নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ(২৬ জুন) আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উদ্যোগে বাংলাদেশেও ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ পালিত হচ্ছে। মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৬ জুনকে মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের মাদকবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘শুদ্ধ জ্ঞানেই সঠিক যত্ন হবে, জ্ঞানের আলোয় মাদক দূর হবে।’ করোনার কারণে দেশব্যাপী অত্যন্ত সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদকবিরোধী প্রচার কার্যক্রম চালানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের সর্বাত্মক সহযোগিতা অপরিহার্য। মাদকের অপব্যবহার এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি দেশকে মাদকমুক্ত রাখার অঙ্গীকারের বার্তা প্রতিটি জনপদে পৌঁছে দিতে হবে। র্যাবের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালের ৩ মে থেকে চলতি বছরের ২০ জুন পর্যন্ত শুধু র্যাব সারাদেশ থেকে এক হাজার তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এই দুই বছরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৫১৭ জন মাদক কারবারিকে। হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে ৮৪ কেজি। এক কোটি ৫২ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৩ পিস ইয়াবা বড়ি, দুই লাখ ৭৪ হাজার ৩০৩ বোতল ফেনসিডিল, আট হাজার ৫৫৪ কেজি গাঁজা, প্রায় দুই কেজি কোকেন, ছয় লাখ ৪৭ হাজার ২১৪টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে সারাদেশে মাদক মামলা হয়েছে সাত হাজার ৬২৫টি। এপ্রিল মাসে এই মামলা কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৬৪০টিতে। মে মাসে মামলার সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৪৬৫টি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতি মাসে ঢাকায় মাদক উদ্ধারজনিত ২৫০-৩০০ মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। করোনাকালে মামলার সংখ্যা গড়ে মাসে একশ’তে নেমে এসেছে।
[মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। ধনী-দরিদ্র, দেশ-কাল-পাত্র নির্বিশেষে কেউ মাদকের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদ নয়। মাদক দেশের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়নের একটি বড় অন্তরায়। মাদকের কারণে এদেশে প্রতিনিয়ত বহু পরিবার ধ্বংস হচ্ছে; অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু তাজা প্রাণ। সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা। মাদকের ভয়ঙ্কর আগ্রাসন থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি মাদকবিরোধী ব্যাপক গণসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন এই আন্দোলনেরই একটি অংশ। মাদকের অপব্যবহার এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি দেশকে মাদকমুক্ত রাখার অঙ্গীকারের বার্তা প্রতিটি জনপদে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশে মাদকাসক্তির প্রধান শিকার আমাদের যুবসমাজ যা রাষ্ট্রের জন্য বিশাল হুমকিস্বরূপ। কারণ যুবসমাজ জাতির প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নের প্রধান কারিগর। যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে হলে পরিবারসহ দেশের সকল মানুষকে এই আন্দোলনে শামিল হতে হবে। আজ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আমাদের বিশ্বাস ‘শুদ্ধ জ্ঞানেই সঠিক যত্ন হবে, জ্ঞানের আলোয় মাদক দূর হবে।’
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাবের আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম
যদি আপনার মনে হয় এই পোস্ট
আপনাকে মাদক গ্রহণে উৎসাহিত
করেছে তাহলে করোনার নামে উৎসর্গ
করে দু'পেগ টেনে নিন!!
২| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেহেশতে সুরার সরবরাহ করা হবে?
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যদি আপনার স্বর্গবাস হয় তা হলে
সেখানে বিস্তর খানাপিনার আয়োজন
থাকবে। বেহেশতে যাবার সম্বল যোগার
করুন।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাঁজা খেলে নাকি মাথা খোলে। গাঁজাকে অনুমতি দেয়া উচিত। অনেক মনিষী গাঁজা খেয়ে অনেক ভালো সাহিত্য কর্ম রচনা করেছেন।
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজার নৌকাতো পাহাড় দিয়ে যায়!!
সাড়ে চুয়াত্তর ভাই গাঁজায় দম দিয়ে দেখতে
পারেন সেখা্ন থেকে সাহিত্য বের হয় নাকি
ধোঁয়া !!
৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
ইসিয়াক বলেছেন:
মাদকবিরোধী দিবস সফল হোক।
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সফল হলে আমাদের লাভ
না হলে গাঁজা খোরদের লাভ।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: মাদক আমার পছন্দ না।
আমি শুধু সিগারেট খাই।
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাদকের প্রথম ধাপ সিগারেট
প্রখমে ধোাঁয়া তার পর পানি!!
৬| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সিগারেট ছাড়া অন্য কিছু আমি খাব না।
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সিগারেটই বা কেন পান করবো?
সিগারেটের প্যাকেটে সতর্ক বানী
পড়ে বোঝে নাই এ্টা ক্ষতিকর?
আপনিতো মূর্খ্য না !!
৭| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি জানলে আনন্দিত হবেন যে গাঁজা, যাকে অনেক দেশে মারিজুয়ান বা ভাং বা চরস বা হাশিশ বলে বা Cannabis বলে পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে বৈধ। যেমন কানাডা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া (কিছু টেরিটরিতে), অস্ট্রিয়া, বার্বাডোস (আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যে), বেলজিয়াম, বারমুডা, বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ইকুয়েডর, জর্জিয়া, ইসরাইল, ইতালি, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মেক্সিকো (ডি ফ্যাক্টও), নেপাল (মহা শিভারাত্রির সময়), নেদারল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, পেরু, পর্তুগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ আরও অনেক দেশ (লিখে শেষ করতে পারছি না)।
আপনি চাইলে এসব দেশের যে কোনোটিতে গিয়ে মনের সুখে গাঁজা টানতে পারেন। কেউ কিছু বলবে না।
যেসব বিখ্যাত লেখক গাঁজা খেতেনঃ
William Shakespeare (পরবর্তীতে তার পাইপ পরীক্ষায় পাওয়া যায়। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না ), Carl Sagan, Stephen King, Quentin Tarantino, Jack Kerouac Maya Angelou Charles Baudelaire, Norman Mailer, Alexandre Dumas. আসলে গাঁজা খেলে প্রতিভা বারে না বরং প্রতিভাবানরা গাঁজা খেলে আরও ভালো লেখেন। তাই আমার গাঁজা খেয়েও কোনও লাভ নেই। আমাদের দেশেও শুনেছি অনেক লেখক খায় তবে তাদের নাম এখানে বলা যাবে না।
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাই বলুন না কেন বাংলাদেশে গাঁজাকে মাদক হিসেবে ধরা হয়।
যদিও প্রাচীন কালে বিভিন্ন চিকিৎসায় গাঁজা ব্যবহার করা হতো।
তবে গাঁজার নেশা হলে, বা সে নেশা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে
জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ তাই গাঁজা পরিহার করাই
মঙ্গল।
৮| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বলতে ভুলে গেছিলাম চিকিৎসার জন্য এখনও পৃথিবীর অনেক দেশে গাঁজা অনুমোদিত। এই দেশ সমূহের নাম লিখতে গেলে আবার অনেক বড় তালিকা হয়ে যাবে তাই লিখলাম না।
আপনি শুনলে বিস্মিত হবেন যে কিছু দেশ যে কোনও ড্রাগ গ্রহণকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করছে না এখন। যেমন; পর্তুগাল, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ইত্যাদি।
তবে আইন বড় কথা না। ড্রাগ মানুষের ক্ষতি করে। তাই আইন অনুমোদন দিক বা না দিক আমাদের উচিত সমাজকে নেশা মুক্ত করা। কারণ আইনের চেয়ে নৈতিকতা বড়। কাজেই ড্রাগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত।
২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন দেশে কি আইন তা যদি আমাদের দশে
পালন করতে যাই তা হবে নিজের পায়ে কুঠার
আঘাতের । অনেক দেশে লিভ টুগেদার, সমকামীতা,
পরকীয়া আইন সিদ্ধ। আমাদের দেশে নিষিদ্ধ।
গাঁজা আমাদের দেশে খাবার অনুমতি নাই।
তবে আড়ালে আবডালে খেলে কে নিষেধ
করবে !!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফেইসবুকের মাদক বিরোধিতা কি মাদক কমাচ্ছে, নাকি মাদকের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজ করছে?