নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ম্যালেরিয়া একটি প্রাচীন রোগ, বহুকাল ধরেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। প্রায় ৫ লক্ষ বছর ধরে মানুষ এই মরণব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং এটিই সত্য যে, তা নির্মূল করা এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এই মরণব্যাধির টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে এবং তা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। সেইসঙ্গে ম্যালেরিয়া নির্মূলে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তাতে রোগের প্রকোপ ও মৃত্যুহার দুইই কমে এসেছে। বাংলাদেশে এর সাফল্য আশাব্যাঞ্জক।ম্যালেরিয়া শব্দের অর্থ দূষিত বাতাস। ম্যালেরিয়া (Malaria) হল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের একটি মশা-বাহিত সংক্রামক রোগ যার মূলে রয়েছে প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্টা (এক ধরনের অণুজীব) । ম্যালেরিয়া শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন Torti (১৭৫৩) । ইতালিয় শব্দ Mal (অর্থ-দূষিত) ও aria (অর্থ-বায়ু) হতে Malaria শব্দটি এসেছে। তখন মানুষ মনে করতো দূষিত বায়ু সেবনে এ রোগ হয়। ১৮৮০ সাল নাগাদ চার্লস ল্যাভেরন লোহিত রক্ত কণিকা থেকে ম্যালেরিয়ার কারণ হিসেবে একটিমাত্র কোষবিশিষ্ট পরজীবী প্রোটোজোয়াকে চিহ্নিত করেন। ফলে শত বছর ধরে চলা দূষিত বায়ু সেবনের ফলে রোগ সৃষ্টির ভুল ধারণার অবসান ঘটে। ১৮৯৭ সালে ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ ডাক্তার স্যার রোনাল্ড রস প্রমান করেন যে Anopheles (অ্যানোফিলিস) মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। এ যুগান্তকারী আবিষ্কারের কারণে তাকে ১৯০২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়া নির্মূলে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকলেও বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। দুই দশক আগেও রাঙ্গামাটিতে প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের মৃত্যু হতো। এখন সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ জনে। যদিও এখনও দেশে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে আছেন। এমন বাস্তবতায় আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। আফ্রিকায় ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম ম্যালেরিয়া দিবস পালন করা হয়। এরপর ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির ৬০তম অধিবেশনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের প্রস্তাবনা করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য 'আমি করব ম্যালেরিয়া নির্মূল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বাংলাদেশ), বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ' তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের কারনে এবার হয়তো আনুষ্ঠানিক ভাবে দিবসটি পালিত হবেনা। অন্যান্য বছরের মতো কোন Rally বা সমাবেশের আয়োজন করা হবেনা। এবার অনানুষ্ঠানিক ভাবে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতায় জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূলে বীজবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যোগে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মাঝেও সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ম্যালেরিয়া কার্যক্রম সচল রাখা হবে।
ম্যালেরিয়া একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার (আনোফেলিস মশা) কামড়ের সাথে শুরু হয়। যা তার লালার মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। ম্যালেরিয়ার সাধারণ রোগের লক্ষণসমূহ হল জ্বর এবং মাথা ব্যাথা, যা খুব গুরুতর ক্ষেত্রে কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। চিকিৎসদের মতে, মূলত কাঁপনি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার বেশি জ্বর থাকাই সাধারণ ম্যালেরিয়ার প্রধান লক্ষণ। এছাড়া অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বা অসংলগ্ন আচরণ করা, বারবার খিঁচুনি হওয়া, অত্যধিক দুর্বলতা, বারবার বমি হওয়া এবং শিশুর ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধ বা অন্য যেকোনো খাবার খেতে না পারা মারাত্মক ম্যালেরিয়ার লক্ষণ। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৩টিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। যে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি, সেগুলো হলো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং কুড়িগ্রাম। তবে তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেই এর প্রকোপ বেশি। এই তিন জেলা সীমান্তবর্তী, পাহাড় ও বনাঞ্চলবেষ্টিত হওয়ায় সেখানে এই রোগের প্রকোপ এত বেশি। দেশের মোট ম্যালেরিয়া রোগীর শতকরা প্রায় ৯১ ভাগই বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলারচট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় সর্বোচ্চ ২২৮ জন মারা যান ২০০৭ সালে। সে বছর ৫৯ হাজার ৮৫৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ক্রমান্বয়ে কমানো গেলেও ২০১৪ সালে বৈরী আবহাওয়ার কারেণ তা আবার বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়ায় এবং এ সময় আক্রান্ত হন ২৬ হাজার ৮৯১ জন। এরপর ২০১৮ সালে ম্যালেরিয়ায় ৭ জন মারা যান, যেখানে আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৫২৩ জন।যেকোনো ধরনের ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেই লক্ষণ দেখা মাত্রই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দেশের ১৬ ভাগ ম্যালেরিয়া প্লাজমোডিয়াম ভাইভেক্স জীবাণুর দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। এই জীবাণূ মূলত ভারত ও মিয়ানমারে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর সীমান্ত অঞ্চলে মূলত এ জীবাণুর সংক্রমণ বেশি। এজন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
ম্যালেরিয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়ভাবে কমে এসেছে ঠিকই কিন্তু মানবিক বিপর্যয়ের কারণে মিয়ানমার থেকে এদেশ চলে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য কর্মসূচির অগ্রগতি কখনও কখনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা হয়তো কঠিন হয়ে পড়বে। ঘন ঘন অভিবাসন, ভাষা বুঝতে না পারা এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান রাজনীতি এক্ষেত্রে বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনা করে দেশকে ম্যালেরিয়ামুক্ত করতে আমাদের আবার নতুনভাবে ভাবতে হবে। কর্মকৌশলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে যেসব উদ্যোগ ও কর্মকৌশলে আমরা এগোচ্ছি তার সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাতে পারি। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এনোফিলিস মশাটা সবচেয়ে বেশি রক্ত শোষণ করে। যতটুকু সম্ভব আমরা গা ঢেকে রাখার চেষ্টা করব। মসকিওটো রিপ্লেন্ট কিনতে পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারি। কিছু লোশন পাওয়া যায়, এগুলো আমরা লাগাতে পারি। এগুলোর সঙ্গে আমরা ওষুধ খেয়ে নিতে পারি। ডোক্সিসেকলিনও আমরা খেতে পারি। ভ্রমণে যাওয়ার আগে থেকে শুরু করে ফিরে আসার পর চার সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়মিত খেলে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। সরকার ম্যালেরিয়া নিয়ে কাজ করছে নিরলসভাবে। তার ফলও আসতে শুরু করেছে। ম্যালেরিয়া এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতায় জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূলে বীজবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যোগে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মাঝেও সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ম্যালেরিয়া কার্যক্রম সচল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আসুন আজ আমরা বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসে অঙ্গীকার করি, আমাদের চারিপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো, ম্যালেরিয়া থেকে দূরে থাকবো। ম্যালেরিয়া মুক্ত বিশ্ব গড়তে আসুন আরও একধাপ এগিয়ে যায়।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে অঅক্পটে সত্যকথাটি প্রকাশ করার জন্য।
ম্যালেরিয়া পুরনো রোগ হলেও ঝুকি কিন্তু এখনো রয়ে গেছে।
সতর্ক না হলে যে কোন সময় আবার হানা দিতে পারে। তাই
স্মরণ করিয়ে দেয়া।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আবার ম্যালেরিয়ার কথা মনে করিয়ে দিলেন?করোনার জ্বালায় জীবন ঝালাপালা।করোনা থেকে সাবধানে থাকবেন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
করোনা থেকে সাবধান থাকুন তবে ম্যালেরিয়াকে তুচ্ছ জ্ঞানে
হেলা করবেন না। এটাও একসময় মহামারী আকার ধারণ
করে ছিলো।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আমি রোজা না রাখলেও ইফতারীটা বেশ আগ্রহ করে খাই।
নানান পদের খাবার। খেতে বেশ লাগে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্য আগে উপভোগ্য হলেও
এখন তা ভাড়ামি মনে হয়। কারণ আপনি স্পষ্টবাদী
নন। লেজুড় বৃত্তি আপনাকে খেলো করে তুলছে।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
অক্পটে বলেছেন: ইসলাম ধর্ম পালনকারীরা গর্ব করে এবং অনায়াসেই বলতে পারে যে আমরা পাইলাম, আমাদের ধর্মে রমজান মাস হিসেবে আমরা ইহাকে পাইলাম। এই মাসে অনুভব করা যায় যাদের ঘরে খাবার নেই তারা কি ভাবে জীবন যাপন করে, তাদের কষ্টকে ধারণ করে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে। ব্যপারটা যদি একবার কেউ হৃদয়ঙ্গম করতে পারে তাহলে কী যে করা যায় রমজান মাস তাই বলে দেয়। এই মাস হল ইসলাম ধর্ম পালনকারীদের জন্য গর্বের মাস। এই মাসে অনেক বদ অভ্যাস দূর করা যায়। অটোফেজির মাধ্যমে শরীর রোগমুক্ত হয়। শরীর মন সুষ্ঠ্য রাখার জন্য অনেকেই এই মাসটিকে টার্গেট করে।
আমার এই মন্তব্যটা অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু তবুও লিখলাম কেন জানিনা, হতে পারে ৩নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যা লিখেছেন এই কারণেই।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ অকপটে। মুর্খদের সাথে তর্কে জড়ানোই বড় মূর্খতা। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ
"তোমাদের প্রতি সালাম, মূর্খদের সাথে আমাদের (বিতর্কের) কোনো প্রয়োজন নেই।" (সূরা ক্বাসাস, আয়াত ৫৫)
হুমায়ূন আহমেদ চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তার ‘দেয়াল’ উপন্যাসে। তিনি বলেছেন, ‘মূর্খদের সাথে কখনও তর্ক করতে যাবে না। কারণ হলো, মূর্খরা তোমাকে, তাদের পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসে, তর্কে’ হারিয়ে দিবে।’ হ্যাঁ আপনি মূর্খদের সাথে তর্কে নিশ্চিত পরাজিত হবেন, কারণ শিক্ষা ও রুচি আপনাকে ঝগড়ুটে হতে দেয়নি। উচ্চকন্ঠ যে পাবলিক নুইসেন্স এটা আপনি বোঝেন, তাই আপনার দ্বারা চিৎকার চেচামেচি সম্ভব নয়, গালাগালিতো নয়ই। সুতরাং আপনি হারবেন, যুক্তিতে নয়, তর্কে। অন্য কথায় ঝগড়ায়।
তাই এদের এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
অক্পটে বলেছেন: যথারীতি তথ্যবহুল লেখা। ম্যালেরিয়া পুরনো রোগ, অথচ এখনো আছে। ভাইরাস জনিত সব রোগই মনে হয় পুরনো শুধু আমরা এর প্রতিরোধ আবিস্কার করি। আজকের করোনারও ভেকসিন আবিস্কার হবে। ইতিহাসে এই মহামারি করোনার নামও বিশেষভাবে উল্যেখ থাকবে।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।