নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
গৃহ ব্যবস্থাপনার সব দায়িত্ব পালন করেও পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর যুগ যুগ ধরে প্রচলিত সমাজব্যবস্থার কারণে আজও নারী ঘরের কাজের স্বীকৃতি পায়নি। আর এই স্বীকৃতি না থাকায় নারীরা অধিকার বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিত হচ্ছে। গৃহিণীরা সারাদিন কী করেন? প্রশ্ন উঠতেই পারে৷ উত্তরে যদি বলা হয়, তাঁরা কেবল টেলিভিশন সিরিয়াল দেখে সময় কাটান, তাহলে একে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ‘রটনা' ছাড়া আর কী বলা যায়? তবে‘মনে না নিলেও, মেনে নেয়া' – ঠিক কত ক্ষেত্রে যে নারীরা এভাবে ‘মেনে নেন' তা বলা সত্যি দুরূহ৷ ‘আজীবন হেঁসেল ঠেলেও কোনো মূল্য পাওয়া গেলো না' – এই ভাবনা প্রতিনিয়ত তাড়িত করে তাঁদের৷ কারণ অমূল্যায়িত সেবা খাতে পুরুষদের তুলনায় নারী অন্তত ৪০ভাগ সময় বেশি ব্যয় করেন৷ কিন্তু তাঁদের এই কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই৷ সাধারণ যে কোনো কাজের একটা পারিশ্রমিক থাকে৷ কিন্তু গৃহের কাজের কোনো মূল্য নির্ধারণ করা নেই, তাই এটাকে মূল্যায়ন করা হয় না – বলা হয় এটা নিজের গৃহের কাজ, ফলে এটাকে মূল্য দেয়া হয় না৷বাংলাদেশে কোনো পুরুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনার স্ত্রী কী করেন আর তাঁর জবাব যদি হয়, ‘কিছু করেন না'৷ তাহলে কী বুঝবেন? সাধারণত এর মানে, তিনি ঘর-গেরস্থালির কাজ করেন৷ কিন্তু এ দেশে ঘর-গেরস্থালির কাজকে কাজ বলে ধরা হয় না! বাসা-বাড়িতে কাজের সহযোগীতায় যে গৃহকর্মীরা থাকেন, তাঁরা কাজের জন্য নির্দিষ্ট অংকের মজুরি পান৷ কিন্তু একজন গৃহিণী কোনো মজুরি ছাড়াই সারাদিন কাজ করছেন এবং শুনছেন যে ‘তিনি কিছু করেন না'৷ গৃহিণীদের কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। তবে ধারণা পাল্টাচ্ছে তাই নারীর গৃহস্থালির কাজকে শ্রমের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীই পারিবারিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু সেটিকে কাজ এর মর্যদা দেওয়া হচ্ছে না। চাকরিজীবী নারীরা সকালে অফিসের যাওয়ার আগে সংসারের কাজ করেন৷ তারপর অফিস করে বাসায় এসে আবারো নানা কাজ থাকে৷ গৃহিণী নারীর সংসারের কাজে সামান্য ভুল-ত্রুটিতেই শুনতে হয় ‘কী এমন করো'! এই যে রান্না-বান্না, সন্তান লালন-পালনসহ পরিবারের যত কাজ, এর সবই অবমূল্যায়িত খাত৷একাধক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, একজন নারী পুরুষের চেয়ে বেশি কাজ করে, অথচ তাঁদের স্বীকৃতি কম৷ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বলছে, একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ১২ দশমিক ১টি কাজ করেন৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে এ কাজের গড় সংখ্যা ২ দশমিক ৭৷ এক সপ্তাহে একজন চিকিৎসক ৫৬ ঘণ্টা কাজ করলে মাসে পান ১ লাখ ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার৷ সেই অনুযায়ী গৃহিণীদের সপ্তাহে ৯৪ ঘণ্টা কাজের হিসেবে বছরে কত বেতন হওয়া উচিত? স্যালারি ডট কম বলছে, গৃহিণীরা ৯টা থেকে ৫টা কাজের বাইরে সপ্তাহে যে অতিরিক্ত ৫৮ ঘণ্টা খাটেন, সেটা হিসেব করলে তাদের বাড়তি বেতন হওয়া উচিত বছরে ৬৭,৪৩৬ মার্কিন ডলার৷জাতীয় আয়ে নারীর যে পরিমাণ কাজের স্বীকৃতি আছে, তার চেয়ে ২ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৯ গুণ কাজের স্বীকৃতি নেই৷বাংলাদেশের নারীদের বার্ষিক মজুরিবিহীন গৃহকাজের অর্থনৈতিক মূল্য এক লাখ ১১ হাজার ৫৯১ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা৷ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে৷
ঘরের কাজকে নারীর স্বাভাবিক দায়িত্ব এটিই আমাদের সমাজের সাধারণ ধারণা। তাই এ কাজে নারীর কোনো স্বীকৃতি যেমন নেই, তেমনই আর্থিক কোনো মূল্যায়নও নেই। তাই নারীরা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা তাদের কাজের সম্মানও পাচ্ছেন না। নারী শুধু গৃহে কাজ করেন না, অনেক উৎপাদনশীল কাজও তাঁরা করেন৷ কিন্তু সবগুলো কাজকেই ধরা হয় সংসারের কাজ৷ সমাজও ঠিক সেইভাবেই দেখে৷ সমাজ মনে করে, নারী সংসার দেখেন, সন্তান সামলান – এটাই তাঁর কাজ৷ এর বাইরেও গ্রামের নারীরা কিন্তু গবাদি পশু দেখেন, বীজ সংরক্ষণ করেন – এমন হাজারো কাজ করেন তাঁরা৷ যেহেতু এ সব কাজেরও মূল্য নির্ধারণ করা নেই, তাই সমাজও মনে করে যে, এগুলো মূল্যহীন কাজ৷ এ সবের ফলে সমাজ তাঁদের কাজকে মর্যাদার চোখে দেখে না৷‘পরিবার থেকে যদি বুঝতো নারীর মূল্য কত, তাহলে তারা সম্মান দেখাতো’ বাংলাদেশে নারীরা বাইরে কাজ করে যে মূল্য পান আর গৃহে কাজ করে যে নারীরা মূল্য পান না তা তুলনা করে ঘরের কাজের জন্য বাইরের কাজের সম পরিমাণ মূল্য দেয়া হলে তিনগুণ মূল্য পেতেন নারীরা। মনে রাখতে হবে ‘যারা গৃহের রানি, তারাই হচ্ছে গৃহিণী'। ‘‘এটাই চিরকালের সত্য৷ মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা ছাড়া দুনিয়া তাই অচল৷'' নারীর কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হলে, স্বীকৃতি দিলে নির্যাতন কমবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন অনেক পরিবারেই বিশেষ করে যেখানে নারীরা বাইরে কর্মরত, সেখানে অনেক পুরুষ ঘরের কাজে অংশগ্রহণ করেন। যদিও গৃহিণীকে তার প্রাপ্য মূল্য দেওয়া কখনই সম্ভব নয়৷ তবে তাঁকে যা দেয়া যায় তা হচ্ছে সম্মান, শুধুই ‘সম্মান'৷সুতরাং তাদের কাজের মুল্যায়ন করতে হবে। ভুলে গেলে চলবেনা যে, ‘‘সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে৷''
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নরু
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরা'পু
প্রথম মন্তব্য প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা ।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: এবার মিস ওয়ার্ড কে প্রশ্ন করা হয়েছিল- সবচেয়ে দামী কাজ কোনটা?
উত্তরে তিনি বলেছিলেন- মা'রা যে কাজ গুলো করেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার প্রতিউত্তর !! সম্ভবত এই উত্তরের জন্যই তাকে
মিস ওয়ার্ল্ড ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরের পাশাপাশি উপস্থিত
বুদ্ধি দৃপ্ত উত্তরও কাউন্ট কারা হয় বিশ্ব সুন্দরীদের যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে।।
ধন্যবাদ রাজীব ভাই, ভালো থাকবেন।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে
গুনধর স্বামী যদি থাকে তার পাশে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুণবান স্বামী পাওয়া যায় কম
স্বামীর মন যোগাতে বধুর যায় দম।
ধনবান হলেই স্বামী গুণবান
না থাকিলে টাকা কড়ি যৌতুক আন।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
মিথী_মারজান বলেছেন: মূল্যের চেয়েও সঠিক মূল্যায়ন বেশি জরুরী।
ভাললাগা রইল।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই তাই,
গৃহিণীদের যথার্থ মূল্যায়ন হলেই
কেবল সংসার সুখের হয়।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আপনি গৃহিণীদের কাজের মূল্য নিয়ে ভেবেছেন, এত বড় পোস্ট দিয়েছেন এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুধু কাজের স্বীকৃতি দিলেই হয়, কিন্তু কয়জন তা দেয় বলুন!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কারণাধারা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তবে আমার বিশ্বাস গৃহিণীরা আর্থিকভাবে
তাদের কাজের মূল্য চায়না, কোন মানুষের পক্ষেই
তা দেওয়া সম্ভব না। তাদের কাজ আর্থিক ভাবে মূল্যায়ণ
করাও সম্ভব না। তাদের কাজ অমূল্য। মায়ের আদর, মায়ের
ভালোবাসা, স্ত্রীর ভালোবাস দাম দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।
আসলে তারা চায় সম্মান, কাজের স্বীকৃতি অবশ্য কিছু লোভী
নারীদের কথা আলাদা, যারা নিজের স্বার্থের জন্য স্বামীর ভালোবাসা
ছেলেমেয়ের মায়ামমতা জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা করেনা।
ভালো থাকবেন।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের, আরবদের ও কিছু দরিদ্র দেশে, যেখানে পড়ালেখা নেই, সেখানে নারীরা কষ্ট করছেন, এটার সমাধান দরকার।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের হাজারো সমস্যার মাঝে আরবীয়
নারীদের কষ্টের কথা ভাববার সময় কই?
আল্লাহ তাদের হেফাজত করবেন ইনসাআল্লাহ !
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন । শেষ লাইন টা অসাধারণ বলেছেন । হা সম্মান টা যদি পেতো তাহলে অনেক কিছু বদলে যেতো ।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ হাফসা আপু,
একথা অনস্বীকার্য যে
সব নারীই কন্যা, জয়া, জননী
অন্য কোন সব কিছু বাদ দিলে
সে যখন মা, তখন তাকে মা'য়ের
সম্মান দিতে পারলেও অনেক সুখের হবে সংসার।
পরিতাপের বিষয় নারী যখন মা তখনও আমরার তাকে
মায়ের সম্মান দিতেও গড়িমসি করি।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধীরে ধীরে স্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে স্ত্রীরা যেন আবার এটা নিয়ে স্বামীদের মাথা না খায়। কারণ, বেশীরভাগ পুরুষ ঘরের বাইরে কাজ করে মাথা ঠিক থাকে না...
২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাদের মাথা ঠিক থাকেনা, বা মাথা গরম
তাদের চিকিৎসা দরকার। কারণ বাইরের
ঝাল স্ত্রীর উপর ঝাড়লে তার ক্ষতি কিন্তু
স্বামীকেই বহন করতে হয়। রাগ করে
বউয়ের চুড়ি ভাংলে স্বামী বেচারাকেই
কিনে দিতে হবে।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নূরু ভাই যে, আমার মন্তব্যের উত্তরে দারুণ একটা ছড়া বানিয়ে ফেললেন।
বাহ ! বেশ হয়েছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সরকার ভাই আবারও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি
পুনরায় ফিরে আসার জন্য। ভালো থাকবেন।
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হুম । ঘুরে ফিরে ব্লগেই যে আসতে হবে।
আর কোথায় এত শান্তি ও স্বস্তি ?
হা.হা.হা.............................................
২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অলি বার বার ফিরে আসে।।
ফিরে এসো ফিরে এসো
বন মোদিত ফুলবাসে।
আজি বিরহ রজনী ফুল্ল কুসুম
শিশির সলিলে ভাসে।।
অলি বার বার ফিরে আসে।।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগা লেখায় ।