নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বজ্র আটুনি ফস্কো গিরো। আইন যত কঠিন হোক আইনের ফাঁক ফোঁকর গলিয়ে তা ভাঙ্গা ততটাই সহজ। ঘটা করে আইন করা হয় যেন তা ভাঙ্গার আনন্দ লাভের জন্য। আইন ভাঙ্গার এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ মহা সমারোহে পালিত হবে ৬৭তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতি-রাষ্ট্রের মধ্যে বিভেদ দূর করার লক্ষ্যে এবং মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা এবং মানবতাবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে ঘোষিত হয় সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৭তম প্লেনারি সভায় ৪২৩(ভি) প্রস্তাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ঐতিহ্যগতভাবে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে প্রতি পাঁচ বৎসর অন্তর 'জাতিসংঘের মানব অধিকার ক্ষেত্র পুরস্কার' প্রদান করা হয়। এছাড়া নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান কার্যক্রমও এদিনেই হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতি ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভেদ দূর করার লক্ষ্যে মানবাধিকার ঘোষণাটি ছিল একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। জাতিসংঘ মানবাধিকার ঘোষণার ৬৯তম দিবসে জাতিসংঘ ঘোষিত মূল প্রতিপাদ্য ‘লেট’স স্ট্যান্ড আপ ফর ইকুয়ালিটি, জাস্টিস অ্যান্ড হিউম্যান ডিগনিটি’ অর্থাৎ ‘চলুন সমতা, ন্যায় বিচার এবং মানুষের মর্যাদার জন্য দাঁড়াই’ )। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে যোগদান করে এবং ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস্ বা সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার স্মরণার্থে মানবাধিকার দিবস উদযাপন শুরু করে। সরকার বিগত সাত বছরে মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোবাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ লেবার ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, সেভ হিউম্যান পিস অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ পৃথক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ৬৭তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করবে।
বাংলাদেশ সবসময় মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি মেনে চলার অঙ্গীকার করলেও এই দিবস পালনে যতটা থাকে আনুষ্ঠানিকতা তার সামান্যতম অংশও বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব থেকে নির্বাসিত হত বিচার বহির্ভূত হত্যা, শিশু ও নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস, ছিনতাই, রাহাজানীসহ হাজারো অপরাধ। ১০ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত মানবাধিকার বিষয়টি পৃথিবীর সর্বত্রই এখন লঙ্ঘিত, পর্যদস্থ প্রায়। দারিদ্রতা, নারীর প্রতি সহিংসতা, শিশু পাঁচার, নির্যাতন ও নিপিড়ন, নিষ্ঠুরতা রোধ ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা দূরহ হয়ে উঠেছে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে আলোচিত ও অবহেলিত প্রসঙ্গটির নাম মানবাধিকার। ১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়ে আসছে। তবে ১৯৫০ সালের ৪ ডিসেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৭তম পূর্ণ অধিবেশনে ৪২৩(৫) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সদস্যভূক্ত দেশসহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে দিনটি তাদের মতো করে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরণের তথ্যচিত্র কিংবা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রধানতঃ এ দিনের সাধারণ ঘটনা। জাতিসংঘের সকল সদস্যভূক্ত রাষ্ট্র সভা, আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করে থাকে। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন। এছাড়াও, 'সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ তারিখকে নির্ধারণ করা হয়। দিবসটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যাকে স্মরণ করে দিবসটি উদযাপিত হয় ২১ মার্চ।
মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য দায়িত্ব সর্বোপরি মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনই হচ্ছে মানবাধিকার ঘোষণার মূল মন্ত্র। আমাদের দেশের সংবিধানেও মানবাধিকার সংরক্ষণের কথা থাকলেও মানুষ প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের। সংবিধানের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, "প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ"। অন্যদিকে সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে বলা হয়েছে, "সরকার যেই গঠন করুকনা কেন, জনগণের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার দায়িত্ব ওই সরকারের উপর বর্তাবে। জাতীয় জীবনে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে কৃষক শ্রমিককে শোষণ থেকে মুক্ত রাখার অধিকার এই মহান সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। কি্ন্তু দুঃখের বিষয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেরে মতো আমাদের মহান সংবিধানেও মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ব্যবকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তবে আমরা এখোনো দেশ প্রেমি হয়ে উঠতে পারিনি। মানবাধিকার সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার জন্মগত মৌলিক অধিকার। মানবতার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনে মানবাধিকারের গুরুত্ব অপরিসীম। মানবাধিকার লংঘন দণ্ডণীয় অপরাধ। কিন্ত অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে বারবার বাধাগ্রস্থ্ হচ্ছি। সাংবিধানিকভাবে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠায় আমরা এখোনো পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করিনি। দেশের মানুষ এখন চরম হিংস্রতা, সহিংসতায়, বর্বরতায় নিমজ্জিত। বিবেক বর্জিত সকল কাজ আমরা করে চলেছি।
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। শাহবাগ এলাকায় শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন-সমাবেশে পুলিশ যেভাবে চড়াও হয়েছিল, তা শুধু বাড়াবাড়িই নয়, এক ছাত্রীর সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে, তা চরম অসভ্যতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য সেখানে যা করেছেন, তার সঙ্গে আর যাই হোক শৃঙ্খলার বা মানবিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষাথীদের এই সমাবেশ কোনো সহিংস আন্দোলন নয়। পরের দিন প্রথম আলোর প্রথম পাতায় যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে এক ছাত্রীকে পেছন দিক থেকে সেই পুলিশ কর্মকর্তা যেভাবে লাথি মেরেছেন, তার আদৌ কোনো দরকার ছিল না। যা মানবতার চরম লঙ্ঘন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুসারে, এ ছয় মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৩টির বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। মোট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ৪ হাজার ২৪০টি। এর মধ্যে ৮৫৫টি হত্যাকাণ্ড। গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন ৫২ জন। বন্দুকযুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৮৩ জন। একই সময়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৯৩ জন। নির্মমতা থেকে বাদ যাচ্ছে না নারী-শিশুও। হত্যার শিকার হয়েছে ১২৯ শিশু। আর নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১২৩ শিশু। বছরের প্রথম ৬ মাসে ৩০৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যৌন নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপসহ আরও বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৯৯ নারী। এর বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অমানবিক শাস্তির শিকার ১২৭ শিশু শিক্ষার্থী।
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে অনুসারে, পুলিশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১২৭টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিকেও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। ৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৫৩ যাত্রী ও পথচারী।
তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে খুন ১০৫২, শিশুহত্যা ১৯৭, গণধর্ষণ ৭৭ ও ক্রসফায়ারে মৃত্যু ১৫৭ জনের। ২০১৭ সালে (জানুয়ারি থেকে নভেম্বর) সেটি এসে দাঁড়িয়েছে- খুন ৮৮৪, গণধর্ষণ ৭২২, ক্রসফায়ারে মৃত্যু ৯৩ জন ও শিশুহত্যা ৩১৩।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক যুগান্তরকে বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এটি সত্য। বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছি এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এ ক্ষেত্রে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। রিয়াজুল হক বলেন, বিচারবহির্ভূত একটি হত্যাকাণ্ডও যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, সংবিধানে মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার থাকলেও জনগণ তা কতটুকু ভোগ করেছে সেটাই দেখার ব্যাপার। সার্বিকভাবে বলতে গেলে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে গুম ও খুনের সংখ্যা। খুনের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে আরও ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে গেছে। এখানে দিন-দুপুরে মানুষ গুম হয়, কিন্তু কেউ স্বীকার করে না। সরকার সব সময় এটি অস্বীকার করে। অথচ গুমের ঘটনা বাড়ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এ বছরের প্রথম ছয় মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি ৮৫৭টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে কম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে জানুয়ারিতে, ৩৬১টি। প্রতি মাসে গড়ে ৭ শতাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।
এ ছয় মাসে সংঘটিত ৮৫৫টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি ১৮৫টি খুনের ঘটনা ঘটে। জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। মার্চ ও মে মাসে সর্বাধিক ৬৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ৫২ গুমের মধ্যে ১৪টি হয় মার্চে। আর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ২০টি করে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক শরীফ উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছে। দেশে আগেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটত। তবে এখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ছে। পর্যবেক্ষণেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আগের চেয়ে বেড়েছে।
নারী-যুবা, শিশু-প্রতিবন্ধী-দরিদ্র-প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীসহ প্রতিটি মানুষের অধিকারের বিষয়টি জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ও নীতি নির্ধারনীতে সব ধরনের বৈষম্য, নির্যাতন দূর করে একটি শোষণহীন বিশ্ব গঠনের 'অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই নিশ্চিত হবে মানবাধিকার। রাজনৈতিক দল ও মতের এবং ধর্মীয় গোরামির উর্দ্ধে থেকে আমরা বাঙালি জাতি সকল ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করবো। তবেই সুসংহত হবে মানবাধিকার। সকল দেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকবে এই হোক আমাদের আজকের প্রত্যাশা। তাই আসুন আমরা সবাই সমতা, ন্যায় বিচার এবং মানুষের মর্যাদার জন্য দাঁড়াই।
সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই
লেখালেখিতে হাতে খড়ি !!
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১১
তারেক ফাহিম বলেছেন: মানবতার জয় কামনা করছি।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জয় হোক মানবতার।
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: বিশ্বে কি জানিনা। আজকে জাতীয় ভ্যাট দিবস। সবাইকে শুভেচ্ছা।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্যাগ ভরে দিবো ভ্যাট
ভাত খাবো ভরে পেট।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আসে যায়
কাঁদে মানুষ কাঁদে মানবতা অসহায়
বাংলা, কাশ্মীর, রাখাইন, ভারত,
ফিলিস্তিন
সবখানে মানবতা বিবেক
লাঞ্চিত প্রতিদিন!
সহিংসতার অবসান হোক। অসহিষ্ণুতার অপ-রাজনীতি বন্ধ হোক। মানবতা মুক্তি পাক।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু’দা
চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
গাই মানবতার জয়গান।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে মানবতা নেই। যা দুই একটা দেখা যায়- সেগুলো তাও আবার লোক দেখানো। ছিঃ
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদেশে মানবতা নাই
কথাটি সত্যি নয়। মানুষের
মাঝে মানবতা দিন দিন হ্রাস
পাচ্ছে ঠিক তার পরেও বাংলাদেশে
মানবতার আছে বলেই রোহিঙ্গারা
আশ্রয় পেয়েছে।
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: চলুন সমতা, ন্যায় বিচার এবং মানুষের মর্যাদার জন্য দাঁড়াই
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায়
ফিরে আসবে মানবতা। ফিরে
পাবো মানুষের মর্যাদা।
ধন্যবাদ রাজকন্যা।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ নুরু ভাই।