নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
নন্দলালতো একদা একটা করিলো ভিষণ পণ,
যা করে হোক দেশের তরে রাখিবে সে জীবন।
অথবা
করিতে পারিনা কাজ, সদা ভয় সদা লাজ
সন্ধেহে সংকল্প টলে, পাছে লোকে কিছু বলে।
যে জেলে উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে মাছ শিকার করে সেও শিকারী আবার যে শিকারী হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে সান্ত পুকুরে ছিপ দিয়ে মাছ শিকার করে তিনিও শিকারী। দু'জন মাছ শিকারী হলেও তাদের মাঝে যে কত যোজন ব্যবধান তা অতি সহজেই অনুমেয়। দুজনের সাহস ও মনো্বলে আকাশ পাতাল পার্থক্য। আমাদের সমাজে এমন ধারার অনেক মানুষ আছেন যার নিজেকে বড় একটা কিছু মনে করলেও যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন পাশ কাটিয়ে নিজের গা বাচিয়ে চলতো পছন্দ করেন। তারা ঝড়ো হাওয়ায় নদীতে নৌকার পাল তুলতে সাহস করেন না। তারা সর্বদা সান্ত ও নীরব নদীর মাঝি সাজতে পছন্দ করেন। চলার পথে অন্যায় বা অসংগতি দেখলে তা এড়িয়ে চলতে চান। অথচ মুখে বড় বড় বুলি কপচান। এইটা করা উচিত এমন করা ঠিক হয়নি, এমন করলে ভালো হতো এই সব নীতি কথা তার অন্তরেই থেকে যায়। প্রকাশ করার সাহস করেন না।
কারণ প্রকাশ হলে যদি "পাছে লোকে কিছু বলে" তাই তারা সর্বদা সেই দলে থাকে যে দল ভারী দেখেন। সমাজের এই নন্দলালরা মানুষের যেমন কোন উপকারে আসেনা তেমনি অপকার করার ক্ষমতাও রাখেনা। মাকাল ফলের মতো এরা ক্ষনিক সময়ের জন্য শুধু সমাজের শোভা বর্ধনের যোগানদাতা। জবা ফুলের মতো, দেখতে সুন্দর হলেও গন্ধ নাই বলে সামাদর করেনা কেউ। নীরব কবি ও নীরব প্রেমের কোন মূল্য এই ধরাধামে নাই। কবি যদি তার কাব্যকে খাতায় লিপিবদ্ধ না করেন, আর প্রেমিক যদি তার মনের কথা তার প্রেমিকাকে না বলেন তা হলে হিসেবের খাতা শূণ্যই রয়ে যাবে। সকল আশা সূদুরে বিলীন হবে। তবে কিছু কিছু সময়ে এই সকল নন্দলালরা ভিষণ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, কারণ তাদের চিন্তা, চেতনা প্রকাশের ও প্রতিবাদের সাহস নাই বলেই কিছু ন্যায় অন্যায় পার্থক্য করার চেয়ে দলভারীদের অন্ধ সমর্থনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আর এই দলভারীদের কারণে কিছু নীতিবান ও প্রতিবাদী মানুষ কোন ঠাসা হয়ে পড়ে। আর এমন দেখতে দেখতে মানুষ একসময় নিজেকে গুটিয়ে নেয় যার কারণে অন্যায়ের প্রতিবাদ কিংবা অসংগতি ও ভুলে ভরা সমাজের শুদ্ধিলাভ হয়না।
প্রতিবাদি মানুষগুলো অশুভ ও নির্বোধ মানুষের পেশি শক্তির কাছে মার খেয়ে নিজেকে উট পাখির পর্যায়ে নিয়ে যায়। সে তখন প্রতিবাদ করার সাহস হারিয়ে ফেলে, বিপদের গন্ধ পেলে মাথা নিচু করে পাশ কাটিয়ে চলতে বাধ্য হয়। এটা কী কোন সভ্য সমাজে এবং সভ্য মানুষের কাম্য হতে পারে? আমরা চাই বা না চাই, পছন্দ করি আর নাই করি সমাজে বোধ শক্তি বিবর্জিত এই মানুষগুলো সমস্যা কিংবা অন্যায় দেখলে কোন প্রতিবাদ করা থেকে বিরত থাকে, নিজেকে আড়াল করে। প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলে সমাজের জঞ্জাল হয়ে ঘরের কোনেই নিজেকে আড়াল করতে পছন্দ করে। তাই নির্ঝাঞ্ছাট জীবন যাপন করতে উটপাখির মতো সব কিছু পাশ কাটিয়ে এবং সমস্যা থেকে অন্ততঃ একশত হাত দূরে থাকুন আর আজীবন বেঁচে থাকুন নন্দলাল হয়ে।
"নন্দ বাড়ির হত না বাহির, কোথা কী ঘটে কী জানি;
চড়িত না গাড়ি, কী জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি;
নৌকা ফি সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে 'কলিশন' হয়;
হাঁটিতে সর্প, কুক্কুর আর গাড়ি-চাপা ভয়;
তাই শুয়ে শুয়ে , কষ্টে বাঁচিয়া রহিল নন্দলাল।
সকলে বলিল -'ভ্যালারে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল!'"
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু
আমাকে মনে রাখার জন্য।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: অসাধারণ! সত্যিই তাই। প্রতিবাদ সব মনে, প্রকাশের জো নাই। প্রকাশ করিলে যদি ধরা খাই? নন্দলালে ভরা দেশ! তাইতো বর্গীতে ভরা স্বদেশ! ধন্যবাদ আপনার রিমান্ডারের জন্য।। হ্যাপি ব্লগিং।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ মঈনুদ্দিন ভাই
এই নন্দলালদের কারণেই
আমরা পিছেয়ে আছি।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সেই নন্দলাল! অনেক দিন পর নামটা মনে পড়লো।
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মাঝে মাঝে নিজেকেই নন্দলাল মনে হয় আবুহেনা ভাই
উটপাখির মতো মাথা নিচু করে রাখি অনেক অন্যায় দেখেও।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এ সমাজে নন্দলালের সংখ্যাই বেশি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নন্দলালরাই সংখ্যাধিক্যে
সমাজে গেড়ে বসেছে অন্যায়,
বাড়ছে অত্যাচার। কারণ
কেউই প্রতিবাদ করেনা।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
পবন সরকার বলেছেন: এখন বর্তমান সমাজে নন্দলালের অভাব নাই। আপনি নন্দলাল নিয়ে দারুণ একটা পোষ্ট লিখেছেন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পবন’দা
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এমন দেখতে দেখতে মানুষ একসময় নিজেকে গুটিয়ে নেয় যার কারণে অন্যায়ের প্রতিবাদ কিংবা অসংগতি ও ভুলে ভরা সমাজের শুদ্ধিলাভ হয়না। সহমত
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সহমত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ লিটন ভাই।
ভালো থাকবেন।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
এম আর তালুকদার বলেছেন: সত্য কথা গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপানোকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
তালুকদার ভাই। আশা করি সাথে
পাবে সবসময়।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫
আমার আব্বা বলেছেন: প্যারোডি খুব ভাল লাগে
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা কবি দিজ্বেন্দ্রলাল রায়ের মূল কবিতা নন্দলাল
এর শেষের প্যারা , প্যারোডি নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে তোমার আব্বা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেকদিন পরে নন্দলালকে মনে করিয়ে দিলে ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো লাগা।