নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মে একাধিক (চারের অধিক নয়) বিয়ের যৌক্তিকতা

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। ‘তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩) কোন ধর্ম যে অঞ্চলে আবির্ভুত হয় সেখানে চালু থাকা সংস্কৃতি ঐ ধর্মের নানা বিধি বিধান তৈরীতে ব্যাপক ভুমিকা রাখে। যে কোন ধর্ম প্রচলিত হওয়ার সময় যে স্থানে তা চালু হয় সেখানের সমাজে প্রচলিত থাকা রীতিনীতিকে আরও আধুনিক আর গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করে। আরব অঞ্চলে প্রাকইসলামী যুগ থেকে এক পুরুষের বহু স্ত্রী গ্রহণের প্রথা চালু ছিল। তবে ইসলাম তা চারজনে সীমিত করে দেয়। কোন সমাজে প্রথা চালু হওয়ার পেছেনে নানা আর্থসামাজিক কারন থাকে। ইসলাম মুসলিমকে চারটি বিয়ে করতে বলেনি। বরং শর্ত সাপেক্ষে হলেও ইসলাম পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতা দিয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং তাঁর রসূল(সাঃ) একটি স্ত্রী’ই যথেষ্ট বলেছেন বা একজনের জন্য এক নারীই যথেষ্ট। কিন্তু যদি কেউ মনে করে যে, সে সম আচরণ করতে পারবে, সমান অধিকার রক্ষা করতে পারবে এবং যদি তার যুক্তিসঙ্গত কারনে প্রয়োজন হয়, তাহলে সে একাধিক বিয়ের কথা ভাবতে পারে। এর সাথে বিশাল দায়িত্বশীলতা জড়িত এবং তা সঠিকভাবে পরিপালিত না হলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে হবে অত্যন্ত কঠোরভাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন-“তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি কখনই সমান ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না, তবে তোমরা কোন একজনের প্রতি সম্পুর্ণভাবে ঝুঁকে পড় না এবং অপরকে ঝুলানো অবস্থায়ও রেখ না, যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর এবং সাবধান হও তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।”(আল-কুরআন,৪ঃ১২৯) আসলে বেশীরভাগ অমুসলিম এবং মুসলিম জানে না ইসলামে একাধিক বিয়ে কেন বৈধতা দিয়েছে। পৃথিবীতে পুরুষের তুলনায় নারীজাতির জন্ম হার বেশি। মেডিকেল পরীক্ষায় জানা যায়, ছেলেদের তুলনায় মেয়ের শরীর রোগ প্রতিরোধের বেশি কার্যকর। তাদের মৃত্যু হারও কম। এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে, যুদ্ধক্ষেত্রে, মদপান করে ও নানা দুর্ঘটনায় নারীর তুলানায় পুরুষের মৃত্যু বেশি হয়। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণেই ইসলামে পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ের অনুমতি দিয়েছে। ইসলাম ধর্মে একাধিক বিয়ে অনুমোদিত হওয়ার পেছনে কী কী যুক্তি রয়েছে—তা বর্ণনা করা হলোঃ

১। একাধিক বিয়ের বিষয়টি ইসলামই প্রথম বিশ্বের সামনে নিয়ে আসেনি। এর নজির বিশ্বে বহু আগে থেকে রয়েছে। পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মধ্যেও প্রচলিত ছিল। আগের আসমানি কিতাবগুলোতে একাধিক বিয়ের কথা আছে। কয়েকজন নবী একাধিক নারী বিবাহ করেছিলেন। হজরত সুলাইমান (আ.)-এর ৯০ জন স্ত্রী ছিলেন। রাসুল (সা.)-এর সময় এমন কিছু ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, যাঁদের আটজন অথবা পাঁচজন স্ত্রী ছিলেন। রাসুল (সা.) তাঁদের চারজন স্ত্রী রেখে বাকিদের তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২। প্রত্যেক দেশেই পুরুষের তুলনায় নারীদের শক্তি দ্রুত বার্ধক্যের শিকার হয়ে থাকে। যেখানে পুরুষের যৌবন পুরোপুরি অটুট থাকে এবং নারী বুড়ি হয়ে যায়, সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করা এত জরুরি হয়ে দাঁড়ায়, যেমন আগে প্রথম স্ত্রী বিবাহ করা আবশ্যক হয়েছিল। যে আইন একাধিক স্ত্রী নিষিদ্ধ হওয়ার কথা বলে, প্রকারান্তরে সে আইন ওই সব পুরুষকে নিজ কামশক্তি ব্যভিচারের মাধ্যমে প্রয়োগের ইঙ্গিত করে, যাদের যৌনশক্তি সৌভাগ্যক্রমে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত অটুট থাকে। এমন আইন কিভাবে সাধারণ মানুষের স্বার্থের অনুকূলে হতে পারে?

৩। পুরুষদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রবল শারীরিক চাহিদা বিদ্যমান, যাদের জন্য একজন স্ত্রী যথেষ্ট নয়। যদি এমন একজন ব্যক্তির জন্য একাধিক স্ত্রী গ্রহণের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তাকে বলা হয় যে তোমার জন্য একাধিক স্ত্রী রাখা অনুমোদিত নয়, তাহলে এটি তার জন্য কঠিন কষ্টের কারণ হবে এবং তার জৈবিক চাহিদা তাকে হারাম পথে পরিচালিত করবে।

[sb ]৪। একজন স্ত্রী হয়তো বন্ধ্যা হতে পারে অথবা অসুস্থ হওয়ার কারণে তার সঙ্গে তার স্বামী দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না। অথচ একজন স্বামীর সন্তানের আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, আর এর একমাত্র উপায় হলো অন্য একজন স্ত্রীকে বিয়ে করা।

৫। নারী সব সময় এমন থাকে না যে স্বামী তার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকতে পারে। প্রথম কারণ, প্রত্যেক নারীর জন্য মাসের কোনো এক সময় এমন অতিবাহিত হয় যখন তাকে পুরুষ থেকে দূরে থাকতে হয়। দ্বিতীয়ত, গর্ভকালীন অবস্থা। অর্থাৎ নারীকে নিজ ও নিজের সন্তানের স্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদে কয়েক মাস ধরে স্বামীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হয়।একজন নারীর প্রতি মাসে ঋতুস্রাব (হায়েজ) হয়, আর যখন তিনি সন্তান প্রসব করেন তখন তার ৪০ দিন পর্যন্ত রক্তপাত (নিফাস) হয়। সে সময় একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে পারে না। কেননা হায়েজ ও নিফাসের সময় সহবাস করা হারাম এবং এটি যে ক্ষতিকারক তা মেডিক্যালি প্রমাণিত। এসব সময় নারীর জন্য কুদরতি প্রক্রিয়ায় স্বামীর সংস্পর্শ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে স্বামীর জন্য স্ত্রীর সংস্পর্শে যেতে কোনো বাধা-নিষেধ থাকে না। তখন যদি কোনো পুরুষের কামভাব চরমে পৌঁছে যায়, তাহলে একাধিক স্ত্রী ছাড়া তার জন্য কী-ই বা উপায় থাকে?তাই ন্যায়বিচার করতে সক্ষম হলে একাধিক বিবাহ করা অনুমোদিত।

৬। একাধিক বিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এটি জানা কথা যে শুধু বিয়ের মাধ্যমেই সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় এবং একাধিক বিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত বংশধরদের সংখ্যা একজন স্ত্রীকে বিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত বংশধরদের সংখ্যার চেয়ে বেশি হবে। আর বংশধরদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে শক্তিশালী করা যায় এবং উম্মাহর কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, যা তাদের অর্থনৈতিক মান উন্নয়ন করতে সক্ষম, যদি রাষ্ট্র মানবসম্পদের উন্নয়নে যথাযথভাবে কাজ করে। আর হ্যাঁ, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে কখনো কখনো কিছু সংকট দেখা যায়। এটি মূলত রাষ্ট্রের অপব্যবস্থাপনার কারণে এবং সম্পদের সুষম বণ্টন না থাকার কারণে। উদাহরণস্বরূপ চীনকে দেখুন। বাসিন্দাদের সংখ্যা অনুপাতে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতি এবং এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অন্য দেশগুলো চীনকে বিপর্যস্ত করার আগে কয়েকবার চিন্তা করতে বাধ্য। আর এটি বিরাট শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি। এর কারণ হলো, তারা তাদের জনসংখ্যার আধিক্য দেখে ভয় পায়নি, বরং মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

৭। গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীদের সংখ্যা পুরুষদের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
যদি প্রত্যেক পুরুষ শুধু একজন নারীকে বিয়ে করে, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়াবে যে কিছু নারীকে স্বামী ছাড়াই থাকতে হবে, যা তার ওপর এবং সমাজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে। এটি তার জীবনকে সংকীর্ণ করার পাশাপাশি তাকে বিপথগামিতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। এবং এর মাধ্যমে সমাজে অনাচারের পথ প্রশস্ত হতে পারে।

৮। পুরুষরা এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়, যা তাদের জীবননাশের কারণ হয়ে থাকে
কারণ তারা সাধারণত বিপজ্জনক পেশায় কাজ করে থাকে। কখনো কখনো যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়াই করে। এবং এতে নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি সংখ্যায় নিহত হয়ে থাকে। এটি হলো স্বামীবিহীন নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর তার একমাত্র সমাধান হলো একাধিক বিয়ে।

৯। এমনটি হতে পারে যে একজন নারী একজন ব্যক্তির আত্মীয়া এবং তার দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই এবং সে একজন অবিবাহিত নারী অথবা একজন বিধবা নারী। ওই নারীর জন্য এটি একটি উত্তম ব্যবস্থা যে তাকে প্রথম স্ত্রীর পাশাপাশি দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নিজের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া, যেন সে ওই নারীকে পবিত্র রাখতে পারে এবং তার জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারে। তাকে একাকী ছেড়ে দেওয়া এবং তার জন্য শুধু অর্থ ব্যয় করার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ করার চেয়ে এ পন্থা অধিক উত্তম।

১০। ইসলামী শরিয়ত একটি শক্তিশালী সমাজকাঠামো দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে পরিবারগুলোর মধ্যকার বন্ধন শক্তিশালী হওয়া, অথবা কোনো নেতার সঙ্গে কিছুসংখ্যক লোক বা জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক শক্তিশালী হওয়ার বৃহত্তর স্বার্থ থাকতে পারে। যেমনটা দেখা যায়, মহানবী (সা.)-এর জীবনে। তাঁর কোনো কোনো বিয়ে ছিল এ ধরনের বৈরী লোকদের সঙ্গে বংশীয় সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সন্ধি স্থাপনের নিমিত্তে। আর অন্যতম একটি উপায় হলো একাধিক বিয়ে করা।

এবার বহুবিবাহ নিয়ে সমকালীন ঘটনার দিকে নজর দেইঃ
ক) ইরিত্রিয়ার সরকার ইদানিং ঘোষণা দিয়েছে- প্রতিটি বিবাহ যোগ্য পুরুষকে অবশ্যই একের অধিক বিবাহ করতে হবে। রাষ্ট্র আর জাতির টিকে থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। গত ত্রিশ বছরে ইরিত্রিয়ায় গৃহযুদ্ধে বিস্তর পুরুষ মারা গেছে। তাছাড়া যুদ্ধের ধকল সইতে না পেরে অনেক পুরুষ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। এদিকে অসংখ্য নারী বিধবা হয়েছে বা মেয়েরা বড় হয়ে বিবাহ উপযুক্ত হয়েছে কিন্তু প্র্য়োজনীয় সংখ্যক বিবাহযোগ্য পুরুষ পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বহু আলোচনা আর বিশ্লেষণ শেষে নীতি নির্ধারকরা ছেলেদের জন্য বহু বিবাহ চালু করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না। তারা নতুন আইনে এটাও উল্লেখ করেছেন যে- কোন নাগরিক সরকারের এই আইনের বিরুদ্ধাচারন করলে অর্থাৎ বহু বিবাহে রাজী না হলে তাকে যাবতজ্জীবন কারা অন্তরালে কাটাতে হবে। তাই ছেলেদের মধ্যে যারা বহু বিবাহ চায় অথবা যারা না চায় উভয় দলই একাধিক বউ ঘরে তুলছে। আবার কোন মেয়ে মন থেকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী হতে না চাইলেও যাবতজ্জীবন কারাবাস থেকে বাঁচতে দ্রুত বিয়ের পিড়িতে বসছে। এর ফলে এক পুরুষ এক নারী বিয়ে করবে, ইরত্রিয় সমাজে দীর্ঘ কাল ধরে চালু থাকা এই নিয়ম পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মেয়েরা এবং ছেলেরা এই ধারণা নিয়েই বেড়ে উঠছে যে- একটি ছেলে অনেক গুলো মেয়ে বিয়ে করবে এটাই স্বাভাবিক বটে। ফলে মেয়েরাও দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী হতে কোন মানসিক পীড়ন বোধ করছে না। দেশটি টিকে থাকার জন্য, জাতি হিসেবে টিকে থাকার জন্য ইরিত্রিয় সরকারের এই আইন দ্বারা তাদের বর্তমানে চালু থাকা এক পুরুষ এক স্ত্রী পরিবারতন্ত্র থেকে এক স্বামী বহু স্ত্রী ধাঁচের পরিবার প্রথার দিকে যাত্রা করল। তবে ইরিত্রিয়ায় পুরুষের বহু বিবাহ চালু করতে ধর্ম নয় রাষ্ট্রিয় আইন ভুমিকা নিচ্ছে। এভাবেই যুদ্ধ, সামাজিক প্রয়োজন আর অর্থনীতি কোন সমাজের পুরাতন প্রথা ভেঙ্গে নতুন প্রথা চালু করে থাকে।

খ} তিব্বতের বেশীর ভাগ অংশ অতি দুর্গম, টিকে থাকা সেখানে চ্যালেঞ্জ বটে। এক একটি পরিবার পাহাড়ের ঢালে সামান্য কৃষি জমির মালিক। যা থেকে যে পরিমাণ ফসল পাওয়া যায় তা পরিবারের জনসংখ্যা বেড়ে গেলে তাদের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। শত শত বছর আগে টিকে থাকার জন্য তিব্বতের তৎকালীন সমাজপতিরা সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সব ভাই মিলে একটি মাত্র মেয়েকে বিবাহ করবে। এর ফলে পরিবারের মালিকানাধীন ভুমি খণ্ডটি ভাইদের মাঝে ভাগ হবে না, তাই সবাই মিলে ঐ ভুমিতে ফসল উৎপাদন করে টিকে থাকা সম্ভব হবে। এভাবে তিব্বতের একটা বড় অংশে সকল ভাই অর্থাৎ তিন, চার বা পাঁচ ভাই মিলে একটি মেয়েকে বিয়ে করার প্রথা চালু হয়ে যায় যা আমাদের কালচারাল প্লাটফরম থেকে একটা অরুচিকর, অগ্রহণযোগ্য বীভৎস প্রথা বলে প্রতীয়মান হয়। কিন্তু বৈরী প্রাকৃতিক পরিবেশে এভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছাড়া তিব্বতী সমাজের আর কোন উপায় ছিল না কারন জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি তখনও আবিস্কার হয়নি। যদিও গত শতকের মাঝামাঝি জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সবার হাতের নাগালে চলে আসে তবে তিব্বতে এই অদ্ভুত বিবাহ প্রথা এখনও প্রচলিত আছে। কারন কোন প্রথা সমাজে একবার চালু হলে তা পরিবর্তিত হতে একটা বা দুটো বা বহু জেনারেশন লেগে যায়। তবে গত শতকের আশীর দশকে চীনের এক পরিবার এক সন্তান এই নতুন নীতি গ্রহণ করার ফলে তিব্বতিদের মধ্যে দারুন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারন তারা বুঝতে পারে চার বা পাঁচ ভাই মিলে একটি মেয়ে বিয়ে করার পর একটি মাত্র সন্তান নিলে পাঁচ বা ছয় জনের একটি পরিবার মাত্র এক জেনারেশনে এক জনে পরিণত হবে ফলে দু’ তিন জেনারেশনের মধ্যে তিব্বতীরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সাংস্কৃতিক অনেক বিষয় সহ এই নিয়ে চীনাদের সাথে তিব্বতীদের বিরোধ তৈরি হয় যা আজও চলছে। তবে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পেতে তিব্বতীরা নিশ্চয় নতুন ধরনের বিবাহ প্রথা চালুর কথা ভাবছে। অপর দিকে আধুনিক চীনে এক মেয়ের একাধিক স্বামী গ্রহণের বিষয়টি চালু হওয়া শুরু হতে পারে যেহেতু চীনে বিবাহযোগ্য মেয়ের সংখ্যা কমে গেছে। এক সন্তান নীতির কারণে বর্তমানে চীনে ছেলের সংখ্যার চেয়ে মেয়ের সংখ্যা প্রায় চার কোটি কম। তবে এক মেয়ের অনেক স্বামী এমনটা চীনে চালু হলেও তার পেছনের কারন তিব্বতীদের কারনের মত নয়।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
:-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি কয়টা করেছেন?

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। ‘তোমরা বিবাহ করবে
নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার।
আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)।’
আমার আশঙ্কা আছে সুবিচার করতে পারেবোনা । তাই একেই ক্ষ্যান্ত দিলাম!

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

অন্তরা রহমান বলেছেন: যদিও ধর্ম সংক্রান্ত পোস্ট বিধায় কমেন্ট করতে চাচ্ছিলাম না, বাট ক্যান্ট রেজিস্ট এনি মোর। এই ধরনের নোংরা, অভব্য, অসামাজিক, কুৎসিত নিয়ম নিয়ে আপনি পোস্ট লিখেছেন , তাও আবার সামুতে - ভাবাই যায় না। সরি টু সে। আর কিছুই বলার নেই, এই ব্যাপারে আর কমেন্টও করবো না, যা খুশি প্রত্যুত্তর দিতে পারেন, কিন্তু, মত পাল্টানোর কারণ দেখি না। রিডিকুলাস।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার উপর গোস্যা হবার কোন কারণ নেই আপু।
আমি যা বলেছি তা কোরআন ও হাদিসের আলোকে
আমি যা শিখেছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ (তোমাদের মঙ্গলের জন্যে)
তাঁর ইচ্ছানুসারে বিধান প্রদান করেন। আর আল্লাহ ওয়াদা করেছেন,
যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, তিনি তাদের ক্ষমা করবেন ও মহাপুরস্কার
দেবেন। ১০. আর যারা সত্য অস্বীকার করবে এবং আমার বিধানকে মিথ্যা মনে
করে অমান্য করবে, তাদের নিয়তি হচ্ছে জাহান্নামের আগুন। [ সুরা মায়েদা ৫:৯-১০ ]

আর ইসলাম ধর্ম নারীকে দিয়েছে বিশেষ মর্যাদা। ইসলাম নারীদের যে অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে
দুনিয়ার অন্য কোনো ধর্ম এ অধিকার দেয়নি। ইসলামে কন্যা সন্তানের জন্মকে সবচেয়ে বড় বরকতের
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে নারী দুনিয়াতে ৪টি কাজ যথাযথভাবে আদায় করবে, সে নারীর জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই খোলা থাকবে। কাজ ৪টি হলো-

- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে।
- রমজানের রোজা রাখবে।
- স্বামীর আনুগত্য করবে। এবং
- লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে।
'হাদিসে পাকে প্রিয় নবি মায়ের খেদমতের কথা তিন বার বলেছেন আর
৪র্থ বার বলেছেন বাবার খেদমতের কথা।
এগুলোতে ইসলামই বলে। তা কি অস্বীকার করার সুযোগ আছে?

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামে একাধিক বিবাহ একটা ঐচ্ছিক বিষয়। বিভিন্ন কারণে এটার অনুমতি দেয়া হয়েছে যা আপনি উল্লেখ করেছেন। তবে এগুলি অনেকেরই ভালো লাগবে না। পশ্চিমের যৌন স্বাধীনতাকে তারা মেনে নিলেও বা অনুসরন করলেও এটাকে মানবে না। তারা সমকামিতা পর্যন্ত মানতে রাজি আছেন (অনেকে এই ব্লগে পর্যন্ত সমকামীদের পক্ষে লিখছেন) কিন্তু একাধিক বিবাহের ঘোর বিরোধী। আমি আপনার আগের পোস্টে বলেছি এখনও বলছি যে আমরা ধর্মের চেয়ে সমাজকে বেশী প্রাধান্য দেই। ফলে ধর্মের অনেক কিছু আমাদের ভালো লাগে না যেহেতু সমাজ ভিন্ন রকম বলে। সমাজের হাজার কু প্রথা নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই কিন্তু ইসলামের বিধান নিয়ে আমাদের যত সমস্যা। ইসলামে পুরুষদের দায় দায়িত্ব, বোঝা, ঝুঁকি ইত্যাদি যেমন বেশী তেমনি অনেক ক্ষেত্রে সুবিধাও দেয়া হয়েছে বেশী। সমাজের নেতৃত্ব পুরুষদেরকেই দেয়া হয়েছে। এটা নারীরা পছন্দ না করলেও এটার মধ্যে সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে বলেই আল্লাহ এই ধরনের বিধান দিয়েছেন। নারী ও পুরুষের শারীরিক পার্থক্য আল্লাহই দিয়েছেন। সেই পার্থক্য অনুযায়ী সমাজে নারী ও পুরুষের ভুমিকাও সেইভাবেই আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা সব কিছু সমান করতে চাচ্ছি যা প্রকৃতি বিরুদ্ধ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ সাচু ভাই
আমরা সবাই যারা মুসলমান তারা মুখে মুখে
এক একজন আল্লাহর খাটি বান্দা! আমরা কোরআন-
হাদিস মানি ততটুকু যতটুকুতে আমাদের স্বার্থহানী হয়না।
ব্যাক্তিগত স্বার্থে একটু টানপোড়ন হলেই আমাদের মুখোশ
খুলে যায়। বিষোদ্গার করতে থাকি ধর্মকে। যাই হোক
আমি বলেছি আমি যা জেনিছি। কারো স্বার্থে আঘাত লাগলে
সে দু এক কথা বলতেই পারে, তাই বলে সত্য মিথ্যা হয়ে যাবেনা।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলাম একাধিক বিয়ে তো সমর্থন করেই বরং অর্থের বিনিময়ে দুই এক ঘন্টার বিয়েও সমর্থন করে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আগে মুত্’আহ্ বিবাহ বা টেম্পরারী বিয়ের প্রচল ছিলো। তবে
মুত্’আহ্ বিবাহ প্রথমে বৈধ থাকলেও পড়ে সেটা কিয়ামত পর্যন্ত
নিষেধ করা হয়। আগের হাদিস দিয়ে যদি কেউ মুতা বিয়ে বৈধ
করতে চায় তাহলে সে ভুল করবে।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আওত্বাস যুদ্ধের বছর
তিন দিনের জন্য মুত্’আহ্ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলেন।
অতঃপর তিনি তা নিষিদ্ধ করেন । সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ৩৩০৯,

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং তাঁর রসূল(সাঃ) একটি স্ত্রী’ই যথেষ্ট বলেছেন বা একজনের জন্য এক নারীই যথেষ্ট।"

“আল্লাহ তায়ালা বলেন-“তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি কখনই সমান ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না, তবে তোমরা কোন একজনের প্রতি সম্পুর্ণভাবে ঝুঁকে পড় না এবং অপরকে ঝুলানো অবস্থায়ও রেখ না, যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর এবং সাবধান হও তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।”(আল-কুরআন,৪ঃ১২৯)”

এরপরেও কেন এতো কিছু লিখতে হল? আমি অত্যন্ত অবাক হয়েছি আপনার পোস্ট পড়ে! এভাবে যে কেউ ভাবতে পারে আমার কল্পনাও করি নি!

‘তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)

উপরের আয়াতের খণ্ডিত অংশ ব্যাখ্যা করেছেন মনে হয়, এটা মনে হয় এতিম মেয়েদের ব্যাপারে বলা হয়েছিলো। আমি নিশ্চিত নই, আরবি জানেন এমন কেউ হয়ত বলতে পারবেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আসলে ধর্মীয় বাণীকে আমরা আবেগে তাড়িত হয়ে নিজ নিজ সুবিধা মতো ব্যাখ্যা করি বলেই
আমাদের মাঝে এত বিভেদ, এত সমস্যা। একটু চিন্তা ভাবনা করে আমাদের মতবাদ প্রকাশ
করলে সমস্যা অনেক নিরশন হতো। ধর্ম মানুষের কল্যাণের জন্য। বিবাদ বিসংবাদের জন্য৪
নয়। ইসলাম বহু বিবাহ বৈধ করেছে সত্য। তবে ইসলাম বহু বিবাহের একটা সীমা নির্ধারণ করে
দিয়েছে, যে কেউ চারটির বেশি বিবাহ করতে পারবে না। কারণ সে যুগে এমনকি আজ থেকে এক
দেড়শ বছর আগে এই ভারতেই অনেক মানুষ ৩০-৫০-৮০ এমনকি ১০০ আরো বেশি বিবাহ করত!
বিশ্বাস না হলে ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বহু বিবাহ’ ও 'বাল্য বিবাহ’ বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন।
আপনি যদি রোম সাম্রাজ্যের, গ্রীক সাম্রাজ্যের অথবা পৃথিবীর যে কোনো ইতিহাস পড়েন তাহলে
দেখবেন যে সে যুগে মানুষ অনেক স্ত্রী রাখত। সে জন্য ডেভেন্পর্ট বলেছেন যে, “মুহাম্মদ (সঃ)
বহু বিবাহকে সীমার বাধনে বেধে ছিলেন।” এই বিধান কি মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়।

অ/টঃ আমি আমার লেখায় আমার মনগড়া বক্তব্য প্রদান করিনাই। সুতরাং গোস্যা যদি করেনই
তা তো ধর্মের উপরই বর্তায় !!

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫

মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: কিছু পর্যবেক্ষণঃ
১। একাধিক বিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে কেউ শক্তিশালী হয়না! কোয়ালিটি লাগে।

২. গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীদের সংখ্যা পুরুষদের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
খুবই হাস্যকর যুক্তি, তাতে কিছুই এসে যায় না। আর, ২০২০ এ পুরুষের হার কিছুটা বেশী, যদিও কম বেশী হতেই পারে।

৩। পুরুষরা এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়, যা তাদের জীবননাশের কারণ হয়ে থাকে
এটা কিভাবে বহুবিবাহের দ্বারা সমাধান হয়?তাতে কি পুরুষদের জীবননাশ কম হবে?

৪। পুরুষদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রবল শারীরিক চাহিদা বিদ্যমান
বালখিল্য যুক্তি। আপনার নারীর সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারণা অপ্রতুল।

৫। একাধিক বিয়ের বিষয়টি ইসলামই প্রথম বিশ্বের সামনে নিয়ে আসেনি।
প্রস্তর যুগ বা মধ্যযুগের ধারণা টেনে এনে লাভ নাই। একেক যুগে একেক ধরনের ধ্যান ধারণা ছিল, সেটা এখনও টেনে আনা সময় অপচয় ছাড়া কিছু না।

৭। এমনটি হতে পারে যে একজন নারী একজন ব্যক্তির আত্মীয়া এবং তার দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই
আরেকটা বিয়ে করার অদ্ভুত অজুহাত!এতো দয়ালু মানুষ পাওয়া ভার।

৮। ইসলামী শরিয়ত একটি শক্তিশালী সমাজকাঠামো দেখতে চায়।
কুযুক্তি! যদিও বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কারনে এমন ঘটনা ঘটেছিলো, ব্যাক্তিস্বার্থ আর ধর্ম গুলিয়ে ফেলেছেন। একজন বিবাহিত ব্যাক্তি যদি শক্তিশালী সমাজ কাঠামো গড়ার আকাঙ্খায় কোন মন্ত্রী এম্পির মেয়ে বিয়ে করতে যায়, সেতো পিটুনি খাবেই, গুমও হয়ে যেতে পারে!

৯। নারী সব সময় এমন থাকে না যে স্বামী তার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকতে পারে।
এইটা কোন কথা? কোন পুরুষের এতোই চাহিদা যে ৫/৬ দিন অপেক্ষা করতে পারে না! আর গর্ভধারণের কথা বলছেন?এতোটুকু স্বাভাবিক মানবিকতা না থাকলে সন্তান না নেয়াটাই উত্তম! এরকম লোক কখনও ন্যায়বিচার করতে পারবে না!

১০। প্রত্যেক দেশেই পুরুষের তুলনায় নারীদের শক্তি দ্রুত বার্ধক্যের শিকার হয়ে থাকে।
ঐযে আগেই বললাম আপনার নারীর সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারণা অপ্রতুল।

১১। বহুবিবাহের কিছু ঘটনা বলেছেন, ইরিত্রিয়ার ঘটনা সম্পূর্ণই গুজব! এটা কয়েক বছর আগেই শুনেছিলাম। ভালো করে খুঁজে দেখেন।
তিব্বতের বিষয়টি আপনি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ওখানে নানাবিধ গোত্র আছে যাদের বিচিত্র রকম আচার ছিল, রয়েছে। আর চিনের বিষয়টি কি বলতে চেয়েছেন পরিষ্কার না। তথ্য ভুলভাবে ব্যাবহার করেছেন। ১৪৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ যদি ৪ কোটি বেশী মেয়ে নিয়ে বিপদে পড়ে যায় তাহলে কি হবে!যদিও গুগল করে দেখলাম পুরুষের হার ৫১.৯%, তবে এই সংখ্যা এদিক সেদিক হতে পারে।

বিভ্রান্তিকর ও সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় পোস্ট। কারো একাধিক বিয়ে দরকার হলে করবে, না করলে নাই। এটার সাথে ধর্ম, এটা সেটা জোড়া দিয়ে বিভ্রান্ত করার দরকার কি! আপনি প্রকারন্তরে মুসলমান পুরুষদেরকে বন্যপশুর পর্যায়ে নিয়ে কথা বলছেন। আল্লাহ তায়ালা যেখানে বলেছেন-“তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি কখনই সমান ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না, … আপনি নিজেই লিখেছেন, সেখানে আপনি একাধিক বিয়ের যুক্তি প্রমান দিয়ে তাঁকেই আড়াল করার চেষ্টা করছেন কিনা?

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আগেই বলেছি ধর্মকে আমরা নিজেদের
সুবিধার হাতিয়ার করে নিয়েছি। যা আমাদের
অনুকূলে নয় তার বিরোধীতা করি আর যা করতে
বলা হয়েছে তা মানতে গাফিলতি করি। সুদ-ঘুষ
হারাম জেনেও তা ছাড়িনা আর আজানে ঘুমের
ব্যঘাত ঘটে বলে তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছি ।
যা হোক কে কি মানবেন আর মানবেন না সেটা তার
ব্যক্তিগত বিষয়। আমি শুধু নিমিত্ত মাত্র!

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদি আরব নাকি নামাজের ফরজ পড়ে না কিন্তু চারটা বিয়ে করে সুন্নত পালন করে

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৌদি আরব যাবার সৌভাগ্য এখনো হয়নি আমার
তাই জানতে পারিনাই তারা ফরজ নামাজ পড়ে না !!
আপনি সত্যি অবাক করলেন। আপনি সঠিক জানেন তো!
নাকি গড্ডালিকা প্রবাহে আপনিও ভেসে গেলেন !!
ফরজ না পড়ে তারা কি শুধুই সুন্নত পালন করে?
আজপর্যন্ত এমন কথা আমি শুনিনাই। গুজব নাতো?
গুজবে কান দেওয়া বোকামী!

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ নুরু ভাই

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি এত দিন কই আছিলেন!!
হ্যারিকেন জালাইয়াও খুঁজে পাই নাই।
সব কুশল তো?

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আমার জন্য মেয়ে দেখেন। আমি বিয়ে করতে চাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সুরভী জানে !!
বরিশাইল্যা মাইয়া,
জানলে বটি দিয়া দুই
টুকরা কইরা ফেলবে।
বডি ভাসবে কির্তন খোলা
আর মুন্ডু মুন্সিগঞ্চের বিলে!!

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৯

কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান বলা হয়।
কারু পছন্দ হলে হবে,না হলে নাই।কেউ ইসলামের জীবন বিধান মানলে মানবে, না মানলে নাই (মুসলমানদের কথা বলা হচ্ছে)।
সমস্যা হলও আমরা যারা ইসলাম মানি তাদের নিয়ে।আমার মনে হয় আমরা ইসলামকে নিজের সুবিধা মতো ব্যাবহার করি।
উদাহরণ দিচ্ছি, যেমন ব্যাংকের সুদ। ইসলাম ধর্মে সুদ সম্পূর্ণ হারাম বলা হয়েছে। অথচ অনেকে এটা খায় এবং নামায পড়ে কপালে দাগ ফালায় দিয়েছে, কি বলবেন! এর আবার সুন্দর ব্যাখ্যা তারা দিবে!
যার যার কাজের হিসাব সে সে হাসরের মাঠে আল্লাহ পাকের কাছে দিবেণ, কাজেই নিজে ইসলামকে যতটুকু সম্ভব মেনে চলতে হবে। এইটা নিয়ে অন্য মানুষের সাথে আর্গুমেন্ট এ গেলে ব্যাখ্যা অন্য দিকে যেতে পারে। একমাত্র মুহাদ্দেস্রাই খুঁটিনাটি বিষয় ভালো বলতে পারবেন।
ভালো থাকবেন পরিবার পরিজন নিয়ে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ কালীদাস
আমি যাহা শিখেছি, বুঝেছি
তা অপরকে জানাই। মানলে
তালগাছ না মানলে ---ল গাছ!!

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: প্রয়োজনে গোপন রাখবো। সুরভি জানবে না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার জেলার মেয়ের সাথে এমন
করবেন আর আমি চুপ করে থাকবো!!
কভু নেহি !!

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেদুইনরা এতে খুশী হয়েছিলো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এতে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে
অনাচার, ব্যবিচার কমে যায়। আসলে
আল্লাহর বিধান মানুষের কল্যণের জন্যই।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৩

মা.হাসান বলেছেন: ব্লগের কেহ কেহ দুই নম্বর বিবাহের জন্য নিয়মিত আগ্রহ দেখাইতেছে। আপনি তাহাদের জন্য দুইয়ে না থামিয়া আরো আগানোর জন্য উৎসাহ দিলেন। আশা করি ওনারা উৎসাহ পাইবেন।

একটা বউ আর একশটা লটরপটর এর চাইতে চারটা বউ বেশি ভালো ব্যবস্থা বলে মনে করি।

তবে এখনকার পোলা মাইয়ারা অনেক আধুনিক। আগে শুনতাম -- দুটির বেশি সন্তান নয়। এখন শুনি --একটি হলে ভালো হয়। এখকার ছেলে-মেয়েরা আরো এক ধাপ এগিয়ে- একটির বেশি বিয়ে নয়, না করিলে আরো ভালো হয়। বিবাহের দরকার নাই। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকিলেই তো চলে। যাচিয়া ঝামেলা নেয়ার কি দরকার।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মা.হাসান বলেছেনঃ একটা বউ আর একশটা লটরপটর এর চাইতে চারটা বউ বেশি ভালো ব্যবস্থা বলে মনে করি।[/sb

ধন্যবাদ মা.হাসান ভাই। ইসলামে ৪টি বিয়ের অনুমোদন থাকলেও সবার জন্য কিন্তু নয়।
উপযুক্ত কারণে ৪টি বিয়ে জায়েজ করা হয়েছে। অন্যথায় ১টি বিয়েই সঠিক। কে্ান কোন
কারনে ৪টি বিয়ে করা জায়েজ তাই আমি বর্ণনা করেছি। তবে বিয়ে ছাড়া বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড
কালচার সমাজে অনাচার, ব্যবিচার ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দিবে।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৩

নতুন বলেছেন: মুরুব্বি আবারো অন্ধবিশ্বাসীর মতন পোস্টাইলেন।

উপরের কাহিনি একটা জিনিসই বলে নারীর জীবনের কোন দাম নাই।

রাসুল সা: যাদের ৪টার বেশি স্ত্রী ছিলো তাদের তালাক দিতে বলেছেন।

বাহ কি চমতকার ইনসাফ নারীর প্রতি। নিয়ম ৪টা বিয়ের তাই যাদের ৮টা বিয়ে আছে তাদের ৪জন স্ত্রীকে ত্যাগ করতে হবে?

ঐ ৪ জন নারীরা কি মানুষ না? নাকি পন্য?

পুরুষের যৌন চাহিদার জন্য ৪টা বিয়ে জায়েজ করা হয়েছে।

যেই সব নারীর যৌন চাহিদা বেশি তারা কি করবে????? রোজা রাখবে, লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে।

এই সব আজগুবী নিয়মে আগামী দিনের বিশ্ব পছন্দ করবেনা। বর্তমানে শুধুই কিছু ভন্ডরাই বহু বিয়ে করে থাকে। তারাই তাদের স্ত্রীদের ধমের ভয় দেখিয়ে ঘরে বন্ধি করে রাখে।

ধর্মের সব চেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে এখন মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য। নারীদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য। মাওলানা/হাফেজদের কাজের ব্যবস্থা করার জন্য।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম কখনোই বলেনা আপনি একাধিক বিয়ে করতে হবে।
যদি মনে করো যে তুমি তোমার স্ত্রীদের সুবিচার করতে পারবেনা
তা হলে একটি স্ত্রীই শ্রেয়। এটা ইসলাম ধর্মের কথা। তবে বিশেষ
কারণ বশতঃ ৪টি পর্যন্ত বিয়ে জায়েজ করেছে সে কারণ গুলো আমি
আলোকপাত করেছি।এর মানে এই নয়যে আপনাকে ৪টি বিয়ে করতে
জোর করা হয়েছে।
আপনার যদি ধর্মের এই বিধান সম্পর্কে কোন আপত্তি থাকে তবে ধর্মের
বিরুদ্ধে একটা মামলা ঠুকে দিন। আপনার পক্ষে রায় পেলে কেউ এনিয়ে
আর মুখ খুলতে সাহস করবে না!

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৩১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কোরানে যেখানে বার বার সৎ কার্য করতে বলা হয়েছে তার প্রতি অধিক গুরুত্ব না দিয়ে একাধিক বিয়ে-সাদি, জুলুম, প্রতারণা, হত্যা, দুর্নীতির মতো বিষয়ের প্রতি আমরা অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছি। এই সব অন্যায় ও বৈষম্যমূলক কর্মকান্ড কখনো ধর্মের মহাত্ম ও বিশালত্বকে রিপ্রেজেন্ট করে না। এইসব অশুভ চিন্তা ও কর্মকান্ডের রাহুগ্রাস থেকে বের হওয়া মুসলমানদের জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ আপনি সঠিক বলেছেন।
তবে ধর্মের বিধিবিধানগুলোস জানা থাকা
ভালো। ধর্ম আপনাকে কখনোই জোর করেনা
তার বিধি বিধান পালন করার জন্য। পাপ কার্যেও
বাধা দেয়না। তবে কোন কাজের কি পুণ্য আর কোন
কাজের শাস্তি কি তা প্রতিটি ধর্মেই বলা আছে। মানুষকে
বিবেক দেওয়া হয়েছে ভালো মন্দ বুঝবার। কেউ যদি
বিবেককে গলা টিপে হত্যা করে তার দ্বায় ধর্মের না।
আমি শুধু জানিয়েছি কোন পরিস্থিতে ৪টি পর্যন্ত বিয়ে
করা যায়েজ। বাধ্য করি নাই।

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: মানুষ বন্ড পাপি হয়ে গেছে আঙ্কেল। এই পাপ থেকে যে কে কি ভাবে রক্ষা পাবে তা কেবল মাত্র আল্লাহ ভালোই জানেন। কোরআনের একটি আয়াত নিয়ে এই বিবাহের আয়াতটি নিয়ে যে আপনাদের মতো মানুষেরা কত ভাবে ব্যাখ্যা করছে তার কোন ইয়াত্যা নেই।

মানুষ বন্ড অভাগী।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ কামরুন্নাহার আল্লাহর উপর
বিশ্বাসে অবিচল থাকার জন্য। হ্যা একমাত্র তিনিই
ভালো জানেন কিসে মানুষের কল্যাণ। ধর্ম মানুষের জন্য
ধর্মের জন্য মানুষ নয়। তাই কিসে মানুষের কল্যাণ নিহিত
তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন কেননা তিনি সর্বজ্ঞ।
ইসলাম একাধিক বিয়ে সমর্থন করেনা তবে কোন কারণে
৪টি বিয়ে জায়েজ করেছেন তা আমি উল্লেখ করেছি এর
মানে এই নয় যে সবাইকে ৪টি বিয়ে করতে হবে। অনেক
পুরুষ স্ত্রী বিয়োগের পরেও সন্তানদের কথা বিবেচনা করে
বিয়ে থেকে বিরত রয়েছেন।

১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

নতুন বলেছেন: 3. And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphan-girls, then marry (other) women of your choice, two or three, or four but if you fear that you shall not be able to deal justly (with them), then only one or (the captives and the slaves) that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice. - Click This Link

আয়াতে বলা আছে ইয়াতিমের জন্য। আপনি কিভাবে ঐ অংশটুকু বাদ দিয়ে প্রচার করছেন?

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন বাবু আমারও সেই একই প্রশ্ন কিভাবে ঐ অংশটুকু বাদ দিয়ে প্রচার করছেন?

এক শ্রেণীর লোভী মানুষ এতিম কন্যাদেরকে লালন পালনের নামে নিজেদের ঘরে নিয়ে
আসতো এবং কিছুকাল পর ওইসব কন্যাদেরকে বিয়ে করে তাদের সম্পত্তি দখল করতো।
তাদেরকে বিয়ের মোহরানাও প্রচলিত রীতির তুলনায় অত্যন্ত কম দেয়া হতো। এ অবস্থায়
এতিম কন্যাদের ওপর যে কোন অবিচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এই আয়াতসহ সূরা নিসার
১২৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। বহু পুরুষ তাদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় অথবা চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে
এতিম কন্যাদেরকে বিয়ে করতো। আল্লাহ তাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য এ সব পুরুষদের উদ্দেশ্যে
বলেছেন, যদি নতুন বিয়ের ইচ্ছে থাকে তাহলে কেন শুধু এতিম কন্যাদের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছ?
অন্যান্য মেয়েদেরকেও বিয়ের প্রস্তাব দাও অথবা অন্তত তোমাদের অধিকারভুক্ত
দাসীদেরকেই বিয়ে কর।

একই সাথে চার জন স্ত্রী রাখা ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত। কিন্তু কোন কোন পুরুষ যদি এ আইনের
অপব্যবহার করে,তাহলে এ আইনটি ভালো নয় এমন বলা যাবে না। বরং এটা সমাজের বিশেষ
প্রয়োজন বা চাহিদা মেটানোর প্রতি ইসলাম ধর্মের উদার নীতির প্রকাশ।

১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন তো একটাই। একবারই। তাই সব এক জীবনেই করে নিতে হয়।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খানসাব বেশী বিয়ে করা ভালো না।
তা ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করার যে শর্ত
দেওয়া আছে তা কি আপনার বেলায়
প্রযোজ্য!!! সুতরাং দ্বিতীয় বিয়েকে না বলুন।

১৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২০

সপ্তম৮৪ বলেছেন: আমাদের এলাকায় বেদেদের পাড়া আছে ওরা সারাজীবন নৌকায় ঘুরে বেড়াত , তাতেই তাদের সংসার। ঘাটে নোঙর করে এরা কয়েকদিনের জন্য এলাকায় ভ্রাম্যমান ব্যবসা করে। চুরি, আলতা, ফিতা, স্নো, পাউডার, ইঁদুর মারার বিষ সবই ফেরি করে নারীরা। আর পুরুষরা নৌকায় শুয়ে বসে দিন কাটায়। দেখা যায় একটা পুরুষের ৩/৪ টা করে বৌ। যার যত বেশি বৌ তার ব্যবসা তত বড়।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

হুম, আমিও ছোট বেলায় দেখতাম তাদের।
নানা রকম খেলা দেখাতো বেদিনীরা। খুব
সুন্দর লাগতো কিশোরী বেদনীদের। তবে
তারা দাঁতের পোঁকা তোলার নামে ভন্ডামী
আর বাত ব্যাথা নামানোর জন্য শিঙ্গা টানা
চাতুরামী মনে হতো। এখন অবশ্য বেদের
দল দেখা যায়না।

২০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইসলাম এসেছে মানবতার কল্যানে। এখন না বুঝে কেউ এর বিপক্ষে গেলে দোষ তারই।

যারা বুঝবেনা ভাণ ধরে থাকবে তাদের বুঝানো যাবে না।

ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধর্মের বাণী কেউ মানলেও আল্লাহর কিছু লাভ নাই
আর কেউ পালন না করলেও আল্লাহর ক্ষতি নাই।
তবে ধর্মের বিধান মানব কল্যাণের জন্য যা পালন
করলে তার লাভ বই ক্ষতি নাই। এখনতো কেউ কেউ
আযানের পিছনেও লেগেছে তা বন্ধ করে দেবার জন্য।
তাদের নাকি ঘুম নষ্ট হয় !!

২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

নতুন বলেছেন: আপনার যদি ধর্মের এই বিধান সম্পর্কে কোন আপত্তি থাকে তবে ধর্মের
বিরুদ্ধে একটা মামলা ঠুকে দিন। আপনার পক্ষে রায় পেলে কেউ এনিয়ে
আর মুখ খুলতে সাহস করবে না!
+

প্রথম স্ত্রীর অনুমুতি নিয়ে বিয়ে করতে হয় এই নিয়মই অনেক পরিবর্তন করে দিয়েছে।

সমাজে শিক্ষার আলো আসলে আরো পরিবর্তন হবে।

এখনও অশ্বিক্ষিতদের মাঝেই ২, ৩ বিয়ের প্রচলন বেশি।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আর কবে সমাজে শিক্ষার আলো আসবে
আর কতদিন সেই আলোর জন্য অপেক্ষা
করতে হবে? রাত পোহাতে আর কত দেরী
পাঞ্জেরী !!

যারা একাধিক বিয়ে করে তাদের প্রথম স্ত্রীর
অনুমতি নিতে খুব কি একটা বেগ পেতে হয়?

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫১

নতুন বলেছেন: যারা একাধিক বিয়ে করে তাদের প্রথম স্ত্রীর
অনুমতি নিতে খুব কি একটা বেগ পেতে হয়?


তাহলে বুঝতে পারছেন কারা একাধিক বিয়ে করে?

কারা নারীদের অবহেলা করে? ভোগের পন্য মনে করে?

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি বুঝতে পেরেছি বলেই ধর্মের
বিধান চারটিতে সীমারেখা টেনে
দিয়ে ছিলাম তা না হলে তারা
বউয়ের হাট বানিয়ে ফেলতো
কারণ তারা প্রথম বউয়ের
অনুমতির তোয়াক্কা করেনা।

কিন্তু আপনি বুঝেন নাই বলেই
মাঠ গরম করলেন ধর্মের বিধানের
উপরে আঙ্গুল তুলে !!

২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নতুন বলেছেন: যারা ৪টা বিয়ে করাকে জায়েজ মনে করে তারা নারীদের মানুষ বলে মনে করেনা।

যারা ২টা বিয়ে করতে পারে তারা নারীকে ভালো বাসেনা। বরং বিয়ে করে নিজের জন্য।

নিচে আরবের একটা নারীর নিজের কথা পড়ুন। সাধারন ঘরের একটা নারী তার ৩ সতীনের ঘরকরার কথা লিখেছেন।

https://www.reddit.com/r/AMA/comments/g5gsg1/i_am_currently_a_wife_in_a_plural_marriage_in_the/?utm_source=share&utm_medium=ios_app&utm_name=iossmf

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৬

নতুন বলেছেন: বর্তমানে ডিএনএ টেস্ট করে জানা যায় পিতা কে। তাই আগের দিনের মতন এখন পিতা কে তা নিয়ে ঝামেলা হবেনা।

তাহলে কি নারী ১, ২ ,৩ বা ৪ বিয়ে করে স্বামী নিয়ে সংসার করতে পারবে? ধর্ম কি অনুমোদন দেবে?

২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমরা ইসলামকে ৪ অন্ধের হাতি দেখার মতো করে ফেলেছি। তবে হ্যাঁ, আল্লাহর রাহমতপ্রাপ্তরাই যাবতীয় ফেতনা থেকে মুক্ত থাকে। যে যাই বলুক না কেন শরিয়তের বিধান পরিবর্তন যোগ্য নয়। বুঝে আসুক বা না আসুক। সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫০

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: মা। হাসান বলেছেনঃ তবে এখনকার পোলা মাইয়ারা অনেক আধুনিক। আগে শুনতাম -- দুটির বেশি সন্তান নয়। এখন শুনি --একটি হলে ভালো হয়। এখকার ছেলে-মেয়েরা আরো এক ধাপ এগিয়ে- একটির বেশি বিয়ে নয়, না করিলে আরো ভালো হয়। বিবাহের দরকার নাই। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকিলেই তো চলে। যাচিয়া ঝামেলা নেয়ার কি দরকার। দারুন বলেছেন।
মাগনা মাগনা খেতে পারলে পয়সা খরচ করার দরকার কি?

ধর্মীয় বিধান নিয়ে এত কিছু বলার দরকার নেই। মানুষ এখন ফরজই মানে না। এইসব ধর্মীয় নিয়ম মানার আগ্রহে যে নাই সেটা বিভিন্ন মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.