নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক লোক বিয়ের পরে বউয়ের জ্বালায় নাজেহাল। বউয়ের চোখ রাঙানির চোটে কথা বলা তো দূরের কথা চোখ তুলে তাকাতেও ভয় পায়। ভাত তরকারি আধাফোটা হোক আর আধাসেদ্ধ হোক সেটা বললেই পিঠের উপর ঝাড়ুর বাড়ি পরে। সেই ভয়ে স্বামী বেচারা কিছুই বলে না, ভালো মন্দ বউয়ে যা দেয় তাই মুখ বুজে খেয়ে নেয়। একদিন লোকটি ধানের ক্ষেতে কাজ করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাড়ি এসে বউয়ের কাছে ভাত চাইতেই বউ রাগের চোটে রান্না করা অবস্থায় অফোটা চাউল চাউল ভাত এনে সামনে দিয়ে বলে খাও। স্বামী খেতে গিয়ে দেখে পুরোটাই অফোটা ভাত। এমন ভাত খাওয়ার মতো কোন উপায় নাই। মুখরা বউয়ের ভয়ে কিছু বলতেও পারে না, শুধু ভাতগুলো নাড়াচাড়া করে আর চুপে চুপে কান্না করে। স্বামীর ভাত নাড়চাড়া করা দেখে বউ একটা শলার ঝাড়ু নিয়ে এসে পিঠের পাছে দাঁড়িয়ে চোখ গরম করে বলে, খাও, ভাত চাইছো ভাত দিছি এখন খাও না কেন?
বউয়ের ঝাড়ু নাড়ানো দেখার পরেও স্বামী ভাত না খেয়ে শুধু হাত দিয়ে ভাতগুলো নাড়াচাড়া করতে থাকে, এই অবস্থা দেখে বউ ঝাড়ু হাত থেকে ফেলে দিয়ে দৌড়ে চুলা থেকে আধাফোটা ভাতের গরম হাঁড়ি এনে মাথায় ঠাস করে আছাড় মারে। আছাড় মারার সাথেই গরম গরম মাটির হাঁড়ি ঠাস করে ভেঙে মাথায় ঢুকে হাঁড়ির কান্দা গলায় আটকে যায়। গরম ভাতের হাঁড়ি গলায় আটকে যাওয়ায় বেচারার মরার দশা। নাক মুখ গলা পুড়ে মরার দশা। বেচারা কুলাতে না পেরে হাঁড়ির কান্দা গলায় নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির সামনের দিকে দৌড় দিয়েছে। স্বামীর দৌড় দেখে বউয়ে পিছে পিছে ঝাড়ু নিয়ে দৌড়। ঝাড়ু নিয়ে বউকে আসতে দেখে বেচারা দিশকুল না পেয়ে ঝপাত করে পুকুরে ঝাপ দিয়ে সাঁতরে ওপারে চলে যায়। স্বামী পুকুরে ঝাপ দেয়ায় এপারে বউ ঝাড়ু হাতে গালাগালি করতে করতে বলে, আরে মিনসে ওপারে গেলি কেন, এপারে আয়, তোর ভাত খাওয়া শিখাই, ভাত চাইছোস গরম গরম ভাত দিছি না, এখন খাবি না কেন? বেচারা বউয়ের গালাগালি শুনতে শুনতে সাহস নিয়ে পুকুরের ওপাড়ে উঠে বলে, আরে মাগী তোকে কি আমি ডরাই, গলায় ভাতের হাঁড়ির কান্দা নিয়ে পুকুর সাঁতরে এপার এসে কই আজকের ভাত সবই চাল।
আমাদের বিগত পলাতক প্রধান মন্ত্রীর দশা হয়েছে তাই, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপ গিয়ে খুব সাহসের সাথে বক্তব্য দিয়ে বললেন, আইন করা আছে তারপরেও ওরা মুর্তি ভাঙার সাহস পেল কোথায়?
তার সাহস দেখে খুব খুশি হলাম। নেতা হলে এইরকম নেতাই হওয়া দরকার।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
পবন সরকার বলেছেন: শেখ হাসিনা ইউরোপ গেছে কিনা জানি না তবে বক্তব্য দেখে হাসি পেয়েছিল। দেশ থেকে না পালিয়ে দেশে থেকে প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিল, তাহলে নেতা কর্মীরা বিপদে পড়তো না।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা চেষ্টা করেছিলো জংগী জামা্তী ও পাকী বিএনপি ঘরানার কেহ যেন মিলিটারীতে অফিসার হতে না পারে; কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মিলিটারীর কন্ট্রোল উনার বিপক্ষের হাতে চলে গিয়েছিলো; সেজন্য উনাকে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। কারা কিভাবে কন্ট্রোল নিয়েছে, তা এখনো অপরিস্কার।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
পবন সরকার বলেছেন: একাত্তুরের যুদ্ধের সময় সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল। এর ভিতর ত্রিশ লক্ষ শহীদ হলো এক কোটি ভারতে আশ্রয় নিল বাকিগুলো বাংলাদেশে থাকলেও বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। হাতে গোনা কয়জন রাজাকার ছিল সেখানে ঢালাওভাবে রাজাকার বলেন কাকে। এখন যারা আওয়ামী বিরোধী তারা সবাই রাজাকার এইটা কি জনগণ মেনে নিতে পারে। এখনও তো সুযোগ আছে রাজাকারদের বিচার করার। রাজাকারের বিচার না করে সবাইকে রাজাকার বলা কি উচিৎ?
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: হুম
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
পবন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪১
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা পড়তে ভালই লাগছিল।
ভিডিওটা আমিও দেখেছি, কয়েকজনকে লিংকও পাঠিয়েছি। পরে শুনি এটা কয়েক বছর আগের ভিডিও।
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮
পবন সরকার বলেছেন: যাচাই বাছাই করার সুযোগ না থাকায় আমাদের কাছে মিথ্যাটাই সত্য হয়ে যাচ্ছে। যেমন ভারতের চ্যানেলগুলো যশোরের হোটেল পোড়ানোর ভিডিও দিয়ে প্রচার করছে হিন্দু মন্দিরে আগুন দেয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১
নয়া পাঠক বলেছেন: ভিডিওটা আমিও দেখেছি আমার মনে হয়েছে ওটা আগের কোন একটা ভিডিও। তিনি যে অবস্থায় পালিয়ে গেছেন, তার চেহারা এরকম থাকার কথা নয়। বিভিন্ন মিডিয়া বলছে তিনি এখনও ভারতেই আছেন, কোন দেশ তাকে আশ্রয় দিতে চায় না।
তবে তার ছেলের একটি বক্তব্য শুনে বুঝলাম যে, যোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরী হয়েছে।