নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা প্রবাদ বাক্যঃ স্ববিরোধীতা ও তার যথার্থতা

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫


বাংলায় নিচের প্রবাদগুলো প্রচিলিত হয়ে আসছে বহুদিন যাবত যথাঃ
১। দুষ্ট গরুর চেযে শূণ্য গোয়াল ভালো ২। নাই মামার চেয়ে কানা মামাও ভালো
১। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। ২। মূর্খ বন্ধু অপেক্ষা বিদ্বান শত্রু ভালো।

উপরোক্ত প্রবাদ গুলো স্ববিরোধী হলেও এর বাস্তবতা অস্বীকার করার যো নাই। কারন যে গরুকে দিয়ে হাল চাষ হয়না, অন্য গরুগুলিকে যন্ত্রণা দেয়, সারাদিন গুতোগুতি হুড়োহুড়ি করে গৃহস্থ ব্যতিব্যাস্ত রাখে তেমন গরুর চেয়ে গোয়াল শূণ্য থাকেলেই স্বস্তি। হয় তাকে বিক্রি করে দিতে হয় নয়তো জবেহ করে খেয়ে ফেলাই উত্তম। অপর দিকে একেবারে না থাকার চেয়ে কিছু থাকা ভালো। মায়ের ভাই হন মামা। অনেরেই মামা আছে আবার অনেকের থাকেনা। এটা বাস্তবতা। যাদের মামা আছে তাদের কেউ কেউ হয়তো মামাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বলে থাকেন দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো অর্থাৎ মামা না থাকাই হয়তো ভালো ছিলো। কিন্তু সব মামাইতো খারাপ হয়না। তাই যাদের মামা নাই তারা আক্ষেপ করে নাই মামার চেয়ে কানা মামা থাকলেও মামার শখ পূরণ হতো। তাই বলে যে গাভী দুধ দেবে তার লাথি মেনে নিতে হলে তা হবে নতজানু মনোভাবের প্রকাশ। মনি বড় অমূল্য ধন। সবাই এর জন্য লালায়িত। তবে মনি যখন থাকে বিষধর স্বর্পের মাথায় তখন তার প্রতি লোভ না করাই শ্রেয়। তেমনি দূর্জন বিদ্যান হলেও তার সঙ্গ পরিত্যাজ্য। না হলে তার কুটিলতার কারনে জীবনে নেমে আসতে পারে চরম অসান্তি এমনকি প্রাণ সংহারও হতে পারে তুচ্ছ কারনে। আবার মূখ্য বন্ধুর চেয়ে বিদ্বান শত্রুও অনেক ভালো এ প্রবাদকেও অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। কারন মূর্খ বন্ধুর বুঝতে না পারার কারনে তার ভালো কাজটিও হতে পারে আপনার জন্য বিপজ্জনক। তা্ই উপরের প্রবাদগুলোকে স্ববিরোধী আখ্যা দিয়ে তাকে গুরুত্বহীন মনে করা হবে চরম বোকামী।

তেমনি ভাবেই সমাজে দুর্জনের স্থান নেই। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। বিদ্বান ব্যাক্তি সর্বত্র সম্মানিত। কিন্তু র্দূজন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির লোক বিদ্বান হলেও সে সমাজের দুশমন। সকলে তাকে ঘৃণা করে।বিদ্বানের সংস্পর্শে এলে জ্ঞানের আলোয় মন আলোকিত হয়: এতে চরিত্রে র্গঠনের সুযোগ ঘটে। বিদ্যায় আলোয় মানুষের জীবনের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়। কিন্তু বিদ্বান ব্যাক্তি যদি দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির হয়, তবে তার অর্জিত বিদ্যায় কোনো মূল্য থাকে না। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ তার দ্বারা উপকৃত হয় না। সকলেই তাকে ঘৃণা করে। মনুষ্যত্ব-বিরোধী কুপ্রবৃত্তিগুলো দুর্জন লোকের নিত্যসঙ্গী। এই ধরণের ব্যক্তির নৈতিক চরিত্র দুর্বল, ব্যবহারে এরা রূঢ়, চিন্তায় তরল। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ এদের দ্বারা উপকৃত হয় না। এরা সমাজের কলঙ্ক। এরা আত্মকেন্দ্রিক, লোভী এবং স্বার্থপর। কোনো কোনো দুর্জন লোক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় বটে, কিন্তু বাস্তবে হয় না জ্ঞানী। তাদের শিক্ষার সার্টিফিকেট একটি কাগজ ছাড়া অন্য কিছু নয়। সার্টিফিকেট-সর্বস্ব শিক্ষা এদেশে চরিত্রে ও মানসিতায় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। এরা শিক্ষিত হয়ে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। চাতুরি ও ছলনায় আরও কূটকৌশলী হয়ে এরা সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করে। এদের সাহচর্যে সততার অপমৃত্যু ঘটে। দুর্জন ব্যক্তি সাপের সাথে তুলনীয়। তার অর্জিত বিদ্যার তুলনা করা চলে সাপের মাথার মণির সাথে। মানুষ সাপকে ভয করে। কাছে গেলেই জীবননাশ সুনিশ্চিত। প্রাণনাশের ভয়ে কেই সাপের মাথার মণি আনতে সাহস পায় না। বিদ্বান ব্যাক্তি যদি খারাপ প্রকৃতির হয় তবে সেও সাপের মতো ভয়াবহ। তার কাছে থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা থেকে জীবননাশ তথা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই মঙ্গল দূর্জনের সঙ্গ ত্যাগ যদিও সে বিদ্যান হয়।

পক্ষান্তরে মানুষের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার মানদণ্ডটি অতীব জরুরি। জ্ঞানী ও মূর্খ লোকদের মধ্যে চিন্তা, আচরণ প্রভৃতিতে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। কেননা, অশিক্ষিত বন্ধুর যত আন্তরিকতাই থাক না কেন, সে যে কোন মুহূর্তে নিজের অজ্ঞতাবশত অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বলা হয়, মূর্খ ব্যক্তি পশুর সমান। রাসুলে পাক (সঃ) ইরশাদ করেন-‘অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকীত্ব ভাল। আর একাকীত্বের চেয়ে সৎ সঙ্গী ভাল।’ সমাজে বসবাস করতে হলে মানুষকে একে অপরের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয় এবং সমাজে শত্রু মিত্র উভয়ের সাথেই কোন না কোনভাবেই মেলামেশা করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হল শিক্ষা। মানুষের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার মানদন্ডটি অতীব জরুরি। শত্রুকে আমরা সাধারণত অনিষ্টের কারণ হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু তুলনামূলক বিচারে দেখা যায়, একজন মূর্খ বন্ধু অজ্ঞানতাবশত: যা করতে পারে, একজন শিক্ষিত শত্রু সজ্ঞানে তেমনটি করতে পারেনা। জ্ঞানের নির্মল পরশ তাকে এ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারে। যদি অনিষ্ট সে করে তবে সেটা হবে তার দুরাচার। আর মানুষ সব সময়ই শত্রুর দুরাচার সম্পর্কে সজাগ থাকে। ফলে শত্রুর এ চেষ্টায় সফল নাও হতে পারে। কিন্তু বন্ধুর ব্যাপারে কোন সন্দেহ না থাকায় মানুষ এতটা সতর্ক থাকেনা। অথচ এ অসতর্কতার ফাঁকে মূর্খ বন্ধুর অজ্ঞতাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বন্ধু নির্বাচনে জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা জ্ঞান আলো এবং মূর্খতা অন্ধকারের সমতুল্য। আলোতে অনেক বিপদেও নিরাপদ থাকা যায়, অন্যদিকে অন্ধকারে সর্বদাই বিপদের আশংকা থাকে। মোটকথা, বন্ধু নির্বাচনে সর্বদা শিক্ষা, জ্ঞান-দক্ষতাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। মানবজীবনে উত্তম বন্ধুর বিকল্প নেই।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কেন এই শ্রেষ্ঠত্ব? যদি হয় শক্তি-সামর্থ্যের বিবেচনায়। তবে তো এমন হাজারো প্রাণী রয়েছে, যারা শক্তি-সামর্থ্যে মানুষকে সহজেই হার মানায়। যদি বলি বুদ্ধিমত্তায় শ্রেষ্ঠত্বের কারণ। তবে এমন হাজারো প্রাণী রয়েছে, যাদের বুদ্ধিমত্তা মানুষের থেকে অনেক বেশি প্রখর। গাছের ডালে বাবুই পাখির পরিকল্পিত ঘর নির্মাণ, পিপীলিকার সারিবদ্ধ পথ চলা আর মৌমাছির নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে তারা আমাদের ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই গণহারে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বলার আগে আরেকবার ভাবা উচিত। কারণ যুক্তির দাবি অনুসারে মানব আকৃতির এই জীবকে অন্য সব সৃষ্টির তুলনায় তখনই শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া যাবে, যখন অন্যদের তুলনায় তারা বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবে। এ কারণে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এক শ্রেণির লোকের আলোচনায় বলেন, ‘তারা (মানুষ হয়েও) পশুর মতো, বরং পশুর চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৭৯) উল্লিখিত আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়, ব্যাপকভাবে মানুষ বলতেই সৃষ্টির সেরা নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ পশু থেকেও নিকৃষ্ট হয়ে থাকে। তাই প্রথমেই খুঁজতে হবে মানুষ আর পশুর মধ্যে মৌলিক কী পার্থক্য রয়েছে। আর এর মাধ্যমে সহজেই নির্বাচন করা সম্ভব হবে, কারা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আর কারা মানুষরূপী পশু কিংবা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। কোরআন সুন্নাহর আলোকে মানুষ ও পশুর মধ্যে মৌলিক পাঁচটি পার্থক্য রয়েছে। যথাঃ
১। আল্লাহর কুদরতি হাতে মানুষের সৃষ্টিঃ খন ইবলিস শয়তান হজরত আদম (আ.)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করল তখন মহান আল্লাহ বললেন, ‘হে ইবলিস! যাকে আমার নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি তাকে সিজদা করতে তোকে কিসে বাধা দিল?’ (সুরা : সদ, আয়াত : ৭৫)
২। সুষ্ঠু বিবেকঃ বিবেক হলো তাই, যা মানুষকে স্বীয় জ্ঞানের আলোকে তার জন্য সবচেয়ে হিতকর বিষয়টির সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। বিবেকবান বলতে মেধাবী বা বুদ্ধিমান নয়, বরং মেধা ও বুদ্ধি মানুষের ব্রেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর উদাহরণ মেমোরি কার্ড বা হার্ডডিক্সের সঙ্গে করা যেতে পারে, যা মানুষের জ্ঞান তথা জানা-অজানা তথ্য সংরক্ষণ করে। তবে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে নিছক বিবেক নয়, বরং সুষ্ঠু বিবেকই বিবেচ্য।
৩। শুদ্ধ জ্ঞানঃ সুষ্ঠু বিবেক ও শুদ্ধ জ্ঞান দুটি পৃথক বিষয় হলেও একটি অপরটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কিত। কারণ শুদ্ধ জ্ঞান ছাড়া বিবেক সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। যেমন—রোগাগ্রস্ত কাউকে দেখে বিবেকতাড়িত হয়ে তার জন্য অনেক কিছুই করতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু চিকিৎসা জ্ঞান না থাকলে এই তাড়না নিষ্ফল। অন্যদিকে সুষ্ঠু বিবেক ছাড়া শুধু শুদ্ধ জ্ঞানও ফলদায়ক নয়। যেমনঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানা সত্ত্বেও সুষ্ঠু বিবেকের অভাবে এ জ্ঞানের কোনো মূল্যায়ন হয় না। সুতরাং একটি অপরটির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
৪। মানুষ পৃথিবীর দায়িত্বশীলঃ মহান আল্লাহ সৃষ্টিকুলের সব কিছু মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। করেছেন মানুষের অনুগত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন,মহান আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৯) সুতরাং আল্লাহ প্রদত্ত এই অধিকার যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আর যারা এই দায়িত্বের অবহেলা করে কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশ কলুষিত করে, তারা মানবতার শত্রু। পশুর চেয়েও জঘন্য।
৫। মহান আল্লাহর ইবাদতঃ এই বিষয়টিকে পূর্ববর্তী বিষয়ের সম্পূরক বা পরিপূরক বলা যেতে পারে। কেননা মৌলিকভাবে পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশ গঠনে একটি পরিকল্পিত গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন, যার আলোকে পৃথিবীর সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে। অন্যথায় যে যার মনমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে পরিবেশ আরো অশান্ত করে ফেলতে পারে। এবং প্রত্যেকেই মনে করবে আমি তো ঠিকই করছি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন তাদের বলা হয়, তোমরা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কোরো না তখন তারা বলে আমরা বরং শান্তি প্রতিষ্ঠা করছি। শুনে রাখো, নিশ্চয়ই তারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অথচ তারা বুঝতেও পারে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১-১২)

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ করার মধ্য দিয়ে কিয়ামত অবধি সব মানুষের চূড়ান্ত সফলতার পথ ও পন্থা বাতলে দিয়েছেন। অতএব মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বিধি-নিষেধের পূর্ণ পরিপালনের মধ্যেই মানবজাতির প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত।তাই মানুষের বুদ্ধি বিবেচনা আছে। ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায় বাছ বিচার করার ক্ষমতা আছে তার। তাই কোনটা মানতে হবে আর কোনটা ত্যাগ করতে হবে তা তার বুদ্ধিমত্তা দিয়েই নির্ণয় করবে। আগুনে হাত দিলে হাত পুড়বে। পানিতে নামলে শরীর ভিজবে এটা কাউকে শিখিয়ে দিতে হয়না। আবার এই মানুষই অমানুষ হয়। সন্ত্রাসী হয়, খুনী হয়, ধর্ষক হয়। এর জন্য সাস্তি আছে তাও তার জানা। তারপরেও সে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়। তখন কাউকে ক্রসফায়ার, কাউকে জেলের ঘানী টানতে হয় আবার কাউকে দিতে হয় অর্থদন্ড। কারন কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। তাই দুষ্ট গরু বা নষ্ট মানুষের নষ্টামি আমরা ততটুকু পর্যন্ত গ্রহণ করবো যতটুকুতে আমার বিবেক সায় দিবে। মাত্রার বাইরে গেলেই তার টুটি চেপে ধরতে হবে। ক্যান্সারে সংক্রামিত অংঙ্গ কেটে ফেলতে হবে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পাড়ার আগেই। তা না হলে সমস্ত শরীর হয়ে উঠবে ঝুকির কারন। একজন কারোনা রোগীর কারনে লকডাউন হয় পুরো বাড়ি কিংবা মহল্লা। এই কারণে যে তার থেকে যেন সংক্রামিত না হয় অন্য কেউ। তাই দুষ্ট গরুকে হয় কোয়ারেন্টাইন করুন নয়তো জবেহ করে খেয়ে ফেলুন অন্য সবার কল্যানের জন্য। এখানে দ্বিতীয় অপসন নাই।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্ববিরোধী বিষয় নিয়ে আমার আগ্রহ কম।

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এই বিষয়টি কিন্তু.................
থাক বললাম না
আমি আবার কাউকে কষ্ট দিতে পারিনা।

২| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জ্বি তাকে জানিয়ে দেওয়া হলো ।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: স্ববিরোধী প্রবাদগুলো এখন ব্যবহার করা কমিয়ে দিয়েছি।

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি আমি কমিয়ে দিলেও এর যথার্থতা
বা আবেদন কখনোই বিলুপ্ত হবেনা। এগুলো
আগের মতো কার্যকরী এখনো তখনো। শুধু
সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাপের মাথায় মনি থাকে না, ইহা ভুল ধারণা।

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার জানামতে সাপের মাথায় মনি থাকে
রাতে সে মনি কোন স্থানে রেখে শিকারের
অপেক্ষায় থাকে। আলোর টানে পতঙ্গরা
সেখানে জড়ো হলে সাপ তাদের শিকার
করে জঠরজালা নিবারণ করে।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে হঠাৎ এই বিশেষ কয়টা বাগধারা নিয়া পড়লেন যে! ঘটনাটা কি? B:-)

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ভুইয়া ভাই এ্ই কয়টা
প্রবাদ বাক্য যে স্ববিরোধী তাই।

৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি খুবই জ্ঞানের কথা বলেছেন।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তাই বুঝি !!

৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কচুগাছ কাটতে কাটতে ডাকাত,এটা কি প্রবাদ?

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

গাইতে গাইতে গায়েন, আর
বাজাতে বাজাতে বায়েন.

৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন: আরেকটা হচ্ছে সৎ সঙ্গে যদি স্বর্গবাসই হয় তাহলে অসৎ কেনো সৎ এর সাথে থেকে সৎ হয় না?

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দাদারে সৎ মানুষের সাথেই সৎ মানুষের দোস্তি হয়
অসৎ লোক সৎ মানুষের আচার আচরণ ঠিকভাবে
গ্রহণ করতে পারেনা বলেই নিজে থেকে সে ছিটকে
পড়ে। তাই সৎ মানুষের সাথে যারা থাকে তারা সবাই
সৎ এবং পরিণতি স্বর্গবাস। অসৎ থাকে অসৎ এর দলে।
তাই অসৎ সঙ্গ সর্বনাস!!

৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই বিষয়টি কিন্তু.................
থাক বললাম না
আমি আবার কাউকে কষ্ট দিতে পারিনা।

কাউকে কষ্ট না দেওয়া খুব ভালো।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কারো মনে তুমি দিওনা আঘাত
সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে!
মানুষেরে তুমি যত কর ঘৃনা
খোদা যান তত দূরে সরে।

১০| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল কোরান পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান । আমরা জানি এবং কোরান পড়িও এখনতো অর্থসহ পড়ি । কিন্তু মানি না । মানলে হয়তো দুনিয়া আরো ভালো থাকতো

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা দুঃখ জনক।
তবে সে দিন খু্ব দূরে নয়
যে দিন মানুষ অনুধাবন করবে
আল্লাহর শ্রেষ্ঠ্ত্ব ও তার মহানুভবতা।
আল্লাহ বলেনঃ “আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তিনিই তার জন্যে যথেষ্ট।” (সূরা আত তালাক : ৩)

১১| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বন্ধু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সঙ্গদোষে লোহা ভাসে। মানুষের শ্রেষ্টত্ব তার সৎকর্মের দ্বারা নির্ধারিত । দূর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্য
তাই দুষ্ট গুরুর চেয়ে
শূণ্য গোয়াল সময়ের দাবী।

১২| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: আপনার এ ভিন্ন আয়োজনে ফ্লেভারটাও ভিন্ন সুবাস ছড়ায়...

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ সাইন বোর্ড ভ্রাতা
বহুদিন যাবৎ ব্লগে গরত বাতাস বইতে
ছিলো তাই একটু অন্যবাতাস আনার চেষ্টায়
আমর এ ভিন্ন আয়োজন।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই সব আর কেহ মানে না! নিজের প্রয়োজনে যা কুলায় তাই মানে!

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

উদরাজী ভাই মানা না মানা যার যার নিজস্ব ব্যাপার সেখানে
আপনার বা আমার কি করার আছে।
অনেকেতো আল্লাহকেই মানেনা !!
তবে সঠিক যা, সত্য যা তা বলতে
মানা নাই। আসুন সত্যের পথে থাকি
আমরা সবাই।

১৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৩২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সবকিছুরই দরকার আছে। সিচুয়েশন ডিমান্ড

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একদম খাটি কথা।
তবে গরুর খাঁটি দুধ
নাকি খাঁটি গরুর দুধ
তা বিবেচনায় রাখেতে হবে।
ধন্যবাদ কুনোব্যাঙ

১৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:২৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: কিন্ত এই প্রবাদটা তো স্ববিরোধী !!!

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অনলদা স্ববিরেধিী প্রবাদ নিয়েই
আলোচন্ চলছে যার বাস্তবতা
অস্বীকার করা যাবেনা। তবে
বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখলে
সিঠিকটা বেছে নেওয়া যাবে।

১৬| ১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


প্রচলিত বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
আমরা সবই ব্যবহার করি, যখন যেটা লাগে, আর কি!
মানুষ একটি স্ববিরোধী প্রাণী! বেহেশত থাকা সত্ত্বেও মরতে চায় না। ;)
স্ববিরোধীতার কারণে নায়ক মারা যায়। হেহে।

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ম্ইনুল ভাই লাখ কথার এক কথা বলে দিযেছেনী
সেই জন্যই উপসংহারে বলে দিয়েছি মানুষ বুদ্ধিমান
প্রাণি। তবে বুদ্ধিমান হলেও কেউ দুধ বেঁচে মদ পান
করে আবার কেউ মদ বেঁচে দুধ। মদ পা্নে ক্যান্সার
হতে পারে এটা সবারই জানা তবুও পান করে। তবে
আগুনে হাত দিলে হাত পুড়ে এটাও সবার জানা কিন্তু
পাগল না হলে কেউ আগুনে হাত দেয়না। পার্থক্যটা এখানে !!!

১৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাঙালির চরিত্রে প্রচুর বিপরীতমূখীতা রয়েছে যার প্রভাব পড়েছে প্রবাদে, বাগধারায়। ফলে এগুলো কখনওই গুরুত্বহীন হবে না।
আমার আরও একটি মনে পড়ছে- কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলেনা < ঝোপ বুঝে কোপ মারো, সকাল দেখে যায় দিন চেনা < শেষ ভালো যার সব ভালো তার...

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর
চমৎকার বলেছেন।
বাংলায় এমন অজস্র
প্রবাদ বাক্য আছে
যা বৈপিত্য আছে এবং
যথেষ্ট বিতর্কের ও জন্ম দেয় ।
তার পরেও কিন্তু তার আবেদন
বা যথার্থতা অস্বীকার করার নয়।
যেমন একটি প্রবাদ ঢোল আর নারী এই দুইকে বাড়ির উপর রাখতে হয়, =p~

১৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত নুরু ভাই আপনার সঙ্গে মানবজীবনে উত্তম বন্ধুর বিকল্প নেই।
কিন্তু হঠাৎ প্রবাদ-প্রবচনের প্রসঙ্গ কেন এলো ঠিক বোধগম্য হলো না।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দাদা আদাব
বহুদিন পরে এলে একটু বসো
তোমায় অনেক কথা বলার ছিলো যদি শোন !!

না থাক যখন বোধগম্য হলোই না তা হলে আর
বলে কি লাভ!! তবে কিঞ্চিত আলোড়িত করেছে
তাতেই আমি খুশি। শূণ্য গোয়াল রাখবেন না গরুর
গুতো খাবেন সেটা আপনিই ঠিক করুন। আমার কি দা্য়
পড়েছে নিজের খেয়ে আপনার গরুর গুতো খাবো!! =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.