নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। হোমিওপ্যাথির জনকও বলা হয় তাকে। হোমিওপ্যাথি একটি সার্বজনীন ও বিশ্বজনীন চিকিৎসাবিজ্ঞান। প্রায় চার শতাব্দী পূর্বের প্রটেস্টান্ট ধর্মের প্রবর্তক ও জার্মান দেশীয় ধর্মযাজক মার্টিন লুথারের মতন হ্যানিম্যানকে তৎকালীন গোঁড়া চিকিৎসকদের চিকিৎসা পদ্ধতির নানা প্রকার ভ্রম, কুসংস্কার ও মতবাদের বিরুদ্ধে একাকি দাঁড়াতে হয়েছিল। এজন্য তাকে অনেক লাঞ্ছনা, অনেক নিগ্রহ আর দুঃখ ভোগ করতে হয়েছিল। তথাপি তিনি অচল, অটলভাবে উচ্চকণ্ঠে ‘সদৃশ বিধান মন্ত্রের জয়’ ঘোষণা করে গিয়েছেন। জার্মান চিকিৎসক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা-পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। যদিও হ্যানিম্যান নিজেকে কখনও হোমিওপ্যাথি পদ্ধতির আবিষ্কারক দাবি করেননি। তবে এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে, হ্যানিম্যানই প্রথম ব্যক্তি, যিনি সদৃশবিধানের ওপর ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক এ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিলেন। প্রচলিত সব চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে এর নীতি ও প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। তাই তিনি নিঃসন্দেহে প্রচলিত হোমিওপ্যাথির জনক। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখা পড়া করে ডাক্তার হন এবং এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিত্সার বইয়ের অনুবাদ করেছেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি এ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর সাইড এ্যাফেক্ট-এর দেখতে পান। এতে তিনি এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড এ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষনার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সুত্র আবিস্কার হয়। পেরম্নভিয়ান কফি বা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষনা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা উদ্ভব হয়। আজ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা রীতির জনক ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওরফে ডা. হ্যানিম্যানের ১৭৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দের আজকের দিনে তিনি প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।বিশ্বব্যাপী হ্যানিম্যান নামে পরিচিত এই মহাজ্ঞানী পণ্ডিতের মৃত্যুবার্ষিকীতে দ্ধাঞ্জলি।
ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ এপ্রিল জার্মানির স্যাক্সনি প্রদেশের এল্ব নদীতীরবর্তী মিসেন নগরে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ক্রিস্টিয়ান ফ্রেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। তার বাবা ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রয়েড হ্যানিম্যান মাটির তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় চিনামাটির পাত্রে রঙ-তুলির কাজের দক্ষ শিল্পী ছিলেন। শিশুকাল থেকেই হ্যানিম্যান অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন। বিসয়টি টের পেয়ে পিতা ক্রিশ্চিয়ান পাঁচ বছর বয়স থেকেই প্রতিদিন হ্যানিম্যানকে নির্দিষ্ট সময়ে চিন্তা করার দীক্ষা দেন। সব নিজের স্বাধীন বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করার বিষয়ে হ্যানিম্যানকে শিশুকাল থেকেই গড়ে তোলেন তিনি। `কোনও কিছু যুক্তিগ্রাহ্য না হলে শুধু বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করো না। অভিজ্ঞতার আলোকে যা সত্য বলে প্রমাণিত হবে, কোনো অবস্থাতেই তা থেকে সরে এসো না।` পিতার এ উপদেশকে অনুসরণ করেই হ্যানিম্যান যে কোনো বিষয়কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করার নীতি ও রীতি আয়ত্ব করেন। তবে চরম দারিদ্র্য তার বিদ্যাচর্চার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্কুলজীবনে লেখাপড়ার জন্য রাতের বেলা প্রয়োজনীয় বাতির তেলের পয়সা জোগাড় করাও কষ্টকর ছিল তাদের পরিবারের পক্ষে। এ অবস্থায় হ্যানিম্যানের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন তার বাবা। পরে স্কুলশিক্ষক রেক্টর এম মুলার অসাধারণ প্রতিভাবান হ্যানিম্যানকে বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেন। তার প্রখর মেধার কারণে শিক্ষক মুলার তাকে স্কুলের অন্যান্য ছাত্রকে গ্রিক ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার ভার দেন। হ্যানিম্যান ১৭৬৭ সালের ২০ জুলাই মিসেনের টাউন স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে পাঠ চুকিয়ে বিদেশি ভাষা রপ্ত করতে ১৭৭৪ সালের ২০ নভেম্বর ভর্তি হন কাস্টেন এনডল্যান্ডের স্কুল সেন্ট আফ্রাতে। হ্যানিম্যান ২২ বছর বয়সে ১১টি ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি জার্মান, গ্রীক, ল্যাটিন, ইংরেজি, ইটালিয়ান, হিব্রু, সিরিয়াক, আরবী, স্প্যানিশ, ফরাসী ও চ্যালডেইক ভাষায় লিখতে, পড়তে ও অনুবাদ করতে পারতেন। হ্যানিম্যানের ১১৬টি বৃহৎ গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বড় গ্রন্থ হলো- ফ্রাগমেন্ট দ্য ভিরিবাম (১৮০৫), অর্গানন অব মেডিসিন (১৮১০), মেটিরিয়া মেডিকা পিউরা (১৮১১), ক্রণিক ডিজিজেস (১৮১৮)। হ্যানিম্যান দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা এবং ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখান যে, প্রচলিত এলোপ্যাথি চিকিৎসায় রোগের কেবলমাত্র সাময়িক উপশম হয় এবং এই চিকিৎসা প্রথার সাফল্যের সাথে কিছু বিষময় ফল বা প্রতিক্রিয়া অনতিবিলম্বে দেখা দেয়। আজ যে ওষুধ অমোঘ বলে ঘোষিত হলো দুদিন যেতে না যেতেই তা মানুষের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে পরিত্যক্ত হয়। এক রোগ চাপা পড়ে অন্য রোগ সৃষ্টি হয় এবং এ ধরনের চিকিৎসার কুফলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ফলে অনেক বিবেকবান খ্যাতিমান চিকিৎসক তৎকালীন চিকিৎসা-প্রথার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে। তিনি ক্রমান্বয়ে প্রচলিত চিকিৎসা-পদ্ধতি পরিত্যাগ করে রোগার্ত মানুষকে বিনা কষ্টে স্বল্প সময়ে স্থায়ীভাবে রোগ নির্মূল তথা প্রাকৃতিক আরোগ্য সাধন পদ্ধতি অনুসন্ধানে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
চিকিৎসাবিদ্যা ছিল হ্যানিম্যানের প্রিয় বিষয়। ১৭৭৫ সালে তিনি লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিদ্যা পড়ার জন্য ভর্তি হন। দীর্ঘদিন গবেষণার পর অবশেষে ১৭৯৬ সালে হ্যানিম্যান উদাত্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন- রোগারোগ্যের শাশ্বত পথের সন্ধান আমি পেয়েছি। সেই পথ প্রকৃতির সঙ্গে সমঝোতার পথ। এরপর সেখান থেকে ১৭৭৭ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার লিওপোল্ডস্ট্যাট জেলার ব্রাদার্স অব মার্সি হাসপাতালে চিকিৎসাবিদ্যা শিখতে যান। সেখঅনে তিনি হিপোক্র্যাটিস, গ্যালন ও স্টোয়ার্কের লেখাগুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা পান। তিনি তার প্রখর ধীশক্তি, অসাধারণ অধ্যাবসায় ও চারিত্রিক সরলতার দ্বারা তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা. কোয়ারিনের প্রিয়তম শিষ্য হয়ে ওঠেন। হ্যানিম্যান তার কাছে হাতে-কলমে রোগী দেখার শিক্ষা পান। এ হাসপাতালে ৯ মাস থাকার পর হঠাৎ ছাত্রাবাস থেকে হ্যানিম্যানের সব টাকা-পয়সা চুরি হয়ে যায়। এতে তার লেখাপড়ায় ছেদ পড়ে। তখন ডা. জে ফন কোয়ারিনের সহযোগিতায় তিনি ট্রানসিলভেনিয়ার গভর্নর ব্যারন এস ফন ব্রুকেনহলের সঙ্গে হার্মানেস্ট্যাটে চলে যান। এখানে তিনি গভর্নরের মুদ্রা ও চিত্রকর্মের সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক হয়ে লাইব্রেরিতে ব্যাপক পড়াশোনার সুযোগ পান। ১৭৭৯ সালে তিনি এনলার্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে তিনি হোফ্রাথ স্কোবারের কাছে এসে উদ্ভিদবিদ্যার পাঠ নেন। ১৭৭৯ সালের ১০ আগস্ট চিকিৎসাবিদ্যায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি `এমডি` উপাধি লাভ করেন। এই ডিগ্রি লাভের জন্য হ্যানিম্যান `আপেক্ষিক রোগের কারণ ও ইহার চিকিৎসা` বিষয়ে ২০ পৃষ্ঠার একটি ছাপানো গবেষণাপত্র পেশ করেছিলেন। তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূলনীতিসমূহঃ (১) সদৃশ নিয়মে চিকিৎসা-সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার (সদৃশ দ্বারা সদৃশ আরোগ্য)। (২) সুস্থ্য মানবদেহের ওপর পরীক্ষিত ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা। (৩) শক্তিকৃত (Potentized) ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা করা। (৪) রোগীর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ সমষ্টির সদৃশ লক্ষণে ওষুধ প্রয়োগ করা। (৫) প্রতিবারে একটি মাত্র ওষুধ প্রয়োগ করা। (৬) প্রতিবারে ওষুধ পরিবর্তিত মাত্রায় প্রয়োগ করা। (৭) ওষুধ সূক্ষ্ম বা ক্ষুদ্রতম মাত্রায় প্রয়োগ করা। (৮) হোমিওপ্যাথিতে রোগের নয়, রোগীকে চিকিৎসা করা হয়- রোগীকে আঙ্গিক বা আংশিকভাবে নয়, সামগ্রিকভাবে চিকিৎসা করা হয়। (৯) Plants, Animals, Minerals, Nosodes, Sarcodes and Imponderabalis source থেকে সংগ্রহীত এবং পরীক্ষিত ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। ১৮১১ সালে হ্যানিম্যান বিখ্যাত গ্রন্থ `মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা` প্রথম খণ্ড প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থে তিনি সুস্থ মানবশরীরে পরীক্ষিত প্রতিটি ওষুধের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। ১৮১৭ সালে তিনি `রেপাটারিয়াম` নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এতে তিনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ওষুধের বাছাই ও বিশেল্গষণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। ১৮১১-১৮২০ সাল পর্যন্ত তিনি লিপজিগে প্রকাশ্যভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চালিয়ে যান। বিভিন্ন ভাষায় বুৎপত্তির জন্য লিপজিগে তার সম্মান বর্ধিত হয়। কিন্তু পুনরায় অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের ষড়যন্ত্র রাজরোষে পতিত হন। ১৮১৯ সালে সর্বসাধারণ্যে প্রচারের জন্য `মেডিকেল ইনস্টিটিউট` নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। এরপর তিনি আনহ্যান্টিকিথেনে চলে যান। ১৮২১ সালে তিনি কিথেনের ইফারথ, অর্থাৎ কোটের কাউন্সিলর উপাধি পান। মূলত এ সময় থেকেই হোমিওপ্যাথিক জয়যাত্রা শুরু হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে ডা. হ্যানিম্যান দু`বার বিয়ে করেন। জার্মানির গোয়েরনে থাকার সময় তিনি প্রায় ২৮ বছর বয়সে ১৯ বছরের জোহনা হেনরিয়েটি লিও পোলডিনি কুসলারকে ১৭৮২ সালের ১৭ নভেম্বর বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন হ্যানিম্যানের দুঃখ, দারিদ্র্য, নিপীড়িত ও যাযাবর জীবনের সুযোগ্য সহধর্মিণী। তার গর্ভে হ্যানিম্যানের দু`ছেলে ও নয় মেয়ের জন্ম হয়। তারা হলেন হেনরিয়েটি, ফ্রেডিক, ভিলহেলমিনি, এমিলি, ক্যারোলিনি, আনস্ট, ফ্রেডিকি, ইলিওনোরি, চার্লোটি ও লুইসি। ১৮৩০ সালের ১৩ মার্চ জোহনার মৃত্যু হয়। এরপর ১৮৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি জার্মানির কোথেনে অবস্থানের সময় হ্যানিম্যান প্রায় ৮০ বছর বয়সে মাদার মেরি মেলানি ডি হারভিলি নামে ৩২ বছর বয়সী এক ফরাসি মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি অত্যন্ত সুন্দরী, বিশিষ্ট চিত্রকর ও নামকরা কবি ছিলেন। হ্যানিম্যানের চরম সাফল্যের দিনগুলোতে তিনি সুযোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে যথেষ্ট অবদান রাখেন। শেষ জীবনে তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করতেন। হ্যানিম্যানের চিকিৎসার কাজেও তিনি সহযোগিতা করতেন। মাদার মেলানি নিঃসন্তান ছিলেন; কিন্তু হ্যানিম্যানের মৃত্যুর কিছুদিন আগে হ্যানিম্যানের বিশেষ অনুরোধে সোফি বোরার নামে পাঁচ বছরের এক মেয়েকে মেলানি তার পালিতা মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় চার মাস পর হ্যানিম্যান তার সব সম্পত্তি কন্যা ও অন্যান্য উত্তরাধিকারীর নামে উইল করে দিয়ে যান। হ্যানিম্যান মৃত্যুর আগপর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। কথিত আছে, তার চেম্বারে এত রোগী হতো যে, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম পড়ে যেত। প্যারিসে আট বছর অবস্থানকালে তিনি চিকিৎসা সূত্রে চার লাখ ফ্রাঙ্ক আয় করেন। ১৮৪৩ সালের ২ জুলাই ভোর ৫টায় প্যারিসে নিজ ঘরে আর্তজনের হ্যানিম্যান জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১১ জুলাই প্যারিসের মন্ট হ্যাচারি গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। আজ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা রীতির জনক ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওরফে ডা. হ্যানিম্যানের ১৭৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। হোমিওপ্যাথির জনক মহাজ্ঞানী পণ্ডিত হ্যানিম্যানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি কথায় কধায় অপ্রসাঙ্গিকভা্বে
বঙ্গবন্ধুকে টেনে আনেন কেন?
ক্যাচাল করার এত শখ থাকলে
তাকে নিয়ে আলাদা পোস্ট দেন
ওখানে ক্যাচাল হবে।
২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো।
০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ কবি
ভালো থাকবেন।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো ক্যাচাল নয়, প্রায় ৩০০ বছর পু্র্বের একজন জার্মান শিক্ষক যা জানতেন, গত শতাব্দীর একজন প্রাইম মিনিষ্টার তা জানতেন না।
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আর কোন মানুষ পেলেন না খুঁজে !!
বঙ্গবন্ধুকে অনেকে দেবতা মানে,
অনেকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে।
আপনার যদি কোন ব্যক্তি আক্রোশ
থাকে তা হলে আপনি সে বিষয়ে
তাকে নিয়ে আলাদা ভাবে পোস্ট
দেন। সবার সব কিছু জানতে হবে
তার তো কোন ধরাবাধা নিয়ম নাই।
চা ওয়ালা একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী,
বাদাম বিক্রেতা আপনার মেরিকার
প্রেসিডেন্ট তাদের সাথে কি আপনার
আমার তুলনা চলে? আমরা জাতির
পিতাকে শ্রদ্ধা করি তাই তার নামের
আগে বঙ্গবন্ধু বা জাতির পিতা বিশেষণ
লাগাই, আপনি কি তার সমবয়সী তাকে
সবসময় শেখ সাহেব বলেন !! গুণীদের
সম্মান দিন নিজে সম্মানীত হোন। আমরা
আপনাকে ভালোবাসি!!
৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৩
বিজন রয় বলেছেন: সার্বজনীন চিকিৎসাবিজ্ঞান হোমিওপ্যাথির জনক হ্যানিম্যানের ১৭৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
হোমিওপ্যাথি ওষুধে রোগ সারে নূরু ভাই?
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিজন দা
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!!
কোন ওষূধেরই কোন ক্ষমতা নাই
কোন রোগ সারাবার যদিনা সৃষ্টিকর্তা
চাহেন। তা না হলে ছাড় ফুঁক, পানি পড়ায়ও
কোন কাজ হতোনা রোগ সারাতে। কেউ লক্ষ
লক্ষ টাকা খরচ করেও আরোগ্য লাভ করতে
পারেনা আবার কেউ সামান্য পানি পড়াতেও
রোগমুক্তি লাভ করে যখন সৃষ্টিকর্তা চাহেন।
৫| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হ্যানিম্যানের কারণে বাংলাদেশের বহুলোক সততার সাথে আয় রোজগার করছেন। হোমিওপ্যাথি হাজার হাজার বছর টিকে থাকুক।
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হোমিওপ্যাথি সার্বজনীন চিকিৎসা ব্যাবস্থা।
গরীবের ভরসা। তাই যুগ যুগ টিকে আছে
হ্যানিম্যানের হোমিওপ্যাথি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০
রোহিট বলেছেন: সুন্দর লেখা
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
Sorry, the page could not be found.
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।
০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিক্ষক হ্যানিমেনকে ফ্রি পড়তে সুযোগ দেন, কিন্তু শেখ সাহবে কাউকে ফ্রি পড়ার সুযোগ দিতে পারেননি।