নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ পঞ্চদশআন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। দুর্নীতি একটি গুরুতর অপরাধ। এর ফলে সর্বত্রই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। কোন দেশ, অঞ্চল বা সম্প্রদায়ই এর অভিশাপ থেকে মুক্ত নয়। ২০০৩ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরপর থেকেই এর বিভিন্ন সংস্থা যৌথভাবে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা গড়ে তুলেছে, কীভাবে দুর্নীতি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নকে প্রভাবিত করে। দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশের একক কোনো সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুর্নীতিকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।তাই জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণের ঘুষ আদান-প্রদান হয়ে থাকে। অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার চুরি করা হয় সারা বিশ্বে। এই দুইয়ের যোগফল বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশেরও বেশি।জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির হিসেবে দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তহবিলের পরিমাণ সরকারি উন্নয়ন সহায়তার ১০ গুণ। দুর্নীতির কালো হাত থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এ দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হই’। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবসটি পালনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দুদক ২০০৭ সালে দিবসটি পালন শুরু করে। সে হিসেবে আজ পঞ্চদশ আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। যদিও এ বছরই প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ সকালে কমিশন চেয়ারম্যান কমিশনের সামনের সড়কে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
দুদক জানায়, ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালনের অনুরোধ জানিয়ে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেয় সংস্থাটি। পরে সরকার চলতি বছরে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ঘোষণা করে। পাশাপাশি এই দিনটিকে দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে পালনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয়।
‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দুদক। সকাল সোয়া ৯টায় কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ কমিশনের সামনের সড়কে শান্তির প্রতীক পায়রা ও ফেস্টুন উড়িয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। জনগণকে সংগঠিত করা এবং বিভিন্ন উপকরণ প্রকাশনার বাইরেও দুদক কিছু প্রচারণামূলক কর্মকান্ডও গ্রহণ করে। তারা শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিআরটিসি) সহায়তায় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদেরকে দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার জন্য ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।
পথচারীদের মনোযোগ আকর্ষণের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদারের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্যোগে কয়েকটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে শ্রমিকদের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শ্লোগান সম্বলিত টি-শার্ট বিতরণ করা হয। রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার পোস্টার ছাপিয়ে সেগুলো দেয়ালে লাগানো হয়। এসব পোস্টারে দুর্নীতিকে না বলুন, ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়েই জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে এবং দেশ রক্ষায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করুন লেখা থাকে।
সকল নাগরিকের অধিকার সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তাগণ জনগণকে কী ধরণের সেবা প্রদানে বাধ্য তা স্মারণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সকল থানায় দুর্নীতি বিরোধী পোস্টার পাঠানো হয়।
সমাজের সকল স্তরের দুর্নীতি প্রতিরোধ করে দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই। দুর্নীতি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর অন্যতম হচ্ছে জনগণের মধ্যে নৈতিকতা বোধ জাগিয়ে তোলা। এ ব্যাপারে সমাজের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই আসুন আমরার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হই।
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাইতে দোষ নাই,
আমরা কত কিছুইতো চাই,
কিন্তু কি পাই?
জনৈক চেয়ারম্যানের মেয়ের বিয়েতে
ডিসির কাছে ৫মন চিনি বরাদ্দ চাইলে মিলে ৫ কেজি,
পরবর্তীতে তার নিরাপত্তার জন্য কামান চাইলেন, যাতে করে
অন্তত একটা পিস্তল মিলে। তাই চাইবেন যখন বেশী করে চান,
আবুল মফিজের বিচার না চেয়ে প্রেসিডে্ন্টের বিচার চাওয়া উত্তম।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "চাইতে দোষ নাই,
আমরা কত কিছুইতো চাই,
কিন্তু কি পাই?
জনৈক চেয়ারম্যানের মেয়ের বিয়েতে
ডিসির কাছে ৫মন চিনি বরাদ্দ চাইলে মিলে ৫ কেজি,
পরবর্তীতে তার নিরাপত্তার জন্য কামান চাইলেন, যাতে করে
অন্তত একটা পিস্তল মিলে। তাই চাইবেন যখন বেশী করে চান,
আবুল মফিজের বিচার না চেয়ে প্রেসিডে্ন্টের বিচার চাওয়া উত্তম। "
-আপনি সংবাদ কর্মী? বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কোনদিনও প্রফেশাল রূপ পায়নি, এর পেছনে কারণগুলো সোজা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি সংবাদ কর্মী?
প্রশ্নবিদ্ধ কেন?
কিকি কারণে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কোনদিনও প্রফেশাল রূপ পায়নি,
বলবেন কি? সাংবাদিকরা উপকৃত হবে জানলে।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: যারা দুর্নীতি করেছে- তাদের একটা চুলও ফেলতে পারবে না- দুদক।
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুর্নীতি একটি গুরুতর অপরাধ। এর ফলে সর্বত্রই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। কোন দেশ, অঞ্চল বা সম্প্রদায়ই এর অভিশাপ থেকে মুক্ত নয়। দুদক এখনও দন্তহীন এবং থাবা বিহীন । আমরা আশাবাদী যে দুদেকের ব্যঘ্র আবার তার স্বরূপে ফিরে আসবে, মূল উৎপাটিত হবে দুর্নীতির।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
ভবিষ্যত বলেছেন: চাদগাজী ভাই ----- জোকস্ ডে অব দ্যা ইয়ার..... আল কত চামচা গিরী করবেন..এইবার ক্ষেমা দেন......
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের দুর্নীতির প্রতীক জেনারেল এরশাদ ও বেগম জিয়ার আজীবন জেল চাই।