নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভবিষ্যদ্বাণী এবং সত্যপথিক শাইয়্যান এর জ্যোতিষশাস্ত্র আমাদের কিছুই দিতে পারে না

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬


সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দরুদ ও সালাম আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি, যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। ধন্যবাদ জানাই বিদগ্ধ ও আমার প্রিয় সহব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান ভাইকে। তিনি আমার একটি লেখার উদ্ধৃতি দিয়েতার লেখা অদ্যকার পোস্ট সাধু সাবধান! দু'টি বিষয় ছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র আমাদের কিছুই দিতে পারে না। শাইয়্যান ভাইয়ের লেখার প্রেক্ষিতে আমি পরিস্কার করতে চাই যে, আমাদের দইটি লেখায় দুইটি বিষেযের অবতারণা করা হয়েছে। ১। ভবিষ্যদ্বাণী ও ২। জ্যোতিষশাস্ত্র। ভবিষ্যদ্বাণী এবং জ্যোতিষশাস্ত্র দুইটি আলাদা বিষয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহ নক্ষত্র তাদের গতিপথ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হয়। পক্ষান্তরে ভবিষ্যদ্বাণী কোন একটা ধারণা থেকে বা কল্পনাপ্রসূতও হতে পারে। সব ভবিষ্যতবানী সবসময় কার্যকরী হয় তাও কিন্ত নয়। পবিত্র কোরআনে এ বিয়য়ে আল্লাহ কর্তৃক আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে বলা হয়েছেঃ “বল, আল্লাহ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভাল মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নেই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানিতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করিতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করিত না। আমিতো শুধু মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য সর্তককারী ও সুসংবাদবাহী।” [সুরা আল-আ’রাফঃ ১৮৮] সুতরাং জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস এবং রাশিচক্র পরীক্ষা করা পরিস্কারভাবে ইসলামের শিক্ষা এবং বিশ্বাসের বিপক্ষে।

এবার আসি ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে। আমরা যারি আমাদের প্রিয রসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কেয়ামত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তবে তিনি ছিলেন মহামাব। তার সাথে দুনিয়ার কারো তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। পৃথিবীর কারোরই নেই। তিনি তাই বলতেন যেটুকু আল্লাহতালা তাকে দিয়ে বলাতেন। যাহোক আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন, জ্ঞানবান ও যুক্তিবাদী হয়ে গেছে। সভ্যতার চাকাও এগিয়ে গেছে অনেকখানি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। যদি সেই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হয় তাহলে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়। বিভিন্ন সময় নানা ব্যক্তি মানব সভ্যতার এমনই কিছু পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যা পরবর্তীকালে হুবহু মিলে যায়। আজ পর্যন্ত এর রহস্যের মীমাংসা করতে পারেনি কোনো যুক্তি। যেমনঃ

১) টাইটানিকের সলিল সমাধি
১৯ শতকের সাহিত্যিক মর্গ্যান রবার্টসন মূলত ছোট গল্পের রচয়িতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার বেশির ভাগ লেখনীই মাঝারি মানের। একমাত্র ব্যতিক্রম উপন্যাস ‌‘ফিউটিলিটি, অর দ্য রেক অফ দ্য টাইটান’। এই কাহিনীতে বিশ্বের সর্ববৃহত্‍ ট্রিপল-স্ক্রু প্রপেলার বিশিষ্ট জাহাজ উত্তর আটলান্টিকে মহাসাগরে হিমশৈলে ধাক্কা মেরে ২৫০০ যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশ্চর্যের বিষয়, উপন্যাস প্রকাশের ১৪ বছর পর আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তরে একইভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায় বিশাল যাত্রীজাহাজ আরএমএস টাইটানিক।

২) হিটলারের জন্মের পূর্বাভাস করেছিলেন নস্ত্রাদামু
১৫৫৫ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম একনায়ক অ্যাডল্ফ হিটলারের উত্থানের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা নস্ত্রাদামু। নাত্‍‌সি শাসকের জন্ম বৃত্তান্ত ও নিষ্ঠুরতার কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন, পশ্চিম ইউরোপের এক শিশু যে দরিদ্র ঘরে জন্ম নেবে এবং তার কথার মোহে আবিষ্ট হবে বহু মানুষ। এমনকি সেই শিশুর নামও লিখে গেছেন নস্ত্রাদামু। তবে হিটলারের পরিবর্তে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ‘হিসটার’।

৩) হিরোশিমা-নাগাসাকির বিস্ফোরণ
১৯১৪ সালে তার ‘দ্য ওয়ার্ল্ড সেট ফ্রি’ উপন্যাসে মানব ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম সর্বনাশের কথা লিখে গেছেন সাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলস। ঘটনার ৩০ বছর আগেই অ্যাটমিক বোমার আঘাতে গণহত্যার পূর্বাভাস করেছিলেন তিনি। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণের বহু বছর পরেও এই দুই জনপদ বাসযোগ্য হবে না।

৪) ওকলাহোমা শহরে বোমা বিস্ফোরণ
আমেরিকার আধ্যাত্মিক মিডিয়াম ট্যানা হয় দাবি করেছিলেন, অশরীরী আত্মারা তাকে অদূর ভবিষ্যতের বহু ঘটনার কথা জানিয়ে যান। বিদেহী আত্মাদের নিজের চোখে দেখতে পান বলেও দাবি করেন তিনি। ১৯৯৫ সালের এক লাইভ রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ওকলাহোমা শহরের এক বাড়িতে বিধ্বংসী বোমা বিস্ফোরণ ঘটাবে জঙ্গিরা। ঠিক ৯০ মিনিট পর প্রচণ্ড বিস্ফোরণে চুরমার হয়ে যায় ওকলাহোমার অ্যালপ্রেড পি মুরাহ ফেডেরাল বিল্ডিং। ঘটনার হোতা টিমথি ম্যাকভেই ও তার সঙ্গীরা পরে গ্রেপ্তার হয়।

৫) অগ্নুত্‍পাত, সুনামি এবং হারিকেন ক্যাটরিনা ঘটনার
বেশকিছু দিন আগে ভারত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ এবং সুমাত্রা ও ইন্দোনেশিয়া উপকূলে আছড়ে পড়া ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন পামার। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের ১৪টি দেশে সুনামির তাণ্ডবে প্রাণ হারান ২,৩০,০০০ মানুষ। শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সম্ভারের পূর্বাভাসও করেছিলেন তিনি। তবে ২০০৫ সালের হারিকেন ক্যাটরিনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার পরেই জনপ্রিয় হন পামার।

৬) নিজের হত্যাকাণ্ডের কথা আগাম জেনেছিলেন লিঙ্কন
আঁততায়ীর গুলিতে মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগে হত্যাকাণ্ডের গোটা দৃশ্য স্বপ্নে দেখেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের আবহে প্রাত্যহিক মানসিক চাপে থাকা প্রেসিডেন্টের পক্ষে দুঃস্বপ্ন দেখা অস্বাভাবিক না হলেও ঘটনাটি বিস্ময় উদ্রেক করে। ঘুম থেকে উঠে তিনি জানিয়েছিলেন, স্বপ্নে নিজেকে একটি সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখেন। চারিদিকে মৃত্যুকালীন নীরবতা বিরাজ করছিল। শুধু কোথাও কারো ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ ভেসে এসেছিল বলেও তিনি জানান।

৭) দীর্ঘায়িত জীবন, ন্যানো প্রযুক্তি, ডিজাইনার ড্রাগস
গ্যাসের আচরণ সম্পর্কিত গবেষণার জন্যই বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েল। তার আবিষ্কৃত তত্ত্ব ‘বয়েলস ল’ নামে প্রসিদ্ধ। সপ্তদশ শতকের এহেন উদ্ভাবনী জ্যোতিষ্কের মৃত্যু হয় ১৬৯১ সালে। তিনি মারা যাওয়ার পর বিজ্ঞানীর হস্তাক্ষরযুক্ত একটি দীর্ঘ তালিকা খুঁজে পায় ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটি। ওই তালিকায় ভবিষ্যতে ঘটবে এমন বেশকিছু পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তালিকায় বয়েল ‘মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি’, ‘উড়ান প্রযুক্তি’ ও ‘চিরস্থানী আলো’ আবিষ্কারের পূর্বাভাস করেছিলেন। সেইসঙ্গে ঘুমের বড়ি, কৃত্রিম উত্তেজক, অবসাদ দূর করার ওষুধ এবং কল্পনাশক্তি বৃদ্ধির ওষুধ উদ্ভাবনের কথাও লিখে রেখেছিলেন।

৮) ইন্টারনেট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
১৯০৯ সালে ‘দ্য মেশিন স্টপস’ গল্পে ব্রিটিশ লেখক এ এম ফর্স্টার এমন এক ভবিষ্যত্‍ প্রজন্মের কথা লিখেছিলেন যারা নিজেদের মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। মানুষের সম্পর্ক ও সমাজে যন্ত্রের গা-ছমছমে উপস্থিতির পাশাপাশি যোগাযোগের বিশ্বায়ন সম্পর্কে তিনি যে পূর্বাভাস করেছিলেন, কয়েক দশক পার করে তা-ই বাস্তব দুনিয়ায় রূপ পেয়েছে অন্তর্জালের মাধ্যমে।

৯) চন্দ্রাভিযানের পূর্বাভাস
মানুষ যে একদিন চাঁদে পা রাখবে তা ১৮৬৫ সালে ‘ফ্রম দ্য আর্থ টু দ্য মুন’ উপন্যাসে লিখেছিলেন বিশ্বখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্ন। ১০০ বছর পর তার উপন্যাসে দেয়া চন্দ্রাভিযানের বর্ণনার অনেকটাই মিলে যায় যখন পৃথিবীর উপগ্রহের মাটিতে প্রথম ঘটে মানব পদক্ষেপ। মহাকাশযানের আকার, মহাকাশচারীর সংখ্যা, অভিযানের মোট সময় এবং ভরশূন্যতার খুঁটিনাটি তথ্য ভার্নের লেখায় আগেই পাওয়া গিয়েছিল।

১০) ডিজিটাল নজরদারি
১৯৪৯ সালে তার উপন্যাস ‘১৯৮৪’-তে জর্জ অরওয়েল ইন্টারকানেক্টেড নিরাপত্তা ক্যামেরা জালের তত্ত্ব সম্পর্কে লিখলে তা বহু পাঠক লেখকের কল্পনা হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। একুশ শতকে সেই প্রকল্পই কিন্তু বাস্তবায়িত হয়েছে। মজার কথা, অরওয়েলের বাড়ির মাত্র ২০০ গজের মধ্যে ৩২টি সিসিটিভির সাহায্যে প্রথম এমন পরিকল্পনা রূপ পায়।

১১) অঙ্গ প্রতিস্থাপন
ফের মিলে গেছে রবার্ট বয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী। ১৬৬০ সাল নাগাদ বয়েল পূর্বাভাস করেছিলেন, ভবিষ্যতে মানুষের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনই হবে চিকিত্‍সার অন্যতম প্রধান উপায়। জাদুবিদ্যা ও তুকতাক সর্বস্ব সুদূর অতীতে তার এই ভবিষ্যদ্বাণী অনেকের চোখ কপালে তুলেছিল। বর্তমানে বয়েলের তত্ত্বই অনুসরণ করছে আধুনিক চিকিত্‍সা বিজ্ঞান।

১২) লন্ডনের অগ্নিকাণ্ড ও নস্ত্রাদামু
১৫৫৫ সালে প্রকাশিত ‘লে প্রোফেতিস’ বইয়ে নস্ত্রাদামু লন্ডন শহরের ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের কথা লিখে গিয়েছিলেন। তার কথায়, ‘৬৬ সালে এই আগুনে লন্ডনের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের রক্ত পুড়বে। ১৯৬৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ রাজধানীতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

১৩) ঠাণ্ডা যুদ্ধের গল্প
‘সলিউশন আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ ছোট গল্পে এমন এক আমেরিকার কথা লিখেছিলেন রবার্ট হেইনলেইন যে দেশ পৃথিবীর অন্য সমস্ত রাষ্ট্রের আগে পরমাণু বোমা বানিয়ে দুনিয়ার একমাত্র সুপার পাওয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তার দেখাদেখি অন্য দেশগুলোও তড়ঘড়ি এমনই শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করবে বলেও তিনি লেখেন। ইতিহাসের পরবর্তী অধ্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল সাহিত্যিকের দূরদৃষ্টি।

১৪) নিজের মৃত্যুর দিনক্ষণ আগেই জানতেন মার্ক টোয়েন
নিজেকে কোনোদিন প্রফেট বা আধ্যাত্মিক চরিত্র হিসেবে প্রচার করেননি সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন। কিন্তু নিজের মৃত্যুর দিন ও সময় সম্পর্কে তার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলে যেতে দেখে হতবাক হয়েছিলেন সবাই। টোয়েন লিখেছিলেন, ১৮৩৫ সালে তার জন্মের সময় আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা গিয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, ধূমকেতুর পুনরাবির্ভাবের সময় তার মৃত্যু হবে। ১৯১০ সালে মার্ক টোয়েনের জীবনাবসানের সঙ্গে সঙ্গে রাতের আকাশে ফের দেখা দেয় হ্যালিস কমেট।

১৫। ১৯৮১ সালে ডিন কুন্তজ উপন্যাসে করোনার পূর্বাভাস!
চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস কথা লেখা ছিলো প্রায় ৪ দশক আগের একটি থ্রিলার উপন্যাসে। যা লিখেছিলেন ঔপন্যাসিক ডিন কুনট্জ। ওই উপন্যাসের নাম ‘দ্য আইজ অব ডার্কনেস’।
উপন্যাসে ওই ভাইরাসটির নাম দেয়া হয়েছিলো ‘উহান-৪০০’। ওই উপন্যাসে এই ভাইরাসটি চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে একটি ল্যাবরেটরিতে জীবাণুঅস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। কাকতালীয় এখানেই যে, এই উহান থেকেই এবার নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ছাড়াও ২০১১ সালে মুক্তি পায় চলচ্চিত্র ‘কনটেজিয়ন’এ পূর্বাভাশ দেওয়া হয়েছিল মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসর।
প্রায় এক দশক আগে তৈরি চলচ্চিত্রের কাহিনীর সঙ্গে বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের অনেক মিল রয়েছে। চীন থেকে একটি ভয়াবহ এবং রহস্যময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, এরকম গল্প নিয়ে ২০১১ সালে মুক্তি পায় চলচ্চিত্র ‘কনটেজিয়ন’। ২৭০তম স্থান থেকে এখন চলচ্চিত্রটি নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
চলচ্চিত্রটির গল্প আর বাস্তবতার সঙ্গে অবিশ্বাস্য মিল দেখে ২০২০ সালের এই তিন মাসে চলচ্চিত্রটি 'হিট' হয়ে ওঠে। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘কনটেজিয়ন’ কোনভাবেই ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল না। কিন্তু এই তিন মাসে কনটেজিয়নের জায়গা হয়েছে নবম অবস্থানে। তার সামনে রয়েছে শুধুমাত্র হ্যারি পটার সিরিজের আটটি চলচ্চিত্র।
নয় বছর পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফিরে এসেছে 'কনটেজিয়ন'। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল আইটিউন স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চলচ্চিত্রটি। সেই সঙ্গে গুগল সার্চের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে 'কনটেজিয়ন'।
‘কনটেজিয়ন’ চলচ্চিত্র তৈরি করেছে ওয়ার্নার ব্রাদারস। তারা বলেছে, চীনে যখন প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন বিশ্বের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় এটির অবস্থান ছিল ২৭০তম।
কনটেজিয়ন চলচ্চিত্রটিতে একজন নারী ব্যবসায়ী (গিনেথ প্যালট্রো অভিনয় করেছেন) একটি রহস্যময় এবং মারাত্মক ভাইরাসে মারা যান। চীনে একটি সফরের সময় তিনি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। দর্শকরা বলছেন, বর্তমান বাস্তব জীবনের ভাইরাস সংক্রমণ যেমন চীন থেকে শুরু হয়েছিল, তেমনি চলচ্চিত্রটির এরকম কাহিনীর মিলের কারণেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

এই বিশ্ব প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সত্যিই তুলনা নেই। এই পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে কতশত নদী-পাহাড়-মরুভূমি, আর তার সাথে নাম না জানা কত গাছপালার সমাহার। এসবই প্রকৃতির দান। রহস্যময় এই প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানেরই একটি নিজস্ব স্বকীয়তা রয়েছে। কখনও তা ভয়ঙ্কর রূপে আমাদের সামনে ধরা দেয়, আবার কখনোবা তা আমাদের চোখ মন জুড়িয়ে দেয়। প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টির সামনে দাঁড়ালে মানবসৃষ্ট সভ্যতার সবকিছুই যেন তুচ্ছ হয়ে যায়। প্রকৃতির বুকে লুকিয়ে থাকা এই অপার রহস্য মানুষ আজও পুরোপুরি উন্মোচন করতে পারেনি।সিত্যিকার অথে এই বিশ্ব অনেক রহস্যের আধার। যা একমাত্র সৃষ্টিকর্তর নখদর্পনে থাকেলেও আমরা আছি গহীণ অন্ধকারে। তা্ই সৃষ্টিকর্তার রহস্য নিয়ে তার আদেশকে শীরধার্য করে সে দিকে হস্তক্ষেপ না করাই মঙ্গল। কারণ আল্লাহ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভাল মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নেই।

ধন্যবাদ সকল পাঠক বিশেষ করে সহব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান ভাইকে যিনি আমার আজকের লেখাটি প্রস্তুত করতে উৎসাহিত করছেন।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: নুরু ভাই (মুরুব্বী) আপনি একজন কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি, নাস্তিক নই।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

শের শায়রী বলেছেন: তথাকথিত মুক্ত মনারা আবার নিরেট সায়েন্সের বাইরে কিছু বিশ্বাস করে না, কিন্তু আজকে যেটা মীথ ভবিষ্যতে যখন সেটা প্রমানিত হয় তখন সেটা বিজ্ঞানের নামে জয়গানে গীত হয়।

পোষ্টে ভালো লাগা কারন এই সব ব্যাপারে আমার অপার কৌতুহল।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ শের শায়রী ভাই
মুক্তমনারা কেন যে সৃষ্টিকর্তাকে
আমলে আনতে চায়না তা এক
বিশ্বয়! তারা আল্লাহর কোন
নেয়ামতকে 'অস্বীকার করবে?

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

নতুন বলেছেন: কল্পকাহিনি, সায়ান্সফিকসনের ঘটনা দিয়ে ভবিষ্যত জানার মতন জিনিস বিচার করতে গেলে তো সমস্য। :)

কল্পকাহিনি আর সায়ান্সফিকসন মানুষের কল্পনা করে তার বত`মানের অভিঙ্গতার উপরে চিন্তা করে। কিছু মিলে যায় কিছু হয় না।

কিন্তু ভবিষ্যত জানা বিষয়টা আরো গুরুতর বিষয়।

ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী ভবিষ্যত জানা সম্ভবনা। রাসুল সা: যেটা বলেছেন সেটা সৃস্টিকতার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বলেছেন।

রাসুল নিজেও ভবিষ্যত জানতেন না। এটা অনেক ঘটনার বিশ্লেষন করলেই বুঝতে পারবেন।

আর যৌক্তিক ভাবেও ভবিষ্যত জানার কোন কারন নাই।

একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার লেখনীতে ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে
তাই প্রকাশ করেছি যা পবিত্র কোরআনে
বিদ্ধৃত হয়েছে।
“বল আল্লাহ ব্যতীত আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে কেহই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।” [সুরা আন-নামল: ৬৫]
রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
”যে একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টা গণকের নিকট গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল,মুহাম্মদের (সঃ) নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছিল সে তা অবিশ্বাস করল।”

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




কি কি জানলে, আপনার এই ধরণের লেখাগুলো শুদ্ধ হতো? কমপক্ষে অংক, ১টা কম্প্যুটার ভাষা (জাভা, পাইথন, সি++), কম্প্যুটার অলগারিধম ও লজিক।

১ থেকে ১,০০০,০০০,০০০,০০০ সংখ্যাকে আমি যদি মিশায়ে লিখে একটি ফাইলে দিই, সেটাকে আপনি কত সময়ে, ছোট থেকে বড়'র দিকে সাজাতে পারবেন? আপনি লজিক ও কম্প্যুটারের ১ টি ভাযা জানলে আপানার সময় লাগবে ১ থাকে ১০ মিনিট।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব মাঝে মাঝে আপনার উচ্চমার্গের কথাবার্তা
এই অধম ক্যাচ করতে পারেনা। কোন কথার কি মানে
তা যদি বুঝাই না যায় তা হলেতো তা বোঝা হয়েই
পীড়ন করে।
সব খানে লজিক খাটেনা তা আপনার না বোঝার কথা নয়।
গাভীর চার পা, গাভী দুধ দেয় তাই বলে চার পায়ের টেবিলের
কাছে দুধ চেয়ে মাথা ফাটালে আপনারই ক্ষতি টেবিলের না।

বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও ভয় নিয়েই মানুষকে চলতে হয়।
আমার বিশ্বাস আছে, ভয় পাই বিজ্ঞানকেও অবজ্ঞা
করিনা।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সত্যপথিক শ্যাইয়ানকে আমার কাছে 'আজগুবি মানুষ' মনে হয়; আমি উনাকে পছন্দ করি, উনি প্রাণবন্ত মানুষ; উনি ব্লগে রুমি, সা'দী, ওমর খৈয়ামের লেখা থেকে এটা সেটা নিয়ে আসেন; কিন্তু সমস্যা হলো, উনি আনার সময়, নিজের দক্ষতার কারণে, ঘি নিয়ে আসেন বাঁশের তৈরি ঝুঁড়িতে, পানি আনেন কাপড়ের থলিতে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
প্রত্যেক মানুষকে আলাদা আলাদা সত্ত্বা দিয়ে
সৃষ্টিকর্তা খুব যত্ন করে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
এখন যদুর কাছে মধু চাইলে তো হবেনা।
কারন সে আপনাকে হয়তো রস দিতে
পারবে। তাই আপনি যা পারেন বা বোঝেন
সেইরকম করে সত্যপথিক শ্যাইয়ান না ভা্বতেও
পারেন। তিনি তার মত প্রকাশ করেছেন, আপনার
সাথে না মিললে যুক্তি দিয়ে তাকে বস করেন, অবশ্যই
জোর করে চাপিয়ে দেবেন না আপনার মত।
ঘি যদি সে ঝুঁড়িতে আনতে পারে সেটা তার
ক্রেডিট !!

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগার 'শের শায়েরী' মন্তব্য করে নিজের মতামত জানায়েছেন; মনে হচ্ছে, এসব বিষয়ে উনারও অনেক আগ্রহ; সাথে 'মুক্তমনা'রা আপানার পোষ্ট নিয়ে কি ভাববেন, সেটার উপর 'বাণী' দিয়ে গেছেন; এগুলো 'বাকপটুতা'।

মুক্তমনারা আসুক, মন্তব্য করুক, দেখা যাক; আমার মতে, ব্লগার ড: আলী একজন মুক্তচিন্তার মানুষ, উনি এখানে কমেন্ট করলে আমি এসে পড়ে যাবো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যে যার মন্তব্য, বক্তব্য প্রকাশ করবে। তাতে যদি কেউ বশীভূত হয়ে
তার সাথে সহমত প্রকাশ করে তাতে দোষের কিছু নাই। আমার বিশ্বাসে
ভুল থাকতেই পারে। কেউ যদি আমার ভুল ধরিয়ে আমাকে শুধরে দিতে
পারে তা হলে তা গ্রহণ করতে দ্বিধা্ন্বিত হবার কোন যুক্তি নাই।

ডঃ আলী ভাইয়ের অপেক্ষায় রইলাম!

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: কেউ কারো বিশ্বাস কে ফেরাতে পারেনা।। তথ্যগুলো যোগাড় করতে নুরু ভাই কে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, এজন্য কৃতজ্ঞতা।। ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে আমরা পড়াশোনায় আগ্রহী হই।।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার বিশ্বাস মনের অগোচরে কোন পাপ নাই।
প্রতিটি অন্যায় কাজে তার সুপ্ত বিবেক বাধা দিবেই।
তবে অশুভ শক্তি যখন শুভশক্তিকে পরাস্থ করে
তখনই মানুষ অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়।

সহমত। আমরা কেউ যেন ব্যক্তিগত আক্রমন
বা পরস্পরে কলহে লিপ্ত না হই।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: চাঁদগাজীর সাথে আমি ৫ নাম্বার মন্তব্যে ১০০% একমত। এই ব্লগার বেশ কিছুদিন আগে পারশিয়ান ইসলামি দার্শনিক এবং শ্রদ্ধেয় বাইজিদ বাস্তাম (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) কে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন। যার কবর ইরানে আছে তাকে উনি চট্টগ্রামে আবার কবর দিয়েছেন। উনার সেই বিখ্যাত পোস্ট ব্লগে থেকে উধাও করে দিয়েছেন। মডারেটর সহ আমরা অনেকেই সেই পোস্টে এটা জানতে মন্তব্য করেছিলাম। শ্রদ্ধেয় শেখ মুজিব সাহেবের পুর্ব পুরুষ নাকি এই বুজুর্গের সাথে এইদেশে এসেছিল। এইসব জগাখিচুরি পোস্টের উনি কোন সূত্রও দেন না।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য প্রদানের জন্য।
অনুরোধ কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে আমরা কাউকে যেন
হেয় প্রতিপন্ন না করি। আমরা সবাইযে সব সময় সঠিক
কথা বা কাজটি করিি তা কিন্তু নয়। মানুষের মাঝে ভুল ভ্রান্তি
থাকবেই। সেই ভুল ত্রুটি শোধরে দেবার দ্বায়িত্ব আমাদের
সবার। আমরা সহ-ব্লগার, কেউ কারো শত্রু নই।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৫

শের শায়রী বলেছেন: @ মুরুব্বী চাদ্গাজী, কি ইদানিং আমার বাঁকপটুতায় মুগ্ধ? নাকি চন্দ্রাহত? আপনি কি মুক্তমনা? সেটা স্বীকার করতে লজ্জা লাগে মুরুব্বী? এর মাঝে শ্রদ্ধেয় আলী ভাইকে টানেন কেন? আর পায়ে পা লাগিয়ে খ্যাচাল বাজানোর স্বভাব যদি আপনার বাড়তেই থাকে তবে সামনে আরো বাঁকপটুতা দেখবেন নিশ্চিত এবং যা আপনাকে বাঁকহীন করে দেবে ;) । আর কোন পোষ্টে কি মন্তব্য দেব সেটা কি আপনার কাছ থেকে ফিল্টারিং করে নিতে হবে নাকি এখন থেকে :-B

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শের শায়রী ভাই গাজীসাব ইদানিং অনেক নমনীয় এবং
সবার কথাতেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। খুবই ভালো !!
তাই বলে কাউকে বাকহীন করে দেওয়া ঠিক হবেনা।
তার কাছ থেকে প্রতিদিনই আমরা নতুন নতুন
অনেক কিছু জানছি, শুনছি।
ভালোথাকুন গাজীসাব।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই নিয়ে লেখার জন্যে ধন্যবাদ।

আমার পোস্টে আপনার কমেন্টের একটি উত্তর দিয়েছি।

তবে, ভবিষ্যৎ বাণী সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন, তা মনঃপুত হয়নি। নবী-রাসূলরা ভবিষ্যৎ বাণী করেন না। তাঁরা যা দেখান সেটা হচ্ছে মুজিযা। আল্লাহই তো তাঁদের এই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন।

অন্যরা যদি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু বলতে যায়, তাহলে সেটা একটি দূষণীয় কাজ। কারণ, আল্লাহ সেই ক্ষমতা তাদেরকে দেননি। ফলে, এই ভবিষ্যৎবক্তারা যা বলে তা আন্দাজ করে বলে। এটাই আমাদের বিশ্বাস হওয়া উচিৎ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শাইয়্যান ভাই,ভবিষদ্বানী নিয়ে আমি যে ব্যাখ্যা দিয়েছি তা আপনা মনঃপুত হয়নি। না হতেই পারে। তা দোষের নয়।

আমরা জানি আমাদের প্রিয রসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কেয়ামত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তবে তিনি ছিলেন মহামাব। তার সাথে দুনিয়ার কারো তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। পৃথিবীর কারোরই নেই। তিনি তাই বলতেন যেটুকু আল্লাহতালা তাকে দিয়ে বলাতেন। পবিত্র কোরআনে এ বিয়য়ে আল্লাহ কর্তৃক আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে বলা হয়েছেঃ “বল, আল্লাহ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভাল মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নেই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানিতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করিতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করিত না। আমিতো শুধু মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য সর্তককারী ও সুসংবাদবাহী।” [সুরা আল-আ’রাফঃ ১৮৮] সুতরাং জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস এবং রাশিচক্র পরীক্ষা করা পরিস্কারভাবে ইসলামের শিক্ষা এবং বিশ্বাসের বিপক্ষে। হতে পারে ভবিষ্যদ্বাণী কোন একটা ধারণা থেকে বা কল্পনাপ্রসূতও হতে পারে।তবে
অনেক মানুষের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে বলা যায় ভবিষ্যতে সে কি হবে বা হতে পারে। শিক্ষক কোন ছাত্রের পড়া লেখার ব্যাপারে বলতে পারেন তার মেধা কেমন এবং তার পড়া লেখা হবে কিনা। সব ভবিষ্যতবানী সবসময় কার্যকরী হয় তাও কিন্ত নয়। বাবা মা বুঝতে পারেন তার সন্তান ভবিষ্যতে কি হতে পারবে! এইযে আগাম চিন্তা বা ধারণা এটাকে আপনি কি বলবেন? আমি আমার সংশ্লিষ্ট লেখায় যে ১৫টি আগাম বার্তর কথা উল্লেখ করেছি তা কি শুধুই কাকতালীয়?


১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন ‘ আল্লামাকা মা লাম তাকুন তা’লাম ” আর্থাৎ, তিনি আপনাকে এমন জিনিস শিক্ষা দিয়েছেন যা আপনি জানতেন না “ ( সুরা নিসা আয়াত ১১৩)

হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা, নিশ্চয়ই আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীদাতা (প্রত্যক্ষদর্শী বা হাযের-নাযের), সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে।” (সূরা - আল-আহযাব : আয়াত - ৪৫)

যালিকা মিন আমবা-য়িল গাইবি নূহীহি ইলাইকা।(সুরা ইউসুফ, আয়াত-১০২) অর্থ : এটি অদৃশ্য সংবাদ যা আপনার প্রতি প্রেরন করেছি।
ওয়ামা হুওয়া আলাল গাইবি বি-দ্বানীন। ( সুরা তাকবীর, আয়াত-২৪) অর্থ : নবী (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অদৃশ্য বিষয় বর্ননা করার ব্যাপারে কৃপণ নন।

এতে স্পষ্ট হয় যে, আল্লাহই ভালো জানেন তার হাবীব কে কতটুকু এলমে গায়েব দান করেছেন এ ব্যাপারে কারো মাপামাপি করার দরকার নেই আর সত্তাগত আলিমুল গায়েব হলেন একমাত্র আল্লাহ । আর আল্লাহর রাসুলের ইলমে গায়েব আল্লাহ্ প্রদত্ত । যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে –
” মা কানাল্লাহু লি উতলিয়াকুম আলাল গাইবে ওয়ালাকিন নাল্লাহা ইজতাবিয়ু মিররুসুলিহু মাইয়াশায়ু”
অর্থাৎ হে সাধারাণ লোকগন ! আল্লাহ তা’আলার শান নয় যে , তিনি তোমাদেরকে ইলমে গায়েব দান
করবেন , তবে হ্যাঁ রাসুলগনের মধ্য হতে তিনি যাকে চান তাকে অদৃশ্যজ্ঞানের জন্য মনোনীত করেন ।
( সুরা আলইমরান ১৭৯)

রসুলগণের মধ্য হতে যদি আল্লাহ পাক কাউকে নির্বাচিত করেন। তাহলে সর্বপ্রথমে কাকে নির্বাচিত করবেন তা সহজেই অনুমেয় । আরেক জায়গায় ইরশাদ হয়েছে - (আল্লাহ)স্বীয় গায়েবের বিষয়ে কাউকে
ক্ষমতাবান করেন না । কিন্তূ রাসুলদের মধ্য যার উপর তিনি সন্তষ্ট হন( তাকেই ক্ষমতাবান করেন )
(সুরা জিন- আয়াত ২৬-২৭ )

''যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে তারতম্য
করতে ইচ্ছা করে এবং বলে- আমরা কিছু মানি-কিছু মানিনা এবং আল্লাহ্ ও রাসূলগণের মধ্যবর্তী তৃতীয় রাস্তা উদ্ধাবন করতে চায়-তারাই পাক্কা কাফের।'' (নিসা-১৫০)

হযরত আমর ইবনে আখতাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) হতে বর্নিত , তিনি বলেন , আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) একদিন আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন । অতঃপর মিম্বরে আরোহন করলেন এবং আমাদের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করলেন ; এমন কি যোহরের নামায পড়ালেন ।অতঃপর আবারো আরোহন করলেন মিম্বরে , আর বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন ,এমন কি আসরের নামাযের সময় উপস্থিত হল । অতঃপর মিম্বরে হতে নেমে আসরও পড়লেন । পুনরায় মিম্বরে আরোহন করে বক্তব্য দিতে দিতে সুর্য অস্তমিত হয়ে গেল । সে দিন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) অতীতে যা কিছু এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সকল বিষয়ে আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন । আমাদের মধ্যে যাঁদের স্মরণশক্তি অধিক তাঁরা সেসব (অদৃশ্য) সংবাদ বেশী মনে রাখতে পেরেছেন ।
( সুত্র : বুখারী শরীফ হাদিস নম্বর ৬২৩০ কিতাবুল কদর , মুসলিম শরিফ হাদিস নম্বর ২৮৯১ কিতাবুল ফিতান , তিরমিযী শরীফ হাদিস নম্বর ২১৯১ কিতাবুল ফিতান , আবু দাউদ শরীফ হাদিস নম্বর ৪২৮ কিতাবুল ফিতাম , মিসকাতুল মাসাবিহ : কিতাবুল ফিতাম ৪৬১ পৃষ্ঠা )

ভাইজান - মাঝে মাঝে অবাক হই মানুষ সীমাবদ্ধ জ্ঞান নিয়ে কিভাবে ফতোয়া দিয়ে বসে। অথচ জ্ঞান সমুদ্রের ধারে কাছ্ওে পৌছায় নি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন। না বুঝলে ফতোয়া দেবার মানসিকতা থেকে দূরে রাখুন।

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আলাদা কোন জ্ঞান(! তথ্য উত্তাপ ছাড়া) নিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য হয়ত চলে না, তবে তথ্য উত্তাপ নিয়ে আগামীর জন্য মন্তব্য না করলে তো সমাজ দুনিয়া সঠিক পথে হাটবে না। যারা ক্ষমতায় আছে, তারা এই সব ভাল বুঝে বলেই তো, এগিয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.