নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
মানবহিতৌষী মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার, এবং বিশেষ করে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জোলি বিশেষভাবে সমাদৃত। ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। একাধিকবার তিনি ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। রূপালী পর্দার অন্তরালে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন প্রায় সময়ই গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করেছে। ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার ব্রাড পিটের সাথে। পরবর্তীতে সকলের সাথেই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। জোলি-পিট যুগলের দাম্পত্য সম্পর্ক বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বারংবার আলোচিত হয়েছে। তাঁদের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছয়; এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের তিন সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান; এবং বিভিন্ন সময়ে দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা। মানবহিতৌষী ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ৪৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। হলিউড হার্টথ্রব অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভইট ১৯৭৫ সালের ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা জন ভইট এবং মা মার্শেলিন বার্ট্রান্ড। মা-বাবা উভয়েই ছিলেন পেশাদার অভিনয়শিল্পী। এছাড়া জোলির আত্মীয়বর্গের ভেতরেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ছাপ সুস্পষ্ট। সম্পর্কের দিক থেকে জোলি, চিপ টেইলরের ভ্রাতুষ্পুত্রী, জেমস হ্যাভেনের বোন, এবং জ্যাকুইলিন বিসেট ও ম্যাক্সিমিলিয়ান শেলের ধর্মকন্যা। বাবার দিক থেকে জোলি চেকোস্লোভাকীয় ও জার্মান বংশোদ্ভূত। আর মায়ের দিক থেকে ফরাসি কানাডীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৭৬ সালে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর জোলি ও তার ভাই উভয়েই তাদের মায়ের কাছে বেড়ে উঠতে থাকেন। বিচ্ছেদ-পরবর্তী এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে তার মা নিজের অভিনয়ের উচ্চাশা বিসর্জন দেন, এবং সন্তানদের সাথে নিয়ে নিউ ইয়র্কের প্যালিসেডে চলে যান। শৈশব থেকেই জোলি নিয়মিতভাবে ছবি দেখতেন ও ছবি দেখার পর মায়ের কাছে, অভিনয় করার ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করতেন। জোলির বয়স যখন এগারো, তখন তার পরিবার আবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরে আসে। লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে তিনি অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই সূত্র ধরে তিনি লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন। সেখানে তিনি দুই বছর ধরে অভিনয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই থিয়েটার ইনস্টিটিউটে থাকাকালীন সময়ে তিনি বেশ কিছু মঞ্চনাটকেও অভিনয় করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। ষোলো বছর বয়সে মঞ্চ থেকে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু, এবং তাঁর প্রথম চরিত্রটি ছিলো একজন জার্মান প্রতাপশালীর। মূলত বাবার থেকেই জোলির অভিনয়ের হাতেখড়ি। অভিনয় শেখার জন্য তিনি তাঁর বাবার শিখন প্রক্রিয়া লক্ষ করতেন। তিনি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতেন, এবং আচরণ ও বাহ্যিকতায় ঠিক তাদের মতো হয়ে ওঠার চেষ্টা করতেন। বহু বছর ধরে গ্ল্যামার আর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সারা পৃধিবীর সিনেমা প্রেমীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেছেছেন তিনি। সব সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই অভিনেত্রী মাত্র ১১ বছর বয়সে মায়ের অনুপ্রেরণায় জোলি মডেলিং শুরু করেন।
লুকিং টু গেট আউট দিয়ে জোলি সিনেমার জগতে পা দেন। সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন জোলির বাবা।
১৯৯৫ সালে জোলি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একটি হচ্ছে স্বাধীন চলচ্চিত্র উইদাউট এভিডেন্স, এবং অপরটি রহস্য চলচ্চিত্র হ্যাকারস। হ্যাকারস-এ তিনি কেট ‘এসিড বার্ন’ লিবি চরিত্রে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিলো জোলির অভিনয় জীবনের প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র এবং এখানেই জোলির সাথে পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্বামী জনি লি মিলারের পরিচয় হয়। ১৯৯৭ সালে জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র জর্জ ওয়ালেস-এ কর্নেলিয়া ওয়ালেস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জোলির পরিচিতি বাড়তে শুরু করে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন ও এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। উঁচুমানের অভিনয় প্রতিভা ও দক্ষতা থাকাসত্ত্বেও জোলির অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো প্রায়ই আন্তর্জাতিকভাবে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হতো; তাঁর এই অপূর্ণতা পূর্ণ হয় ২০০১ সালে লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে জোলির অভিষেক ঘটে ২০০৭ সালে, তথ্যচিত্র আ প্লেস ইন টাইম পরিচালনার মাধ্যমে। ২০০৭ সালে নাট্যচলচ্চিত্র আ মাইটি হার্ট এ মারিয়ান পার্ল চরিত্রে অভিনয় তাঁকে তাঁর চতুর্থ গোল্ডেন গ্লোব ও তৃতীয় স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়। ২০১১ সালে জোলি ড্রিমওয়ার্কস ধারাবাহিক কুং ফু পান্ডা ২-এ মাস্টার টিগ্রেসের ভূমিকায় কণ্ঠ প্রদান করেন। আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে ৬৬.৩ কোটি ডলার আয় করা এই চলচ্চিত্রটি তাঁর পূর্বের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ বছর তিনি পরিচালক হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। ছবির নাম ইন দ্য ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানি। ছবিটি সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জোলিকে সারায়েভোর সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
কম্বোডিয়াতে যখন জোলি টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন, তখন থেকেই জোলি ব্যক্তিগতভাবে মানবতার অভাবকে উপলব্ধি করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এসে আন্তর্জাতিকভাবে পীড়িত ও দুঃস্থ অঞ্চলগুলো সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য জোলি ইউএনএইচসিআর-এর দ্বারস্থ হন। মানবতার এই বিপর্যয়কে ভালোভাবে জানা ও বাস্তবতা উপলব্ধির জন্য তৎপরবর্তি কয়েক মাস জোলি বিশ্বের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ও দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। ফেব্রুয়ারি ২০০১ সালে তাঁর প্রথম সফরে জোলি ১৮ দিনের জন্য সিয়েরা লিওন ও তানজানিয়া ভ্রমণ করেন। এ সম্পর্কে তাঁর ব্যথাতুর উপলব্ধির কথা তিনি পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানান। পরবর্তী মাসগুলোতে তিনি যেসকল স্থানে সফর করেন তার মধ্যে, দুই সপ্তাহের জন্য কম্বোডিয়া সফর ও পরবর্তীতে পাকিস্তানের আফগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। ইউএনএইচসিআর-এর জরুরি অনুদান প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে আফগান শরণার্থীদের জন্য ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান দেন। এসমস্ত ক্ষেত্রে তাঁর সকল সফরের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন এবং তিনি ঠিক সেই সুযোগ-সুবিধাটুকুই গ্রহণ করেন, যা ইউএনএইচসিআর-এর একজন মাঠপর্যায়ের কর্মীর জন্য বরাদ্দকৃত। ২০০১ সালের ২৭ আগস্ট জেনেভায় অবস্থিত ইউএনএইচসিআর-এর সদরদপ্তরে জোলিকে ইউএনএইচসিআর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ভূষিত করা হয়। সময়ের সাথে সাথে জোলি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, মানবতার পক্ষে সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কাজে আরও বেশি সময় দেওয়া শুরু করেন। তিনি নিয়মিত ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে বিশ্ব শরণার্থী দিবসে অংশগ্রহণ করে আসছেন। জোলি তাঁর মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি ভালো পরিচিতি ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। বর্তমানে জোলি, বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একজন তারকা ব্যক্তিত্ব। কিউ স্কোরের ভাষ্যমতে ২০০০ সালে অস্কার জয়ের পর জোলি পরিচিত ছিলেন ৩১% আমেরিকানের কাছে; পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এসে দেখা যায় ৮১% আমেরিকানের কাছে জোলি এক পরিচিত মুখ। ২০০৬ সালে এসিনিলসেন পরিচালিত বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রশিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ৪২টি আন্তর্জাতিক বাজারে জোলি-পিট জুটি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এন্ডোর্সার। ২০০৬ ও ২০০৮ সালে জোলি টাইম ১০০-এ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ছিলেন। ২০০৬ সালে পিপল-এর ‘ওয়ান হানড্রেড মোস্ট বিউটিফুল’ সংখ্যায় তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার ব্রাড পিটের সাথে। জোলি-পিট যুগলের দাম্পত্য সম্পর্ক বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বারংবার আলোচিত হয়েছে। এক দশকের প্রেম। এক সঙ্গে লিভ ইন। একের পর এক সন্তান দত্তক নেওয়া। অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে তার পরে কাগজে কলমে বিয়ে। স্বপ্নের মতো এক যুগের একটা রূপকথা যেন। তার পর তারা সুখে শান্তিতে ঘরকন্নাও করতে থাকলেন। কিন্তু হঠাৎ করে খেই হারাল সে রূপকথা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চিড় ধরল পথ চলায়। হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় যুগল অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং ব্র্যাড পিট সিদ্ধান্ত নিলেন বিবাহ-বিচ্ছেদের! সম্পর্কের আনাচাকানাচে বইতে শুরু করল তিক্ততার স্রোত। কখনও খোরপোষের পরিমাণ নিয়ে লড়াই। কখনও বা সন্তানদের অধিকারের প্রশ্ন নিয়ে তর্ক। এমন করেই চলছিল। কিন্তু এত দিনের ‘রূপকথারা’ মিথ্যে হয়ে যাবে? প্রশ্নটা শুধু ভক্তকুলে নয়, বোধহয় কুরে কুরে খাচ্ছিল ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’কেও (দুই তারকা এ নামেই বেশি পরিচিত ফিল্মি দুনিয়ায়)। তাই সম্পর্কে দুম করে দাড়িটা টেনে দেওয়ার আগে ফের ভাবতে বসেছেন দু’জনেই। বিচ্ছেদ-প্রক্রিয়া যে তড়িৎ গতিতে এগনোর কথা ছিল, তা মোটেও হচ্ছে না— একটি মার্কিন বিনোদন পত্রিকার অন্তত তেমনটাই দাবি। কাটার দাগ মিলিয়ে জটিলতাকে ‘সাদামাটা’ করার চেষ্টায় দু’জনেই উদগ্রীব বলে জানাচ্ছেন তারকা ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েক জন। ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’কে চেনা ছন্দে দেখতে পাওয়ার আশায় এখন বুক বাঁধছেন ভক্তরাও। এক ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’-ঘনিষ্ঠ ওই মার্কিন পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‘সবারই এখন মনে হচ্ছে, ওরা দু’জন দু’জনের কাছে ফিরে আসবে। খুব অবাক হবো না ওরা যদি আর কিছু দিনের মধ্যে জানায়, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসছি! অ্যাঞ্জেলিনা এখনও ব্র্যাডকে ভীষণ ভালবাসে।’’ মধ্যে ব্র্যা়ড নিজের ভুল বুঝে খানিকটা নরম হয়েছেন। এক সূত্রের কথায়, ‘‘ধরে নিন ডিভোর্স হচ্ছে না। গত কয়েক মাসে এ ব্যাপারে ওরা এক পা-ও এগোয়নি। সমস্যা দূর করতে ব্র্যাড নিজেকে পাল্টাচ্ছে। জোলি তো শুধু এটুকুই চেয়েছিল।’’ অ্যাঞ্জেলিনাও সম্প্রতি এক জায়গায় বলেছেন, এখনও বাচ্চাদের জন্য তাঁরা দু’জনে যথেষ্ট ‘স্বাভাবিক’ থাকার চেষ্টা করছেন। তাদের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছয়; এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের তিন সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান; এবং বিভিন্ন সময়ে দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা।
চলচ্চিত্র জগতের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত। হলিউড বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আন্তর্জাতিক যে কোন সংকটে এগিয়ে আসার প্রমাণ দিয়েছেন আগেও। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছেনা। বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঠিক তখন অস্কারজয়ী এই অভিনয়শিল্পী ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ওদের একটা বড় অংশ স্কুলে যায় কেবল খাওয়ার লোভে। বিশ্বের কথা বাদই দিলাম। কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ২০ লাখ শিশু খাবারের জন্য স্কুলের ওপর নির্ভরশীল। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যে শিশুদের কথা বলছেন, ওদের খাওয়া এখন অনিশ্চিত। তাই তিনি যে অর্থ দান করবেন, তা ব্যয় হবে এই শিশুদের খাবারের উদ্দেশ্যে। জোলিই যে শুধু দান করলেন তা কিন্তু নয়। তার আগে সংগীত তারকা রিয়ান্না ৪৩ কোটি টাকা দান করেছেন একই উদ্দেশ্যে। হলিউড তারকা ব্লেক লাইভলি ও রায়ান রেনল্ডসও জোলির সমপরিমাণ, অর্থাৎ ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা করে দান করেছেন আমেরিকা ও কানাডার ফুড ব্যাংকে। ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। তিনি রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য গতবছর বাংলাদেশে আসেন। গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ওই সফরে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন জোলি। তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘুরে দেখেন। মিয়ানমারর সেনাবাহিনীর হাতে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের কথা শোনেন তিনি। পাশাপাশি ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের শিশুও নারীদের সঙ্গে সময় কাটান। আজ মানবহিতৌষী মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ৪৫তম জন্মদিন। জন্মদিনে আমরা তার সংসার জীবনের সুখ ও সমৃ্দ্ধি কামনা করছি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০১
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: শুভ জন্মদিন! ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রিফাত ভাই
জন্মুদিনে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
আপিনিও সুস্থ্য থাকুন।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জোলি মানবিক নারী ও হিরোইন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আলি ভাই
বাড়ির সবাই ভালো? ঢাকা আসছেন
কবে?
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: অ্যাঞ্জেলিনা একজন গ্রেট লেডি।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তা আমরা সবাই জানি!!
নতুন কিছু বেলেন। আপনিতো
সব সুন্দরীদেরই গ্রেট বলেন।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দরী নারীদের নিয়ে লিখেছেন- রাতে ঘুমের সমস্যা হয় না তো?
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই সমস্যাটা আপনার তা বেশ
কয়েকবার আপনার লেখায় জানান
দিয়েছেন। আমার রাতে খুব ভালো
ঘুম হয়।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ২:২০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নিখুঁত এবং তথ্যবহুল লেখা ।
এই ব্রাঞ্জোলিনা একটি ব্র্যান্ড নাম এবং আইকনিক দম্পতি ছিল।আমরা খুশি হব যদি তারা তাদের কমপ্লিন নিষ্পত্তি করতে পারে এবং একে অপরের সাথে থাকতে পারে।
যদি উভয়ে আবার এক সাথে হয়, তবে তাদের কাছ থেকে বিশ্ব কিছু কল্যাণমূলক কাজ পেতে পারে আর তাদের বাচ্চারা তাদের পিতামাতাকে একসাথে পেতে পারে।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা তাই প্রত্যাশা করি।
ব্র্রড অবশ্য তার ভুল বুঝতে
পেরেছেন।
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দরী নারীদের নিয়ে লিখেছেন- রাতে ঘুমের সমস্যা হয় না তো?
===================================================================
এত মজা কই রাখি!!!
আপনাদের দুজনকে সামু একদিন অনেক মিস করবে।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ৮:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব তার স্বপ্ন, আশা ইচ্ছার কথা
অপরের মুখে বয়ান করেন। তার স্বপ্নে
স্নানরতা নায়িকা আসে তা সে বেশ
কয়েকবার জানান দিয়েছেন।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২
মেটালক্সাইড বলেছেন: আমি লাইক দিছি পছন্দের অভিনেত্রী বলে। টম্ব রাইডারের ছবিটা জোলিরটা না গতবছর রিমিক্স ভার্সনের ছবি।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ৮:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ওহ লাইকটা তবে আপনারই ছিলো!
বেশ বেশ, আমি ধোয়াশার মাঝে ছিলাম।
এবার ক্লিয়ার!
৯| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগে আমি বেশি দিন থাকবো না। সর্ব্বোচ্চ এ বছরটাই তারপর বিদায় নিব।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমার কবিতায় আমি মোটেও আপনাকে ছোট করিনি। 'আপনি' 'আপনি' করেই কথা বলেছি। সবচেয়ে বড় কথা এটা একটা ফান ছিলো। অথচ আপনি বুঝলেন না। বুঝলেন না আমার মানসিকতা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কে যেন একটা লাইক দিলো
বুঝতে পারলাম না। এটাকি
পাছে লোকে কিছু বলে তার
ভয়ে না লজ্জায় বুঝা গেলনা।