নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসিদ্ধ কবি, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক তারাপদ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩


বাংলার প্রসিদ্ধ কবি, ছোটগল্পকার, রম্যরচনা কার, প্রাবন্ধিক ও কিশোর সাহিত্যিক তারাপদ রায়। তিনি 'নক্ষত্র রায়' এবং 'গ্রন্থকীট' ছদ্মনামেও লিখতেন।বাল্য অবস্থা থেকেই কবিতা রচনা করে গেছেন তিনি। তার প্রথম কবিতার বই 'তোমার প্রতিমা' প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। বাংলা সাহিত্যে হালকা হাস্যরসের সাথে পরিমিত তিক্তরস মিশ্রণের পারঙ্গমস্রষ্টও তিনি। কবিতার পাশাপাশি রম্যরচনা লিখেছেন অজস্র সঙ্গে গল্প ছোট উপন্যাস ও শিশু সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যে সার্থক রম্যরচয়িতাদের মধ্যে পাঠক পাঠিকাদের নিরিখে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। কথা ভঙ্গি এবং পরিহাস-বিদ্রুপ মিশ্রিত বাক্ধারার সমন্বয়ে বাংলা কবিতায় এক স্বাতন্ত্র অর্জন করেছেন তারাপদ রায়। শিশুসাহিত্য রচনাতেও তিনি নিপুণ। ডোডো তাতাই তাঁর প্রতিভার নিদর্শন। তিনি 'পূর্ব মেঘ' ও 'কয়েকজন নামে ' দুটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন। তিনি লেখায় এত উত্সাহী ছিলেন যে তাঁর হাসপাতালের শয্যায় সুয়েও সুয়েও তিনি লিখে গেছেন। সরকারি অতিথি হয়ে ঘুরেছেন ইংল্যান্ড, আমেরিকা সহ বহু দেশে। ২০০৭ সালের আজকের দিনে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রসিদ্ধ কবি, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক তারাপদ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তারাপদ রায় ১৯৩৩ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে অবিভক্ত বাংলায় বর্তমান বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার বিন্দুবাসিনী হাই ইংলিশ স্কুল হতে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় কলেজে পড়তে আসেন। মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে পড়াশোনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কিছুদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় শিক্ষকতা করেন। তারপরে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অধিকর্তার পদ থেকে অবসর নেন। তার প্রকাশিত কবিতা সহস্রাধিক। কবিতার পাশাপাশি লিখতেন রম্যরচনা তাছাড়াও লিখেছেন অজস্র সঙ্গে গল্প, ছোট উপন্যাস ও শিশু সাহিত্য। তার উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহঃ

১। ক খ গ ঘ (১৯৯৬), ২। কাণ্ডজ্ঞান, ৩। বিদ্যাবুদ্ধি, ৪। জ্ঞানগম্যি, ৫। বুদ্ধিশুদ্ধি, ৬। শোধবোধ (১৯৯৩), ৭। জলভাত, ৮। এবং গঙ্গারাম, ৮। পটললাল, ৯। সর্বাণী এবং, ১০। বলা বাহুল্য (২০০০), ১১। বালিশ, ১২। কী খবর, ১৩। ধারদেনা, ১৪। ঘুষ, ১৫। রস ও রমণী, ১৬। শেষমেষ, ১৭। সরসী, ১৮। জলাঞ্জলি, ১৯। সন্দেহজনক, ২০। বাঁচাবার, ২১। স্ত্রী রত্ন, ২২। মেলামেশা, ২৩। মারাত্মক, ২৪। ভদ্রলোক, ২৫। বানরেরা মানুষ হচ্ছে, ২৬। ডোডো তাতাই পালাকাহিনী, ২৭। ছাড়াবাড়ী পোড়াবাড়ী, ২৮। টমটমপুরের গল্প, ২৯। দুই মাতালের গল্প ও অন্যান্য, ৩০। ভাগাভাগি (১৯৯৭, ৩১। সর্বনাশ (২০০১), ৩২। রম্যরচনা ৩৬৫
কবিতার বইঃ
১। তোমার প্রতিমা (১৯৬০), ২। ছিলাম ভালবাসার নীল পতাকাতে স্বাধীন (১৯৬৭), ৩। কোথায় যাচ্ছেন তারাপদবাবু (১৯৭০), ৪। নীল দিগন্তে এখন ম্যাজিক (১৯৭৪), ৫। পাতা ও পাখিদের আলোচনা (১৯৭৫), ৬। ভালোবাসার কবিতা (১৯৭৭), ৭। দারিদ্র্যরেখা (১৯৮৬), ৮। দুর্ভিক্ষের কবিতা, ৯। জলের মত কবিতা (১৯৯২), ১০। দিন আপনি দিন খাই (১৯৯৪), ১১। টিউবশিশুর বাবা (১৯৯৫, ১২। ভালো আছো গরীব মানুষ (২০০১), ১৩। কবি ও পরশিনী (২০০২)

তারাপদ রায় শিরোমণি পুরস্কার ও কথা পুরস্কার (১৯৯৫) এ ভূষিত হয়েছেন। তারাপদ রায় ইংরাজী ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে প্রয়াত হন। আজ তার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রসিদ্ধ কবি, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক তারাপদ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ খানসাব
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.