নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
আজ (শনি বার) শুভ বিজয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি ঘটবে আজ। শাস্ত্র অনুযায়ী শাপলা, শালুক আর বলিদানের মাধ্যমে দেবীর পূজা হবে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণ এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নিরন্তর শান্তি ও সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ সমাপন ঘটবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচে’ বড় উতৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ভক্তের ডাকে প্রতি বছর মর্তে আসেন মা দুর্গা। হিন্দু শাস্ত্রানুসারে দেবী দুর্গার বাহন সিংহ হলেও কৈলাস থেকে বাপের বাড়ি মর্তলোকে আগমনের সময়ে তিনি চারটি আলাদা বাহন ব্যবহার করেন। ফিরেও যান আলাদা বাহনে। দেবীর এই গমনাগমনে ধরাতলে শুভাশুভ ফল নির্ধারিত হয়।
হিন্দু শাস্ত্র মতে দেবী দুর্গা এবার পিতৃগৃহে এসেছিলেন নৌকায়। সনাতন বিশ্বাসে ‘শস্যবৃদ্ধিস্থাজলম’, অর্থ—অতিবৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে একদিকে প্লাবন হবে, অন্যদিকে শস্য বাড়বে। আর তার প্রস্থান হবে ঘোটকে করে। ঘোটকে আগমন ও গমনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রেও অস্থিরতা প্রকাশ পাবে। যেমন- রাজনৈতিক উত্থান, পতন, সামাজিক স্তরে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, গৃহযুদ্ধ, দুর্ঘটনা, অপমৃত্যু ইত্যাদির প্রভাব বাড়বে।
মা দেবীদুর্গার আশীর্বাদে শ্রীরামচন্দ্র রাক্ষসরাজ রাবণকে পরাজিত করার পর সীতাকে উদ্ধার করলেন, সেই থেকে শরৎকালে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে। দুর্গা হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবের তথা দেবতাদের দুর্গতি নাশ করেন, আবার দুর্গম অসুরকে বধ করেন। শরৎকালে অর্থাৎ দক্ষিণায়নে সব দেব-দেবীর মতো দেবীদুর্গা বিষ্ণুমায়া নিদ্রিত থাকেন। শারদীয় দুর্গাপূজায় বোধন হচ্ছে নিদ্রিত দেবীকে জাগ্রত করা। শরৎকালে অকাল বোধনের দ্বারা দেবীকে জাগ্রত করা হয় বলে দুর্গার অপর নাম শারদীয়া। শরৎকালে এই দুর্গাপূজা হয়, তাই তাকে শারদীয় দুর্গাপূজা বলা হয়।
দূর্গা পূজা বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। হিন্দু শাস্ত্রে ‘দুর্গা’ নামটির ব্যাখ্যা নিম্নোক্তরূপে প্রদত্ত হয়েছেঃ
“ দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।”
‘দ’ অক্ষর দৈত্যনাশক, উ-কার বিঘ্ননাশক, ‘রেফ’ রোগনাশক, ‘গ’ অক্ষর পাপনাশক ও অ-কার ভয়-শত্রুনাশক। অর্থাৎ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয়-শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা। অন্যদিকে শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে, “দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা” – অর্থাৎ, দুর্গ নামক অসুরকে যিনি বধ করেন তিনিই নিত্য দুর্গা নামে অভিহিতা। আবার শ্রীচণ্ডী অনুসারে এই দেবীই ‘নিঃশেষদেবগণশক্তিসমূহমূর্ত্যাঃ’ বা সকল দেবতার সম্মিলিত শক্তির প্রতিমূর্তি।
এবার শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে এমন এক ক্রান্তিকালে যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার শিকার হয়ে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা নারী-বৃদ্ধ-শিশুদের পদপিষ্ট করছে, গুলি করে হত্যা করছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে তাদের ঘরবাড়ি। নারীদের ধর্ষণ করে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রাখছে। রক্তের বন্যায় ভাসছে রোহিঙ্গা জনপদ। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা বৃদ্ধ বাবা-মা সন্তানের মুখ চেয়ে বসে আছেন।
সনাতন ধর্মে উল্লেখ আছে স্ববংশবৃদ্ধিকামঃ পুত্রমেকমাসাদ্য..”। আবার সন্তান লাভের পর নারী তাঁর রমণীমূর্তি পরিত্যাগ করে মহীয়সী মাতৃরূপে সংসারের অধ্যক্ষতা করবেন। তাই মনু সন্তান প্রসবিনী মাকে গৃহলক্ষ্মী সম্মানে অভিহিত করেছেন। তিনি মাতৃ গৌরবের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন এভাবে- উপাধ্যায়ান্ দশাচার্য্য আচায্যাণাং শতং পিতা। সহস্রন্তু পিতৃন্মাতা গৌরবেণাতিরিচ্যতে” [ (মনু,২/১৪৫) অর্থাৎ “দশজন উপাধ্যায় (ব্রাহ্মণ) অপেক্ষা একজন আচার্য্যরে গৌরব অধিক, একশত আচার্য্যরে গৌরব অপেক্ষা পিতার গৌরব অধিকতর; সর্বোপরি, সহস্য পিতা অপেক্ষা মাতা সম্মানার্হ।”
আমাদের প্রতি ঘরেই আছেন মমতাময়ী মা। আমরা বুকে হাত দিয়ে কি বলতে পারি আমরা সেই মা'কে কতটুকু পূজি ! আমরা কি তাঁর যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে পেরেছি। খড়ের প্রতিমাকে যত জাকজমকের সাথে স্বাগত ও বিদায় জানাই তার শিকি ভাগও কি আমরা করি আমাদের জন্ম দাত্রী মা'য়ের প্রতি? আমাদের অন্তরের সেই জীর্ণতা দেখেই আমাদের জাতীয় কবি নজরুল লিখেছেনঃ
খড়ের প্রতিমা পূজিস্ রে তোরা, মাকে ত’ তোরা পূজিস্নে!
প্রতি মা’র মাঝে প্রতিমা বিরাজে (ঘরে ঘরে ওরে)
হায় রে অন্ধ, বুঝিস্নে।।
বছর বছর মাতৃ পূজার ক’রে যাস্ অভিনয়
ভীরু সন্তানে হেরি লজ্জায় মাও যে পাষাণময়,
মাকে চিনিতে সাধন-সমরে সাধক ত’কেহ বুঝিস্নে।
মাটির প্রতিমা গ’লে যায় জলে, বিজয়ায় ভেসে যায়,
আকাশে-বাতাসে মা’র স্নেহ জাগে অতন্দ্র করুণায়।
তোরই আশে-পাশে তাঁর কৃপা হাসে –
কেন সেই পথে তাঁরে খুঁজিস্নে।
আল কুরআনে বলা হয়েছে আমি মানুষকে তাদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে। একটি হাদীসে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, মাতার পদতলে সন্তানের বেহেশত (স্বর্গ)।তাছাড়া একটি হাদীসে আছে তা হল মা তিন বার সেবা করার পর বাবাকে এক বার। সেবা করা।
আসুন আমরা আমাদের নিজ নিজ মা'কে পূজি যিনি আমাদের জঠর জ্বালা সয়ে পৃথিবীর রূপ, স্বাদ ও গন্ধ উপভোগ করার অনাবিল আনন্দ দিয়েছেন। এ শুভদিনে আমরা খড়ের প্রতিমাকে জৌলুসের সাথে বিসর্জনের পরিবর্তে নিজের মা'কে পূজি পরম যত্নের সাথে এবং রোহিঙ্গ মা'বোনদের পাশে দাড়াই যার যার সাধ্য মতো। রোহিঙ্গাদের যারা অসুরের নির্দয়তায় নির্যাতন করছে, সেই মানবরূপী অসুরের বিনাশ চান তারা। প্রার্থনা করেন, পৃথিবীতে যত মানবরূপী অসুর আছে তাদের বিনাশ হোক।
সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং সামুর সকল সকল পাঠক, লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
৪৩ জন পাঠক পড়ার পরে আপনার
একটি মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
তথ্যবহুল হলেও হতে পারে তবে
আমার বক্তব্য আমারা আমার নিজের
মা'কে অবজ্ঞা/অবহেলা করে খড়ের
তৈরী মা'কে পূজিলে কি পূণ্য হবে ?
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এ শুভদিনে আমরা খড়ের প্রতিমাকে জৌলুসের সাথে বিসর্জনের পরিবর্তে অসহায় রোহিঙ্গ মা'বোনদের পাশে দাড়াই। "
-মুসলমানরা অন্য ধর্মকে হেয় করতে গিয়ে সব যায়গায় মার খাচ্ছে; হিন্দুরা "খড়ের প্রতিমাকে" পুজা করবে, নাকি কাকে পুজা করবে, সেটা আপনি বলার কে?
রোহিংগাদের মাঝে আপনার মত ২/৪ লোক থাকাতে এবার ৫ হাজার প্রাণ হারায়েছে ও ৫ লাখ বাংলাদেশে এসেছে। আগামী ২০ বছরে ইউরোপ থেকে, আমেরিকা থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করবে, আপনার মতো মনোভাবে লোকদের কারণে; মুসলমানেরা অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতিকে হেয় করে সব সময়, এটা বড় সমস্যা
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে
খড়ের প্রতিমাকে পূজিলে কানাকড়িও লাভ হবেনা।
আগে কথা বোঝার চেষ্টা করুন তার পর উপদেশ।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
অন্য ধর্ম নিয়ে আপনার খারাপ মনোভাব আছে, রোহিংগাদের মাঝে ২ জন রাখাইন মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলাতে ২০১৫ সালে, একদিনে ১৫০ জনের মত রোহিংগাকে হত্যা করা হয়েছিল; আপনার মতো লোকদের জন্য মুসলমানদের ক্ষতি হবে।
অন্য ধর্ম সম্পর্কে আপনার নীচু ধারণা সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলছে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি আসলেই মুসলমান কিনা তাতে আমার যথেষ্ট সন্ধেহ আছে।
আমি যেমন আপনার সম্পর্কে এমন মত পোষণ করি তখন আপনিও
আপনার ইচ্ছা মতো যে কোন মত পোষণ করতে পারেন যার তার প্রতি,
তাতে কারো কিচ্ছু যায় আসেনা।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নীচের লাইনে আপনার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে; আমি আপনার লেখা তুলে দিয়েছি মাত্র, সনাতন ধর্মীদের বিশ্বাসকে হেয় করে আপনি লিখেছেন:
"এ শুভদিনে আমরা খড়ের প্রতিমাকে জৌলুসের সাথে বিসর্জনের পরিবর্তে অসহায় রোহিঙ্গ মা'বোনদের পাশে দাড়াই। "
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঘরে যে মা আছে তাকে কত জন এমন জৌলুসের সাথে বরণ করে?
নিজের মা'কে না পূজে খড়ের মাকে পূজলে তার তার সকল কিছুই
ছাইতে ঘি ঢালার মতোই হবে।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং সামুর সকল সকল পাঠক, লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা।[/sb
শুভেচ্ছার পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে গেলেন মনে হয়।
নবী মোহাম্মদ (সাঃ) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করছেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুভেচ্ছার সাথে বাঁশ !! তা কি করে হয়?
যা হোক আমার কথা নাই মানলেন,
নজরুলের কথা মানুন
"মাটির প্রতিমা গ’লে যায় জলে, বিজয়ায় ভেসে যায়,
আকাশে-বাতাসে মা’র স্নেহ জাগে অতন্দ্র করুণায়।
তোরই আশে-পাশে তাঁর কৃপা হাসে –
কেন সেই পথে তাঁরে খুঁজিস্নে।"
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক লিখেছেন, "আপনি আসলেই মুসলমান কিনা তাতে আমার যথেষ্ট সন্ধেহ আছে। "
-আপনার সন্দেহ, নিসন্দেহ, কোনটাই আমার জন্য কিছু না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কোনটাই আমার জন্য কিছু না।
সেটা আমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানেনা।
কিছুটা বুঝতে হলে আপনাকে নিদেন পক্ষে ৭ দিন সময় নিতে হবে।
৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
"-মুসলমানরা অন্য ধর্মকে হেয় করতে গিয়ে সব যায়গায় মার খাচ্ছে; হিন্দুরা "খড়ের প্রতিমাকে" পুজা করবে, নাকি কাকে পুজা করবে, সেটা আপনি বলার কে?
রোহিংগাদের মাঝে আপনার মত ২/৪ লোক থাকাতে এবার ৫ হাজার প্রাণ হারায়েছে ও ৫ লাখ বাংলাদেশে এসেছে। আগামী ২০ বছরে ইউরোপ থেকে, আমেরিকা থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করবে, আপনার মতো মনোভাবে লোকদের কারণে; মুসলমানেরা অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতিকে হেয় করে সব সময়, এটা বড় সমস্যা"
ধর্ম মানবতার প্রধান শত্রু।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কারো কথার যেন সুরধ্বনি সুনতে পাই !!
এটা কি অন্ধ সমর্থন নাকি তোয়াজ !!
ধর্ম কখনোই মানবতার শত্রু হতে পারেনা,
কোন ধর্মই কাউকে অমানবিক হতে পরামর্শ দেয় না।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "
কোনটাই আমার জন্য কিছু না।
সেটা আমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানেনা।
কিছুটা বুঝতে হলে আপনাকে নিদেন পক্ষে ৭ দিন সময় নিতে হবে। "
-আপনার চেয়ে ভালো কেহ জানে না? আমারও তাই মনে হচ্ছে!
-৭ দিন সময়? ভালো! এগুলো আবোল তাবোল কথাবার্তা!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবোল তাবোল বকলে তার জবাব
আবোল তাবোল দিয়েই দিতে হয়।
আজ পর্যন্ত আপনি যে গুলো মন্তব্য
করেছেন সেখানে হাতেগোনা দু'একটি
ছাড়া সবই নেতিবাচক। নিজেকে আপনি
খুব বিজ্ঞ ও অসাধারণ জ্ঞানী ভাবেন। আপনার ধারণা্
আপনার সব লেখাগুলি একএকটা মহাকাব্য আর অন্যদের
লেখা ছাইপাশ !! এ মনোভাব পরিহার করুন। পারলে উৎসাহ দেন
না হলে মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।
"মনের পশুরে কর জবাই,
পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই"।
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার শিরোনাম দেখেই এর আগেরবার দেখেও ঢুকার ইচ্ছে হারিয়ে গিয়েছিল, তবুও এবার ঢুকেই যখন পরেছি তখন নিজের মন্তব্য রেখে না গেলে ভালো লাগছে না।
আমরা মুখে অনেক কথাই বলে থাকি, অনেক সময় সেই কথার গভীর কতটুকু তা ভেবে দেখি না। মুখরুচক কথার মধ্যে হয়তো কারো মনে আঘাত লাগতে পারে সে বিবেচনাবোধ হারিয়ে ফেলি। আপনার শিরোনাম সেরকম একটা কিছু হয়েছে। এতে আপনি মুসলিম জাতির সংকীর্ণ মনের পরিচয় দিয়েছেন।
আমাদের মুসলমান বাবা-মা'য়েরা কি বৃদ্ধাশ্রমে নাই ?
অপরের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার কোন যৌক্তিকতা আছে কি ?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জনাব নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন,
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে লেখার শিরোণামটি আমার না।
এই লাইনটি সাম্যের কবি, প্রেমের কবি আমারদের জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলামের। হিন্দু ধর্মের গুণকির্তণ করে তিনি অনেক
গান কবিতা রচনা করে অনেক মুসলমানদের রোষাণলে এবং
হিন্দুদের প্রিয়ভাজন হয়েছেন। সুতরাং তিনি যদি বলেন,
উক্ত লাইনটি লিখে থাকেন সেখানে আমার দোষ কোথায়?
এই একই ধারার কথা মুসলমানদের বেলাতেও তিনি বলেছেন,
"চাহি না ক’ গাভী দুম্বা উট,
কতটুকু দান? ও দান ঝুট।
চাই কোরবানী, চাই না দান।
রাখিতে ইজ্জত্ ইসলামের
শির চাই তোর, তোর ছেলের,
দেবে কি? কে আছ মুসলমান?
ওরে ফাঁকিবাজ, ফেরেব-বাজ,
আপনারে আর দিস্নে লাজ,-
গরু ঘুষ দিয়ে চাস্ সওয়াব?
যদিই রে তুই গরুর সাথ
পার হয়ে যাস পুল্সেরাত,
কি দিবি মোহাম্মদে জওয়াব।
বনের পশু নয় মনের পশুকে কোরবানী দে।
সুতরাং সম্পূর্ন লেখা না পড়ে তার গুঢ় অর্থ না বুঝে
অর্থহীন মন্তব্য করে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত কররবেন না।
১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ প্রতি উত্তর দিয়েছেন, কৃতজ্ঞতা রইল।
আমার মন্তব্যের না বলা কথাটুকু আপনার দেয়া কবিতাংশে
আমি যা বলেছি তাতে যদি হাসির পাত্র হই তাতে ক্ষতি কি ? এরকম হাসির পাত্রদের জায়গা আমার বুকেই রাখি সবসময়।
শুভ হোক আপনার।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর নয়ন,
সাধুবাদ জানাই ফিরে আসার জন্য।
তর্ক তাদের সাথে করা যায় যারা যুক্তি মানে।
অর্বাচীনের সাথে তর্কে জয়ী হয়ে তৃপ্ত হয়না মন।
ছেলে বেলায় আদর্শ লীপিতে পড়তাম" তর্ক করিওনা।
এখন বুঝি তর্ক করা উচিৎনয় অর্বাচীনের সাথে। তবে
যারা যু্ক্তি মানে তাদের সাথে তর্ক হতেই পারে তা হলে
সমস্যার সমাধান হবেই। মায়ানমার সরকার যুক্তি মানেনা
তাদের সাথে তর্ক করা উচিৎ নয়. উচিৎ হবে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে আবারো। সাথে থাকবেন।
১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"খড়ের প্রতিমা পূজিস্ রে তোরা, মাকে ত’ তোরা পূজিস্নে! "
-বুঝলাম, শিরোনাম জাতীয় কবির কবিতার অংশ। উনি আমাদের জাতীয় কবি হওয়ার আগে, কলিকাতার কবি ছিলেন; উনার সেই রকম স্হান ছিলো কলিকাতার মানুষের মনে।
আপনি কোন জাতীয় কবি, বা লেখক যে, আপনি লিখছেন, "এ শুভদিনে আমরা খড়ের প্রতিমাকে জৌলুসের সাথে বিসর্জনের পরিবর্তে অসহায় রোহিঙ্গ মা'বোনদের পাশে দাড়াই"?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি এতক্ষনে বুঝলেন এটা জাতীয় কবির একটি কবিতার লাইন,
তার পরেও তর্কে জিততে চান !! আপনি তার মনের খবরও নিয়ে নিয়েছেন !!
গোয়ার্তূমি ছাড়েন, সবখানে নিজের সীমবদ্ধতা প্রকাশ করে নিজেকে খাটে করবেন না।
না জানা দোষের নয়, গোয়ার্তূমি ছাড়ুন, সাধারণ হয়ে সবার মাঝে অসাধারণ হতে চেষ্টা করুন।
ভালোবাসায় আপনার আবশ্যকতা নাই। আপনি দাম্ভিক, দম্ভ পতনের মূল।
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনি জাতীয় কবির কবিতা বিশ্লেষণ করেছেন, সেখানে যে মুসলমানের কথা বলা হয়েছে সেটুকু বাকি রেখেছেন কেন ?
কেন লেখলেন না-
তোর অন্তরে বিষ তো মসজিদে কেন মাথা ঠুকিস ....
বা
মনের পশুকে না করে জবাই কেন করিস গোস্ত খাওয়ার লড়াই,
কিসের নামাজ কিসের হজ্ব হবে নারে হবে না ওপারের কিছু কামাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নয়ন,
যেহেতু আজ বিজয়া দশমী, বিজয়ের উৎসব
সেই প্রেক্ষিতে নজরুলের কবিতাটির লাইনটি
উদ্ধৃত হয়েছে। মুসলমানদের কোরবানীর
প্রেক্ষিতে যা তিনি লিখেছেন তা এখানে
অ-প্রসাঙ্গিক নয় কি?
১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এ শুভদিনে আমরা খড়ের প্রতিমাকে জৌলুসের সাথে বিসর্জনের পরিবর্তে অসহায় রোহিঙ্গ মা'বোনদের পাশে দাড়াই। "
-এই বাক্য আপনার লেখা, এখানে আপনি "খড়ের প্রতিমা"র কথা বলে সনাতনীদের হেয় করার করেছেন; সেটার জন্য দু:খ প্রকাশ না করে, আবোল তালো বকে যাচ্ছেন ক্রমাগতভাবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার রুচিতে বাধছে,
কারণ অর্বাচীনের সাথে তর্ক মূর্খ্যতার লক্ষণ। আমি
আপনাকে আর গ্রাহ্য করবো না। কোন মন্তব্যও গ্রহীত
হবেনা। পরের মন্তব্যগুলি ডিলেট করা হবে। যদি আপনাকে
ডিলেট করতে পারতাম তা হলে প্রীত হতাম। আফসোস
সামু সেই ডিলিট বাটনটি উপড়ে ফেলেছে।
১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি যতদূর জানি, শ্রদ্ধেয় কবি নজরুল ইসলাম যেখানেই হিন্দু ধর্ম নিয়ে লিখেছেন সেখানেই মুসলমান চিত্রও তুলে ধরেছেন। তিনি সবার জন্যই বলেছেন, তিনি মাসবতার জয় গান করেছেন কোন ধর্মের নয়। আর যেখানে ধর্ম সম্পর্কে বলেছেন সেখানে ধর্ম নিয়েই বলেছেন।
কিন্তু আপনার পোষ্ট আবার পড়েন, আপনি কোথায় সার্বজনীন আলোচনা করেছেন কিনা সেটা বিবেচনা করুন।
আপনার আলোচনা কি একপিষ্ঠ হয়নি ?
আপনার আলোচনা কি তাদের ধর্মবিশ্বাস'কে খাটো করেনি ?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি আবারও দুঃখের সাথে বলছি আপনি সমগ্র লেখাটি না পড়ে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। আমার লেখার প্রথম প্যারাতে বলা আছে,
"শুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণ এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নিরন্তর শান্তি ও সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ সমাপন ঘটবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচে’ বড় উতৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা।"
এতে কি প্রতিয়মান হয় যে আমি একপৃষ্ঠে কথা বলেছি। শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে। যে হেতু আমি আমার লেখায় সোহাগ বাক্য লিখেছি তখন একট শাসন দোষের হবে কি?
১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যে যেভাবে আছে থাকতে দিন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিজের মা'কে অবহেলা করে খড়ের মা'কে পূজিলে
হারাতে হবে একূল ও কূল দু-কূল।
ধন্যবাদ শাহাদাৎ ভাই মন্তব্যের জন্য।
১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অদ্যকার আমার পোস্টে যে সকল বিজ্ঞ ব্লগার মন্তব্য করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
পাঠক/মন্তব্যকারী হয়তে লেখাটি বিস্তারিত না পড়ে বা বুঝে দায় সারা গোছের মন্তব্য করে
সাম্প্রদায়িকতার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আমার লেখার শিরোণাম আমাদের জাতীয় কবি
কাজী নজরুলের একটি গানের প্রথম চরণ। যেখানে কবি বলেছেন তোমরা খড়ের প্রতিমাকে
না পূজে তোমার রক্ত মাংশে গড়া তোমার আপন মা'কে শ্রদ্ধা ভক্তি করো।
ঘরের মা বাবাকে শ্রদ্ধা না ভক্তি না করে, গয়া কাশি ঘুরেও কোন লাভ হবে না,আগে ঘরের ভগবানকে শ্রদ্ধা করো পরে ভগবানকে খুজো। নিজের মনকে আগে পবিত্র করে ভগবানের প্রতি একনিষ্ঠা বিশ্বাস রেখে ভগবানকে ভক্তি আর শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে তাকে উপল্পদ্ধি করা যেতে পারে। কারণ প্রতি মা'য়ের মাঝেই প্রতিমা বিরাজমান।
আশা করি সকলের ভুল বোঝার অবসান হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
আ্যাডোনিস. বলেছেন: তথ্যবহুল একটি লেখা।অনেক ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ।