নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
হলিউডের ৫০ এর দশকের সুপারস্টার হিসেবে খ্যাত স্বর্ণকেশী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো। পিতৃপরিচয়হীন অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে ছিলেন মনরো। একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে অভিভাবকহীনতায় আশ্রয় জোটে এতিমখানায়। ছেলেবেলায় অনাথাশ্রমে থেকেছেন মেরিলিন। এরপর ভিন্ন ভিন্ন ধাপে ১১ জন পালক বাবা-মায়ের কাছে বড় হন তিনি। পরবর্তীতে জীবনের নানা উত্থান-পতন কাটিয়ে সময় যেন তাকে নতুনভাবে গড়ে তোলে। ছোটবেলার এই অসহয়ত্বই যেন সাফল্যে তার মনোবল হয়ে দাঁড়ায়। ভাগ্যের সুপ্রসন্নতায় মডেল হিসেবে শুরু হয় তার ক্যারিয়ার। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা হিসাবে। দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মালেও সৃষ্টিকর্তা যেন দু'হাত ভরে সৌন্দর্য দিয়েছিল তাকে। খুব অল্প সময়েই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে ছিলেন তিনি৷পরবর্তীতে অনেক অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পী তাঁকে অনুকরণ করেন৷ পপ মিউজিক তারকা লেডি গাগা অথবা ম্যাডোনার কাছে তিনি ‘সেক্স সিম্বল’ বা ‘যৌন আবেদনময়ী’-র একজন আদর্শ মডেল৷মৃত্যুর ৫৭ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে৷ কিন্তু আজও ভক্তদের হৃদয়ে তিনি রয়ে গেছেন চিরসবুজ ‘বিউটি আইকন’ হিসেবে৷মডেল হিসেবে বিনোদন জগতে যাত্রা শুরু করে মডেলিংয়ের হাত ধরেই এক সময় চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের সুযোগ মেলে তাঁর। ১৯৪৭ সালে মুক্তি পায় মনরো অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য শকিং মিস পিলগ্রিম’। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন আবেদনময়ী এ অভিনেত্রী। মনরো অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘অল অ্যাবাউট ইভ’, ‘ডোন্ট বদার টু নক’, ‘ডাম্ব ব্লন্ডে’, ‘জেন্টলম্যান প্রেফারস ব্লনডে’, ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিয়নেয়ার’, ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’, ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল’, ‘বাস স্টপ’, ‘সাম লাইক ইট হট’, ‘দ্য মিসফিটস’ এবং ‘মেরিলিন’। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, ক্রিস্টাল স্টারসহ অসংখ্য পুরস্কার। মনরো তার হাসির ঝলকানিতে, অপার সৌন্দর্যের মুগ্ধতায়, সুমিষ্ট কণ্ঠের আবেশে, তীক্ষ্ণ চাহনিতে মোহাবিষ্ট করে গেছে সমগ্র বিশ্বের লাখ লাখ তরুণকে। তাই মৃত্যুর ৫৭ বছর পরেও সর্বকালের সেরা আবেদনময়ী তারকা ও অভিনেত্রী হিসেবে শীর্ষে স্মরণ করা হয় হলিউডের সৌন্দর্যের এ রানীকে। তবে দুঃখের বিষয় অভিনয়ে চোখ ধাঁধালেও মেরিলিন মনরো কখনও অ্যাকাডেমি মনোনয়ন পাননি। তবে ‘সাম লাইক ইট হট’ চলচ্চিত্রে সুগার ক্যানের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি গোল্ডেন গ্লোব জেতেন। আজ স্বর্ণকেশী মেরিলিন মনরোরর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। ল্যাস্যময়ী চিত্র তারকা মেরিলিন মনরোরর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা
(মায়ের সাথে শিশু মনরো)
১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে কাউন্টি নামক একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন মনরো। মায়ের নাম অনুসারে তার নাম রাখা হয় নর্মা জীন বেকার। মা গ্লাডিস পার্ল বেকারের তৃতীয় সন্তান মনরো। গ্লাডিস ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নেগেটিভ কাটার কাজ করতেন। মাত্র পনের বছর বয়সে বিয়ে করেন তার চেয়ে নয় বছর বড় জন নিউটন বেকারকে। দাম্পত্য জীবনে তাদের রবার্ট এবং বার্নিস নামে দুই সন্তানের জন্ম হয়। তবে ১৯ বছর বয়সেই জনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং জন দুই সন্তান নিয়ে কেন্টাকি চলে যান। এর প্রায় তিন বছর পর ১৯২৪ সালে গ্লাডিস পুনরায় বিয়ে করেন মার্টিন এডওয়ার্ড মর্টেনসনকে। মনরো যখন তার গর্ভে তখন মার্টিন জানতে পারেন এই সন্তান তার নয়। এমনকি মানসিকভাবে অসুস্থ গ্লাডিস নিজেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন। মনরোর জন্মের ২ বছর পর ১৯২৮ সালে মার্টিন গ্লাডিসকে তালাক দিয়ে চলে যান। ফলে মনরোকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন গ্লাডিস। তার স্বল্প আয়ে মনরোর ভার নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এছাড়া, মনরোর জন্মের পর গ্লাডিসের মানসিক অবস্থার আরো বেশি অবনতি ঘটে। এমনকি তিনি বেশ কয়েকবার মনরোকে বালিশ মুখে চেপে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন। তাই তখন তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, আর ছোট্ট মনরোকে রেখে আসা হয় এতিমখানায়। মনরোর শৈশব কেটেছে অনেক কষ্টে। অনাথ আশ্রমের কঠোর অনুশাসনের মাঝে তার জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এরপর ১২ বছর বয়সে এক পালক পিতা-মাতার গৃহে আশ্রয় পান মনরো, ফলে চাইল্ড হোমের অনুশাসন থেকে মুক্তি মেলে তার। সেখানে তিনি পূর্ণ স্বাধীনতায় জীবনযাপন শুরু করেন। এই পালক মা ছিলেন তার আসল মায়েরই বান্ধবী। কিন্তু ভাগ্য সেখানেও তার সহায় ছিল না। ১৯৪২ সালে পরিবারে অভাব দেখা দেয়। ফলে তাদের অভাব-অনটনের মাঝে মনরোর দেখাশোনা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই পুনরায় তারা মনরোকে আশ্রমে পাঠানোর মনঃস্থির করেন। কিন্তু সেখানের আত্যাচারের কথা স্মরণ করেই শিউরে ওঠেন মনরো। মনরো যে বাড়িতে থাকতেন তার পাশেই থাকতেন জেমস ডগার্থি। প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে মনরোর সাথে আলাপ এবং পরবর্তীতে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুনরায় আশ্রমে যাওয়ার ভয়ে সে বছরেই ১৯ জুন মনরো জেমসের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন। জেমস এয়ার ক্রাফট প্লান্টে কর্মরত ছিলেন। জেমসের সহায়তায় বিয়ের পর মনরো এরোপ্লেন পার্টস কোম্পানীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ পান। রূপের লাবণ্য আর শরীরের মোহনীয় অভিব্যক্তির জন্য অল্প কিছুদিনের মাঝেই সেখানকার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন মনরো। কোম্পানীর শো-গার্ল হিসেবে মডেলিংয়ের সুযোগ পান তিনি। কাজের মাধ্যমেই তার পরিচয় হয় ডেভিড কনোভার সাথে। ডেভিড একটি পত্রিকার জন্য তাকে মডেলিংয়ের প্রস্তাব দেন এবং পরবর্তীতে সেই ছবি বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সাড়া তোলে। মডেলিংয়ের নেশায় মনরো ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন ডেভিডের সাথে। এরপরেই বেশ কয়েকটি পত্রিকায় তার ছবি ছাপা হয় এবং সৌন্দর্যের আলোড়নে বড় বড় এজেন্সি থেকে মডেলিংয়ের জন্য প্রস্তাব আসতে থাকে। গ্লামার জগতে তার ঝোঁক থাকলেও সেখানে বাধা হয়ে আসেন স্বামী জেমস। "সংসার করতে হলে মডেলিং ছাড়তে হবে"- এমন পরিস্থিতিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জেমসের সাথে চার বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন মনরো।
১৯৪৬ সালে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন মনরো। সেখান থেকেই নর্মা জীন বেকার নাম পরিবর্তন করে পরিচিত হন মেরিলিন মনরো নামে। বাদামী চুলের রঙ পরিবর্তন করে তাতে প্লাটিনামের সোনালী আভা আনেন, পরবর্তীতে এই স্বর্ণালী কেশই তাকে অন্যদের থেকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে দর্শকদের কাছে। ১৯৪৭ সালে টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স স্টুডিও পরিচালিত দুটি ছবি প্রকাশ, পায় যাতে খুব অল্প সময়ের জন্য পর্দায় দেখা যায় মনরোকে। কিন্তু এতে তিনি তেমন জায়গা করতে সক্ষম হননি দর্শক-হৃদয়ে। এরপর ১৯৫০ সালে এই স্টুডিও পুনরায় 'অল অ্যাবাউট ইভ' চলচিত্রের জন্য তাকে চুক্তিবদ্ধ করে। এই সিনেমায় লাস্যময়ী অভিনয়ে রাতারাতিই তারকা বনে যান তিনি। হলিউডের বিউটি কুইন মেরিলিন মনরো তার জীবনে অভিনয় করেছেন ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে। তার সাড়া জাগানো চলচিত্র রাইট ক্রস (১৯৫১), হোম টাউন স্টোরি (১৯৫১), ক্ল্যাশ বাই নাইট (১৯৫২), উই আর নট ম্যারিড (১৯৫২), নায়াগ্রা (১৯৫৩), জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস (১৯৫৩), হাউ টু মেরি এ মিলিয়নেয়ার (১৯৫৩) প্রভৃতি মুক্তি পায়। সবগুলো সিনেমাতেই তাকে যৌনাবেদনময়ী নারী হিসেবে পর্দায় দেখা যায়। ১৯৫৯ সালে তার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে 'সাম লাইক ইট হট' সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমায় তিনি একজন গায়িকার ভূমিকায় নজরকাড়া অভিনয় করেন এবং বিপুল সমাদৃত হন। তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য জিতে নেন 'গোল্ডেন গ্লোব' পুরস্কার। মনরোর অভিনীত শেষ চলচিত্র ছিল দ্য মিসফিট (১৯৬১)। পর্দায় তার খোলামেলা পোশাক একদিকে যেমন সমালোচনার ঝড় তুলেছে, অন্যদিকে তিনি হয়ে ওঠেন লাখো তরুণের হৃদয়ের রানী। এর ভেতর 'জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস' সিনেমার জন্য তার অভিনয় বিপুলভাবে আলোচিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন। ব্যবসাসফল এই সিনেমার আয় ছিল প্রোডাকশন খরচের দ্বিগুণ। 'হাউ টু মেরি এ মিলিয়নেয়ার' সিনেমাটিও বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে। সে বছরেই খ্যাতির শীর্ষে অবস্থিত মনরো প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ উন্মুক্তভাবে নিজেকে প্রকাশিত করেন 'প্লে বয়' ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে। প্লেবয় ম্যাগাজিনে মনরোর আলোচিত ন্যুড ফটোসেশনের জন্য তাকে মাত্র ৫০ ডলার দেওয়া হয়। আসলে ১৯৪৯ সালে আলোকচিত্রী টম কেলি ছবিগুলো ক্যালেন্ডারের জন্য তোলেন। পরে প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রকাশক হিউ হেফনার ৫০০ ডলারে কিনে নেন মনরোর ছবিগুলো।
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৫৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন দীর্ঘদিনের বন্ধু ডি মিয়াগোর সাথে। বিয়ের পর তিনি কোরিয়া যান এবং সেখানে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন তাকে গায়িকা হিসেবেও জনপ্রিয় করে তোলে। সেই বছরেই ফেব্রুয়ারি মাসে 'ফটোপ্লে অ্যাওয়ার্ড' থেকে সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার পান তিনি। এরপর ম্যানহাটনের একটি সাবওয়েতে 'দ্য সেভেন ইয়ার ইচ' সিনেমার শুটিংয়ে বাতাসে ওড়া স্কার্টের একটি দৃশ্য রেকর্ড করা হয়। সেখানে প্রায় দুই শতাধিক দর্শক মনরোর সেই দৃশ্য বেশ উপভোগ করছিল। সাদা পোশাকের সেই ছবিটিও পরবর্তীতে বেশ আলোড়ন তোলে। তবে তার এই দৃশ্যে অভিনয়ে বেশ বিরক্ত হন ডি মিয়াগো। ফলে মাত্র ৯ মাস পরেই তিনি ডিভোর্স দেন মনরোকে।এরপর বেশ কিছুদিন নিজেকে অভিনয় জগত থেকে সরিয়ে অভিনয় শেখা ও বিভিন্ন কর্মশালায় ব্যস্ত রাখেন মনরো। সেসময় একাকী জীবনে সঙ্গী হয়ে আসেন চিত্রনাট্যকার আর্থার মিলার। ১৯৫৬ সালের ২৯ জুন মনরো তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেন, স্বামী আর্থার মিলার। সাংসারিক জীবনে মিলারের সাথেই তিনি সবচেয়ে সুখে ছিলেন। বিয়ের পর নতুন রুপে আবার আসেন পর্দায় 'বাস স্টপ', 'দ্য প্রিন্স এন্ড দ্য শোগার্ল' সিনেমার মাধ্যমে। 'দ্য প্রিন্স এন্ড দ্য শোগার্ল' সিনেমাটি ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বাফটা অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পায়। এছাড়াও সে বছরে ইতালি ও ফ্রান্সে দুটি পুরষ্কার অর্জন করেন তিনি। ক্যারিয়ারের এই মধ্যগগনে জীবনের নানা হতাশায় তিনি অধিক ঔষধ সেবন ও মদ্যপান শুরু করেন। ফলে কাজে অনিয়ম আর অমনযোগী মনরো পরিচালকদের কাছেও অপ্রিয় হতে শুরু করেন। শোনা যায়, এরই মাঝে সন্তানসম্ভবা হলেও জটিলতার কারণে তিনি মা হতে পারেননি। চিকিৎসকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জন্মগত সৌন্দর্যকে আরো নিখুঁত করতে মনরো কসমেটিক সার্জারিও করিয়েছিলেন চিবুকে। একাকীত্ব আর হতাশায় বেশিরভাগ সময়েই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকতেন। এছাড়া নেশাদ্রব্যের ছাপ তার চেহারায় বিষণ্নতা ফুটিয়ে তুলেছিল। ১৯৬১ সালেই ব্যক্তিগত মতামতের অমিল হেতু ডিভোর্স হয় মিলার ও মনরোর।
(জন এফ. কেনেডির জন্মদিনের পার্টিতে মনরো)
জীবনের নানা সময়ে নানা মানুষের সাহচর্যে বেষ্টিত থাকলেও শেষ জীবনে পাশে কেউই ছিলো না মনরোর। লস অ্যাঞ্জেলসে একাই থাকতেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালের স্নায়ুযুদ্ধের সময় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সময় প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির একজন ঘনিষ্ট লোক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। শেষ জীবনে কেনেডির সাথে বেশ ঘনিষ্টতার কাহিনী শোনা যায় তার। সেই বছর মে মাসে কেনেডির জন্মদিনে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি এবং পার্টিতে তার গাওয়া 'হ্যাপি বার্থডে মি. প্রেসিডেন্ট' গানটি এখনও মানুষের কানে ভাসে। এছাড়াও তার গাওয়া 'মাই হার্ট বিলংস টু ড্যাডি', 'আই ওয়াননা বি লাভড বাই ইউ' এবং 'ডায়মন্ডস আর এ গার্লস বেস্ট ফ্রেন্ডস' গানগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল, যা তাকে সফল গায়িকার খেতাব দিয়ে গেছে। কেনেডির জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার এক মাস পর ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট লস অ্যাঞ্জেলসে নিজ বাসভবনেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ড্রাগ ওভারডোজকে দায়ী করা হলেও অনেকে আজও বিশ্বাস করে মনরোকে হত্যা করা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। সেসময় একইসাথে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায় জন এফ. কেনেডি ও তাই ভাই রবার্ট কেনেডির সাথে। মৃত্যুর প্রায় ১ ঘন্টা আগেও দুজনের সাথে গোপন সম্পর্ক ও মনরোকে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচন্ড তর্ক হয়েছিল তার- এমনটাই বলেন মনরোর গৃহকর্মী। তারা চলে যাবার পর মধ্যরাতে গৃহকর্মী মনরোর ঘরে আলো জ্বলতে দেখে দরজার কড়া নাড়লে ভেতর থেকে আর সারা পাননি। ভীতসতস্ত্র হয়ে তিনি ফোন দেন মনরোর ব্যক্তিগত সাইকিয়াট্রিস্ট ড. রালফ গ্রিনসনকে। তিনি এসে জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মনরোর নগ্ন দেহ নিথর অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এক হাতে ফোন আর পাশে ঔষধের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা যায়, মনরো মৃত্যুর পূর্বে শেষ ফোন জন এফ. কেনেডিকেই দিয়েছিলেন। মনরো তাদের সম্পর্ক সবার সামনে আনার হুমকি দিয়েছিল। তাই তার বেঁচে থাকা কেনেডির কাজের পথে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ঠিক এ কারণেই তাকে চলে যেতে হয়েছে- এমনটাই মনে করেন মনরোর অনেক ভক্ত। তবে সন্দেহের বাস্তবে কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই মনরো আত্মহত্যা করেছিলেন জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা নিয়ে- এমনটাই তদন্তে লেখা হয়। ছোটবেলার দুর্ভাগ্য কাটিয়ে একসময় ভালবাসা, নাম, যশ, খ্যাতি সবই অর্জন করেছিলেন। কিন্তু শেষজীবনে বারবার কঠিন পরিস্থিতি যেন নিঃসঙ্গই করে দিয়েছিল তাকে। তবে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও তার হাসির মোহাবিষ্ট লাখ লাখ ভক্ত আজও তার সৌন্দর্যের রহস্য খুঁজে বেড়ায়। মেরিলিন তার দ্বিতীয় স্বামী জয় ডিম্যাজিওকে প্রতিজ্ঞা করান, তিনি মারা যাওয়ার পর ডিম্যাজিও যেনো প্রতি সপ্তাহে মনরোর কবরে ফুল দেন। ডিম্যাজিও তার প্রতিজ্ঞা রেখেছিলেন। তিনি ২০ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে মেরিলিন মনরোর কবরে আধডজন গোলাপ রেখে আসতেন। মেরিলিন তার মোহনীয় হাসি, ঝলমলে চুলের আভা আর হাসির জাদুতে মনরো রুপালী জগতের মাধ্যমে দর্শক-হৃদয়ে যে জায়গা করে গেছেন, তা আজও অমলিন। তাই মৃত্যুর ৫৭ বছর পরও চলচিত্র জগতে সেরা অভিনয়ের জন্য তাকে স্মরণ করা হয়। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে তাকে 'গ্রেটেস্ট ফিমেল স্টার অফ অল টাইম' খেতাব দেওয়া হয়।আজ স্বর্ণকেশী মেরিলিন মনরোরর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। ল্যাস্যময়ী চিত্র তারকা মেরিলিন মনরোরর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক
[email protected]
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুচিত্রা আমাদের গর্ব
সুচিত্র আমাদের অহংকার।
২| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আহ মেরিলিন !!!
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আহা উহু করে লাভ নাই
আপনার সাথে যায় না!!!
৩| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৫
সত্যপীরবাবা বলেছেন: প্রথম ছবিটি খুব সম্ভবত মেরিলিন মনরোর না। মেরিলিন মনরোর চরিত্রে Kelli Garner
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমারও তাই ধারণা!!
সংশোধন করে দিলাম!
আপনাকে ধন্যবাদ পীর বাবা।
৪| ০২ রা জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩২
অনল চৌধুরী বলেছেন: এটা তো ধর্মবিরোধী হয়ে গেলো !!!!
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা, কিভাবে যেন হলো !!!
৫| ০২ রা জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৮
সত্যপীরবাবা বলেছেন: ছবি পরিবর্তন করেছেন, আমার দ্বিতীয় মন্তব্য প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। মন্তব্যটি মুছে দিন, এটিও।
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোন ব্যাপারনা, ক্রেডিট গোস টু ইউ !!
৬| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অকালেই প্রতিভা নিভে গেল।
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাইদুল ভাই
প্রতিভাবানরা সর্বদাই ক্ষণজন্মা হয়।
যা মানুষকে কাঁদায়, এটাই ট্রাজেডি!!
৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:০০
অনল চৌধুরী বলেছেন: মনরো অভিনয়ের জন্য কোনোদিন খ্যাতিমান হননি, হয়েছেন তার চেহারা শারীরিক গঠন আর রঙ্গীন চলচ্চিত্রে প্রথমদিকে নগ্নতা প্রদর্শনের জন্য।
তাকে নিয়ে কিভাবে লিখলেন,বুঝলাম না।
০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইতিহাসে রাজা রানীর কথা যেমন লেখা থাকে
তেমনি থাকে চোর ডাকাত আর গুন্ডা বদমায়েশের
নাম। ইতিহাস সমুদ্রের মতো যার গহাীনে আছে
হিরা মানিক্য জহরত পচা গলা লাশ। সুতরাং অন্য
সবার মতো মনরোরও ঠাই হয়েছে ইতিহাসে !!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:২৮
সত্যপীরবাবা বলেছেন: খিতা মাতেইন রে বা।
সুচিত্রা সেনের ধারের কাছেও না