নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
চিত্রশিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধা একেএম আবদুর রউফ। যিনি বাংলাদেশের সংবিধানের হস্তলেখক, বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকার রূপকার। একেএম আবদুর রউফ মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ সংবাদ পরিক্রমা'র সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা-কিউরেটর। শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। আজ জনাব একেএম আবদুর রউফের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০০ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত সংবিধানের হস্তলেখক একেএম আবদুর রউফের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
একেএম আবদুর রউফ ১৯৩৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৭২ সালে রচিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের হস্তলেখক। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা-কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেন এবং তার দায়িত্ব পালনকালে রউফ পুরনো চলচ্চিত্রের পুথি ও প্রিন্টসমূহ সংগ্রহ করেন। তার সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে মুখ ও মুখোশ ছবির প্রিন্ট, ঢাকায় নির্মিত প্রথম ননির্বাক চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট কিস ছবির আলোকচিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ধ্রুব (১৯৩৪) ছবির প্রিন্ট, প্রমথেশ বড়ুয়ার দেবদাস ছবির প্রিন্ট এবং উপমহাদেশের প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র রাজা হরিশচন্দ্র ছবির প্রিন্ট। এ ছাড়াও তিরি বইয়ের প্রচ্ছদের নকশাকারও ছিলেন। তিনি প্রায় ২৮০০ বইয়ের প্রচ্ছদের নকশা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একেএম আবদুর রউফকে ২০১৬ সালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ (মরণোত্তর) ও ২০১০ সালে ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। এ ছাড়া তিনি চিত্রশিল্পী হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে কুইন্স মাদার অ্যাওয়ার্ড ১৯৭২, রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক ১৯৯২, বেগম রোকেয়া শিখা পদক (মরণোত্তর) ২০০৮, বাংলাদেশ আর্টিস্ট পরিষদ পদক ও জয়নুল আবেদিন স্মৃতি পদক লাভ করেন। ২০০০ সালের ১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন সংবিধানের হস্তলেখক একেএম আবদুর রউফ। আজ জনাব একেএম আবদুর রউফের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত সংবিধানের হস্তলেখক একেএম আবদুর রউফের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খান ভাই
সাবধানে থাকবেন পরিবার পরিজন
নিয়ে। এই দূর্দিনে আল্লাহ আমাদের
সহায় হোন। আমিন
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।