নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাকে ভালবাসি
ড. ইউনূসের "রিসেট বাটন" পুশ করার বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা।
আসুন দেখি রিসেট বাটন পুশ করা বলতে কী বুঝিয়েছেন ড. ইউনূস।
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, “অনেকেই বলছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তারা ফ্যাসিবাদের আইকন হিসাবে দেখছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বীকৃত। এ ব্যাপারে আপনার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থাপকের এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
উত্তর না দিয়ে বরং উপস্থাপককে বলেন, “আপনি পুরোনো দিনের কথাবার্তা বলছেন। এর মাঝে একটা গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল। আপনার বোধহয় স্মরণে নেই। আপনি এমনভাবে কথা বলছেন, যেন এসব ঘটনা ঘটেইনি। নতুন ভঙ্গিতে যা হচ্ছে, সেটিকে দেখতে হবে তো।”
“কত ছেলে প্রাণ দিলো, সেটা নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন নেই। কেন প্রাণ দিলো?” তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন।
এর পরেই তিনি বলেন, “প্রথম স্বীকার করতে হবে যে ছাত্ররা বলেছে, আমরা ‘রিসেট বাটন’ পুশ করেছি; সবকিছু শেষ; অতীত নিশ্চিতভাবে চলে গেছে। এখন নতুন ভঙ্গিতে আমরা গড়ে তুলব। দেশের মানুষও তা চায়। সেই নতুন ভঙ্গিতে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংস্কার করতে হবে।”
‘রিসেট বাটন’ প্রসঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত তার এই মন্তব্য ঘিরেই।
"রিসেট বাটন" পুশ করা বলতে ড. ইউনূস কখনোই বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার কথা বোঝাতে চাননি। তিনি যে রিসেটের কথা বলেছেন, তা আসলে ৫ আগস্টের ঘটনার মাধ্যমে গত ১৫ বছর ধরে চলে আসা ফ্যাসিবাদী শাসন ও নির্মম দমননীতির অবসানকেই নির্দেশ করে।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট বানিয়ে দেশটাকে নিজের বাপের সম্পত্তি মনে করে এক ভয়াবহ অবস্থা তৈরী করেছিল। মানুষের কোন বাক স্বাধীনতা ছিলনা। দেশজুড়ে বিরুদ্ধ মতের মানুষদের গুম করা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখা হয়েছিল, চাঁদাবাজির মহোৎসব চলেছিল। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ছিল, উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প তৈরী করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছিল, রিজার্ভ খালি করা হয়েছিল— এই সবকিছুই আওয়ামী লুটেরাদের সময়ের বাস্তব চিত্র। সরকারি দপ্তরগুলোতে ঘুষ ও দুর্নীতির চক্র তৈরি হয়েছিল, সাধারণ মানুষের ভূমি দখল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ছিল একটি সাধারণ ঘটনা। মোট কথা দেশে তখন আওয়ামী জাহেলিয়া যুগ কায়েম করা হয়েছিল।
ড. ইউনূস যখন "রিসেট বাটন" পুশ করার কথা বলেছেন, তিনি মূলত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী যুগের অবসানকেই নির্দেশ করেছেন। তার ভাষায়, এই রিসেট বাটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ তাদের জীবন থেকে অস্বাভাবিকতা, দমননীতি, এবং ভীতির পরিবেশ দূর করে একটি স্বাভাবিক, সুস্থ, এবং সুন্দর জীবনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। ড. ইউনূস মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছেন—একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটেছে, সামনে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে এবং আর কখনো ফিরে আসবে না। রিসেট বাটনের চাপেই ফ্যাসিবাদের নির্মম দাপট ইতিহাসের গর্ভে বিলীন হয়েছে, আর এই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান নেই। পুরনো গ্লানি মুছে দিয়ে নতুনভাবে জাতিকে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
এই বক্তব্য ফ্যাসিবাদের রক্ষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা কখনোই কল্পনা করেনি যে তাদের তথাকথিত "আওয়ামী জাহেলিয়া যুগ" এত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। ছাত্র জনতা যখন একযোগে রিসেট বাটন পুশ করে তাদের অন্যায়, নিপীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, তখন তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এখন তারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং গুজব রটাচ্ছে, যাতে দেশের মানুষকে আবারো অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া যায়।
তবে, জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ফ্যাসিস্টদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ জনগণই এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে, এবং এই বাংলাদেশে আর কখনোই ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে না।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭
আলামিন১০৪ বলেছেন: স্পামিং এর জন্য আর স্পেস নস্ট করার জন্য উপরের কমেন্টকারিকে ব্যানের আবেদন জানাচ্ছি @ মডু
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৪
আলামিন১০৪ বলেছেন: মুজিব কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় নাই, সে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চেয়েছিল, এটা ঐতিহাসিক সত্য, বিশ্বাস না হলে সেই সময়ের বামপন্থীদের জিজ্ঞাসা করুন, সে কখনো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক হকে পারে না।৭৪ এর দুর্ভিক্ষে লক্ষ্য মৃত্যু যাকে বিচলিত করতে পারে নি, সে ইতিহাসের আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। আওয়ামী দীর্ঘ শাসন কতক কে ব্রেইন ওয়াশ করেছে বেশ বুঝা যাচ্ছে। দেশের মানুষদের সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে হবে...জানাতে হবে আওয়ামী হত্যা-অত্যাচার-ক্ষুদা-চুরির মচ্ছবের ইতিহাস
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
আমি সাজিদ বলেছেন: রিসেট বাটনে একাত্তর মুছে ফেলা কি উচিত? উচিত নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ( বিএনপি, জামায়াত) কিন্তু আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে আওয়ামিলীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। জামায়াতের আমির বা বিএনপির মহাসচিব কিন্তু একাত্তর মুছে ফেলতে বলে নাই। রিসেট বাটনের কথাও বলে নাই। তবে দুইদলেই আলামিনের মতো কিছু ইঁচড়েপাকা আছে। এদের জন্যই হাসিনার গুন্ডাবাহিনী বেশী পেশি শক্তি দেখিয়ে একাত্তর গুলিয়ে বদহজম করিয়েছে। এই বদ হজম এতোটাই যে জোম্বি জির অনেকেই সাতজন বীর শ্রেষ্ঠের নাম বলতেও বিরক্ত বোধ করবে।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: দেখার খুব আগ্রহ, সিস্টেম সংস্কারে গুরুত্ব না দিয়ে রিসেট বাটনে পুশ করে ইউনুস সাহেব আর তার পিএসরা কতোদূর যেতে পারেন। সময়ই বলে দিবে।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩২
প্রহররাজা বলেছেন: অনেক পরিকল্পনা করে, কাঠ খড় পুড়িয়ে ইউনুস পাওয়ারে আসছে, উনি রিসেট বলতে সব কিছু ভুলে গিয়ে উনাকেই সর্বে সর্বা ভাবতে বলেছে মেধাবী জনগনকে।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনার মুখের কথায় হইবো? পতাকা, দেশের নাম, ক্ষমা না চাওয়া সত্বেও পাকি দের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন। ৩২ নম্বর পরিদর্শনে না যাওয়া। সব মিলােইয়াই এই বিষ্ফোরন।
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০১
নতুন বলেছেন: রিসেট বাটানের কথা উনি বলেছেন সেটা খুবই যৌক্তিক। আফসোসলীগ এটাকে ভুল ব্যাক্ষা করবে এটাই সাভাবিক।
উনি মুক্তিযুদ্ধের কথা মুছে ফেলতে বলেন নাই।
কিন্তু যুদ্ধের পরের রাজনিতিক সংস্কৃতির রিসেটের দরকার আছে। দূনিতি বন্ধে পদক্ষেপ দরকার আছে। প্রচলিত নিয়মগুলি রিসেট না করতে পারলে রাজনিতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, জবাবদিহিতাহীন পরিস্থিতি রিসেট না করলে দেশের কিছুই হবেনা।
উনার সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন উনি প্রচলিত রাজনিতি+দূনিতির রিসেটের কথা বলেছেন।
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইশ এমন রিসেট বাটন চেপে নিজের অতীত কে মুছে দিতে পারতাম!
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: ডঃ ইউনুস কি ধরনের মানুষ তা সারা দুনিয়া জানে, আমরাও জানি। তাই উনার কোন বক্তব্যের ব্যখ্যা নিষ্প্রয়োজন।
১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৪৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা কেহই ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা নই !!!
..........................................................................
তবে ইতিহাস বলে যে দেশে গোপনে আমেরিকা গনতন্ত্রর
কথা বলে হাত বাড়ায়, সে দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে অতপর বিদায় নেয় ।
উদাহরন আমাদের চোখের সামনেই আছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গার্বেজ পোস্ট।