নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাকে ভালবাসি
বিশ্ব এখন স্পষ্টভাবে দুটি ধারায় বিভক্ত। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা সহ সব ধরণের জাগতিক কার্যক্রম এই দুই ধারায় নিয়ন্ত্রন হয়। এই দুই ধারার সমস্ত সিষ্টেম, সমস্ত নিয়ম কানুন একটি অপরটির বিপরীত। এই দুই ধারার অনুসারীদের মধ্যে স্পষ্টতই বিরোধ- সংঘাত লেগে রয়েছে।
কিসের কথা বলছি, এখনও নিশ্চয়ই বুঝতে পারেননি? হেয়ালি বাদ দিয়ে বলি। এই দুটি ধারার একটি হলো ইসলাম অপরটি হলো ইসলামের বিরোধী শক্তি। ইসলাম ধর্মের প্রচারের পর থেকে একদল লোক ইসলাম ধর্মকে শক্ত ভাবে আকড়ে ধরলো। ইসলামের যাবতীয় বিধি বিধানকে মনে প্রানে স্বীকার করে নিল এবং সে সমস্ত বিধি বিধান অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে লাগল। অপর দলটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদেরকে চিরশত্রু ধরে নিল। তাদের বিনাশ করতে উঠে পড়ে লাগল এবং যেকোন উপায়ে ইসলামকে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টায় মেতে উঠল।
কেন এই সংঘাত ঃ ইসলাম ও ইসলাম বিরোধীদের এই সংঘাত নতুন নয়। যারা এক আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে এবং সত্যের উপর অবিচল থেকেছে তাদের বিরুদ্ধে বরাবরই জোট বদ্ধ ভাবে আঘাত হেনেছে ইসলামের চির শত্রু ও অন্য ধর্মের অনুসারীরা। ইসলামের সুমহান আদর্শকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে যারা নিজের জান ও মালকে আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করে দিয়েছে তারা বরাবরই ইসলামের শত্রুদের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। প্রকাশ্য যুদ্ধ ও গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে বরাবরই ইসলামের উজ্জ্বল আলোক শিখাকে নিভিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইসলাম বিরোধীদের সব ষড়যন্ত্রকে দৃড় ভাবে মোকাবিলা করে ইসলামের সৈনিকরা নিজেদের লক্ষ্যে অটল ও অবিচল ভাবেই এগিয়ে চলেছে।
প্রাক ইসলামীক যুগ: ইসলাম ধর্ম প্রচার হওয়ার আগের যুগটি ছিল অরাজকতার যুগ। যে যুগে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার চরম অধ:পতন ঘটেছিল। জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, লুটতরাজ, ধর্ষন ছিল নৈমিত্যিক সহজাত ব্যাপার। পারিবারিক বন্ধন বলতে কোন বিষয় ছিলনা। বাবার মৃত্যুর পর ছেলে মাকে বিয়ে করা কিংবা মেয়ে সন্তানকে জীবিত কবর দেয়া অথবা দাস ব্যবসার মত ঘৃণিত কার্যক্রম চলত তখন। মানুষের মধ্যে নৈতিকতার চর্চা ছিলনা বলতেই চলে। এমতবস্থায় নির্যাতিত ও নিপিড়ীত শ্রেনীদের পাশে দাড়ানোর মত কেউ ছিলনা। তাদের পক্ষে বলার মত কেউ ছিলনা। সমাজের উচু শ্রেনীর মানুষের কথা তখন আইনের মত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটিও করতে পারতোনা।
ইসলামের যাত্রা শুরু যেভাবে ঃ নবী করিম (সাঃ) নবুয়ত লাভের পর যখন সাধারণ জনগণের মধ্যে ইসলামের সুমহান বানী ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন তখন সবাই স্বাভাবিক ভাবে সেটাকে গ্রহণ করে নেয়নি। কিছু সংখ্যক লোক ইসলামকে সত্য ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করলেও বেশিরভাগ লোকই ছিল ইসলামের বিরোধী। তখন অন্য ধর্মের অনুসারীরা মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করলো এবং এক পর্যায়ে মুসলমানদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে তারা যুদ্ধের ঘোষনা দিল। এসময় কাফির ও মুসলমানদের মধ্যে অনেকগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। তখন সদ্য মুসলমান হওয়াদের মধ্যে ঈমানের প্রচন্ড জোর ছিল। তারা ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে এক আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করতো। কাফির সৈন্যরা সংখ্যায় কয়েক গুন বেশী হওয়া স্বত্বেও মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে পেরে উঠতো না। এভাবে কাফিরদের অসংখ্য যুদ্ধে পরাজিত করে ইসলামের বিজয় পতাকা দিকে দিকে উড্ডীন হয়েছিল। নবী করিম (সাঃ) ওফাতের পর উনার সুযোগ্য সাহাবীদের খেলাফত কালে বিশ্বের প্রতিটি দেশে ইসলামের সুমহান আদর্শ পৌছে গিয়েছিল। মানুষ স্বত:স্ফুর্ত ভাবে ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হয়েছিল। অর্ধ পৃথিবী ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছিল। ইসলাম ধর্মের উথান ও দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার এই সময়টাকে বিশ্লেষন করে দেখা যায়, ইসলামের সৈনিকরা একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে লা ইলাহার দাওয়াত ছড়িয়ে দিচ্ছিল অপরদিকে ইসলামের উপর কোন আঘাত এলে তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করছিল। যতক্ষন পর্যন্ত না সরাসরি ইসলামের উপর আঘাত আসে ততক্ষন পর্যন্ত ইসলামের সৈনিকরা কারও উপর জুলুম করেননি। শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারে তারা যথেষ্ট ধৈর্য্য, মানবতা, পরিশ্রম, প্রজ্ঞা এবং সাহসের প্রমাণ দিয়ে গেছেন।
ইসলামের স্বর্ণযুগ: মহানবী (সাঃ) এর মক্কা বিজয়ের পর দৃশ্যত ইসলাম প্রচারের পথে আর কোন বাধা রইলোনা। রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীরা ইসলামের সুমহান বানী ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে দিকে দিকে ছুটে গেলেন। কোন কোন এলাকায় ইসলামকে সাদরে গ্রহণ করা হলো। কোথাও ইসলামের বিরুদ্ধে জালিমের তরবারী শানিত হলো। ইসলামের সৈনিকগণ এক হাতে কুরআন আর অন্য হাতে তলোয়ার নিয়ে ইসলামকে বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিলেন। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা সহ পৃথিবীর তাবৎ দেশে ইসলামের বিজয় ঝান্ডা উড্ডিন হলো। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইউরোপের স্পেন, ফ্রান্স, রাশিয়ার বৃহৎ অংশ, চীন, ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা জুড়ে ইসলামের এক সববৃহৎ সাম্রাজ্যে গড়ে উঠেছিল।
নবী করিম (সাঃ) এবং তাহার খলিফাগণ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক দেশ পরিচালনা করলেও পরবর্তীকালে রাজা বাদশাগণ ইসলামী শরিয়া অনুসরণ করেনণি। তারা নিজেদের মর্জি মত আইনকানুন তৈরী করতে লাগলেন। খলিফাগন সবসময় ভোগবিলাস থেকে দুরে থাকলেও রাজা বাদশারা আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে গেলেন। মুসলিম জাতির দুভার্গ্য ও তখন থেকে শুরু হয়। আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসে মত্ত রাজা বাদশাদের উপর হামলা চালিয়ে একের পর এক তাদের রাজত্ব ছিনিয়ে নিতে থাকে অন্যরা। এভাবে একসময় বিশ্বজুড়ে রাজত্ব করতে থাকা মুসলমানরা শুধুমাত্র নিজেদের ভুলের কারণে সুবিশাল সাম্রাজ্যে হারিয়ে ফেলে।
ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইউরোপ মহাদেশ থেকে একসময় ইসলামের পুরো নাম নিশানাও মুছে দেয় খ্রিষ্টান ক্রুসেডাররা। এভাবে রাশিয়া ও চীনে কম্যূনিষ্ট শাষন শুরু হলে সেখানেও ইসলাম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। আফ্রিকায় ইসলামের সুবৃহৎ সাম্রাজ্যেও একসময় বিরোধীশক্তির হুমকির সম্মুখিন হয়। উপমহাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইসলাম থাকলেও মুলত তারা বিরোধী শক্তির সাথে আপোষকামী মনোভাব প্রকাশ করতে শুরু করে।
মুসলমানদের নৈতিক অবক্ষয় ঃ ইসলামের সোনালী যুগে মুসলমানদের নৈতিক চরিত্র সুদৃড় ছিল। মদ, মেয়েমানুষ, অর্থলোভ তাদের ছিলনা। তাদের ঈমান এতই মজবুত ছিল তাদেরকে কোন কিছুর লোভ দেখিয়ে আকৃষ্ট করা যেতনা। কিন্তু যখন তারা ভোগবিলাসে মত্ত হলো, তখন তাদের মধ্যে অনেককে মদ, নারী ও সম্পদের লোভ দেখিয়ে বিরোধী শিবিরে টেনে স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে উদ্বুদ্ধ করা হলো। মূলত ইসলামের পরাজয়ে বিরোধীদের পাশাপাশি এইসব বিশ্বাসঘাতকরাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
অসহায় মুসলমান ঃ বতর্মান বিশ্বে যে কোন ইসলামী সংগঠনকে এক বাক্যে জংগী সংগঠন আখ্যা দেয়া হচ্ছে। খ্রিষ্টান, ইহুদী সহ ইসলামের চিরশত্রুরা ইসলামী জাগরণকে রুখতে ও তাদের কায়েমী স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে ইসলামী যে কোন সংগঠনকে শত্রু মনে করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বিশ্বের যেকোন দেশের যেকোন ইসলামী সংগঠনই তাদের চোখে জংগী বলে ঘোষিত হবে। কিন্তু আমাদের মুসলিম সমাজ ও এখন তাদের সাথে তাল মিলাচ্ছে। তাদের কাছে এখন ইসলামের সুন্দর সংষ্কৃতির কোন মু্ল্যে নেই। ইসলামের চিরায়ত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ওল্ড মডেল আখ্যা দিয়ে তারা পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও চিন্তাকে নিজেদের সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহন করে নিচ্ছে। তারা পাশ্চাত্যের পুজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী সংগঠন গুলোকে দুনিয়ার বুক থেকে মুছে দিতে সক্রিয় রয়েছে।
ইসলাম ও অনৈসলামের মধ্যে প্রার্থক্যে কী ঃ ইসলাম আমাদের একত্ববাদের শিক্ষা দেয়, ইসলাম আমাদের শান্তির পথে চলার শিক্ষা দেয়, ইসলাম আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়, ইসলাম আমাদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়, ইসলাম আমাদের সকল ধর্মাবলম্বীদের সাথে সহাবস্থানের শিক্ষা দেয়, ইসলাম ধর্মে সেচ্চাচারীতার কোন স্থান নেই। ইসলাম ধর্মে আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থা শিক্ষা দেয়া হয়, আদর্শ সমাজ ও অর্থনীতির নিয়ম এই ধর্মে রয়েছে। ভুমি বন্টন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মানুষের জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম ও বিধান এই ধর্মে রয়েছে। এ ধর্মে জবাবদিহীতা আছে, মৃত্যুর পর বিচারের নিয়ম আছে। তাই একজন মুসলমান চাইলেই ইসলামের নিয়ম লংঘন করতে পারেনা। তাকে ইসলামের প্রদর্শিত নিয়ম মেনেই জীবন যাপন করতে হয়। অনেকের ধারণা শুধুমাত্র নিয়মমাফিক উপাসনা করলেই ইসলামের নিয়ম মানা হয়ে গেল। বাদ বাকি সময়গুলো সে যা ইচ্চা তা করে বেড়াতে পারে। ইসলামকে পূর্নাংগ ভাবে না জানার কারণেই বেশিরভাগ মুসলমান ইসলাম সম্পর্কে এই ধারণা পোষন করে থাকেন।
অপরদিকে অন্যান্য ধর্মগুলো ইসলামের মত স্বয়ংসম্পূর্ন নয়। সেখানে এত বিস্তারিত নিয়মকানুন ও নেই। নৈতিকতার শিক্ষা ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উপকরণ অন্যান্য ধর্মে নেই।
আবার যারা ধর্ম মানেনা, কিংবা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহন করেও ইসলামের বিধিবিধান অনুযায়ী চলার তাগিত অনুভব করেনা, তারা মুলত মৃত্যুর পর বিচারের বিষয়টি অস্বীকার করে কিংবা সেটা নিয়ে সন্দেহ পোষন করে। যেহেতু তারা মৃত্যুর পর পূর্নজীবনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয় সেহেতু এই দুনিয়ায় যা ইচ্চা তা করে বেড়াতে তাদের আর কোন বাধা রইলোনা। আখেরাতের শাস্তির ভয় যাদের নয় দুনিয়ার আইনের সাজা তাদের কতটুকু রোধ করতে পারে। তারা নৈতিকতা নিয়ে মাথা ঘামায়না। ছেলে মেয়ে একসাথে মেলামেশা করছে, বয় ফ্রেন্ড গার্ল ফ্রেন্ড নাম দিয়ে বিভিন্ন ক্লাবে, পার্কে, হোটেলে উদ্দাম ভাবে ব্যাভিচার করছে। ঘুষ, সুদ, দূর্নীতি, লুটতরাজ করতে তাদের সামনে কোন বাধা থাকছেনা। মুলত ইসলামী শিক্ষার অভাব ও ইসলামী শাষনব্যবস্থা না থাকার কারনেই মুসলিম পরিবারের সন্তানরা আজ পাশ্চাত্যের মত অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে মেতে উঠছে।
এর শেষ কোথায় ঃ একজন তরুন হিসেবে সমাজের বিভিন্ন স্থরের লোকের সাথে আমার মিশতে হয়। বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। মুসলমানদের নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়টি আমার নিজের চোখেই দেখা। যেমন কক্সবাজারের হোটেল গুলোতে দেখা যায়, প্রায়শই স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রাত কাটাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। দেশের বিভিন্ন হোটেলগুলোর এই অবস্থা। ঢাকায় যারা থাকেন তারা জানেন ঢাকার পার্কগুলোতে সন্ধ্যার পর কি চলে? বিভিন্ন এ্যমিউজমেন্ট সেন্টারগুলোতে বিনোদনের নামে চলে অশ্লীলতা ও দেহ প্রদর্শনী। এভাবে তরুন সমাজের মনে যৌনতা উস্কে দেয়া হচ্ছে। তারা মেতে উঠছে ধর্ষনের মতো জঘন্য পাপাচারে। এছাড়া নৈতিকতার মত কোন বাধা না থাকায় যে কোন নারী পুরুষের যেকোন ধরণের অন্যায় ও পাপকাজ করতে কার্য্যত কোন বাধা আর রইলনা।
আমার অনেক বোনেরা বলেন, আমি পর্দা করবো কি করবোনা সেটা আমার স্বাধীনতা, কিন্তু পুরুষরা কেন আমাদের খারাপ নজরে দেখবে কিংবা আমাদের উপর হামলে পড়বে?
ঐ বোনদের উদ্দেশ্যে করে বলতে চাই, শুধু পর্দা মেনে চলা আপনার দায়িত্ব নয়, অন্য পুরুষের যৌনতা উস্কে না দেয়ার দায়িত্বও কিন্তু আপনার। আপনার পরিচ্ছদের কারণে অন্য পুরুষ উত্তেজিত হচ্ছে, এবং সমাজের এইসব অনাচার বৃদ্ধির পেছনে আপনিই মুলত প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখছেন।
বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে মুলত এখন কিছুই নেই। (ইরান ব্যতীত) বিশ্বের কোন দেশ এখন ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করছেনা। আমাদের মুসলমান সমাজ এখন পাশ্চাত্যের পুজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থাকেই গ্রহণ করে নিয়েছে। পাশ্চাত্যের নোংরা সংস্কৃতিকেই নিজেদের সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। শুধুমাত্র নামাজ রোজা পালনকালে তারা ইসলামকে অনুসরণ করে কিন্তু নিজের জীবন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা ইসলামকে অনুসরণ করেনা। ইসলামের এই পতনের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। এমন একটা সময় আসবে যখন মুসলমান পরিচয় দিতেও আমরা লজ্জা বোধ করবো, খ্রিষ্টানদের মত করে নিজেদের গড়ে তুলবো।
চলবে........
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: চেষ্টা করবো পড়াশুনা করার।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: দেশের সংখ্যা গড়িষ্ঠ জনতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে, তাই এই ইসুতে জাতি বিভক্ত হয়নি, নিযামী - গো আজমদের এ পরিমান জনসমর্থনও নেই যে তাদের কথায় জাতি বিভক্ত হয়ে যাবে ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি যেমন এদেশের সংখ্যা গড়িষ্ঠ মানুষের প্রাণের দাবী, তেমনি ধর্মকে কুৎসিত ভাবে আক্রমণ কারীদের বিচার ও শাস্তি -ও এ দেশের মানুষের প্রাণের দাবী ।
জাতি বিভক্ত হয়েছে তখন এ দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন ইসুকে মুখামুখি দাড় করানো হয়েছে । আর সরকার নির্লজ্জ ভাবে বিষয়টিকে রাজনৈতিকীকরণের পাশাপাশি পক্ষপাতিত্ব করেছে । দেশের সংখ্যা গড়িষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘত করে ঐক্য কিভাবে সম্ভব ?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি ঠিক এই বিষয়কে উদ্দেশ্য করে নয়। তবে বিষয়বস্তু অনেক বিষয়কে প্রাসঙ্গিক ভাবে সামনে টেনে আনতে পারে।
ধর্মীয় বিশ্বাসে যাতে আঘাত না আসে সে ব্যবস্থাটুকু আমরা মুসলমানরা তৈরী করতে পারছিনা। ভঙ্গুর বিশ্বাস নিয়েই আমরা চলাফেরা করছি।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শুধুমাত্র নামাজ রোজা পালনকালে তারা ইসলামকে অনুসরণ করে কিন্তু নিজের জীবন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা ইসলামকে অনুসরণ করেনা। ইসলামের এই পতনের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই।,,,,,,,,,,,,,,,,,ভাল লাগলো,,,,,,,,,,,,,,চলুক,,,,,,,,,,,,পরবর্তী পর্বের আশায়,,,,,,,,,,,,,
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: লেখার পরবর্তী পর্ব সমূহ আরো স্পর্শকাতর হতে পারে। একটু ভেবে চিন্তে সময় করে লিখবো।
সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
দিশার বলেছেন: সাধারণ মুসলমান দের ভুয়া দাবি। একটু পড়াশুনা করতে পারেন না, ইন্টারনেট যখন আসে হাতের কাসে।