নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
সাম্প্রতিক সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয় (ব্লু হোয়েল) Blue Whale Suicide game। এই গেমের কারণে অবশ্য বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সম্প্রতি রাজধানীতে এই গেমে আসক্ত হয়ে মৃত্যুর শীতল স্পর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে এক মেধাবী শিক্ষার্থী। এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে কৌতূহল থেকে জানতে চাইছেন পুরো ব্যাপারটা। কেউ কেউ আতঙ্কও ছড়াচ্ছেন। ব্লু হোয়েল গেম খেলে হলিক্রসের একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন একটি গুঞ্জনের কারণে ফেসবুক বেশ সরগরম। বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকাও এমন খবর দিয়েছে। ‘ব্লু হোয়েল গেম’ বাংলাদেশে কারো আত্মহত্যার কারণ হয়েছে কি না, তার তদন্ত করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। রাজধানীর এক স্কুলছাত্রীর বাবা তার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য এ ইন্টারনেট গেমকে দায়ী করেছেন। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে ইত্তেফাকে রিপোর্ট দেখে এই নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।এদিকে ফেসবুকে সতর্কবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজ নিজ বন্ধুদের বিশেষ বার্তা পাঠাচ্ছেনঃ সাবধান, বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ব্লু হোয়েল গেম! এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে কৌতূহল থেকে জানতে চাইছেন পুরো ব্যাপারটা। কেউ কেউ আতঙ্কও ছড়াচ্ছেন। যদিও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক অবশ্যই থাকা উচিত। বিশেষ করে উঠতি বয়সীদের দিকে খেয়াল রাখা, ‘দেখি কী হয়’-এর কৌতূহল অনেক সময়ই যাদের নিয়ে যায় ভুল পথে। এ কারণে সচেতনতা বেশি জরুরি। ভুল তথ্য প্রচার বা গুজব রটানো উল্টো এই গেমটির প্রচারণায় বেশি সাহায্য করবে। ফলে, সঠিক তথ্য জেনে রাখাটাই বেশি দরকার।
জেনে নিন Blue Whale কি?
ব্লু হোয়েল সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক একটি ডিপওয়ে গেম। যেসব কম বয়সী ছেলেমেয়ে অবসাদে ভোগে তারাই সাধারণত এতে আসক্ত হয়ে পড়েন। ভারতে ব্লু হোয়েলে আসক্ত হয়ে আত্মঘাতী কয়েক তরুণের সুইসাইডাল নোটে লেখা হয়েছে, ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বের হওয়া যায় না। নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে যেন আত্মহত্যার জন্যই- সেই ধারণা থেকে এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’। এই গেমে খেলোয়াড়দের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিভিন্ন কাজ করতে দেওয়া হয়, শুরুতে হালকা কিছু কাজ দেওয়া হলেও ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর সব কাজ দেওয়া হয়। বিপজ্জনক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর সব শেষে চূড়ান্ত কাজ হিসেবে খেলোয়াড়কে আত্মহত্যা করতে বলা হয়।
জানা যায়, ব্লু হোয়েল গেমে ৫০টি ধাপ রয়েছে। ৫০টি ধাপ ৫০ দিনে অতিক্রম করতে হয়। প্রথমদিকের ধাপগুলোতে সহজ কিছু থাকে। এর প্রতিটি ধাপ একাধিক কিউরেটর দ্বারা চালিত হয়। কিউরেটরদের নির্দেশ মতো গেমের এক একটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। গেমটির বিভিন্ন ধাপে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা, সারা গায়ে আঁচড় কেটে রক্তাক্ত করা, ভোরে একাকী ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, রেললাইনে সময় কাটানো, ভয়ের সিনেমা দেখা ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জ নেয়ার পর এসব ছবি কিউরেটরকে পাঠাতে হয়।
ব্লু হোয়েলের ২৭তম দিনে হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে হয়। একবার এই গেম খেললে কিউরেটরের সব নির্দেশই মানা বাধ্যতামূলক। সব ধাপ পার হওয়ার পর ৫০তম চ্যালেঞ্জ হলো আত্মহত্যা। এই চ্যালেঞ্জ নিলে গেমের সমাপ্তি। এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনো ভাবেই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে।
২০১৩ সালে রাশিয়ায় এই গেম তৈরি হয়। রাশিয়ায় শুরু হলেও এই গেমের শিকার এখন এশিয়ার অনেক দেশ। সাধারণভাবে গোপন গ্রুপের মধ্যে অপারেট করা হয় এ গেম। এক্ষেত্রে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো জনপ্রিয় স্যোশাল প্লাটফর্মকে কাজে লাগায় এডমিনরা।
২০১৬ সালে রাশিয়ায় ব্লু হোয়েল গেমের কিউরেটর সন্দেহে ফিলিপ বুদেকিন নামের ২২ বছরের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেরায় ফিলিপ স্বীকার করে, এই চ্যালেঞ্জের যারা শিকার তারা এই সমাজে বেঁচে থাকার যোগ্য নয়। তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আমি সমাজ সংস্কারকের কাজ করছি। দুর্বল মানসিকতার মানুষদের বেঁচে থাকার প্রয়োজন নেই। তাদের হত্যা না করে তারা নিজেরা যেন আত্মহত্যা করে সেই লক্ষ্যে সাজানো হয় ৫০ দিনের সুইসাইড চ্যালেঞ্জ। শুরুতে তারা মানসিকভাবে দুর্বল মানুষদের চিহ্নিত করে এ খেলাটির চ্যালেঞ্জগুলো পাঠাতে শুরু করে। জানা যায়, রাশিয়ায় ইতিমধ্যে ১১৮ জন এ গেম খেলে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্লু হোয়েলে আসক্তদের চিনবেন যেভাবেঃ
যেসব কিশোর-কিশোরী ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা সাধারণভাবে নিজেদের সব সময় লুকিয়ে রাখে। স্বাভাবিক আচরণ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। দিনের বেশিরভাগ সময় তারা কাটিয়ে দেয় স্যোশাল মিডিয়ায়। থাকে চুপচাপ। কখনও আবার আলাপ জমায় অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে। গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককে। একটা সময়ের পর নিজের শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলতে থাকে তারা।
বিশেষ সতর্ক বার্তাঃ
সম্প্রতি কারো কারো মোবাইলে "popcorn carnival" একটি লিংক পাওয়া যাচ্ছে। সতর্কতা হিসেবে এই লিংকে ক্লিক করতে নিষেধ করা হয়েছে। "Popcorn Carnival" নামের কোনো লিঙ্ক কারো মোবাইলে এলে, কখনোই লিঙ্কটি ওপেন করবেন না। এটা আসলে Blue Whale গেমের লিঙ্ক। লিঙ্কটি ওপেন করা মাত্রই হ্যাকাররা আপনার মোবাইল হ্যাক করে ফেলবে এবং আপনার ব্যাপারে সব তথ্য তাদের হাতে চলে আসবে এবং হ্যাকারেরা আপনাকে হুমকি দিয়ে অথবা ব্ল্যাকমেল করে Blue Whale গেম খেলাতে বাধ্য করাবে। আর গেমটি একবার খেলতে শুরু করলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা অসম্ভব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত নিশ্চিত।
Don't click any link naming "popcorn carnival".Its the hidden link for the blue whale challenge. They'll hack your mobile and blackmail you to play blue whale game...share as much as possible. Don't be lazy to share...may be your friends or relative may suffer.
এ ছাড়া +৯১৭৫৭৪৯৯৯০৯৩ নাম্বার থেকে আপনার ফোনে আসলে কোন কল আসলে তা রিসিভ করবেন না বা কোন ম্যাসেজ এলে তা ওপেন না তরে সরাসরি ডিলিট করে দিন।
Blue whale game has started using a phone number please don't call or receive any call or message from this blue whale number +917574999093 Forward this to as much contact as possible.
বাংলাদেশেও পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। এ রকম ঘৃণ্য একটি গেমের নেশায় যেন কিছুতেই না পড়ে এ দেশের শিশু-কিশোর কিংবা তরুণেরা। পারিবারিক ও বন্ধু মহলে সচেতনতা তৈরি জরুরি। একই সঙ্গে সরকারি তরফেও উদ্যোগ জরুরি। এ গেম যেন কিছুতেই পাওয়া না যায় বাংলাদেশে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৌতূহলে কোনো ধরনের নেশার ফাঁদে পা দেওয়া মস্ত বড় ভুল। সেটা গেমের নেশাও হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ম্যাসেজটি আ্পনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সকলকে জানিয়ে দিয়ে এই বিষয়ে সতর্ক করে দিন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে
রুধিবে কেমনে?
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানসিকভাবে দুর্বল, অস্থির, হতাশ, নিরাশ, বেকুব ও আহাম্মক শ্রেণির মানুষ এই গেম খেলে আত্মহত্যা করতে পারে। তা' ছাড়া আত্মহত্যা করার কোন কারণ দেখি না।
যাই হোক, এ বিষয়ে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়ে খুব ভালো করেছেন। ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবেগ তাড়িত হয়ে
নিরাশাগ্রস্থ মানুষ
যে কোন সময়
যে কোন ভয়ংকর
কাজ করতে পারে
তার ভুরি ভুরি
প্রমাণ আছে।
ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০২
শামীম সুজায়েত বলেছেন: টক অব দ্যা কান্ট্রি!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শামীম ভাই
তবে আমার মনে হয় বিষয়টি এখনো
পুরো দেশ অবগত নয়, এটা এখনো
প্রধানত শহর কেন্দ্রীক রয়ে গেছে।
তবে শিঘ্রই যে টক অব দ্যা কান্ট্রি হবে
তাতে সন্ধেহ নাই। ভালো থাকবেন।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
সোহানী বলেছেন: অকেদিন পর হলেও অনুসরনে আসলাম। আপনার প্রতিটি পোস্টই অসম্ভব প্রয়োজনীয়।
আমাদের দেশে যেহেতু ইন্টার্নেট তেমন নিয়ন্ত্রিত নয় তাই যেকোন কিছুই ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। রাস্ট্র যেহেতু দায়িত্ব নিচ্ছে না তাই সমাজ পরিবারকেই সর্তক হতে হবে।
ভালো থাকুন.........
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সোহানী'পু
দেরীতে হলেও অনুসরণে আসার জন্য।
সতর্ক থাকার বিকল্প নাই।
ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: বাঙালি হুজুগে চলতে পছন্দ করে।