নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সমাজসংস্কারক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। ষাট দশকের একজন প্রতিশ্রুতিময় কবি হিসেবেও পরিচিত তিনি। ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয়, তিনি ছিলেন তাঁর নেতৃত্বে। সাহিত্য পত্রিকা কণ্ঠস্বর সম্পাদনার মাধ্যমে সেকালের নবীন সাহিত্যযাত্রাকে তিনি নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়েই দেননি, সাহিত্য বেগবান করেছেন এক দশক ধরে। সমালোচক এবং সাহিত্য সম্পাদক হিসাবেও তিনি রেখেছেন অনবদ্য অবদান। ১৯৭০ দশকে টিভি উপস্থাপক হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বাংলাদেশে টেলিভিশনের সূচনালগ্ন থেকে মনস্বী, রুচিমান ও বিনোদন-সক্ষম ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভুত হন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। টেলিভিশনের বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় তিনি পথিকৃৎ ও অন্যতম সফল ব্যক্তিত্ব।তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি আলোকিত মানুষ তৈরির কাজে নিয়োজিত ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’। অধ্যাপক সায়ীদ বহু প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা লিখেছেন। তরুণ বয়সে তিনি কবিতা ও কল্পকাহিনী লিখতেন। তার লিখিত প্রবন্ধ সংগঠন ও বাঙালি। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ ১। আমার আশাবাদ ২। আমার বোকা শৈশব, ৩। আমার উপস্থাপক জীবন, ৪। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এবং আমি। ২০০৪ সালে তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। প্রবন্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি টিভি উপস্থাপক হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৯ সালের আজকের দিনে তিনি কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবি ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৩৯ সালের ২৫শে জুলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার অন্তর্গত কামারগাতি গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন কলেজ শিক্ষক ও অধ্যক্ষ। তাঁর কর্মসূত্রে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বাংলাদেশের নানা জায়গায়। শিক্ষা জীবনে তিনি ১৯৫৫ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ, বাগেরহাট (বর্তমান সরকারি পি.সি. কলেজ, বাগেরহাট) থেকে ১৯৫৭ সালে। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক বি.এ. (অনার্স), ও ১৯৬১ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। পিতার শিক্ষক হিসেবে অসামান্য সাফল্য ও জনপ্রিয়তা শৈশবেই তাকে শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট করে। কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করেছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অধ্যাপক হিসেবে তাঁর খ্যাতি কিংবদন্তিতুল্য। তিনি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন ১৯৬১ সালে, মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খন্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি কিছুকাল সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিজীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ)। এই কলেজে তিনি দু’ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র তেইশ। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রনে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তাঁর শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন। সে সময় ঢাকা কলেজ ছিল দেশসেরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল। অধ্যাপক আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক শওকত ওসমান ৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা জীবন তিনি অত্যন্ত উপভোগ করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ঢাকা কলেজে প্রাণবন্ত, সপ্রতিভ, উজ্জ্বল ছাত্রদের পড়ানোর তৃপ্তি, শিক্ষক-জীবনের অনির্বচনীয়তম আস্বাদ ছেড়ে তিনি যেতে চাননি ৷ তাঁর মতে, “বাংলা বিভাগে যোগদান করাটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো ছাত্রদের ছেড়ে সবচেয়ে খারাপ ছাত্রদের পড়াতে যাওয়ার মত মনে হয়েছে” ৷ অধ্যাপক আবু সায়ীদ কখনোই ক্লাসে রোলকল করতেন না। রোলকলকে তার কাছে মনে হতো সময়ের অপব্যয়৷ তাই বছরের পয়লা ক্লসেই ঘোষণা করে দিতেন রোলকল না করার ৷ তিনি তার জীবনীর উল্লেখযোগ্য স্মৃতি (২য় অনুচ্ছেদে) বলেন, “অনিচ্ছুক হৃদয়কে ক্লাশে জোর করে বসিয়ে রেখে কী করব? আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এক ধাপ বেশি: কেবল শিক্ষক হওয়া নয়, সব ছাত্রের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানো, সব ছাত্রের হৃদয়কে আপ্লুত করা”৷ ক্লাশের সেরা ছাত্রটাকে পড়ানোর চেষ্টা করার চেয়ে তিনি পড়াতে চেষ্টা করতেন ক্লাশের সবচেয়ে বোকা ছাত্রটাকে৷ সারাক্ষণ তাকেই বোঝাবার চেষ্টা করতেন, কেননা তার বোঝা মানে ক্লাসের বাকি সবার বোঝা।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ব্যক্তিত্বের সবগুলো দিক সমন্বিত হয়েছে তাঁর “বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের” সংগঠক সত্তায়। তিনি অনুভব করেছেন যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়োজন অসংখ্য উচ্চায়ত মানুষ। তাই দেশের আদর্শগত অবক্ষয় দেখে তা থেকে উত্তরণের জন্যে অধ্যাপক সায়ীদ ১৯৭৮ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গড়ে তোলেন। “আলোকিত মানুষ চাই”- সারা দেশে এই আন্দোলনের অগ্রযাত্রী হিসেবে প্রায় তিন দশক ধরে তিনি রয়েছেন সংগ্রামশীল। একজন মানুষ যাতে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অধ্যয়ন, মূল্যবোধের চর্চা এবং মানবসভ্যতার যা-কিছু শ্রেয় ও মহান তার ভেতর দিয়ে পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বসম্পন্ন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তেমনই এটি সর্বাঙ্গীণ জীবন-পরিবেশ।” প্রথমদিকে তার তত্ত্বাবধানে মাত্র পঁচিশ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী বিশ্বের মহান সাহিত্যকর্মগুলো পড়তে ও সেগুলোর উপর আলোচনা করা শুরু করে। ধীরে ধীরে এই পাঠচক্রে স্কুল-কলেজ ও সাধারণ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই পাঠচক্রগুলোতে বাংলা ও বিশ্ব সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ বইগুলোর পঠন এবং সেগুলোর ওপর প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়।বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৫০০ টি শাখা দেশের মোট ৫৪ টি জেলায় তাদের কর্মকান্ড বিস্তৃত করেছে এবং এর সাথে যুক্ত আছেন বহু স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। বাংলাদেশে পাঠাগারের অপ্রতুলতা অনুধাবন করে ১৯৯৮ সালে থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি কার্যক্রম আরম্ভ করে। নরওয়েজিয় সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এই কার্যক্রমে বই-ভর্তি একটি বাস পাঠকের দুয়ারে গিয়ে হাজির হয়। প্রথমদিকে ঢাকায় কার্যক্রমটি ঢাকায় আরম্ভ হলেও আজ তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রমের পাশাপাশি স্যার জড়িত আছেন পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ আন্দোলনে এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের আশাবাদ নিয়ে জড়িত হয়েছেন ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’ এর একজন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য হিসাবে। তার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পুরস্কার হলো, ১৯৭৭ সালে পেয়েছেন ‘জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার’ , ১৯৯৮ সালে পেয়েছেন মাহবুব উল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কার; ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন রোটারি সিড পুরস্কার; ২০০০ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ বুক ক্লাব পুরস্কার। ২০০৫ সালে একুশে পদক পান। ২০০৪ সালে তিনি র্যামন মাগাসেসে পুরস্কার অর্জন করেন এবং ২০১২ সলে বাংলা একাডেমী পুরষ্কারে ভূষিত হন। আজ আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮১তম জন্মবার্ষিকী আজ। সদা হাস্যময় কবি ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কবি ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল ।
মানুষের দিন সবসময় একরকম যায়না। আজ যার সাথে বন্ধুত্ব
কাল হয়তো সে শত্রু হয়। তবে সদাহাস্যময় অধ্যাপক সাহেবের
সাথে শত্রুতা খুব কম লোকেরই আছে। আমার সাথে তার অনেক
দিনের পরিচয়। আমাদের একটা মাসিক পত্রিকার উপদেষ্টা ছিলেন
তিনি। খুব সজ্জন বলেই জানি তাকে।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আবু সায়িদ একজনই বাংলাদেশে আছে । সজ্জন ও সর্বজনীন
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আলি ভাই
সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: তার সম্পর্কে আপনি শুধু নেট থেকে পড়েই জেনেছেন। নেট থেকে পড়ে একজন মানুষ সম্পর্কে পুরোপুরি জানা যায় না। ১০% জানা যায় কিন্তু ৯০% জানতে হলে তার সাথে মিশতে হবে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার
আমাদের একটি মাসিক পত্রিকার উপদেষ্টা
মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তাই সাধারণ জানার
বাইরেও জানি অনেক কিছু।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।উনার মাথে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে। ভালো লাগা।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কবি
দু একটি স্মৃতিচারণ করে
আমাদেরকেও মুগ্ধ করুন।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার জন্য শ্রদ্ধা রলো।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুনীমানুষদের শ্রদ্ধা করা কর্তব্য।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঢাকা কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে স্যার আমাদের 'হৈমন্তী' পড়িয়েছিলেন। গল্পটা শেষ করতে পেরেছিলেন কিনা মনে পড়ে না। একেকটা বাক্য ধরে ধরে এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করতেন, যা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব ছিল। তার ক্লাসে অন্যান্য সেকশনের ছাত্ররা তো আসতোই, সিনিয়র ক্লাস এবং অনার্সের ছাত্ররাও আসতেন। ছাত্ররা গিজগিজ করে দাঁড়িয়ে তার লেকচার শুনতো। কখনো দমফাটা হাসিতে ক্লাস গমগম করে উঠতো, কখনো করুণ রসের বিষণ্ণতায় পিন-পয়েন্ট নীরব হয়ে যেত ক্লাস।
স্যারের ৮১তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই
স্যার সম্পর্কে চমৎকার স্মৃতিচারণ
করার জন্য। তবে স্যারের কোন
আলোচনায় সুন্দরী রমণীদের কথা
থাকবেনা তা ছিলো প্রায় অসম্ভব।
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। মুরুব্বী।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কবি ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মবার্ষিকীতে
...........................................................................................
আমার ফুলেল শুভেচ্ছা।
একসময় উনার প্রতি পাহাড় সম ভালবাসা ছিল,
তিনি যখন বিশ্বসাহিত্য গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তখন
থেকে পরিচয়, কিন্ত নানাহ কারনে উনার সঙ্গে সর্ম্পকের
ভাটা পড়ে ।