নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ ৯ই আগষ্ট'২০২০ ইং ২৬তম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। । এ বছর আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের ঘোষণা হচ্ছে COVID-19 and indigenous peoples resilience. যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘কোভিড-১৯ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিরোধ’। কিন্তু জাতিসংঘ ঘোষণা দিলেও বিভিন্ন দেশ তাদের আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতের বিচেনায় মূল বক্তব্যকে সমুন্নত রেখে নিজেদের মতো করে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের স্লোগান বা ঘোষণা নির্ধারণ করে। সেভাবেই বাংলাদেশে ২০২০ সালের আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘করোনা ভাইরাসের মহামারি ও আদিবাসীদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম’। আদিবাসী, নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু এবং উপজাতি বলতে সাধারণত এমন সামাজিক গোষ্ঠীকে বোঝায়, যাদের নিজেদের মধ্যে কিছু চরিত্রগত মিল থাকে। তারা সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী থেকে সুস্পষ্টভাবে আলাদা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ উপ-কমিশনের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম সভায় আদিবাসী দিবস পালনের জন্য ৯ আগস্টকে বেছে নেয়। আদিবাসী জনগণের মানবাধিকার, পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সুদৃঢ় করা ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করাই বিশ্ব আদিবাসী দশক, বর্ষ ও দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। জাতিসঙ্ঘ ১৯৯৩ সালকে আদিবাসী বর্ষ, ৯ আগস্টকে আদিবাসী দিবস ও ১৯৯৫-২০০৪ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দশক হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি ১৯৯৩ সাল থেকে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও এবছর বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও অন্যান্য সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ রোববার বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে বিশিষ্টজনদের শুভেচ্ছাবার্তা প্রচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ওয়েবিনার আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বলনের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়াও রাত ৮টায় বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারিতে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের স্মরণে এবং ধরিত্রীর সুস্থতার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রদীপ প্রজ্বলন ও এক মিনিট মৌনব্রত পালন করা হবে।
বাংলাদেশে ৪৫টির মতো আদিবাসী আছে। এদের বেশির ভাগ পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহীর গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে থাকে। এই ৪৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ৩০ লাখ লোক, যারা নিজ নিজ ৪০টি ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলে। তাদের সামাজিক রীতিনীতি, বিয়ে, জন্ম-মৃত্যু, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি সামাজিকতায় দেশের অন্যান্য অংশের জনগণ থেকে ভিন্ন ধরনের। আদিবাসীরা তাদের নৃ-তাত্ত্বিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভূমি ও সম্পদের ব্যবস্থাপনাসহ সর্বক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র্য টিকিয়ে রাখতে সচেষ্ট।উপজাতি বা আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্য যে, এরা প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। জীবন, জীবিকা, আচার-আচরণ ও বিশ্বাসে এরা প্রকৃতিনির্ভর। বাংলাদেশের আদিবাসীেদের ২৪ ভাগ হিন্দু, ৪৪ ভাগ বৌদ্ধ, ১৩ ভাগ খ্রিষ্টান এবং ১৯ ভাগ অন্য ধর্মাবলম্বী। আদিবাসীদের চেহারার মধ্যে চীনাদের মতো মঙ্গোলিয়ান বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এ বছর সারাবিশ্বের ৯০টি দেশের প্রায় ৪০ কোটিরও অধিক আদিবাসী জনগণের মধ্যে বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ সারা দেশের ৩০ লাখ আদিবাসী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করবে। ২০১১ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আদিবাসীদের উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আদিবাসীদের জীবনধারা, তাদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার, আদিবাসী জাতিসমূহের ভাষা ও সংস্কৃতি তথা আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার সম্পর্কে সদস্যরাষ্ট্র জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, আদিবাসী জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করে তোলা এবং আদিবাসী মানুষের অধিকারের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি করা।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারসংক্রান্ত সংস্থাগুলো, আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক আইন আদিবাসী শনাক্ত করার জন্য নিম্নোক্ত চারটি বৈশিষ্ট্য ঠিক করেছে। যথাঃ
১। আদিবাসীরা সাধারণত তাদের পূর্বপুরুষদের বাসভূমি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বংশানুক্রমে বসবাস করে।
২। তারা তাদের এলাকাগুলোতে সুস্পষ্টভাবে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধারণ করে ও মেনে চলে।
৩। তাদের একটি বিশেষ চরিত্র হলো, তারা নিজেদের ভৌগোলিক ও প্রতিষ্ঠানগত সংস্কৃতিক রক্ষা করে চলে এবং বিদ্যমান বৃহত্তর সমাজগোষ্ঠীর সাথে মিশে যেতে চায় না। এবং
৪। তারা নিজেদের আদিবাসী অথবা উপজাতি হিসেবে পরিচয় দেয়।
এছাড়াও আইএলও কনভেনশনের ১০৭ ধারার ১১ অনুচ্ছেদে আদিবাসীদের ভূমির ওপর ব্যক্তিগত ও যৌথ মালিকানা স্বীকার করা হয়েছে। জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকারবিষয়ক ঘোষণাপত্র ২০০৭ এর ১০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আদিবাসীদের জোর করে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ এ কনভেনশন ও ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও একের পর এক আদিবাসীদের ভূমি দখল করে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতিতে আদিবাসী ভূমি দখল চলছে। আদিবাসীদের না জানিয়ে তাদের ভূমিতে উদ্যান, ইকোপার্ক, অবকাশকেন্দ্র নির্মাণ, সামাজিক বনায়ন, বিমান বাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, আদিবাসী ভূমিকে খাস জমি ঘোষণা, হয়রানি, সরকারি ভূমি অফিসের দুর্নীতির মাধ্যমে আদিবাসীদের ভূমি দখল হচ্ছে।
আদিবাসী সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশে একটি জটিল আকার ধারণ করেছে। সরকার বলছে আদিবাসী নেই। বাংলাদেশ সরকার তার রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থার কারণে আদিবাসী নেই বলে বিভিন্ন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। একথা অনস্বীকার্য আর্ন্তজাতিকভাবে আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক একটি সনদ আছে সেটা সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। আদিবাসী দিবস আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি ও ঘোষিত দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রতিবছর আর্ন্তজাতিক ঘোষিত দিবস হিসেবে বাংলাদেশেও আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে। তা হলে আর্ন্তজাতিক আইন যদি সরকার মানেন তা হলে জাতিসংঘের ঘোষিত আর্ন্তজাতিক আইনও সরকারকে মানতে হবে। কারণ আদিবাসী দিবস আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দিবস। সুতরাং সরকার যে আদিবাসী নেই বলছে তা ঠিক নয়। কারণ বাংলাদেশ সরকারও জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত রাষ্ট্র। যেহেতু দাবি-দাওয়া দেয়ার অধিকার সবার আছে, সেহেতু এ দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে দাবি-দাওয়া পেশ করার অধিকার আদিবাসীদেরও আছে। সে বিবেচনায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ৩০ লাখ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ১৪ দফা দাবি পেশ করেছে। আমরা সাধারণ নাগরিক হিসেবে আশা করব, রাষ্ট্র এসব দাবি সক্রিয় বিবেচনায় নেবে এবং স্বল্প-মেয়াদে, মধ্য-মেয়াদে এবং দীর্ঘ-মেয়াদে এসব দাবি বাস্তবায়নে আন্তরিক হবে। কেননা আদিবাসী জনগোষ্ঠী একই রাষ্ট্রের সীমানায় বাস করা জাতিগত, ধর্মীয় এবং ভাষাতাতত্ত্বিক সংখ্যালঘু। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিবেচনায়ও প্রান্তিক। সুতরাং তাদের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং তাদের চাওয়া-চাহিদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া সংখ্যাগুরু হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই আদিবাসী ও জাতীয়তার পরিচয়ের ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে পাহাড়ীর জনগোষ্ঠির দাবীগুলো বিবেচনা করে পুরো বাংলাদেশে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান আবশ্যক।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবার মানবিক আচরণ করা আবশ্যক যদি
তারা নিজেদেরকে মানুষ মনে করে। অমানুষ
হলে ভিন্ন কথা। অমানুষদের কোন ধর্ম নাই।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
ফেনা বলেছেন: আদিবাসী হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ। তারা ত এই দেশেরই অংশ।
তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাইলেই যদি পাওয়া যেত তা হলে
বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হতোনা,
স্বাধীনতার জন্য এত মূল্য দেবারও
দরকার ছিলোনা। আসলে অধিকার
আদায় করে নিতে হবে।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
ching বলেছেন: স্বীকৃতি দিলে সহব্লগাররা ভিসা নিয়ে আসতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মন্দ কি ?? তখন প্রাণ হাতে নিয়ে
যাওয়ার দরকার হবেনা !!
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বীকৃতি মিকৃতি বলতে কিছু নেই; তাদের ভুমি দখল বন্ধ করে, তাদেরকে পড়তে দিতে হবে, তাদের এলাকায় চাকুরী সৃষ্টি করতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটাইত তােদের একমাত্র চাওয়া !!
কিন্তু দিচ্ছে কে !!
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীরা কি আদিবাসীর সংজ্ঞায় পড়ে!
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"যাদের সমাজব্যবস্থা, ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেশের মূল স্রোতধারার জনগোষ্ঠীর ভাষা,
সংস্কৃতি ইত্যাদি হতে পৃথক,যারা রাষ্ট্রীয় আইনের চেয়ে প্রথাগত আইনের ভিত্তিতে সমাজ
পরিচালনা ও অভ্যান্তরীন বিরোধ নিষ্পত্তি করে,ভূমির সাথে যাদের নিবিড় সামাজিক,
অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিক ও অধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে এবং য়ারা সাধারণভাবে মূল
স্রোতধারার জনগোষ্ঠীর চেয়ে প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে,তারাই আদিবাসী।”
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার কাছে কি মনে হয়, বাঙালীরা কি আদিবাসী নাকি না?
সংলঘু না হলে আদিবাসী বলা যাবে না?
আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি আর কি। আমারা সব জাতি মিলে মিলেমিশে থাকতে চাচ্ছি।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রিফাত হোসেন (পরপর দুই রিফাত এর একই ধারার প্রশ্ন!!!)
আমরা অনেকেই আদিবাসীর সংজ্ঞাটা জানি আবার অনেকেই জানিনা।
অস্ট্রেলিয়ান এবরিজিন, যুক্তরাষ্ট্রের রেড ইন্ডিয়ান, নিউজিল্যান্ডের মাউরি,
দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা ও মায়া, জাপানের আইনু, রাশিয়ার মেনেট,
ফ্রান্স ও স্পেনে বাসকু, আরব বেদুইন আর বাংলাদেশে চাকমা,
মারমা, তঞ্চংগ্যা, মনিপুরি, গারো, সাওতাল, ম্রো, ত্রিপুরা,
প্রভৃতি ১৪ জনগোষ্ঠী প্রাচীন কাল থেকেই আদিবাসী
হিসেবে বিশ্বে পরিচিত।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করছি।
আপনি ৫নং ব্লগার সাহেবের মন্তব্যের উত্তরে যা বলেছেন তা আপনি কপি পেস্ট উত্তর করেছেন। করতেই পারেন।
কিন্তু সহব্লগার সাহেব, আমার প্রশ্ন ছিল - ''আপনার কাছে কি মনে হয়, বাঙালীরা কি আদিবাসী নাকি না?
সংলঘু না হলে আদিবাসী বলা যাবে না?''
এর উত্তর আপনি এড়িয়ে গিয়েছেন। এটার উত্তর না দিলে তো আলোচনা বৃথা হয়ে যাবে।
আদিবাসী সংজ্ঞা না জেনে কেউ নিশ্চয়ই স্পর্শকাতর ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করার কথা নয়। একই বিষয়ে বিভিন্নভাবে অর্থ তৈরী করা যায়। ব্যাপারটা হয় তখনই, যখন কে কোন অর্থকে গ্রহনযোগ্য মনে করছে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদেশে কোন শ্রেনী বা বর্ণের লোক আদিবাসী তা আমি আপনার প্রতি মন্তব্যে
বলেছি। তার পরেও যদি আপনি প্রশ্ন করেন বাৃঙ্গালীরা আদিবাসী কিনা তা হলে
বৃথা্ই আমার বাক্য ব্যয়।
বাঙ্গালীরা কি দেশের মূল স্রোতধারার বাইরের মানুষ মনে হয় আপনার কাছে?
যদি না হয় তা হলে বাঙ্গালীরা আদিবাসী নন।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করলেই তারা আদিবাসী হবেন তা কিন্তু নয়।
সে খানেও বাঙ্গালীরা বসবাস করছেন দীর্ঘ দিন যাবৎ।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
কৃষিজীবী বলেছেন: আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ সরকারের ভুমিকা সব সময়ই উদাসীন, আবার তারাও নিজেদের কে বাংলাদেশী পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য!!
এর থেকে উত্তরণের পথ জানা আছে কি?
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যেই স্বায়ত্তশাসনের জন্য আমরা দীর্ঘ দিন সংগ্রাম করেছি সেই আমরাই আজ অন্যের স্বায়ত্ত শাসনের অধিকারকে অস্বীকার করছি।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবাই আছে নিজেকে নিয়ে
অপরের সমস্যার সমাধানের
সময় কোথায় !!
১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। অনেক কিছু জানলাম।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার পোস্টে সুন্দরী তন্বী তরুণী
সুমি, চন্দনা এবং ঝুমকি নাই
যারা্ আছে তারা বিশ্বের ত্রাশ!! সাবধান !!
১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আদিবাসীদের মিনিস্ট্রিমে প্রবেশের সুযোগ না দিলে তারা সেই তিমিরেই পড়ে থাকবে। এতে পার্বত্য আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং সমতলের অধিবাসী উভয়ের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। দেশের ম্যানপাওয়ার মজবুত হবে। যা দেশের সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে সমার্থক।
শুভেচ্ছা প্রিয় নুরু ভাইকে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ পদাতিক দাদা
অনেক দিন ধরেই তাদের চাওয়াকে
পাশ কেটে যাওয়া হচ্ছে। আমরার চাই
তাদের ন্যায্য দাবীর বাস্তবায়ন।
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: প্রতি মন্তব্য লিখেছিলাম, কিন্তু মুছে ফেলেছি। ভাল লাগবে না আপনার ও অন্যান্যদের। সত্য খুবই তেতো।
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকারের পাশে আছি, যেভাবে বলেছেন চাদঁগাজী সাহেব। চাঁদগাজী বলেছেন: স্বীকৃতি মিকৃতি বলতে কিছু নেই; তাদের ভুমি দখল বন্ধ করে, তাদেরকে পড়তে দিতে হবে, তাদের এলাকায় চাকুরী সৃষ্টি করতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয় কখনোই
তা না হলে এত দিনে তারা তাদের দাবী
পুরণ করতে বাধা থাকতো না। তাই সবাই
মিলে থাকি এক সাথে। কাউকে হেলা নয়
১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৫৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ বাংলাদেশে বসবাসকারী চাকমা,
মারমা, তঞ্চংগ্যা, মনিপুরি, গারো,ম্রো, ত্রিপুরা রাখাইন এরা আদিবাসী না,রোহিঙ্গাদের মতোই বহিরাগত।এদের আরাকানী,মণিপুরী,গারো -এসব নামই প্রমাণ করে,তাদের আসল নিবাস কোথায় ছিলো।এদের নিজেদের ইতিহাসেও লেখা আছে,তারা প্রত্যেকেই বাংলায় বহিরাগত। কিছু বাম নেতা,এনজিও মিলে বাংলাদেশের অখন্ডতা নষ্ট করার জন্য এদের আদিবাসী বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছে।
বাংলাদেশের আদিবাসী প্রাচীন আমল থেকেই বাঙ্গালীরা।আরব, তুর্কি,পাঠানরা এদেশে এসে স্থানীয় নারীদের বিয়ে করেছিলো।তাদের বংশধররাও এইসব উপজাতিদের চেয়ে অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের কোনো লেখক বা গবেষক এমন প্রমাণ পাননি যে এরা আদিবাসী। বাংলাদেশের সংবিধানের আদিবাসী বলে কোনো শব্দ নাই।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনল দা , আদি বাসী শব্দটির প্রকৃত সংজ্ঞা ও তাদের অধিকার নিয়ে জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক প্রচুর। জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে
আলোচনার পরেও আদিবাসীদের ব্যাপারে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য কোন
সংজ্ঞায় উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নি। সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায়
অণুপ্রবেশকারী বা দখলদার জনগোষ্ঠীর আগমনের পূর্বে যারা বসবাস করত
এবং এখনও করে; যাদের নিজস্ব আলাদা সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও মূল্যবোধ
রয়েছে; যারা নিজেদের আলাদা সামষ্টিক সমাজ-সংস্কৃতির অংশ হিসেবে
চিহ্নিত করে, তারাই আদিবাসী। আদিবাসীদের উপজাতি হিসেবে সম্বোধন
করা একেবারেই অনুচিত, কারণ তারা কোন জাতির অংশ নয় যে তাদের
উপজাতি বলা যাবে। বরং তারা নিজেরাই এক একটি আলাদা জাতি
যারা সত্যিকার অর্থে দেশে আদি থেকে বসবাস করে আসছে। একথা
অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের প্রধান আদিবাসী হলো বাঙালি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতে (মূলত পশ্চিমবঙ্গে) অনেক বাঙালি
বসবাস করে। বাংলাদেশে বাঙালিরা প্রধানত ঢাকাইয়া, সিলেটি ,
চাঁটগাইয়া, নোয়াখালিয়া, বরিশালিয়া, রংপুরি ইত্যাদি কয়েকভাগে বিভক্ত।
১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: তাদেরকে আদিবাসি হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তারা কি বর্তমানের থেকে আরো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে?
দেখার বিষয় হচ্ছে- শিক্ষা-সংস্কৃতি, চাকুরি-ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ে তারা অবহেলিত হচ্ছে কিনা? তারা স্ব-স্ব গোষ্ঠীর স্বকীয়তা বজায় রেখে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে কতটা স্বাভাবিক ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলানোটা আদিবাসি হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে বোধ করি।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হয়তোবা, আন্তর্জাতিক ভাবেও বেশী
সুযোগ সুবিধা হয়তো লাভ করবে।
১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০১
তারেক ফাহিম বলেছেন: সরকারী চাকুরীর বাজারে উপজাতিরা এগিয়ে আছে বাঙালীর চেয়ে।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যেমন আটকে পড়া পাকিস্তানীরা
বিহারী ক্যাম্পে বিনা ভাড়ায় থাকতে
পারছে!!
১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৫৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্র,ক্যানাডা সহ পুরো উত্তর ও দক্ষিণ এ্যামেরিকা মহাদেশ, অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ডে আদিবাসীদের প্রায় নির্বংশ করে সাদারা তাদের দেশ দখল করেছে।
বাংলাদেশে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। পাল বা সেন বংশের আমলে যখন দেশে মুসলিম শাসনের সূচনাও হয়নি,তখনো এইদেশে বাঙ্গালী ছিলো। কিন্ত তখন আদিবাসী নামধারী এসব চাকমা-মারমা উপজাতিরা ছিলো নিজেদের দেশ বার্মা,ও ভারতে।
উপজাতি শব্দটা পৃথিবীর সব দেশে ব্যবহ্রত একটা শব্দ।
বাঙ্গালী বাংলাদেশের প্রধান আদিবাসী - না, তারাই বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী, যতক্ষণ না প্রমাণিত হচ্ছে যে সাওতাল ,ভীল কোল ,মুন্ডা এসব সমতলের লোকজন আদিবাসী।
আমার,আপনার বা জনাব চাদগজীর বংশধররা আরব-ইরান-তুরস্ক থেকে আসতে পারে, কিন্ত আমাদের আসার আগেও এই দেশে বাঙ্গালীরাই ছিলো্, মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর পার্বত্য উপজাতিরা না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের উপর জিয়ার চাপিয়ে দেয়া সমতলের ভুমিহারারা মানুষেরা অমানবিক অত্যাচার করেছিলো, ফলাফল হয়েছে ভয়ানক।