নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেকের মাঝেই ভুল ধারনা আছে। অনেকেই মনে করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল হলো মাদ্রাসায় যারা লেখাপড়া করে তাদের জন্য। আসলে কি তাই?
এ বিষয়ে আমার একটি বাস্তব কাহিনী না বলে পারছি না। আমি ঢাকার একজন সাংবাদিককে আমার ভাতিজার এ্যাপলাইড ফিজিক্স ফ্যাকাল্টিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথা বললে তিনি দাঁত মুখ উল্টে বললেন, ওখানে এ্যাপলাইড ফিজিক্স ফ্যাকাল্টি পাবেন কই? ওটা তো মাদ্রাসার ছেলেপেলেরা পড়ে! আমিও দ্বিধা দ্বন্দে পড়ে গেলাম। তাই তো-- নাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে হাদীস, কোরান পড়ার কথা সেখানে বিজ্ঞান বিষয় তো থাকার কথা না। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম যদিও নাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু আদতে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে থিওলজি ও ইসলামিক স্ট্যাডিজের ফ্যাকাল্টিতে মাত্র তিনটি ডিপার্টমেন্ট বাকি ২২টি ডিপার্টমেন্ট হলো সাইন্স, আর্টস, কমার্স এবং ল ফ্যাকাল্টিতে, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই।
পড়ার এত আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকা সত্বেও শুধু ভুল ধারনার জন্য অনেক ছাত্র ভুল বুঝে এখানে ভর্তির জন্য এপ্লাই করে না। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের জেলা ছাড়া অন্যান্য জেলার ছাত্রের সংখ্যা খুবই কম। বিশেষ করে বৃহত্তর ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চিটাগাং, সিলেট, ময়মনসিংয়ের ছাত্রের সংখ্যা নাই বললেই চলে।
এখানে মুসলমানের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের ছাত্ররাও ভর্তি হতে পারে। ভর্তির ব্যপারে ধর্মের কোন বাছবিচার নাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন বিশাল মসজিদ আছে তেমনি হিন্দু ছাত্রদের জন্য পুজার ব্যবস্থাও আছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টি দুই জেলার সীমানায় অবস্থিত। উত্তর অংশ কুষ্টিয়া জেলায় এবং দক্ষিণ অংশ ঝিনাইদহ জেলায়।
তাহলে বোঝেন--- শুধু ভুল ধারনার জন্য কত মেধাবী ছাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারায়।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
পবন সরকার বলেছেন: এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিদেশী মুসলিম দেশের অনুদানে প্রতিষ্ঠিত যে কারণে এই নাম।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: জানলাম, ধন্যবাদ।।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
পবন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
আহলান বলেছেন: হুম ...ঠিক ! এটা খুবই চমৎকার একটি ক্যাম্পাস .... ছায়া সুনিবিড়, ছোট্ট করে সাজানো গোছানো একটি ক্যম্পাস। অনেকে ভুল করে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলে থাকে। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ দুটি জেলার উপরেই প্রতিষ্ঠিত। একদিকে শান্তিডাঙ্গা অন্য দিকে দুলালপুর এই দুটি এলাকা নিয়েই এই ভার্সিটির ক্যাম্পাস। ছেলেদের জন্য সাদ্দাম হোসেন, জিয়া, লালন শাহ ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক হল রয়েছে। মেয়েদের জন্য আছে খালেদা জিয়া ও ফজিলাতুননেসা মুজিব হল। সব ধরণের আধুনিক সাবজেক্টই রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
পবন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য বর্ণনায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আরো একটু ধারনা পরিষ্কার হলো।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
আপনাকে ধন্যবাদ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
পবন সরকার বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
হারানো পথ বলেছেন: সহমত .... অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এটির কোনো পাথর্ক্য নাই। ধন্যবাদ ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১
পবন সরকার বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইল।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেরে জাহাংগীনগর, চট্টগ্রাম বা রাজশাহীতে যাইনি (১৯৮০ সালের কথা)। দেখাগেল শেষ পর্যন্ত ঢাকায় ভর্তি হতে পারলাম না, তার পরের বাছরও শেষ পর্যন্ত ঢাকায় রয়ে গেলাম কোন কলেজে (ঢাকা কলেজে) সম্মান শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে। তার দুবছর পরে অ্যামেরিকায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করেছি।
আমি মনে করি ঢাকায় থেকে পড়াশুনার একটা আলাদা গুন আছে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
পবন সরকার বলেছেন: আপনার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে ,মফস্বলের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে সব বন্ধ করে দিয়ে শুধু ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাখা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: নামট ভুল ধারনার সৃষ্টি করে। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নাম দেয়ার যৌক্তিকতা কি?