নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট’র সাবেক সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহবুবুল আলম। দেশে সাংবাদিকতায় যে ক'জন খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেছেন, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি লন্ডন হাইকমিশন ও ওয়াশিংটন দূতাবাসে দীর্ঘদিন প্রেস মিনিস্টার হিসেবে কাজ করেন। কর্মজীবনে নিউ নেশন, অধুনা বিলুপ্ত সাপ্তাহিক ডায়ালগের সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দি ইন্ডিপেন্ডেট সম্পাদক ছিলেন। ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন। আজ তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের আজকের দিনে তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ`তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কিংবদন্তি সাংবাদিক মাহবুবুল আলমের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
মাহবুবুল আলম ১৯৩৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটস প্রেস অব পাকিস্তানে (এপিপি) কাজের মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। এর পর নিউ নেশন, সাপ্তাহিক ডায়ালগের সম্পাদক হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেন। সর্বশেষ দীর্ঘদিন তিনি ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৭ সালে ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মাহবুবুল আলম। স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন মাহবুবুল আলম। এর পর লন্ডন হাইকমিশন ও ওয়াশিংটন দূতাবাসের বার্তা বিভাগে দীর্ঘদিন কাজ করেন তিনি। এইচ এম রশাদের শাসনামলে মাহবুবুল আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহির্বিশ্ব বিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। ভুটানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন মাহবুবুল আলম। তিনি ছিলেন 'নোয়াব'-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই গুণী সাংবাদিক। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং একাধিক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করেছেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা ক্লাব ও অফিসার্স ক্লাবের সদস্য ছিলেন।
২০১৪ সালের ৫ জুন সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মাহবুবুল আলমের বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবন এবং দেশের সংবাদিকতার উন্নয়নে তার অবদান দেশবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। আজ তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। কিংবদন্তি সাংবাদিক মাহবুবুল আলমের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
©somewhere in net ltd.