নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বিংশ শতাব্দীর মুসলিম জাগরণের অন্যতম নকীব, মানবতাবাদী অমর কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল। ইকবাল ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ এবং ইসলামি চিন্তাবিদ। ইকবাল তাঁর ধর্মীয় ও ইসলামের রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও বিশেষভাবে সমাদৃত ছিলেন। তাঁর একটি বিখ্যাত চিন্তা দর্শন হচ্ছে ভারতের মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন। এই চিন্তাই বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। ১৯০৮ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে কবি ও দার্শনিক হিসেবে ইকবালের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। তার ক্ষুরধার লেখনী ও জাদুমন্ত্রবত্ বর্ণনায় ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য যেভাবে প্রতিভাত হয়ে উঠে তা সত্যিকার অর্থেই একজন সচেতন পাঠককে রীতিমতো পুলকিত ও চমকিত করে। তার ফার্সী ও উর্দু কবিতা আধুনিক যুগের ফার্সী ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফার্সি সৃজনশীলতার জন্য ইরানে তিনি ইকবাল-ই-লাহোরী নামে পরিচিত। ইকবাল তার ধর্মীয় ও ইসলামের রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও বিশেষভাবে সমাদৃত ছিলেন। তাঁর একটি বিখ্যাত চিন্তা দর্শন হচ্ছে ভারতের মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন। এই চিন্তাই তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিলো। মানবতাবাদী কবি আল্লামা ইকবাল ১৯৩৮সালের আজকের দিনে পা্ঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী। মুসলিম মিল্লাতের অমর কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবালের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর মুসলিম মিল্লাতের জন্য সবসময় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
(আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল এর পিতা শেখ নূর মুহাম্মদ)
মুসলিম রেনেসার কবি আল্লামা ইকবাল ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর বিভাগপূর্ব ভারতবর্ষের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মুহাম্মদ ইকবাল। তবে তিনি আল্লামা ইকবাল হিসেবেই অধিক পরিচিত। আল্লামা শব্দের অর্থ হচ্ছে শিক্ষাবিদ। তার পিতা শেখ নুর মুহাম্মদ ছিলেন একজন সুফিভাব ও চিন্তাধারাসম্পন্ন পরহেজগার ব্যক্তি। তার মা ইমাম বিবিও ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা। ইকবালের পূর্ব পুরুষ ছিলো কাশ্মীরের অধিবাসী এবং সুপ্রাচীন এক কাশ্মীরী ব্রাহ্মণ পরিবারের বংশধর। এই বংশের পারিবারিক উপাধি ছিল সপরূ। মাত্র তিন পুরুষ আগে অষ্টাদশ শতকে সপরূ পরিবারের এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি জনৈক মুসলিম সাধকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইকবাল ছিলেন অসাধারণ মেধা শক্তির অধিকারী। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ পর্যন্ত প্রত্যেক শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। মায়ের তত্বাবধানে লেখাপড়া শুরু করে প্রথমে স্থানিয় মক্তবে ভাষা ও কুরআন শরিফ শিক্ষা লাভ করেন। পরে স্কচমিশন স্কুল এ ভর্তি হন।এখান থেকেই তিনি ম্যাট্রিক ও আইএ পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য লাহোরের সরকারী কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে বিএ এবং ১৮৯৯ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এম,এ পাশ করেন। ১৯০৫ সালে ইউরোপ যান ইকবাল। তিনি ইংল্যন্ড এর কেম্ব্রিজ এবং জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশুনা ও গবেষনা করেন। পরবর্তিতে ১৯০৭ সালে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানি হতে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে তিনি আবার বিলাতে আসেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার এট্-ল পাস করেন। এ সময়ে কিছুকাল তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ফার্সির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন। ১৯০৮ সালে ইকবাল এক সম্পুর্ন নতুন কাব্য ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। দেশে ফিরে কিছুকাল তিনি আইন ব্যবসায়ে মন দিয়ে ছিলেন। কিন্তু আইন ব্যবসা তার ভাল লাগল না। তিনি কবিতা লেখায় মন দিলেন। তিনি যেমন বিরাট পণ্ডিত ছিলেন তেমনিই পৃথিবীর একজন বিখ্যাত কবিও ছিলেন। তার কবিতার ভাবধারা বড় উঁচুস্তরের। প্রথম দিকে তিনি যে সমস্ত রচনায় হাত দেন তার ভিতরে তার না-ই-হিন্দ বিখ্যাত কবিতা। ইকবালের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে বাং-ইদারা বাল-ই-জিব্রিল এ তালিম, শিকোয়াহ ও জবাব-ই-শিকোয়াহ উল্লেখযোগ্য।
আল্লামা ইকবাল শুধু মাত্র কবি ছিলেন না, তিনি ছিলন একজন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টাও। তাঁর একটি বিখ্যাত চিন্তা দর্শন ছিলো ভারতের মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন। তার এই চিন্তাই পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিলো। ইকবাল ছিলেন ছিলেন একজন খাঁটি মুসলমান। কাজে ও চিন্তা, সাধনায় ও লক্ষ্যে ইসলামের মূলনীতির উপর ইকবালের ছিল প্রগাঢ় বিশ্বাস, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা আরাধনা, জীবন-মরণ সবই সর্বশক্তিমানের নিকট সমর্পিত। শরিয়ত, তরিকত ও মারেফতের ক্রিয়াকলাপের সাহায্যে মানুষ কামিল ইনসান বা পরিপূর্ণ মানুষ পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে, এ ছিল তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং এ সবের মূল উৎস কোরআনের দিকে ফিরে যাওয়ার জন্য তার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট। খিলাফত প্রতিষ্ঠার কাজে আল্লাহই তাদের সাহায্য করবেন। সময় ক্ষেত্রে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি মুসলমানদের ইসলামি আদর্শের রূপায়ণে উৎসাহিত করে বলেন, ইসলাম একমাত্র আল্লাহর ধর্ম। কোরআনের শিক্ষা ব্যতীত জাতির মুক্তি নেই। তার দ্বীনদারি ও ইসলামপ্রিয়তা তাদের ইসলামের পথযাত্রী বানিয়ে দেয়। তার নবীপ্রেম তাদের মধ্যে ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রতি অদম্য প্রেরণা সৃষ্টি করে। আল্লামা ইকবাল মিল্লাতে মুসলিমের অমূল্য সম্পদ ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের মুসলমানদের তার কবিতার জাদুর কাঠি দিয়ে জাগ্রত করেন, তার চিন্তাধারা তাদের সিরাতে মুস্তাকিম প্রদর্শন করে। শেষ জিবনের অসুস্থ শয্যায় শুয়ে তিনি বুঝতে পারেন শ্রিঘ্রই জাতিয়তাবাদের নামে বিশ্বব্যাপি এক রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ দেখাদেবে। তার "ইবলিশ কি মজলিশ ই শুরা" কাব্যে দ্বিতিয় মহাযুদ্ধের ইংগিত দেন তিনি। ১৯৩৫ সালে তার "বাল-ই-জিব্রিল" গ্রন্থে তিনি সাম্যবাদি ও মানবতা বাদি সেই বিপ্লবি কবিতাটি প্রকাশ করেন। কবি যাকে বলেছেন এটা হলো ফিরিশতাদের জন্য আল্লাহর আদেশ জাতে মানুষ পৃথিবীতে ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
ব্যক্তিগত জীবনে ১৮৯৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পারিবারিক প্রথা অনুযায়ী ইকবাল গুজরাটের সিভিল সার্জন খান বাহাদুর আতা মুহাম্মদের কন্যা করিম বিবি কে বিয়ে করেন। এই স্ত্রীর গর্ভে তাঁর কন্যা মেরাজ বিবি ও পুত্র আফতাব ইকবালের জন্ম হয়। এ স্ত্রীর সাথে তার মনোমালিন্য হলে তারা আলাদা বাস করতে থাকেন। প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছিন্নতার পর এক কাশ্মিরী পরিবারের সরদার বেগম নামীয় মহিলার সাথে তাঁর দ্বিতীয় বিবাহ হয়। এই স্ত্রীকে তিনি বিবাহের চার বছর পর ঘরে তোলেন এবং তার গর্ভেই ১৯২৪ সালে জাবিদ ইকবালের জন্ম হয়। ইকবালের তৃতীয় বিবাহ ১৯১২ সালে লুধিয়ানানিবাসী মোখতার বিবি’র সাথে। সন্তান প্রসবকালে তার মৃত্যু হয়। শেষ জীবনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েলে প্রথম স্ত্রী করিম বিবির ধারস্থ হন এবং মৃত্যু পর্যন্ত এই স্ত্রীই তাঁকে সঙ্গ দেন। মিল্লাতে মুসলিমের অমূল্য সম্পদ, আধুনিক যুগের ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল্লামা ইকবাল ১৯৩৮ সালেল ২১ এপ্রিল পরলোকগমন করেন। কিন্তু তার আগেই পুথিবীর সকল মুসলিমকে শুনিয়ে যান নতুন করে জেগে উঠার বানি। আজ আল্লামা মুহাম্মদ ইকবালের ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী। মুসলিম রেনেসার অমর কবি আল্লামা ইকবালের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
পাদটিকাঃ এই মহান বিপ্লবী দার্শনিক কবিকে অনেকে জেনে বা না জেনে অযথাই পাকিস্তানি কবি কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী বলে অভিযুক্ত করেন। যদিও ইকবালের ইন্তেকাল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এমন কি পাকিস্তান প্রস্তাবের ও আগে ১৯৩৮ সালে। ইকবাল পাকিস্তানের কবি এই অদ্ভুত (প্রধানত তথাকথিত বামপন্থিদের চেষ্টায়) আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে স্বাধীনতার পর আমাদের দেশ থেকে ইকবালের নাম মুছে ফেলার এক প্রবনতা সৃষ্টি হয়েছিল। অথচ ১৯৭২-৭৩ সালে ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়এ ইকবালের নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আসলে বামপন্থিরা ইকবালকে ঢেকে রাখতে চান কারন তার আদর্শ ছিল ইসলাম। ১৯০৮ সাল থেকে ১৯৩৮ সালে তার মৃত্য পর্যন্ত ইকবাল বিশ্ব মানবতার জন্য ইসলামকেই একমাত্র সঠিক আদর্শ হিসেবে চিন্তা ও প্রচার করে গেছেন। নতুন যে মানবতার বানী তিনি পৃথিবীর সামনে তুলে ধরলেন তা কোন স্থান,কাল,পাত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সে মানবতা সর্বকালের প্রকৃত সত্যের প্রকাশ। যে কবি একদিন লিখে ছিলেন "সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁ হামারা" আজ তিনি বললেন "সব দেবতার সেরা সে দেবতা যাহারে কহিছ স্বদেশ ফের, বসন তাহার বনেছে কাফন আবরি বদন ইসলামের"। মানবতাই ইসলামের মৌল আদর্শ। আর সেই জন্যই ইসলাম ছিল তার কাব্য ও জিবনের আদর্শ ও দর্শন। তিনি শুধু নিজ জাতি তথা মুসলমানের কল্যাণ নিয়েই ভাবেন নি। গোটা মানব জাতির মুক্তি ছিল তার অন্তরের আকুতি। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র আদর্শ তথা ইসলাম যে গোটা মানব জাতির জন্য মুক্তির একমাত্র পথ সেটা তুলে ধরতে গিয়েই তিনি ইসলামী আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমা তুলে ধরেছেন। খোদাপ্রেম থেকে উদ্ভুত গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞান, ন্যায়বিচার, ঈমান, ঐক্য ও মানব-প্রেমই যে মুসলমানের বড় পরিচয় সে কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিতে ভুলেন যে কবি তিনি কি করে পাকিস্তানি কবি কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী বলে অভিযুক্ত হতে পারেন !!! স্যার মোহাম্মদ ইকবাল ভারত ও পাকিস্তানে যেমন সমাদৃত ও জনপ্রিয়; বাংলাদেশেও তিনি সম্মানের অধিকারী। ইরানেও তার পরিচিতি আছে। সব দেশেই তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আমি কবি, সাহিত্যিক, লেখক শব্দগুলোকে বিশেষণ এবং ডাক্তার,
ইঞ্চিনিয়ার, শিক্ষক, কামার কুমার জেলে মাঝি শব্দগুলোকে পেশা হিসেবে দেখি।
আপনি্ মু্ক্তিযোদ্ধা এটা আপনার পেশা নয় এটা আপনার বিশেষণ।
এবার সেই সূত্রে আপনি বলেন দার্শনিক কি পেশা, উপাধি না বিশেষণ ? সময় ১ মিনিট !!
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইসলাম ধর্ম শান্তি র ধর্ম গোটা মানব জাতির জন্য।
কবি গোত্রের হতে পারেন দেশের হতে পারেন বিশ্বের ও হতে পারেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কবি, লেখক, গায়ক এদের চার দেয়ালে বন্দি করা যায়না।
পাখির গান সবার জন্য সে কোন এক এলাকায় থাকেনা।
তারা সমগ্র বিশ্বের। কিন্তু আমরা কিছু জ্ঞান পাপী তাদেরকে
চার দেয়ালে বন্দি করে তিরস্কার, উপহাস বা উচ্চ শিখরে
বসাই।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এবার সেই সূত্রে আপনি বলেন দার্শনিক কি পেশা, উপাধি না বিশেষণ ? সময় ১ মিনিট !! "
-দার্শনিক হচ্ছে, ১টি শিক্ষাগত ডিগ্রির উপাধি ( বিশেষণ এ পড়ে); এটাকে ঠিক প্রফেশান বলা হয় না, বলা হয় 'ক্রেডেশিনয়াল'।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দশে ১০
পাশ
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি দার্শনিক?
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি দর্শ'ন সাস্ত্র নিয়ে অধ্যায়ন করিনাই তাই আমি দার্শনিক নই।
তবে যুক্তি বিদ্যার সূত্র অনুযায়ী আমি হয়তো দার্শনিক। কারন
দর্শন সাস্ত্র নিয়ে যারা পড়া লেখা করে তারা ছাত্র যারা পরে দার্শনিক হয়
আমিও একজন ছাত্র সুতরাং আমিও দার্শনিক
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "আমিও একজন ছাত্র সুতরাং আমিও দার্শনিক "।
-ভালো
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিজেকে দার্শনিক দাবী করে আপনিতো আমাদের মতো সাধারণদের কাতারে চলে আসলেন।
আমিতো আপনাকে আরো উচ্চ স্তরের ভাবতাম !! আপনি দার্শনিক, রাজনীতিবিদ-অর্থনীতিবিদের
এক আজব মিশেল !! এক কথায় আপনাকে দার্শনিকের পশম বলা যেতে পারে।
জিঙ্ক বা দস্তাকে বায়ু বা অক্সিজেনের সাথে তীব্র উত্তপ্ত করলে সাদা ধোঁয়ার আকারে উৎপন্ন
জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO) ক্রমশ শীতল হয়ে সাদা উলের মতো জমা হয় । একে দার্শনিকের উল
বা পশম (বা জিঙ্ক হোয়াইট) বলে । আপনি দার্শনিকের পশম !!
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩
আহা রুবন বলেছেন: শুনেছিলাম আল্লামা ইকবাল, জওহরলাল নেহরু, সাদত হাসান মান্টোর পূর্ব পুরুষরা একই বংশের ছিলেন। কতটুকু সত্য?
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ভারতের এলাহাবাদে অজ্ঞেয়বাদী বা নাস্তিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা মতিলাল নেহেরু ও মা স্বরুপ রানি।
সাদত হাসান মান্টো পাকিস্তানি নাগরিক একজন মুসলমান পাঞ্জাবের অধিবাসী
আর আল্লামা ইকবাল ভারতবর্ষের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে এক সম্ভ্রান্ত
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাদের পূর্বপুরুষ কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ।
তারা একই বংশের হওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত আমি বুঝতে পারছিনা। হয়তো জোন
ইতিহাসবিদ বলতে পারবেন ।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি দর্শ'ন সাস্ত্র নিয়ে অধ্যায়ন করিনাই তাই আমি দার্শনিক নই।
তবে যুক্তি বিদ্যার সূত্র অনুযায়ী আমি হয়তো দার্শনিক।
শুনুন এক হিসেবে বাংলাদেশের সমস্ত মানূষই দার্শনিক।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার গুরুা যখন দার্শনিক তখন
আপনার দার্শনিক হতে ঠেকা/য কে?
আপনিও দার্শনিক গুরুর বরাতে !!!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কবি, সাহিত্যিক, লেখক শব্দগুলোর মত 'দার্শনিক' শব্দটাকে উপাধি মনে করেন নাকি? আপনিও কি দার্শনিক? আমাদের ব্লগার 'অনল চৌধূরী' লিখেছেন যে, উনি দার্শনিক।