বলেছেন: এটাকে নিয়ন্ত্রণ না করে দেশের মানুষকে ভাল হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদি নিয়ন্ত্রণই করতে হয় তাহলে সরকারের নিজস্ব স্থাপনা কাজে লাগিয়ে সারা দেশে সরকারের বাজার outlet করতে হবে যাতে সরকার সেখানে নিয়ন্ত্রণমূলক দামে পণ্য দিতে পারে। সেখানে পচনশীল খাদ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকার নিজে কৃষক/জেলে থেকে সংগ্রহ করবে এবং ভোক্তাকে চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করবে। এখনে নিয়োগ দিতে হবে স্বেচ্ছাসেবকদের যারা সপ্তাহে ১-২ সময় দিতে পারবে। প্রতিদিন না করে প্রাথমিকভাবে সাপ্তাহিক বা মাসিক বাজার ব্যবস্থা সঠিক হতে পারে। এতে এর বাজার যাচাইও হয়ে যাবে। যেহেতু অল্প দামে দেওয়া হবে স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল সবাইকে স্বাগতম রাখা উচিত। এতে কারসাজিদের chain system ভেঙ্গে যাবে। সরকারি বাজারগুলো জেলা পর্যায়ে করতে হবে। এরসাথে সঠিক হবে ডেলিভারী ব্যবস্থা চালু করলে। ধীরে ধীরে উপজেলা/ওয়ার্ড নিয়ে গেলে ভাল হবে।
million-dollar question-টা হল বিড়ালের গলায় ঘন্টা ঝুলাবে কে? রক্ষক বা কর্মী আমানতের খেয়ানত করলে যেই লাউ সেই কদুতে পরিণত হবে।