নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪ ডিসেম্বর, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক নজিরবিহীন দলিলঃ শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০


১৪ ডিসেম্বরঃ মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। জাতির মেধা-মননের প্রতিক দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকান্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালি জাতি যখন অত্যাসন্ন বিজয়ের আনন্দে উন্মুখ, ঠিক তখন দখলদার পাকিস্তানের এদেশীয় দোসর আলবদর, রাজাকার ও আলশামস এ গুপ্তঘাতকরা রাতের অন্ধকারে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞে। ঊনিশশ’ একাত্তর সালের ডিসেম্বরের চতুর্দশ দিবস হানাদারমুক্ত হয় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোরের কেশবপুর, চট্টগ্রামের দোহাজারীসহ অনেক এলাকা। অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দু’দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সংযোজিত হয়েছিল এক কলংকজনক অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে দখলদার বাহিনী ও তার দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে এদিন রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা প্রতিহিংসার বশবর্তী সারাদেশ থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সহস্রাধিক বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। তাদের তালিকায় ছিলো শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ জাতির অনেক কৃতী সন্তানকে যাদের অনেকের লাশই পাওয়া যায়নি। এ ক্ষতি অপূরণীয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা লাভ করতে যাওয়া একটি জাতিকে মেধাশূন্য করা। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ আবার ফুলে ফলে ভরে উঠবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৭১’র ২৯ ডিসেম্বর গঠিত বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০,০০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মতো হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়নি। কারণ ফরমান আলীর টার্গেট ছিল শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরকে গভর্নর হাউজে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে মেরে ফেলা। বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির প্রধান জহির রায়হান বলেছিলেন, এরা নির্ভুলভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা বুদ্ধিজীবীদেরকে বাছাই করে আঘাত হেনেছে। ওই কমিশনের আহবায়ক ছিলেন চলচিচত্রকার জহির রায়হান যিনি নিখোঁজ হন ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আজও তৈরি হয়নি। বুদ্ধিজীবীদের কে কোথায় কিভাবে শহীদ হয়েছেন তারও কোন কিনারা হয়নি। ১৯৭১ সালে ঘাতকদের কাছে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, সরকারের কাছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নেই। মাত্র ৬১ জনের একটি তালিকা আছে সরকারের কাছে। স্বাধীনতার পর বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে তৎকালীন সরকার। ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর মতান্তরে ২৯ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে গঠিত হয় ‘বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন’। এরপর গঠিত হয় ‘বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটি’। কিন্তু ঘটনার ৪৬ বছর পার হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে অনেকেই পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একবার বলা হয় জুন মাসে তালিকা দেয়া হবে। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে বই আকারে তালিকা প্রকাশের কথা দেয় খোদ সরকার। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। বই বা পূর্ণাঙ্গ তালিকা আজও আলোর মুখ দেখেনি। তবে সরকারিভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা থাকা উচিত, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে সে সময় জাতি কাদের হারিয়েছিল। ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরুর পর থেকেই অবশ্য তারা বেছে বেছে কিছু মানুষকে হত্যা করে যারা বিবেচিত হতেন দেশের অসাধারণ নাগরিক বলে। মুক্তিযুদ্ধের গোটা সময়টায় বিভিন্ন জেলা শহরে দেশীয় অনুচরদের সহায়তায় হত্যা করা হয় তাদের। তাদের অপরাধ ছিল নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসাধারণকে স্বাধিকারের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তোলা ও মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা জোগানো। আজকের এ দিনে আমরা তাদের কথাও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করব। প্রাণরক্ষা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে অনেক বুদ্ধিজীবী দেশত্যাগ করায় তারা রেহাই পান ওই হত্যাযজ্ঞ থেকে। তাদের পরিবারবর্গও জানতে পারেনি প্রিয় এই মানুষগুলোর লাশ কোথায়? এ নিয়ে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যা রহস্য উন্মোচন এবং দোষীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবের মুখ দেখেনি। বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন প্রণীত একটি দলিল থেকে জানা গেছে, বুদ্ধিজীবী হত্যায় যারা ঘৃণ্য ভূমিকা রাখে তাদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রাজা, ব্রিগেডিয়ার আসলাম, ক্যাপ্টেন তারেক, কর্নেল তাজ ,কর্নেল তাহের, ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন, ড. মোহর আলী, আল বদরের এবিএম খালেক মজুমদার, আশরাফুজ্জামান চৌধুরী ও মাইনুদ্দিন। এদের নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষতঃ ডিসেম্বরে আমরা যাদের হারিয়েছি সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা হয়নি যাদের অধিকাংশই ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে খ্যাতিমান। ১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিত্সক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী। যুদ্ধে চারদিক থেকে কোণঠাসা হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা রাজধানীসহ মূলত শহরাঞ্চলে সে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড চালায়। ন’মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালি বিজয় অর্জনের ফলে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। আমাদের জন্য তা ছিল মহত্তম অর্জন। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ অনেকটাই বিষাদে পরিণত হয় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কারণে। এসব বুদ্ধিজীবীসহ ৩০ লাখ শহীদ ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় মাতৃভূমি।

‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/
ভয় নাই ওরে ভয় নাই/
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’

_____________কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর পঙ্ক্তির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শ্রদ্ধাবনত হবে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর গত ৩ নভেম্বর ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার দায়ে ফাঁসির সাজা ঘোষিত হয়েছে একাত্তরের কুখ্যাত খুনে আলবদর বাহিনীর সদস্য চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে। দুজনই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক। স্বাধীনতার উষালগ্নে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের দায়ে ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ সাজা পেয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনায় আরেক অভিযুক্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। আগামী ৬ জানুয়ারি তাঁর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। স্বাধীনতার চার দশক পর এ বিচার স্বজনহারা শোকসন্তপ্ত মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করেছে।

১৯৭১ সালে জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীরা জাতিকে বুদ্ধি পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে আমাদের বিজয়কে দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য, বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ১৪ ডিসেম্বর রাতে কুলাঙ্গার কিছু বাঙ্গালির সহায়তায় হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণী বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতিকে মেধাহীন করাই ছিলো তাদের হীন উদ্দেশ্য। এ বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে জাতির যে ক্ষতি হয় তা অপূরণীয়। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির যে সূর্য সন্তানদের আমরা হারিয়েছি সে ক্ষতি আজও কাঁটিয়ে উঠতে পারিনি। যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জীবনের মায়া তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন, সেই দেশপ্রমে উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিনয় এবং গভীর শ্রদ্ধায় মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিকদের স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সেই দিনগুলো ছিলো বড় কষ্টে তাই না ভাইয়া। হয়তো চোখে দেখিনি কিন্তু। যখন কোন ঘটনা পড়ি কিংবা কোন আর্কাইভ দেখি তখন চোখে পানি ফেলা ছাড়া আর কিছু করতে পারিনা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ কলি আপু
অবশ্যই দিনটি আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক
জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। যুগ যুগ অপেক্ষা করেও
এই ক্ষতি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো না।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আজকের দিনটা আমাদের খুব কষ্টের দিন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে
শহীদের শ্রদ্ধায় স্মরণের জন্য।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আনোয়ার ভাই
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে
আনার জন্য।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

একটি বালুকণা বলেছেন: বিভিন্ন তথ্যচিত্রে যখন মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো দেখি তখন মন ভেঙ্গে যায়।চোখে জল আসে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বড়ই মর্মান্তিক! ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম জঘন্য
হত্যাকাণ্ড।
শহীদদের আত্মার শা্ন্তি কামনায় আমরা সবাই।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাঁদের স্মরণে আমার কবিতা


যারা ছিলো দেশের মাথা
একে একে পরলো কাটা,
বলবো কি আর
পাকহানাদার
বাহিনীর সে নির্মমতা—
বাংলাদেশের বাড়ীঘর রোড
সব পুড়ালো
কত মা-বাবা হলো সন্তানহারা—
অবশেষে পরাজয়
যখন অবধারিত
বুদ্ধিজীবী—সন্তানেরা
তাদের লক্ষ্যবস্তু হলো।
মাতুভূমির মায়ের কোল
রক্তজবা ফুলের মতো
রক্তরঞ্জিতো হলো।
বাংলামায়ের দু’নয়ন তাতে
হয়েছিলো অশ্রুমাখা—
মরেও তারা অমর হলো
বীর শহিদের খেতাব নিয়ে
সোনার হরফে তাদের নাম
হলো লেখা ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ! চমৎকার কবিতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করলেন আনোয়ার ভাই।
আপনার কবি রুপের প্রকাশ আমার কাছে অমূল্য সম্পদ।
চর্চা অব্যাহত রাখুন। ভালো করবেন।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: জাতির সূর্যসন্তানদের জন্য আমার শ্রদ্ধান্ঞ্জলী জানাচ্ছি। তাঁরা যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আকাশ ভাই কি বরিশালের সন্তান?
হ্যাঁ হলে কোন এলাকার জানালে
খুশি হবো।
ধন্যবাদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
২০১৬ সালের শোক র ্যলির ছবি
শেয়ার করার জন্য।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার আগফেরাত কামনা করি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই
বুদ্ধিজীবীদের আত্মার আগফেরাত
কামনা করার জন্য।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফামিম ভাই আপনাকেও
অসংখ্য ধন্যবাদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:


মর্মান্তিক।
শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কবি
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার আগফেরাত
কামনা করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.