নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বলিউডের বলিউডের সেক্সসিম্বল বাঙ্গালী অভিনেত্রী বিপাসা বসু। ছেলেবেলা স্বপ্ন দেখতেন চিকিৎসক হবার। তাই অভিনয়ে জগতে তার প্রবেশটা বলা চলে একেবারেই আকস্মিক। একটি প্রতিযোগিতা পাল্টে দেয় তার জীবনের পথ। গোদরেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতায়, যেখানে বিজয়ী হয়ে ছিলেন বিপাশা। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বলিউডে বিপাশার পথচলা শুরু হয় আব্বাস মাস্তানের ‘আজনাবি’ সিনেমা দিয়ে। এরপর ‘রাজ’ ও ‘জিসম’ এ তার অভিনয় দেখে শিহরিত হন দর্শক। এরপর ‘নো এন্ট্রি’ ও ‘হামকো দিওয়ানা কর গায়ে’ দিয়ে ঝড় তুলেন বলিউডে। ‘হরর কুইন’ বা ‘ভয়ের রাণী’হিসেবেও সমাধিক পরিচিত বিপাসা বসু। লিউডে বেশিরভাগ ভয়ের বা সুপারন্যাচারল সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের সেক্স বোম্ব খ্যাত বিপাশা বসু। রাজ, আত্মা, ক্রিয়েচার থ্রিডি এর মত সিনেমায় ভয়ের চরিত্রগুলোতো দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। গত বছর মুক্তি পেয়েছে ‘অ্যালোন’ নামে আরো একটি হরর সিনেমা। আর এ কারণেই তিনি হয়ে গেছেন বলিউডের ‘ভয়ের রাণী’। বিপাশা বলিউডে পা রেখেছেন ১৫ বছর হয়ে গেল। কিন্তু আবেদনে, সৌন্দর্যে এখনও বলিউডের মোস্ট ‘সেক্সিগার্ল’। আজ বিপাশা বসুর জন্মবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। সুপার গার্ল, হরর কুইন বিপাশা বসুর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছ।
বিপাশা বসু ১৯৭৯ সালের ৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দুই বোন বিদিশা ও বিজয়েতা। তন্মধ্যে বিদিশার পরেই বিপাশার অবস্থান। নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীকালে তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে কলকাতায় ফিরে আসেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে বিপাশা বলেন যে, তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও মডেলিং এবং অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন একান্তই আকস্মিকভাবে। ভবন'স গঙ্গাবাক্স কানোরিয়া বিদ্যামন্দিরে বিপাশা বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে অধ্যয়ন করেন। কলকাতা থাকাকালে তিনি সাময়িক পেশা হিসেবে মডেলিং এবং র্যাম্প শো-তে অংশ নেন। ১৯৯৬ সালে কলকাতায় বিখ্যাত মডেল মেহের জেসিয়া'র সাথে পরিচিত হন। জেসিয়া বিপাশাকে গোদ্রেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এতে বিপাশা বসু অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। ফোর্ড গোদ্রেজ সিন্থল প্রতিযোগিতায় জয়লাভের পর বিপাশা বসু ফোর্ড কোম্পানীর আমন্ত্রণে নিউইয়র্কে যান। সেখানে তিনি ১৭ বছর বয়সে সফলভাবে মডেলিংয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেন ও মডেলিংয়ের মাধ্যমে প্রচার মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে আসেন।
বিপাশা চলচ্চিত্রে তার ১ম ছবি হিসেবে আব্বাস মুসতানের পরিচালনায় ২০০১ সালের আজনবি ছবিতে অভিনয় করেন। অক্ষয় কুমার, ববি দেউল ও কারিনা কাপুরের মতো নামি-দামী তারকারা এ ছবিতে ছিলেন। ছবিতে তিনি একজন বিবাহিতা মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি তার স্বামীর বিবাহিত বন্ধুর সাথেও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাক্রমে ছবিটিতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ে কারণে ফিল্মফেয়ারের সেরা নবীণ মহিলা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে বিপাশা তেলেগু ভাষায় নির্মিত ছবি টক্করী দোঙ্গা এবং বিক্রম ভাটের পরিচালনায় আদি-ভৌতিক রাজ ছবিতে অভিনয় করেন। ঐ বছরে সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবির মর্যাদা পায় রাজ। ছবিতে অসামান্য অভিনয়শৈলীর জন্য তিনি প্রথমবারের মতো ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। দ্য ট্রাইবুন তাদের মন্তব্যে বলে যে, "এটিই বিপাশা বসু যে তার চমৎকার অভিনয়শৈলী দিয়ে সকলের মন চুরি করে নিয়েছে"। তিনি ২০০৩ সালে আরেক ব্যবসা সফল জিস্ম ছবিতে সোনিয়া খান্না হিসেবে জন আব্রাহামের সাথে অভিনয় করেন। এ ছবির মাধ্যমে তিনি ফিল্মফেয়ারের সেরা খল অভিনেত্রীর জন্য মনোনয়ন পান। অভিনয়ের পাশাপাশি বিপাশা বসু ১৯৯৮ সালে সোনু নিগমের তু ভিডিও গানে কিসমত এলবামে অভিনয় করেন। এছাড়াও, তিনি জে সিনের মিউজিক ভিডিও স্টোলেন এলবামে অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালেইরজ এর প্রযোজনায় বিপাশা-জন আব্রাহাম শারীরিক সচেতনতা শীর্ষক ভিডিও তৈরী করেন। এরপর ২০০৮ সালে বিপাশা দ্বিতীয়বারের মতো আব্বাস-মুসতানের রেস ছবিতে অভিনয় করেন। এতে আরো অভিনয় করেছিলেন সাইফ আলী খান, অক্ষয় খান্না, অনীল কাপুর এবং ক্যাটরিনা কাইফ। ছবিটি বক্স অফিস হিট করেছিল এবং বিপাশা'র অভিনয়শৈলী সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়ে। ইন্ডিয়াএফএমের তরন আদর্শ তার অভিনয়শৈলী সম্পর্কে বলেন যে, তিনি এ পর্যন্ত তার সেরা অভিনয় করেছেন। তিনি সকলের সেরা।বচনা এ হাসিনো ছবিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন বিপাশা। তিনি রব নে বানা দি যদি ছবিতে ফির মিলেঙ্গে চলতে চলতে গানের মাধ্যমে বছরটির পূর্ণতা আনেন। ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন ইস্টার্ন আই তাকে এশিয়ার সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী মহিলা হিসেবে উল্লেখ করে।
অ্যালোন’ মুক্তি পেয়েছে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি। এর গল্পে সানজানা আর অঞ্জনা যমজ বোন। একজনের শরীরের সঙ্গে অন্যজনের শরীর জোড়া লাগানো। অস্ত্রোপচারের সময় তাদের আলাদা করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত বোনের অশরীরী আত্মা তাড়া করে বেঁচে থাকা বোনকে। ‘অ্যালোন’ ছবিতে বিপাশা বসু ‘অ্যালোন’ নন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এখন একা। যদিও ২০০২ সাল থেকে ভারতীয় অভিনেতা জন আব্রাহামের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে রয়েছেন বিপাশা বসু। তবে তালিকায় আছেন করণ সিং গ্রোভার আর রানা দাগ্গুবাতি। করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিপাশার প্রেম হয়ে গেছে কি-না তা নিয়ে জল্পনা চলছে। অবশ্য প্রতিবারই নায়কদের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে মুখরোচক খবর বের হয়। ‘দম মারো দম’ ছবিতে কাজ করার সময় রানা দাগ্গুবাতিকেও তার প্রেমের হাবুডুবু খেতে শোনা গেছে। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। ষোল বছর বয়স থেকে কোনো জন্মদিনেই প্রেমিকহীন থাকেননি বিপাশা বসু। যতোই করণ সিং গ্রোভার আর রানা দাগ্গুবাতির সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে মুখরোচক খবর বের হোক, সত্যিটা হলো বিপাশা বসু এখন ‘অ্যালোন’। বিয়ের প্রসঙ্গ বলেন, 'বিয়েটা হবে জানি না, বিয়ে তো করবোই। কিন্তু কাকে করব, সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারবো না।’ আজ বিপাশা বসুর ৩৭তম জন্মবার্ষিকী্। অ্যালোন হরর কুইন বিপাশা বসুর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
সকাল রয় বলেছেন: সুপারর্ব লিখেছেন