নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
একদা এক দরিদ্র মাতা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর নিকট এক আর্জি নিয়ে হাজির হলেন। দরিদ্র সেই মহিলার ছেলে মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করতো এবং প্রতিদিনই তার মায়ের কাছ বায়না করত মিষ্টি খাবার জন্য। অভাবের সংসারে দরিদ্র মাতার পক্ষে প্রতিদিন মিষ্টি যোগার করা ছিল অসম্বভ। এই সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি নবীজির কাছে গেলেন যাতে তিঁনি তার ছেলেকে মিষ্টি খেতে বারণ করেন। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) গরীর মাতার কাছে বিস্তারিত শুনে তাকে পরের দিন আসতে বললেন। মহিলা পরের দিন নবীজির কাছে আসলে তিনি তাকে আবরো পরের দিন আসতে বললেন। এই ভাবে পর পর কয়েক দিন আসার পরে নবীজি দরিদ্র মাতার ছেলেটিকে বললেন, তুমি আর তোমার মায়ের কাছে প্রতিদিন মিষ্টি খাবার বায়না করো না। ছেলেটি নবীজির কথায় সায় দিলো এবং মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিলো। দরিদ্র মাতা তার ছেলের মিষ্টি খাবার বায়না থেকে রেহাই পেলেও একটি কথা তার মনে ঘুরপাক খেতে লাগলো। নবীজি কেন তাকে এই সামান্য কথাটি বলার জন্য বারে বারে আসতে বললেন। একদিন তিনি আবার নবীজির দরবারে হাজির হয়ে তার মনের মাঝে উদয় হওয়া প্রশ্নটি করলেন। "নবীজি আপনি আমার ছেলেকে মিষ্টি খেতে বারণ করায় সে এখন আর মিষ্টি খাবার জন্য বায়না ধরেণা। তবে এই কথাটি বলতে আপনি কেন এত দিন সময় নিলেন?" নবীজি কি উত্তর দিয়েছিলেন তা আপনাদের সবার জনা। তবে দুঃখ হয় আমরা আমাদের প্রিয় নবীর উম্মত হয়েও তার শিক্ষা ও উপদেশ আমাদের জীবনে গ্রহণ করতে পরিনাই। আমারাও যদি এই কাহিনীর অন্তর্নিহিত উপদেশের সাথে আমাদের বিবেক ও দায়িত্বশীলতাকে জাগ্রত করতে পারতাম তা হলে অনেক সমস্যা ও বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারতাম।
আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে একটি সাধারণ প্রবণতা হল—অন্যকে পরামর্শ প্রদান। সবাই কেবল অন্যের সংশোধন চাই; কিন্তু নিজের দিকে ফিরে তাকাবার তাহার সময় নাই বললেই চলে। নিজের যে গাফিলতি তার দিকে প্রথমে দৃষ্টিপাত না করে অন্যের দুর্বলতা আবিষ্কারে অনেকে আনন্দ খুঁজিয়া পান। ইহা যেমন সাধারণ মানুষের আচরণে প্রকাশ পায়, তেমনি প্রকাশ পায় তেথাকথিত শিক্ষিত সমাজেও। আমরা সম্পূর্ণরূপে নিজের অবস্থান ভুলিয়া অপরের দোষত্রুটি উন্মোচন করতে তৎপর হই। আমরা কেহই উপলব্ধি করিনা যে, কোথায় আমার গাফিলতি আছে। তাই সংশোধনের পথও উন্মুক্ত হয় না। এতে একটি অচলায়তনের সৃষ্টি হয়; অসংশোধনের অমোঘনীয় চক্রে আটকা পড়ি আমরা সবাই। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এই দুষ্ট ক্ষত হতে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে। এই অচলাবস্থা হতে মুক্তির পথ হতে পারে আমাদের সমাজেই চালু থাকা একটি পুরাতন প্রবচনের অনুসরণ, তাহা হল :‘আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখাও’। অর্থাৎ অপরকে এটা কর ওটা কর না উপদেশ দেয়ার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত। যে কাজ আমি করি না তা অপরকে করার পরামর্শ দেয়া বা যে কাজ আমি করি তা অপরকে না করার জন্যে বলাটা এক ধরনের হিপোক্রাসি বৈ কিছু নয়। তাই আগে নিজে সংশোধিত হয়ে নিঃশব্দে অন্যের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। তার পর অন্যকে সংশোধিত হবার আহ্বান জানাতে হবে। এটাই সর্বোৎৃকৃষ্ট পন্থা। এই প্রবচনের মর্ম ও তাত্পর্য সকলে উপলব্ধি করিবেন। কারণ কথারম চেয়েস সরাসরি কর্ম বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা সকলে আগে নিজে সংশোধিত হয়ে নিঃশব্দে অন্যের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবো। এর অনুশীলন বৃদ্ধি পেলে সাধারন ব্যক্তি পর্যায় হতে শুরু করে উচ্চ শ্রেণির সবার ক্ষেতে তা ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তনের সূচনা করবে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমরা যা না তাই প্রচার করতে বেশি ভালবাসি। আমাদের সমাজেই আরেকটি বহুল প্রচারিত প্রবাদ আছে - “চোরের মায়ের বড় গলা।” আমাদের সমাজে, বিশেষ করে ব্লগে তা অহরহ উচ্চারণ হয়। ব্লগে আমাদের কর্মকাণ্ডে রয়েছে নানা অনিয়ম ও অবহেল। যার কারনে বিভিন্ন জট পাকাচ্ছে।ফলে ব্লগে আমাদের যা বলা উচিত, তা বলতে পারিনা। তাই সময় এসেছে নিজেদেরকে শুদ্ধ করে নেবার। তেমনি তার ব্লগারদের মানুষ করার দায়িত্ব নেবার। অতএব, একে অপরের খুঁত অন্বেষণ না করে আমাদের প্রত্যেকের আত্ম-উন্নয়নে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। আয়নায় নিজের চেহারা দেখে আগে নিজের সংশোধন দরকার। আমরা যদি সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব- কর্তব্য পালনে আরো সচেষ্ট হই, তালেই একটি সুন্দর ও ক্যাচালমূক্ত ব্লগের প্রত্যাশা পূরণ হবে। তাই আসুন আমরা আলোকিত হই জোনাকির মতো আপন আলোয়।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ মেটালক্সাইড
আত্নশুদ্ধি বা সংশোধনের জন্য পারিপার্শ্বকতার
ভূমিকা অস্বীকার করা যাবেনা সত্যি। তবে সবাই
যদি গড্ডালিকা প্রবাহে গাঁ ভাসিয়ে দেয় তা হলেতো
আত্মশুদ্ধি আসবেনা। অন্ধ অনুকরণ সমাজের জন্য
কখনোই কল্যানকর নয়। বিবেক বুদ্ধি খাটাতে হবে।
কথায় আছে আপ ভালোতে যগত ভালো।
২| ০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুখি সুখি মিষ্টি সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে যায় সামান্য খামখেয়ালির জন্য।
আফসোস।
০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কতইনা নির্বোধ আমরা
কাউকে জানিনা চিনিনা
অথচ আমরা তাদের সাথে
সু সর্ম্পকের বদলে তার কাছ
থেকে অভিশম্পাত কুড়াই।
৩| ০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা যেই রকম উন্নত মানের জীবনযাত্রা, ভিন্ন স্তরের সভ্যতা, টেকনোলোজী ও কমপ্লেক্স অর্থনীতিতে বাস করছি, এই ধরণের সভ্যতা সম্পর্কে ইসলামের নবী (স; )'এর কোন ধারণা থাকার কথা নয়; ফলে, আমরা কিভাবে উনার উপদেশ মেনে চলবো?
০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব ইসলামের নবী (সঃ ) মানব জীবনের চলার যে উদেশ ১৪০০ বছর আগে দিয়ে গেছেন
তা এখনও যুপযোগী। পৃথিবী ধ্বংশ না হওয়া পর্যন্ত এর উপযোগীতা হ্রাস পাবেনা। শুধু কমে যাবে
আমাদের জ্ঞান ও সৃস্টিকর্তার উপর বিশ্বাস তাও তিনি বলে গেছেন।
৪| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: সুন্দর আহবানে ভাললাগা জানিয়ে গেলাম হে নূরের বর্তিকা নূরু ভাই।
০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় মবীন ভাই।
আমি যা বিশ্বাস করি তাই অন্যকে জানাই।
তবে ডিজিটাল যুগের মানুষ আমার চেয়ে বেশী
জানে। তাই আমার সারা দিনের নসীহত এক কান
দিয়ে শুনে আর এক কান দিয়ে বের করে দেয়।
৫| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "মানুষের অহংকারই তার পতনের মূল কারণভ সামান্য একটা অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অসমর্থ হয়ে এখন মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে এ থেকে মুক্তি পেতে। কত অসহায় মানুষ।"
-এবার আপনি কথা ঘুরায়ে দিয়েছেন; আমরা কথা বলছিলাম মানুষের সভ্যতা, জ্ঞান, জীবনযাত্রার মান নিয়ে; আপনি উহাকে মানুষের ও সৃষ্টিকর্তার মাঝে নিয়ে গেছেন। আপনি বলেন ১৪০০ বছর আগের মানুষের উপদেশের কথা; মানুষ গত ৩০ বছরে এত উপরে চলে গেছেন যে, গত শতাব্দীর অনেক ধারণা বদলায়ে যাচ্ছে।
০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হয়তো মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়েছে
কিন্তু মানবতায় নয়। মানুষ তার মানবিক
মূল্যবোধ বিজর্সন দিয়ে এখন ত্রানের চালও
চুরি করতে দ্বিধা করেনা। অথচ উপদেশ দিচ্ছ
সবাইবে মানবিক হতে। আমার এ লেখা তাদের
জন্য। আগে নিজেকে শোধরাও পরে উপদেশ দাও।
৬| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একজন মুসলিমের আচার-আচরণ অবশ্যই অন্য ধর্মের লোকদের আকর্ষণ করতে হবে। ইসলামের যে সাম্যের বাণী তা পৃথিবী ধংস পর্যন্ত চলবে
০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা সবাই এই শ্বাশ্বত বানী গুলো জানি
উপদেশ দেই সবাইকে এটা অনুসরণ করতে
তবে নিজে মানিনা, এটাই পরিতাপের বিষয়!!
৭| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২৫
মেটালক্সাইড বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব এই মন্তব্যটি আপনার জন্য।
কুরয়ান, বাইবেল ও তাওরাতের একই তথ্য সারাংশ যুক্তির খাতিরে উপস্থাপন করব। দয়া করে ধর্মীয়ভাবে নেবেন না।
নুরু ভাইয়ের এই লেখা দর্পণ বা মনের আয়না যা একটামাত্র শব্দে বুঝা যায়।
এই দর্পণে আত্নশুদ্ধিও হয় আবার আত্নধবংস হয়।
আত্নশুদ্ধির প্রত্যয় দেখা যায় শুরুর উপমায় মহিলা যখন নবীজিকে কারণ জিজ্ঞাসা করলেন।
বিবেক থাকায় আমরা জন্তু জানোয়ার থেকে আলাদা। নুরু ভাই প্রতিউত্তরে যে মানবিকতার কথা বলেছেন তাকে আমরা বিবেকের দর্পণ বলতে পারি এককথায়। এই বিবেকের আয়নায় মানুষ অপরিমাপযোগ্য যে কোন কিছুকে পরিমাপ করে নেয়। এর জন্য কোন টেকনোলজি, কোন বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন নেয় বা প্রয়োজন নেই বিশেষ কোন জ্ঞানের। এটি মানুষের জন্ম অর্জিত সত্তা।
আবার আত্নধবংসের প্রত্যয় বুঝা যায় যখন ইবলিস নিজের মনের দর্পণে মানুষের থেকে তার বেশী ক্ষমতার প্রতিবিম্বের রুপের বাস্তবায়ন দেখে।
বন্যপ্রাণীরা নিজের প্রাপ্য একে অপরের সাথে লড়াই করে কেড়ে নেয় কিন্তু ক্ষমা বা দয়া প্রকাশ করতে পারে না। কারণ তাদের মাঝে সেই বিবেক সত্তার অস্তিত্বই নেই।
মানুষ মানব্জন্মের সূচনালগ্ন থেকেই এই দর্পণ নিয়েই পৃথিবীতে টিকে আছে। এর জন্য তার লাগেনি কোন টেকনোলজি বা বিশেষ কোন জ্ঞান-বিজ্ঞান।
এই বিবেক, দর্পণের একটি প্রতিরুপ আত্নশুদ্ধি বা নিজেকে সংশোধন।
নুরু ভাই পরিশেষে সামু ব্লগারদের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে নিজেকে সংশোধনের আবেদন জানিয়েছেন। এই সামুতে কিন্তু প্রায় সব ধর্মের ব্লগার আছেন। পশ্চিমবাংলার অনেক ভালো ব্লগার আছেন যারা ব্লগ লেখেন আর তাদের মেজরিটি কিন্তু সনাতন ধর্মের।
কিন্তু লেখায় আত্নশুদ্ধির আবেদনটি এখানে সার্বজনীন হয়ে গেছে।
চাঁদগাজী সাহের আপনাকে কটক্ষা করার জন্য এই মন্তব্য করিনি। আপনার মন্তব্য ও পুনঃ মন্তব্য এই লেখার যে মূল ভাব সেটা যাতে হারিয়ে না যায় তারই জন্য আমার মন্তব্য।
ভালবাসবেন, ভালো থাকবেন, আমরা সবাই বাংগালী এই জাতিসত্তাটুকু মনে রাখবেন।
০৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মেটালক্সাইড ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
গাজীসাবকে চমৎকার করে বিষয়টি বুঝিয়ে দেবার জন্য।
আশা করি তিনি হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে স্রষ্টার মহান বানী
ও নির্দেশিকা। বর্তনে আলোচিত হাবার সবচেয়ে সহজ পন্থা
হচ্ছে ধর্মের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া। প্রতিটি মানুষের অন্তরে
একথা ধারণ করা উচিত যে তিনি কারো না কারো সৃষ্ট্।
সুতরাং তাকে ভয় করা উচিৎ। প্রতিটি ধর্মই মানুষকে সৎ
পথে ও সৎকাজ করতে উপদেশ দেয়। কিন্তু আমরা তাঁর
আদেশ উপদেশ অমান্য করে অবাধ্য হই তাই তার পক্ষ থেকে
নেমে আশে শাস্তি। তাই স্রষ্টার শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে তার
নির্দেশিত পথে চলতে হবে। আর তিনি যা বলেছেন তা আগে
নিজে ধারণ করে অপরকেও সেই শান্তির পথ বাতলে দিতে হবে।
এটাই কল্যানকর মানবতার জন্য।
৮| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৩
নতুন বলেছেন: উপরের হাদিসে খুবই চমতকার একটা শিক্ষনীয় বিষয় আছে ।
কিন্তু হাদিসটা মনে হয় জাল বা এমন কোন হাদিস মনে হয় নাই।
আপনার এই হাদিসটা কোথায় আছে সেটা একটু বলবেন কি?
@নতুন নকিব ভাই যদি জানেন তবে একটু জানাবেন কি?
০৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে
উপরের শিক্ষনীয় গল্প্টি কোন হাদিস কিনা্
আমার জানা নাই। তবে ছো্ট বেলায় ইসলামের
এমন শিক্ষনীয় গল্প আমরা পাঠ করতাম যা চরিত্র
গঠনে সহায়ক হতো। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আর
একটি ঘটনা আমাদের পাঠ্য ছিলো. এক আরবের
এক বৃদ্ধা মহিলাপ্রতিদিনের চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে
রাখতো। একবার অনেক দিন তাঁর পথে কাঁটা না থাকায়
নবীজি চিন্তিত তাকে তার বাড়িতে দেখতে গিয়ে ছিলেন।
এসব গল্পে ইসলামের মহানুভবতা প্রকাশ পায়।
নকীব ভাইকে আহ্বান জানাই যদি তিনে এর থেকে
বেশী ভালো বলতে পারেন।
৯| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
@মেটালক্সাইড ,
আপনি রূপকথা দিয়ে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করছেন, সেইজন্য আপনার ভাবনাগুলো সঠিক নয়; ইবলিস ইত্যাদি মানুষের তৈরি রূপকথার চরিত্র।
০৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব্ আপনি মূর্খের স্বর্গে নিজেকে রাজা ভাবেন।
মনে করেন আপনি যা বলবেন সবাই তা বিনা বাক্যব্যায়ে
মেনে নিবে। ফেরেশতা ইবলিশ আল্লাহর একজন অন্যতম
ফেরেশতা ছিলেন আল্লাহর হুকুম অমান্য করার আগমুহুর্ত
পর্যন্ত। তিনি আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শয়তানে পরিণত
হন। এটা কোন রূপকথার কল্প কাহিনী নয়। আপনি ধর্ম
মানেন না সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে অন্যের ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত করার অধিকার আপনি রাখেন কি?
১০| ০৭ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: Self-Control is at the roof of all virtues.
০৭ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
But we always forget it &
try to establish our thought
though it is wrong.
১১| ০৭ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: সত্য বলা রাসুল সা: এর একটা অন্যতম বৈশিস্ট।
আর মিথ্যা সব সময়ই বজ`ন করতে হবে।
এই সব কাহিনিগুলি প্রচার করার আগে জানতে হবে এইগুলি সত্যি কিনা। এটা একরকমের জরুরী কারন ভালোর খোলসে মিথ্যা প্রচার করা অবশ্যই রাসুল সা: অনুমতি দেন নাই।
কারন অনেকেই এমন কাহিনি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বা নিজেদের সুবিধার বিষয় গুলি প্রচার করে রাসুল সা: এর নামে।
আমি খুজছি যে এই মিস্টি এবং বুড়ির কাটার হাদিসের রেফারেন্স গুলি পাই কিনা।
০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নতুন ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
একসময় আমরা পাঠ্যপুস্তককে অসম্ভব্ ভক্তি
শ্রদ্ধা করতাম। তার অবমাননা হয় এমন কোন
কাজ থেকে বিরত থাকতাম। ভাবতাম ছাপার
অক্ষর মিথ্যা নয়, সত্যি। আমাদের পাঠ্য পুস্তকে
নবী কাহিনী নামে বেশ কয়েকটি গল্প ছিলো যা
আমরা নির্দিধায় সত্য বলে মনে করে এসেছি।
যেমন কাঠুরিয়া ও নবীজির গল্প, বিধর্মী বুড়ি ও
নবীজির গল্প। তেমনি নবীজির মিষ্টি খাওয়া থেকে
বিরত থাকার জন্য শিশুকে বারণের গল্প। তবে
এগুলো কোন সহি হাদিসে হয়ত বর্ণনা করা হয়নি।
তবে শিশুবে মিষ্টি খেতে বারন করার পল্পটি সত্যি নাও হতেপারে
কারন মাসিক আল কাউসার বর্ষ ১৪ , সংখ্যা ৭ এ বলা হয়েছে
টি একটি বানোয়াট কিসসা; এর কোনোই ভিত্তি নেই।
এর কোনো সনদও পাওয়া যায় না।
তবে আমরা জানি শিশু হাসান (রাঃ) ও হোসেন (রাঃ)
ছিলেন নবীজীর (সাঃ) নাতি। নবীজী (সঃ) তাঁদেরকে
অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তাঁদের দুইজনকে নিয়ে প্রায় সময়
তিনি মজার মজার খেলা করতেন। নানা নিজে হামাগুড়ি
দিয়ে ঘোড়া সাজতেন। দুই নাতি পিঠে সওয়ার হতেন।
অনেক সময় নবীজী (সাঃ) যখন নামাজে সেজদায় যেতেন,
শিশু দুই নাতি তাঁর পিঠে চড়ে বসতেন। তাঁরা তাঁর পিঠ থেকে
না নামা পর্যন্ত তিনি সেজদারত অবস্থায় থাকতেন। এই ঘটনা
কিন্তু কল্পকাহিনী নয়।
তবে কোনো কাজের কথা অন্যকে বলতে হলে আগে নিজে আমল করা উচিত- এ
বিষয়টিকে সামনে আনার জন্য এ কিসসাটির অবতারণা করা হয়।
কোনো বিষয়ে অন্যকে উপদেশ দেয়া বা নিষেধ করা আর নিজে সে
অনুযায়ী আমল না করা বা বিরত না থাকা নিন্দনীয়।
১২| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩১
নতুন বলেছেন: তবে এগুলো কোন সহি হাদিসে হয়ত বর্ণনা করা হয়নি।
তবে শিশুবে মিষ্টি খেতে বারন করার পল্পটি সত্যি নাও হতেপারে
কারন মাসিক আল কাউসার বর্ষ ১৪ , সংখ্যা ৭ এ বলা হয়েছে
টি একটি বানোয়াট কিসসা; এর কোনোই ভিত্তি নেই।
এর কোনো সনদও পাওয়া যায় না।
তাহলে উপরের কাহিনিটার ভিত্তি নেই সেটার একটা আভাস পাওয়া গেলো।
মিথ্যা কাহিনি দিয়ে কখনোই মরালিটি সেখানোর চেস্টা করা যায় না। তাই উপরের কাহিনি যেহেতু সন্দেহ মুলক তাই এটা দিয়ে কি মরালিটি সেখানো ঠিক হবে?
এই রকমের অনেক কাহিনি দিয়েই কিন্তু আমাদের ধমান্ধতা চালু আছে।
যদি মনে করেন উপরের কাহিনিটা ঠিক না তবে কাহিনিটা পরিবত`ন করুন প্লিজ।
কারন মিথ্যা কাহিনি দিয়ে মরালিটির গল্প বলা কি ঠিক?
রাসুল সা: তার নাতীদের অবশ্যই আদর করতেন। সেই বিষয় নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
১৩| ০৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:০৩
নতুন বলেছেন: শেখার বিষয় হইলো ''''' আপনি আচরি ধর্ম পরকে শিখাও'''
তাই যদি আমরা যদি নিজেরাই সত্য খুজে বের না করেই কথা প্রচার করি তবে সেটা গুজব ছড়ানো এবং অপরের কাছে সত্য আশা করতে পারিন। যদি বুঝতে পারি যা বলছি তা সত্য না তবে সেটা সংশধনের দায়ীত্বটাও আমাদেরই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
মেটালক্সাইড বলেছেন: আত্নশুদ্ধি বা সংশোধনের জন্য পারিপার্শ্বকতার অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। এটাই নিয়ন্ত্রণ করে রিপু, চাহিদা, আবেগকে যার ফলশ্রুতি লাগামহীনভাবে ছুটে চলে।
পারস্য সামাজ্র্য জয়ের গণীমতের মাল যখন খলিফা উমর ইবনে খাত্তাব রাঃ সামনে নিয়ে আসা হয় তখন তার মুখে চোখে অন্ধকার নেমে আসে, কারণটি সবাই অবগত এবং এই ফ্যাক্টটা আপনি এড়িয়ে গেছেন।