নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দুই কীর্তিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীর। এই দুই মহান মানুষের চলে যাওয়ার চার বছর পূর্ণ হলো আজ। নয় বছর আগে ২০১১ সালে এই দিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের দুই কৃতী সন্তান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও চলচ্চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরসহ আরও তিন চলচ্চিত্রকর্মী প্রাণ হারান। চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ তার নতুন ছবি 'কাগজের ফুল'- এর শুটিং লোকেশন নির্বাচনের জন্য এই দিনে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শালজানা গ্রামে ইছামতী নদীর পাড়ে আসেন। এসময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে এটিএন নিউজের সিইও মিশুক মুQনীর, তারেকের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগমসহ নয়জন। লোকেশন ঠিক করে তারা ঢাকায় ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। মৃত্যুকালে মিশুক মুনীরে বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর এবং তারেক মাসুদ ৫৫ বছর। দেখতে দেখতে সেই অকাল মৃত্যুর নয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ১৩ সংখ্যাটিকে নেতিবাচকভাবে দেখেন অনেকেই। আগস্টের ১৩ তারিখটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সৃষ্টি করেছে এক বিষাদময় অধ্যায়। ২০১১ সালের এই দিনটিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রনির্মাতা তারেক মাসুদ, চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরসহ আরও তিনজনআজ তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে শিল্প-সংস্কৃতি জগতের এই দুই কীর্তিমান পুরুষকে।
তারেক মাসুদ তার বাল্যকালের অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছিলেন মাদ্রাসায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার মাদ্রাসা শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। যুদ্ধের পর তিনি সাধারণ শিক্ষার জগতে প্রবেশ করেন এবং একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকেছেন এবং দেশে-বিদেশে চলচ্চিত্র বিষয়ক অসংখ্য কর্মশালা এবং কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন। সফল চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের নির্মিত ছবির তালিকায় আছে আদম সুরত', 'মুক্তির গান', 'মুক্তির কথা', 'মাটির ময়না। মাটির ময়নার জন্য তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান। এগুলোর মধ্যে ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড ও পরিচালনার জন্য তিনি পুরস্কার পান। তার পরবর্তী স্বপ্ন ছিল 'কাগজের ফুল' । কিন্তু সে স্বপ্ন তার অপুরণই রেয়ে গেছে তার অকাল মৃত্যুতে। আর মিশুক মুনীর দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পর ২০০০ সালে একুশে টেলিভিশনের প্রথম যাত্রায় সাইমন ড্রিংয়ের সহযাত্রী হিসেবে ছিলেন। তিনি একুশে টেলিভিশনের 'হেড অব নিউজ' অপারেশনের দায়িত্ব নিয়ে সংবাদ বিভাগ নির্মাণ করেছিলেন। সর্বশেষ তিনি প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন ২৪ ঘণ্টার সংবাদভিত্তিক চ্যানেল এটিএন নিউজে।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটির ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ করা হয়েছে। অকালপ্রয়াত এই দুই কীর্তিমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলসংলগ্ন সড়কে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের স্মৃতি ভাস্কর্য "‘সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতিস্থাপনা’ উন্মোচন করা হয়। এই ‘স্মৃতিস্থাপনার’ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর এর দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির বিভিন্ন অংশ দিয়ে। এই ভাস্কর্যের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও স্থাপনের কাজটি করেছেন এই দুর্ঘটনায় আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন। স্মৃতি স্থাপনাটির নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় এটির বাস্তবায়ন করেছে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।
আজ তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। বরেণ্য চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের
দুই গুনী মানুষকে হারালো
বাংলাদেশ !
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ এই ব্যাপারগুলো সুরাহা করার মতো শক্তিশালী নন।
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন ব্যাপারগুলে যেনো !!!!!!!?
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী।
.............................................................................
আমি তাদের সৃষ্টিশীলতার প্রতি আগ্রহী ছিলাম, এই অকাল
মৃত্যু খুব ব্যথিত করে ।
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল
ক্ষণজন্মা দুই নক্ষত্র তারেক মাসুদ ও
মিশুক মুনীরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিবেদনের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: তাদের মৃত্যুতে দেশবাসী খুব কষ্ট পেয়েছে।