নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বলতে পারেন পৃথিবী কবে ধ্বংস হবে? এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জন ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। করেছেন বাবা ভ্যাঙ্গাও। বলেছেন, ৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু, ততদিনে মানুষ এক নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে। সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ। শুধু পৃথিবীর ধ্বংসের মতো জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বাণী করেই ক্ষ্যান্ত দেননি তিনি। বরং চীনের উত্থান, আমেরিকার পতন, টুইন টাওয়ার হামলাসহ নানা বিষয়ে নাকি অদ্ভুতভাবে মিলে যাওয়া সব অনুমান করে গেছেন। প্রশ্ন জাগতে পারে কে এই বাবা ভ্যাঙ্গা?
৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। ভবিষ্যদ্বাণী ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভার। ভ্যাঙ্গেলিয়া স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে পাওয়া যায়। চেতনা ফেরার পর তিনি টের পান, তার চোখে কোনো সমস্যা হয়েছে। ক্রমে তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারান। ১৯২৫ সালে ভ্যাঙ্গা দৃষ্টিহীনদের জন্য এক বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন বাবা ভ্যাঙ্গা। সেখানে পিয়ানো বাজানো, রান্না করা, উল বোনা ইত্যাদিও শেখেন। এই সময় থেকেই তার মধ্যে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়া বলে অনেকে মনে করেন। তিনি ভবিষ্যতে ঘটবে এমন ঘটনার কথা অবলীলায় বলতে থাকেন। খ্যাতি পান ‘বলকানের নস্ত্রাদামুস’ হিসেবে।ধীরে ধীরে বাবা ভাঙ্গার কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বুলগেরিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েকজন নেতার উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন তিনি। অবশ্য বাবা ভ্যাঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগেরও কমতি নেই। অভিযোগ ওঠে, বুলগেরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তা দিয়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেন ভ্যাঙ্গা। ১৯৯৬ সালে মারা যান ভ্যাঙ্গা। তখন তার বয়স ৮৫ বছর।
৫০ বছরের পেশাজীবনে শতাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বাবা ভ্যাঙ্গা। তিনি বলেন, একধরনের অদৃশ্য প্রাণীর উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারেন তিনি। আর এই প্রাণীরাই মানুষ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেয়। যেটিকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন অনেকে।
বাবা ভ্যাঙ্গা অনুসারীরা জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে সুনামির আগে তিনি বলেছিলেন, ঠাণ্ডা অঞ্চল উষ্ণ হয়ে উঠবে এবং আগ্নেয়গিরি জাগ্রত হবে।
এমনকি নাইন-ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার হামলার বিষয়েও ভবিষ্যদ্বাণী ছিল বাবা ভ্যাঙ্গা। তিনি বলেন, ভয়, ভয়! লোহার পাখির আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইয়েরা ভেঙে পড়বে। দুটি নেকড়ের গর্জনে নিরীহদের রক্ত ঝরবে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট যে একজন আফ্রিকান-আমেরিকান হবেন সেটিও আগে থেকেই বলেছিলেন তিনি।
তার কিছু ভবিষ্যদ্বাণী তুলে ধরা হলঃ
২০১৯ সাল নিয়ে ভ্যাঙ্গা বাবা কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
১। ২০১৯ সালে পৃথিবীতে এক মহা সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। যে সুনামি ২০০৪ সালের সুনামির মতোই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে সেটি।
২। আগামী বছর রাশিয়ায় এক বিরাট উল্কাপতন ঘটতে পারে।
৩। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মস্তিষ্কের অসুৃখে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
৪। ২০১৯ সালটি রাশিয়ার উত্থানের বছর বলে চিহ্নিত করেছিলেন। বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উঠে আসতে পারে।
এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে পৃথিবীর নানা বিষয় নিয়ে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। সবশেষ ৩৭৯৭ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো হচ্ছেঃ
১। ২০১৮ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংকটের মধ্যে পড়বে।
২। ২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দেবে।
৩। ২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের অবলোপ ঘটবে। (ব্রেক্সিটের কথা মাথায় রাখলে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না।)
৪। ইসলামি শক্তির দ্বারা ইউরোপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় ইসলামি শক্তিগুলো বিপুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
৫। ২০৪৩ নাগাদ রোম একটি মুসলিম নগরীতে পরিণতি পাবে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফতের শাসন।
৬। ২১৩০ সাল নাগাদ মানুষ পানির তলায় বসবাসের বন্দোবস্ত করে ফেলবে।
৭। ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশাল হিমশৈলগুলো গলতে শুরু করবে। পৃথিবীর অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে তখন।
৮। ২০৭৬ সাল নাগাদ ইউরোপে কমিউনিজম আবার মাথাচাড়া দেবে এবং তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।
৯। ৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু তত দিনে মানুষ এক নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে। সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ। সেই সঙ্গে
১০। ৩০০৫ সালে মঙ্গল গ্রহে একটি যুদ্ধ হবে বলেও বাণী দিয়েছেন তিনি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিও বিশ্বাসী নই তবে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন, জ্ঞানবান ও
যুক্তিবাদী হয়ে গেছে। সভ্যতার চাকাও এগিয়ে গেছে অনেকখানি। কিন্তু তা
সত্ত্বেও আধুনিকতার ছদ্মাবরণে বহু অন্ধকার ও কুসংস্কার ঢুকে গেছে আমাদের সমাজে।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রান, কিন্তু জতিষির কথায় আস্থা জানিয়ে নাফরমানি করে।
কদিন আগে গভীর রাতে স্বপ্নে দেখা কথিত কাল্পনিক এক দাঁতফোকলা শিশুর কথায় সব মসজিদ থেকে গগন বিদারি আজান দিয়ে, মানুষের গেইট বাইরাবাইরি করে সব মানুষকে রাস্তায় নামিয়েছিল চাঁদপুর কুমিল্লা মুন্সিগঞ্জে। রাত ৩টা পর্যন্ত তান্ডোব চলে এদের।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাবা ভ্যাঙ্গাও যাই বলুকনা কেন! তার ভবিষ্যতবানী যতই ফলুক না কেন! পৃথিবী ধ্বংশ বা কেয়ামত সম্পর্কে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে সুষ্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ)ও মহাপ্রলয় বা কিয়ামত সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বানী করেছেন । হুজুর পাক (সঃ) কিয়ামতের অসংখ্য আলামত বা নিদর্শন বর্ণনা করে গেছেন। এগুলোকে দু’ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। (১) আলামতে কুবরা বা বড় আলামত (২) আলামতে ছুগরা বা ছোট আলামত । কিয়ামতের ছোট আলামত হলঃ- মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর তিরোধানের পর থেকে হযরত ঈমাম মাহদী (আঃ) এর আর্বিভাবের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত । আর কিয়ামতের বড় আলামত হলঃ-ঈমাম মাহদী (আঃ) আগমনের পর থেকে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত । শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার মাধ্যমেই শুরু হবে কিয়ামতের প্রারম্ভিক কাজ। ছোট আলামত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে, ১. কেয়ামতের পূর্বে দাস-দাসীর অধিক সন্তান প্রসব হওয়া ২. অজ্ঞ, অসভ্য, নব্য সম্পদশালীদের রাজত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া ৩. মসজিদে এবাদতের পরিবর্তে খেলাধুলা করা ৪. সাক্ষাতের মুহুর্তে সালামের পরিবর্তে অশালীন ও অমার্জিত কথাবার্তা বলা ৫. মিথ্যাকে অলংকার হিসেবে গ্রহন করা ৬. বিশ্বস্থতা বিলুপ্ত হওয়া ৭. প্রকাশ্যে ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া ৮. লজ্জা-শরম বিদায় নেওয়া ৯. লম্পট ও ফাসেকদের জ্ঞান -বিজ্ঞান অর্জন করা ১০. মুসলমানদের উপর কাফেরদের আক্রমণ, অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম বেদাত ও কুসংস্কার বৃদ্ধি পাওয়া ১১. নিজ স্ত্রীকে ছেড়ে পর নারীর পিছনে এবং নিজ স্বামী ছেড়ে পর পুরুষের পিছু ছুটা ১২. অসভ্য, অসৎ, দুশ্চরিত্রবান মানুষের প্রাধান্য পাওয়া ১৩. ন্যায় বিচারের পরিবর্তে অন্যায় বিচার করা ১৪. প্রকাশ্যে মদ্যপান, জুয়া, জীনা ইত্যাদি কিয়ামতের অন্যতম আলামত।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এতে হাসির কি হলো খানসাব!!
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি এইসব কই পান আলি ভাই?
আপনার কালেকশন ভালো তবে
প্রসঙ্গিক হলে ভালো হতো।
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
নতুন বলেছেন: ভবিষ্যত কেউই জানেনা। তাহলে বাবা ভাঙ্গা কিভাবে ভবিষ্যত জানতে পারে?
ইসলামী বিশ্বাসে কি তার এই ভবিষ্যত বলার বিষয়টি সত্য হতে পারে?
আর যদি তার ভবিষ্যতবানী সত্য হয়ে থাকে তবে সেটা কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
“অদৃশ্যের কুঞ্জি তাঁহারই নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যতীত কেহ জানে না।” [সূরা আন-আনআমঃ ৫৯]“বল আল্লাহ ব্যতীত আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে কেহই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।” [সুরা আন-নামল: ৬৫]
যতই জ্যোতিষ বলুক অথবা যা কিছুই জ্যোতিষশাস্ত্রের বইয়ে থাকুক, কেউ তার রাশিচক্রে প্রদত্ত ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করলে সে সরাসরি কুফরি (অবিশ্বাস) করে। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
”যে একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টা গণকের নিকট গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল,মুহাম্মদের (সঃ) নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছিল সে তা অবিশ্বাস করল।”
অপর এক হাদিসে আছে "যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাত্রির নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।”
এটা সত্য যে গননাকারীর প্রদানকৃত সংবাদের কিছু কিছু সত্য হয় বটে। তারা এরূপ সংবাদ প্রদান করে দুষ্ট জিনদের সাহায্যে। গনকরা জিনদের সাথে বেশীর ভাগ সময়ই নিষিদ্ধ বা ধর্মদ্রোহী কাজের মাধ্যমেই যোগাযোগ করে। এভাবে তলব করে আনা দুষ্ট জিন তাদের সঙ্গীদের গুনাহ করতে এবং স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করতে সাহায্য করতে পারে। তাদের লক্ষ্য হল স্রষ্টা ছাড়া অথবা স্রষ্টার পাশাপাশি অন্যকে উপাসনা করার মত গুরুতর গুনাহ করতে যত বেশী জনকে পারা যায় তত জনকে আকৃষ্ট করে। একবার গণকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চুক্তি হয়ে গেলে, জিন ভবিষ্যতের সামান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানাতে পারে। রাসুল (সঃ) বর্ণনা দিয়েছেন জিনরা কিভাবে ভবিষ্যত সম্বন্ধে সংবাদ সংগ্রহ করে। তিনি বর্ণনা দেন যে, জিনরা প্রথম আসমানের উপর অংশ পর্যন্ত ভ্রমণ করত এবং ভবিষ্যতের উপর কিছু তথ্যাদি যা ফিরিশতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করত তা শুনতে সক্ষম হত। তারপর তারা পৃথিবীতে ফিরে এসে তাদের পরিচিতি মানুষের কাছে ঐ তথ্যগুলি পরিবেশন করত। (বুখারী এবং মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত)
মুহাম্মদ (সঃ) এর নবুওত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত এই ধরণের বহু ঘটনা সংঘটিত হত। এবং গণকরাতাদের তথ্য প্রদানে নির্ভূল ছিল। তারা রাজকীয় আদালতে আসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জনকরেছিল। এমনকি পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে তাদের পুজাও করা হত।
রাসুল (সঃ) কর্তৃক ধর্ম প্রচার শুরু করার পর হতে অবস্থার পরিবর্তন হয়। আল্লাহ ফিরিশতাদের দিয়ে আসমানের নীচের এলাকা সতর্কতার সঙ্গে পাহাড়া দেবার ব্যবস্থা করলেন। তারপর হতে বেশীরভাগ জিনদের উল্কা এবং ধাবমান নক্ষত্ররাজি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হত। আল্লাহ এই বিস্ময়কর ঘটনা কোরআনের ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ “আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।” (সুরা আল-জ্বিন ৭২:৮-৯)
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা কিন্তু এগুলও তীব্র ভাবেই বিশ্বাস করে এবং সে অনুপাসে কর্মপন্থা চালায়।
কিন্তু আমাদের দ্বিধান্বিত করে রাখে বিশ্বাস না করতে, ফলে কর্মপন্তা প্রণয়নের প্রশ্নই ্ওঠেনা।
ইসলামের বিকাশ এবং ইউরোপ দখলের বিষয়ে তারা সবচে বেশি কনসাস।
তাইতো বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলামকে খেলো করতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে।
অথচ আমরাই উদাসী বেখেয়াল!!!!
শাহ নেয়ামতউল্লা রহ: এর ভবিষ্যতবাণীর ক্ষেত্রও একই রকম।
+++
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু দাদা।
আসলে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস এবং রাশিচক্র পরীক্ষা করা পরিস্কারভাবে ইসলামের শিক্ষা এবং বিশ্বাসের বিপক্ষে। সেটাই সত্যিকারের শূন্য ও নিঃস্ব আত্মা যা খাঁটি ঈমানের (বিশ্বাসের) স্বাদ গ্রহণ করেনি এবং এই সব পথ খুঁজে বেড়ায়। অপরিহার্যভাবে,এই সব রাস্তা পূর্বনির্ধারিত নিয়ত হতে মুক্তি পাবার একটি নিষ্ফল প্রচেষ্টার প্রতীক। অজ্ঞ লোকেরা মনে করে যে তারা যদি জানে আগামীকাল তাদের ভাগ্যে কি রয়েছে, তারা আজ থেকে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। ঐভাবে তারা অমঙ্গল এড়াতে সক্ষম হতে পারে এবং মঙ্গল নিশ্চিত করতে পারে।
তথাপি, আল্লাহ কর্তৃক আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে বলা হয়েছেঃ
“বল, আল্লাহ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভাল মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নেই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানিতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করিতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করিত না। আমিতো শুধু মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য সর্তককারী ও সুসংবাদবাহী।” [সুরা আল-আ’রাফঃ ১৮৮]
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: নস্ত্রাদামুকে নিয়ে কিছু পড়াশুনা আছে কিন্তু এই বাবা (যদিও মা হবার কথা কারন উনাকে দেখলাম মহিলা ) ভ্যাঙ্গা একদম ন্তুন লাগল। ভালো লাগল নতুন কিছু জানায়।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে ভিন্ন সময় নানা ব্যক্তি মানব সভ্যতার এমনই কিছু পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যা
পরবর্তীকালে হুবহু মিলে যায়। আজ পর্যন্ত এর রহস্যের মীমাংসা করতে পারেনি কোনো যুক্তি।
যেমনঃ
১) টাইটানিকের সলিল সমাধি
২) হিটলারের জন্মের পূর্বাভাস
৩) হিরোশিমা-নাগাসাকির বিস্ফোরণ
৪) ওকলাহোমা শহরে বোমা বিস্ফোরণ
৫) অগ্নুত্পাত, সুনামি এবং হারিকেন ক্যাটরিনা ঘটনার
৬) নিজের হত্যাকাণ্ডের কথা আগাম জেনেছিলেন লিঙ্কন
৭) দীর্ঘায়িত জীবন, ন্যানো প্রযুক্তি, ডিজাইনার ড্রাগস
৮) ইন্টারনেট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
৯) চন্দ্রাভিযানের পূর্বাভাস
১০) ডিজিটাল নজরদারি
১১) অঙ্গ প্রতিস্থাপন
১২) লন্ডনের অগ্নিকাণ্ড
১৩) ঠাণ্ডা যুদ্ধের গল্প
১৪) নিজের মৃত্যুর দিনক্ষণ আগেই জানতেন মার্ক টোয়েন
১৫। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পূর্বেই লেখা হয়েছে উপন্যাসের পাতায়
৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০১
নতুন বলেছেন: “অদৃশ্যের কুঞ্জি তাঁহারই নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যতীত কেহ জানে না।” [সূরা আন-আনআমঃ ৫৯]“বল আল্লাহ ব্যতীত আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে কেহই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।” [সুরা আন-নামল: ৬৫]
যতই জ্যোতিষ বলুক অথবা যা কিছুই জ্যোতিষশাস্ত্রের বইয়ে থাকুক, কেউ তার রাশিচক্রে প্রদত্ত ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করলে সে সরাসরি কুফরি (অবিশ্বাস) করে। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
”যে একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টা গণকের নিকট গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল,মুহাম্মদের (সঃ) নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছিল সে তা অবিশ্বাস করল।”
অপর এক হাদিসে আছে "যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাত্রির নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।”
যদি জীনেরা ভবিষ্যতের খবর আনতে পারে তবে উপরের কোরানের আয়াত কি মিথ্যা হয়ে যায় না?
আর যদি হাদিস অনুযায়ী বিশ্বাস করেন যে জীনেরা ভবিষ্যতের খবর নিয়ে আসে এবং গনকরা তাদের কথা বলে তবে তাদের বিশ্বাস করায় ক্ষতি কি? তারাও তো উপর থেকে খবর নিয়ে এসেছে তাই না?
ভবিষ্যত কেউই জানতে পারেনা,.... সেটা যৌক্তিক ভাবেও সম্ভবনা এবং ইসলামও সমথ`ন করেনা।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই
মানুষের মাঝে যেমন ভালো মন্দ আছে তেমনি জীনদের মাঝেও ভালো মন্দ আছে।
আগেই বলেছি গননাকারীর প্রদানকৃত সংবাদের কিছু কিছু সত্য হয় বটে। তারা এরূপ সংবাদ প্রদান করে দুষ্ট জিনদের সাহায্যে। গনকরা জিনদের সাথে বেশীর ভাগ সময়ই নিষিদ্ধ বা ধর্মদ্রোহী কাজের মাধ্যমেই যোগাযোগ করে। এভাবে তলব করে আনা দুষ্ট জিন তাদের সঙ্গীদের গুনাহ করতে এবং স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করতে সাহায্য করতে পারে। তাদের লক্ষ্য হল স্রষ্টা ছাড়া অথবা স্রষ্টার পাশাপাশি অন্যকে উপাসনা করার মত গুরুতর গুনাহ করতে যত বেশী জনকে পারা যায় তত জনকে আকৃষ্ট করে। একবার গণকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চুক্তি হয়ে গেলে, জিন ভবিষ্যতের সামান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানাতে পারে। রাসুল (সঃ) বর্ণনা দিয়েছেন জিনরা কিভাবে ভবিষ্যত সম্বন্ধে সংবাদ সংগ্রহ করে। তিনি বর্ণনা দেন যে, জিনরা প্রথম আসমানের উপর অংশ পর্যন্ত ভ্রমণ করত এবং ভবিষ্যতের উপর কিছু তথ্যাদি যা ফিরিশতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করত তা শুনতে সক্ষম হত। তারপর তারা পৃথিবীতে ফিরে এসে তাদের পরিচিতি মানুষের কাছে ঐ তথ্যগুলি পরিবেশন করত। (বুখারী এবং মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত)
তবে রাসুল (সঃ) কর্তৃক ধর্ম প্রচার শুরু করার পর হতে অবস্থার পরিবর্তন হয়। আল্লাহ ফিরিশতাদের দিয়ে আসমানের নীচের এলাকা সতর্কতার সঙ্গে পাহাড়া দেবার ব্যবস্থা করলেন। তারপর হতে বেশীরভাগ জিনদের উল্কা এবং ধাবমান নক্ষত্ররাজি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: নস্ট্রাডামুস সম্পর্কে টুকটাক ধারনা আছে, তবে ভবিষ্যৎবাণীতে আমি বিশ্বাসী নই। লিখার জন্য ধন্যবাদ।