নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ভারতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মীনা কুমারী দ্য পোয়েট’ বিষাদের মহানায়িকা। রূপালী পর্দায় বিয়োগান্ত চরিত্রেই মীনা কুমারীর জনপ্রিয়তা ছিল প্রবাদতুল্য, তাই ‘ট্র্যাজিডি কুইন’উপাধি জোটে তাঁর কপালে। কিছু কিছু নক্ষত্রের দ্যুতি আকাশ ঝলকানো আলো দিলেও হারিয়ে যায় বড্ড তাড়াতাড়ি। অভিনয় জগতেও এমন নক্ষত্রের দেখা মেলে, মীনা কুমারী তাদেরই একজন। মীনা কুমারীর অভিনয় নিয়ে কারো কোনো সন্দেহের অবকাশ ছিল না, নেই। তার কন্ঠস্বরের প্রেমে পড়েননি এমন কোনো সহকর্মীও নেই। আরেক বিখ্যাত নায়িকা মধুবালা তার কণ্ঠস্বর আর ডায়লগ বলার ধরনের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছিলেন। মীনা কুমারীর সাথে কাজ করতে গেলে মুগ্ধতাবশত নাকি ডায়লগ ভুলে যেতেন স্বয়ং দীলিপ কুমারও! এমনই এক জাদু ছড়িয়ে রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী। কামাল আমরোহী পরিচালিত পাকিজা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র। ছবিটি তার মৃত্যুর তিন সপ্তাহ আগে মুক্তি পায়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে চড়েও হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ার হতাশা, অতঃপর খুব কমবয়সেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া। নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাই ছিল এর মূল কারণ। নায়ক ধর্মেন্দ্র ও নায়িকা মীনা কুমারীর প্রেমকাহিনি বলিউডের বিষাদময় প্রেমগাঁথাগুলোর অন্যতম। পৃথিবীতে রূপের সঙ্গে অনেকখানি দুঃখ জড়ানো থাকে। অতুলনীয় রূপ নিয়েও এক প্রেমহীন হাহাকারময় জীবন যাপন করে সে কথাটাই হয়তো প্রমাণ করে গিয়েছিলেন হিন্দি সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ও কবি মীনা কুমারী। তাঁর জীবনে সুযোগ সন্ধানী পুরুষের অভাব ছিল না। কিন্তু তিনি যেমন প্রেম চেয়েছিলেন তেমন হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা তাকে কেউ উপহার দিতে পারেনি। তাই প্রেমতৃষ্ণা নিয়ে তার বহুল আলোচিত ‘পাকিজা’ ছবি মুক্তির মাত্র তিন সপ্তাহ পর হতাশার অন্ধকারে ডুবে মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই পৃথিবীকে বিদায় জানালেন মীনা কুমারী। ১৯৭২ সালের আজকের দিনে তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আজ তার ৪৮তমমৃত্যুবার্ষিকী। ভারতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও কবি ট্র্যাজিডি কুইন মীনা কুমারীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
মীনা কুমারী ১৯৩৩ সালের ১ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ‘মেহজাবিন বানু’। এক মুসলিম পরিবারে। বাবা আলি বকশ ছিলেন শিয়া মুসলমান। মায়ের নাম ইকবাল বেগম। আলি বকশ থিয়েটারে হারমোনিয়াম বাজাতেন, গান শেখাতেন এবং উর্দু কবিতা লিখতেন। চলচ্চিত্রে জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলেন তিনি। ইকবাল বেগম বিয়ের আগে থিয়েটার অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী ছিলেন। মঞ্চে তার নাম ছিল কামিনী। কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুরবাড়ির সঙ্গেও কোনো এক সূত্রে সম্পর্কিত ছিলেন তিনি। পরিবারের তৃতীয় কন্যা মীনার জন্মের সময় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনই শোচনীয় ছিল যে, এতই দরিদ্র ছিলেন যে, সাথে সাথে চিকিৎসকের বিল, হাসপাতালের ফি পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে তার বাবা নবজাতককে একটি মুসলিম এতিমখানায় দিয়ে দেন। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আবার সেখান থেকে উদ্ধার করেন। এরপর অবশ্য বাসায় নেয়া হয় তাকে। মূলত পিতার ইচ্ছাতেই তিনি অভিনয়ে প্রবেশ করেন। ১৯৩৯ সালে সাত বছর বয়সে ‘ফারজানদ-এ-ওয়াতন’ চলচ্চিত্রে বেবি মিনা নাম নিয়ে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। অভিনয় করার মোটেই ইচ্ছা ছিল না তার। শিশু মেহেজাবিন স্কুলে যেতে চেয়েছিল অন্য শিশুদের মতো, চিৎকার করে কাঁদতেন লেখাপড়া শেখার জন্য। কিন্তু মা তাকে একরকম জোর করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে বাধ্য করেন। পরিবারের মূল উপার্জনকারী তখন হয়ে ওঠে বেবি মীনা। বয়ঃসন্ধিতে মীনা কুমারী নামে নায়িকার ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। রূপ এবং অভিনয় প্রতিভায় খুব তাড়াতাড়ি খ্যাতি পান তিনি। ‘বীর ঘটোৎকোচ’(১৯৪৯), ‘শ্রী গণেশ মহিমা’(১৯৫০) এবং ‘আলাদিন অ্যান্ড দ্য ওয়ান্ডারফুল ল্যাম্প’(১৯৫২) ছবির মতো পৌরাণিক ও রূপকথাভিত্তিক চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে তার জনপ্রিয়তার সূচনা হয়।১৯৫২ তে মুক্তি পায় ভারতভূষণ ও মীনা কুমারী অভিনীত ‘বৈজু বাওরা’। এটি হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ধ্রুপদী সিনেমাগুলোর একটি। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্ম ফেয়ার আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন মীনা।
(পরিচালক কমল আমরোহী ও মীনা কুমারী)
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৫২ সালে মীনার সাথে খ্যাতনামা পরিচালক কামাল আমরোহির পরিচয় হয়। মীনা কুমারির বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। কামাল আমরোহি ছিলেন তার চেয়ে ১৫ বছরের বড়। তিন সন্তানের জনক বিবাহিত কামাল আমরোহির প্রেমে পড়েন মীনা এবং সে বছরই বিয়ে হয় তাদের। অসম বয়স, সাথে প্রথম বিয়ের বন্ধন। তাই কামালের জীবনে দ্বিতীয় নারী হয়েই রয়ে গিয়েছিলেন মীনা কুমারী। ক্যারিয়ারে কোনো আঁচ না আনার জন্য তারা সন্তানও নেননি। নায়িকা স্ত্রীকে দিয়ে নতুন নতুন সফল সিনেমা তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল পরিচালকের, ব্যক্তিজীবনে মীনা কুমারীকে নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা ছিল না। অন্যদিকে মীনা কুমারীর পরিবারের লোকেরা এ বিয়েতে দারুণ অখুশি হয় রোজগেরে মেয়েটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে। অবশ্য বিয়ের পরও পরিবারকে নিয়মিত টাকা দিতেন মীনা। স্বামীর কাছ থেকে যে ভালোবাসা চেয়েছিলেন তা পাননি বলে মীনা কুমারীর মনে ক্ষোভ জমা হতে থাকে। তবে এ সময় তার অভিনীত ছবিগুলো দারুণ ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। ‘পরিণীতা’(১৯৫৩) ছবিতে ললিতার ভূমিকায় তার অভিনয় ছিল অসাধারণ। এ জন্য ফিল্ম ফেয়ারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ‘দায়রা’, ‘এক হি রাস্তা’, ‘সারদা’, ‘দিল আপনা অউর প্রীত পারায়া’, ‘আজাদ’, ‘কোহিনূর’ সহ অনেক হিট ছবি উপহার দেন তিনি। ১৯৫৬ সালে কামাল আমরোহীর পরিচালনায় ‘পাকিজা’ সিনেমাটিকে দুজনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ বলে মনে করা হয়। অভিনেত্রী মীনা কুমারী অভিনয়ের পাশাপাশি কবিতা রচনাও করতেন। শেষ বয়সে সবথেকে বেশি কবিতা রচনা করেছেন মীনা কুমারী। মৃত্যুর পর তার রচিত উর্দু ভাষার কয়েকটি কবিতার একটি সংকলন প্রকাশ করেন গুলজার। ওই বই পড়েই মীনা কুমারীর সমস্ত কবিতাকে ইংরাজি ভাষায় অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও লেখক নুরুল হাসান। নুরুল হাসান একজন খ্যাতনামা অ্যাকাডেমিশিয়ান ও লেখক, যিনি ‘মীনা কুমারী দ্য পোয়েটঃ আ লাইফ বিয়ন্ড সিনেমা’ নাম দিয়ে বইটি প্রকাশ করেছেন। এই বইটিতে মীনার শেষ বয়সের রাগ, দুঃখ, অভিমান, নিজের ভালবাসা সমস্ত ধরনের ভাবনাকে ইংরাজি ভাষায় অনুবাদ করেছেন নুরুল হাসান। ‘
১৯৬৪ সালে মীনা-আমরোহির দাম্পত্যে চিড় ধরে। তারা বিছিন্ন হয়ে যান। ক্যারিয়ারে একের পর এক যৌথ সফলতা আর দাম্পত্যে শীতলতা, ব্যক্তিজীবনে এমন এক অবহেলার সময় কাটাচ্ছিলেন যখন, তখনই হঠাৎ আশার ঝলকানি হয়ে এই গল্পে প্রবেশ করলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রবেশও মীনা কুমারীর জন্য ছিল না খুব সৌভাগ্যের।তার জীবনে ধর্মেন্দ্র বয়ে আনেন ভালোবাসার সুবাতাস। আবেগপ্রবণ কবি মীনা কুমারী তীব্রভাবে ভালোবেসে ফেলেন তাকে। তাকে তিনি ‘ধরম’ বলে ডাকতেন। তাকে প্রতিদিন না দেখলে অস্থির হয়ে পড়তেন। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্রও তার ‘মীনাজি’কে ভালোবাসতেন, হয়তো সে ভালোবাসায় স্বার্থের ভাগটাই বেশি ছিল। মীনা কুমারীর বাড়ি ‘জানকী কুটির’-এ তিনি ছিলেন প্রতি সন্ধ্যার অতিথি। তীব্র, আবেগময় এক সম্পর্কে মগ্ন ছিলেন তারা। হিন্দি সিনেপাড়ার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, প্রিমিয়ারে তার একসঙ্গে যেতেন। ‘ধরমের’ প্রতি প্রকাশ্যে আবেগ দেখাতে কুণ্ঠিত হতেন না ‘মীনাজি’।একসঙ্গে ‘পূর্ণিমা’,‘কাজল’, ‘ফুল আউর পাথ্থর’, ‘চন্দন কা পালনা’সহ কয়েকটি সফল সিনেমা করেন এই জুটি। মীনা কুমারীর অ্যালকোহল আসক্তি তার চেহারা ও স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিচ্ছিল। ফলে তার ক্যারিয়ার কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র ক্রমেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন অভিনয়ে। ফলে তিনি আর আগের মতো সময় দিতে পারছিলেন না তার প্রেমিকাকে। দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ মীনা কুমারী এই দূরত্ব ঘোচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। যদি ‘ধরমের’ মনে ঈর্ষার আগুন জ্বালানো যায় তাহলে হয়তো আগের সেই আবেগের তীব্রতা ফিরে আসবে, এই ভাবনায় রাহুল নামের একটি ছেলের সঙ্গ গ্রহণ করেন। ধর্মেন্দ্র মুম্বাই ফিরে এসে বিস্তারিত ব্যাখ্যা শোনার প্রয়োজন মনে করেননি, ‘মীনাজি’র সঙ্গে ভালোবাসা কিংবা কৃতজ্ঞতাসূত্রেও কথা বলে সত্যতা যাচাইয়ের দরকার মনে করেননি। সেই দিনই মীনার সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি চিরতরে। মীনা কুমারী এ ঘটনায় বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনটুকুও হারিয়ে ফেলেন। মদে ডুবে যান তিনি। তার লিভার দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হন। এ সময় যে কবিতাগুলো মীনা লেখেন তা যেমন মর্মস্পর্শী তেমনি শিল্পগুণের দিক দিয়ে সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।তার অসুস্থতার খবর পেয়ে দেখতে আসেন কামাল আমরোহি। না, সাবেক স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা জানাতে নয়, ‘পাকিজা’ শেষ করার প্রস্তাব নিয়ে। কারণ ইতোমধ্যেই নার্গিস এবং সুনীল দত্ত তাকে উৎসাহিত করেছিলেন ‘পাকিজা’র মতো অসাধারণ চিত্রনাট্যের ছবিটি সমাপ্ত করার জন্য। মীনা কুমারী কামাল আমরোহির কথায় রাজি হন। চরম অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি ‘পাকিজা’র কাজ করতে থাকেন। অশোক কুমারের পরিবর্তে সালিম চরিত্রে নায়ক হন রাজকুমার। অশোক কুমার ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিতে মা ও মেয়ের ভূমিকায় অনবদ্য দ্বৈত অভিনয় করেন মীনা কুমারী। শুরু হওয়ার পনেরো-ষোলো বছর পর শেষ হয় ‘পাকিজা’র কাজ। ছবিটি বলিউডের শতবর্ষের অন্যতম সেরা নির্মাণ হিসেবেই বিবেচিত হয় আজও।
১৯৭২ সালের ৩১শে মার্চ মৃত্যু হলো হিন্দি সিনেমার এই কিংবদন্তি শিল্পীর।তার মৃত্যুর পর যেন তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই ভক্তরা ছুটে গেল প্রেক্ষাগৃহে ‘পাকিজা’ দেখার জন্য। প্রকারান্তরে নিজের জীবন দিযে ‘পাকিজা’র বাণিজ্যিক সাফল্য নিশ্চিত করে গেলেন তিনি। ভাগ্যবিড়ম্বিত বিষাদের মহানায়িকার জীবনাবসানে শেষ হলো একটি অধ্যায়। ট্র্যাজিক কুইন খ্যাত মীনা কুমারী নিজের জীবনের ট্র্যাজেডির কাছে যেন শেষদিকে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন। জীবন তাকে যতটুকু দিয়েছিলো, তার চেয়ে বেশি শুষে নিয়েছিলো তার জীবনীশক্তি। পরবর্তী নায়িকাদের জীবনাদর্শে মাইল ফলক হয়ে গেলেন পর্দার ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ মীনা কুমারী। আজ তার ৪৮তমমৃত্যুবার্ষিকী। ভারতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও কবি মীনা কুমারীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখন সবাই করোনা নিয়ে আছে
করোনার রেসিপি করছে। এত
করোনার মাঝে হাপিয়ে উঠছি
তাই মীনা কুমারীকে আপনাদের
সামনে উপস্থিত করলাম। একটু
ভিন্ন স্বাদ দেবার জন্য।
কেমন আছেন খান সাব।
পরিবারের সবার প্রতি যত্ন নিবেন।
সাবধানে ধাকবেন। ঘরের বাহির হবেন না।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সত্যি, মীনা কুমারী দারুণ প্রতিভাময়ী ছিলেন।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে রফিক ভাই
মীনা কুমারী সত্যিই দারুন প্রতিভাময়ী ছিলেন
দুঃখীও ব্টে।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দোয়া ও ভালোবাসা ।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আলি ভাই,
আপনার জন্যও শুভকামনা
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়তে পড়তে মনটা বেদনায় ছেয়ে গেল।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তার স্টোরী পাঠে আমিও হয়ে যাই বেদনা বিধুর।
সত্যিই দুঃর্ভাগা এক জনপ্রিয় নায়িকা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: মীণা কুমারী সম্পর্কে অনেক্কিছু জানলাম।