নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ভারতীয় বাটপার নটওয়ারলাল

০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩


এই পৃথিবীর সবচেয়ে বিচিত্র প্রাণী হচ্ছে মানুষ। মানুষ অ্যামাজন অরণ্যের চেয়েও গহীন। যার রহস্য ভেদ করা শুধু দুঃসাধ্য নয়, মাঝে-মাঝে অসম্ভব। বাস্তবতা কল্পনার চেয়েও বিচিত্র। আজকের দিনে তাজমহল কিনে ফেলার ইচ্ছা পোষণ করার মতো পাগল শুধুমাত্র মানসিক হাসপাতালে পাওয়া গেলেও, মাত্র কয়েক দশক আগে কম করে হলেও এরকম তিন জন ব্যক্তি পাওয়া গিয়েছিল। যারা কিনতে চেয়েছিলেন তাজমহল। তবে সত্যিকারের ক্রেডিট এমন একজন ব্যক্তির, যিনি তার চৌকস বুদ্ধি এবং ধূর্ততার মাধ্যমে তাজমহল বিক্রির মতো অকল্পনীয় কাজটি করেছিলেন। তাও আবার একবার-দুবার নয়, তিন-তিনবার। এই ব্যক্তি ভারতের সব চেয়ে জনপ্রিয় কনম্যান নটওয়ারলাল। তিনি এতোটাই অবিশ্বাস্য কাজকর্ম করেছিলেন যে পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে তাকে নিয়ে মিঃ নটওয়ার লাল নামে একটি চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছিল। যেখানে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তাছাড়া ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া অভিষেক বচ্চন ও রানি মুখার্জি অভিনীত ‘বান্টি অর বাবলি’ সিনেমাটিতে প্রতারণা করে তাজমহল বেচে দেওয়ার ঘটনা থাকলেও, বাস্তবতা আরো বেশি মজার। ভারত চমৎকার দেশ। কোনো কিছুই কম নেই এখানে। অপরাধের ক্ষেত্রেও নয়। আধুনিক বিশ্বের প্রতারকদের সাথে পাল্লা দিয়ে তাই ভারতীয় এই প্রতারকের নাম আজও আলোচিত হয়। নটওয়ারলাল তার চৌকস বুদ্ধি এবং ধূর্ততার মাধ্যমে তাজমহল বেচে দেওয়ার মতো অকল্পনীয় কাজটি করেছিলেন। নটওয়ারলাল ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের স্বাক্ষর এতোটাই নিখুঁতভাবে জাল করতে পারতেন যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর জাল করে তিনি তিনবার তাজ-মহল বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি লাল কেল্লা, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং ৪৫৫ জন সংসদ সদস্যসহ ভারতের সংসদ বিক্রি করেছেন। সারা দেশজুড়ে তিনি প্রতারণার কাজ চালিয়ে গেছেন। ছদ্মবেশ ধরতে পটু ছিলেন নটবরলাল। প্রতারণার জন্য ৫০ টি ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ছদ্মবেশ নিয়েছেন তিনি। তাই জায়গা এবং পরিকল্পনা অনুসারে নাম, পোশাক, জীবনযাত্রা বদলে নিতেন তিনি। মিথিলিশ কুমার আগারওয়াল, সুরেন্দ্র কুমার, সিতায়ম আদি, শঙ্করলাল, বিএন ময়ূর নটওয়ারলালের কিছু ছদ্ধনাম। নটওয়ারলাল বিদেশিদের সামনে সরকারী কর্মচারীর ছদ্মবেশ নিতেন, যারা ঐ স্মৃতিস্তম্ভগুলো দেখতে আসতো। তিনি তাদের কাছে এই স্মৃতিস্তম্ভ গুলো সফলভাবে বিক্রিও করেছিলেন। তিনি দেশের প্রায় সব স্বনামধন্য শিল্পপতির শাথেই প্রতারণা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অনেক সময় তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে ধরাও পড়েছেন। তবে প্রতিবারই নাটকীয়ভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। নটবরলাল সমাজসেবী বা বিশিষ্ট কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেক্রেটারি বা কোনও বড় দলের নেতা সেজে বড় অঙ্কের চাঁদা বা ডোনেশন নিয়ে আসত টাটা বিড়লা এবং ধীরুভাই আম্বানিদের কাছ থেকে। নিখুঁত নথি ও অসামান্য বাকপটু হওয়ায় তাঁরা সন্দেহই করেননি। বহুদিন ধরে অর্থ দিয়ে গেছেন নটবরলালকে। নিজেকে সব সময় কোনও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা বা মন্ত্রীর সেক্রেটারি দেখাত। সেরকম সাজ পোষাক ও জাল সরকারি কাগজপত্র ও স্ট্যাম্প নিজের সঙ্গে রাখত। এসব দিয়ে দেশের বিখ্যাত বিখ্যাত স্বর্ণব্যবসায়ীদের বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার হিরে-জহরৎ, সোনাদানা কিনে জাল চেক বা ড্রাফট দিত। তারপর তার টিকির দেখা মিলত না। যখন রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির সেক্রেটারি সেজে দিল্লির এক নামকরা এক ঘড়ির দোকানে যায় নটবরলাল। মালিককে বলে প্রধানমন্ত্রী ভারতে সফররত বিদেশী অতিথিদের ৯০টি দামী ঘড়ি উপহার দেবেন। সেই জন্য ঘড়ি কিনতে তাকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অশোকস্তম্ভের ছাপ মারা সরকারী প্যাডে মন্ত্রীর সই করা চিঠি দেখে দোকানদার ৯০ টি ঘড়ি নিয়ে নর্থ ব্লকে অর্থমন্ত্রীর দফতরের সামনে যায়। সেখানে ঘড়ি ডেলিভারি নিয়ে সরকারি ড্রাফট দেয় প্রতারক নটবরলাল। ড্রাফট ভাঙাতে গিয়ে দোকানদার বোঝেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ততক্ষণে পাখি হাওয়া। জীবদ্দশায় তার বিরুদ্ধে টাটা, বিড়লা, এমনকি আম্বানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কয়েকটি মামলা করেছিলো। কৌতুকের মতো শোনালেও এই নটওয়ারলাল তার খারপ কাজগুলো দিয়ে চিরদিনের মতো ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। এই প্রতারকের বাহান্নটি ছদ্মনামের মধ্যে মিস্টার নটবরলাল নামটা অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে যায়। এমনই বিখ্যাত হয়ে যায় যে নটবরলাল শব্দটা আজ হিন্দি ভাষায় প্রতারকের সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নটওয়ারলালের আসল নাম মিথিলিশ কুমার শ্রীবাস্তব। ১৯১২ সালে বিহারের সিওয়ান জেলার জিরাদাইয়ের ব্যাঙ্গরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ছিলেন স্টেশন মাস্টার। শৈশবে পড়ালেখায় কোনো আগ্রহই ছিল না মিথিলিশের। কিন্তু ফুটবল, দাবার মতো খেলাগুলো তাকে আকর্ষণ করতো প্রবল। অমনোযোগী হওয়ায় পড়ালেখার জন্য তাকে পাটনা পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি তার জীবনের প্রথম প্রতারণার কাজটি করেন। প্রতিবেশী সাহায় তাকে টাকা তুলতে চেক-বই দিয়ে তাকে ব্যাংকে পাঠাতো। শীঘ্রই নটওয়ারলাল সাহায়ের সাক্ষর নকল করা শিখে জাল চেকের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে শুরু করেন। প্রায় এক হাজার টাকা তোলার পর তিনি পাটনা থেকে কলকাতা পালিয়ে যান। নটওয়ারলাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। সেখান থেকে বি.কম এবং পরে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে একটি স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। উন্নয়নের নামে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবারের কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। তবে নটওয়ারলালের প্রধান লক্ষ্য ছিল রেলপথে স্বর্ণ, রৌপ্য ব্যবসায়ী এবং প্রহরী ব্যবসায়ীরা। তৎকালীন ভারতের অর্থমন্ত্রী ভিপি সিংহের ছেলের বিয়ের জন্য তৈরি করা গহনাগুলোও দোকান থেকে নাটওয়ারলাল চুরি করেন। এজন্য তিনি ৮২০০০ টাকার জাল চেক ব্যবহার করেন। একবার মিথিলিশ মুম্বাইয়ের টেক্সটাইল কমিশনারের পারচেজিং অফিসারের পরিচয়ে প্রতারণা করার সময় ধরা পরেন। পুলিশ বুঝতে পারে যে মালামালগুলোর রেলওয়ে সার্টিফিকেট জাল করা হয়েছে। এসময় মিতিলিশের সহযোগী নটওয়ারলাল পালিয়ে যায়। ভুল করে পুলিশ মনে করে মিথিলিশই নটওয়ারলাল। এভাবেই তার নাম মিথিলিশ থেকে নটওয়ারলালে পরিবর্তন হয়ে যায়। একজন স্টক-দালালের থেকে ব্যাংকিং সম্পর্কিত নিয়মগুলো শিখে নেন নটওয়ারলাল এবং জাল বাণিজ্যের ডিগ্রী তৈরি করেন। নটওয়ারলাল স্বর্ণকার, ব্যাংকার, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। এই হলেন মিথিলিশ কুমার শ্রীবাস্তব কিংবা মিথিলিশ কুমার আগারওয়াল কিংবা সুরেন্দ্র কুমার কিংবা সিতায়ম আদি কিংবা শঙ্করলাল কিংবা বিএন ময়ূর কিংবা নটওয়ারলালের কিংবা আরো অনেক না জানা নাম। নটওয়ারলাল তার প্রতারণাকে সমাজসেবা হিসাবে বিবেচনা করতেন। কারণ তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দরিদ্র লোকদের সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করতেন। নটওয়ারলাল তার গ্রামবাসীর জন্য অনেকটা রবিন-হুডের মতো ছিলেন। যখন পুলিশ তার পিছু নেয়নি তিনি তার গ্রামের অভাবী লোকদের মাঝে তার লুটপাট করা অর্থ বিলিয়ে দিতেন। তিনি দাবি করেন উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য কখনোই কোন অস্ত্র ব্যবহার করেননি নটওয়ারলাল।

নটওয়ারলাল ভারতের ভিন্ন ভিন্ন ৮ টি রাজ্যে ১০০ টিরও বেশি মামলার মোস্ট-ওয়ান্টেড আসামি ছিলেন।বিচারকের উদ্দেশ্যে নটওয়ারলাল বলেছিলেনঃ "আমাকে এক ঘণ্টার জন্য ছেড়ে দিন, আমি হাজার হাজার হাজার টাকা নিয়ে আসব যে রাস্তায় যে লোকের থেকে আগের বার নিয়েছি সেখান থেকেই। এবং লোকেরা আমাকে স্বেচ্ছায় তা দিয়ে দেবে"। একবারের এক ঘটনা, যা পরে জোকস হিসেবে সারা ভারতে ছড়িয়ে গেছে। নটবরলাল তখন লখনউ জেলে বন্দি। কয়েক মাস পর পর স্ত্রীর চিঠি আসে কিন্তু দেড় বছর ধরে সে কোনও চিঠির উত্তর দেয় না। আট নম্বর চিঠিটি নিয়ে এসে জেলার নটবরলালকে বলেছিলেন, এ চিঠির উত্তর তোমায় দিতেই হবে। নটবরের স্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, তিনি জমি চাষ করবেন। কিন্তু পয়সা নেই। উত্তরে নটবরলাল লিখেছিল, জমির একজায়গায় একফুট নীচে প্রচুর সোনা লুকানো আছে, সেখান থেকে কিছু নিয়ে আপাতত কাজ চালাতে। কদিন পরেই জেল থেকে বেরিয়ে ঘরে ফিরে বাকি ব্যবস্থা সে করে দেবে। চিঠি নটবরের স্ত্রীয়ের কাছে যাওয়ার আগেই পুলিশ গ্রামে চলে গিয়েছিল সোনা উদ্ধারে। কয়েকশো লোক লাগিয়ে পুরো জমি খুঁড়ে ফেলেও সোনা মেলেনি। কয়েকমাস বাদে জেলে নটবরের স্ত্রীর চিঠি এল, তাতে লেখা পুলিশরা খেত চষে দিয়ে যাওয়ার ফলে ফসল এবার খুব ভালো হয়েছে। রাগে অগ্নিশর্মা জেলার নটবরের সেলে এসে চেঁচামেচি করতে থাকলে নটবরলাল বলেছিল, আপনি জোর করেছিলেন তাই চিঠি লিখেছিলাম। এই জন্যই স্ত্রীর চিঠির উত্তর দিতাম না। যে মামলাগুলোর জন্য তার সাজা হয়েছিল সব মিলিয়ে তার মেয়াদ ছিল ১১৩ বছরেরও বেশি। কিন্তু তিনি ২০ বছরেরও কম সময় জেলে কাটিয়েছেন। তাকে নয়বার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং প্রতিবারই তিনি পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে, তিনি কানপুর জেল থেকে পুলিশ-অফিসারের ইউনিফর্ম চুরি করে খুব স্বাভাবিকভাবে হেটে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনা ইতিহাসের অন্যতম বিখ্যাত জেল ভেঙ্গে পালানোর ঘটনা হিসেবে আলোচিত। শেষবার, ৮৪ বছর বয়সে তিনি নয়াদিল্লী রেলস্টেশন থেকে পালিয়ে যান এবং এরপর আর কখনো তাকে পুলিশ খুঁজে পায়নি। তিনি দু’বার তার মৃত্যু নিয়েও মিথ্যা খবর ছড়ান। আইনজীবীর মতে, ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই তিনি মারা যান। তাই বকেয়া শতাধিক মামলা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু তার ছোট ভাই গঙ্গা প্রসাদ শ্রীবাস্তবের মতে, নটওয়ারলাল ১৯৯৬ সালে রাঁচিতে মারা যান। নিজের মৃত্যুর ওপরও নিজের স্টাইলেই রহস্যের পর্দা বিছিয়ে গিয়েছিল প্রতারক নটবরলাল। যে জিরাদাই এলাকায় নটবরলালের জন্ম, সেই এলাকাতেই জন্ম হয়েছিল ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদের। ভাবতেই অবাক লাগে, এই জিরাদাই স্টেশন থেকেই ট্রেনে চড়ে রাজেন্দ্রপ্রসাদ গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতিভবনে। একই স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিল মিস্টার নটবরলালও, দেশের জনগণকে ঠকাবার জন্য। লেখার প্রথম লাইনে ফিরে যাই। এই পৃথিবীর সবচেয়ে বিচিত্র প্রাণী হচ্ছে মানুষ। মানুষ অ্যামাজন অরণ্যের চেয়েও গহীন। যার রহস্য ভেদ করা শুধু দুঃসাধ্য নয়, মাঝে-মাঝে অসম্ভব।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ অনেকদিন পর একটা ভালো পোষ্ট দিয়েছেন।
আপনার এই পোষ্ট হিট হবে। আমার দোয়া আছে।

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


আপনাকে নিয়ে লিখলে মনে হয় আরো বেশী হিট হয়।
সে যাহোক তা দোয়া কি স্বপ্নে পেয়েছেন?
নাকি আপনার গুরু কামরুপকামাক্ষা থেকে এসে
আপনাকে বর দিয়েছেন যে যা বলবেন তাই
ফলে যাবে !!

২| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাটপার বলা ঠিক হচ্ছে। লোকটার মেধা আছে। মেধাকে সম্মান করবেন না?

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এডিক্টেট আর ডিভোটেট সমার্থক শব্দ হলেও
ভিন্ন ভিন্ন অর্থবহন করে। আশক্ত আর অনুগত
একটা খারাপ কাজ আর একটা মহৎ কাজ বুঝায়।
মদে আশক্ত আর আল্লার প্রতি অনুগত হলো এডিক্টেট
আর ডিভোটেট এর ব্যবহার। সুতরাং বাটপারের মেধা
খারাপ অর্থেই ব্যবহার করা যথার্থ। তবে প্রতারকও বলতে
পারতাম কিন্ত মন টানলোনা!!

৩| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইন্টারেষ্টিং।
জমি চাষেরটা অতিরিক্ত বলে মনে হচ্ছে।

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি ঠিক জানিনা !!
তবে যা শুনেছি তাই
বয়ান করলাম। অবশ্য
এরকম একটা গল্প
এখনো চালু আছে।

৪| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই মেধাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে কোন ভালো কাজে লাগালে পুরো পৃথিবী উপকৃত হতে পারতো। অথচ তা কেউ করবে না।

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কেউ আসক্ত হয় আবার কেউ অনুগত হয়।
নটওয়ারলালা প্রতারণায় আসক্ত হয়ে ছিলেন
যেখান থেকে তাকে ফিরানো দূরহ ছিলো।
তবে তার কাছে তার প্রতারণা কর্ম খারাপ
বলে বিবেচিত হতোনা বলেই হয়তো তিনি
এ পথ থেকে ফিরে আসেন নি। তার মতে
এটা সমাজ সেবা !!

৫| ০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মেধাবী লোকেরা অসৎ হলে আমি খুব কষ্ট পাই।

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবুহেনা ভাই মেধা না থাকলে অসৎ হওয়া যায়না বাটপারীও
করা যায়না। আমাদের মতো মেধাহীনরা না ঘরকা না খাটকা!!

৬| ০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: রানা প্লাজা নিয়ে আপনার একটা পোস্ট ছিল ২০১৪ সালে । জন্ম মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু লিখেছেন । রাজা নটরলাল সিনেমা আছে বলিউডে ।

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

২০২০ সালে ১০১৪ সালের স্মৃতিচারণ !!
খুব ভালো। আমার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে
আর একবার পড়ুন সব তথ্য পাবেন আশা করি।

৭| ০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি সাংঘাতিক লোক ছিলেন তাহলে!!!

০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাহা বাটপার। সাহেবদের
ভাষায় অবশ্য প্রতারক।
প্রতারণাও এখন একটা
শিল্প !! =p~

৮| ০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,





সত্যিকারের নটবর লালের কথা জানা ছিলোনা তবে বচ্চনের নটওয়রলাল ছবিটির কথা জানি।

নটওয়রলাল এর মতোই আর একজন বাটপার " ভিক্টর লাসটিগ " আইফেল টাওয়ার বিক্রি করছিলেন দুই দুইবার ১৯২৫ সালে। ১৯৩৫ সালে জাল নোট তৈরীর অপরাধে তার জেল হয়। নটওয়রলাল এর মতো সেও জেল পালায়। তার মৃত্যুর সন তারিখ নিয়েও ছিলো রহস্য।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৮:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জিএস ভাই
এখন নটওয়ারলাল কিংবা লসটিগ কে আর
বড় বাটপার মনে হয়না। সব থেকে বড় বাটপার
আমাদের দেশের গরীবের ত্রান ক্যামেরার সামনে
দিয়ে পিছনে তা কেড়েনেওয়া বাটপার।
এদের কাছে নটওয়ারলাল কিংবা লাসটিগ
নিতান্তই শিশু !!

৯| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: তার সম্পর্কে আগেও পড়েছিলাম।গল্প হিসেবে।এইবার আরো বিস্তারিত পড়লাম। তাকে নিয়ে যেমন সিনেমা হয়েছিলো। আমেরিকার আর একজন কন আর্টিস্ট এতটাই বিখ্যাত হয়েছিলেন যে তাকে নিয়েও সিনেমা হয়েছিলো।সেই সিনেমা সম্ভবত অস্কারও জিতেছিলো।

ফ্রাঙ্ক এবাগনেল

ইনি অবশ্য মাত্র ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সের ভিতরে বড় অপকর্মগুলো করে ফেলেছিলেন।গ্রেপ্তারের পরে এফবি আই তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে চাকরি দিয়ে দিয়েছিলো।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ কল্পদ্রুম
লেখাটি মনোযোগসহকারে
পড়ার জন্য। আপনার লিংকের জন্য
ধন্যবাদ

১০| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,




প্রতিমন্তব্যে একেবারে খাঁটি বাটপারদের কথাই বলেছেন।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই
বাংলাদেশী বাটপারদের ব্যাপারে
সহমত প্রকাশের জন্য।

১১| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এমন বাটপারের প্রয়োজন আছে।কখন কার কাজে লেগে যায়।পৃথীবিতে কোন কিছুই ফেলনা না।একবার আমার এক বন্ধু জামিন অযোগ্য মামলায় জেলে ছিল আট বছর।জিয়ার সাথে প্রতারনা করে ছাড়া পান।বাকি জীবন প্রতারনা করে বিএনপির বড় মাপের নেতা হয়ে যান।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

প্রতারক কখনোই ভালো না।
প্রতারক সব সময়ই প্রতারক,
খুন বা ডাকাতির চেয়ে কোনো
অংশে কম নয় প্রতারণা। তাই
প্রতারণা ও প্রতারক এড়িয়ে
চলুন।

১২| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট গুলো আমার খুব ভালো লাগে।
কেমন একটা ভেলকি আছে।

ভেলকি শব্দের মানে আমি জানি না। অভিধানে এই শব্দ আছে কিনা তাও জানি না।

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব রণে ভঙ্গ দিলেন তা হলে।
শুভবুদ্ধির উদয় হবার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার গুরুর কাছ থেকে আরও
শিখুন তার পরে না হয় রণে আসবেন।

সে যা হোক! আপনার জন্য ভেলকি, ভেল্কি -শব্দের অর্থ বলছি।
এটি একটি [বিশেষ্য পদ] যার অর্থ ইন্দ্রজাল, (ভেলকির খেলা),
জাদু, ম্যাজিক, ভোজবাজি, ধোঁকা ইত্যাদি।,

১৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভেবেছিলাম তাজমহল বেচার কাহিনী লিখবেন :(

০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খাঁজা বাবা লেখায় উল্লেখ আছে নটওয়ারলাল তৎকালীন
ভারতের রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদের স্বাক্ষর জাল করে
একবার নয় তিনবার তাজমহল বিক্রী করে ছিলেন।

১৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ++লাইক

০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ লাইকের জন্য।
ভালো থেকো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.