নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
"হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা বাকারা আয়াত নং ১৫৩) মানুষ পাপ করতে করতে যখন পাপের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখনই আল্লাহর শাস্তি নাজিল হয়। আল্লাহ তায়লা যুগে যুগে অসংখ নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন। কোরআনুল কারিমের অসংখ্য ঘটনাবলী থেকে জানা যায় বিভিন্ন নবী রাসুলদের উম্মতরা আল্লাহর দেওয়া বিধানের অবাধ্য হওয়ায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন ধরেনের মহমারিতে ওই গোত্র ও জনপদ পুরোপুরি ধ্বংসে করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কর্মফল। আমি তোমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে থাকি’ (সূরা শুআরা : ৩০)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের জন্য জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদেরকে কোনো কোনো কর্মের শাস্তি আস্বাদন করানো হয়। পাপিষ্ঠ ফেরাউনকে আল্লাহ তাআলা তখনই ধরেছেন, যখন সে নিজেকে আল্লাহ বলে দাবি করেছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : ‘হে মুসা! তুমি ফেরাউনের কাছে যাও, সে অত্যন্ত উদ্ধত হয়ে গেছে।’ (সুরা ত্বাহা : ২৪)
নমরুদকে আল্লাহ তাআলা তখনই শাস্তি দিয়েছেন, যখন সে নিজেকে প্রভু বলে দাবি করেছে। অনুরূপভাবে আদ, সামুদ প্রভৃতি জাতিকে তাদের সীমাহীন পাপাচারের কারণে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে আল্লাহর নির্দেশিত পথ অনুসরণ না করায় কয়েকটি জাতি রাতারাতি ধুলায় মিশে গেছে। নিচে পৃথিবীর ক্ষমতাধর কয়েকজন যালিমের যুলুম ও তাদের পরিণতি তুলে ধরা হল
১। নমরূদ ও তার পরিণতিঃ
পৃথিবীতে প্রথম ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী ছিল নমরূদ। সে-ই আসমান অভিমুখে টাওয়ার নির্মাণ করেছিল। আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করার জন্য একটি মশা পাঠান। সেটি তার নাকে প্রবেশ করে। মশার জ্বালা থেকে বাঁচার জন্য তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হত। তার রাজত্ব ছিল চারশত বছর। সে যেমন চারশত বছর পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল তেমনি আল্লাহ তাকে চারশত বছর এই আযাবে রাখেন। অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৮৭৮)
২। কারুন ও তার পরিণতিঃ
কারুন ছিল মূসার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। কিন্তু সে তাদেরই প্রতি যুলুম করল। আমি তাকে এমন ধনভান্ডার দিয়েছিলাম, যার চাবিগুলো বহন করা একদল শক্তিমান লোকের পক্ষেও কষ্টকর ছিল। স্বরণ কর, তার সম্প্রদায় তাকে বলেছিল, দম্ভ করো না, নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে পসন্দ করেন না। ...সে বলল, এসব তো আমি আমার জ্ঞানবলে লাভ করেছি। সে কি জানত না যে, আল্লাহ তার আগে এমন বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছিলেন, যারা শক্তিতেও তার অপেক্ষা প্রবল ছিল এবং লোকবলেও বেশি ছিল? অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেসও করা হয় না। ...পরিণামে আমি তাকে তার প্রাসাদসহ ভূগর্ভে ধ্বসিয়ে দিলাম। তার স্বপক্ষে এমন কোন দল ছিল না যারা আল্লাহর শাস্তি থেকে তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও পারল না আত্মরক্ষা করতে। ... ওই পরকালীন নিবাস তো আমি সেই সকল লোকের জন্যই নির্ধারণ করব, যারা পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য দেখাতে ও ফাসাদ সৃষ্টি করতে চায় না। শেষ পরিণাম তো মুত্তাকীদেরই অনুকূল থাকবে। (কাসাস ২৮ : ৭৬,৭৮,৮১,৮৩)
৩। হুদ (আ.)-এর আদ জাতির উপর আল্লাহর গজবঃ
আদ জাতির লোকেরা ছিল উন্নত। নির্মাণশিল্পে তারা ছিল জগৎসেরা। তারা সুরম্য অট্টালিকা ও বাগান তৈরি করত। তাদের তৈরি ইরাম-এর মতো অনিন্দ্য সুন্দর শহর পৃথিবীর আর কোথাও ছিল না। তারা অঙ্কন শিল্পেও ছিল দক্ষ। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা যেমন অগ্রসর ছিল, তেমনি সংস্কৃতিতেও অনন্য। শুরুর দিকে আদরা হযরত নুহ (আ.)-এর ধর্মমত মেনে চলত। তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করত। কিন্তু কালক্রমে তারা আল্লাহকে ভুলে যেতে শুরু করে। তারা মনে করত, তাদের সব অর্জন স্বীয় যোগ্যতায়। আদরা ভুলে গেল যে, আল্লাহ বা স্রষ্টা বলতে কেউ আছেন। তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যে আল্লাহই তাদের দিয়েছেন, তাও তারা বেমালুম ভুলে গেল। ফলে তারা অহংকারী হয়ে উঠল এবং সত্যিকারের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ল। আদ জাতির লোকদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ হযরত হুদ (আ.)-কে দুনিয়ায় পাঠালেন। হযরত হুদ (আ.) আদ জাতির লোকদের গর্ব পরিত্যাগ করার আহ্বান জানালেন এবং আল্লাহর ইবাদত করার উপদেশ দিলেন। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে জীবন পরিচালনার কথাও বললেন। কিন্তু লোকেরা হুদ (আ.)-এর কথা শুনল না, বরং তারা তার কথা প্রত্যাখ্যান করল। তাকে বোকা ও মিথ্যাবাদী বলে গালাগাল দিল। নবীর প্রতি এরূপ অন্যায় আচরণে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলেন। ফলে আদদের এলাকায় দেখা দিল প্রচণ্ড খরা। এতে তিন বছর তারা দুর্ভিক্ষের মধ্যে কাটাল। তারপরও তাদের স্বভাব-চরিত্রে কোনো পরিবর্তন হলো না। এবার সেখানে শুরু হলো ভয়ানক ঝড়। এই ঝড় সাত রাত ও আট দিন ধরে চলল। ফলে গোটা আদ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো। আল্লাহ তার রহমতে হযরত হুদ (আ.) ও তার অনুসারীদের রক্ষা করলেন।
৪। লুত (আ.)-এর জাতির উপর আল্লাহর গজবঃ
ইরাক ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী স্থানে বসবাস ছিল লুত (আ.)-এর জাতির। এই জাতির কেন্দ্রীয় শহর ছিল ‘সাদুম’ নগরী। সাদুম ছিল সবুজ শ্যামল এক নগরী। কারণ এখানে পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল। ফলে ভূমি ছিল অত্যন্ত উর্বর এবং শস্যে ভরপুর। এমন প্রাচুর্যময় জীবনযাত্রা বেপরোয়া করে তোলে তাদের। শুধু তাই নয়, পৃথিবীতে তাদের মধ্যেই সর্বপ্রথম সমকামিতার প্রবণতা দেখা দেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই জঘন্য অপকর্ম তারা প্রকাশ্যে করে আনন্দ লাভ করত। অবশেষে একদিন আল্লাহর গজব নাজিল হয় ওই পাপাচারী জাতির বিরুদ্ধে। তাদের ওপর মহাপ্রলয় নেমে আসে। এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টে দেয়। ঘুমন্ত মানুষের ওপর তাদের ঘরবাড়ি আছড়ে পড়ে। পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো কঙ্কর নিক্ষিপ্ত হতে থাকে। ওই মহাপ্রলয়ের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। লুত (আ.)-এর জাতির ধ্বংসস্থলটি বর্তমানে ‘বাহরে মাইয়েত’ বা ‘বাহরে লুত’ নামে খ্যাত। এটি ডেড সি বা মৃত সাগর নামেও পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়।
৫। সালেহ (আ.)-এর সামুদ সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর গজবঃ[
সামুদ জাতি শিল্প ও সংস্কৃতিতে পৃথিবীতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আদ জাতির পর তারাই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী জাতি। কিন্তু তাদের জীবনযাপনের মান যতটা উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল, মানবতা ও নৈতিকতার মান ততই নিম্নগামী ছিল। সে সমাজে কুফর, শিরক ও পৌত্তলিকতার প্রসার ঘটছিল। সালেহ (আ.) সারা জীবন তাদের হেদায়েতের পথে আনার চেষ্টা করেছেন। এতে অল্প কিছু সঙ্গী ছাড়া গোটা জাতি তার অবাধ্যই থেকে যায়। একপর্যায়ে তারা দাবি করে, আপনি যদি সত্যি নবী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের ‘কাতেবা’ নামের পাথরময় পাহাড়ের ভেতর থেকে একটি ১০ মাসের গর্ভবতী, সবল ও স্বাস্থ্যবতী মাদি উট বের করে দেখান। এটি দেখাতে পারলে আমরা আপনার ওপর ইমান আনব। সালেহ (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহর কুদরতে পাহাড় থেকে একটি অদ্ভুত রকমের মাদি উট বের হয়। তা দেখে কিছু লোক ইমান আনে। কিন্তু তাদের সর্দাররা ইমান আনেনি, বরং তারা সে মাদি উটকে হত্যা করে ফেলে। এতে সালেহ (আ.) তার জাতির ওপর আল্লাহর আজাব নেমে আসার ঘোষণা দেন। তিনি তাদের সতর্ক করে দেন যে তিন দিন পরই আল্লাহর আজাব তোমাদের ধ্বংস করে দেবে। নির্ধারিত সময়ে আসমানি আজাব এসে অবিশ্বাসীদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারপর সীমা লঙ্ঘনকারীদের মহানাদ আঘাত করে। ফলে তারা নিজ নিজ গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে থাকে (ধ্বংস হয়ে যায়)। যেন তারা কখনোই সেখানে বসবাস করেনি। উদ্ধত সামুদ জাতির প্রতি হজরত সালেহ (আ.)-এর হুঁশিয়ারি সত্যি বাস্তবায়িত হয়েছে। হঠাৎ একদিন প্রচণ্ড শব্দে ভূমিকম্প তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে। বজ্রপাতের ভয়ংকর শব্দে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত ও আতঙ্কিত হয়ে যায়। অবশেষে তাদের অপমৃত্যু ঘটে।
৬। হজরত নুহ আঃ এর কওমের উপর আল্লাহর গজবঃ
হযরত আদম (আঃ) থেকে নূহ (আঃ) পর্যন্ত দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল। যার শেষদিকে ক্রমবর্ধমান মানবকুলে শিরক ও কুসংস্কারের আবির্ভাব ঘটে এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ নূহ (আঃ)-কে নবী ও রাসূল করে পাঠান। তিনি সাড়ে নয়শত বছরের দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথভোলা মানুষকে পথে আনার জন্য দাওয়াতে অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাঁর কওম তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আল্লাহর গযবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এরপরে আরও কয়েকটি কওম আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে পরপর ধ্বংস হয়। এভাবে পৃথিবীতে আদি যুগে ধ্বংসপ্রাপ্ত ৬টি জাতির ঘটনা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে এবং কুরআনের মাধ্যমেই জগদ্বাসী তাদের খবর জানতে পেরেছে। যাতে মুসলিম উম্মাহ ও পৃথিবীবাসী তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। উক্ত ৬টি জাতি হ’ল- কওমে নূহ, ‘আদ, ছামূদ, কওমে লূত, মাদইয়ান ও কওমে ফেরাঊন। অবশ্য কুরআনে এ তালিকায় কওমে ইবরাহীমের কথাও এসেছে (তওবাহ ৯/৭০)। যদিও তারা একত্রে ধ্বংস হয়নি। তবে ইবরাহীমের ভাতিজা লূত-এর কওম একত্রে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়েছিল।
৭। ঔদ্ধত্যের কারণে ফিরাউন ও কওমের পরিণতিঃ
ফিরাউন ও তার বাহিনী জমিনে অন্যায় অহমিকা প্রদর্শন করেছিল। নিজেকে খোদা দাবি করেছিল ফেরাউন। ফিরাউন বলেছিলো, আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক। তার কাছে ইমানের দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলেন মুসা ও হারুন (আ.)। বিনিময়ে মুসা (আ.)-কে হত্যা করতে মনস্থির করে ফেরাউন। পরিণামে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করলেন আখেরাত ও দুনিয়ার শাস্তিতে। সদলবলে ফেরাউন একদিন মুসা (আ.)-কে ধাওয়া করে। তিন দিকে ঘেরাও হওয়া মুসার দলের সামনে ছিল উত্তাল সাগর। আল্লাহর হুকুমে সাগরে পথ সৃষ্টি হয়। নিজের দল নিয়ে মুসা (আ.) এই পথ দিয়ে সমুদ্র পার হয়ে যান। কিন্তু সাগরে ডুবে মারা যায় ফেরাউন। আল্লাহ তাকে পৃথিবীবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে দিয়েছেন। তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় সাগরে নিমজ্জিত থাকার পরও তার লাশে কোনো পচন ধরেনি। কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী তার লাশ পরবর্তী সময় মানুষের জন্য নিদর্শনস্বরূপ। আল্লাহর হুকুমে তা ধ্বংস থেকে রক্ষা পেয়েছিল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছেঃ তারা মনে করেছিল তাদেরকে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না। সুতরাং আমি তাকে ও তার সৈন্যদেরকে পাকড়াও করলাম এবং সাগরে নিক্ষেপ করলাম। এবার দেখ, যালিমদের পরিণতি কী হয়ে থাকে! (কাসাস ২৮ : ৩৯-৪০) পবিত্র কো্রআনে ইরশাদ করেনঃ আমি ফিরাউনের সম্প্রদায়কে দুর্ভিক্ষ ও ফসলাদির ক্ষতির দ্বারা আক্রান্ত করেছি, যাতে তারা সতর্ক হয়। (আরাফ ৭ : ১৩০)
একজন মুসলমান হিসেবে আমি দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি ইসলাম মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধানের নাম। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুক্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, কল্যাণের ধর্ম এবং সকল মানুষের উপযোগী। এ ধর্মের সবশেষ নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর ওপর আল্লাহর তায়ালার পক্ষ থেকে দেয়া আল কোরআন ও আল হাসীসে রয়েছে মানব জীবনে সকল সমস্যার সমাধান। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছেঃ "হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা বাকারা আয়াত নং ১৫৩) তাই কোন সংশয় না রেখে বিপদে একমাত্র তার কাছে পানাহ চাই। আমিন
বান্দার সীমাহীন পাপের শাস্তি আল্লাহর গজব শিরোনামে আজ প্রকাশিত হলো ১ম পর্ব।
বান্দার সীমাহীন পাপের শাস্তি আল্লাহর গজব (২য় পর্ব)
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার ধর্ম ইসলাম। আমার ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন।
আমি কুরআনের উদ্ধুৃতি দিয়ে ্আমার লেখা সাজিয়েছি।
বিশ্বাস করা না করা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে পবিত্র
গ্রন্থের বানীকে রুপকথা বললে অবশ্যই আমি প্রতিবাদ করবো।
তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপনার মন্তব্যকে। আশা করি আপনি
আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবেন।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যেই সময়ের কথা বলছেন, সেই সময়ের ইতিহাস কে লিখেছে, কিসের উপর লিখেছে? চীন তখন আরবে কাগজ সাপ্লাই দিতো না। তখন কোটীতে কতজন নাম লিখতে পারতো, ইতিহাস কে লিখছে?
আজকের ব্লগারেরা বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উপর ২ লাইন লিখলে, ৩ লাইন ভুল লেখে; এখন ভেবে দেখেন ২০০০/২৫০০ বছর আগে মানুষ কি লিখেছে?
বেশীরভাগ ওয়াজী কাহিনী পরে জন্ম গ্রহন করেছে।
২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আল্-কুর্'আন্ ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহর বাণী বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করি।
আল্লাহর ফেরেশতা জিব্রাইল এর মাধ্যমে ইসলামিক হযরত নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর কাছে মৌখিকভাবে
কুরআনের আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে
বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআন অপরিবর্তনীয়।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরা আল-হিজরের ১৫ নং সূরা, ৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ আমি স্বয়ং এ
উপদেশগ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
সুতরাং পবিত্র গ্রন্থ কুরআন লিখতে কোন কাগজ কলমের দরকার হয়নি। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের
হৃদেয়ে খোদিত আছে পাক কুরআন। সুতরাং আজে বাজে মন্তব্য না করাই শ্রেয়।
)
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩২
কূকরা বলেছেন: পাঁদগাজি এখনও করোনা হইয়া মরে নাই,
২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব যে ধর্মেরই হোক তিনিও আল্লাহর সৃষ্টি।
আল্লাহ খুব যতন করে মানুষ সৃষ্টি করেছেন সুতরাং
আল্লাহর সৃষ্টিকে অভিসম্পাত করবেন না। আল্লাহ
দুনিয়ার সব মাখলুকাতকে সহি সালামতে রাখুন।
সকল মানুষ আল্লাহর গজব থেকে নিরাপদ থাকুক।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৩
কূকরা বলেছেন: হালার জান শক্ত, বদ লোক সহজে মরে না, এইটাই দুনিয়ার নিয়ম।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলামী শরিয়ত মতে, মৃত্যু কামনা করা বৈধ নয়।
প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক হাদিসে মৃত্যু কামনা
করাকে অবৈধ বলেছেন। মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন। কারনঃজরত
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ
সে যদি সৎকর্মশীল লোক হয়, তবে (বেঁচে থাকলে) হয়ত সে নেকির কাজ
বৃদ্ধি করবে। আর যদি অন্যায়কারী (পাপী) হয়, তাহলে হয়ত সে তাওবা
করবে (দ্বীনের পথে ফিরে আসবে)।’ (সহীহ বুখারি)
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
@কূকরা ,
আপনি ব্লগে থাকলে দেশে 'বার্ড ফ্লু' দেখা দেবে, বিলুপ্ত হয়ে যান।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কুকরা ভাই আর গাজীসাব
আপনার একটু শেতলা হন !!
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার একটা জায়গার নাম চাঁনকাজী। ছাগলনাইয়া বাজার হতে উত্তরের রোড়ে মটুয়া এবং হিছাছরা তারপর চাঁনকাজী। বড় বড় গুদাম ঘর আর ক্ষেত ভরা মিষ্টি কুমড়া। তবে লোকগুলা খুব ভালা। সবাই মুসলিম ।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাগলনি কোনো !!
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৪
সুপারডুপার বলেছেন: মানুষ তার কৃতকর্মের ফল পাবে। একজনের ভালো কর্মের জন্য যেমন কোটি মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারে , একজনের খারাপ কর্মের জন্য তেমন কোটি মানুষ অসুবিধা ভোগ করতে পারে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। করোনাভাইরাসকে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে বলেই ধারণা করা হয়। কন্ট্রোল করতে পারে নি বলে ছড়িয়ে পড়েছে ও দূর্ঘটনা ঘটিয়ে চলছে । অদৃশ্য তেজস্ক্রিয়তাও নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, একই রকম দূর্ঘটনা ঘটবে।
এর পরের পর্বে কি করোনাভাইরাসকে আল্লাহর গজব হিসেবে প্রেজেন্ট করবেন?
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সুপারডুপার চমৎকার মন্তব্য প্রদানের জন্য।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, তোমার প্রতিপালক তাদের সবাইকে
তার কর্মফল পুরোপুরিভাবে দেবেন। তারা যা করে, নিশ্চয়ই তিনি সে
বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১১)
আল্লাহর বিধানে পুরস্কার ও শাস্তি—এ দুটি বিষয়ই রাখা হয়েছে।
মানুষের কৃতকর্মের ভিত্তিতে পুরস্কার ও শাস্তি নির্ধারিত হবে। মহান
আল্লাহর কাছে মানুষের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব কাজই স্পষ্ট।
কোনো কিছুই তাঁর কাছে গোপন নেই। মানুষের মনের সুপ্ত অভিপ্রায়
সম্পর্কেও তিনি অবগত। আল্লাহ বলেন, ‘চোখের অপব্যবহার ও
অন্তরে যা গোপন আছে, সে সম্পর্কেও তিনি অবহিত।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ১৯)
আগামী পর্বে করোনা সম্পর্কে লেখা থাকবে, করোনা গজব না আশির্বাদ
তার বিবেচনা পাঠক করবেন।
৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: করোনার প্রতিষেধক উদ্ভাবনে গবেষণায় মরিয়া পশ্চিম, চীন। আর মুসলিম বিশ্ব মরিয়া একযোগে কোরআন তেলাওয়াত আর আযান দেওয়ায়।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কালি জিরা সেবন করুন
ইনসাআল্লাহ করোনা থেকে মুক্ত থাকবেন
এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
আপনার বিশ্বাস হবেনা হয়তো, তবে গবেষকরা
তার প্রমাণ পেয়েছেন। সম্প্রতি একটা ভিডিও ভাইরাল
হয়েছে, দেখে নিবেন। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর!!
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
কূকরা বলেছেন: পাঁদগাজী নাকি ব্লক খাইয়া বিলুপ্ত হৈয়া যাইতেছে? ঘটনা সত্য নাকি?
২৭ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !!!
তার ভাব শিষ্য নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে!!
কোয়ারেন্টাইনে গাজী !!
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নুরু ভাই, ব্লগে কিছূ জ্ঞানী আছৈন যারা কোরআনকে মানেন না বোধকরি। বিশ্বাসী তাহলে নিশ্চয়ই নন।
যারা কোরআন মানেন না যারা বিশ্বাসী নন তাদের সাথে তর্ক বৃথা।
একজন মুসলিমের বিশ্বাসের মৌলিক ভিত কোরআনের বাণী।
আর বানী সংকলনের ইতিহাস তারা না জনলে জেন নিতে পারেন।কিন্তু কোরআনকে গল্প বলা পাপ বৈকি।
অহংকারী আমেরিকা ব্রিটেন এবং ইইউর সহেযাগীতায় েহন পাপ নেই যা করে নাই।
সাম্রাজ্যবাদী কুটচালে, আক্রমনে, জুলূমে লাখো কোটি মানুষকে গৃহহারা, করেছে, জীবন নাশ করেছে
এবং প্রকাশ্যে গোপনে যত পাপ করেছে আমরা হয়তো সব অবহিত নই। কিন্তু আল্লাহ তো সর্বজ্ঞানী। তিনি সব জানেন
এবং দেখেন। পাপের কলস পূর্ন হলেই তিনি প্রাকৃতিক আজাব গজব দেন, দেবেন বলেই হুশীয়ারী দিয়েছেন।
মানুষ সো কল্ড জ্ঞানের অহংকারে মানে না। তারা বিলিন হয়ে যায়। যাবেও।
হ্যা মুসলমানরা তাদের মূল হারিয়ে ফেলেছে। যে ইসলামের জন্ম হয়েছে ইক্বরা বাক্য দিয়ে।যে ইসলামে জ্ঞান অর্জন ফরজ।
যে ইসলামে মানব কল্যানে জ্ঞান সাধনা রাত জেগে উবাদতের চেয়েও উত্তম। যে ইসলামে বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র-
দু:খ জনক হলো সেই ইসলামকেই বিলুপ্ত করার চেষ্টা চলছে। সকল ষড়যন্ত্রকারী এবং ইবনে সউদদের মতো পা চাটা গোলামদের কারণে মুসলিম মৌলিক স্পিরিট আজ নিভূ নিভূ।
কিন্তু আল্লাহ যা চান তাই হয়। সেই জাগরণ আল্লাহ চাইলে আবার আসবে জ্ঞানে, গবেষনায়, সেবায় । মুসলমানদের চেষ্টা করতে হবে । সঠিক পথকে খুঁজে তাতে চলতে হবে।
আল্লাহ মুসলমানদের এবং ভাল মানুষদের সকল আসমানী জমিনি, জাহেরী বাতেনী সকল আজাব গজব বিপদ আপদ বালা মুসিবত থেকে হেফাজত করুন।
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।
মুসলমানের ঘরে জন্ন নিয়ে যারা পবিত্র
কোরআনের বানীতে সন্ধেহ পোষণ করেন
তাদের জন্ম কোথায় নির্ণয় ন জানি ।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি এতদিন ব্লগ চালিয়েও আধুনিক হতে পারলেন না। দুঃখজনক।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি আপনার মত তথাকথিত আধুনিক হতে চাইনা বলেই
আধুনিক হতে পারছিনা।
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,.
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর.
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪২
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের বিপদ থেকে হেফাজত করুক
৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমিন।
আপনার প্রার্থনা কবুল হোক
মহান আল্লাহর দরবারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
করোনার সময়, কোথায় আপনি ঔষধ ইত্যাদির গবেষণার কথা বলার কথা; সেগুলো ফেলে আপনি রূপকথা নিয়ে লেগে গেছেন। যেগুলো লিখছেন, এগুলোর ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই; এগুলো আগের মানুষের রচিত গল্প। আজকেও মানুষ এই ধরণের গলপ প্রতিদিন রচনা করছে ওয়াজের সময়