নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
সংস্কৃত ভাষার বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার কালিদাস। বাংলা ভাষার প্রধান উৎস হচ্ছে সংস্কৃত ভাষা। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি। আর সেই সংস্কৃত ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হলেন মহাকবি কালিদাস। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি প্রথম জীবনে মূর্খ ছিলেন এবং বিদূষী স্ত্রী কর্তৃক অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে দেবী কালি মতান্তরে দেবী সরস্বতীর বরপ্রাপ্ত হন। কালিদাস বাস্তবেই একজন অশিক্ষিত-মূর্খ মানুষ ছিলেন। নিজের স্ত্রীও তার বোকামি নিয়ে হাসি-তামাশা করত। রাগে ক্ষোভে তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। কথিত আছে, এমতাবস্থায় তিনিও দস্যু রত্নাকরের মতো ‘কালি দেবী’র মতান্তরে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। দেবীর বরে তিনি কবিত্বশক্তি অর্জন করেন। এতেই মূর্খ কালিদাস হয়ে উঠলেন মহাকবি কালিদাস! একারনে তার কবিতা ও নাটকে হিন্দু পুরান ও দর্শনের প্রভাব আছে।পরে রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভায় তার স্থান হয়। কালক্রমে কালিদাস প্রাচীন যুগের সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ ভারতীয় কবিরূপে পরিচিত লাভ করেন। এটাই কালিদাস পণ্ডিতের সবচেয়ে বড় পরিচয়। ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতো দেখা হয় তাকে সংস্কৃত ভাষার সাহিত্যে। ঊনবিংশ- বিংশ শতাব্দীর শিল্পীদেরও কালিদাসের রচনা অনুপ্রেরণা জোগায়। কালিদাসের অন্যতম কাব্য মেঘদূতম, কুমারসম্ভবম্, রঘুবংশম, ঋতুসংহার, শৃঙ্গাররসাষ্টক, শৃঙ্গারতিলক, পুষ্পবাণবিলাস এবং নলোদয় ও দ্বাদশ-পুত্তলিকা নামে দুটি আখ্যানকাব্য রচনা করেন। এছাড়াও অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, বিক্রমোর্বশীয়ম, মালবিকাগ্নিমিত্রম নামে তিনটি নাটক রচনা করেন। কালিদাসের রচনাবলি ইংরেজি ভাষায় একাধিকবার অনূদিত হয়েছে। পরে জার্মান ভাষাতেও কালিদাসের রচনাবলি অনূদিত হয়। জার্মানির বিখ্যাত কবি গ্যেটে ও হারডার কালিদাসের রচনার উচ্চ প্রশংসা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ আশৈশব সংস্কৃত সাহিত্য অনুশীলন করেছিলেন। যারা নিপুণ ভাবে রবীন্দ্র রচনাবলী আলোচনা করেছেন,এবং সংস্কৃত সাহিত্যের প্রতি যাদের পরিচয় অতি ঘনিষ্ঠ, তারা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের কবি প্রতিভার সাথে কালিদাসের কবি প্রতিভার এক অদ্ভুত সাদৃশ্য লক্ষ্য করে থাকবেন। রবীন্দ্রনাথের কবি মানসের গঠনে কালিদাসের সাথে স্বাভাবিক ঐক্য ছিল। ঐ কারণে সংস্কৃত সাহিত্যের কবি বর্গের মধ্যে তিনি কালিদাসের উদ্দেশ্যে অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন।
কালিদাসের জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। কারণ ইতিহাসবিদগণ তার জন্ম সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি। তার জন্মস্থান এবং জন্ম সন নিয়ে নানা মতামত প্রচলিত আছে। কালিদাস কবে জন্মেছেন আর কোথায় জন্মেছেন তা নিয়ে দেশি-বিদেশি গবেষকরা অসংখ্য বই লিখেছেন। একেকজনের একেক রকমের ! কেউ বলেছেন, যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক আগেই কালিদাসের জন্ম হয়েছে। তাদের মতে, কালিদাসের ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম’ গ্রন্থের নায়ক অগ্নিমিত্র ছিল শুঙ্গ বংশীয় রাজা, বাস্তবে এ রাজার শাসনামল ছিল যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে, আর এই নাটকটি অগ্নিমিত্রের জীবদ্দশায়ই রচিত হয়েছিল, তাই কালিদাসের জন্য অবশ্যই যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, না, যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক পরে কালিদাসের জন্ম। তাদের মতে, কালিদাসের জন্ম হয়েছিল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি। কেননা, কালিদাস বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত এক গুপ্ত সম্রাটের সভাকবি ছিলেন। কালিদাসের অনেক রচনায় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য, রাজধানী উজ্জয়িনী ও রাজসভার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানেও সমস্যা হচ্ছে, 'বিক্রমাদিত্য' নাম দ্বারা আসলে সুনির্দিষ্ট কিছু বোঝার উপায় নেই। ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাসে অন্তত ছয়জন রাজা 'বিক্রমাদিত্য' উপাধি ধারণ করে রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন। ফলে, আমাদের জন্য কালিদাস সম্বন্ধীয় বিক্রমাদিত্যকে খুঁজে বের করাও বেশ কঠিন কাজ। তবে অধিক প্রচলিত মত হচ্ছে, গুপ্ত সাম্রাজ্যের সর্বাধিক খ্যাতিমান নৃপতি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত, যার উপাধি ছিল 'বিক্রমাদিত্য', তার সভাকবি ছিলেন কালিদাস। আর এই রাজার রাজত্বকাল ছিল ৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪১৪ খ্রিস্টাব্দ। তারপরেও মূল কথা হচ্ছে, কালিদাস কবে জন্মেছিলেন সেই তথ্য কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারবে না। সে যাই হোক ছোটবেলায় বাবা-মা হারান কালিদাস। সর্বহারা শিশু কালিদাসের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাখাল গোত্রের লোকজন। রাখালদের কাছে লালিত-পালিত হওয়ায় কালিদাসের লেখাপড়ার কোনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তিনি দেখতে-শুনতে ছিলেন খুবই সুদর্শন। এতটাই সুদর্শন ছিলেন যে তাকে রাজপুত্রের মতো লাগত। আর সে কারণেই তার বিয়ে হয় এক সুন্দরী রাজকন্যার সঙ্গে। এ বিয়ে নিয়েও একটি মজার ঘটনা প্রচলিত আছে। কথিত আছে, উক্ত রাজকন্য নাকি রাজার খুবই অবাধ্য ছিলেন। রাজা ও রাজ্যের পণ্ডিত মন্ত্রীরা রাজপকন্যার ঔদ্ধত্যে অতিষ্ট ছিলেন। রাজকন্যা রাজকন্যা তাঁদের চেয়ে জ্ঞানে গরিমায় উচ্চ বলে প্রায়শই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকার হতেন তাঁরা। ফলে, রাজকন্যাকে শায়েস্তা করার ফন্দিফিকির নিয়ে ঘুরতেন তাঁরা সবসময়। কালিদাস তাঁদের জন্য অযাচিত সুযোগ হয়ে এলেন। রাজকন্যা তাঁর চেয়েও বিদ্বান কাউকে বিয়ে করার জন্য মনস্থির করেছিলেন। পণ্ডিতেরা কালিদাসকে রাজকীয় পোশাক পরিয়ে রাজকন্যার সামনে এনে হাজির করলেন বিরাট পণ্ডিত ব্যক্তি হিসাবে। রাজকন্যা কালিদাসের পাণ্ডিত্যের পরীক্ষা নেবার জন্য তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন। পণ্ডিতদের চাতুর্যে সবগুলো প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিয়ে দিলেন কালিদাস। মুগ্ধ রাজকন্যা বিয়ে করলেন কালিদাসকে। কিন্তু বিয়ের রাতেই কালিদাসের মূর্খতা প্রকাশিত হয়ে যায় রাজকন্যার কাছে। রাজপুত্রের মতো চেহারা থাকলেও বাস্তবে কালিদাস ছিলেন লেখাপড়া না জানা এক মূর্খ যুবক। নিজের ভাল-মন্দ বিচার করার মতো ক্ষমতাও ছিল না তার। একদিন কিছু লাকড়ির দরকার হলে কালিদাস গাছে উঠে গাছের যে ডালে বসে আছেন সেই ডালটিই কাটতে শুরু করলেন। ফলে ডাল কাটতে গিয়ে ডালের সাথে কালিদাস নিজেও মাটিতে পড়ে আহত হন। বোকামির এমন সংবাদ সারা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এমনিতেই বোকামির জন্য কালিদাস প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে বকা-ঝকা শুনতেন। ডাল কাটার বোকামি যেন তা আরও উস্কে দিল। স্ত্রীর এমন ব্যবহারে কালিদাস একদিন রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে ঘর থেকে বের হয়ে আত্মহত্যা করার জন্য নদীতে ঝাপ দিলেন। কিন্তু তিনি সেখানেও ব্যার্থ। নদী থেকে তাকে উদ্ধার করলেন দেবী কালি, আর সেই কৃতজ্ঞতায় তিনি হয়ে গেলেন দেবীর 'কালি'র দাস। দেবী কালীর বদান্যে বিদ্বান হবার সুবাদে তাঁর নাম হয়ে যায় কালিদাস। শুধু যে দেবী কালি তার জীবন বাঁচালেন তা-ই নয়, তাকে দিলেন জ্ঞান ও বুদ্ধির আশীর্বাদ, তাতেই কালিদাস হয়ে উঠলেন মহাকবি। রামায়ণ রচয়িতা বাল্মীকির দস্যু থেকে সাধক হয়ে ওঠার গল্পের মতো কালিদাস মূর্খ থেকে হয়ে উঠলেন মহাকবি। তার বুদ্ধির তারিফ করতে গিয়ে তার নামে আজও প্রচলিত আছে হাজার হাজার জটিল ধাঁধাঁ। তিনি হয়ে উঠলেন প্রাচীন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার। কালিদাসের সেই কবি খ্যাতি তার সমসাময়িক কবি সমাজের ঈর্ষা বিশদ্গারকে উপেক্ষা করে অম্লান রূপে বিরাজমান। কালিদাসের রচনাবলীর মধ্যে আমাদের কাছে দুটি গ্রন্থ সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর মধ্যে আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর গল্পের আকারে 'শকুন্তলা' লিখেছিলেন 'অভিজ্ঞানশকুন্তলম্' থেকে ভাবানুবাদ করে। আর অন্যটি হচ্ছে 'মেঘদূতম' বা 'মেঘদূত'। বাংলায় এ পর্যন্ত বহুজন এই ছোট্ট কাব্যগ্রন্থটির অনুবাদ করেছেন। সংক্ষিপ্ত হলেও এটিই তার অমর কীর্তি; তার শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে স্বীকৃত। কালিদাস শুধু কবিতা বা নাটকের কারণেই আজকের দিনে গুরুত্বপূর্ণ নন। তার লেখালেখিতে রয়েছে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, ভূগোল ও রাজনৈতিক নানা উপাদান। তিনি আজও আমাদের অনুপ্রেরণার কারণ। ১৯৬৬ সালে তাকে নিয়ে ‘মহাকবি কালিদাস’ নামে একটি তামিল সিনেমাও নির্মিত হয়েছে। মাহাকবি কালিদাসকে নিয়ে হয়ত গবেষণা চলতে থাকবে আরও দীর্ঘকাল।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই।
শেষ পর্যন্ত মেঘ দূত হয়ে কি প্রেমিক যক্ষের
বার্তা পৌছাতে পেরেছিলো তার প্রেমিকার কাছে?
২| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
তিনি আসলেই এক মহাকবি, মেঘদূত তাঁর এক অনন্য সৃষ্টি
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই কালিদাস মহাকবি
তা না হলে এত শত বছর
পরেও মানুষ তার বন্দনা
করতো না।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নৃ মাসুদ রানা বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ! ভালো লাগলো।
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে নৃ মাসুদ রানা
মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: "অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি।"
একজন গণমাধ্যম কর্মীর কাছ থেকে এ ধরণের ভয়ংকর ভুল বক্তব্য কাম্য নয়। বাংলা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে আরও পড়াশোনা করতে হবে আপনাকে, মুরুব্বি, বিশেষ করে প্রাকৃত ভাষা সম্পর্কে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মামুন ভাই আপনার মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি
বাংলা ভাষার উৎপত্তির রসায়ন হচ্ছে "সংস্কৃত<পালি<প্রাকৃত<বাংলা" ।
এটাই হচ্ছে বাংলা ভাষার বংশলতিকা। এছাড়াও ফারসী, আরবি, হিন্দি, ঊর্দূ ইত্যাদিসহ
আরও কিছু ভাষার শব্দের মাধ্যমেও নিজেকে সমৃদ্ধ করেছে।
আবেগে সত্য চাপা দেওয়া যায়না। সত্য যা তা সত্যই থাকে
মিথ্যার আড়ালে চাপা দেওয়া যায়কি ?
৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিছু সত্য কিছু গল্প মিলিয়ে সুন্দর পোষ্ট।ধন্যবাদ
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যের সাথে কিছু মিথ্যের মিশেল
থাকলেই তা সুখপাঠ্য হয়। যেমন
সোনার সাথে কিছুটা খাঁদ হলেই
সুন্দর গহনা!!
৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: "সংস্কৃত < পালি...
এর জন্যই বলেছিলাম, মুরুব্বি, আরও পড়াশোনা দরকার। আপনার ভাষার বংশলতিকার গোড়ায়ই গলদ, পালি ভাষার উৎপত্তি সংস্কৃত থেকে নয়।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিতো একজন নগন্য সংবাদকর্মী।
ব্লগে অনেক বিজ্ঞ ও জ্ঞানীজন আছেন
তারা এব্যাপারে তাদের মূল্যবান বক্তব্য
রাখবেন। আমি শিখবো !
আপনার জন্য সংস্কৃত থেকে বাংলাভাষার ক্রমান্বয়ের
উৎপত্তির একটা ছক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যতদূর জানা যায়, বাংলা ভাষা হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাবংশের সদস্য । যার উৎপত্তি আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে! খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে এই ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাবংশ থেকে জন্ম নেয় ‘শতম’। এর প্রায় এক হাজার বছর পর খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে ‘শতম’ ভাষাটি রুপান্তরিত হয় ‘আর্য’ ভাষায় । তবে তখন পর্যন্তও উপমহাদেশে আর্য ভাষার চল হয়ে ওঠেনি । ভারত উপমহাদেশে আর্য ভাষার চল শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দে আর্য জাতি আগমনের পর ।
উপমহাদেশে আর্য ভাষা চালু হবার পরবর্তী তিনশো বছরে পরিবর্তনের উপমহাদেশীয় হাওয়া লাগে আর্য ভাষায় । প্রচুর পরিমাণ সংস্কৃত ভাষার শব্দ যোগ হয়ে আর্য ভাষা রুপ নেয় ‘প্রাচীন ভারতীয় আর্য’ ভাষায় (খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ) । আর্য জাতির পাশাপাশি ধীরে ধীরে উপমহাদেশর সাধারণ মানুষও আপন করে নেয় এই প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা । তখন আরো কিছুটা রুপান্তরিত হয়ে এ ভাষা হয়ে ওঠে ‘প্রাচীন ভারতীয় আর্য কথ্য’ ভাষায় (খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দ) যা ‘আদিম প্রাকৃত’ নামেও পরিচিত । এরপর খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ হতে ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে আদিম প্রাকৃতের রুপান্তর ঘটে প্রথমে ‘প্রাচীন প্রাচ্য প্রাকৃত’ এবং পরবর্তীতে ‘গৌড়ি প্রাকৃত’ ভাষা দুটির উৎপত্তি হয় । আর এই গৌড়ি প্রাকৃত থেকে ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে জন্ম হয় ‘গৌড়ি অপভ্রংশ’ ভাষার।
এই গৌড়ি অপভ্রংশ থেকেই ৯০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে উৎপত্তি হয় ‘বাংলা’ ভাষার । শুরুর দিকে অবশ্য বাংলা ভাষা ঠিক শতভাগ এমন ছিল না । ভাষাবিদগণের ভাষায় সে সময়ের বাংলা কে বলা হয় ‘প্রাচীন বাংলা’ । এরপর ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে আসে ‘মধ্য বাংলা’ এবং ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে সেটা রুপ নেয় ‘আধুনিক বাংলা’ ভাষায় । অর্থাৎ, যে ভাষায় আমরা এখন কথা বলি
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাজ্জাদ সাহেব আপনাকে ধন্যবাদ বাংলাভাষার উৎপত্তি নিয়ে আলোকপাত করার জন্য।
বাংলাভাষার উৎপত্তি নিয়ে নানা জনের আছে নানা মত। তবে এটা সত্য যে বাংলাভাষা
একদিনে আজকের পর্যায়ে আসেনি। শত সহস্র বছরের বিবর্তনে এটি আজকের রূপ
পেয়েছে। এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন
ছিল না। এক হাজার বছর পরও ঠিক এমন থাকবে না। ভাষা এমনই চলমান
প্রক্রিয়া, পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এটি সমৃদ্ধ হয় এবং নতুন রূপে বিকশিত হয়।
প্রাচীনকালের কোন ভাষার সংস্কার করেই 'সংস্কৃত' নাম রাখা হয়েছে।
কেননা, যা সংস্কার করা হয় সেটাই সংস্কৃত। ইংরেজ আমলে খৃস্টান
মিশনারী ও সংস্কৃত পণ্ডিতগণ বাংলা ভাষা থেকে আরবী, ফার্সি, তুর্কী
শব্দ এমনকি আঞ্চলিক শব্দও বিতাড়িত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন
এবং বাংলা ভাষাকে বিশুদ্ধ করার অপপ্রচার চালিয়ে সংস্কৃত ভাষার
শব্দরাজি চাপিয়ে দেন। তাই সংস্কৃত না পালি—ভারতের সবচেয়ে
পুরোনো ভাষা কোনটি তা নিয়ে সুদীর্ঘকাল ধরেই বিতর্ক চলেছে।
তবে সে বিতর্ককে পাশ কাটিয়েও বলা যায়, সংস্কৃত গ্রিকের চেয়ে
বেশি নিখুঁত, ল্যাটিনের চেয়ে বেশি গভীর, এবং এ দুটো ভাষার
তুলনায় অনেক বেশি নিপুণতার সাথে সংস্কারকৃত, যদিও তাদের
উভয়ের সাথেই সংস্কৃতের যথেষ্ট পরিমাণে সাদৃশ্য রয়েছে।
ক্রিয়াপদের মূল এবং ব্যাকরণগত গঠনপ্রণালীর দিক থেকে
এ তিনটি ভাষায় এত বেশি মিল যে, ভাষাগুলোর উৎপত্তি যে
একই উৎসমূল থেকে হয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো
অবকাশই নেই।
৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মহাকবি কালিদাস আমার প্রিয় কবিদের মধ্যে একজন । তাঁকে নিয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস ,রয়েছে অনেক মুখরোচক কথা ।
তবে তিনি শুধু কবিই নন বিশ্বের সেরা পন্ডিতদের মধ্যে একজন । ছোট কালে আমরা মায়ের কাছে তাঁর গল্পকথা শুনেছি ।
সেই থেকেই আমি তাঁর একজন ভক্ত ।
আমাদের ব্লগার কবি মনিরা আপুর অনুরোধে আমি তাঁর সম্পুর্ণ মেঘদুত সহজ বাংলায় কাব্যাকারে তিন পর্বে সামুতে প্রকাশ করেছি।পর্ব তিনটি হল -
মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত : একটি সচিত্র বর্ণন – ১ম পর্ব
মহাকবি কালিদাসের মেঘদুত (মেঘের চলার পথের কিছু চিত্রসহ ) – ২য় পর্ব ।
মহাকবি কালিদাসের সচিত্র মেঘদূত : ৩য় পর্ব ( উত্তর মেঘ )
এছাড়া তাঁর শকুন্তলা অবলম্বনেও কাব্যাকারে তপোবনবাসিনী নিয়মচারিণী শকুন্তলা প্রণয় কাহিনী এই শিরোনামে সামুতে একটি সচিত্র পোষ্ট দিয়েছি।
মহাকবি কালিদাসের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য্ ধন্যবাদ ডঃ আলী ভাই
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার
কাব্যবারে মহাকবি কালিদাসের মেঘদুত
সংগ্রহে রাখলাম। তবে কালিদাসের
লেখার সাথে অপ্রসাঙ্গিকভাবে
বাংলাভাষার উৎপত্তি নিয়ে
একটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে যা
জানি তা ব্যখ্যা করেছি। এ
ব্ষিয়ে আপনার মন্তব্য আশা
করছি। ভালো থাকবেন।
৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ,
ভালো পোস্ট।
এই পোস্টের সুবাদে বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে মন্তব্য থেকে বেশ কিছু জানাও হলো।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।
আমি একজন বহুল আলোচিত মহাকবিকে
নিয়ে নির্দোষ একটা লেখা প্রকাশ করেছি।
এখানে অপ্রসাঙ্গিকভাবে বাংলাভাষার উৎপত্তি
নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। অনস্বীকার্য যে কারো মন্তব্যে
দ্বিমত থাকতেই পারে। তাই বলে তার পেশাকে কটাক্ষ
করা হলে বিব্রত হতেই হয়। আমি বিব্রত হতে চাইনা।
১০| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬
শায়মা বলেছেন: দেবী কালীর দাস হবার আগে তার নাম কি ছিলো ভাইয়া??
আর রাজকন্যার বরের লাকড়ি কাটার দরকার হলো কেনো???
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপা আমরা জানিনা তার নাম ঠিকানা জন্মসাল। স্বয়ং রবীঠাকুর
আক্ষেপ করে তার ক্ষণিকা কাব্যের সেকাল কবিতায় লিখেছেনঃ
হায় রে কবে কেটে গেছে কালিদাসের কাল!
পণ্ডিতেরা বিবাদ করে লয়ে তারিখ-সাল।
হারিয়ে গেছে সে-সব অব্দ, ইতিবৃত্ত আছে স্তব্ধ-
গেছে যদি আপদ গেছে, মিথ্যা কোলাহল।
তাই তার নাম ঠিকানা নিয়ে আমরা কোলাহল নাই বা করলাম।
রাজকণ্যার বর, রাজাতো নন!! বোকার সাথে বিয়ে দিয়ে রাজা
তাকে শাস্তি দিয়েছেন, তাই হয়তো মেয়ের খবর থোরাই নিতেন রাজা !!
১১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১০
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হাজার হোক কালিদাসকে খুবই মজার মনে হয় আমার। অনেককে কটাক্ষ করে কালিদাস পন্ডিৎ ও বলা হয়।
তবে তার লেখা বই পড়লে মনে হয় দাঁত ভেঙ্গে যাবে .......
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কটাক্ষ নয় আপু
আসলেই তিনি ছিলেন মহা পণ্ডিত
অবশ্য তা দেবীর বরে!! তার মেঘদূত
আজো অমর কৃতি।
মেঘদূতম এর ১১১ নং শ্লোক
নন্বাত্মানং বহু বিগণযন্নাত্মনৈবাবলম্বে
তত্ কল্যাণি ত্বমপি নিতরাং মা গমঃ কাতরত্বম্
কস্যাত্যন্তং সুখমুপনতং দুঃখমেকান্ততো বা
নীচৈর্গচ্ছত্যুপরি চ দশা চক্রনেমিক্রমেণ
যা বাংলায়ঃ
ওগো কল্যাণি! নিরুপায় আমি, রহিয়াছি একা নিজেরে ল’য়ে
তুমিও আমার দুঃখ অপার কোনওমতে প্রিয়ে থাকিও স’য়ে।
যেথা বেশি সুখ, দুখ ততোধিক, সুখ দুখ নহে চিরস্থায়ী;
চাকার মতই ঘুরিতেছে তাই, উপরে ও নিচে দু’য়েরে পাই!
১২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭
মুজিব রহমান বলেছেন: কালিদাসকে নিয়ে বহু রকমের মিথ রয়েছে যা সত্য হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্য মিথ্যার যাচাই করার সুযোগ যখন নাই
তখন না হয় বিশ্বাসই করি!! কারন কালিদাস
নামে্ এক মহাপণ্ডিত ছিলেন যার রচনা এখনো
গবেষণা হচ্ছে।
১৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৯
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি যে কিছুক্ষণ পরপর মন্তব্য আপডেট করছেন, তাতে সংস্কৃত বিষয়ে আপনার ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টা চমৎকার ফুটে উঠছে। ধন্যবাদ। পরে আলাদা পোস্টে এ নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আপাতত কালীদাস চলুক।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেটাই ভালো। প্রাসঙ্গিক আলোচনা
বাঞ্চনীয়। কালিদাস নিয়েই হোক
আজকের কথাবার্তা।
১৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৮
বিজন রয় বলেছেন: "কহেন কবি কালিদাস"................ সাবাস নূরু ভাই।
আপনি ডিকশনারী, জীবনীর।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিজন দা শ্লোক শেষ করলেননা তো !!
কহেন কবি কালিদাস পথে যেতে যেতে,
নাই তাই খাচ্ছ থাকলে কোথায় পেতে ?
এইটা কালিদাসের একটা বিখ্যাত ধাঁধা। একবার কালিদাস
হেঁটে যাওয়ার সময় দেখে, রাস্তার ধারে একটা লেজছাড়া গরুর
গায়ে বসে অনেক মশামাছি রক্ত খাচ্ছে। লেজ না থাকার কারণে
গরুটা মশা-মাছিগুলোকে তাড়াতেও পারছে না। এই দেখেই
কালিদাস বলে, (লেজ) নাই তাই খাচ্ছ, (লেজ) থাকলে কোথায় পেতে?
১৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৩
কৃষিজীবী বলেছেন: ননসেন্স অথবা কাণ্ডজ্ঞানহীন ছড়া
তুমি বোকা,সহজ সরল
আমি পণ্ডিত কালিদাশ
মন শয়তান দেয় সুরসুরি
দেবো তুমায় বাঁশ
সুযোগ বুঝে দিলেম ঠুকে
তুমার পায়ে ল্যাং
ওমা একি,বুমেরাং কাণ্ড
ভাঙ্গলো আমার ঠ্যাং
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার বুমেরাং ছড়ার জন্য ধন্যবাদ কৃষিজীবী।
পরের অনিষ্ট করতে গেলে নিজেকেই
বিপদে পড়তে হয়। আমরা জানি কিন্তু মানিনা।
১৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী শিরোনামটা ঠিক করুন। মাহা হয়েছে। মহা হবে।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এত পরে বললে হবে !!!
সঠিক সময়ে ঠিক
কাজটি করতে হয়।
১৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার এলাকায় একটা নদীর নাম কালিদাস পাহালিয়া নদী।
২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফেনীর এই নদীর নামের ইতিহাসকি আপনার জানা আছে?
১৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার যে কোনো কাজ করতে দেরী হয়ে যাবে।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন কাজে দেরী করতে নেই।
সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের
দশ ফোঁড়।
১৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সংস্কৃত ভাষার বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার কালিদাস।
...........................................................................
বাংলা ভাষা চর্চ্চা ও পড়াশুনা করেছেন তারা কেউ মহাকবি কালিদাসকে
চিনবে না এমনটা হওয়ার সুযোগ নাই ।
তার লেখা সংস্কৃত পড়তে গিয়ে আমার খুব বেহাল অবস্হা হয়েছিলো ।
তার জ্ঞান ও গভীরতার জন্য আমার অভিবাদন ।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল
অনেকেই হয়তো কালিদাসকে জানেন ও
চিনেন তবে অনেকের এই জানা শোনা খুব
একটা গভীর নয়। সে কারনেই মনে করিয়ে দেওয়া।
২০| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে বেশি মন্তব্য দেখলে আমার ভালো লাগে।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি মন্তব্য নিয়ে খুব একটা
ভাবি না তবে পাঠক বেশী চাই।
যতো পাঠক পড়বে তত তারা জানবে।
মন্তব্য না করলেও ক্ষতি নাই।
২১| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ভালো লাগলো।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ গোফরান ভাই
লেখাটি পড়ার জন্য।
২২| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগল কলিদাসের জীবন গল্প !
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবমাদ আপু লেখাটি মনযোগ সহকারে
পাঠ করার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মহাকবি কালিদাসকে নিয়ে তথ্যবহুল পোস্ট। আমি শুধু কবি মেঘদূত পড়েছি । চমৎকার পোস্ট ।