নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ বিশ্ব প্রাণী দিবস। প্রাণীকুলের অধিকার রক্ষা ও তাদের কল্যাণার্থে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৪ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব প্রাণী দিবস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ন্যাচার ওয়াচ ফাউন্ডেশন দিবসটি সারাবিশ্বে প্রাণীপ্রেমীদের নিয়ে পালন করে থাকে। এ ছাড়াও দেশে দেশে প্রাণী কল্যাণমূলক সংস্থা দিবসটি পালন করে থাকে। একথা বলতে দ্বিধা নেই দিনে দিনে বনাঞ্চল উজাড়, জলবায়ুর পরিবর্তন, বিষাক্ত পানি, হিংস আক্রমণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ। সাপের সঙ্গে বেজির লড়াই এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। রাতে শোনা যায় না শেয়ালের ডাক। প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও হাসপাতালেই প্রাণী সংরক্ষণ-চিকিৎসার নেই সুষ্ঠু পরিবেশ। অথচ পৃথিবীতে আমাদের টিকে থাকার ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের পেছনে প্রাণীদের রয়েছে প্রত্যক্ষ অবদান।
মানুষের পোষা প্রাণীসহ চারপাশের নানা প্রাণী দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেকউপকার করে। গাধা বোঝা টানে, কুকুর অনেকের বাড়ি পাহারা দেয়, গাভী দুধ দেয়। ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণী নানা কাজে লাগে। সেই অবদানকে মনে রাখা ও প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়াই হচ্ছে প্রাণী দিবসের উদ্দেশ্য। একথা অনস্বীকার্য যে অনেক উপকার করা সত্বেও আমারা অনেক সময় এসব প্রাণীকে ঠিকমতো খাবার দেই না। যা সত্যিই অমানবিক। প্রাণী হিসেবে তাদের যে বেঁচে থাকার অধিকার সে অধিকার নিশ্চিতে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে ১৯৩১ সালে ইতালীর ফ্লোরেন্স শহরে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ইতালির আসিজি শহরের সাধু ফ্রান্সিস। তাঁর অত্যান্ত প্রিয় ছিলো পশুপাখি। ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে ইকোলজিস্টদের এক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৪ অক্টোবর পালন করা হবে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে। কারণ ৪ অক্টোবর ছিল সাধু ফ্রান্সিসের ভোজ উৎসবের দিন। এ দিন বিশ্বের তাবৎ প্রাণিকে ভালোবাসার দিন। অনেকে দিবসটি পোষা প্রাণি হিসেবেও উদযাপন করেন। বিশ্ব প্রাণী দিবসে সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার নিরাপদ আবাসন ও অধিকার নিশ্চিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জন্মিলে মরিতে হবে,
অমর কে কোথা কবে
নিরাপদ আবাসন ও প্রাণির অধিকার নিশ্চিত করলেই তারা
নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠবে। যাতে করে মানুষের ভোগ্য প্রাণিরা
নিরাপদে বেড়ে উঠবে এবং মাংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। যেমন
দিন কয়েক ইলিশ না ধরলে সারা বছর ইলিশ প্রাপ্তি সহজ হয়,
ব্যাপারটা তেমনি। তাছা[ড়া কুকুর বিড়াল, সিংহ, বাঘ এদের
কথাও ভাবতে হবে। হাস, মুরগী, গরু-ছাগলই শুধু প্রাণি নয়।
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
প্রামানিক বলেছেন: বিশ্ব প্রাণী দিবসে সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার নিরাপদ আবাসন ও অধিকার নিশ্চিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিশ্বের সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করলে আপনি হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগলের মাংস পাবেন কই? মেহমান বিদায় করবেন কি দিয়ে? বড়ই বিপদে ফেললেন!!!!