নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি অরুণ মিত্রের বিংশতিতম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৮


বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রথিতযশা কবি, ও ফরাসী ভাষা ও সাহিত্যের খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক অরুণ মিত্র। সারা জীবন ধরে অরুণ মিত্রের অনুরাগ ও গভীর আনুগত্য ছিল ফরাসি সংস্কৃতিতে কবি। ফরাসি শিক্ষা ও অনুশীলন একেবারে বাল্যকাল থেকে, প্রথমে কারও ব্যক্তিগত সহায়তায়, তারপর কলকাতার ফরাসি চর্চার প্রতিষ্ঠান আলিয়ঁস ফ্রঁস্যাজ-এর ছাত্র ও গ্রন্থাগারকর্মী হিসেবে, সাংবাদিকতাও সাময়িক ভাবে। ১৯৪৮-এ ফ্রান্সের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছরের জন্য গবেষণা, ফিরে এসে ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনা বছর কুড়ি। অবশেষে কলকাতায় থিতু হয়ে পারিবারিক ও সাংসারিক অস্তিত্ব, বন্ধু সমাগম ও সহবত এবং পড়া ও লেখা নিয়েই কাটিয়ে দেন বাকি জীবনের আঠারোটি বছর। বস্তুত সেটাই ছিল তাঁর সৃজনের আর মননের শ্রেষ্ঠ সময়— কবিতা ও প্রবন্ধ রচনায়। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন অধ্যাপক। কবি অরুণ মিত্রের কবিতায় কবি মননের ভাবাদর্শের স্ফূরণ কঠোরে কোমলে মাখামাখি। হিটলারের বিরোধী মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার ভূমিকাকে তিনি একরকম শ্রমজীবী কৃষিজীবী মানুষের আগামী দিনের মুক্তির ইশারা হিসাবে দেখেন" কসাকের ডাক" কবিতায় যা পরিলক্ষিত হয়। জনগণের মিলিত শক্তিই যে শেষ পর্যন্ত শেষ কথা বলবে-এ ইঙ্গিত রাখেন তিনি। সুদূর ভারতবর্ষ থেকে যে ডাক তিনি তার স্বদেশ ভূমিতে দাঁড়িয়ে তাঁর দেশের শ্রমজীবী কৃষিজীবী মানুষদের কানে অগ্নিকন্যার মতন ছুড়ে দিচ্ছেন রাশিয়ার মুক্তি যুদ্ধের অংশীদার হওয়ার জন্য এই ভাবনা তো শ্রেণিগত ভাবে আন্তর্জাতিক। বিধ্বস্ত সময়ের জ্বালা-যন্ত্রণা, বুর্জোয়া শ্রেণির শোষণ ও তার প্রতিরোধ, দুর্ভিক্ষ-মহামারীর কথা যেমন কবি অরুণমিত্রের কবিতায় উঠে এসেছে, তেমনি উঠে এসেছে তাঁর কাব্যে নাগরিক চেতনা বোধ ও।কোলকাতা শহরের মধ্যবিত্ত সমাজের জীবন যন্ত্রণাকে তিনি যেমন নিপূণ চিত্রকরের মতন তাঁর কবিতায় শব্দ বন্ধনে তুলে ধরেছেন জীবন রসের সুধা মাখিয়ে, তেমনি কোলকাতাকে কেন্দ্র করে তিনি করেছেন কোলকাতায় বসবাসের সুবাদে তাঁর নাগরিক জীবন বোধের কবি আত্মার প্রীতি-প্রেম-ভালোবাসার আত্ম উন্মোচন। জীবন ও জগতকে কবি অরুণমিত্রের এই ভালোবাসা বোধের একাত্মবোধই তাঁকে পৌঁছে দেয় এক মহাপ্রেমের আনন্দময়তার কাছে।আর তখনই কবির চেতনা বোধে ফিরে আসে প্রেম আর বাসনার চিত্রপট। যেখানে সময় সঙ্কটের জ্বালা-যন্ত্রণার হা-হুতাশ মিশ্রিত কবি মন খুঁজে পায় অন্ধকার থেকে মুক্তি। মলিন সময় ও তখন তার কাছে হয়ে ওঠে টুকরো টুকরো হীরকের দ্যুতি। কবিতায় হীরকের দ্যুতি ছড়ানো কবি অরুণ মিত্রের আজ বিংশতিতম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০০ সালের আজকের দিনে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা কবি অরুণ মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

অরুণ মিত্র ১৯০৯ সালের ২ নভেম্বর, বাংলাদেশের যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হিরালাল মিত্র এবং মা যামিনীবালা। ছয় পুত্রকন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। নিজের বাড়ি ও মামাবাড়ি – এই যশোরেই কেটেছে তাঁর শৈশবের দিনগুলি। যশোরের পরিবেশ অরুণ মিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করলেও তাঁর স্থায়ী আস্তানা হয়ে উঠেছিল কলকাতা। অনেকের মতোই তাঁর প্রথম প্রেম রবীন্দ্রনাথ। নজরুল, মোহিতলাল, সত্যেন দত্তের কবিতা পড়লেও তিনি অভিভূত হতেন রবীন্দ্রনাথের কবিতায়। সেই সময় থেকেই তাঁর কবিতা লেখা শুরু। ৯২৬ সালে তিনি বঙ্গবাসী স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯২৮ সালে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৯৩০ সালে রিপন কলেজ থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাশ করেন। তিনি ছাত্রাবস্থায় রিপন কলেজের ম্যাগাজিনে লেখেন আলফাঁস দোদের ওপর প্রবন্ধ। এরপর ইংরেজিতে এমএ পড়তে ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু পারিবারিক কারণে তাঁকে পড়া ছাড়তে হয় এবং ১৯৩১ সালে তাঁকে চাকরি নিতে হয় আনন্দবাজার পত্রিকায়। তখন থেকেই শুরু হয় তাঁর নতুন উদ্দীপনার ক্ষেত্র। সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন এই পত্রিকার সম্পাদক। এখানেই তাঁর আলাপ হয় শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আবার সত্যেন্দ্রনাথের সদানন্দ রোডের বাড়ির আড্ডায় পেয়েছিলেন স্বর্ণকমল ভট্টাচার্য, বিজন ভট্টাচার্য, বিনয় ঘোষ, সুবোধ ঘোষ প্রমুখ তরুণ লেখকের সান্নিধ্য। সেসময়েই তিনি যুক্ত হন ‘বঙ্গীয় প্রগতি লেখক সংঘ ও সোভিয়েত সুহৃদ সমিতি’তে। ১৯৩৭ সালে প্রগতি লেখক সংঘের উদ্যোগে প্রকাশিত প্রগতি সংকলনগ্রন্থে তাঁর কবিতা স্থান পায়। ১৯৩৮ সালে ‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ’ পরিচালিত প্রথম সাংস্কৃতিক পত্রিকা অগ্রণী। প্রফুল্ল রায়-সম্পাদিত এই মাসিক পত্রিকাটিতে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, সরোজ দত্ত, দিনেশ দাশ, চিন্মোহন সেহানবীশ, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনিও লিখেছিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর চাকরি করার পর অরুণ মিত্র আনন্দবাজার ছেড়ে ১৯৪২ সালে যোগ দেন অরণি পত্রিকায়। ১৮৪৮ সালে ফরাসি সরকারের আহ্বানে বৃত্তি নিয়ে ফ্রান্স যান। প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট লাভ করেন। ফরাসি সাহিত্য অধ্যয়নের পর ১৯৫২ সালে দেশে ফিরে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর পর দীর্ঘ কুড়ি বছর সপরিবারে এলাহাবাদেই বসবাস করেন। ১৯৭২ সালে অবসর নিয়ে ফিরে আসেন কলকাতায়।

সাহিত্য, প্রধানত কবিতা সম্পর্কে অরুণ মিত্রের ধ্যান-ধারণাও গ্রথিত হয়েছে তাঁর বইতে। প্রবন্ধগুলির নাম ‘কাব্যের দোসর’, ‘আমার কবিতা লেখা’, ‘বাংলা কবিতার বিকাশ ও কবিকৃতি’, ‘কবিতার পথে’ কিংবা ‘কবিতা কী বলে কীভাবে বলে’, ‘বাংলা সাহিত্যের বিবর্তন ও আধুনিক কবিতা’, ‘কবিতা পাঠ কবিতা আবৃত্তি’, ‘কবিতার গান’ ইত্যাদি। তাঁর প্রবন্ধসংগ্রহ-র প্রথম খণ্ডে ফরাসি সাহিত্য প্রসঙ্গে-র (১৯৮৫) পাশাপাশি যে-দু’টি বই, তার নাম সৃজন সাহিত্য: নানান ভাবনা (১৯৮৭) ও কবির কথা, কবিদের কথা (১৯৯৭)। এর বাইরে সমধর্মী সাহিত্যের দিক-দিগন্ত (১৯৯৭) এবং কবিতা, আমি ও আমরা (১৯৯৯) নামে যে বই দুটো, তা এই খণ্ডে স্বতন্ত্র ভাবে নেই বটে, কিন্তু তাদের অন্তর্গত প্রবন্ধ খুঁজে পাই খণ্ডটির অন্য প্রবন্ধের সঙ্গে। সর্বত্র এর অনুরণন যেন তাঁর উচ্চারণে— ‘জীবন নিয়েই কবিতার কথা বলা’, কিংবা ‘সব কবিতা মিলিয়ে তো একটা কবিতাই লিখি আমরা’। ‘কবিতা, আমি এবং আমরা’ নামের স্মরণীয় প্রবন্ধটিতে বলেন অরুণ মিত্র: ‘পৃথিবী আর মানুষ আর তাদের সংস্পর্শে আমার সত্তা, এই তো আমার কবিতার মূল। সব কবিতারই মূল। এদের সংলগ্নতা থেকে যা ভাষায় প্রকাশিত হয় তাই কবিতা’। তাঁর মতো যুক্তি-নিয়ন্ত্রিত স্পষ্টভাষী নির্মেদ স্বচ্ছ গদ্য ও খুব কম বাঙালি কবিই লিখতে পেরেছেন’। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয় তার একমাত্র উপন্যাস 'শিকড় যদি চেনা যায়'। তার মৌলিক প্রবন্ধ গ্রন্থ ফরাসী সাহিত্য প্রসঙ্গে প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। বাংলায় তিনি একাধিক গ্রন্থ অনুবাদও করেছেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ ভারত: আজ ও আগামীকাল (১৯৫১), কাঁদিদ বা আশাবাদ (১৯৭০), সে এক ঝোড়ো বছর (১৯৭০), ভারতীয় থিয়েটার (১৯৭৫), গাছের কথা (১৯৭৫), মায়াকোভস্কি (১৯৭৯), সার্ত্র ও তাঁর শেষ সংলাপ (১৯৮০), অন্যস্বর (১৯৮৩) ও পল এলুয়রের কবিতা (১৯৮৫)। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯০ সালে তাঁকে সন্মানিক ডি,লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যে নিরন্তর গবেষণার জন্য ১৯৯২ সালে ফরাসী সরকার তাঁকে "লিজিয়ন ওফ অনার" সন্মানে ভূষিত করে। এছাড়াও তিনি জাতিসত্তা বাঙ্গালী পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার লাভ করেন।

ব্যক্তিগতজীবনে ১৯৩৮ সালে সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদারের ভাগ্নি শান্তি ভাদুড়ির সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। সদানন্দ রোডের বাড়িতেই তাঁরা থাকতেন। এখানেই তাঁদের প্রথম সন্তান রণধীরের (গোগোল) জন্ম হয়। কবি অরুণ মিত্র ২০০০ সালের ২২ আগষ্ট কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার বিংশতিতম মৃত্যুবার্ষিকী। শ্রদ্ধেয় কবি অরুণ মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:১৫

সিদ্ধাচার্য লুইপা বলেছেন: কবিত নিয়ে লেখা তার বইগুলো অনেক বেশি দামী, কবিতার চাইতে। তার একটা কবিতা দিয়ে যাই, সুধীরা পড়ে দেখুক কবিতা ঠিক কেমন হওয়া উচিত-

অমরতার কথা

বাসনগুলো একসময় জলতরঙ্গের মতো বেজে উঠবে। তার ঢেউ দেয়াল ছাপিয়ে পৃথিবীকে ঘিরে ফেলবে। তখন হয়ত এই ঘরের চিন্হ পাওয়া যাবে না । তবু আশ্চর্যকে জেনো । জেনো এইখানেই আমার হাহাকারের বুকে গাঢ় গুঞ্জন ছিলো ।

আমার বদ্ধ বাতাসে যে-গান পাষাণ হয়ে থাকে তা ভেঙ্গে ছিটিয়ে পড়ুক , কল্পনার স্বর সমুদ্র হোক এই আশায় আমি অথৈ । অবিশ্রাম অনুরণনে পাঁচিল ধ্বসে যাবে, কলরোলে ভিটেমাটি তলাবে । তখন ঘূর্ণির পাকে বুঝে নিয়ো কোথায় সেই বিন্দু যেখান থেকে জীবন ছড়িয়ে পড়লো মৃত্যুর গহ্বরে।

কাঠকুটো আসবাব আবার বন্য হ'য়ে উঠবে। ওরা কচি পাতার ঝিলিমিলি মুড়ে ঝিমোয় , ভিতরে ভিতরে কোথায় হারিয়ে থাকে অঙ্কুরের ঝাপটানি। তবু সূর্য ডুবলে আমার চোখে বার-বার ঘনিয়ে আসে বন।

ওরা আবার বন্য হ'য়ে উঠবে। আমার ছাত দেয়াল মেঝের শূন্যতা ভ'রে অরণ্য জাগবে । সবুজের প্রতাপে এই শুকনো কাঠামো চূর্ণ হবে। সেই ধ্বংসের গহনে খুঁজে নিয়ো আমার বসতি, সেখানে পোড়া মাটি-ইটের ভিতরে রস ছিল অমৃতের মতো।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: কেমন আছেন? কি খবর?
আজকাল আমার পোষ্টে আপনাকে দেখি না!!!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.