নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিস্মৃতপ্রায় সুর স্রষ্টা কমল দাশগুপ্তের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৪


ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী, প্রসিদ্ধ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত। তার পুরো নাম কমলপ্রসন্ন দাশগুপ্ত। ৪৭ বছর বয়সে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কামাল উদ্দীন আহমদ নাম গ্রহণ করেন। নাম পরিবর্তন করলেও তিনি কমল দাশগুপ্ত নামেই অধিক পরিচিতি পান। কমল দাশগুপ্ত শুধু বাংলা গানের সুরস্রষ্টা নন, তার সুরের নিবিড় পরিচর্যা পেয়েছে হিন্দি, উর্দু, মারাঠিসহ বেশ কয়েকটি ভাষার গান। তিনি ইসলামী গান সুরারোপ করেও সমান খ্যাতি পেয়েছেন। কমল দাশগুপ্তর সুর করা অনেক গানের মধ্যে অন্যতম ‘আমি ভোরের যূথিকা’, ‘সাঁঝের তারকা আমি’, ‘শতেক বরষ পরে’, ‘এমনি বরষা ছিল সেদিন’, ‘মেনেছি গো হার মেনেছি’, ‘আমি ভুলে গেছি তব পরিচয়’, ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’, ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়’, ‘আমার দেশে ফুরিয়ে গেছে ফাগুন’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘যেথা গান থেমে যায়’, ‘কথার কুসুমে গাঁথা’, ‘মোর হাতে ছিল বাঁশি’, ‘তোমার জীবন হতে’, ‘ঘুমের ছায়া চাঁদের দেশে’ ইত্যাদি। এ ছাড়া তাঁর সুরারোপিত শ্রেষ্ঠ বাংলা গান: ‘এই কি গো শেষ দান’, ‘যদি আপনার মনে মাধুরী মিশায়ে’, ‘চরণ ফেলিও ধীরে ধীরে প্রিয়’, ‘দুটি পাখি দুটি নীড়ে’, ‘গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙে যায়’, ‘আমার যাবার সময় হলো’, ‘তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের ‘পরে’, ‘ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে’, ‘আমি বনফুল গো’ ইত্যাদি। তাঁর স্বকণ্ঠে গাওয়া ‘আজো কাঁদে কাননে’, ‘জগতের নাথ কর পার'। তার সুরে রওশন আরা বেগমের গাওয়া 'হে প্রিয় নবী রাসূল', 'হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও' গান দুটি উল্লেখযোগ্য। প্রথিতযশা এ সঙ্গীতজ্ঞ আধুনিক গানসহ আট হাজারেরও বেশি গানের সুর করেছিলেন। তালিকা থেকে বাদ যায়নি আধুনিক, নজরুলসঙ্গীত, গীত, গজল, ভজন, কাওয়ালিসহ সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা। ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে গ্রামোফোন ডিস্কে তাঁর সুরে গাওয়া বহু গান অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। গানগুলোর গীতিকার ছিলেন প্রণব রায় এবং কণ্ঠশিল্পী ছিলেন যুথিকা রায়। তার সুর করা সাঁঝের তারকা আমি, আমি ভোরের যুথিকা প্রভৃতি গান আজও সমাদৃত। তাঁর কয়েকটি রাগাশ্রিত, কীর্তনাঙ্গ এবং ছন্দ-প্রধান গানও সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৪ সালের আজকের দিনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত। আজ তার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্ষণজন্মা এই সঙ্গীত কাণ্ডারিকে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তকে স্মরণ করছি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ।

সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত ১৯১২ সালের ২৮ জুলাই ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বেন্দাগ্রামে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত এবং বড় ভাইয়ের নাম সুবল দাশগুপ্ত। কমল দাশগুপ্তের শিক্ষাজীবন শুরু কলকাতায়। ১৯২৮ সালে তিনি ক্যালকাটা অ্যাকাডেমি থেকে ম্যাট্রিক এবং পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিকম পাস করেন। ১৯৪৩ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট অব মিউজিক ডিগ্রি লাভ করেন। কমল দাশগুপ্ত বিদ্রোহী কবি নজরুলের একান্ত সান্নিধ্য লাভ করেন। শুধু কমল দাশগুপ্ত নয়, পরিবারের সকলেই নজরুলের সান্নিধ্যে ছিলেন। কমল, বড়দা বিমল ও ছোট সুবলও নজরুলের গানে সুর করেছেন। ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত নজরুলের কাছে তিনি সংগীতের তালিম নিয়েছেন, কাজ করেছেন সহযোগী হিসেবে। এই সময়ে তিনি মাস্টার কমল নামে নজরুল সঙ্গীতও গেয়েছেন। দাদা বিমল দাশগুপ্তের সহকারী হিসেবে এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানিতে ঢুকে প্রায় ২৩ বছর বয়সে সংগীত পরিচালনা ও গানের সুর করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন কমল। যদিও গ্রামোফোন কোম্পানিতে ঢুকেছিলেন একজন তবলাবাদক হিসেবে। তিনি নিয়মিত ম্যান্ডোলিন ও জাইলোফোন বাজাতেন। কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহু জনপ্রিয় গানে সুর দিয়েছেন কমল দাশগুপ্তের। ‘সৎ পাত্রে কন্যা দান করলে বাবা যেমন নিশ্চিন্তে থাকেন, তেমনি নিশ্চিন্ত থাকতেন কাজী নজরুল ইসলাম সুরকার কমল দাশগুপ্তকে গান সুর করতে দিয়ে।’ উপমহাদেশের অন্যতম গুণী সুরকার, সংগীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করেছেন নজরুল বিশেষজ্ঞরা। প্রায় তিনশো নজরুলগীতির সুর রচয়িতা ছিলেন কমল দাশগুপ্ত। উত্তর ভারতের মীরার ভজনে সুরের প্রয়োগ বিষয়ে গবেষণা করে কমল দাশগুপ্ত কমল দাশগুপ্তের সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয় অগ্রজ অধ্যাপক বিমল দাশগুপ্তের কাছে। পরে দিলীপ কুমার রায়, কৃষ্ণচন্দ্র দে, ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁ প্রমুখের কাছে তিনি সঙ্গীতশিক্ষা করেন। তিনি বহু আধুনিক বাংলা, উর্দু, হিন্দি, ঠুমরি এবং ছায়াছবির সঙ্গীতে কণ্ঠদান ও সুরারোপ করেছেন। সুরের রাজ্যে কমল দাশগুপ্ত ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার সুরের ভিত্তি ছিল রাগ, এর সাথে বাংলা গানের নানা ধারাকে ভেঙে একত্রে মিশিয়ে দিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সে হিজ মাস্টার্স ভয়েস গ্রামোফোন কোম্পানীর সঙ্গীত-পরিচালক ও সুরকার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন কামল দাশগুপ্ত। কলাম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানীতেও কর্ম সম্পাদন করেন। এছাড়াও তিনি রেডিও অডিশন বোর্ডের প্রধান ছিলেন এবং রেডিও বাংলাদেশের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের প্রধান সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিনি। কমল দাশগুপ্ত ছিলেন প্রথম বাঙ্গালী যিনি উর্দু ভাষায় কাওয়ালি গান পরিবেশন করেন। এইচএমভিতে এক মাসে তিপ্পান্নটি গান রেকর্ড করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। রেকর্ডসংখ্যক গানে সুর করার জন্য ১৯৫৮ সালে এইচএমভিতে তাঁর সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠিত হয়। কমল দাশগুপ্তের বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি শিল্পীর মন পড়তে পারতেন। শিল্পীর গায়কী অনুযায়ী গানের সুর করতেন। গান রেকর্ডিংয়ের আগে তিনি শিল্পীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতেন। তাই শুধু শিল্পী, সুরকার বা সঙ্গীত নয়, কমল দাশগুপ্তের জাদুকরী কর্মকাণ্ডের সমান অংশীদার ছিল মানসিক প্রসারতা। তিনি নিজে শিল্পীর কাছে যেতেন, চিনতেন, তারপর একসঙ্গে কাজ করতেন। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তার মৌলিক অবদান স্বরলিপির শর্টহ্যান্ড পদ্ধতির উদ্ভাবন এবং স্টাফ নোটেশন পদ্ধতির স্বরলিপি স্থাপন। উল্লেখ্য, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতিষ্ঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের মার্চিং সং ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’-এর সুর তারই দেয়া। এছাড়াও হায়দরাবাদের নিজামের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ গান তিনি রেকর্ড করেছিলেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের সুরকার হিসেবেও কমল দাশগুপ্ত প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। তার সুর দেয়া ও গাওয়া ‘তুফান মেল’, ‘শ্যামলের প্রেম’, ‘এই কি গো শেষ দান’ চলচ্চিত্রের এই গানগুলো এককালে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। অনেক হিন্দি ছায়াছবিতেও তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি প্রায় ৮০টি ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমেরিকার ‘ওয়ার প্রপাগান্ডা’ ছবির নেপথ্য সঙ্গীতেও তিনি কাজ করেন। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার শেষ ছবি ‘বধূবরণ’। এই মহৎ শিল্পীর অবদান ও তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী’ তাঁকে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করেন। কমল দাশগুপ্ত ছিলেন তার সময়ের সেরা কম্পোজার। নজরুল, রবীন্দ্রনাথের গানের বাইরে যেয়ে, মূলত আধুনিক গানের স্বর্ণযুগের ভিত্তিটা তার হাত ধরেই তৈরি হয়। কমলের সুরে এতো বৈচিত্র্যের মাধুর্যে তার সমসাময়িক কেউই তার ধারে কাছে পৌঁছুতে পারেননি। এই সৃষ্টিশীল মানুষটি খ্যাতির আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন সারাজীবন। আর সাধনা করে গেছেন সংগীতের, করেছেন একের পর ক্ল্যাসিক্যাল, সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল, নজরুল সংগীত, শ্যামা সংগীত, গজল, কীর্তন, ইসলামী ও আধুনিক গানসহ সংগীতের মোটামুটি সব শাখাতেই রেখেছেন তার প্রতিভার স্বাক্ষর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমল দাশগুপ্ত বৃটিশ ডানকান ব্রাদার্সের কিছু তথ্যমূলক চিত্রে সংগীত পরিচালনার সুযোগ লাভ করেন। শেষ উত্তর, যোগাযোগ, চন্দ্রশেখর ও শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার কৃতিত্বের জন্যে তাঁকে চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে সালে বাংলাদেশের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম নজরুল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ফরিদপুর জেলার খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেনের কন্যা ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করেন কমল দাশগুপ্ত।১৯৫৫ সালে যখন কমল-ফিরোজার বিয়ে হয়, তখন কমল দাশগুপ্তর বয়স ছিল ৪৩ বছর। বিয়ের চার বছর পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁর নাম হয় কাজি কামাল উদ্দিন। তারা প্রথম ঘর বাঁধেন পার্ক সার্কাসে। এক বিশাল হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন কমল দাশগুপ্ত। অর্থের প্রতি কোন মোহই ছিলনা তাঁর। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, মহৎ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ও দুঃখীজনের বন্ধু। ১৯৪৩ সালে সারা ভারতবর্ষ যখন দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত তখন কলকাতায় তুখা নাঙ্গা মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন কমল দাশগুপ্ত। নিজ খরচে নঙ্গরখানা খুলে প্রতি দিন একশত করে লোক খাওয়াতেন তিনি। তাঁর এই মহৎ প্রচেষ্টা প্রায় মাসব্যাপী অব্যাহত ছিল। ১৯৪৬ সালে ৩৭ হাজার টাকা আয়কর দিয়েছিলেন কমল দাশগুপ্ত। সে সময় গাড়ি ছাড়া চলতেন না কমল, সেই কমল দাশগুপ্ত পারিবারিক সংকট ও নাথ ব্যাংকে দেউলিয়া হয়ে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব, রিক্ত হয়ে পড়েন। আর্থিক ও মানসিকভাবে কমল দাশগুপ্ত যখন সর্বহারা ও বিপর্যস্ত, তখন ফরিদপুরের মেয়ে ফিরোজা বেগম তাঁর হাত ধরে শুধু জাগিয়ে তোলেননি, জড়িয়ে নেন নিজের জীবনের সঙ্গে। কিন্তু বৈষয়িক দিকে উন্নতি লাভ করতে না পারায় চরম অর্থনৈতিক কষ্টে দিন কাটছিল তাঁদের। ফিরোজা বেগমের কনিষ্ঠ ভাই কণ্ঠশিল্পী ও ডাকসাইটে আমলা আসাফদ্দৌলার গোপন ইঙ্গিতে এ দেশের সন্তান কমল দাশগুপ্ত এক বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে ১৯৬৭ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। কিন্তু তাদের সে প্রত্যাশা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তখন তাদের ৩টি সন্তান। কলকাতায় তাঁদের সন্তান তাহসীন, হামিন ও শাফিনের জন্ম হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসার পর তাঁর কোনো জায়গা হলো না যেন। নিদারুণ হতাশা ও দুঃখ দৈন্যর মধ্য দিয়েই এ সময়কার (ঢাকার) দিনগুলি অতিবাহিত হয়েছে কমল দাশগুপ্তের। একদিকে কলকাতা তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে, কিন্তু ঢাকাও তাঁকে গ্রহণ করেনি। সেই সময় সরকারও তাঁর প্রতি প্রসন্ন ছিল না। কোনো প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসেনি তাঁর মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর জন্য। আমাদের লজ্জা ও দায় এই যে, কমল দাশগুপ্তকে জীবিকার অন্বেষণে অর্থের প্রয়োজনে ঢাকার হাতিরপুলে ‘পথিকার’ নামে একটি ছোট স্টেশনারী দোকান খুলতে হয়েছিলো।’সঙ্গীত জগতের এক বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কমল দাশগুপ্ত। কিন্তু এদেশে অনাদরে অবহেলায় এই প্রতিভাধর পুরুষের জীবনে মৃত্যু ঘটে মৃত্যুর বহু পূর্বেই। ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই প্রায় অযত্নে-অবহেলায় ও বিনা চিকিৎসায় ঢাকার পি, জি হাসপাতালে চিরমৃত্যু হয় তার। মৃত্যুৃর পরে ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্তের আজ ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্ষণজন্মা এই সঙ্গীত কাণ্ডারিকে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তকে স্মরণ করছি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: তাকে নিয়ে অনেক কিছু জানার ইচ্ছে ছিল- আপনি কিছুটা সাধ মেটালেন। শুনেছি তার ব্যস্ততম সময়ে- তাকে নাকি কলকাতা থেকে চার্টার্ড বিমানে করে বোম্বে নিয়ে যাওয়া হত গানের সুর দেবার জন্য!
ধন্যবাদ লেখাটা শেয়ার করার জন্য ভাই নুর মোহাম্মদ নুরু

২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ভাই
হতেও পারে! গুনী সুরকার ছিলেন
তাই মর্যদাও পেতেন।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: কমল দাস গুপ্ত প্রায় ছয় হাজার গানে সুরারোপ করেছেন যা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ বলেই মনে হয় । নজরুলের গানে সুরারোপ এমন এক ঐতিহাসিক বিষয়ের সুচনা করেছে যে কমল বিহীন সুরারোপ না হলে নজরুল গানের দিক দিয়ে অপরিচিতই থেকে যেতেন । স্টেটম্যান পত্রিকা তিনতলায় একটা রুম দিয়েছিলেন নজরুল আর কমলকে । তারা দু বছর একসাথে থেকে বিবিধ গানে সুর , নজরুলকে বোঝা ইত্যাদি বিষয়ে রীতিমত গবেষণা হয়েছিল । আমি কমল দাস গুপ্তের সুর করা কোন গানকেই দূরে ফেলতে পারি না । আজকের ফিরোজা বেগম ওই একই মাত্রায় এসে দাঁড়ান । কমল তার জীবনের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা যা মনে হয় শেষ জীবনে অস্বীকার করেই গেছেন । ভারত উপমহাদেশের একজন গুণী আর প্রখ্যাত সঙ্গীতকার শেষ জীবনে ঠাই পান নি কোথাও । তার বড় ভুল ছিল ফরিদপুরের মহিলার হাত ধরে পাকিস্তানে চলে আসার । ক্ষনজন্মা এই মানুষটি বেচে থাক সকল প্রজন্মে সকল সঙ্গীত পিপাসুদের মনে । প্রার্থনা ।

২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আজিজ ভাই কমল দাসগুপ্তকে নিয়ে স্মৃতিচার'ণ
করার জন্য। গুনী সুরকার ছিলেন বলেই স্টেটম্যান পত্রিকা
তাকে মর্যাদা দিয়েই তার জন্য তাদের অফিসে রুমের ব্যবস্থা
করেছিলেন। কমল আর ফিরোজা বেগম স্বামী-স্ত্রী ছিরেন এর্বং
এখন তারা দূজনই প্রয়াত। তাই তাদের নিয়ে আর নেতিবাচক
কিছু নাই বলি। তাদের জন্য পরকালের শান্তি কামনা করছি।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

রবিন.হুড বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই আপনি কোন যুক্তিতে ফরিদপুরের মেয়ের দোষ দিলেন বুঝলাম না ।গোপালগঞ্জ এর কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন তেমনি গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানী উপজেলার মেয়ে ফিরোজা বেগম কমলদাশগুপ্ত কে আর্থিক দৈন্যদশার সময় হাত ধরে কাছে টেনে নিয়েছেন তাকে সমর্থন দিয়ে সঙ্গীত চর্চায় সহযোগিতা করেছেন। ১৯৬৭ সালে যখন কামাল উদ্দিন আহমেদ (কমল দাশ গুপ্ত) পরিবারের সাথে ঢাকায় আছেন তখন পাকিস্থান সরকার তার প্রতিভার মূল্যায়ন করে নাই তার জন্য ফরিদপুরে মেয়ে দায়ী নয়।

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

রবিন হুড ভাই আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
কোন ব্যাক্তির কারনে পুরা এলাকাকে দোষারোপ
করা ঠিক নয়। ফরিদপুরে আমাদের জাতির পিতার
জন্মস্থান তাই বলেযে সেখানে খারাপ মানুষ নাই তা
কিন্তু নয়। সে যাহোক বাস্তবতাকে আবেগের জোয়ারে
ভাসিয়ে দেওয়া যায়না। পৃকতপক্ষে ফিরোজা বেগম ছিলেন
উচ্চাভিলাষী। ফ্যাশন ও সৌন্দর্যচর্চা ছিল গানের চেয়ে প্রিয়।
তাই কমলকে বোঝার চেষ্টা না করে তাঁর ব্যক্তিত্বকে ফিরোজা
বেগম অবজ্ঞা কহছেন। ফলে কমলের নেশাসক্ত জীবন মৃত্যুকে
আরও ত্বরান্বিত করে।’ তবে মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে সমালোচানা
করা সমীচিন নয়। মৃতরা সকল সমালোচনার উর্ধ্বে।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

হাসান রাজু বলেছেন: আমরা তাকে চিনি সাফিন আহমেদ, হামিন আহমেদের বাবা হিসেবে। তারও আগে জানি ফিরোজা বেগম তাদের মা। শাহ আজিজ ভাই যেমন মন্তব্য করলেন। এবং আপনার পোস্ট ও আন্যান্য বিষয় বিবেচনা করলে আমাদের জানা উচিৎ ছিল কমল দাস গুপ্তের ছেলে সাফিন, হামিন আহমেদরা। কারন হিসেবে বলব সাফিন, হামিন আহমেদ বা মাইলস ৯০ দশকের ক্রেজ ছিল অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু আপনি যে গানের লিস্ট দিলেন সে গানের ভক্ত আমি মোটেও না। বরং মাইলসের ভক্ত অনেক বেশি। কিন্তু আপনার দেয়া লিস্টের বেশির ভাগ গান আমি কোথাও না কোথাও শুনেছি। প্রসিদ্ধ সব গান। আজও জিবন্ত। কমল দাস গুপ্তকে সাফিন হামিনদের আগে জানা উচিৎ ছিল। কিন্তু বলতে গেলে আমরা তাকে চিনিই না। এই শূন্যতাটা কোথায় তৈরি হয়েছে?

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

রাজু ভাই আপনাকে স্বাগতম বহুদিন পরে আবার আমার ব্লগে এসে
সাহস যোগাবার জন্য। আজকে আমার লে্খায় ফিরোজা বেগম
কিংবা সাফিন আহমদের প্রসঙ্গ আনিনি। আমার লেখাটি ফিরোজা
বেগমের স্বামী কিংবা সাফিনদের বাবা হিসেবে যতটা না খ্যাত
তার চেয়ে একজন সফল সুরাকার হিসেবে তিনি নিজ নামেই
খ্যাতির চুড়ায় আছেন। তাকে আর কারো পরিচিত হবার
আবশ্যকতা নাই।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা ঠিক করবেন।

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ খানসাব

৬| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরে সম্পদশালী কিভাবে হল তার পরিবার? উনি নিজে কোনও গান গেয়ে রেকর্ড করেছেন?

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তার পরিবার সম্পদশালী হবার কারন হয়তো ব্যবসায়।
তাঁর পিতা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
সাচু সাহেব আপনি হয়তো ইতেমধ্যে জেনে গেছেন যে
কলকাতা থেকে চার্টার্ড বিমানে করে বোম্বে নিয়ে যাওয়া
হত গানের সুর দেবার জন্য! সুতরাং তার বিত্তশাী হতে
কি আলাউদ্দিনের চেরাগের আবশ্যকতা আছে?

৭| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: কমলদাশগুপ্ত কে আর্থিক দৈন্যদশার সময় হাত ধরে কাছে টেনে নিয়েছেন তাকে সমর্থন দিয়ে সঙ্গীত চর্চায় সহযোগিতা করেছেন। রবিন.হুড

আর্থিক সহযোগিতা এমন বিপুল ছিল যে ভদ্রলোককে শেষ জীবনে লক্ষ্মীবাজারে ছোট একটি পানের দোকানে বসতে হত ।

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আজিজ ভাই কমল দাশগু্প্তের শেষ জীবনের আর্থিক অনটনের জন্য তিনি যে দোকান করেছিলেন সে সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া যায় যেমন তিনি ঢাকার সেন্ট্রাল রোডে সম্ভবত ‘পথিকা’ নামের একটি মুদিখানার দোকান খোলেন। আপনি বললেন ক্ষ্মীবাজারে ছোট একটি পানের দোকান। কেউ বলেছেন স্টেশনারী দোকান। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন তপন বলেন জীবিকার অন্বেষণে অর্থের প্রয়োজনে ঢাকার হাতিরপুলে ‘পথিকার’ নামে একটি ছোট স্টেশনারী দোকান খুলেছিলেন তিনি।
তিনি আরো বালেনঃ আমি (জাকির হোসাইন তপন) এখন হাতিরপুলের যে জায়গায় থাকি, সেখান থেকে কয়েকটি বাড়ি পরেই কমল দাশগুপ্তের শেষ জীবনের অবলম্বন সেই ষ্টেশনারী দোকানটির অবস্থান ছিল! এই এলাকার পুরনো বাসিন্দা যারা সেসময় কমল দাশগুপ্তকে দেখেছেন তাদের কাছে জেনে তিনি পথিকার দোকানটির সম্ভাব্য অবস্থান নির্দিষ্ট করেছেন।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি তো ৭০ দশকে সন্ধানীর দেওয়া তথ্যে জানি এবং ছবি দেখেছি ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে পানের দোকানে বসতেন । ওই সময়ে হাতিরপুল জেগে ওঠেনি ।

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কি জানি কোনটা সত্য । তবে সেন্ট্রাল রোড (হাতির পুল) হোক কিংবা লক্ষ্মীবাজার
পানের দোকান অথবা স্টেশনারী অথবা মুদিখানা। কথাতো একটাই যে কত অভাবের
সাথে তিনি পাঞ্জা লড়েছেন !!

৯| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি শেষের প্যারাতে লিখেছেন যে ৬৭ সালের পরে অনেক দুঃখ ও দৈন্য দশা ছিল। এছাড়া অযত্নে অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এ কারণে আমি বলেছি। জীবিকার অন্বেষণে ষ্টেশনারী দোকান চালিয়েছেন। আপনি মনে হয় আপনার লেখা অন্য কাউকে দিয়ে লেখান। এই জন্য ভিতরে কি থাকে পুরাটা জানেন না। :)

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরে সম্পদশালী কিভাবে হল তার পরিবার? উনি নিজে কোনও গান গেয়ে রেকর্ড করেছেন?

আমি আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করেও বুঝাতে পারিনাই।
ব্যর্থতা বোধ হয় আমার। ৬৭ সালের পর ওনার পরিবার
বিত্তশালী হয়েছে এ তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ?

১০| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৭৪ সালে বিনা চিকিৎসায় মারা যান উনি। এখনও কি আপনি মনে করেন ওনার পরিবারের ওইরকম অবস্থা আছে?
আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে পরে ওনার পরিবার কিভাবে সম্পদশালী হোল? আপনি জবাব দিয়েছিলেন যে ওনার পরিবারের সম্পদশালী হওয়ার কারণ সম্ভবত ব্যবসা। তার মানে আপনি শিকার করছেন যে ওনার পরিবার পরে সম্পদশালী হয়েছিল ব্যবসার মাধ্যমে।
গত তিরিশ বছরে ফিরোজা বেগম ও তার সন্তানেরা দৈন্য দশায় ছিল এমন খবর কখনও শুনিনি। ওনারা অভিজাত এলাকাতে থাকতেন বলে জানি। উনি এবং ওনার সন্তানেরা বেশ সচ্ছল অবস্থাতেই ছিলেন বা আছেন। ফিরোজা বেগম ১৯৮০-২০০০ সালে আমেরিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়াতে তিনশ’র বেশি একক লাইভ অনুষ্ঠান করেন। এছাড়াও পরবর্তীতে গানের সূত্র থেকে ভালো টাকা আয় করেছেন। ওনার ছেলেরাও গান গেয়ে ভালো টাকা আয় করেছে। এগুলিই হয়ত পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের কারন ছিল। এটাই আমি জানতে চেয়ে ছিলাম। অথচ আপনি শিকার করতে চাচ্ছেন না যে ওনার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা পরে ভালো হয়েছিল। ১৯৭৪ এর চেয়ে নিশ্চয়ই অনেক ভালো হয়েছিল যখন উনি বিনা চিকিৎসায়, চরম অবহেলায় মারা যান। আপনার প্রথম মন্তব্য আমাকে বিভ্রান্ত করেছে।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: কমল দাশগুপ্ত মারা গেলেন ১৯৭৪ সালে আর আপনি
ইতিহাস নিয়ে আসলেন ১৯৮০-২০০০ সালের !!
আপনি অনাহুত আর অপ্রসাঙ্গিক কথাবার্তা বলে সব সময়
সহজ ব্যাপারটাকে ঘোলাটে করে তোলেন। কমল দাশগুপ্ত
৭৪ সালে মারা গেলেন সাথে সাথে তার সব ওখানেই সমাপ্তি।
ফিরোজা বেগম বা সাফিনরা আলাদা চ্যাপ্টার। তাদের মাঝে
আপনি কমল দাসগুপ্ত টেনে আনছেন কেন ? যখন আমি তাদের
ব্যাপারে কোন পোস্ট দিবো তখন প্রশ্ন করবেন। কমল দাসগুপ্ত
আমার আজকের সাবজেক্ট তার মৃত্যুর পরে তার সংশারের উত্থান
এখানো আলোচ্য নয়।

আমি কমল দাসগুপ্তের পরিবার সম্পদশালী হবার কারনে উল্লেথ করেছি।
তাঁর পিতা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আমি ফিরোজা
বেগমের বা সাফিনদের বিত্তশালী হবার কথা মিন করিনাই। তা আমার
বিষয়ও ছিলোনা। অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্য পরিত্যাজ্য

১১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার প্রথম প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়েছেন। আপনি কেন বললেন যে সম্ভবত ব্যবসার মাধ্যমে সম্পদশালী হয়েছে। এটা কি ভুল উত্তর না। আমি তার পিতার সম্পদের ব্যাপারেতো প্রশ্ন করি নাই আমি প্রশ্ন করেছি ওনার মৃত্যুর পরের ব্যাপারে নিয়ে। আপনি বলতে পারতেন যে আমি ওনার মৃত্যুর পরের ব্যাপার আলাপ করতে চাই না বা জানিনা। আপনার ভুল উত্তরের জন্য আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন করতে হয়েছে। কাজেই অপ্রাসঙ্গিক বলা ঠিক না। আমি জিজ্ঞাস করলাম তার মৃত্যুর পরের ব্যাপার আপনি জবাব দিলেন ওনার মৃত্যুর আগের ব্যাপারের। কাজেই আপনি তো আমাকে বিভ্রান্ত করেছেন। আর আমি সব সময় ব্যাপার ঘোলাটে করি না। এর আগের পোস্টে আপনি মাহাথির সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং সেটা এখনও পর্যন্ত সম্ভবত ঠিক করেন নাই। আরেকটা পোস্টে অনেক পেঁচানোর পরে স্বীকার করলেন যে হাজী সাহেব বলা ঠিক না। কাজেই আপনার ভুল ধরিয়ে দিতে গেলেই আতে লাগে কেন? পোস্ট দিলে সেটার উপর প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। কিন্তু এই পোস্টে আপনি না বুঝে অন্য উত্তর দিয়েছেন। ফলে আমি আবার প্রশ্ন করেছি। আপনি বলতে পারতেন যে আমি ভুলে তার মৃত্যুর আগের সম্পদের কথা বলেছি। তা না করে আপনি আমাকে দোষ দিচ্ছেন।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি যাকে নিয়ে লিখেছি সেটা নিয়ে কথা বলুন
আগের বা পরের ব্যাপার অপ্রসাঙ্গিক।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: উনার সুরে শাফিন আহমেদের গলায়, "কন্ঠে আমার নিশিদিন" গানটা ভীষণ ভালোলাগে। উনাকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.