নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ৭মবার্ষিকী আজঃ দেশের এই বীর শহীদদের স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০


কিছু কিছু মৃত্যুশোক কখনোই ভোলা যায় না।কিছু কিছু শোক বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। আজ তেমনি একটি শোকের দিন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সকাল আটটা। বাজছে বিউগলের কঠিন সুর। আজকের বিউগলের আওয়াজটা অন্যান্ন দিনের চেয়ে করুণ সুরে বেজে উঠছে যেন। BDR সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে দরবার হলে, হন হন করে নিঃসব্দে ঢুকছে সৈনিকরা, আজও ওদের হাতে কোন অস্ত্র নেই, কারন আইন-শৃক্ষলা রক্ষায় সুধুমাত্র বাহিরে ডিউটির সময়ই কেবল অস্ত্র ও গুলি দেয়া হয়। সকাল ৯টায় পুর্বনির্ধারিত মিটিং। যা দরবার নামে প্রচলিত। এই দরবার হলেই ঘটে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড। যা বিডিআর বিদ্রোহ নামে পরিচিত পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ষষ্ঠ বার্ষিকী আজ।

২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। অনেকেই নানা ভাবে সেদিনের দরবার হলের ঘটনার বিবরন দেন, কিন্তু সেগুলো পরে ঘটনার নিষ্ঠুরতা জানার পর এবং সজনের কান্নাকাটিতে পরিস্থিতির চাপে কিছুটা মোটিভেটেড বলে মনে হয়েছে। বিপুল সংখক বিভৎস মৃতদেহ দেখে তীব্র প্রতিক্রীয়া, আবেগের ভেতর থেকে আসল সত্য বের করে আনা সত্যই কঠিন ছিল। কিন্তু কেন এ হত্যাজগ্য, এই ঘটনা কি পুর্ব পুর্বপরিকল্পিত? না নিছক উত্তেজনার বসে? কি ঘটেছিল সেদিন?
বিডিআর সৈনিকদের চাপা ক্ষোভ অনেক বছর আগে থেকেই ছিল। নব নির্বাচিত সরকার অপেক্ষাকৃত কম রক্ষনশীল, কম সেনা তোষনকারি এবং উদার মনে হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কিছুদিন আগেই তৈরি করা মুল তিনটি দাবি সহ ৬ দফা দাবি সহ একটি স্মারক লিপি দেয়ার উদ্যোগ চলছিল, তাদের ধারনা হয়েছিল নবনির্বাচিত আওয়ামি সরকারই তাদের জুলুম কিছুটা নিরসন করতে পারবে। কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংসদ তাপস জিগাতলা দলীয় ক্যাম্পে এলে তার কাছে কিছু সৈনিক পরামর্শের জন্য আসে, তিনি সুধু রেশনের ব্যাপারটা ছাড়া অন্য ব্যাপার গুলো তার আওতার বাইরে বলে জানান। পরে তাদেরকে প্রপার চ্যানেলে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়। পরে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যেয়েও কোন সুবিধা পায়নি। এরপরের মাসে বিডিআর সপ্তাহে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিজি সাকিল এভাবে দেয়া ঠিক হবেনা মন্তব্য করেন, নিজেই প্রধানমন্ত্রির হাতে তুলে দিয়ে কথা বলবেন বলে মত দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্যারেডে সালাম গ্রহন করার জন্য পিলখানায় আসলে তিনি তা দেননি বা আলোচনার চেষ্টাও করেন নি।

পরদিন সকালে দরবার হলে পুর্ব নির্ধারিত BDR DG সাকিলের বক্তব্য সুরু করার কিছুক্ষন পরই উত্তেজনা বাগ-বিতন্ডা। স্মারকলিপি কেন দেয়া হয়নি, UN মিশনে না নেয়া, ডালভাত, সপিং মলের হিসাব। সিমান্তের চোরাই মাল আটকের-লুন্ঠনের ভাগ আফিসার সৈনিক অনুপাত ৮৯:১১ কেন? ৬০:৪০ চাই। এ সবের কোন সুরাহা না হওয়ায় একটা হট্টগলের সুত্রপাত। উচ্চস্বরে ধমকের শব্দ। এরপর ডিজি সাকিল এভাবে হৈচৈ না করে একজনকে সামনে এসে বক্তব্য দিতে বলেন। সামনে একজনের যায়গায় দুজন এসেছিল বলে জানা যায়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে একজন জোয়ান কে স্টেজের উপরে দেখা যায়। … হুমকির সুরে কিছু একটা বলে এবাউট টার্ন করে চলে যেতে চায়। তখন একজন অফিসার তাকে ধরে ফেলে, বলেঃ “কি বলছ পাগলের মত”। হট্টগোলের ভেতর স্টেজের সৈনিকটি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। সাধারন সৈনিকরা সাভাবিক ভাবেই ভুল বোঝে। যে লুটিয়ে পরা সৈনিকটি বুঝি শাকিলের গুলিতেই মারা গেছে। এর পর উপস্থিত সৈনিকরা একযোগে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে। এর পর সবাই হল ছেড়ে চলে যায়। এরপরের ঘটনা ভয়াবহ। সৈনিকেরা দরবার হলে ত্যাগ করার পর বাইরে গুজব ছড়িয়ে যায় যে জেঃ সাকিল এক সৈনিক কে গুলিকরে হত্যা করেছে। এর পর সংগবদ্ধ হয়ে অস্ত্রাগার রক্ষীকে মারধর করে চাবি কেড়ে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বের করা, ভিন্ন আরেকটি গোলাবারুদের গুদাম থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন তুলে নেয়া। একটি দল দরবার হলের দিকে যায়, এর পর প্রথম গুলিবর্ষনের শব্দ, অটোমেটিক রাইফেলের, ব্রাস ফায়ার। প্রত্যক্ষদর্শি সৈনিকের বক্তব্যে জানা যায় যে হত্যাকারিরা প্রথমে আকাশের দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষন করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে, পর উত্তেজনা বেড়ে গেলে কয়েক জন দরবার হলের দেয়াল, বদ্ধ দরজা-জানালা লক্ষ করে এলোপাথারি ব্রাশফায়ার করতে থাকে। ডিজি সাকিল ও অফিসাররা বার বার ধমক দিয়ে সৈন্যদের দরবারে ফিরে আসতে বলতে থাকে , এর ভেতর সেনাপ্রধানের সাথে ফোনে কথা হয়। এর কিছু পরেই একপশলা গুলি ছুটে আসে, কিছু গুলি নরম দেয়াল-পার্টিশন কাঁচের দরজা ভেদ করে সাকিল সহ অন্যান্নদের দেহে বিদ্ধ হয়, অনেকেই মাটিতে শুয়ে প্রানে রক্ষা পান, কর্নেল কামরুজ্জামান সহ অনেকে স্টেজের পাসের উইংসে ঢুকে পরে গুলির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও কোন বিদ্রহীকেই দরবার হলে ঢুকে দেখে গুলিকরতে দেখা যায়নি। দরবার হল লক্ষ করে হাজার হাজার গুলি নিক্ষিপ্ত হলেও অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তার গায়ে কোন গুলি লাগেনি। হত্যাকারিরা হত্যা নিশ্চিত করতে একবারও হলে ঢুকেনি। বা লক্ষস্থির করে গুলি করতে দেখা যায় নি। বিডিআর এর ১৬,০০০ উচ্ছঙ্খল জোয়ানের গুলিবর্ষণে প্রান হারায় বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৭৭জন উর্ধ্বস্থানীয় কর্মকর্তা। বিদ্রোহী জোয়ানরা হত্যা ছাড়াও পিলখানা অভ্যন্তরে বসবাসরত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদরে পরিবার পরিজনকে জিম্মি করে।

(উপর থেকে নীচে ১ম সারির ৪র্থ শহীদ কর্ণেল বি,এম জাহিদ হোসেন)
এ ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডে বিদ্রোহী বিডিআর এর গুলিতে কয়েকজন পথচারী ও ছাত্র নিহত হয়। কিছু রক্তপিপাসু সৈনিক ঘটনার পরপরই সাকিলের বাসভবন আক্রমন করে, অগ্নিসংযোগ-লুন্ঠন করে এতে মিসেস সাকিল নিহত হয়। সন্ধার পর কিছু দুষ্কৃতিকারি সৈনিক কিছু অফিসারের বাসা লুন্ঠনের সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে ভিতরে আটকে পড়া শিশু ও মহিলাদের বিডিআর সদরদপ্তরের ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিলো। বিদ্রহের ১২ ঘন্টা পর বহুল আলোচিত প্রাক্তন বিডিয়ার মহাপরিচলক জেনারেল অবঃ ফজলুর রহমান সহ দুজন প্রাক্তন BDR প্রধান BBC কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি এই বিদ্রহের কারন হিসাবে সরাসরি BDR পরিচালকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন। ডিজি সাকিল গং দের তীব্র সমালোচনা করে বলেন দুর্নিতি, অনিয়ম এবং পরবর্তিতে “কমান্ড ফেইলিওরের” কারনে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। তত্তাবধায়ক সরকারের সেইসময়ের কিছু কর্মকান্ডও সৈনিক অসন্তোষের কারন বলে উল্লেখ করেন। BBC কে তিনি আরো বলেন তার আমলেও সৈনিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছিল। তিনি কতৃপক্ষকে শক্তিপ্রয়োগ না করে শান্তিপুর্ন ভাবে মোকাবেলা করতে পরামর্শ দেন। বিষ্ময়কর ব্যাপার হল এর দুদিন পর এই ফজলুর রহমানই ভোল পালটে ফেলেন। তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করে বলেন প্রথম দিন ঘটনার পর পরই আলোচনায় সময় নষ্ট না করে সেনা অভিযান চালানো হলে নাকি অনেক জীবন বাঁচানো যেত.!! কিন্তু তিনি কোন ব্যখ্যা দেন নি। ভেতরে প্রায় ৯০ জন সেনা জিম্মি আর পরিবার বর্গ সহ তিনশতাধিক বেসামরিক ব্যক্তি, ১৬,০০০ বিদ্রোহী। সেইসময় সেনা অভিযান চালানো হলে লাশের সংখা ২-৩ হাজার হত, আর দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ক্যাম্পের সৈনিকদের প্রতিশোধমুলোক পালটা হামলায় দেশজুড়ে উম্মত্ত তান্ডব শুরু হয়ে যেত তখন এই স্বঘোষিত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাই বলতেন সরকারের আনাড়ী সিদ্ধান্তের কারনেই এই বিপুল রক্তপাত।

(শহীদ কর্ণেল বি,এম, জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ছন্দার আহাজারী)
ঘটনার পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে বিডিআর এর সদস্যদের একাংশ আত্মসমর্পণ করে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পে উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। ঐদিন প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে, বিডিআরকে আবারও তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

২৬শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বিডিআর এর সকল সদস্যগণ তাদের অস্ত্র জমা দেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিডিআর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়েছে। মামলায় মোট আসামী ছিল ৮৫০ জন। এর মধ্যে ৪ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যহতি দেয়া হয়। বাকি ৮৪৬ জনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা ডিএডি তৌহিদ সহ ১৫৪ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ২৭১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিন্টু ও তোরাব আলীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ২০ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় পুরনো ঢাকার বকশীবাজার আলীয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে ঢাকার জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসিয়ে হত্যাযজ্ঞ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত পৃথক মামলা ২টির বিচার কাজ চলছে।

২০০৯ সালের এইদিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার দরবার হলে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনানীদের মৃত্যুতে আজো স্বজনদের আহাজারি,আকাশ বাতাস করে তোলে প্রকম্পিত।দেশবাসী আজ সেইসব শহীদদের স্মরন করছে গভীর বেদনায়। দেশের অকুতভয় বীর সেনানী বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই পোষ্টের কিছু লেখা আমার ৪ বছর আগের একটি লেখা থেকে কপি করা।
মুল লেখকের রেফারেন্স দিয়ে কপি-পেষ্ট করা যায়, তবে অনুমতি বিহীন রেফারেন্স বাদে কপি কি অনৈতিক বা অন্যায় নয়?

এই বিদ্রোহ পুর্বপরিকল্পিত ছিল, তবে হত্যাকান্ড মোটেই পরিকল্পিত ছিলনা।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে বাকি বন্দি ১০০ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন কারনই ছিলনা।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে আনাড়িদের মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করে সময় নষ্ট করত না। নিগোসিয়েশন করে আরো একদিন সময় নষ্ট করে আনাড়ির মত ধরা পরত না।
খুনিদের নেতা সহিদ,সেলিম, হাফিজ সহ সকল খুনিই ধরা পরেছে। অভিযুক্ত একজন সহ মাত্র ১৯ জন বিডিআর সদস্য পলাতক বা নিখোজ। ওপেন আদালতে শুনানি হয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। বাহিরের বা অন্য কারো প্ররচনা থাকলে এতদিনে তা প্রকাশ হতই।। ফাঁসির আসামি মৃত্যুর আগে কখনোই কথা লুকিয়ে মিথ্যে বলে নিজের জীবন বিপন্ন করবে না। বিচার শেষ হয়ে রায় হয়েছে। ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হলেও বেকোসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন। বিচারপর্ব শেষ হলে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।

এ নিয়ে কয়েক বছর আগে এই ব্লগে আমার ৩টি লেখা পড়ুন।

কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে.?

বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।

জেনারেল সাকিলের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, কিছু সত্য বেরিয়ে আসা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ইতিহাস কপি হয়না, উদ্ধৃত হয়। সূর্য পূর্বদিকে উঠে
আর পশ্চিমে অস্ত যায় এই সত্যটি কপি পেস্ট হয়না।
যাহোক আপনি বলেছেন এ্ই এই পোষ্টের কিছু লেখা
আপনার ৪ বছর আগের একটি লেখা থেকে কপি করা। হতেই
পারে, ইতিহাস গবেষণার বিষয়। বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমার
লেখাটি তৈরী করতে বেশ কিছু লেখা পড়তে হয়েছে তাতে যদি
আপনার লেখার কিয়দংশ উদ্ধৃৃত হয়ে থাকে তার জন্য ধন্যবাদ
প্রাপ্য আপনার। ঐতিহাসিক তথ্য ব্যবহার করার অধিকার সবার।
তবে সে জন্য যদি সবার নাম উল্লেখ করতে হয় আর অ্নুমতি নিতে
হয় তাতে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী বাজবে নয় কি? যা হোক
এ লেখায় আপনার কোন মৌলিক অংশটুকু যোগ করা হয়েছে তা
বাতলে দিলে বাধিত হবো। আমার অদ্যকার লেখাটি্ গতবছেরে এই দিনে প্রকাশিত লেখার কপি পেস্ট
ধন্যবাদ আপনাকে আবারো লেখাটি পড়ার জন্য।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

সায়েল বলেছেন: জাতির জন্য একটি কলংকময় দিন!! :(

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

এম মিজানুর রহমান বলেছেন: বাহির থেকে ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাই করা সহজ কাজ না । কিনতু ঘটনাটা পিড়াদায়ক । নিহতদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল । তাদের রুহের জন্য রইল ( বেহেশত বাসী হোক ) কোটি কোটি দোয়া ।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

সাধু সাবধান বলেছেন: আমি সে ক্যাঃ আলফার লাশ দেখেছি যে কমিশনপ্রাপ্তির পর থেকে পতাকা গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতো । আমি সেই মেয়েটার কান্না দেখে পালিয়েছি যার বিয়ের সাক্ষী ছিলাম আমি।
আমি সেই ক্যাঃ সিয়েরা কে চাকুরিচ্যুত হতে দেখেছি , জেলে যেতে দেখেছি , যে এই হত্যার বিচারের জন্য সামান্য প্রশ্ন করেছিল। এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হবে একদিন । যুগ যুগ পর হলেও হবে । বিন্দু বিন্দু হিসেব চুকিয়ে হবে । হতেই হবে ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

খোলা মনের কথা বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম একটা দিন। ধন্যবাদ নূর ভাই আজকের দিনে এমন একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

প্রামানিক বলেছেন: জাতির জন্য একটি কলংকময় দিন!!

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: লেখাটা পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নূরু ভাই, রাগ হবেন না। আমি আপনার অনেক লেখার ভক্ত।
আপনার সাথে একমত, ইতিহাস গবেষণার বিষয়। ঐতিহাসিক তথ্য ব্যবহার করার অধিকার সবার। আমিও করি তবে সেইম ব্লগ থেকে কিছু নিলে বলি কৃতজ্ঞতা -অমুক। না বললেও খুব বড় সমস্যা না। কিছু মনে করবেন না।
আপনি আমার লেখার বেশিরভাগ অংশের সাথে একমত এইজন্য ভাল লাগছে। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: রাগের কোন প্রশ্নই ওঠেন। নদীর পানি আর ইতিহাস সবার প্রপার্টিজ!!
যে কেই বিনা্ বাধায় আর বিনা প্রতিবন্ধকতার জল পান ও ইতিহাস
জানার বা বলার মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে। আপনার পোস্টের
সব উদ্ধৃতি সমসাময়িক পত্র-পত্রিকা থেকে সংগৃহীত এবং তা আপনি
বিশ্বাস করেন বলেই হয়তো উদ্ধৃত করেছেন। একই বিশ্বাস আমার'
তাই লেখায় স্থান দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে আর কৃত্জ্ঞতা ও প্রকাশ
করছি। তবে সর্বজনগ্রাহ্য ইতিহাসের তথ্য রেফারেন্সেরে তোয়াক্কা করেনা।
আর রেফারেন্স দিতে গেলে বারো হাত কাকড়ের তেরো হাত বিচির মতো অবস্থা
দাড়াবে!!

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিছূ বলা নেই..

হায়দার হোসেনের ভাষা ছাড়া

আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যাথা বুকে চাপা দিয়ে নিজেরে দিয়েছি ধিক্কার....

@ সাধু সাবধান.. সহমত এবং ধণ্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.