নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
অষ্টদশ শতকের ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বাগ্মী রাজনীতিবীদ এবং দার্শনিক এডমুন্ড বার্ক। একাধারে তিনি একজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ সংসদীয় সদস্য, বাগ্মী রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, গণিত, লেখক, প্রকাশক, দার্শনিক, রক্ষণশীল প্রবণতার প্রতিষ্ঠাতা। বিশ শতকের থেকে বার্কে সাধারনের কাছে রক্ষণশীলতার জনক বলে অভিহিত হয়েছেন। বাগ্মী স্যার এডমন্ড বার্ক যখন বৃটিশ পার্লামেন্টে বক্তৃতা করতেন তখন পার্লামেন্ট কক্ষে পিন পতন নিরবতা বিরাজ করতো। সরকারি দল এবং বিরোধী দল উভয় পক্ষ নিরবতা অবলম্বন করে বার্কের বক্তৃতা শুনতেন। বক্তৃতা শেষ হয়ে গেলেও আরও কিছুক্ষন নিরব থাকতেন। এ আফসোস নিয়ে কেন এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো। আরও কিছুক্ষন বক্তৃতা চললেই তো ভালো ছিল। অনেক বছর সময় ধরে তিনি ব্রিটিশ হাউজ অফ কমন্সে ব্রিটিশ হুইগ পার্টি সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কাজ এবং সৃজনশীলতা ১৮ শতকের শেষের দিকে ফরাসি বিপ্লবের সমসাময়িক, এবং সংসদীয় সংগ্রামের একজন অংশীদার হয়ে ওঠে। সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার উপর তার দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাভাবনাকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে। হুইগ পার্টির সদস্য এডমুন্ড বার্ক সংসদীয় কর্মজীবনের শুরু থেকেই সরকারের প্রধান সচিব নির্বাচিত হন। বার্কের রাজনৈতিক চিন্তা, বক্তৃতা এবং রচনার মধ্যে উদারনীতি এবং রক্ষণশীলতার মিশ্রণ ঘটে। রক্ষণশীলতার প্রতিষ্ঠাতা হয়েও এডমুন্ড বার্ক কিছু বিষয় উদার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন। তিনি সংস্কারের সমর্থক ছিলেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক জীবনের জন্য তাদের মতামত সরাসরি এবং স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার সুযোগের সাথে দল থাকা উচিত এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা জনগণের সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। এ কারনেই তিনি রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের চরম বিরোধী ছিলেন। উনিশ শতকে বার্কে রক্ষণশীল এবং উদারপন্থি উভয়ের মাঝে প্রশংসিত হয়েছিলেন। এডমুন্ড বার্কের কিছু মতবিরোধের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষণশীল বলে মনে করা যেতে পারে, কারন তিনি উত্তর আমেরিকার উপনিবেশের দিকে ব্রিটিশ সরকারের কর্মের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং করদাতাদের দুর্বলতার কথা বলেছিলেন, স্ট্যাম্প ডিউটি বাতিল করার কথা বলেছিলেন । তিনি ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কার্যক্রমের সমালোচনা করেন এবং দেশের গভর্নর ডাব্লু হস্টিংস ১৭৮৫ এর একটি হাই-প্রোফাইল ট্রায়াল লাভ করেন। এই প্রক্রিয়াটি বেশ জোরে এবং এই দেশে ব্রিটিশ সরকার ব্যবস্থার অনেক অপব্যবহার উন্মোচন। এডমুন্ড বার্ক, হস্টিংসের বিরোধিতায় বিশেষ করে উদ্ঘাটিত রক্ষণশীলতাবাদ, পশ্চিমা ইউরোপীয় নিয়ম ও আইন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষকে যুক্তি দিয়েছিল যে, পূর্বের দেশগুলোতে তারা গ্রহণযোগ্য নয়। আজ রাজনৈতিক তত্ত্ববিদ এবং দার্শনিক এডমুন্ড বার্ক এর ২২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৭৯৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ দার্শনিক এডমুন্ড বার্ক মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিটিশ দার্শনিক ও সংসদীয় সদস্য স্যার এডমুন্ড বার্ক এর ২২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এডমুন্ড বার্ক ১৭২৯ সালের ১২ই জানুয়ারি আয়ারল্যান্ডে জন্ম নিয়েছিলেন। বার্কের মা ছিলেন রোমান ক্যাথলিক আর বাবা ছিলেন রোমান চার্চের সদস্য ও স্বনামধন্য উকিল। স্থানীয় স্কুলেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। পরে ট্রিনিটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আইন পড়ার জন্য লন্ডনে যান। স্কুলজীবন থেকেই বার্কের মধ্যে যুক্তিবাদী মননের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ১৭৪৪ সালে তিনি স্কুলেই নিজের নামে গড়ে তোলেন এডমান্ড বার্কস ক্লাব। পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বসবাসকালে রাজার ব্যয়ের ক্ষমতা ও সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ১৭৬৫ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমেরিকাতে ব্রিটিশ উপনিবেশ ও রাজা তৃতীয় জর্জের মধ্যকার বিরোধে তিনি উপনিবেশগুলোকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের চরম বিরোধিতা করেছিলেন। লিখেছিলেন, রিফ্লেক্সন অ্যান্ড দ্য রেভল্যুশন ইন ফ্রান্স বইটি। ১৭৯০ সালে বইটি প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন। উনিশ শতকে বার্কের চিন্তাধারা রক্ষণশীল এবং উদারপন্থী উভয়ের মধ্যেই প্রশংসিত হয়। বিশ শতক থেকে বার্কের দর্শন ও সামাজিক জ্ঞান সাধারণের কাছে রক্ষণশীলতার জনক বা দর্শন বলে পরিচিত হতে থাকে। ভারতের ব্রিটিশ শাসন নিয়েও তিনি মত দেন। ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর হলে তিনি লন্ডন পার্লামেন্টে স্বাধীন কমিশন গঠনের দ্বারা ভারতকে পরিচালনা করার প্রস্তাব করেন। তবে বিলটি পাস হয়নি। ১৭৯৪ সালে তিনি পার্লামেন্ট থেকে অবসর নেন। কিন্তু তিনি লিখতেন এবং বরাবরই তাঁর বিপক্ষে যে সমালোচনা এসেছে তার জবাব দিতেন। সাংবিধানিক নিয়মাবলি, রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা, আইনি আচরণ ইত্যাদি নানা বিষয়ে তিনি লিখেছেন। ১৭৫৭ সালে তাঁর সাহিত্যকর্মের শুরুতে তিনি "দ্য ফলোসফিকাল স্টাডিজ অব দ্য উডের অফ দ্য উবুন্টু অ্যান্ড সুন্দর" শিরোনামের একটি লেখা লিখেছিলেন। এটিতে, বিজ্ঞানী তার সময়ের জন্য একটি নতুন ধারণা প্রকাশ করেন যে, শিল্পী আদর্শের ব্যক্তিত্বের শিল্পের শিল্পকর্মের উপলব্ধি নির্ভর করে না, বরং অভ্যন্তরীণ বিশ্বের এবং আধ্যাত্মিক চাহিদার উপর নির্ভর করে না। এই কাজটি তাঁকে খ্যাতি প্রদান করে এবং নন্দনতত্বের বিভিন্ন কাজগুলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করে। এই কাজটি রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হয়, যা তাঁর খ্যাতি নির্দেশ করে। ব্রিটিশ রক্ষণশীল ঐতিহ্যের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতার একটি বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে- যদি সৎ ব্যক্তিরা কিছুই না করেন তাহলে সমাজে দুষ্কৃতকারীরাই প্রাধান্য লাভ করবে।
স্যার এডমুন্ড বার্ক বহুবার বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকা থেকে বৃটিশ পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে এলাকায় তিনি দাঁড়াতেন, সে এলাকা থেকেই তিনি নির্বাচিত হতেন। এলাকাবাসী বার্ককে নির্বাচিত করে নিজেদের সম্মানিত বোধ করতেন। বার্ক তাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন এটা ছিলো তাদের গৌরবের! এডমন্ড বার্কের ভাবগুরু ছিলেন এরিস্টটল, সিসারো, জন লক, রিচার্ড হূকার, এডওয়ার্ড কোক, মন্টেস্কিয়্যুই, উইলিয়াম ব্ল্যাক্সটোন এবং তার ভাবশিষ্য রবার্ট পীল, ইমানুয়েল কান্ট, উইলিয়াম গডউইন, লর্ড এ্যাক্টন, উইলিয়াম ইয়ার্ট গ্ল্যাডস্টোন, রাসেল ক্রিক, কার্ল হোপার, ফ্রিডরিশ ফন হায়ক, Roger Scruton, Joseph de Maistre, Hannah Arendt, William F. Buckley, ম্যাথু অর্নল্ড, পিটার হিচেনস,উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস। তার বিখ্যাত রচনাঃ Speech on East India Bill, Speech on conciliain with America, On American Taxation. ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজের পতন হয় মির্জাফর-জগতশেঠদের ষড়যন্ত্রে। পরবর্তিতে মির্জাফরের বশধরেরা নাম মাত্র নবাব থাকলেও শাসন ক্ষমতা ছিল ইংরেজদের হাতে। আর তখন বাংলার গভর্নর জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। বাংলায় ওয়ারেন হেস্টিংসের নারী নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে খোদ বৃটিশ পার্লামেন্টে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংসদীয় কমিটি হয় ঘটনা তদন্ত করে দেখার। কমটির প্রধান নিযুক্ত হন স্যার এডমুন্ড বার্ক। ওয়ারেন হেস্টিংসের নারী নির্যাতন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তদন্ত কমিশনের প্রধান হিসেবে এডমুন্ড বার্ক যখন রিপোর্ট দিচ্ছিলেন, তাঁর রোমহর্ষক বর্ণনা শুনে পার্লামেন্ট কক্ষের দর্শক গ্যালারীতে একাধিক ইংরেজ রমণী আতঙ্কে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে লক্ষণীয় হচ্ছে যে, হেস্টিংসের নারী নির্যাতন যেমন সত্য, তারথেকেও বড় সত্য হচ্ছে বার্কের বর্ণণা। আসলে বার্কের বর্ণণার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। তিনি যখন বলতেন; অডিয়েন্সদের মোহগ্রস্ত করে ফেলতেন সবাক চলচ্চিত্র দেখার মত। অডিয়েন্সদের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তাঁর। অথচ এডমুন্ড বার্কের জীবনের প্রথম দিক কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা; শুধুমাত্র একাগ্রতা ও নিষ্ঠায় নিজেকে এতবড় সেলিব্রেটি করে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন মিঃ বার্ক। প্রথম দিকে তিনি বক্তৃতা করতেই পারতেন না। একবার এক সভায় বক্তৃতা দিতে উঠে, “আই কন্সিভ, আই কন্সিভ,আই কন্সিভ’ তিনবার বলে তিনি আর বলতে পারেননি। হাঁটু কাঁপছিল, বুক ধড়পড় করছিলো। তখন একজন মহিলা দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, মিঃ বার্ক তিনবার গর্ভবতি হলেন। এ অপমান বার্ক সহ্য করতে পারেননি। বড় একটা আয়না বাসায় টাঙ্গিয়ে প্র্যাক্টিস শুরু করে দেন। শুধুমাত্র একাগ্রতা, কঠোর পরিশ্রম ও অসীম মনোবলের কারণে এডমুন্ড বার্ক বিশ্ব নন্দিত হয়েছেন।
প্রায় ১৫০ বছর আগে সংবাদপত্র নিয়ে হাউস অব কমন্স এ দাঁড়িয়ে স্যার এডমুন্ড বার্ক বলেছিলেন, পার্লামেন্টের তিনটি রাষ্ট্র রয়েছে। কিন্ত ঐ যে দূরে সাংবাদিকদের আসনসারি, সেটি হচ্ছে পার্লামেন্টের ‘চতুর্থ রাষ্ট্র’ বা ফোর্থ এস্টেট এবং আগের তিনটি রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডিলানো রুজভেল্ট এর উক্তি ছিল এ রকম, ‘যদি কখনো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কার্যকরভাবে খর্ব করা হয়, তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিক্ষার স্বাধীনতা, বক্তব্য রাখার এবং জনসমাবেশের অধিকার প্রভৃতি গণতান্ত্রিক মৌল অধিকার অর্থহীন হয়ে পড়বে। বর্তমান পত্র পত্রিকা ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টিভি সংবাদে আমরা অনেক বীভৎস নির্যাতনের দৃশ্য দেখতে ও জানতে পাই। যেখানে ছেলে মাকে নির্যাতন করছে, পুত্রবধু শাশুড়িকে নির্যাতন করছে, স্বামী- স্ত্রীকে নির্যাতন করছে, এমনকি পিতাও কন্যাকে নির্যাতন করছে। ঘরে নারী নির্যাতিত, বাইরে নারী নির্যাতিত। এসব ঘটনা নিখুঁতভাবে বর্ননা করার জন্য আজ আর কেউ নেই। নেই অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এডমুন্ড বার্ক। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতা দুটো বিষয় যে কোনো রাষ্ট্র বা সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো ছাড়া রাষ্ট্র-সমাজ অচল। পৃথিবীতে রাষ্ট্রিয় উত্থান-পতন এবং যুদ্ধ বিগ্রহের পেছনে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকরাই অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে। এই ভারতবর্ষ থেকে বৃটিশদের তাড়ানো থেকে শুরু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত সবখানে সংবাদপত্র আর সাংবাদিকদের কলমের ভূমিকা ছিল অন্যতম। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘অসির চেয়ে মসি বড়’। কথাটি কিন্ত এমনি এমনি চালু হয় নি। সাংবাদিকরা যেখানে কলম ধরেছেন, সেখানে হয় সাম্রাজ্য ধসে পড়েছে না হয় নতুন সাম্রাজ্যের উত্থান হয়েছে। আজকের তথ্য প্রযুক্তির যুগে যত সহজে সংবাদ বের হচ্ছে পূর্বে এমনটি ছিল না। সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা ছিল রীতিমতো কঠিন। বিশেষ করে এ ভারতবর্ষে সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক চড়াই উৎরাই পার হতে হয়েছে। ১৭৯৭ সালের ৯ই জুলাই ইংল্যান্ডের বেকনসফিল্ডে মৃত্যুনরণ করেন এই ক্ষনজন্মা মহাপুরুষ। আজ রাজনৈতিক বাগ্মী তত্ত্ববিদ এবং দার্শনিক এডমুন্ড বার্ক এর ২২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজো বিশ্ব তাঁকে স্বরন করে বিনম্র শ্রদ্ধায়। ব্রিটিশ দার্শনিক ও সংসদীয় সদস্য স্যার এডমুন্ড বার্ক এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে গাজীসাব
লজিক্যাল/ফিজিক্যাল যা্ই হোক
তার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই।
সমস্যা নাইতো ?
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১
কৃষিজীবী বলেছেন: স্যার এডমুন্ড বার্ক এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। আচ্ছা তিনি কি নাইটহুড উপাধি পেয়েছিলেন
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তিনি নাইট উপাধি না পেলে হয়তো তার
নামের আগে স্যার বিশেষণটি যোগ হতোনা।
ধন্যবাদ আপনাকে কৃষীজীবি।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: এডমুন্ড বার্ক কে শ্রদ্ধা জানাই।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই
মন্তব্য করার জন্য।।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি গণিত জানায়, উনার বক্তব্য ছিলো লজিক্যাল।