নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। ১৯৭১ সালের ৩ অক্টোবর। রোজার মাস। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম শেরপুর জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার তেলিখালী । এখানে ছিল পাকিস্তানিদের দুর্ভেদ্য একটি ঘাঁটি। প্রতিরক্ষায় ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৩৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ১২৫ জনসহ রেঞ্জার্স ও রাজাকার। সব মিলিয়ে ২৩৭ জন। দূরে বাঘাইতলীতে ছিল তাদের গোলন্দাজ বাহিনীর একটি দল। রাত সাড়ে তিনটা। একসঙ্গে গর্জে উঠল শত শত অস্ত্র। গুলি-গোলার শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত। চারদিকে বারুদের উৎকট গন্ধ। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে যাচ্ছেন শত্রুর বাংকার লক্ষ্য করে। তাঁদের সঙ্গে আছে মিত্রবাহিনীর রাজপুত রেজিমেন্ট। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন। আবদুল্লাহ-আল-মাহমুদ একটি দলের নেতৃত্বে। তিনি কাট অব পার্টির দায়িত্বে। সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রতিরোধ সেদিন একে একে ভেঙে পড়তে থাকে। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি যুদ্ধ। পাকিস্তানিদের পালিয়ে যাওয়ার পথ ছিল রুদ্ধ। ভোর পাঁচটার দিকে তাদের দিক থেকে গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর একজন ছাড়া সবাই নিহত হয়। অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর ১৯ জন ও মিত্র বাহিনীর ৫৬ জন শহীদ হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের আজকের দিনে তিনি শেরপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ১৯৪৭ সালের ১৬ জুলাই শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মফিজল হক এবং ময়ের নাম রোকেয়া হক। আবদুল্লাহ-আল-মাহমুদ ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্থানীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে তাঁদের সঙ্গে ভারতের ঢালুতে আশ্রয় নেন। এখানে তাঁরা নিজেদের চেষ্টায় একটা প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলেন। জুন মাসের পর তাঁদের আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আগস্ট মাসে তাঁকে ১১ নম্বর সেক্টরের ঢালু সাব-সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সাব-সেক্টরের অপারেশনাল এলাকা ছিল হালুয়াঘাট, ঢালু, ময়মনসিংহ সড়ক পর্যন্ত। এসব এলাকায় আগস্ট মাস থেকে অনেক যুদ্ধ হয়। কয়েকটিতে তিনি সরাসরি অংশ নেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ডা. কামরুন্নেসার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই মেয়ে এক ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার উত্তরায় ১২ নম্বর সেক্টরের ১৯ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে বাস করেন। পেশায় তিনি চিকিৎসক। বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ কবি,
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের
জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।
১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খানসাব্
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা রইলো।
শুভকামনা